𝙹𝚞𝚗𝚐𝚕𝚎𝚖𝚊𝚑𝚊𝚕 𝚃𝚒𝚖𝚎𝚜

26/01/2025

18/12/2024

#লড়না_হে_তো_পড়_না_শিখো,
ঝাড়খণ্ড এর পিতামহ,.. বিনোদবিহারী_মাহাত।
শত কোটি প্রণাম 🙏

17/10/2024

#জিহুড়_পরবের_শুভেচ্ছা

জিহুড় শব্দের আক্ষরিক অর্থ কি হবে, তা ভাষাবিজ্ঞানীদের আলোচনার বিষয়। আমার মতে, জি অর্থে জীবন ও হড় অর্থে মানুষ। অর্থাৎ মানুষের জীবন যে বাঁচিয়ে রাখে। শব্দের অর্থ যাই হোক না কেন, তা দিয়ে পরবের গুরুত্ব একটুও ম্লান হয় না।
শস্য দেবী ডিনিমাই বা ঠাকুর মাইকে ঘরে আনার প্রস্তুতি কেন্দ্রিক রাঢ়ভূম তথা ছোটনাগপুরের কৃষি কেন্দ্রিক পরব হল জিহুড়।
আশ্বিনের সংক্রান্তিতে ডিনি মাইকে জানান দেওয়া হয়, মা গো তুমি শক্তি সঞ্চয় করে পরিপূর্ণতা লাভ করো, আমার ঘর খালি হয়েছে, আগামী অঘন সাঁকরাইতে তোমাকে ঘরে তুলবো।
অর্থাৎ, এই সময় ক্ষেতের ধানে দুধ ভরে, আগামী দু মাসে যাতে তা পূর্ণভাবে ধানে পরিণত হয়, সেজন্য শস্যদেবীর অধিষ্ঠান ক্ষেত্র খামার পরিষ্কার করে পুজা করে মাকে জানান দেওয়া হয়, তোমার অধিষ্ঠান ক্ষেত্র বিপদমুক্ত, আজ থেকে পোকা মাকড় নিদ্রায় যায় - বিজ্ঞানের ভাষায় শীতের শুরু হয় এবং পোকা মাকড় শীত ঘুমে চলে যায়।
পূজার উপকরণ দেখলে দেখা যাবে - ঠুটকু বাঢ়ইন, ভাঙা কারাহি, বড়ঢেলা দেওয়া হয়। ঠুটকু বাঢ়ইন দিয়ে জানানো হয়- ধানকে আগলে রাখতে গিয়ে ঝাঁটা শেষ হয়ে গিয়েছে, এরপর থেকেই শুরু হয় ঝুড়গুন্ডা তোলার কাজ। ভাঙা কারাহি দিয়ে জানান দেওয়া হয়, রান্না করে করে কারাহিও শেষ আর ধানও শেষ। বড়ঢেলা দিয়ে জানান দেওয়া হয়, যে বড়ঢেলা দিয়ে কুঁচড়ি বেঁধে রেখেছিলাম ধানের, সেই কুঁচড়ি শেষ, এই যে সেই বড়ঢেলা সাক্ষউপকরণ হিসেবে গ্রহন করো। সাথে থাকে, চিরচিটি, কেন্দ ইত্যাদি পোকা মাকড় তাড়াতে। দিনের শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে তুলে নেয় ঘরের কর্তা।

ভাদ্র -আশ্বিন মাস কৃষি জনজাতির কাছে খুব কষ্টের মাস - কথায় আছে ভাদরেক টান।
অর্থাৎ এসময় কৃষি পরিবার গুলির কাছে ধানের অভাব দেখা দেয়। আগের বছরের চাষের ধান প্রায় শেষ হতে থাকে, এবং নতুন বছরের চাষের ধান তখনও পূর্ণতা লাভ করে নি। সেজন্য পরিবার গুলিতে বিহা, শাঙ্ঘা, ভুজনার মতো খরচ সাপেক্ষ বা খাওয়ানোর রীতি মূলক সামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকে এই ধানের টানের জন্য।

এরপর দুমাস ক্ষেতের ধান পূর্ণ হয়ে উঠে, অঘন সাঁকরাইতে ঘরে তোলা হয়। সেদিন থেকে ঘরে তুলে একমাস সেই শস্যদেবী ডিনিমাইকে ত্রিশ দিন ত্রিশ রকম ফুল দিয়ে পুজা করা হয় এবং মকর সংক্রান্তিতে ডিনিমাই এর প্রতিকি টুসু বানিয়ে বিদায় জানানো হয়। পরের দিনই আবার আখাইন যাত্রা - নতুন কৃষি বছরের সূচনায় ক্ষেতে আড়াই পাক লাঙ্গল করে আসার দিন।
সত্যিই কি অভাবনীয় কৃষি দর্শন, কৃষিকে কেন্দ্র করেই কৃষিজাতি গুলোর বেঁচে থাকার কি অভাবনীয় সমাজ দর্শন!
কোনো একটা পরবে কৃষি দেবীকে আবাহন, কোনটায় তার ক্ষেতে গমন, কোনটায় বন্দনা, কোনটায় প্রাণ সঞ্চার, কোনটায় শক্তি সঞ্চার - সত্যিই সব যেন এক সূত্রে গাঁথা।
সূর্য, চন্দ্র, মাটি, বৃষ্টি ইত্যাদি বা বৃহদার্থে প্রকৃতি যেন নিজেই লিখেছে তার সারা বছরের পঞ্জিকা - কৃষিভিত্তিক জনজাতি গুলো শুধু তার পূজারী মাত্র, উপাসক মাত্র।

