Priya Vlogs

Priya Vlogs যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায়, সেই প্রকৃত রূপবতী
— হুমায়ূন আহমেদ
❤️🧿🧿🧿❤️

ছেলের বউ অন্তরাকে পেপের ঝোল আর কাঁচাকলা সেদ্ধ করতে দেখে শিউলি বেগম জিজ্ঞেস করলেন, -বউমা এমন রোগীর খাবার কার জন্য রাধতেছো...
09/12/2024

ছেলের বউ অন্তরাকে পেপের ঝোল আর কাঁচাকলা সেদ্ধ করতে দেখে শিউলি বেগম জিজ্ঞেস করলেন,

-বউমা এমন রোগীর খাবার কার জন্য রাধতেছো? ।
- আপনার ছেলের জন্য মা, আজকাল পেট বড্ড খারাপ থাকে ওর তাই এসব খাওয়াচ্ছি।

বউমা তোমাদের বিয়ের আগে আতিক যখন আমার হাতের রান্না খেতো তখন ওর পেট এতো খারাপ হয়নি, এখন কেনো যে হচ্ছে বুঝতেছি না।

শাশুড়ির ঠান্ডা মাথায় দেওয়া খোচাটা অন্তরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। খোচার পাল্টা জবাবে সে হাসি মুখে বললো,

- আসলে মা বিয়ের আগে ওর ভালোমন্দ খাওয়ার অভ্যাস তেমন ছিলো না তো তাই এখন একটু ভালো কিছু খেলেই পেট খারাপ করে।

বউয়ের পাল্টা জবাব শুনে শিউলি বেগম কিছু না বলে মুখ গোমড়া করে নিজের ঘরে চলে গেলেন।

সন্ধ্যা সময় বাসায় ঢুকতেই বাড়ির কাজের লোক টুকু মিয়া দুপুরে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আতিককে জানালো।
টুকু মিয়া খবর সরবরাহ করতে ভালোবাসে, তার একমাত্র শখ ব্রেকিং নিউজ দেওয়া। এইসব নিউজ সবসময় পুরোপুরি সত্য হয় না, এর ভিতর টুকু মিয়ার নিজস্ব কিছু সৃজনশীল উপাদান থাকে। যা খবরটাকে আরো চটকদার বানায়।

আতিকের মা আর বউয়ের ভালো একটা দিক তারা নিজেরা সরাসরি কখনো ঝগরা চুলাচুলি টাইপ কিছু করে না। কিন্তু উভয়ে সেটার ঝাল আতিকের উপরে ঝারে।

খুব থমথমে চেহারা নিয়ে আতিক অন্তরার ঘরে ঢুকলো, রাগে তার চোখ লাল হয়ে আছে। আতিক গম্ভীর গলায় অন্তরাকে বললো, " অন্তরা, ব্যাগপত্র সব গুছায়ে নেও,এতো অপমান সহ্য করে এই বাড়িতে আর এক মূর্হুত থাকবো না আমরা "

আতিকের এমন কথার জন্য অন্তরা তৈরি ছিলো না, সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলো

- বাড়ি ছেড়ে যাবে মানে, কই যাবে?

- বস্তিতে ঘর নিয়ে থাকবো, তাও না হলে গাছতলায় থাকবো তবু তোমাকে এই বাড়িতে রেখে আর অপমানিত হতে দিবো না।

বর এভাবে তার সার্পোট দেওয়াতে অন্তরা খুশি হলেও ব্যাপটারটা বিরাট টেনশনের হয়ে দাড়ালো।
এতো বড় আলিসান বাড়ির দাবি ছেড়ে চলে গেলে পুরো বাড়িটা অন্তরার ননদ পেয়ে যাবে, এ ছাড়াও শাশুড়ির গহনার একটা ভাগ তার পাওয়ার কথা সেটাও যাবে৷
সামান্য ঝগড়ার কারনে এতো বড় লোকসান করা মোটেও উচিত হবে না।
কিন্তু এদিকে আতিক তার মায়ের সাথে বোঝাপড়া করতে গেছে।

আতিক চোখমুখ কালো করে শিউলি বেগমের রুমে ঢুকলো।

- আম্মা এই অপমানজনক কথাবার্তা আর সহ্য করা যায় না, এই কোন মেয়েরে আপনি আমার জন্য পছন্দ করলেন বলেন তো?

শিউলি বেগম ছেলেকে তার সাপোর্টে পেয়ে মনে মনে ব্যাপক খুশি, কিন্তু সেটা তিনি প্রকাশ করলেন না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,

- ঐখানেই তো ভুল করেছিরে বাবা, এখন তো সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই।

আতিক গলা নিচু করে মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললো,

-উপায় আছে আম্মা। ধরেন আপনি আর আমি মিলে মাঝরাতে অন্তরারে খালাস করে দিলাম, তারপর ওর বডি আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নদীতে ভাসায় দিলাম বা কুয়ায় ফেলায় দিলাম। পরে আমরাই পুলিশের কাছে মিসিং ডাইরি করবো, সাংবাদিক ডেকে কান্নাকাটি করবো। কিছুদিন খোজাখুজি চলবে তারপর ধীরে ধীরে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।

- আসতাগফিরুল্লাহ, এসব কি বলিস বাবা? বাড়ির বউরে খুন করাবি আমারে দিয়ে? এই বয়সে ফাঁসিতে ঝুলায়ে মারবি নাকি আমাকে?

- আম্মা আপনি ভয় পাচ্ছেন কেনো? ধরা পরলে আপনারে তো পুলিশ খুনি বলে ধরবে না, ধরলে আমারে ধরবে কিন্তু আমি তো অবস্থা খারাপ দেখলে ব্যাংকক পালায় যাবো । আপনাকে খুব বেশি হইলে খুনে সহয়তার জন্য ধরতে পারে। ঐটার সাজাও চার পাঁচ বছর অনলি। এরপর সব ঠান্ডা হইলে আমি দেশে এসে আরেকটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করবো, ইনশাআল্লাহ আপনি জেল থেকে বের হয়ে দুইটা নাতি-নাতনি রেডি অবস্থায় পেয়ে যাবেন।

ছেলের কথা শোনার পর থেকে শিউলি বেগমের হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়েছে, বউয়ের সাথে শুরু করা কোল্ড ওয়ার এখন ওর্য়াল্ড ওয়ারের রুপ নিতে চলেছে। যা মোটেও ভালো হচ্ছে না, শিউলি বেগম যেভাবেই হোক এটা থামানোর চিন্তা করলেন।

কিছুক্ষন পর রাতে খাবার টেবিলে সবাই খেতে বসেছে, শিউলি বেগম ও অন্তরা দুইজনে টেবিলে খাবার পরিবেশনে ব্যাস্ত।
খাবার টেবিলে আতিকের আজ বিশেষ খাতিরদারি হচ্ছে, তার মা তাকে বড় একটা মাছ ভেজে দিয়েছেন । অন্তরা তার জন্য তড়িঘড়ি করে চিকেনকারি তৈরি করছে।
শিউলি বেগম ও অন্তরা নিজেদের মধ্যে হাসি মুখে কথা বলতেছে, পরিবেশ স্বাভাবিক করতে তারা দুইজনেই খুবই তৎপর। কারন তারা দুইজনেই জানেন আতিকের আজ মাথার ঠিক নেই সে খুবই ক্ষিপ্ত, যে কোনো মূহুর্তে ভয়াবহ কিছু একটা ঘটতে পারে। 🙄🥴

⚠️ছবিটি ও লেখা সংগৃহিত⚠️

'২বছরের কন‍্যা সন্তানকে রেখে যখন অবন্তি আমাকে ডিভোর্স দিলো সেই মুহূর্তে আমার শালী পূর্ণিমা সবার সামনে বলে উঠলো 'দুলাভাই ...
09/12/2024

'২বছরের কন‍্যা সন্তানকে রেখে যখন অবন্তি আমাকে ডিভোর্স দিলো সেই মুহূর্তে আমার শালী পূর্ণিমা সবার সামনে বলে উঠলো 'দুলাভাই আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই যদি আপনার আপত্তি না থাকে।

'বেশ কিছুক্ষন নিশ্চুপ থাকার পর বললাম।
আমার কোন আপত্তি নেই।তবে আমার সন্তানটিকে ভালোবাসতে হবে যত্ন নিত হবে?

