17/08/2024
১৭ আগস্ট, শনিবার, ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা। অনেকে আমাকে ভোর থেকে ফোন করেছেন। অচেনা নম্বর বলে অনেকগুলো ফোন ধরতে পারিনি। মেসেজে অনেককে উত্তর দিয়েছি। টিভিতে অনেকেই দেখেছেন। না ওই অশিক্ষিত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি হয়নি। এখনও সেরকম কোন খবর নেই। কাল রাতে ১৩ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে বাড়ি যেতে বলা হয়। ভোর ৫টা নাগাদ বেরিয়ে যান। আজ আবার ১১টা থেকে ইন্টারোগেশন চলছে। দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
কিছু স্পেসিফিক প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। বাংলা এর জবাব চায়।
১. ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত দেহ পাওয়ার পরেও প্রথম অবজারভেশনে 'আত্মহত্যা' বলে দাগিয়েছিল কেন?
২. মৃতার বাড়িতে ফোন করে সরাসরি 'আত্মহত্যা করেছে' জানানো হল কার নির্দেশে?
৩. বডি তড়িঘড়ি একবার মাত্র পোস্টমর্টেমে পাঠানোর জন্য কেন আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছিল? এটা কী সন্দীপের আইডিয়া না পুলিশ কমিশনারের?
৪. যে হাসপাতালে অমন ভয়ঙ্কর অপরাধটা ঘটেছে সেখানেই পোস্টমর্টেম করার উদ্দেশ্য কী?
৫. প্রভাবশালী এক ডাক্তার ঠিক কী উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঘন্টা বসে ছিলেন? কিসের মিটিং চললো বডি মেঝেতে ফেলে রেখে?
৬. প্রিন্সিপাল কার থেকে নির্দেশ নিয়েছিলেন? সরাসরি জবাব চাইতে হবে, এত সাহস নিয়ে কাজ করছিলেন মানে মাথায় বড় কেউ আছে? কে তিনি?
এইসব প্রশ্নের উত্তর চাই। জবাব চাই চলুন সকলে মিলে। আর আরেকটা কথা বলছি। কথায় কথায় নৈরাশ্যবাদী হয়ে যাবেন না। কিছুই হবে না, সবই তো ধামাচাপা পড়ে যাবে, সব তো লোপাট হয়ে গেল এরকম নিরাশ করা কথা বলা কমান। এতটা লড়াই করেই আসা গেছে। নাছোড় জেদের জন্যই আসা গেছে। উপরের ৬টা প্রশ্নের উত্তর পেলে দেখবেন আরো পাঁচটা দরজা খুলছে। আলো ঢুকছে।
এই কেস সহজে ছাড়ব না। জবাব চেয়ে যাবো। আপনারাও সহজে আবার পুজোর শপিংয়ে মেতে উঠবেন না। কথা দিয়েছিলেন অভয়ার বিচার দেখে ছাড়বেন।
—— ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