Sujit Kumar Mahato

07/10/2024

35th EAST ZONE JUNIOR ATHLETICE CHAMPIONSHIPS 2024 ভুবনেশ্বর এর কলিঙ্গা স্টেডিয়ামে হয় সেখানে রাজ্যের হয়ে পুরুলিয়ার জেলার পুষ্পরণি মাহাত প্রতিনিধিত্ব করে ,পুষ্পরনি মাহাত 5000মিটার ( 20.32 মিনিট) ইভেন্ট ছিল গোটা ইস্ট জোনের মধ্যে পুষ্পরাণী মাহাত তৃতীয় স্থান অধিকার করে ।
পুষ্পরানীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন💐
জঙ্গলমহল রত্নগর্ভা,অনেক প্রতিভার জন্ম কিন্তু প্রশাসনিক সাহায্য, উদাসীনতা ফলে তাঁরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়,যদি জঙ্গলমহলের ক্রীড়া পরিকাঠামো ও প্রতিভাদের বিকশিত করার দিকে প্রশাসন ঠিক মতো নজর দেয় এবং সাহায্য করে,আমাদের বিশ্বাস পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহল আমাদের দেশকে বিশ্ব ক্রীড়া মঞ্চ থেকে অনেক সাফল্য, পুরস্কার এনে দেবে।

06/10/2024

প্রসঙ্গঃ- ভজহরি মাহাতো ও প্রাসঙ্গিক দু-চার কথা . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
১৯১১ সালে বিহারে মানভূমে কৃষক পরিবারে ভজহরি মাহাতোর জন্ম, বাবার নাম চুনারাম মাহাত। আর্থিক অনটনে পড়াশুনা সেভাবে করতে পারেননি। চাষবাসের কাজ করে সংসার চলছিল,আর্থিক সমস্যা মেটাতে মুদিখানার দোকান খোলেন, লোকসানের মুখে তাও বন্ধ হয়ে যায়।
মাত্র আঠারো বছর বয়সে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি-গায়ক । মানভূমের ঐতিহ্য মেনে ছৌনাচের দলও গঠন করেছিলেন।
নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন দেশ মাতৃকার সেবায় , ধন মন তন দিয়ে সারাজীবন করে গেছেন সেই সেবার কাজ। ছৌ-নাচের পালার মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে থাকেন। শুরু হয় সংঘাত। ব্রিটিশরা আইনী পদক্ষেপে (107 ধারা প্রয়োগ) বন্ধ করে দিতে চাইল ছৌদলকে, ব্রিটিশ সৈন্যকে মারধর করে জেলযাত্রা শুরু।
১৯৩৯ সালে গান্ধীজির সত্যাগ্রহে যোগ দিয়ে ৩ মাসের জেল, ৩০ টাকা জরিমানা।
জেল থেকে ফেরার পর আবার আন্দোলনে পথে নামার জন্য আরও ২ মালের জেল।
১৯৪১ সালে জেল থেকে বেরিয়ে আবার নতুন উদ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান।
১৯৪২ সালে শুরু হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন। মানভূমের মানুষ বরাবরই স্বাধীনচেতা , বিশ্বাসযোগ্য। তাই এখানে বারবার আসতেন, রনকৌশল তৈরী করতেন গান্ধীজি থেকে নেতাজী, রাজেন্দ্রপ্রসাদ থেকে নিবারন দাসগুপ্ত। স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল মানভূম কংগ্রেসের। প্রমাদ গুনল ব্রিটিশরা। আন্দোলন ঘোষনার রাতেই মানভূমের প্রথম শ্রেনীর নেতাদের গ্রেপ্তার করল। আন্দোলনের পুরো দায়িত্ব এখন হেমচন্দ্র মাহাতো, গিরিশ মাহাতো, সত্য কিঙ্কর মাহাতো সহ ভজহরি মাহাতোর উপর। সত্যাগ্রহীদের দুর্ভেদ্য পাহারায় মিটিং,শলা পরামর্শ, পরিকল্পনা হতে লাগল জিতান গ্রামে। অবশেষে এল সেই সন্ধিক্ষন। ভজহরি মাহাতোর সুযোগ্য নেতৃত্বে সত্যাগ্রহীরা বান্দোয়ানে তহশিলদারের অফিস ধ্বংস করেন, বান্দোয়ান থানা দখল করে ব্রিটিশ পতাকা খুলে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৪২।

শুরু হয় ধরপাকড়, গ্রেপ্তান হন ভজহরি মাহাতো, সাতবছর জেল হয়, জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভজহরি মাহাতো সহ বাকিরা সেই স্বপ্নের সকাল, বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতার স্বাদ পান।

