Mgh Islamik Tv

Mgh Islamik Tv " আমাদের আল্লাহ ও আল্লাহ পাকের রাসুল (সা:) " নাবীদোজাহানের বাদশার কথা আলোচনা করার এই ইসলামিক পেজ !!

🌷আল্লাহর যিকির: সুফল ও উপকারিতা:🌷👇🆗👇🌹🆗🌹----------✴[পার্ট : ০৬]✴----------✅*৯.* হযরত আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আন...
13/12/2024

🌷আল্লাহর যিকির: সুফল ও উপকারিতা:🌷👇🆗👇🌹🆗🌹
----------✴[পার্ট : ০৬]✴----------
✅*৯.* হযরত আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, এক হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, বান্দা যতোক্ষণ আমাকে স্মরণ করতে থাকে এবং আমার যিকিরের কারণে তার ঠোঁট নড়তে থাকে, ততোক্ষণ আমি তার সাথে থাকি। (অর্থাৎ আল্লাহর রহমত তার সাথে থাকে)। *(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১০৯৬৮; ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩৭৯২)*

✅*১০.* হযরত আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) ও হযরত আবু সায়ীদ (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* বলেছেন, যখন কিছু মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করে তখন ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখেন, আল্লাহর রহমত তাদেরকে ঢেকে নেয়, এবং তাদের উপর সাকিনা নাযিল হয়, আর আল্লাহ্ তা'আলা তার নিকটতম ফেরেশতাদের সামনে তাদের কথা উল্লেখ করেন। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৭০০; শুআবুল ঈমান, হাদীস : ৫৩০)*

✅*১১.* হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* বলেছেন, আল্লাহর যিকিরের চেয়ে আযাব থেকে অধিক নাজাত দানকারী আর কোনো আমল নেই। *(মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস : ১৬৭৪৫)*

✅*১২.* হযরত আনাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* বলেছেন, যখন কিছু মানুষ আল্লাহর যিকিরের জন্য একত্রিত হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তখন আসমান হতে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে এবং তোমাদের গোনাহসমূহ নেকীতে পরিণত হয়েছে। *(মুসনাদে আহমদ ৩/১৪২, হাদীস : ১২৪৫৩; শুআবুল ঈমান, হাদীস : ৫৩৪)*🔚
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
❤DUA=MEI=YAAD=RAKHNA❤

*_জুমার দিনে হাদিসে বর্ণিত ১০টি করণীয় সুন্নত আমল..._*সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল— জুমা...
13/12/2024

*_জুমার দিনে হাদিসে বর্ণিত ১০টি করণীয় সুন্নত আমল..._*

সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল— জুমার নামাজ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এ দিনে ১০টি করণীয় সুন্নত আমল উল্লেখ করেছেন। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো:-

১.গোসল করা (বুখারি: ৮৭৭)

২.মিসওয়াক করা (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)

৩.উত্তম পোশাক পরিধান করা (আবু দাউদ: ৩৪৩)

৪.সুগন্ধি ব্যবহার করা (বুখারি: ৮৮০)

৫.মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩)

৬.কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা (বুখারি: ৯১১)

৭.নামাজের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই নামাজ আদায় করা (আবু দাউদ: ৮৬২)

৮.নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ নামাজের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা (বুখারি: ৯৩০)
৯.গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা (বুখারি: ৮৮৩)

১০.পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া (মুসলিম: ১৪০০)

উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এ জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।
-(আবু দাউদ: ৩৪৩)
______ _______

( মৃত্যু...❗

মৃত্যু আসিতেছে...❗
যেকোনো বয়সে...❗
যেকোনো সময়...❗
যেকোনো জায়গায়...❗যেকোনো অবস্থায়...❗

আমাকে থামিয়ে দিবে...❌

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌

আমি কি তৈরি...❓

আমাদের ফেসবুক পেজ islamik tv

ইয়াওমুল জুম'আ রিমাইন্ডার: ❤️❤️★ সূরা কাহফ ★ অধিক পরিমাণে দরূদ ও সালাম পাঠ★ বেশি বেশি দু'আ ও ইস্তিগফার
05/12/2024

ইয়াওমুল জুম'আ রিমাইন্ডার: ❤️❤️
★ সূরা কাহফ
★ অধিক পরিমাণে দরূদ ও সালাম পাঠ
★ বেশি বেশি দু'আ ও ইস্তিগফার

সবাই বেশি বেশি দরুদ পড়ুন 😍😍আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহ...
28/11/2024

সবাই বেশি বেশি দরুদ পড়ুন 😍😍
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম !!