'হ‍্যাঁ এই জন‍্যেই আমি বিয়েটা করতে চাচ্ছি।
এছাড়া আমার জানামতে আপনি ভালো একজন মানুষ

'ভালো মানুষ হলে কি আর তোমার বোন ডিভোর্স দিত
আমি খারাপ মানুষ বলেই ডিভোর্স দিলো।

'দয়া করে ওর কথা আমার সামনে বলবেন না।
যেই মেয়ে স্বামী সন্তান রেখে অন‍্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করে আর যাই হোক সে কখনো ভালো হতে পারেনা।

'হয়তো তোমার কথা ঠিক।
কিন্তু তোমার বাবা মা এই সম্পর্কে রাজি হবে কী।

'ওনাদের অনুমতি নিয়েই এসেছি।

'ওহ আচ্ছা।
পরবর্তীতে আবার তুমিও তোমার,
বোনের মতোন হবে না তো!

'কখনোই না।
চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন।

'হ‍্যাঁ বিশ্বাস করলাম।

'তাহলে এখন আমাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ করুন।
আমি এক মুহূর্তের জন‍্যে দেরি করতে চাই না।

'এতো তাড়া কেনো তোমার।
যদি একটু বলতে।

'এমন ভালো এবং ভদ্র ছেলেকে আমি হাতছাড়া
করতে চাইনা?

'ওহ।

{এরপর পূর্ণিমাকে আমি সেই কাজী অফিসেই
বিয়েটা করি}

'আজ বিয়ের ৫টি বছর হয়ে গেলো পূর্ণিমা নিজের হাতে সংসারটী সুন্দর করে সাজিয়েছে।
জানেন আমাদের ঘরে বতর্মান দুইটি সন্তান একটি মেয়ে একটি ছেলে কেউ বুজতেই পারেনা এরা দুটি মায়ের দুটি সন্তান।
আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুখেই দিন গুলি যাচ্ছিলো।

'হঠাৎ একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি অবন্তি আমাদের বাড়িতে উপস্থিত।

'সবার সামনে অবন্তিকে জিঙ্গেস করলাম।
কী ব‍্যপার আপনি এখানে।

'কেনো আসতে পারিনা।

'জ্বী-না আপনি আসতে পারেন না।
আপনার সঙ্গে আমাকে কোন সম্পর্ক নেই।
দয়া করে আপনি চলে যান।

'আসলে একটি কারনে এসেছিলাম।
যদি একটু সাহায্য করতে।

'বুলন।

'আমার স্বামীকে পুলিশ ধরেছে।
বতর্মান রংপুর থানায় রয়েছে।

'তো।

'ওকে বের করতে প্রায় ৫০হাজার টাকা লাগবে।
যদি সাহায্য করতে খুব উপকার হতো।

'বেশ কিছুক্ষন নিশ্চুপ থাকার পর পূর্ণিমাকে বললাম।
পূর্ণিমা আলমারি থেকে এক লক্ষ টাকা বের করে দাও।

'না আমি টাকা দিবোনা।
আমার স্বামীর টাকা আমি কোন খারাপ মহিলাকে
দিতে পারবো না।

'পূর্ণিমা দাও।
কোন ব‍্যক্তি হাত পাতলে তাকে দিতে হয়।
যদি আমাদের সামর্থ থাকে।

'পূর্ণিমা আর কিচ্ছু না বলে আলমারি থেকে এক লক্ষ টাকা অবন্তির হাতে তুলে দেয়।

'শোন অবন্তি আর কখনো আমাদের বাসায় আসবে না।
আমি চাইনা তুমি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখো।
আমরা অনেক সুখে আছি।

'হ‍্যাঁ আসবো না।
আচ্ছা আমার মেয়েটিকে একটু দেখতে পারি।

'সে ঘুমিয়েছে।
তুমি এখন আসতে পারো।

'এরপর অবন্তি নিশ্চুপ হয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
মুহূর্তেই পূর্ণিমা বলে।

'ওই তুমি ওরে টাকা দিলে কেনো।
আমাদের সংসারের কাজে আমরা লাগাইতাম।

'পাগলি জীবনে অনেক টাকা উপার্যন করবো।
তুমি চিন্তা করিওনা।
আমাদের কিছ সহাতায় যদি কেউ খুশি হয়
তাহলে আল্লাহ্ ও খুশি হবে বুজলা।

'হ‍্যাঁ মি. হাসিব বুজেছি।
সত‍্যিই আমার স্বামীর মন মানুষিকত অনেক ভালো।
আল্লাহ্ আমার স্বামীকে অনেক দিন বাচিয়ে রাখুক।

'পাগলিটা বউটা আমার।

'হ‍্যাঁ তোমারি।

'সত‍্যিই নিয়তি বরই অদ্ভুত।
কখন কাকে কোথায় নিয়ে যাবে বলা যায়না।

যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে, সেদিনও কেউ না কেউ চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।লাইফে কিছ...
09/12/2024

যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে, সেদিনও কেউ না কেউ চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।

লাইফে কিছু একটা করতে না পারার কারণে যেদিন আপনাকে ছেড়ে কেউ একজন চলে গেছে, সেদিনও কোনো এক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কয়েকটা মেয়ের বিয়ের বায়োডাটা এসেছে।
হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে সিরিয়াসলি এবার লাইফটাকে নিয়ে ভাবুন। আজীবন সময় দিয়েছেন নিম গাছের নিচে। আর এখন বলেন জীবন এত তিতা কেন?

দোষটা কার ছিল? যার কিছু নেই, তার কেউ নেই। ভাঙা সিন্দুকে কেউ টাকা রাখেনা, নষ্ট ঘড়ির কেউ যত্ন নেয়না। এই সিম্পল হিসেবটা কেন বুঝেননা?

আপনি যখন রাত জেগে দুনিয়ার হতাশা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমেন্টে সিমপ্যাথি আদায় করছেন, তখন হয়তো অপরপ্রান্তে কেউ রাত জেগে আউটসোর্সিং করছে। আপনি কমেন্টে প্রচুর সিমপ্যাথি পাবেন, আর সে পাবে একাউন্টে টাকা। হিসেবটা খুব সিম্পল- যে যেটার জন্য কাজ করেছে সে সেটাই পেয়েছে।

আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফে বাবার টাকায় বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিতেন, তখন আপনার কোনো এক বন্ধু ক্লাস এসাইনমেন্ট আর নোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কয়েকটা বছর শেষে ফলাফল - সে এখন বড় কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হয়ে যখন দামি রেস্টুরেন্টে অফিশিয়াল মিটিং করে, আর আপনি দুর্বল সিজিপিএ'র সার্টিফিকেট নিয়ে টঙের দোকানে চা খেতে খেতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। এতটুকু পার্থক্যতো হওয়ারই কথা!