১৯৪৮ সালে গঠিত লোক সেবক সঙ্ঘ, কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন লোক সেবক সঙ্ঘে। স্বাধীন ভারতে ভাষা আন্দোলনের মুখ হন তিনি। তাঁর লেখা টুসু গান "শুন বিহারী ভাই, তরা রাইখতে লারবি ডাং দেখাঞ" মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। বিহার সরকারের বিষনজরে পড়েন, ভাষা আন্দোলনের জন্য কয়েকবার জেল যেতে হয় এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে স্বাধীন ভারতেও। কিন্তু তিনি দমবার পাত্র ছিলেন না আরও তীব্র করেন বাংলা ভাষা আন্দোলন, পুঞ্চা থানার পাখবিড়রা গ্রাম থেকে দীর্ঘ পদযাত্রা সম্পন্ন হয় কলকাতা পর্যন্ত। অবশেষে মানভূম ভেঙে পুরুলিয়া বিহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বঙ্গভূক্ত হয় ১ লা নভেম্বর, ১৯৫৬।

১৯৫২ সালে প্রথম সাধারন লোকসভা নির্বাচন হয়। মানভূম সাউথ তথা ধলভূম (তখন পুরুলিয়ার জন্ম হয়নি) থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন, বাংলা ভাষায় প্রথম শপথ গ্রহন করেন লোকসভায়। পরবর্তী কালে পরপর দুবার পুরুলিয়া লোকসভা থেকে (১৯৬২-৭২) সাংসদ হিসাবে জয়লাভ করেন ।

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বান্দোয়ান ঋষি নিবারন চন্দ্র বিদ্যাপীঠ, বান্দোয়ান বালিকা বিদ্যালয় সহ বহু স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁর উদ্যোগে। এমনকি ব্যক্তিগত সামান্য যে টুকু জমি বেঁচে ছিল তাতেও সরকারী স্কুল তৈরী হয়েছে পরবর্তীকালে।

অত্যন্ত সাধারন জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রচন্ড আর্থিক সংকটে শেষ জীবনটা কাটান। অবশেষে ২০০৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর প্রয়াত হন। ভাবতে অবাক লাগলেও দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী শান্ত মাহাতকে নিয়ে ছিল তাঁর অস্বচ্ছল জীবনযাত্রা। কৌতুহল বসত আমরা গিয়েছিলাম উনার বাড়ি। এক ছেলে ছোটখাটো একটা চাকরী করতেন বলে চলনসই জীবনযাপন করলেও আরেক ছেলের পরিবার চরম দুর্দশার মধ্যেই আছেন।

- না, কেন্দ্র বা রাজ্যসরকারের কোন সহযোগীতা পাননি ভজহরি মাহাত বা উনার উত্তরসূরীরা। উনি ছিলেন দেশের ও দশের সেবক তাই তিন তিন বার সাংসদ হয়েও পদের অপব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করেননি।

- যে দলের জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে লড়াই করে গেছেন, দলকে মজবুত করেছেন, দলকে ক্ষমতায় এনেছেন সেই দলও নিজেদের অভিসন্ধি পূরন হওয়ার পর কেটে পড়েছে। ১৯৬৭ তে নির্বাচনের পরই তিনি হয়তো বুঝেছিলেন, তাঁর অনুগামীরাও বুঝেছিলেন কিন্তু নিরবে মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

- দেশের প্রথম এবং বৃহৎ ভাষা আন্দোলন বাংলা ভাষা আন্দোলন, যা নিয়ে বাঙালীদের গর্বের অন্ত নেই। সেই বাঙালী বুদ্ধিজীবি সমাজ, বাঙালী সুশীল সমাজ অদ্ভূতভাবে নীরব ভজহরি মাহাতো সম্পর্কে, যে বা যারা টুকু চিৎকার করে তা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে, দু পয়সা কামাবার স্বার্থে, নিজেকে বাংলাপ্রেমী প্রমান করার স্বার্থে।

- স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনে ভজহরি মাহাতোর যা অবদান তাতে তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা দরকার খোদ কলকাতা শহরেই। কলকাতাতেই তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকার কথা উনার নামে, একটা মেট্রো স্টেশনের নাম তো নিদেন পক্ষে রাখায় যায়। সেটা তো দূরের কথা নিজের জেলাতেই কোন কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ের নামকরন করা হয়নি উনার স্মৃতিতে। হবেই বা কেন! উদ্বাস্তু বাঙালির স্বার্থ ছিল CNT act কে লঘু করে জমি নিলাম করা, হয়েওছে তাই। '55 তে ল্যান্ড act এনে '56 তেই মানভূম ভাগ। সেই দাবার বড়ে দরকার ছিল তাদের।

পুরুলিয়ার বঙ্গভূক্তি যৌক্তিক না অযৌক্তিক সে বিষয়ে বিভিন্ন মত থাকতেই পারে । কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে উনার যা ভূমিকা তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

পুরুলিয়াকে যারা ভালোবাসেন, যারা পুরুলিয়ার বঙ্গভূক্তিতে আনন্দিত তাঁরা কি শুধু ১ লা নভেম্বর উৎযাপন করেই খুশি ? জানতে চাইবেন না কারা কিভাবে কত সংগ্রামের মাধ্যমে এই দিনটা এনে দিয়েছেন? আপনারা কি চান না তাঁদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে কিছু একটা করা হোক?