28/11/2024

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

দুরূদ শরীফ ও সালাম পড়ার অলৌকিক ঘটনা1. ভারতে একবার একজন আলিম ইন্তেকাল করেছিলেন এবং দেখা গেছে যে এক মাস ধরে তার বিছানা থে...
15/11/2024

দুরূদ শরীফ ও সালাম পড়ার অলৌকিক ঘটনা

1. ভারতে একবার একজন আলিম ইন্তেকাল করেছিলেন এবং দেখা গেছে যে এক মাস ধরে তার বিছানা থেকে এবং তার পুরো ঘর থেকে মিষ্টি সুগন্ধি উঠত। লোকেরা এই রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তার জামাতা বলেন, আলেমরা প্রতি শুক্রবার রাতে তার বাড়িতে দুরূদ শরীফ পাঠ করতেন। সুগন্ধি ছিল দুরূদ শরীফ পাঠের ফলে।

2. অন্য একটি ঘটনায়, একজন ক্যালিগ্রাফার মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখেছিলেন, যিনি একজন মহান পাপী ছিলেন, তার মৃত্যুর পর তাদের স্বপ্নে সম্পূর্ণ আড়ম্বর ও মর্যাদার সাথে স্বর্গে বসে থাকতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন যে, তিনি এই সমস্ত সুবিধা লাভ করেছেন কারণ তিনি যখনই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম আসতেন তখনই তিনি দুরূদ লিখতেন।

3. শায়খ জারদাক (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, যখন দুরূদ শরীফ গ্রন্থের লেখক মারা যান, এক মাস তার কবর থেকে ফুলের সুগন্ধি উঠত।

4. “রাহহাতুল কুলূব”-এ বর্ণিত আছে যে, একদা এক সুলতান ছিলেন যিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ছয় মাস অতিবাহিত হলো কোনো চিকিৎসা ছাড়াই। কিছু লোক সুলতানের কাছে গিয়ে বলল যে, হযরত শেখ আবু বকর শিবলী (রাদিআল্লাহু আনহু) শহরে এসেছেন। সুলতান মহান দরবেশকে দেখতে এবং তার স্বাস্থ্যের জন্য দু'আ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। শেখ আবু বকর শিবলী (রাদি আল্লাহু আনহু) তার অনুরোধে সুলতানের কাছে গিয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন যে সুলতান তার প্রজাদের প্রতি অত্যন্ত উদার এবং তিনি একজন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তিও ছিলেন। শেখ আবু বকর শিবলী (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন সুলতানের বিছানার পাশে বসলেন, তিনি সুলতানকে আশ্বস্ত করলেন যে তিনি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন। শেখ আবু বকর শিবলী (রাদিআল্লাহু আনহু) তারপর কয়েকটি দুরূদ শরীফ পাঠ করলেন এবং সুলতানের দেহ বরাবর তাঁর হাত দিলেন। কয়েক মিনিট পরে, সুলতান স্বপ্ন থেকে জেগে উঠলেন। তার মনে হলো সে কখনো অসুস্থ ছিল না।

5. মিশরে আবু সাঈদ খায়্যাত নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তি বাস করতেন। তিনি বাকি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেন। কয়েক বছর পর, লোকেরা তাকে একজন মহান ব্যক্তি হযরত ইবনে রাশিক (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর সান্নিধ্যে বসে থাকতে দেখে। শহরের লোকেরা আশ্চর্য হয়ে তার উপস্থিতি জানতে চাইল। তিনি প্রকাশ করেছেন যে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে স্বপ্নে হযরত ইবনি রাশিকের সভা-সমাবেশের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে বলেছিলেন যেহেতু তাঁর সভায় প্রচুর সংখ্যক দুরূদ শরীফ পাঠ করা হয়েছিল।

6. একদিন বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি মারা গেল। লোকেরা তাকে দাফন করতে অস্বীকার করে। তারা তার লাশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেয়। তারা সবাই তাকে মহাপাপী মনে করত।

তখন হযরত মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী পেলেন, "হে মুসা! আমার মনোনীত বান্দাদের মধ্যে একজন ইন্তেকাল করেছেন। বনী ইসরাঈল তার মৃতদেহ একটি আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়েছে। আপনার সম্প্রদায়কে আদেশ করুন। তাকে গোসল করে যথাযথভাবে দাফন করে দাও। সর্বশক্তিমান আল্লাহর আদেশ পালন করে, নবী মুসা (আলাইহিস সালাম) তারপর সেই ব্যক্তিকে যথাযথভাবে গোসল ও দাফন করার জন্য অগ্রসর হলেন। এই কাজটি সম্পন্ন করার পর, তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে এমন অস্বাভাবিক আদেশের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। আল্লাহ তায়ালা বললেন: "হে মুসা! আপনি সঠিক বলেছেন যখন আপনি বলেছেন যে এই ব্যক্তি একজন পাপী ছিল। আমার খোদায়ী আদেশ অনুসারে তিনি শাস্তির অধিকারী ছিলেন। যাইহোক, একদিন, তিনি তাওরাহ পাঠ করার সময়, তিনি দেখতে পেলেন। আমার প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ এর নামটি তিনি চুম্বন করলেন এবং আমার হাবীবের উপর সালাম প্রেরণ করলেন, হে মুসা, আমি তাকে জান্নাত দিয়েছি।

7. হযরত সুফিয়ান বিন আয়েনা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন যে হযরত খালাফ (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর একজন বন্ধু ছিলেন যিনি ইসলামী আইনের ছাত্র ছিলেন। একদিন আকস্মিকভাবে তিনি মারা গেলেন এবং একই রাতে হযরত খালাফ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাঁকে স্বপ্নে দেখতে পেলেন। দেখা গেল, ইসলামী আইনের এই ছাত্রটি সুন্দর সোনালি পোশাক পরে সম্মান, আড়ম্বর ও মর্যাদার সিংহাসনে বসে আছেন।

