আমি প্রবাসী

আমি প্রবাসী Thanks For Visit My Page

29/11/2023

আমি তো এমপি হব মন্ত্রীর হবো সেরা বার ক্রিকেট 😁

29/11/2023

😁😁

29/11/2023
28/11/2023

এই ছেলে 17/11/2023 সৈদি আরবে আসে।
আসার পর 18/11/2023, বারিতে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।
কিন্তু কোন সমস্যা নাই কাজ থাকা খাওয়া সব ঠিক।
তার পরেও কেন জানিনা বারিতে যেতে চায়।
ও এক বার গাড়ির নিচে পরে মরতে চায় আবার ছুরি নিয়ে সুইসাইড করতে যায়। আবার গলায় ফাসি লাগাতে যায় জানিনা ও কেন এমন করছে, কোন কারণ যানা যায়েনি । সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন যাতে ঠিক টাক মতো বাড়ী পৌছাতে পারে মায়ের কোলে ফিরে যেতে পারে।
সবাই এই পাগলের জন্য দোয়া করবেন।।

28/11/2023

গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটির দেশ আমার মন জুড়াইলো 🥀🍂🍀
আপনি গ্রামে না আসলে বুঝবেন না গ্রাম কত সুন্দর 🌳🌼

28/11/2023

শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে 😥

23/11/2023

নারী🎋

23/11/2023

22/11/2023

❤️❤️

22/11/2023

মাশাল্লাহ ❤️

22/11/2023

মাশাল্লাহ 🥰

01/11/2023

দেখুন আমাদের প্রিয় বন্ধু ইন্ডিয়ার কু**রা।
আমাদের জাতীয় পতাকা কিভাবে লাথি মারে 🤬

30/10/2023

এধরনের নোংরা রাজনীতি করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। হয়তো কারও সন্তান, কারও বাবা কারও ভাই, লাশ হয়ে পড়ে আছে, এটা কোন ধরনের রাজনীতি ভাবতেও আভাক লাগে😭

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎• Today's the...
23/10/2023

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎• Today's the best Photo
Follow Page

•🔴 Beautiful




























18/10/2023

হাসতে হাসতে আমি শেষ😁😁

১০০% বাস্তব উদাহরণ এটাই আমাদের সিঙ্গাপুর।গাছ আমাদের জায়গায়, ফল খায় মাদারীপুর,ফরিদপুর,বরিশাল,খুলনা। খুবই হাইস্যকর।
11/10/2023

১০০% বাস্তব উদাহরণ এটাই আমাদের সিঙ্গাপুর।
গাছ আমাদের জায়গায়, ফল খায় মাদারীপুর,ফরিদপুর,বরিশাল,খুলনা। খুবই হাইস্যকর।

08/10/2023

চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন খাতা কেড়ে নেওয়ায় শিক্ষককে থাপ্পর মারলেন ছাত্র।

বারসিসার ঘটনা এবং শিক্ষা: নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিক...
06/10/2023

বারসিসার ঘটনা এবং শিক্ষা: নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিকে পরিণত হয়েছিল

❑ বারসিসার ঘটনা:

বনি ইসরাইলের সময় এক ছোট্ট গ্রামে বারসিসা নামে এক খৃষ্টান পাদ্রি বসবাস করতো। সে ছিল খুব ধর্মপরায়ণ ও সৎ মানুষ। সে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করত এবং বিশ্বাস করত যে, ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর একজন রসুল।
সেই গ্রামে তিন ভাই ও এক বোন থাকতো। সেই ভাইদের জিহাদের জন্য ডাকা হল। কিন্তু তারা বোনকে একা রেখে যেতে চাইল না। কার কাছে রাখবে চিন্তা করতে লাগলো। গ্রামবাসী বারসিসার কথা বলল। কারণ গ্রামের সবাই বারসিসাকে উত্তম চরিত্রবান হিসাবে জানতো। তো তারা বারসিসার কাছে গেল, যখন তার কাছে তাদের বোনকে রাখতে চাইলে সে রাজি হল না এবং বলল ‘আমি অভিশপ্ত শয়তানের কাছ থেকে পানাহ চাই।'
কারণ সে ভয় করছিল যে সে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। তখন শয়তান বারসিসার মনে কুমন্ত্রণা (ওয়াসওয়াসা) দিতে আসল। চালাক শয়তান জানতো যে বারসিসার মন খুবই নরম। সে কানে কানে বারসিসাকে বলল, “তারা যদি ভাল কাউকে তাদের বোনের জন্য খুঁজে না পায় এবং খারাপ কারো কাছে মেয়েটিকে রেখে যায় তখন কী হবে! এই পরিণতি কি তোমার ভুলের জন্য নয়?”
বারসিসা বুঝতে পারেনি যে, এটা শয়তানের কুমন্ত্রণা। মানুষের প্রতি দরদের কারণে মেয়েটিকে সে সাহায্য করতে রাজি হল।
সে মেয়েটিকে গির্জার বিপরীতে একটি ঘরে থাকতে দিল। গির্জার সামনে মেয়েটির জন্য খাবার রেখে আসত, মেয়েটি নিজে এসে খাবার নিয়ে যেত। বারসিসার সাথে তার দেখা হত না।
শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, “তুমি কেন মেয়েটির খাবার তার ঘরের সামনে রেখে আসো না? এর ফলে মেয়েটাকে ঘর থেকে কেউ এতটা পথ একা একা হেঁটে বের হতে বা ফিরে যেতে দেখবে না!”
বারসিসা রাজি হল এবং মেয়েটির ঘরের সামনে খাবার রেখে আসতে শুরু করল। শয়তান এতেও খুশি হল না, সে আবার আসলো এবং কানে কানে বলল, কেন তুমি তার ঘরে ভিতরে খাবার দিয়ে আসো না? ফলে মানুষ তাকে ঘর থেকে একা একা বের হতে আর ঢুকতে দেখত না!
এবার বারসিসা তার ঘরের মধ্যে খাবার দিয়ে আসতে শুরু করল। শয়তান আবার আসলো এবং বলল, মেয়েটার সাথে তোমার কথা বলা উচিত, এভাবে একা থাকলে তো সে পাগল হয়ে যাবে। বারসিসা মেয়েটির কথা চিন্তা করে তার সাথে রুমের আড়ালে কথা বলতে শুরু করল।
শয়তানের কুমন্ত্রণায় এক সময় তারা একই রুমে কথা বলতে লাগল।

এভাবে শয়তান তার কাজের কঠিন অংশ বাস্তবায়ন করল। এই পর্যায়ে বারসিসা এবং মেয়েটা একে অপরের প্রতি দুর্বল হল এবং এক সময় ব্যভিচারে লিপ্ত হল। মেয়েটি গর্ভবতী হল , একটি বাচ্চা জন্ম দিল। বাচ্চা জন্মের সময় শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, “এটা তুমি কী করলে? তোমার পাপের প্রমাণ সরিয়ে ফেল, না হলে মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তোমাকে খুন করবে!”
বারসিসা বাচ্চাটিকে খুন করল এবং ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে ফেলল।
শয়তান এবার বলল, “তুমি এক নারীর সন্তান হত্যা করেছ এবং আশা করছ যে সে এটা কাউকে বলবে না?”
তখন বারসিসা মেয়েটিকেও খুন করল এবং তাকেও ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে রাখল। মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তাদেরকে একটা মিথ্যা কবর দেখিয়ে বলল “তোমাদের বোন অসুখে মারা গিয়েছে এবং ঐ কবরে দাফন করা হয়েছে”। তারা বারসিসার কথা বিশ্বাস করল।
সেই রাতে শয়তান তিন ভাইকে একই স্বপ্ন দেখাল যে “বারসিসা তোমাদের বোনকে হত্যা করেছে, প্রমাণ হিসাবে তোমাদের বোন যে ঘরে থাকত তার মেঝে খুঁড়ে দেখতে পারো”। ঘুম ভাঙ্গলে তারা একে অপরকে স্বপ্নের কথা বলল এবং বুঝতে পারল তারা তিনজন একই স্বপ্ন দেখেছে।
যাচাই করার জন্য তারা বারসিসার এলাকায় যেয়ে প্রথমে বারসিসার দেখানো কবর খুঁড়ল, দেখল কিছু নেই, এর পর যে ঘরে তাদের বোন থাকত তারা ঐ ঘরের মেঝে খুঁড়ে তাদের বোনের এবং বাচ্চার লাশ পেল। তারা বারসিসাকে ধরল এবং বলতে বাধ্য করলো আসলে কি হয়েছিল।
তারপর তারা তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেলে রাজা তাকে শিরশ্ছেদ করতে আদেশ দিল। যখন বারসিসাকে শিরশ্ছেদ করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন শয়তান কাছে আবার আসল। এবার ওয়াসওয়াসা না, মানুষের রূপ নিয়ে সে আসল। এসে বলল, “শুনো বারসিসা, আমি হলাম শয়তান, তোমার এই অবস্থা তোমার নিজের চিন্তায় হয়নি, আমিই করেছি আর একমাত্র আমিই তোমাকে বাঁচাতে পারি যদি তুমি আমার কথা মেনে চল।” বারসিসা বলল, “আমাকে কী করতে হবে?”