তাই যারা পুরুলিয়াকে ভালো বাসেন, পুরুলিয়ার মানুষ বলতে গর্ববোধ করেন সকলেই আসুন একসাথে হাত মিলিয়ে কাজ করি । পুরুলিয়ার বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, ভাষা আন্দোলনের মুখ তথা পুরুলিয়া জেলা গঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ভজহরি মাহাতোর জন্য কিছু করি।
সাথে পুরা পশ্চিমবাংলার সবাই আসুন যারা বাংলাভাষা আন্দোলন নিয়ে গর্ববোধ করেন।

আপাতত আমরা সাংগঠনিক ভাবে "কুড়মি সেনা"- র পক্ষ থেকে ভজহরি মাহাতোর নিজের অঞ্চলে অবস্থিত বান্দোয়ান কলেজের নাম ভজহরি মাহাতোর স্মৃতিতে " বান্দোয়ান ভজহরি মাহাতো স্মৃতি মহাবিদ্যালয়" রাখা হোক এই দাবী জানালাম।

অপেক্ষায় রইলাম পুরুলিয়া তথা আপামর পশ্চিমবাংলার মানুষের সমর্থনের প্রত্যাশায়। আমরা আশাবাদী পুরুলিয়া তথা পশ্চিমবাংলার মানুষ ভজহরি মাহাতোর সুমহান কর্মকান্ডের প্রতিদানে এই উদ্যোগকে দুহাত তুলে সমর্থন জানাবেন।

#বাংলাভাষা #আন্দলোনকারি #পুরুলিয়া #বান্দোয়ান।।

30/09/2024

"1942 এর 29 শে সেপ্টেম্বর অধুনা মানভূম জেলায় প্রথম ব্রিটিশ পতাকা ফেলে ভারতীয় তেরঙ্গা আকাশ ছুঁয়েছিল "

"আয় কে যাবি ভাই,
আয় কে যাবি ঝুমুর গানের দেশ
এই দেশেতে শুধুই সোনা, চিনে যারা রসিক জনা,
বালি ধুলে পাবি সোনা, শুনে যা উদ্দেশ।।

এই দেশেতে ধূলি মাথায় করে, কত বীর শহীদ হল মাটির তরে,
চুনারাম গোবিন্দ নীলমণি সিং, লালমুহাদের লাচাঞছিল বেশ।।"

ঝুমৈরটি প্রখ্যাত ঝুমরিয়া, লালন পুরষ্কার প্রাপ্ত শিল্পী মিহির লাল সিং দেও এর রচনা। ঝুমরিয়া আজ আমাদের সাথে নেই, নমোনমো করে বেঁচে আছে তাঁর সৃষ্টি। অথচ লাউডগারর মতো লকলক করছে 'আল ফাল পাল'এর মতো অনাসৃষ্টিগুলো। ধিনচ্যাক সংস্কৃতির পূজারী পূজারিণীদের সময় কোথায়- সোঁদামাটির গন্ধমাখা সুরে গলা ভেজানোর! রুখামাটির ভুখাসন্তানদের বিন্যস্ত পদগুলিতে উঁকি মারার!

ডুংরি পাহাড়ের ঘেরন্দা, অন্যদিকে কাঁসাই শিলাই সবন্নাখা, ঢেউখেলানো ছোটনাগপুর প্রাকৃতিকভাবে সম্পদশালী হলেও- প্রথাগত শিক্ষার দিক থেকে পশ্চাৎপদ, অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছন্দ, রাজনৈতিক ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে দূরবর্তী, তা বলাই বাহুল্য। তাই স্বাভিমানবোধে ভরপুর, মানভূঁইয়ারা দশ ও দেশের কল্যাণে বহুবার প্রাণদান করে ইতিহাস রচনা করলেও, তাঁদের জীবনেতিহাস বিধৃত হয় নি পুঁথির পাতায়। সাবেক মানভূম তথা অধুনা সীমান্তবাংলার সংস্কৃতি, জীবনচরিত ও ইতিহাসের চলমান দলিল হল এই অঞ্চলে প্রচলিত গানঝুমৈরগুলি। উপরোক্ত ঝুমুরকলিটির মধ্যে আধফোটা হয়ে রয়েছে এমনই এক রক্তমাখা ইতিহাস!