যে বয়সে লাইফটাকে আপনার জয় করার কথা,আপনি সে বয়সে করেছেন এনজয়। তাই যখন এনজয় করার সময় তখন বেকারত্ব জয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন; এনজয় তো অনেক দূরের বিষয়।

আপনার বন্ধু যখন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক অফিসার হয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনি তখন টিকে থাকার জন্য সামান্য একটা চাকরিই খুঁজছেন। কারণ আপনি যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ডেটিং করতেন, আপনার এই বন্ধুটিই তখন ক্লাসে বসে নোট করত। আজ আপনার ডেটিং পার্টনার গুলো একটাও নেই। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত কারো লাইফ পার্টনার।

দিন শেষে হতাশ হয়ে বলেন -'শালার, ভাগ্যটাই খারাপ'! No dear, You are totally wrong. আপনার ভাগ্য আজ আপনাকে এখানে আনেনি, নিয়তি আপনার ভাগ্যকে এতো নিচে নিয়ে এনেছে । বাড়ির পাশে ময়লা ফেলে তা থেকে কিভাবে ফুলের সুবাস আশা করেন? কাজ যা করেছেন রেজাল্টও তাই।
সুতরাং সময় থাকতেই যেন আমরা সময়ের মূল্য বুঝি। কারণ প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

আমি সুন্দরী নই,সাদামাটা সাধারণ এতটাই যে,কারোও গল্পে নায়িকা হওয়া যায় না। আমি ভালো নই,বরং হাসলে আমাকে খারাপই লাগে।আমি সুবক...
07/12/2024

আমি সুন্দরী নই,
সাদামাটা সাধারণ এতটাই যে,
কারোও গল্পে নায়িকা হওয়া যায় না।

আমি ভালো নই,
বরং হাসলে আমাকে খারাপই লাগে।
আমি সুবক্তা নই,
মেপে কথা, পরিমিত আলাপ আমার দ্বারা হয় না।
উল্টে প্রাণ খুলে কথা বলতেই ভালোবাসি,
সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেই শান্তি লাগে মনে।
বিদ্যেবতী বা বুদ্ধিমতী কোনোটাই আমার বিশেষণ নয়,
অতি সাধারণ নগণ্য একটা মেয়ে, এতটাই যে,
কারও কবিতায় কল্পিত নারী হওয়া যায় না।

আমি ভীষণ একগুঁয়ে, জেদি, নাছোড়বান্দা ধরণের।
বারণ শুনি কিন্তু অকারণে বারণ মানি না।
অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে পারি না কোনোদিন।
কথায় কথায় চোখে জল আসে ঠিকই কিন্তু সেটা অস্ত্র নয় বরং আড়াল করি।
আমি ভীষণ রকম ভঙ্গুর কিন্তু টের পেতে দিই না,
পাছে আঘাতকারীর অনুকম্পা হয়।
আমি আদতে অচল আজকের দুনিয়ায়,
সবাই যখন ভীষণ ভাবে আধুনিক আমি তখন
পুরোনো দিনে বাঁচি।
প্রাগৈতিহাসিক বলে ঠাট্টা করে অনেকে আড়ালে জানি,
তবু বদলাতে ইচ্ছে করে না।

আধুনিকতার বিরোধী নই তবে বিশ্বাস করি,
আধুনিকতা পোশাকে নয় মনে হয়।
আমি ভগবান বিশ্বাসী কিন্তু কুসংস্কারে নয়।
আমি মনে করি কাউকে দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার হলো সময় যা ক্রয় করা যায় না।
আমি প্রার্থনায় বিশ্বাসী কিন্তু ভণ্ডামিতে নয়।
লোক দেখানো লৌকিকতা আমার আসে না,
যেটুকু মন থেকে আসে সেটুকুই করি।
আমি বদমেজাজি, কঠোর এটা জেনেও পাল্টাতে পারি না নিজেকে।
নিজের অসহয়তা যতটা না পীড়া দেয় তার চেয়েও বেশি পীড়িত হই, প্রিয়জনের অসহায় অবস্থায়।
আমি এরকমই, হয়তো তাই আজ পর্যন্ত কারও প্ৰিয় হয়ে উঠতে পারি নি।
゚viralシhighlight ゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

মনখারাপের আবার কোনো নাম হয় নাকি? তারা তো চুপিচুপি এসে নিঃশব্দে মনের কোণ থেকে শুরু করে পুরো মন টাকেই অদ্ভুত ভাবে গ্ৰাস ক...
06/12/2024

মনখারাপের আবার কোনো নাম হয় নাকি? তারা তো চুপিচুপি এসে নিঃশব্দে মনের কোণ থেকে শুরু করে পুরো মন টাকেই অদ্ভুত ভাবে গ্ৰাস করে ফেলে। তার জন্য আলাদা করে কোনো সময়ের প্রয়োজন হয় না। আবার কিছু কিছু মনখারাপ তো এমনও হয় যেখানে কোনো ব্যাথা থাকে না। অথচ অদ্ভুত ভাবে দম বন্ধ হয়ে আসে। মাথা ভর্তি অতিরিক্ত চিন্তা ভর করে বলে "তোর দ্বারা কিছু হবে না,তুই কোনোদিন ভালো থাকতে পারবি না।"

আমরা প্রতি মূহুর্তেই এভাবে লড়াই করে চলেছি, মনের মধ্যে চলতে থাকা এই নাম না জানা মনখারাপের সাথে। ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে যখন ক্লান্ত সূর্য মামা তার শেষ বিষন্ন আলোটুকু দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে যায় সময় শেষে সে আবারো ফিরবে ঠিক তেমনি প্রতিটা মনখারাপ ও যাওয়ার শেষে অদ্ভুত ভাবে বলে যায় এখানেই শেষ নয় আমি আবারও ফিরবো।

আচ্ছা এইসব মনখারাপের কথা শোনার মতো যদি লোক থাকতো তাহলে তাদেরকে সেই কথা বলে কি সত্যি শান্তি পাওয়া যেত! নাকি তারাও সবটা শুনে শান্তনা দিয়ে বলতো এর নামই জীবন, দুঃখ তো থাকবেই। সত্যি কি মানুষ অপরের কষ্ট অনুভব করতে পারে? নাকি কেবল নিজের কষ্ট কেই বড়ো করে দেখে ।

আমি বহু মানুষের সাথে মিশে দেখেছি তারা কেবল নিজের কষ্ট বলতেই ব্যাস্ত।কখনো সময় পেলে তাদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে তোমরা কি কেবল নিজেদের কষ্ট শোনাতেই ব্যাস্ত? কখনো কি ইচ্ছে করে না যাদের কাছে নিজের কষ্ট বলো তাদের টাও শোনো...

মানুষ বরাবরই নিজের টা শোনাতে তৈরি, কখনো কি শেষবেলায় এসে কেউ জিজ্ঞেস করবে না কি হয়েছে?

এই জন সমাগমের ভিড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায় এই শিশু সুলভ মন। তারপর ধীরে ধীরে কষ্ট সহ্য করতে করতে যখন পাথর হয়ে যায় তখন গিয়ে মানুষের বিদ্রুপ শুনতে হয় তোর শরীরে কি মায়া বলে কিছুই নেই। সত্যি এই সমাজ বড়োই অদ্ভুত!

কিন্তু আমরা সবাই এভাবেই একা থাকতে শিখে যায়। ভিড় ছেড়ে ফাঁকা মাঠে বা নিজের ঘরে থাকতেই পছন্দ করি। মনখারাপের দিনে কষ্ট পেয়ে কান্না না করে বিষন্ন বিকেলে বৃষ্টি চেয়ে বসি। তারপর জানালার বাইরে বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বাইরে হওয়া বৃষ্টিকে দেখে বলি

" একদিন এই বৃষ্টির ফোঁটার মতোই আমার চোখ থেকে জল পড়তো , সময়ের দাপটে আজ তা এক মিথ্যা হাসিতে পরিনত হয়েছে আর বলতে শিখেছে আমি ভালো আছি"।
✍️



 #নারীর প্রেমে জগৎ সংসার গড়ছে বিধাতা!নারীকে যারা চিবিয়ে খেতে চায়শুনে রাখ হে সমাজ,-------হে নরাধম     কোথা- থেকে সে----...
06/12/2024

#নারীর প্রেমে জগৎ সংসার গড়ছে বিধাতা!