হযরত খালাফ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এই একচেটিয়া ও অসাধারণ সম্মানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। ছাত্রটি বলেছিল যে এই সব ছিল তার উচ্চস্বরে দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে যখন তার ইসলামিক আইন অধ্যয়নের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নাম উচ্চারিত হয়েছিল। আল্লাহ তায়ালা দুরূদ শরীফের পাশাপাশি গুনাহগুলোও গণনা করেছেন। উচ্চস্বরে পাঠ করা প্রতিটি দুরূদ শরীফ সকল গুনাহের চেয়ে কোটি গুণ বড় ও ভারী ছিল। সুতরাং সালাওয়াত (দুরূদ) এই সব জিতেছে।

8. হযরত আবী সুলাইমান (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন যে তিনি তার পিতাকে, যিনি একজন মহাপাপী ছিলেন, তার মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখেছিলেন। তার বড় আশ্চর্যের জন্য, তার বাবা স্বর্গে একটি চমৎকার অবস্থানে ছিলেন। হযরত আবি সুলাইমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) যখন সেই মহান পুরস্কার সম্পর্কে জানতে চাইলেন, তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলেন যে, এটি সবই সাইয়্যিদুনা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামের ওপর দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে। বইগুলিতে

9.তাওরাতের একজন মহান পণ্ডিত হযরত কাব আহবার (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন: "আল্লাহ হযরত মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে ওহী পাঠালেন যে, 'হে মুসা, যদি এই পৃথিবীতে আমার মহিমা ও প্রশংসা করার মতো লোক না থাকত, তবে আমি অবশ্যই করব। আসমান থেকে এক ফোঁটা পানিও নামাবে না এবং আমি একটি বীজও জন্মাতে পারব না...' এবং তিনি আরও কিছু কথা উল্লেখ করে বললেন, 'হে মূসা, তুমি কি কথা বলার চেয়ে আমার নিকটবর্তী হতে চাও? আপনার জিহ্বার কাছে, বা চিন্তা আপনার হৃদয়ের কাছে, নাকি আপনার আত্মার চেয়ে আপনার দেহের কাছে, নাকি আপনার চোখের দৃষ্টির চেয়েও কাছের?' মূসা (আলাইহিস সালাম) উত্তর দিলেন: 'হ্যাঁ, সত্যিই, হে আল্লাহ!' আল্লাহ তায়ালা বললেন: 'তাহলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর বেশি বেশি সালাম পাঠ করুন।

10. "নুজহাত-উল-মাজালিস" এ লেখা আছে যে, এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছিল। তিনি কবরের অত্যাচার এবং বিচার দিবসের অত্যাচারের ভয়ে কাঁপছিলেন। হঠাৎ, একজন ধার্মিক ব্যক্তি তার হাত ধরে তাকে বললেন যে তিনি নিশ্চিন্ত থাকতে হবে কারণ তিনি তার জীবদ্দশায় প্রচুর পরিমাণে দুরূদ শরীফ পাঠ করেছিলেন তা অবশ্যই তার উদ্ধারে আসবে। তারপরে লোকটি খুব শান্তিতে মারা গেল।

11. একবার, মীর পুরখাস থেকে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী বাস, ভারী যন্ত্রপাতি বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। ওই বাসে প্রায় 120 জন যাত্রী ছিলেন এবং একজন যাত্রী ছাড়া বাকি সবাই গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। পরে সাংবাদিক এবং পুলিশ দলের সদস্যরা যখন এই ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়, তখন সে প্রকাশ করে যে সে সাইয়্যিদুনা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ক্রমাগত দুরূদ পাঠ করছিল এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে রক্ষা করেছেন। করাচি থেকে হায়দ্রাবাদগামী একটি বাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটে।

12।আবু হাফস সমরকান্দি (রাদিআল্লাহু আনহু) তার "রওনাকুল মাজালিস" গ্রন্থে লিখেছেন: বালখ শহরে প্রচুর ধন-সম্পদের একজন ব্যবসায়ী বাস করতেন। যখন তিনি ইন্তেকাল করেন, তখন তার দুই পুত্র তার সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেন। উত্তরাধিকারের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তিনটি চুল ছিল। প্রত্যেকে একটি করে নিল। বড় ভাই পরামর্শ দিলেন যে তারা তৃতীয়টিকে অর্ধেক করে কেটে নিন, তারপর প্রত্যেকে একটি করে নিন। এই পরামর্শ ছোট ভাইকে কষ্টে ভরিয়ে দিয়েছিল এবং সে চিৎকার করে বলেছিল, "এটি কখনই করা হবে না। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বরকতময় চুল কাটা হবে না"। প্রবীণ তখন পরামর্শ দিলেন, "আপনি কি সন্তুষ্ট হবেন যে এই তিনটি চুল আপনার উত্তরাধিকারের অংশ হিসাবে আপনার কাছে আসবে, যখন আমি সম্পত্তির বাকী অংশ নেব?" ছোট ভাই অত্যন্ত আনন্দ ও সন্তুষ্টির সাথে এতে সম্মত হন। বড় ভাই তখন বাবার রেখে যাওয়া সমস্ত কিছু অর্জন করে। ছোট ভাইয়ের তিনটি চুল ছিল। সে চুলগুলো সব সময় নিজের গায়ে রাখত। প্রায়শই তিনি তাদের বের করে নিয়ে যেতেন, তাদের দিকে তাকাতেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর সালাত পাঠ করতেন। এর কিছুক্ষণ পরে, বড় ভাই তার সমস্ত সম্পদ নষ্ট করে ফেলেছিলেন এবং ছোট ভাইটি খুব ধনী হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছোটটি মারা গেলে, সাধকদের মধ্য থেকে কেউ একটি স্বপ্ন দেখেন যাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে হাজির করে বলেন, “যদি কারো কোন প্রয়োজন থাকে তবে সে যেন এই কবরের দিকে এগিয়ে যায়। ব্যক্তি, সেখানে বসুন এবং আল্লাহর কাছে তার প্রয়োজন প্রার্থনা করুন।" (কওলু বাদী)