তখন পরাধীন ভারতবর্ষ, সালটা ১৯৪২। "ইংরেজ তুমি, ভারত ছাড়ো"- এই শ্লোগানে মুখরিত চারদিক। শহীদ রঘুনাথ মাহাতোর রক্তভেজা বীরমাটি বরাবরই বিপ্লবের আঁতুড়ঘর। কাজেই মানভূম, সিংভূমে আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। আগষ্ট মাসের ১৭ তারিখ শতসহস্র নারীপুরুষ পুরুলিয়ার রাস্তায় মিছিল করেন, আদালত চত্বরে জমায়েত করে বিদেশী খেদানোর শপথ নেন। সেদিনই ছাত্র বিক্ষোভে কেঁপে ওঠে ধানবাদ বাজার, আন্দোলনের দাবদাহে ভস্মীভূত হয়ে যায় পোস্ট অফিস। গণবিক্ষোভ সামাল দিতে শুরু হয় দমনপীড়ন, জারি করা হয় কার্ফু! ব্ল্যাক ওয়াচ রেজিমেন্টের সেনা মোতায়েন করা হয় খোদ ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইন্স এর ক্যাম্পাসে। বিপ্লবের দাবানল যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য নাকাবন্দী করা হয় মানভূমের রঘুনাথপুর, সিংভূমের চক্রধরপুরে- রেল ও সড়ক উভয় পথেই!

জেলার প্রবীণ বিপ্লবী তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তখন রয়েছেন কারান্তরালে। আগষ্ট মাসের ১০ তারিখে শিল্পাশ্রম থেকে তাঁদের আটক করেছিল বৃটিশ পুলিশ। তাই প্রবল প্রতিপক্ষ ইংরেজদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে ও বিক্ষুব্ধ জনগণকে একত্রিত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন একদল যুবক। নেতৃত্বের ভার এসে পড়েছে সাগর মাহাতো, চিত্তভূষণ দাশ গুপ্ত, বড়কা মাঝি প্রমুখ অপেক্ষাকৃত নবীন বিপ্লবীর কাঁধে। বান্দোয়ানের জিতান গ্রামের মীটিং থেকে ঠিক হল- তাঁরা অবিলম্বে জেলার সমস্ত থানাকে বৃটিশমুক্ত করবেন। সঙ্গে চলবে হরতাল ও পিকেটিং।

১৯ শে আগষ্ট, পুরুলিয়াতে মদভাটির সামনে পিকেটিং করে গ্রেপ্তার বরণ করলেন ৭ জন বিপ্লবী। একই দিনে বিপ্লবের বহ্নিশিখায় দগ্ধ হল সমগ্র বলরামপুর, পালিত হল হরতাল। স্বাধীনতাকামী ছাত্রদের আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে গেল ঝালদা এইচ. ই স্কুল ও মানভূম ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশন। পরদিন ছাত্রদের আন্দোলন আরো ঘনীভূত হল, বিক্ষোভে যোগ দিলেন রঘুনাথপুর এইচ. ই ও বেড়ো এইচ. ই স্কুলের ছাত্ররা। আন্দোলনকারীরা ছিন্নভিন্ন করে দিলেন আদ্রা রঘুনাথপুরের টেলিগ্রাফ সংযোগ।

এভাবেই জেলাজুড়ে চলল বিক্ষোভ কর্মসূচী। অত্যাচারী ইংরেজদের রক্তচোখ উপেক্ষা করে স্বাধীনতা আদায়ের যুদ্ধে পথে নামলেন হাজার হাজার মানভূঁইয়া। ২১ শে আগষ্ট পুরুলিয়ার মদভাটির সামনে পিকেটিং থেকে গ্রেপ্তার করা হল ৯ জন আন্দোলনকারীকে। ২২ তারিখ পুরুলিয়া, ২৩ শে বরাবাজার আবার ২৪ শে আগষ্ট ঝালদা- উত্তাল মানভূমে তখন হরদিন হরতাল! ২৪ তারিখ জনরোষের শিকার হল ঝালদা স্টেশন, খুলে দেওয়া হল মুরি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী সুবর্ণরেখা সেতুর ফিশপ্লেট।

ইতিমধ্যে মানবাজার ও পটমদা থানায় ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলনের ব্যর্থ চেষ্টা করেন বিপ্লবীরা। না, তৃতীয়বার আর বিফল হন নি তাঁরা। ২৬ শে আগষ্ট সারা মানভূম বীরোচিত ভঙ্গীমায় তাকিয়ে দেখল- বান্দোয়ান থানার মাথায় পতপত করে উড়ছে বিপ্লবীদের বিজয়পতাকা! অতঃপর প্রমাদ গোণে বৃটিশ শক্তি, নির্বিচারে জেলবন্দী করা হয় আন্দোলনের নেতাদের। প্রতিবাদে ছড়রা এরোড্রামে সত্যাগ্রহে বসেন জমিদাতারা। কেটে দেওয়া হয় কেঁদুয়াডি(ধানবাদ) থানার টেলিফোন সংযোগ। ৩০শে আগষ্ট পাড়া থানার দুবড়া অঞ্চলে পালিত হয় সার্বিক ধর্মঘট।