শয়তান বলল” আমাকে সেজদা কর আমি তোমাকে রক্ষা করবো” তো বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে বারসিসা শয়তানকে সিজদা করল এবং কাফের হয়ে গেল। সিজদা করার সাথে সাথে শয়তান তাকে বলল, ‘আমি এখন তোমার থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহকে ভয় করি যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক’। এই বলে শয়তান সেখান থেকে পালাল এবং বারসিসার শিরশ্ছেদ করা হল।
কেয়ামতের দিন বারসিসাকে যখন জীবিত করা হবে তখন সে শয়তানকে সিজদা করতে করতে উঠে দাঁড়াবে!

দেখুন, শয়তান কীভাবে বারসিসাকে ফাঁদে ফেলেছিল। সে এসেছিল বন্ধুর বেশে, ভালো ভালো কথা বলতে আর আপাত:দৃষ্টিতে ভালো কাজে উৎসাহ দিতে। কিন্তু আসলে সে ছিল সবচেয়ে বড় শত্রু!
আল্লাহ বলেন, তাদের দৃষ্টান্ত শয়তান যে মানুষকে বলে কুফরি করো। অতঃপর যখন সে কুফরি করে তখন শয়তান বলে: “আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।” [সুরা হাশর ৫৯:১৬]
রেফারেন্স বই: নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা
(তালবিসুল ইবলিস)
লেখক : ইমাম ইবনুল জাওযী রাহ.

❑ ঘটনার সত্যতা কতটুকু?

বারসিসার এই ঘটনাটি কতিপয় তাফসির গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে। যেমন: তাফসিরে কুরতুবি, তাফসিরে বাগাবি। তারা কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উত্তর ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

‏ كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ

“তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলে, তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্ব পালনকর্তা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করি। [সূরা হাশর: ১৬]

কিন্তু হাদিস বিশারদগণের দৃষ্টিতে উক্ত ঘটনাটি কোনও হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়নি। এটি মূলত: বনি ইসরাইল তথা ই হুদি-খ্রি স্টানদের থেকে নেওয়া। সুতরাং তা সত্য-মিথ্যা উভয়টি হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।

তবে ইসরাইলি ঘটনবালীর মধ্যে কোনও ঘটনা উপকারী ও শিক্ষণীয় হলে এবং তাতে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু না থাকলে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্য তা বর্ণনা করতে কোনও দোষ নেই। কেননা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

‏ "‏ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏

“আমার নিকট থেকে একটি আয়াত হলেও তা প্রচার করে দাও আর বনি ইসরাইলদের ঘটনাবলীও বর্ণনা করো। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি আমার উপর স্বেচ্ছায় মিথ্যারোপ করবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়।” [সহিহ বুখারি]
আউনুল মাবুদের গ্রন্থকার আল্লামা শামসুল হক আজিমাবাদি বলেন,

وقال مالك: المراد جواز التحدث عنهم بما كان من أمر حسن، أما ما علم كذبه فلا، قاله في الفتح

“আর মালেক বলেছেন যে, এ হাদিসের উদ্দেশ্য হল, তাদের ভালো বিষয়গুলো বর্ণনা করা বৈধ। কিন্তু যে বিষয় মিথ্যা বলে জানা যাবে তা বর্ণনা করা যাবে না। এমনটি রয়েছে ফাতহুল বারি গ্রন্থে।”

❑ ঘটনা থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় দিক:
এ ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা হল:

◆ ১. পুরুষের জন্য নারী ফিতনা অনেক ভয়াবহ বিষয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মর্মে সতর্ক করে বলেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِي النَّاسِ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ

“আমি আমার পর লোকদের মাঝে পুরুষদের জন্য মেয়েদের চেয়েও ক্ষতিকর আর কোন ফিতনা রেখে যাইনি।” [বুখারি ও মুসলিম]

◆ ২. নারীর ফিতনায় পড়ে একজন আল্লাহ ওয়ালা, বুজুর্গ ও ধর্মপরায়ণ মানুষও ধ্বংসের গহীন খাদে নিপতিত হতে পারে। নবি ইসরাইলের মধ্যে সর্বপ্রথম ফিতনা ছিল নারী কেন্দ্রিক। অত:এব এ বিষয়ে সাবধানতা অপরিহার্য।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاء فإنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي إسرائيلَ كَانَتْ في النِّسَاءِ

“অতএব তোমরা দুনিয়ার ধোঁকা থেকে বাঁচ এবং নারীর (ফিতনা থেকে) বাঁচ। কারণ, বানি ইসরাইলের সর্বপ্রথম ফিতনা নারীকে কেন্দ্র করেই হয়েছিল।” [সহিহ মুসলিম]

◆ ৩. নারী-পুরুষ নির্জন কক্ষে অবস্থান করার পরিণতি খুবই ভয়াবহ। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ

"কোন পুরুষ পরনারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করবে না এবং মাহরাম (বিবাহ নিষিদ্ধ পুরুষ) সঙ্গী ব্যতিরেকে পর নারীর সাথে সফর করবে না।" [সহীহ বুখারী ও মুসলিম]
ইমাম নওয়াবি এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন,

وَأَمَّا إِذَا خَلَا الْأَجْنَبِيّ بِالْأَجْنَبِيَّةِ مِنْ غَيْر ثَالِث مَعَهُمَا، فَهُوَ حَرَام بِاتِّفَاقِ الْعُلَمَاء

"তৃতীয় ব্যক্তি ছাড়া পরপুরুষ পরনারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করা আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।"

◆ ৪. শয়তান মানুষকে ক্রমান্বয়ে ছোট থেকে বড় পাপের দিকে ধাবিত করে। এটা শয়তানের এক কুটকৌশল। আর তাই তো আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ

“হে ইমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।"
[সূরা নূর: ২১]

◆ ৫. ধর্মপরায়ণ ও সৎ মানুষও শয়তানের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। সে বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে। এমনকি চারিত্রিক স্খলন ঘটিয়ে তাকে অবশেষে ঈমান থেকেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে। এটি ছিল শয়তানের প্রথম চ্যালেঞ্জ মানব জাতির প্রতি।
আল্লাহ তাআলা বলেন,

قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
" সে (ইবলিশ) বলল, "(হে আল্লাহ) আপনার ক্ষমতা-সম্মানের কসম, অবশ্যই আমি তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। তবে তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ব্যতীত।" [সূরা সোয়াদ: ৮২-৮৩]

এজন্যই সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করা মুমিনের জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

“আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।” [সূরা ফুসসিলাত: ৩৬]

◆ ৬. "মদ অনিষ্টের চাবি।"-এ হাদিসের সত্যতা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ

“মদ পান পান কর না। নিশ্চয়ই তা সকল অনিষ্টর চাবি।” [সহিহ ইবনে মাজাহ হা/৩২৭৫]
মদপানের প্রভাবে মানুষ দুনিয়ার সব ধরণের অন্যায়-অপকর্ম করার সম্ভব। তাই ইসলামে মদপানকে শুধু হারাম বলেই এবং তাকে ফৌজদারী আইন অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এমন আরও বহু মূল্যবান শিক্ষা নিহীত রয়েছে উপরোক্ত ঘটনায়।

মোটকথা, বারসিসার ঘটনাটি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পূর্বযুগে ঘটে যাওয়া একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা। যা একটি ইসরাইলি বর্ণনা তথা ইহুদি-খৃষ্টানদের থেকে নেওয়া। কোনও হাদিসের কিতাবে এর বিবরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু তা শিক্ষণীয় হওয়ায় তা অনেক আলেম তা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। আর সত্যি এর মধ্যে আমাদের জন্য রয়েছে অনেক বড় শিক্ষা।
আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং সব ধরণের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে, বিশেষ করে নারী ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন। আল্লাহু আলাম।

- আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

আপনি বেঁচে আছেন, তাই আপনার স্থান সবচেয়ে উত্তম জায়গায়। চোখ বুজলেই আপনার মূল্য ঘরের আসবাব, দ্রব্যাদি অপেক্ষাও কম!আমাদের ভব...
06/10/2023

আপনি বেঁচে আছেন, তাই আপনার স্থান সবচেয়ে উত্তম জায়গায়।
চোখ বুজলেই আপনার মূল্য ঘরের আসবাব, দ্রব্যাদি অপেক্ষাও কম!

