11/07/2022
বন্যার পর বেহাল দশা
জমা বর্জ্য-দুগন্ধে নাজেহাল শিলচর ভোলাগিরি আশ্রম,সংলগ্ন এলাকা
-------------------------------------------
আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র সমগ্ৰ শিলচর শহরের বিভিন্ন স্থানে এখনো বণ্যার জমা জলে পরিপূর্ণ রয়েছে সঙ্গে পচা-গলা আবর্জনাও রয়েছে।প্রায় অর্ধশতাধিক বছরের পুরনো শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত ভোলাগিরি আশ্রমে এই বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় বারের বণ্যায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আর্বজনাযুক্ত বর্জ্য-দুগন্ধে নাজেহাল আশ্রম। দুর্ভোগে আশ্রমে বসবাসকারী সাধু -মহারাজেরা।
উল্লেখ্য,ভোলাগিরি আশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন,"আজ সুদীর্ঘ কয়েক বৎসরে এইরকম ভয়াবহ বণ্যার দৃশ্য কখনও দেখতে পাই নাই, কিন্ত এই বছরের বণ্যার জলের প্রভাব ছিল বেশি এবং এর ফলে জনজীবনে ক্ষয় ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর, সদ্য দুইবারের বণ্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত ভোলাগিরি আশ্রম সহ গলির অধিকাংশ জায়গায় প্রায়শই বৃষ্টির মহশুমে জমা জলে ডুবে থাকে।ফলে আশ্রমের সাধুদের বসবাসকারী কক্ষ গুলোতে বৃষ্টির জমা জল বুকে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষয় -ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু এবছর এযাবৎ দুইবারের বণ্যার জলে আশ্রমের প্রচুর পরিমাণে মূল্যবান সামগ্ৰী যেমন নথিপত্র,ফ্রিজ,টিভি,বাসন, কাঠের দরজা-ফার্নিচার একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দুই সপ্তাহ পর বণ্যার জল নামার পর গলিতে মে সব বর্জ্য জমা হয়েছে সেগুলো অতিসত্ত্বর সরানো না হলে এখানে বসবাসকারী জনগণ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার পড়ার আশঙ্কা প্রবল। তাই জনস্বার্থে শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত ভোলাগিরি আশ্রম সহ গলিতে জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য শীর্ঘই পরিস্কার করার জন্য জেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আবেদন জানান তিনি।