আগষ্ট শেষ হলেও 'আগষ্ট ক্রান্তি' তখন মধ্যগগনে। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই বিদ্রোহের আঁচে ফুটে ওঠে বলরামপুর থেকে রঘুনাথপুর। ৫ই সেপ্টেম্বর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রঘুনাথপুর ডাকঘর। ৭ তারিখে বিদ্রোহীদের রোষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় লধুড়কা গ্রামের তিনটি ফিরিঙ্গী কুঠি। প্রায় প্রতিদিন চলতে লাগল বিলিতি মদের দোকানের সামনে পিকেটিং! একদিকে চলল আদ্রা ও পুরুলিয়াতে গান্ধীজির বার্তা বিতরণ; অন্যদিকে টেলিফোন, রেল লাইন কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকরণ।

ক্রমে তীব্র থেকে তীব্রতর হল বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন। বিক্ষুব্ধ জনগণের হাতে আক্রান্ত হল হুড়া, মানবাজার, পটমদা প্রভৃতি একের পর এক থানা। সেবার স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বিপ্লবীদের বিজয়কেতন উত্তোলিত হয় একাধিক থানা প্রাঙ্গণে। হিজলা গ্রাম নিবাসী ভীম চন্দ্র মাহাতোর নেতৃত্বে মথন চন্দ্র মাহাতো, জনার্দন মাহাতো, লছু শবর প্রমুখ সংগঠিত করেন বরাভূঁইয়াদের। তাঁদের সম্মীলিত আক্রমণে ধূলিসাৎ হয়ে যায় বরাবাজার থানা। এই অঞ্চলের মদভাটি, পোস্ট অফিস - কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় আন্দোলনের আঘাতে। একাধিক চৌকিদারি তহবিল লুঠ করা হয়। লিকি গ্রামে রাস্তা কেটে বরাবাজার ও বান্দোয়ানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এই সময়, লধুড়কা-হুড়া, পুরুলিয়া বরাকর রোড, বলরামপুর-বরাবাজার রোড, বরাবাজার-কুইলাপাল রোড সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের অভিঘাতে।

পরিস্থিতি যখন এমনই অগ্নিগর্ভ, স্বাভাবিক ভাবেই আগুনের উত্তাপ এসে পৌঁছেছিল তরুণদলের হৃদয়ে। বাপত্যা জমিতে চাষবাসের সাধারণী জীবনের মায়া ছেড়ে তাঁরা নাম লিখিয়েছিলেন আন্দোলনে। এমনই দুই ব্যক্তি- চুনারাম মাহাতো ও গোবিন্দ মাহাতো। চুনারাম মাহাতোর বাড়ি মানবাজার থানা কুদা গ্রামে, পিতার নাম বিশ্বেশ্বর মাহাতো। গোবিন্দ মাহাতোর বাড়িও মানবাজার থানাতেই, পিতা বিষ্ণু মাহাতো। গোবিন্দ তখন তৈরি ছেলে! ইতিমধ্যে আইন অমান্য আন্দোলনে(১৯৩০) সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছেন। পুরোনো সৈনিক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব বেশি। দু'জনেই নদীপারের ছেলে- প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। লাঠিধরা, তীরমারা, টাঙি ঘোরা- এসব তো জন্মগত! বোরোর ভাটি লুঠ, দুয়ারসিনীর তহসিলদারের খাতা পত্র লুঠ- সবেতেই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কারণেই মানবাজার এলাকার নেতৃবৃন্দ তখন যথেষ্ট উজ্জীবিত। বান্দোয়ান থানা পোড়ানোর পর থেকে জনপ্রিয় নেতা সাগর পণ্ডিত তখন জেলবন্দী! তথাপি পার্শ্ববর্তী বান্দোয়ান ও বরাবাজার থানায় ২৯শে সেপ্টেম্বর একযোগে উড়লো ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা। এই অবস্থায় বিপ্লবের আগুন বুকে নিয়ে এক ঝাঁক বীরসন্তান রচনা করেন- মানবাজার থানা পোড়ানোর নীলনকশা। হেমচন্দ্র মাহাতোর নেতৃত্বে মানবাজারের অদূরে চেপুয়া গ্রামে কাতারে কাতারে গ্রামবাসী হাজির হলেন। তাঁদের হাতে গৃহনির্মিত অস্ত্রশস্ত্র, বুকে অসম সাহস! পূর্বপরিকল্পনা মতোই, ৩০শে সেপ্টেম্বর, বাংলা ১৩ই আশ্বিন তাঁরা একযোগে আক্রমণ করলেন মানবাজার থানা। আধুনিক অস্ত্রধারী পুলিশের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে বুলেটবিদ্ধ হলেন, আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা গিরীশ মাহাতো, হেম চন্দ্র মাহাতো, গোবিন্দ মাহাতো প্রমুখ। এই দুঃসাহসিক সম্মুখ সমরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুখে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করে বীরগতি প্রাপ্ত হলেন চুনারাম মাহাতো। গুরুতর জখম গোবিন্দ মাহাতোকে সহযোদ্ধারা চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, সেদিনই তাঁর মৃত্যু ঘটে। গুলির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত অসংখ্য নাম না জানা বীর বিপ্লবী- মানবাজার থানা চত্বরে নিজের রক্তে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন আঁকেন সেদিন।