আমাদের ভবিষ্যৎ পরিণতি জেনে বুঝেও আমরা এ নশ্বর পৃথিবীর পিছনে অবিরত ছুটে চলি। ভালোভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করি।

"মরীচিকার পিছনে ছুটছি তৃষ্ণার্ত পানির আশায়
বালুর চরকে পানি ভেবে মত্ত হয়ে ছুটছি নেশায়।"

আপনার টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ তাছাড়া দলিলে লিখিত  অনেক শ...
06/10/2023

আপনার টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ তাছাড়া দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে, যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য আমার এই লেখাটিঃ-

১. মৌজা = গ্রাম।

২. জে.এল নং = মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।

৩. ফর্দ = দলিলের পাতা।

৪. খং = খতিয়ান।

৫. সাবেক = আগের/পূর্বের বুজায়

৬. হাল = বর্তমান।

৭. বং = বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম
লিখে।

৮. নিং = নিরক্ষর।

৯. গং = আরো অংশীদার আছে।

১০. সাং = সাকিন/গ্রাম।

১১. তঞ্চকতা = প্রতারণা।

১২. সনাক্তকারী = যিনি বিক্রেতাকে চিনে।

১৩. এজমালী = যৌথ।

১৪. মুসাবিদা = দলিল লেখক।

১৫. পর্চা = বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে
নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।

১৬. বাস্তু = বসত ভিটা।

১৭. বাটোয়ারা = বন্টন।

১৮. বায়া = বিক্রেতা।

১৯. মং = মবলগ/মোট

২০. মবলক = মোট।

২১. এওয়াজ = সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে
সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ
বলে।

২২. হিস্যা = অংশ।

২৩. একুনে = যোগফল।

২৪. জরিপ = পরিমাণ।

২৫. এজমালী = কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক
শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা
এজমালী জোত বলে।

২৬. চৌহদ্দি = সীমানা।

২৭. সিট = নকশার অংশ বা মৌজার অংশের
নকশাকে সিট বলে।

২৮. দাখিলা = খাজনার রশিদ।

২৯. নক্সা = ম্যাপ।

৩০. নল = জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।

৩১. নাল = চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।

৩২. পিং = পিতা।

৩৩. জং = স্বামী।

৩৪. দাগ নং = জমির নম্বর।

৩৫. এতদ্বার্থে = এতকিছুর পর।

৩৬. স্বজ্ঞানে = নিজের বুঝ মতে।

৩৭. সমূদয় = সব কিছু।

৩৮. ইয়াদিকৃত = পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে
শুরু করিলাম।

৩৯. পত্র মিদং = পত্রের মাধ্যমে।



৪০. বিং = বিস্তারিত।

৪১. দং = দখলকার।

৪২. পত্তন = সাময়িক বন্দোবস্ত।

৪৩. বদল সূত্র = এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।

৪৪. মৌকুফ = মাপ।

৪৫. দিশারী রেখা = দিকনির্দেশনা।

৪৬. হেবা বিল এওয়াজ = কোন জিনিসের পরিবর্তে
ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।

৪৭. বাটা দাগ = কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে
থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং
নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।

৪৮. অধুনা = বর্তমান।

৪৯. রোক = নগদ।

৫০. ভায়া = বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।

৫১. দান সূত্র = কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে
দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া
গন্য হয়।

৫২. দাখিল খারিজ = কোনো জোতের ভূমি ও জমা
হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে
প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে
তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।

৫৩. তফসিল = তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে
লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।