নারীকে যারা চিবিয়ে খেতে চায়
শুনে রাখ হে সমাজ,-------হে নরাধম
কোথা- থেকে সে-------- জন্মায়!!

আর যদি কোন নারী, না দেয় জন্ম
থাকিবে কি?------- এ ধারায়
কোন জাতি, কোন্ ধর্ম!!

আর কর না অবহেলা, কর না শাসন
বন্ধু হও_____ আর গড়ে নেও সুখের স্বর্গ
অবলীলায় চালাও, তোমার রাজ-সিংহাসন!!

তাইতো বলি মাতৃ জ্ঞানে ভজ নারী
ভব নদী দিবে পাড়ি!!

___📝 সংগৃহীত।

চার বছর পরে দেশে ফিরে বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাকটা শুনে মেজাজ টা খা*রা*প হয়ে গেল। তবুও নিজেকে সংযত করে বললাম:হৃদয়: আমি তোম...
05/12/2024

চার বছর পরে দেশে ফিরে বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাকটা শুনে মেজাজ টা খা*রা*প হয়ে গেল। তবুও নিজেকে সংযত করে বললাম:

হৃদয়: আমি তোমার ভাই হবো কেন? কে বলেছে আমি তোমার ভাইয়া।

নীলিমা: আপনার আম্মু আব্বু তো আমাকে তাদের কে আম্মু আব্বু বলে ডাকতে বলেছে। তাহলেতো আপনি ভাইইয়াই হন।😃

হৃদয়: আরে আমি তোমার ভাইয়া হতে যাবো কোন দুঃখে। আমি তোমার স্বামী, বর বর।😠

নীলিমা: ওকে এখন থেকে বর বলে ডাকবো?😌

হৃদয়: নাম ধরে ডাকবে নাম নাম নাম! আমার নামটা জানো তো?🙄

নীলিমা: হ্যাঁ জানি তো।😀

হৃদয়: কি বলতো?🙂

নীলিমা: হা*রাম*জাদা।😇

হৃদয়: কি কে বলেছে এটা?😠

নীলিমা: আপনার আম্মু!🤐

কথাটা শুনে আমি আম্মু বলে চিৎ"কার করে উঠলাম। আম্মু ছুটে এসে বলল:

আম্মু:কি হয়েছে?😳

হৃদয়: আমার নাম হা*রামজাদা😠

আম্মু: এমা তা হবে কেন।😐

হৃদয়: তুমি নাকি নীলিমাকে বলছো🙄

নীলিমা :সেদিন তুমি বললে না ওই হা*রামজাদা টার জন্য নাকি তোমার শান্তি নেই।😀

আম্মু :আরে ওটা তো আমি এমনি বলছি ওর নাম হৃদয়।😅

হৃদয়: হৃদয় বলে ডাকবে আমাকে ওকে?😑

নীলিমা:আচ্ছা🙃

আমি আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়লাম আমার সেই চিরচেনা শহর টা ঘুরতে।

সারা বিকাল ঘোরাঘুরি করলাম। বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করলাম অনেকদিন পর তাদের সাথে দেখা। একেকটা তো হাতির মত মোটা হয়ে গেছে। 😁

তাদের সাথে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।

রাতে ডিনার শেষ করে রুমের দরজায় এসে দেখি নীলিমা খাটের মাঝখানে বসে আছে।

আমাকে রুমে ঢুকতে দেখে।

নীলিমা: কি করছেন? একটা মেয়ের রুমে ছেলেমানুষ হয়ে এত রাতে ঢুকছেন।বেরিয়ে যান এক্ষুনি।😠

হৃদয়: কিহ!😳

নীলিমা: আপনার একটা মেয়ের রুমে ঢুকতে ল*জ্জা করে না।😠

হৃদয়: আজব, আমিতো তোর বর।🙁

নীলিমা: তো, তাই বলে আপনি আমার রুমে আসবেন?🙄

হৃদয়: তো কোথায় যাব।🙂

নীলিমা: সেটা আমি কি করে বলব। 😐আম্মু......

আমি দৌড়ে গিয়ে নীলিমার মুখটা চেপে ধরলাম।

হৃদয়:এই আম্মুকে ডাকতেছিস কেন?😱

নীলিমা: আমি আম্মুকে বলে দেব তুমি আমার রুমে আসছো! তুমি ভালো না ব*দমাইশ খা*রাপ ছেলে কোথাকার লু*চ্চা লাল টিকটিকি তে"লাপোকা বান্দর হনু*মান।😞

হৃদয়: আরে বোন আমি আসলে সমস্যা কোথায়? 😭

নীলিমা: আম্মু বলেছে কোন ছেলের সাথে কথাও না বলতে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে। সবার থেকে দূরে দূরে থাকতে। আর তুমি ডাইরেক্ট আমার রুমে চলে আসছো।😠

এতক্ষণে ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম। মনে হয় স্মৃতিশক্তি ন"ষ্ট হওয়ার কারণে ভুলে গেছে স্বামী স্ত্রী কাকে বলে।😶

কি প্যারা এখন কি আমি বউয়ের সাথে থাকতেও পারবো না। 😭😭

হঠাৎ একটা আইডিয়া মাথায় আসলো।

হৃদয়: আচ্ছা আমার আব্বু আম্মু স্বামী-স্ত্রী তাই না?😪

নীলিমা: তো 🙄

হৃদয়: তারা তো একসাথে থাকে।😇

নীলিমা: হুমম।🤐

হৃদয়: এখন কি বুঝতে পারছিস। স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে হয়।🙂

নীলিমা: ও আচ্ছা।🙄

যাক বুঝতে শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছে। আমিতো ভাবলাম আজকে আমাকে ঘরের বাইরে রাখবে। একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকলাম।😃

আমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে খাটে শুয়ে পরলাম। মনে মনে ভাবতেছি খাটে শোয়া নিয়ে আবার কি কাহিনী হয়।🙁

কিন্তু দেখলাম কিছু না বলে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ল।😃

যাক মনে হয় সবকিছু স্বাভাবিক করতে তেমন ক*ষ্ট হবে না।😌

আমি একটু নীলিমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমার হাত নীলিমার হাতের সাথে একটু স্পর্শ লাগতেই নীলিমা সজোরে এক ধাক্কা মে*রে খাট থেকে দিল ফেলে।💔

এবার মনে হয় মাজা টা ভা*ঙলো গো....।😭

আমি খাট থেকে ঊঠে দেখি নীলিমা খাটের মাঝখানে বসে আছে। মনে হচ্ছে আছার মা*রি 😠

হৃদয়: ঐ আমায় ধাক্কা মে*রে ফেলে দিলি কেন?😠

নীলিমা: তুমি আমার হাতে হাত দিলে কেন 🙄 তুমি একটা লু*চু ছেলে। যাও সোফায় যাও।🤐

হৃদয়: আরে আমি কি ইচ্ছা করে হাত দিয়েছি? আর তুমি তো আমার বউ। তোমার গাঁ*য়ে হাত দিব না কার গাঁ*য়ে দিবো?☹️

নীলিমা: কি হাত দিয়েছ আবার বলছো কার গায়ে হাত দিব?😤

হৃদয়: আরে বউয়ের গায়ে হাত দিলে কি এমন হবে? আল্লাহ বাঁচাও আমায় 😭

নীলিমা: বউ বলে কি তার গায়ে হাত দেওয়া লাগবে নাকি? 🙄

হৃদয়: তো মানুষ কি বউকে বিয়ে করে নে বাক্সের ভেতর তুলে রাখে 🙄

নীলিমা: তুমি এর আগে কয়টা বিয়ে করছো? এর আগে বিয়ে না করলে তো জানার কথা নয় বর বউয়ের গা*য়ে হাত দিতে পারে।