একই ঘটনা "নুযহাতুল মাজালিসে" বলা হয়েছে, তবে সামান্য সংযোজন। সেখানকার গল্পে বলা হয়েছে যে, বড় ভাই যখন নিঃস্ব হয়ে পড়েন এবং স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অত্যন্ত দারিদ্র্যের অভিযোগ করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ “হে দুর্ভাগা, তুমি আমার চুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে এবং তোমার ভাই সেগুলিকে গ্রহণ করলো এবং যখনই সে তাদের দিকে তাকালো, তখনই সে আমার উপর সালাত পাঠ করলো। এই কারণেই আল্লাহ তাকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান করেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতে উভয়েই।" বড় ভাই যখন জেগে উঠলেন, তিনি বেরিয়ে গেলেন এবং তার ছোট ভাইয়ের চাকরদের একজন হলেন।

13. "নাজহাতুল মাজালিস" গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু হা'মিদ কাযওয়াইনী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ এক ব্যক্তি ও তার পুত্র সফরে ছিলেন। পথিমধ্যে পিতার মৃত্যু হয় এবং তার মুখ শুয়োরের মতো রূপান্তরিত হয়। ছেলেটি তা দেখে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করল। শীঘ্রই পুত্র ঘুমিয়ে পড়ল এবং দেখল এক ​​ব্যক্তি তাকে বলছে, "তোমার পিতা সুদ (সুদ) খেতেন এবং এই কারণেই আপনি তার চেহারা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আনন্দ করুন কারণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন কারণ যখনই তিনি তাঁর পবিত্র নাম শুনে তাঁর উপর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফায়াতের মাধ্যমে সালাত পাঠ করলেন।তাকে তার আসল রূপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।"

14.একবার হযরত ফরিদুদ্দীন দাতা গঞ্জ-ই-শকর (রাদিআল্লাহু আনহু) যখন দুরূদ শরীফের শ্রেষ্ঠত্ব ব্যাখ্যা করছিলেন, তখন কয়েকজন ফকির তাঁর কাছে আসেন। তারা তাকে বলেছিল যে তারা হজ্জ করতে যাচ্ছিল এবং তাদের কাছে খাবার ও সফরের জন্য কোন টাকা নেই। মহান সাধক তখন তাদের খাওয়ানো খেজুরের কয়েকটি বীজ অর্পণ করলেন যার উপর তিনি দুরূদ শরীফ পাঠ করলেন। ফকিররা খেজুরের বীজের দিকে তাকালে স্বর্ণের টুকরোয় পরিবর্তিত হয়ে অবাক হয়ে গেল।

15. “আল-কুলুল বাদী”-তে বর্ণিত হয়েছে যে, এক মহিলা একবার হযরত শেখ হাসান বসরী (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর মৃত কন্যাকে স্বপ্নে দেখা সম্ভব কি না। মহান সাধক তাকে বাড়িতে যেতে আদেশ করলেন। ঘুমানোর আগে তাকে চার রাকাআত সালাত পড়তে বলা হয় এবং প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার সূরা কাফিরুন পড়তে হয়। তাকে সালাতের পর দুরূদ শরীফ পড়তে বলা হয়েছিল যতক্ষণ না সে ঘুমিয়ে পড়ে।

যখন সে এই সব করল, সেই রাতে সে তার মেয়েকে স্বপ্নে দেখতে পেল। তিনি তার মেয়েকে ভয়ানক যন্ত্রণা ও যন্ত্রণার মধ্যে দেখে হতবাক হয়ে গেলেন। তিনি আরও দেখেন যে তার মেয়ে আগুনের শিকল দ্বারা তালাবদ্ধ এবং সম্পূর্ণরূপে আগুন দ্বারা বেষ্টিত ছিল।

তিনি তার স্বপ্নের কথা হযরত হাসান বসরী (রাদিআল্লাহু আনহু) কে বললেন এবং তিনি তাকে কিছু দান করার পরামর্শ দিলেন। কিছু দিন পর, শেখ হাসান বসরী (রাদি আল্লাহু আনহু) স্বয়ং স্বপ্নে দেখেন যে একটি যুবতী একটি সিংহাসনে বসে আছে এবং একটি সোনার মুকুট পরছে। যখন তিনি মহান সাধুকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি তাকে চিনতে পেরেছেন কি না, তিনি উত্তর দিলেন যে তিনি তা করেননি। তখন তিনি বললেনঃ আমি সেই মহিলার কন্যা যে তোমাকে তার স্বপ্নের কথা বলেছিল। শেখ হাসান বসরী (রাদি আল্লাহু আনহু) তখন তাকে বলেছিলেন যে তার মায়ের মতে, তিনি জাহান্নামের গর্তে ছিলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কীভাবে এই অবস্থানে পৌঁছেছেন।