৫৪. খারিজ = যখন কোনো সরকার বা জমিদার
কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে
পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন
তাহাকে খারিজ বলে।
#ভূমিপরামর্শক পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
৫৫. খতিয়ান = প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক
ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়
তাহাকে খাতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি
নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম,
খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম,
তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক
দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা,
ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি)
দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ,
হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।

৫৬. জরিপ = সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই
সার্ভে করা হইয়া থাকে।

৫৭. এওয়াজ সূত্র = সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা
জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা
জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত
বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।

৫৮. অছিয়তনামা = যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে
তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর-
অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে
কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে
অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত
প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি
লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।

৫৯. তফসিল = বিক্রিত জমির তালিকা।

৬০. নামজারী = অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম
খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।

৬১. অধীনস্থ স্বত্ত্ব = উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী
স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে
অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।

৬২. আলামত = ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর,
মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি
বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।

৬৩. আমলনামা = কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে
কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া
ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে
আমনামা বলে।

৬৪. আসলি = মূল ভূমি।

৬৫. আধি = উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক,
অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ
বলে।

৬৬. ইজারা = ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের
জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা
নেওয়া।

৬৭. ইয়াদদন্ত = স্মারকলিপি।

৬৮. ইন্তেহার = ঘোষণাপত্র।

৬৯. এস্টেট = ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত
মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে
জমিদারী বা এস্টেট বলে।

৭০. ওয়াকফ = ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে
উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।

৭১. কিত্তা = চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে
এক একটি কিত্তা বা পট বলে।

৭২. কিস্তোয়ার জরিপ = গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো
কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার

৭৩. কিস্তি = নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার
অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।

৭৪. কায়েম স্বত্ত্ব = চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া
ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।

৭৫. কবুলিয়ত = মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি
করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত
বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর
রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।

৭৬. কটকোবালা = সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে
জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয়
তাহাকে কটকোবালা বল।

৭৭. কান্দা = উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও
কান্দা বলে।

৭৮. কিসমত = মৌজার অংশকে কিসমত বলে।

৭৯. কোলা ভূমি = বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে
কোলা ভূমি বলে।

৮০. কোল = নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান
স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে
তাহাকে কোল বলে।

৮১. খানাপুরী = প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব
রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম
বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।

৮২. খামার = ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার,
খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।

৮৩. খাইখন্দক = ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের
অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।

৮৪. খিরাজ = কর, খাজনা।

৮৫. খানে খোদা = মসজিদ।

৮৬. খসড়া = জমির মোটামুটি বর্ণনা।

৮৭. গর বন্দোবস্তি = যে জমির কোনো বন্দোবস্ত
দেওয়া হয় নাই।

৮৮. গরলায়েক পতিত = খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়,
জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত
বলে।

৮৯. গির্বি = বন্ধক।

৯০. চক = থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক
বলে।

৯১. জমা বন্দী = খাজনার তালিকা।

৯২. চাকরাণ = জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ
করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি
দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।

৯৩. চাঁদা = জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা
বলে।

৯৪. চটান = বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে
চটান বলে।

৯৫. চালা = উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)

৯৬. চর = পলিমাটি গঠিত ভূমি।

৯৭. জবর-দখল = জোরপূর্বক দখল।

৯৮. জমা = এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে
খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।

৯৯. জোত = এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।

১০০. জজিরা = নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয়
তাহাকে জজিরা বলে।

১০১. জায়সুদী = হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং
কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট
বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়,
যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে
ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল
করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।

১০২. জালি = এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে
জন্মে।

১০৩. টেক = নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি
উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।

১০৪. টাভার্স = ঘের জরিপ।

১০৫. ঠিকা রায়ত = নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে
দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে
রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।

১০৬. ঢোল সহরত = কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা
দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া
জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।

১০৭. তামিল = আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন
করা।

১০৮. তামাদি = খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময়
অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।

১০৯. তুদাবন্দী = সীমানা নির্দেশ।

১১০. তহশিল = খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট
এলাকাকে তহশিল বলে।