হৃদয়: কয়টা মানে 🙄। তুমিই প্রথম।

নীলিমা: তারমানে আরো বিয়ে করার ইচ্ছা আছে?🤬

হৃদয়: কখন বললাম সে কথা?😐

নীলিমা: ওই যে বললে তুমি প্রথম। তারমানে দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম আরো নিয়ে আসবে 🙄

হৃদয়: আমি সে কথা বলি নি।🤭

নীলিমা: আমি আর কিছুই জানতে চাই না তুমি এক্ষুনি সোফায় যাও।😤

হৃদয়: আর হাত দিবো না। থাকি না?😟

নীলিমা: যাবে না আম্মুকে ডাকবো?😒

হৃদয়: যাচ্ছি যাচ্ছি।😶

আমি আর কিছু না বলে সোফায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। ধুর একসময় খাটে শোয়ার সুযোগ থাকলেও শুইতে চাইতাম। আর আজ খাটে শুইতে চেয়েও সোফায় শুতে হচ্ছে।😕

এভাবেই কেটে গেল অনেকদিন। আমি এখন নীলিমার য*ন্ত্রণায় পুরাই অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে বাড়িঘর ছেড়ে এখন পাবনা যাই।🤯

বাড়িতে ফিরতেই ইচ্ছা হয় না। মেয়েটাকে বিয়ে করার পর থেকে আমার জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেছে। আমি ডাইনে গেলে ও বামে যায় আর আমি বামে গেলে ও ডাইনে যায় ।😞

মনে হইতাছে সব কিছু ছাইড়া হিমালয় চলে যাই।😩

রাতে বেলকুনিতে বসে থেকে এসব ভাবতেছি। অনেক রাত হয়েছে নীলিমা এখনো আসলো না রূমে। তাই বের হয়ে আসছিলাম। রান্নাঘরের কাছে আসতেই যা শুনলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।😱

নীলিমা: বড় আম্মু, হৃদয় তো এখন দেশে ফিরেছে। আর এতদিনে অনেক জ্বা"লিয়েছি। এখন কি সবকিছু স্বাভাবিক করে নিলে হয়না? অনেক দিনই তো স্মৃতিশক্তি হারানোর একটিং করলাম।😌

আম্মু: না নীলু, আরো কিছুদিন। ও তোরে অনেক ক*ষ্ট দিয়েছে। আরও কিছুদিন এভাবে থাকতে দে।🌝

আমি এসব শুনে পুরোটাই হত"ভম্ব হয়ে গেল। তার মানে সবই অভিনয়। বাহ আমার মা ওই এর মাথা। যারে বলে ঘরের শ*ত্রু বিভীষণ।😟

আমি রাগে গ"জতে গজ"তে রুমে গেলাম। গিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থেকে কি করা যায়।.......

চলবে....

মা হয়ে ওঠার গল্পটা এতটাও সহজ নয়-🥰আচ্ছা একটা মেয়েকে মা হওয়ার জন্য ঠিক কি কি বিসর্জন দিতে হয় জানেন তো..!একটা মেয়ে তার সৌন...
04/12/2024

মা হয়ে ওঠার গল্পটা এতটাও সহজ নয়-🥰
আচ্ছা একটা মেয়েকে মা হওয়ার জন্য ঠিক কি কি বিসর্জন দিতে হয় জানেন তো..!একটা মেয়ে তার সৌন্দর্য তার ফিটনেস তার সুন্দর মেঘ কালো চুল তার ঘুম কখনো কখনো তার পেট ভরে খাওয়াটাও হয় না।কতদিন যে সে তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারে না শুধুমাত্র সেই জানে কিন্তু এতকিছুর পরেও সে খুশি থাকে তার মাথায় এগুলো আসেই না যে সে আর আগের মতো সুন্দর নেই!তার চেহারায় গ্লো নেই সে ফিট থাকে না!তার সব চিন্তা জুড়েই শুধু তাঁর সন্তান-😊-সন্তান কি খাবে!কি নিবে কি করবে কখন ঘুমাবে সব কিছু।তার পরে সমানতালে তার সংসার টাও তাকেই সামলাতে হয় এতসব করার পরেও সে অভিযোগ রাখে না!সে বেশ খুশি থাকে কিন্ত কোন একটা মানুষ যদি দিনশেষে বলে তুমি আর সুন্দর নেই!তুমি আার ফিট নেই তোমাকে আর আগের মতো ভালো লাগে না তার মনের অবস্থা টা কেমন হতে পারে বুঝেন?সে কি কখনো আপনাকে এগুলো বলেছে! আপনার ৩০+ বয়সেও কি আপনি একই রকম সুন্দর আছেন?নিজের দিক টা কি কখনও ভেবেছেন?একটা মেয়ে সংসারের এক টাকা বাঁচানোর জন্য যে মেয়ে একসময় একহাজার টাকার ক্রিম ব্যাবহার করতো সেটা ৫০-৬০ টাকায় নাঁমিয়ে আনে আর আপনার যে মেয়েকে দেখে সুন্দরী মনে হয় গিয়ে দেখুন সে হয়তো এখন কোনো আদরের ঘরের দুলালী নাহলে কোনো বিজনেস ম্যাগনেট এর বৌ মধ্যবিত্ত ঘরের বৌ এর মতো তাকে হাজার টা ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হয় না!বাবা হওয়ার স্বাদ বা বাবা ডাকটা শুনাতে যে মানুষ টা এতো কষ্ট করে দিন শেষে তাকে সাহস দিন🥰 ভালোবাসা আদরে আগলে রাখুন সে হয়তো এর থেকে বেশি কিছু চায় না তার শরীরের যত্ন আপনি নিন তাকে সুন্দর রাখার ভালো রাখার দায়িত্ব আপনার রাতে এসে খোঁজ নিয়ে দেখুন তার শরীর ঠিক আছে কি না?একটু মাথায় হাত বুলিয়ে কি গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ালে সকালে হয়তো খুব একটা দেরি হবে না আপনার অফিসের মনে রাখবেন সংসার টা আপনারও সেটাকে সুখী করতে আপনার দিনশেষে সামান্য যত্ন ছোট কয়েকটা সুন্দর কথাই যথেষ্ট🥰🌺আপনার যত্ন আর ভালোবাসায় আরেকজনের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রেরণা সে সারাদিনের শক্তি খুঁজে পায়!
ভালোবাসার মানুষটির খুঁত না ধরে তাকে বুঝান যে আপনার দেখা পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নারীটা আপনার সন্তানের মা-🥰-আমার তো মনে হয় আমি যাকে ভালোবাসি তার থেকে সুন্দর কোন মানুষ আমি পৃথিবীতে দেখি না🥰🤗🌺❤️

একজন স্ত্রী মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য স্বামীর মুখের মিষ্টি কথাই যথেষ্ট -🥰🌺❤️

"একটা বাচ্চাকে ঠিক মতো খাওয়াতে পারো না। আবার আরেকটা পেটে নিলে কীভাবে? তোমাদের এতো সখ আর ঢং দেখে বাচিনা। "বড়ো জা তার আদরে...
04/12/2024

"একটা বাচ্চাকে ঠিক মতো খাওয়াতে পারো না। আবার আরেকটা পেটে নিলে কীভাবে? তোমাদের এতো সখ আর ঢং দেখে বাচিনা। "

বড়ো জা তার আদরের ছেলের মুখে মুরগির রান টা তুলে দিচ্ছিলো আর ঠিক এইভাবেই আমাকে কথা গুলো শোনাচ্ছিলো। মেঝো জা তালে তাল মিলিয়ে বললো,
- বোঝোনি দিদি আমাদের উপর ছেলে মেয়ে মানুষ করার ধান্দা।
আমার চোখে পানি টল টল করছিলো। কোনো কথা বলতে পারছিলাম না।