মানবাজার থানা আক্রমণের দুঃসাহসিক ঘটনা চাউর হতেই, মানভূমের আনাচে কানাচে বিপ্লবের ধিকিধিকি আগুন দপ করে জ্বলে ওঠে। দরোডি গ্রামস্থিত সামরিক ক্যাম্পকে সাইড লাইন্ড করে, প্রতিস্পর্ধী জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় পুঞ্চা থানায়। ৩রা অক্টোবর বলরামপুর পুরুলিয়া রোডের টেলিগ্রাফ সংযোগ, ৫ই অক্টোবর বাঘমুন্ডির পোস্ট অফিস- গণঅান্দোলনে ভেঙে পড়ে একের পর এক যোগাযোগ মাধ্যম। ৭ ই অক্টোবর, মানবাজার থানার গুলিচালনার প্রতিবাদের ফলস্বরূপ বরাবাজারে বুলেটাঘাতে শুইয়ে দেওয়া হয় ছ'জন প্রতিবাদী তরুণকে। ক্ষোভে, ক্রোধে উন্মত্ত জনগণ ৮ তারিখে ঝরিয়ার ডিমগড় থানা জ্বালিয়ে দেয়। ১০ই অক্টোবর চন্দনকিয়ারী থানার ভোজুডি পুলিশ চৌকিতে বহ্ন্যুৎসব পালন করেন ক্রান্তিবীরেরা।

নির্মম গুলি চালনা, যথেচ্ছ ধরপাকড়, ধৃতদের উপর অস্বাভাবিক জরিমানা নির্ধারণ প্রভৃতি দমনমূলক নীতি প্রয়োগ করে আন্দোলনের তীব্রতাকে সাময়িক ভাবে কমানো গেলেও, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদানকারীদের মধ্যে যে জাতীয়তাবোধ সঞ্চারিত হয়েছিল- ইংরেজদের পক্ষে তাতে আঁচড় কাটা সম্ভব হয় নি। মুখ্য সচিবকে লেখা মানভূমের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনারের চিঠিই তার প্রমাণ। ২৩শে ডিসেম্বর, ১৯৪২ সালে লেখা চিঠির বয়ান নিম্নরূপ,--
"The movement has been driven underground and subversive forces will undoubtedly come into play as soon as opportunity occurs again."

অতঃপর, আমার দেশ, আপনার দেশ, চুনারাম গোবিন্দ মাহাতোর দেশ স্বাধীন হল। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার রৌপ্যজয়ন্তীতে সরকার বাহাদুর ঘোষণা করলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভাতা দেওয়ার। নাঢ়া কাটা নেতাদের নামে হল জিন্দাবাদ, শহীদরা পড়লো গোটাই বাদ! ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভাতা প্রাপকদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন শহীদ গোবিন্দ মাহাতোর বিধবা পত্নী। এলিটদের লেখা দলিলে কোথাও ঠাঁই হল না- চুনারাম, গোবিন্দ মাহাতোর। কোনোদিনও স্কুল, কলেজে ঘটা করে "লহ প্রণাম" বা "শহীদ তোমায় ভুলি নি"র নৈবেদ্য সাজানো হলো না। এজন্য দুঃখ হয় না, করুণা হয়- একচোখা ঐতিহাসিকদের প্রতি। লজ্জা হয় নিজেদের প্রতি- আমরাই কি শহীদদের যথাযথ সম্মান দিয়েছি? আসলে চুনারাম-গোবিন্দ বোধহয় এমন দুটি পর্বতশৃঙ্গ! আমরা ডুংরি ঘেরা মালভূমির লোক, পর্বতের মর্ম এখনো বুঝতেই পারি নি। ঘরদুয়ারের দুই মহীরূহকে বাদ দিয়ে আমরা জামঢুঁঠু ধরে বসে আছি!

তথ্যসূত্র:
১। Who's Who of Indian Martyrs VOL-I, edited by P.N Chopra

২। History of The Freedom Movement in Bihar VOL-III, by K.K Dutta, published by the govt. of Bihar, Patna, 1958

৩। আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৪ই আগষ্ট, ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন।