মেয়েটি উত্তর দিল: "হে আল্লাহর বন্ধু! প্রায় ৭০,০০০ জন এবং আমাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর ন্যায়বিচার দ্বারা শাস্তি দিচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন, নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এক প্রেমিক হেঁটে যাচ্ছিলেন। কবরে গিয়ে তিনি দুরূদ শরীফ পাঠ করলেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ কবুল করলেন দুরূদ শরীফ এর ফলে আমরা যারা শাস্তির মধ্যে ছিলাম তারা সবাই নাজাত পেয়েছি এবং জান্নাত লাভ করেছি।

*❛  প্রিয় রাসূলুল্লাহ ﷺ ﷺ ❜*★ নবীজি (ﷺ) ছিলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান। ★ তিনি ছিলেন একজন প্রধান সেনাপতি। ★ তিনি ছিলেন স্বরাষ্...
07/11/2024

*❛ প্রিয় রাসূলুল্লাহ ﷺ ﷺ ❜*

★ নবীজি (ﷺ) ছিলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান।
★ তিনি ছিলেন একজন প্রধান সেনাপতি।
★ তিনি ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
★ তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।
★ তিনি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
★ তিনি ছিলেন পূর্তমন্ত্রী।
★ তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
★ সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন আল্লাহর নবী।
★ তিনি ছিলেন একজন সার্বক্ষণিক শিক্ষক।
★ তিনি ছিলেন একজন সার্বক্ষণিক প্রধান বিচারপতি। পাঞ্জেগানা ইমাম। সাপ্তাহিক খতীব। সার্বক্ষণিক ওয়াজকারী।

* এতকিছু সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন ভালো বন্ধু। ভালো উপদেষ্টা। ভালো ভাই। ভালো ভাতিজা। ভালো খালু। ভালো দুলাভাই। অসাধারণ স্বামী।

* এতসব ব্যস্ততা, তবুও তিনি পরিবারকে অনেক সময় দিতেন। নিজের কাজ নিজে করতেন। বাড়ির বাজার সদাই করতেন। জুতো সেলাই করতেন। ছাগলের দুধ দোহাতেন। ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে একান্ত সময় কাটাতেন।

* আম্মাজান আয়েশার দীর্ঘ কথাও অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শুনতেন। ধৈর্য ধরে বোঝাতেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে দু’জনে চুপিসারে দৌড়াদৌড়িও করতেন।

* শুধু তাই নয়, কখনো রাতের এক তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধেক রাত, কখনো পুরো রাত ইবাদত করে পা ফুলিয়ে ফেলতেন।
= ইয়া হাবীবি! কিভাবে করতেন এতকিছু?
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ﷺ

*🥀🍁বৃহস্পতিবার মাগরিব থেকে জুমু'আর দিনের মাগরিবের আগ পর্যন্ত প্রতিটি সেকেন্ড নেকি ও সওয়াবের একেকটি ভান্ডার🍁🥀**অতএব (পুরো...
31/10/2024

*🥀🍁বৃহস্পতিবার মাগরিব থেকে জুমু'আর দিনের মাগরিবের আগ পর্যন্ত প্রতিটি সেকেন্ড নেকি ও সওয়াবের একেকটি ভান্ডার🍁🥀*

*অতএব (পুরো সময়টাতে যত বেশি সম্ভব) রাসূলুল্লাহ এর প্রতি দরুদ পাঠ করুন।*

اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلَّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ )

*আল্লা-হুম্মা ছল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।*

*🌹হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মাদের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন।*
👉সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৭৩

31/10/2024

পবিত্র জুম্মা র রাতে ও জুম্মার দিন সবাই বেশি বেশি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ পড়ুন 🌹

27/10/2024

জীবনের প্রত্যেকটি মুহুর্তের সর্বোচ্চ কদর করা চাই : পর্ব ১

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, অনু(যাররা) পরিমাণ নেক কাজ করলে আখিরাতে সে তার প্রতিফল দেখতে পাবে এবং সে সেটা ভোগ করবে। আর যদি সে অনু পরিমাণ অন্যায় কাজ করে, গুনাহের কাজ করে, আল্লাহর নাফরমানি করে সেটাও সে আখিরাতে দেখতে পাবে এবং এর পরিণতি তাকে ভোগ করতে হবে। সূরা যিলযাল ৭, ৮

