তদন্ডমভবদ্ধৈমং সহস্রাংশুসমপ্রভম্ ।
তস্মিন্ জজ্ঞে স্বয়ং ব্রহ্মা সর্ব্বলোক পিতামহঃ।।
অর্থাৎ, সেই বীজ স্বর্ণবর্ণময় সূর্যের মতো প্রভা বিশিষ্ট এক অণ্ডে পরিণত হল ; সেই অণ্ডে পরমাত্মা সমস্ত লোকের জনক ব্রহ্মা রূপে জন্মগ্রহণ করলেন।
"যোহসাবতিন্দ্রীয়গ্ৰাহ্যঃ সূক্ষোহব্যক্তঃ সনাতনঃ
সর্ব্বভূতময়োহচিন্ত্যঃ স এবং স্বয়মুদ্বতৌ।"
অর্থাৎ, পুরুষ অর্থ ব্রহ্ম; ব্রম্ভ থেকে মহৎ; অহংকার ও পঞ্চতন্মাত্র(পঞ্চ ভূতের সূক্ষ্মরূপ) উৎপন্ন - তাই এই সকল পদার্থকেও পুরুষ স্বরূপ বলা হয়েছে। এই নশ্বর জগতের সৃষ্টি অবিনশ্বর কারণ থেকেই। তিনি বহিরিন্দ্রিয়ের অর্থাৎ একমাত্র ধ্যানের দ্বারাই লভ্য। তিনি সূক্ষ্ম, অব্যক্ত ও নিত্য - সেই অচিন্ত্যনীয় পুরুষই প্রথমে সশরীরে (অর্থাৎ মহৎ প্রভৃতি রূপে)প্রকাশিত হলেন।
" ততঃ স্বয়ম্ভূর্ভগবানব্যক্তা ব্যঞ্জয়ন্নিদম্।
মহাভূতাদি বৃত্তৌজাঃ প্রাদুরাসীত্তমোনুদঃ।।"
অর্থাৎ প্রলয়াবস্থার পর স্বয়ম্ভূ (স্বেচ্ছায় লীলা বিগ্ৰহধারী) সূক্ষরূপী ভগবান পঞ্চমহাভূত প্রভৃতিতে ব্যক্ত করলেন - তিনি অমিততেজা, প্রলয়াবস্থার বিনাশক রূপেই যেন আবির্ভূত হলেন।
"আসীদিদস্তমো ভূতমপ্রজ্ঞাতম লক্ষ্মণম।
অপ্রর্তক্যমবিজ্ঞেয়ং প্রসুপ্তমিব সর্তব্বঃ।।"
অর্থাৎ এই যে বিশ্বসংসার চোখের সামনে প্রত্যক্ষ - তা ছিল একদিন অন্ধকারাচ্ছন্ন। এই অন্ধকার জগত ছিল আমাদের জ্ঞানের অতীত, কোন লক্ষণের সাহায্যে এ সম্পর্কে অনুমানেরও কোন উপায় ছিল না। এই জগত ছিল অজ্ঞেয়, যেন সর্বতোভাবে গাঢ় নিদ্রায় আচ্ছন্ন।