৫ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করে এ বাড়ি এসেছিলাম। আমার স্বামী সবার ছোট তার বড়ো আরো তিন ভাই আছে। আমার স্বামী সামান্য কিছু টাকা দিতে পারে সংসারে। বাজারে একটা ফার্মেসী আছে। সে দাতের ডাক্তার। তেমন চলে না। মাস শেষে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আসে। আমি অনার্স পাশ করা একটা মেয়ে। অনেক ভালো ভালো চাকরি পেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম স্বামীর পাশে দারাবো কিন্তু এই বাড়ির কড়া নিয়ম ঘরের বউ বাইরে কাজে যেতে পারবে না। আবার মাস শেষে যখন আমার স্বামী সংসারে টাকা কম দেয়। শশুর মসাই কতো কথাই না শোনায়। বেচারা চুপ করে শোনে। আমার জীবনে আমি তার মতো শান্ত মনের মানুষ দেখিনি। কখনো একটা ঝাড়ি মেরে কথা বলেনি আমাকে। গায়ে হাত তোলা তো দূরে থাক। যখন আমি সবার কথা শুনে কান্না করতাম তখন আমার হাত গুলো ধরে বলতো আর একটু সহ্য করো মায়া। সব ঠিক হয়ে যাবে। বাকি তিন ভাই খুব ভালো জব করে। মোটা টাকা বেতন পায়। তাছাড়া আরো বারতি ঘু*ষ তো আছেই। আমার মেয়ের বয়স তিন বছর। এই সময়টাতেই বাচ্চাদের একটু ভালো মন্দ খাবার দেওয়া উচিৎ কিন্তু বাড়িতে প্রতিদিন মাছ মাংস আমি নিজে হাতে রান্না করি তবে আমার মেয়ের কপালে সেই ঝোলি জোটে।

আজকে সব কাজ শেষে যখন গোসলে যাই হঠাৎ মাথাটা ঘুরে যায়। পরে তারাই ডাক্তার ডেকে আনে। নাহলে বাড়ির সব কাজ করবে কে। ডাক্তার এসে দেখে বলে আমি মা হতে চলেছি। এর পর থেকেই একেক জনের একেক কথা শুনছি।
আমার শাশুড়ি মা চুলে তেল দিতে দিতে বললো।
-তোমার এই বাচ্চা খাওয়াবে কে? এতো বিবেক ছাড়া মেয়ে জীবনে দেখিনাই। দেখছো তোমার স্বামীর ইনকাম নাই তার উপর আবার বাচ্চা। একটা মেয়েকেই তো একটু ভালো মন্দ খাওয়াতে পারোনা। আমি এই রকম কথা গুলো আর শুনতে পারছিলাম না। দৌরে ঘরে চলে গেলাম। সারাদিন কাজ শেষে রাতে আমার স্বামী বাড়ি ফিরতেই আমার শাশুড়ি তাকে ডেকে ঘরে নিয়ে গেলো। আমি বাইরে দারিয়ে আছি কিন্তু আমার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো। কিছুক্ষন পর আমার স্বামী সুমন বেরিয়ে এলো। এসে আমার দিকে তাকিয়ে হাতে একটা মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সোজা ঘরে চলে গেলো। মিষ্টির প্যাকেট টা দেখে একটু অবাক হলাম কারণ ও কিছু জানেনা। আমিও জানতাম না আজকে জানলাম। তাহলে কোন কারণে মিষ্টি এনেছে। কাজ শেষ করে হাত মুছতে মুছতে ভয়ে ভয়ে ঘরে গেলাম। গিয়ে দেখি মেয়ের সাথে খেলছে। আমি ঘরে যেতেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো তার এমন কাজ দেখে তো আমি অবাক। এবং মেয়ে তাকিয়ে আছে বলে লজ্জা ও পাচ্ছি। ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো।
-তুমি কোনো চিন্তা করোনা মায়া! আমার এই বাচ্চা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আরো আমি খুশি। আমাদের দুই টা বাচ্চা হবে।
মনে মনে বললাম শাশুড়ি বিচার দিয়েছে ওর কাছে। কিন্তু ওর কথায় আমি অনেক শান্তনা পেলাম।

সকালে সবাই খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছে। আমার বড়ো জা তার ছেলেকে মাংস বেড়ে বেড়ে খাওয়াচ্ছে। এ দিকে আমার মেয়ের পাতে একটা মুরগির গিলা পরে আছে। এই বাড়ির সব কাজ সব রান্না আমি করলেও পরিবেশন করার অনুমতি আমার নেই। আমার মেয়ের এই টুকু বুদ্ধি হয়েছে ভালো খাবার কাকে বলে এই টুকু সে বোঝে। আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-ও মা আমাকে মাংস দেও না কেনো?
আমার বড়ো জা মুখ কালো করে বললো।
-যার বাবার ইনকাম কম তার মাংস খাওয়া পাপ সোনা। তোমার বাবার ইনকাম কম তাই তোমার মাংস খাওয়া পাপ।
আমার মেয়ে আর কোনো কথা বললোনা। তার বড়ো কাকি কি বলেছে সে বুঝতে পারেনি। কিন্তু এটা সে ঠিকি বুঝেছে তাকে মাংস দিবে না। আমি খেয়াল করলাম আমার স্বামী খাবার খেতে খেতে সব শুনেও না সোনার ভান করে খেয়ে উঠে গেলো। সবার খাবার শেষ হলে বাসন ধুতে গিয়ে নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি পানি পরছে। খুব কাদতে ইচ্ছে করছে। কেনো এমন হলো?

বিকেলে মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসেছি। হঠাৎ দেখলাম সুমন এসেছে। হাতে সুন্দর একটা বড়ো কাপড়ের ব্যাগ। নতুন কিনে এনেছে। আমার হাতে ব্যাগটা দিয়ে বললো,
-সব জামা কাপড় গোছাও আমি গোসল করে আসছি।
আমি কিছু জিগ্যেস করার আগেই সে গোসলে চলে গেলো। আমার মেয়ে ব্যাগ দেখে খুশিতে হাত তালি দিয়ে বললো, বেড়াতে যাবো মা।
কিছুই বুঝতে পারছিনা। হঠাৎ সব গোছাতে কেন বললো।
ব্যাগটা পাশে রেখে মেয়েকে নিয়ে আবার পড়তে বসলাম। সুমন ঘরে এসে রেগে বললো।
-কি হলো? তোমাকে সব গোছাতে বলছিনা?

আমি দারিয়ে জিগ্যেস করলাম,
-কেনো? কোথায় যাবো আমরা?
-এই বাড়ি থেকে চলে যাবো।
-কেনো? এই বাড়ি থেকে গিয়ে কোথায় থাকবত? পাগল হয়ে গেছো?
সুমন অনেক জোরে বললো।
-এতো কথা কেনো বলছো মায়া? আমি যা বলছি সেটা করো।
ও কখনো জোরে কথা বলেনা। ওর এতো জোরে কথা শুনে আমার শশুর শাশুড়ি এবং সেঝো জা বেড়িয়ে এলো।
শশুর পান চিবাতে চিবাতে বললো,
-কি হয়েছে? তুই বিকেলে বাড়ি ক্যা? আর এমনে চিল্লাচ্ছিস কেনো?
সুমন সেদিকে কোনো কান না দিয়ে আমার সাথে কাজে হাত দিলো। আমার শাশুড়ি এসে বললো,
-কি আবার নাটক শুরু করলি রে? তোদের ঢং দেখলে শরীর জ্বালা করে।
সুমন পিছ ফিরে উত্তর দিলো,
-আর জ্বালা করবে না গো মা। চলে যাবো তোমাদের এখান থেকে।

চলবে..............