লেখক : অমরেশ মাহাত

KUDMi/KUDMALI voices

18/09/2024

সকল জঙ্গলমহল বাসী কে
ভাদু পরব ও ছাতা পরবের শুভেচ্ছা জানাই 🙏

30/08/2024

ম‍্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী প্রখ্যাত সাংবাদিক পি. সাইনাথ (দ‍্যা হিন্দুর প্রাক্তন সম্পাদক) এর ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর লিখিত বই - "The Last Heroes : Footsoldiers of Indian Freedom".
সেই বইতে ভবানী মাহাত নামে মানভূম তথা বর্তমান পুরুলিয়া জেলার চেপুয়া গ্রামের এক মহীয়সী নারীর কথা উল্লেখ ছিলো।
স্বামী বৈদ্যনাথ মাহাত ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন,এর ফলস্বরূপ ওনার ১৩মাসের জেল হয় সুদূর বিহারের ভাগলপুরে।কিন্তু ভবানী মাহাত ভেঙে পড়েননি,জীবনযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে আসেননি। দেশমাতৃকাকে ব্রিটিশ বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি মানবাজারের পরবর্তী ব্রিটিশ বিরোধী অন্যান্য অনেক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
অত্যন্ত দুঃখের খবর আজকে (৩০.০৮.২০২৪) সেই বীরাঙ্গনা ভবানী মাহাত ১০৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
ওনার চরণে প্রণাম জানাই🙏
(নীচে যে ছবিটি দেওয়া আছে সেটি ১৯৮০-এর দশকে তোলা;ভবানী মাহাতো (মাঝে) তার স্বামী বৈদ্যনাথ এবং বোন উর্মিলার সাথে)
ওনার জীবন নিয়ে বিস্তারিত জানতে পি সাইনাথের The Last Heros বইটি পড়ুন।
ওনার সংগ্রামী জীবন নিয়ে কিছু আর্টিকেল লিঙ্ক:
1.https://ruralindiaonline.org/en/articles/when-bhabani-mahato-fed-the-revolution/

2.https://www.counterpunch.org/2022/05/09/when-bhabani-mahato-fed-the-revolution/

3.https://bengali.abplive.com/district/purulia-resident-bhabani-mahato-wife-of-freedom-fighter-baidyanath-mahato-played-a-crucial-role-in-independence-but-is-not-regarded-for-it-1001133

4.https://www.slurrp.com/article/independence-day-2023-kasturba-gandhi-bhabani-mahato-amp-the-women-who-fed-indias-revolutionaries-1692012529922

5.https://theprint.in/pageturner/excerpt/the-woman-who-cooked-her-way-into-the-story-of-indias-freedom-movement/1259650/

Information Source - Rajesh Keshriyar

🇮🇳🇮🇳🇮🇳

13/12/2023

এই সপ্তাহের ভাইরাল ভিডিও ।।

ইংরেজির শিক্ষক (JNV ) মাননীয় হরিপদ মাহাতোর কন্ঠে একটি অসাধারণ ঝুমুর গান ।।

#ঝুমুর #গান ।।

03/11/2023

'' #পুরুলিয়া_জেলায়_প্রথম_নলকূপের_ইতিহাস''

#প্রাত্তন_Mp, #পুরুলিয়ার_রূপকার #দেবেন_মাহাত 🙏

পুরুলিয়া জেলায় যখন একটিও নলকূপ ছিলনা তখন প্রয়াত সাংসদ দেবেন বাবু পুরুলিয়ায় পানীয় জলের সংকট এর জন্য ডিপ টিউবওয়েল এর প্রপোজাল দেন।কিন্তু তৎকালীন PWD engineerগণ report দেন পুরুলিয়া জেলা rocky soil তাই এখানে deep tube well হবে না ।এই বিষয়ে তিনি বার বার cm কে বলেন ,তখন cm technical problem বলে proposal কে রিজেক্ট করে দেন। তখন দেবেন বাবু পুরুলিয়া অধিক কুপ খননের উপর জোর দেন।এ দিকে ১৯৭১_৭২ পুরুলিয়া র ছররাতে রিফিউজির জন্য ক্যাম্প করা হয়।তখন সেখানে রাতারাতি ডিপ টিউব ওয়েলের ব্যবস্থা করা হয়। তখন বিষয়টি তৎক্ষণাৎ মুখ্যম্ত্রীকে জানান যে ছররা উদ্বাস্তু ক্যাম্প এ কি ভাবে নলকূপ খনন হলো তাতে দেবেন বাবু র সাথে cm এর প্রচুর সংঘাত ঘটে।pwd engineer দলের ট্রান্সফার করা হয় এই ঘটনার পর।অবশেষে ছাররা সহ পুরুলিয়া জেলার সর্বত্রই টিউব ওয়েল খনন করা যাবে এই সরকারি নির্দেশ কার্যকর হয়. পুরুলিয়া জেলায় প্রথম নলকূপ ছররাতে রিফিউজির ক্যাম্প এ হয় ।

লেখা 👉 #আমজাদ_কাজী

29/10/2023

প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ ডক্টর পশুপতি প্রসাদ মাহাত -র জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রনাম।
_______________________________________
⭐সম্মান -
1. ডি.লিট - রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়
2. সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপক - সাগর বিশ্ববিদ্যালয় (MP)
3. সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপক - ভুবনেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় (ওড়িশা )
4. সাহিত্য রত্ন - বিনোভা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, হাজারীবাগ
5. কাউন্সিল সদস্য - SKBU, পুরুলিয়া
6. বঙ্গরত্ন
7. ঝাড়খন্ড রত্ন
8. লাইফ মেম্বার - এশিয়াটিক ভাষা সোসাইটি
9. লাইফ ফেলো অফ ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্স
10. সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অফ ASI

14/10/2023

বান্দোয়ান এলাকার বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও এম পি ভজহরি মাহাত কে স্মরণ রাখতে বান্দোয়ান কলেজের নাম "ভজহরি মাহাত মহাবিদ্যালয় " রাখার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে কুড়মি সেনার পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হল।

23/03/2023

♥️😍