দুনিয়ার হায়াত বড় মূল্যবান এবং বড় গুরুত্বপূর্ণ। মহা গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রতিনিয়ত আমরা অতিক্রম করছি। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে জীবনের প্রত্যেকটা মুহুর্তের সর্বোচ্চ কদর করা। এক হাদীসে এসেছে, বান্দারা জান্নাতের যাওয়ার পরে জান্নাতিরা দুনিয়ার ঐ মুহুর্তটার জন্য আফসোস করবে যে মুহুর্তে আল্লাহ পাকের জিকির ছিলনা, আল্লাহ পাকের জিকির থেকে বান্দা গাফেল ছিল। এখানে বুঝার বিষয় হচ্ছে, যে কারনটা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে আফসোস করা, আল্লাহ থেকে গাফেল থাকার কারনে।

বান্দার ক্ষতি মূলত দুইটা; এক হচ্ছে মাসিয়ত (গুনাহ), আল্লাহ তা’য়ালার নাফরমানি। এটা হলো বড় ক্ষতি, যা করলে আল্লাহ তা’য়ালার সাথে বান্দার বন্ধন হালকা হয়ে যায়, সম্পর্ক নষ্ট হয়, সম্পর্কের অবনতি হয়। যত বেশি গুনাহ হতে থাকে তত বেশি আল্লাহ পাকের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এভাবে সম্পর্কের অবনতি হতে হতে বান্দা ধীরে ধীরে ইসলাম হইতে দূরে সরতে থাকে। এক পর্যায়ে সে কুফরের নিকটবর্তী হয়ে যায়। অনেক সময় তো ঈমান থেকেই বের হয়ে যায়, নাউযুবিল্লাহি তা’য়ালা মিনযালিক। গুনাহ থেকে বাঁচা কত জরুরী বিষয়টা এখান থেকে সু-স্পষ্ট বুঝা যায়।

তো বান্দার বড় ক্ষতি হলো গুনাহ, আল্লাহ পাকের নাফরমানি। আরেক হল গাফলত, আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীনতা। গুনাহ করে না কিন্তু আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন, এটাও ক্ষতিকর। এটা ছোট ক্ষতি। হাদিসে পাকে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা গফলতের কথা বলা হয়েছে। বান্দা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর নাফরমানি তো করত না, ইবাদত করত। কিন্তু কোনো কোনো সময় আল্লাহ পাকের স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যেত। সে এই সময়টার জন্য জান্নাতে আফসোস করবে। এখানে তো এই তালীমই দেয়া হয়েছে, দুনিয়ার হায়াত আমাদের এমনভাবে কাটানো উচিত যে, দুই জিনিসের প্রতি আমাদের সবসময় নজর রাখা। এক হচ্ছে আল্লাহ পাকের নাফরমানি করা যাবে না। এটা একেবারেই চুড়ান্ত। যে করেই হোক, যেভাবেই হোক আমাকে তামাম নাফরমানি থেকে বাঁচতে হবে, তামাম গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। গুনাহের আসবাব থেকে বাঁচতে হবে, গুনাহের পরিবেশ থেকে বাঁচতে হবে।

জরুরতের কারনে যদি গুনাহের পরিবেশে যাওয়া লাগেও, তখন দিলের ভিতর ব্যথা রাখা, দিলে দিলে বেশী বেশী এস্তেগফার করা এবং সেই জরুরত শেষ করে দ্রুততর সময়ের ভিতরে সেখান থেকে চলে আসা। আল্লাহ পাক জাল্লাযালালুহু আমারদেকে তৌফিক দান করেন।

কোনো লোক হজ্ব করতে যাবে অথবা উমরাহ করতে যাবে অথবা সে গুরুতর অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে। তো তার পাসপোর্ট করতে হয়। পাসপোর্ট করতে গেলে ছবি লাগে, ছবি তুলতে হবে। তো এখন সে বাজারে গেছে ছবি তোলার জন্য, তখন দিলের মধ্যে ব্যথা রাখা চাই, আল্লাহ তা’য়ালার নিকট বলতে থাকা চাই। হে আল্লাহ! এখনতো জরুরত আমার সামনে উপস্থিত হয়েছে, ছবি তুলতে হবে। এটাতো সু-স্পষ্ট গুনাহ, আপনি মেহেরবানী করে আমাকে মাফ করেন। দিলে দিলে বেশী বেশী মাফ চাওয়া এবং বাজারের ছবি তোলার দোকানগুলোর মধ্যে যেটার ভিতরে গুনাহের আসবাব তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম, (কোনো কোনো স্টুডিও অনেক বড়। সেখানে অনেক ছবি দেওয়ালে ঝুলানো থাকে, শত শত ছবি স্টুডিওর দেওয়ালে ঝুলানো আছে। আবার কিছু স্টুডিও একেবারেই ছোট, সেখানে ছবি ঝুলানোর পরিমাণও অনেক কম। এটা ময়মনসিংহ শহরের বর্তমান হালাত বললাম) সেখানে এস্তেগফার করতে করতে প্রবেশ করা এবং ঐ দোকানদারকে বলা যে, আমাকে তাড়াতাড়ি আমার ছবি উঠাইয়া দেন। আর দিলের ভিতর ব্যথা রাখা। চেহারার মধ্যে যাতে হাসি খুশির ছাপ না থাকে। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে আমলের তৌফিক দান করেন।

🌹 এটা কত বড় নাজুক বিষয়, কত বড় কষ্টের বিষয়, গুনাহের আসবাব যেখানে মওজুদ সেখানে বান্দা হাসি খুশি থাকবে, এটা কি করে সম্ভব? আল্লাহ পাকের নাফরমানি যেখানে হইতেছে সেখানে বান্দা হাসি খুশি কেমনে থাকতে পারে?