___তুমি যে পাগল তার  ১৩ টি প্রমাণ আমি জানি..!!🥴🤔১. তুমি  , facebook চালাও..!!😊২. এই সময় তুমি ফোন ধরে  আছো..!!😲৩. তুমি আ...
04/12/2024

___তুমি যে পাগল তার ১৩ টি প্রমাণ আমি জানি..!!🥴🤔

১. তুমি , facebook চালাও..!!😊

২. এই সময় তুমি ফোন ধরে আছো..!!😲

৩. তুমি আমার post দেখতেছো..!!🧐

৪. এখন তুমি সেটা পড়ছো..!!🤗

৫. তুমি একজন মানুষ..!!😶

৭. তুমি তোমার দুটো ঠোঁট না মিলিয়ে পি বলতে পারবে না..!!🤐

৮. এখন তুমি বলার চেষ্টা করছো..!!😂

৯. এখন তুমি নিজেই নিজের উপর হাসছো..!!🤣🤣

১০. এখনো তোমার মুখে হাসি আছে..!!😊

১১. তুমি ৬ নাম্বার লাইনটা পড়তে ভুলে গেছো..!!🤔🙂

১২. এখন তুমি চেক করলে ৬ নাম্বার লাইন নেই..!!😁

১৩. এখন তুমি হাসছো কারণ আমি তোমাকে বোকা বানিয়েছি..!!😂😁

04/12/2024
স্ত্রীকে কেন ভালো লাগে না পুরুষের??সকল পুরুষের পড়া উচিত।আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়। তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগ...
04/12/2024

স্ত্রীকে কেন ভালো লাগে না পুরুষের??সকল পুরুষের পড়া উচিত।

আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়। তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। তিন বছর বয়সী একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।

অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যাই। ফিরি রাত করে। কারণ বাসায় যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ বিয়ের শুরুর দিকে শুধুমাত্র স্ত্রীর টানে অফিস থেকে বেরিয়ে ছুটতাম বাসার দিকে। অফিস না থাকলে সারাদিন বাসায় থাকতাম। ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম। কী যে ভালো লাগতো স্ত্রীকে তখন!

আর এখন ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না। কথা বলতে ইচ্ছে করে না। ও আশেপাশে থাকলে বিরক্ত লাগে।

বাইরে থাকা অবস্থায় ওর ফোন এলে ধরি না। মেসেজ পাঠালে দেখি না। আর বাসায় থাকা অবস্থায় ও কিছু বললে অনাগ্রহের সাথে হু হা করে চুপ করে থাকি।

আর রাতে যদি ও কাছে আসতে চায় আমি রূঢ় ভাষায় বলি, "জ্বালাতন করো না। সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে আছি। ঘুমাতে দাও।"

আসলে ক্লান্তি ট্লান্তি কিছু না। স্ত্রীকে ভালো লাগে না এটাই মূল কথা।

কেনো এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এই সমস্যা যে একা আমার হচ্ছে তা নয়। আমি আরো অনেক পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখেছি। তাদের কেউ কেউ স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে পরকীয়া করছে। আমি নিজে এখনো পরকীয়া করি নি। তবে করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

কেনো পুরুষেরা একটা সময় স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এটা জানার জন্য আমি যতো পুরুষের সাথে কথা বলেছি তাদের সবার উত্তর ছিলো এরকম, "এটাই তো স্বাভাবিক। এক জিনিস কী আর বেশিদিন ভালো লাগে?"

তাদের উত্তরটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি। কারণ এক জিনিস বেশিদিন ভালো না লাগা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও সেটা হতো। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। স্ত্রীরা বিয়ের যতো বছর পরই হোক তারা ঠিকই আগ্রহ নিয়ে স্বামীর সাথে কথা বলতে চায়। ঘুরতে যেতে চায়। মিলিত হতে চায়।

একটা সময় আমার মনে হলো এটা কি পুরুষের কোনো মানসিক সমস্যা? ডাক্তার দেখালে কি ভালো হয়ে যাবে?

আমি দ্বিধান্বিত মনে একদিন গোপনে এক মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার আমার সমস্যার কথা শোনার পর বললেন, "আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন?"

বললাম, "জী করি।"

"আল্লাহর একটা নির্দেশের কথা আপনাকে বলবো। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো ওষুধপত্র লাগবে না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।"

"কী সেটা?"

"সুরা আন নূরে আল্লাহ বলেছেন, 'হে নবী, পুরুষদের বলে দাও, তারা যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য বেশি পবিত্র পদ্ধতি'।"

এরপর ডাক্তার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, "আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি এক মাস পালন করুন। তারপর নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।"

সন্দেহ নিয়ে বললাম, "এটাতেই কাজ হয়ে যাবে?"

ডাক্তার হেসে বললেন, "অবশ্যই হবে। তবে আমাকে কথা দিতে হবে আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি নিখুঁত ভাবে পালন করবেন। কোনো ফাঁকি দেবেন না।"

"কথা দিলাম। ফাঁকি দেবো না। নিখুঁত ভাবে পালন করবো।"

শেষে ডাক্তার বললেন, "এক মাস পর আমার কাছে আসবেন।"

আসবো কথা দিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরুলাম। চেম্বার থেকে বেরুনোর সময় দেখলাম একটা যুবতী রূপবতী মেয়ে একজন বৃদ্ধাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকছে। মেয়েটার দেহ দুর্দান্ত আকর্ষণীয়। আমি লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার পুরো অঙ্গের দিকে তাকাতে গেলে আচমকা মনে পড়ে গেলো আল্লাহর নির্দেশের কথা। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলাম। এবং মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেলাম। এরপর পথে ঘাটে যদি কোনো মেয়ের দিকে চোখ পড়তো তবে চোখ সরিয়ে নিতাম। দৃষ্টি নত করে হাঁটতাম।

এভাবে দুদিন যাওয়ার পর অনুভব করলাম নারী শরীর দেখার জন্য ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তখনো স্ত্রীর প্রতি টান বোধ করি নি। অস্থিরতা দূর করার জন্য মোবাইল হাতে নিলাম। এবং পর্ণ দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর হস্তমৈথুন করে নিজেকে শীতল করবো।

গুগলে পর্ণ ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করার মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশের কথা মনে পড়ে গেলো। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এবং মোবাইল রেখে দিলাম।

এর পরদিনের কথা বলি। আপনাদের বলেছিলাম, আমি পরকীয়া না করলেও পরকীয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ঘটনা হলো, আমার এক বন্ধুর পরিচিত এক মেয়ের সাথে গোপন এক সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে। মেয়েটি প্রবল যৌন আকর্ষণীয়। ঠিক করেছিলাম মেয়েটিকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবো। আমি যে বিবাহিত এটা মেয়েটিকে বলি নি।

সেই মেয়েটি ঐদিন সন্ধ্যায় ফোন দিলো। আমি তখন অফিস থেকে বেরিয়েছি। ওর ফোন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। কিন্তু ফোনটা ধরার সময় মনে পড়লো আল্লাহর নির্দেশের কথা। তৎক্ষণাৎ মনকে শক্ত করলাম। এবং ফোনটা ধরলাম না। মেয়েটা যতোবারই ফোন দিলো ধরলাম না।

এভাবে দৃষ্টি সংযত রেখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে পনেরো দিন কাটানোর পর লক্ষ্য করলাম আমার মাথায় স্ত্রীর ভাবনা ছাড়া আর কিছু কাজ করছে না।

সেদিন অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় না গিয়ে উন্মাদের মতো ছুটলাম বাসার দিকে।

বাসায় ঢুকেই ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম, "এষা, কোথায় তুমি?"

স্ত্রী তখন রান্নাঘরে ছিলো। আমার চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। কারণ স্ত্রীর নাম ধরে বহুদিন ডাকি নি।

ও আশ্চর্য হয়ে বললো, "কী হয়েছে তোমার? ডাকছো কেনো?"