১১১. তলবানা = সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত
ফিস।

১১২. তলববাকী = বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।

১১৩. তালুক = নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।

১১৪. তরমিম = শুদ্ধকরণ।

১১৫. তরতিব = শৃংখলা।

১১৬. তৌজি = ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয়
ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে
তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক
নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার
জোতকেও তৌজি বলা হয়।

১১৭. দিয়ারা = পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১১৮. দর পত্তনী = পত্তনীর অধীন।

১১৯. দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা = দখলদার হিসেবে যে
প্রজার স্বত্ত্ব আছে।

১২০. দশসালা বন্দোবস্ত = দশ বৎসরের মেয়াদে
বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।

১২১. দিয়ারা = পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১২২. দাগ নম্বর = মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে
সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর
বলে।

১২৩. দরবস্ত = সমুদয়।

১২৪. নথি = রেকর্ড।

১২৫. দেবোত্তর = দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।

১২৬. দেবিচর = যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের
পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।

১২৭. দিঘলি = নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী
একপ্রকার প্রজা।

১২৮. নক্সা ভাওড়ন = পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের
সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায়
না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে
ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক
লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে
যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন
জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার
নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।

১২৯. নামজারী = ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক
নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে
প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী
বলে।

১৩০. নাম খারিজ বা জমা খারিজ = ১৬ আনা
জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত
ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬
আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ
করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম
খারিজ বা জাম খারিজ বলে।

𝑰 𝒂𝒎 𝒊𝒏 𝒍𝒐𝒗𝒆 𝒘𝒊𝒕𝒉 𝒕𝒉𝒊𝒔 𝒈𝒓𝒆𝒆𝒏 𝑬𝒂𝒓𝒕𝒉. 📌️ Oita, Japan.
06/10/2023

𝑰 𝒂𝒎 𝒊𝒏 𝒍𝒐𝒗𝒆 𝒘𝒊𝒕𝒉 𝒕𝒉𝒊𝒔 𝒈𝒓𝒆𝒆𝒏 𝑬𝒂𝒓𝒕𝒉.

📌️ Oita, Japan.

দুইটা নোটের অনেক পার্থক্য।বাম পাশের টা দিয়ে ১ টা পরিবারের ১ সপ্তাহের খরচ চলে যেত।ডান পাশের টা দিয়ে সেই সাইজের পরিবার ১ দ...
06/10/2023

দুইটা নোটের অনেক পার্থক্য।
বাম পাশের টা দিয়ে ১ টা পরিবারের ১ সপ্তাহের খরচ চলে যেত।
ডান পাশের টা দিয়ে সেই সাইজের পরিবার ১ দিন পার করা কঠিন।

02/10/2023

যারা শাকসবজি পছন্দ করে 😁
অনলি সবজি লাভারদের জন্য 😁🤮🤘

02/10/2023

লাইফে পরিস্থিতি যাই হোক প্রচুর হাসতে হবে 😁🤘

24/09/2023

🤮🤮🇨🇮🇨🇮

19/09/2023

কে এই আয়মান সাদিক,মসজিদে বিয়ে করেছে বলে এত প্রশংসা করার কিছু নাই। তার ইতিহাস কি আপনার জানেন?
চলুন শায়েখ তামিম আল আদনানী (হাফি) এর মুখ থেকে তার সম্পর্কে জেনে আসি।

19/09/2023

সবাই ভাবছে ভালোই আছি
ভালো থাকার মন্ত্রে।
আসলে আমি নেই আমাতে,
ভালো থাকার ষড়যন্ত্রে।

19/09/2023

জোরারগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জন খু-ন🥲

17/09/2023

আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া উচিত।
এই সমস্ত ঘটনা যেন আমাদের সমাজে না ঘটে।

13/09/2023

ভাইরাল সুমাইয়ার বাবাকে বাসের ভিতর গণ'ধো'লা'ই

09/09/2023

আমার এ মন চায় সুধু তোমাকে

06/09/2023

জীবনে তুমি ছাড়া আর কিছু চাই না ♥

Indirizzo

Milan

Telefono

+8801739069360

Sito Web

Notifiche

Lasciando la tua email puoi essere il primo a sapere quando আমি প্রবাসী pubblica notizie e promozioni. Il tuo indirizzo email non verrà utilizzato per nessun altro scopo e potrai annullare l'iscrizione in qualsiasi momento.

Video

Condividi