বাহার হাল! তো এই দুই বিষয়ের দিকে সর্বহালতে নজর রাখা। এক হলো গুনাহতো করা যাবেই না, গুনাহের আসবাব থেকেও দূরে থাকা আর দ্বিতীয় হলো গাফলত থেকে বাঁচা। সর্বহালতে আল্লাহ পাকের স্মরণ অন্তরে রাখা। হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন, জবানের দ্বারাও বেশী বেশী জিকির করা চাই। মানুষ মনে করে, আমি তো অন্তরে অন্তরে আল্লাহকে স্মরণ করতেছি কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কখন যে সে গফলতের মধ্যে পড়ে গেছে সেটা তার নিজেরও খবর নাই। এজন্য আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন, অন্তরে যিকির করা তো ঠিক আছে কিন্তু চলাফেরা উঠাবাসায় মাঝে মাঝে জবানেও জিকির করা চাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমলের তৌফিক দান করেন। এই বিষয়টা হাদিসে পাকেও এসেছে। পেয়ারা রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সাথে মজলিশ করতেছেন। তো দেখা যেত মাঝে মধ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ আওয়াজ করে কোনো এস্তেগফার পড়তেছেন। এ বিষয়ে আরো কিছু কথা পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ বলবো। আল্লাহ জাল্লাযালালুহু আমাদেরকে আমলের ভরপুর তৌফিক দান করেন। আমীন...
১৬-০১-২০২০

মুহাম্মাদ রবিউল আকরাম

#আলোকিত_জীবন পোষ্ট নং ১৪/২৭০

প্রিয় নবীজি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তা'আলা ত...
25/10/2024

প্রিয় নবীজি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তা'আলা তার ওপর

দশবার রহমত নাযিল করবেন,💖

তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে এবং

তাকে মর্যাদায় দশ ধাপ বাড়িয়ে দিবেন।

সুনান আন-নাসায়ী | ১২৯৭

Facebook

🌸দুরূদ ও সালাম: ফায়েদা ও ফযীলত:🌸👇🆗👇🌹🆗🌹----------✴[পার্ট :০১]✴----------📚আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি...
24/10/2024

🌸দুরূদ ও সালাম: ফায়েদা ও ফযীলত:🌸👇🆗👇🌹🆗🌹
----------✴[পার্ট :০১]✴----------
📚আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* আল্লাহ্ তা'আলার আখেরী রাসূল। তিনি গোটা মানবজাতির জন্য আল্লাহ্ তা'আলার সর্বশেষ দূত। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য ছাড়া আল্লাহতে বিশ্বাস ও আল্লাহর আনুগত্যের দাবি অর্থহীন। কুরআন মজীদের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে।

☝আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ খাতামুন্নাবিয়ীন হযরত মুহাম্মাদ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* এর অনুসরণ। তাই তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে মহববত ও ভালোবাসা পোষণ করা এবং তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দু'আ করা প্রত্যেক উম্মতির ঈমানী কর্তব্য।

📗কুরআন মাজীদে স্বয়ং আল্লাহ্ তা'আলা নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* এর জন্য দরূদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তাঁর জন্য দু'আ করার আদেশ করেছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়।

☝আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন, *(তরজমা :) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নবীর উপর রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা তাঁর জন্য রহমতের দু'আ করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ পড় এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। *(সূরা আহযাব : ৫৬)*

💫এখানে কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হল। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে এই সহজ ও মূল্যবান আমলটি বেশি বেশি করার তাওফীক দিন। (আমীন..!)🔚
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
🌠DUA MEI YAAD RAKHNA🌠

-ভোর ৫ টায় মৃ*ত্যু। -সকাল ৬টায় জানিয়ে দেওয়া হবে মাইকে।- ৮ টায় শেষ গোসল করানো হবে।- ৯টায় তোমাকে নতুন কাপড়ে সাজানো হবে।- য...
19/10/2024

-ভোর ৫ টায় মৃ*ত্যু।
-সকাল ৬টায় জানিয়ে দেওয়া হবে মাইকে।
- ৮ টায় শেষ গোসল করানো হবে।
- ৯টায় তোমাকে নতুন কাপড়ে সাজানো হবে।
- যোহর নামাজ পরে তোমার আলিশান বাড়ি
থেকে বের করে নেওয়া হবে।
- ২টায় তোমার আজান ছাড়া নামাজ পড়ানো হবে।
- ২:৩০ তোমাকে মাটিতে দাফন করে দেওয়া হবে।
- মাটি দেওয়া শেষে কেউ তোমার জন‍্য দোয়া করবে।
- আর কেউ চলে আসবে।
- এইতো তোমার জিবনের শেষ আয়োজন!
তো কিসের এতো অহংকার?