সে কথার জবাব না দিয়ে কাঁধ থেকে অফিসের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে ঝট করে পাঁজা কোলে তুলে নিলাম। বিয়ের শুরুর দিকে যেমন করতাম।

সে ততোক্ষণে আমার উদ্দেশ্য বুঝে গেছে।

সে লজ্জায় লাল হয়ে বললো, "ছেলেটা ঘুমাচ্ছে। ও জেগে যাবে। কী করো, কী করো?"

স্ত্রীকে পাঁজা কোলে করে রুমে যেতে যেতে আচ্ছন্ন স্বরে বলতে লাগলাম, "ভালোবাসি এষা। ভালোবাসি।"

পরদিন ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার বললেন, "এখনো তো এক মাস পার হয় নি।"

হেসে বললাম, "সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি কেনো পুরুষেরা স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে? অতীতের ভুল আর কখনো করবো না।"

ডাক্তার বললেন, "স্বাগতম আপনাকে। আপনার সংসারের জন্য আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।"

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে খুশিয়াল গলায় বললাম, "ধন্যবাদ আল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"

দুখু আমার ভাই    সভাকবি ✍️✍️আমি যাতে হাত লাগাই দুঃখ হয়ে যায় তাইনা জানি কোথায় গেলে সুখের দেখা পাই।জীবনের কাছে আমি অনেক আছ...
04/12/2024

দুখু আমার ভাই
সভাকবি ✍️✍️

আমি যাতে হাত লাগাই দুঃখ হয়ে যায় তাই
না জানি কোথায় গেলে সুখের দেখা পাই।
জীবনের কাছে আমি অনেক আছি দেনা
অর্থ অভাবে সুখটাও তাই যাচ্ছে না কেনা।
দুঃখ কমানোর উপায় নেইকো আমার জানা
আর সুখ সে তো আমার বহুযুগ অচেনা।
শত চেষ্টার পরও যে দুঃখ যায় না ছাড়ি
দুখের সাথে বন্ধুত্ব সুখের সাথে মোর আড়ি।
গায়ের ঘামে ভিজেছি তবু সুখ আসেনি কাছে
সুখ তাড়িয়ে দুঃখটাও লেগেছে মোর পাছে।
চোখের জ্বলেও যাইনি কেনা এক ফোটা সুখ
শুধু শুধু ভিজেছে আমার হৃদয় ভাঙা বুক।
মন হতাশায় ক্লান্ত হয়ে চুপ থেকেছি রোজ
পাশে এসে দেয়নি কেউ তবুও সুখের খোঁজ।
দুখের সাথে দাড়িয়ে রোজ ভেবেছি একা একা
জীবন সমরে পাবোনা কি কভু সুখের দেখা।
মনকে সুধিয়েছি রোজ দুখেই কি থাকবে কল্প
লিখতে কি পারবো না কভু একটু সুখের গল্প?
জীবন খানা কষ্টের আমার সুখ কপালে নাই
সুখের বদলে বলি আজ দুখু আমার ভাই।

এক অপ্রেমিকের জন্য তসলিমা নাসরিনএই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিককোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুম...
04/12/2024

এক অপ্রেমিকের জন্য
তসলিমা নাসরিন

এই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিক
কোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুমুল হৈ চৈ করবে,
রাত ঘুমিয়ে যাবে, তুমি ঘুমোবে না।

ফাঁক পেলে কোনও কোনও সন্ধেয় এ বাড়ি ও বাড়ি
খেতে যাবে, খেলতে যাবে,
কে জানে হয়তো খুলতেই যাবে আলগোছে কারও শাড়ি
আমার আঙিনা পেরিয়েই কোনও বাড়িতেই হয়তো।

এ পাড়াতেই হয়তো দু’বেলা হাঁটাহাঁটি করবে,
হাতের নাগালেই থাকবে,
হয়তো কখনও জানিয়েও দেবে আমাকে, যে, কাছেই
আছো,
কুঁকড়ে যেতে থাকবো, কুচি কুচি করে নিজেকে কাটতে
থাকবো
দেখা না হওয়ার যণ্ত্রণায়, তবু বলবো না, এসো।

বলবো না,
তোমাকে সুযোগ দেব না বলার যে তোমার সময় নেই,
বা ভীষণ ব্যস্ত তুমি ইদানিং
তোমার অপ্রেম থেকে নিজেকে বাঁচাবো আমি।
তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে না।

বছর পেরোবে, তোমার সঙ্গে দেখা হবে না আমার,
দেখা না হতে না হতে ভুলতে থাকবো তোমার
সঙ্গে দেখা হওয়াটা ঠিক কেমন ছিল
কী রঙের সার্ট পরতে তুমি, হাসলে তোমাকে ঠিক
কেমন দেখাতো,
কথা বলার সময় নখ খুঁটতে, চোখের দিকে নাকি অন্য
কোথাও তাকাতে,
পা নাড়তে, ঘন ঘন চেয়ার ছেড়ে উঠতে, জল খেতে
কিনা, ভুলতে থাকবো।

দেখা না হতে না হতে ভুলতে থাকবো তুমি ঠিক
দেখতে কেমন ছিলে,
তিলগুলো মুখের ঠিক কোথায় কোথায় ছিল, অথবা
আদৌ ছিল কিনা।
অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যাবে, তোমার সঙ্গে আমার
আর দেখা হবে না।
এক শহরেই, অথচ দেখা হবে না।
পথ ভুলেও কেউ কারও পথের দিকে হাঁটবো না,
আমাদের অসুখ বিসুখ হবে, দেখা হবে না।
কোনও রাস্তার মোড়ে কিংবা পেট্রোল পাম্পে
কিংবা মাছের দোকানে, বইমেলায়, রেস্তোরাঁয়,
কোথাও দেখা হবে না।

আরও অনেকগুলো বছর পর, ভেবে রেখেছি, যেদিন হুড়মুড়
করে
এক ঝাঁক আলো নিয়ে সন্ধে ঢুকতে থাকবে আমার
নির্জন ঘরে,
যেদিন বারান্দায় দাঁড়ালে আমার আঁচল উড়িয়ে
নিতে থাকবে বুনো বৈশাখি
এক আকাশ চাঁদের সঙ্গে কথা বলবো যে রাতে
সারারাত
তোমাকে মনে মনে বলবোই সেদিন, কী এমন হয় দেখা
না হলে,
দেখা না হলে মনে হতো বুঝি বেঁচে থাকা যায় না,
কে বলেছে যায় না, দেখ, দিব্যি যায়!
তোমার সঙ্গে দেখা হয়নি কয়েক হাজার বছর, তাই
বলে কি আর বেঁচে ছিলাম না?
দিব্যি ছিলাম!

ভেবেছি বলবো,
তুমি তো আসলে একটা কিছুই-না ধরনের কিছু,
আমার আকাংখা দিয়ে এঁকেছিলাম তোমাকে,
আমার আকাংখা দিয়ে তোমাকে প্রেমিক
করেছিলাম,
আমার আকাংখা দিয়ে তোমাকে অপ্রেমিকও করেছি
তোমাকে না দেখে লক্ষ বছরও বেঁচে থাকতে পারি!
অপ্রেমিককে না ছুঁয়ে, অনন্তকাল।
এক ফোঁটা চোখের জল বর্ষার জলের মতো ঝরে ধুয়ে
দিতে পারে
এতকালের আঁকা সবগুলো ছবি, তোমার নাম ধাম
দ্রুত মুছে দিতে পারে চোখের জল।
তোমাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।
আমাকে একা বলে ভেবো না কখনো, তোমার অপ্রেম
আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকে।
তোমার চুমু খাওয়াগুলো ঠিক কেমন, জড়িয়ে পেঁচিয়ে
চুলে বা বুকে মুখ গোঁজাগুলো
ঠিক কেমন, ভুলতে থাকবো।

Address

Tinsukia

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Friday 9am - 5pm

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priya Vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Priya Vlogs:

Videos

Share

Category