ভুলে যাও তোমার সব রঙিন স্বপ্ন।ফিরে আসো রবের দিকে। তোমার শেষ ঠিকানা এই সারে ৩ হাত মাটি তোমার শেষ সম্বল!"
Post
Collection

জানাযার নামাজ----মৃতের প্রতি জীবিতদের শেষ দায়িত্ব হল তার নামাজে জানাজা পড়ে তাকে কবরস্থ করা। মৃতের জন্য নামাজে জানাযা ফ...
12/10/2024

জানাযার নামাজ----
মৃতের প্রতি জীবিতদের শেষ দায়িত্ব হল তার নামাজে জানাজা পড়ে তাকে কবরস্থ করা। মৃতের জন্য নামাজে জানাযা ফরজে কেফায়াহ্। যদি কোন একজন তা আদায় করে দেয় তবে সকলের পক্ষ হতে এটা কোন একজন তা আদায় করে দেয় তবে সকলের পক্ষ হতে তা আদায় হয়ে যাবে, আর যদি কেউ না পড়ে তবে তাই সকলেই উচিত জানাযায় শরীক হওয়া । সকলেই গোনাহগার হবে। জানাযার নামাজের অর্থ হল মৃতের জন্য দোয়া করা।

জানাযার নামাজের শর্ত
জানাযার নামাজের জন্য শর্ত হল-(১) জায়গা পাক হওয়া (২) কাপড় পাক হওয়া (৩) সতর ঢাকা (৪) কেবলামুখি হওয়া (৫) মৃত ব্যক্তি পুরুষ না মহিলা তা জেনে নিয়ত করা, (৬) ইমাম প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া (৭) মাইয়েত মুসলমান হওয়া, (১১) মৃতের সতর ঢাকা থাকা (৮) শবদেহ পবিত্র হওয়া (৯) কাফন পবিত্র হওয়া (১০) মৃতের খাট মাটির উপর থাকা ।

জানাযার ফরজ ওয়াজিব ও সুন্নতের বর্ণনা
এর ফরজ মাত্র দুটি-(১) দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা (২) চার তাকবীর বলা জানাযার নামাজের ওয়াজিব হল – মৃতের জন্য দোয়া করা ।
জানাযার নামাজের সুন্নত হল-(১) ছানা পড়া (২) দরূদ পড়া (৩) দোয়া পড়া।

*_জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব..._*১) জুম’আর দিন গোসল করা। (বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতা...
10/10/2024

*_জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব..._*
১) জুম’আর দিন গোসল করা।
(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)

৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)

৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)

১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)

১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)

১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)

১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)

১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)

১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)

১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)

১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,
হাদিস: ১৬১৭)

১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)

১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)

২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)

২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)

২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)

২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)

২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)

২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)

২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)

২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)

২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)

২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)

৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।

৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)

৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)

৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)

৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)

৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।
(সংগৃহীত) Facebook Mgh Islamik Tv ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও আলোচনা

08/10/2024

হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)

🔸নিয়মিত আমল সংগঠিত হওয়া কেবলই আল্লাহর দান৩৯. হযরত থানভী রহ. বলেন, আমাদের দ্বারা যেসমস্ত আমল নিয়মিত পালন করা সম্ভব হয়...
06/10/2024

🔸নিয়মিত আমল সংগঠিত হওয়া কেবলই আল্লাহর দান
৩৯. হযরত থানভী রহ. বলেন, আমাদের দ্বারা যেসমস্ত আমল নিয়মিত পালন করা সম্ভব হয়, তা কেবল আল্লাহ তা'আলার দান। আল্লাহ তা'আলা আপনার মধ্যে একটি প্রেরণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যা আপনাকে টেনে টেনে আমলের দিকে নিয়ে যায়। এ কারণে নিজেদের আমলের উপর আমাদের গর্ব করা উচিৎ নয়; বরং শোকর আদায় করা উচিৎ এবং নতি স্বীকার করা উচিৎ।

🔸কাজের আগ্রহ সৃষ্টির উপকরণসমূহ ক্ষমতাভুক্ত

৪০. হযরত থানভী রহ. বলেন, কাজের আগ্রহ নিঃসন্দেহে আল্লাহপ্রদত্ত একটি জিনিস, তবে নিজের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার কিছু উপকরণ মানুষের ক্ষমতাধীন। কারো মধ্যে যদি খোদাপ্রদত্ত অনুরাগ না থাকে, তাহলে তার কিছু উপকরণ অবলম্বন করে নিজের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করবে। সে ক্ষেত্রেও আগ্রহ আল্লাহপ্রদত্তই হবে। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে দান করার জন্যে এমন কিছু উপকরণ দিয়েছেন, যা মানুষ নিজ চেষ্টায় অর্জন করতে পারে এবং সেগুলো অবলম্বন করলে তিনি দান করে থাকেন। উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর পাওয়া। সে দান আপনাআপনিই লাভ হোক বা তোমার চেষ্টার মাধ্যমে লাভ হোক, উভয়টি সমান। কারণ, উদ্দেশ্য তো লাভ হলো ।

▪️▪️▪️▪️⊱◈🌼◈⊰▪️▪️▪️▪️
📖কামালাতে আশরাফিয়া ||| পৃষ্ঠাঃ ৭০

Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germa...
06/10/2024

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.

4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.

5. Global Presence: BMW is a global automotive Company

6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.

8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.

9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.

10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons, featured in fi
Mgh islamik tv page follow
Post

Address

Berhampur
Murshidabad
742135

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mgh Islamik Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mgh Islamik Tv:

Share

Category