18/09/2023
#আমার_ছাত্র_জীবনের_অবাক_করা_একটা_সত্য_ঘটনা।
সম্ভবত সালটা ছিলো ইংরেজি ২০০৭ সাল আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ইস্কুলের স্যারের কাছে ইংরেজি বিষয় টি সপ্তাহে ৩ দিন টিউশন পড়তাম ৷ সোম, বুধ, শুক্র, তখন মাসিক বেতন ৭০ টাকা দিতে হত।
আমার আব্বু তখন প্যারালাইশিস এর রুগি, সেই অবস্থাতে ও ডাক্তারি করে খুব অল্প আয় করতেন, সেই আয়থেকে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতেন।
সংসার খরচার পর আমার লিখাপড়ার টাকা দিতে হিমশিম খেয়ে যেতেন। তাই আমার লিখপড়ার খরচা চাচা, মামা, দাদী ও ফুপিরা, দিতেন৷
তাই টিউসন এর বেতন টা সময় মত দিতে পারতাম না, এই মাসের টাকা ঐ মাসে ঐ মাসের টাকা পরের মাসে এই ভবে চলতো৷
মানুষ জীবনের অতীতএর দরিদ্রতার কথা বলতে কেন জানিনা লজ্জা পায়।
#আমার_জীবনের_অতীতএর_দরিদ্রতার_কথা_বলতে .001% ্জা_লাগেনা, কারণ আমার দেশের অনেক মহা মানব বিদ্যাসাগর, নজরুল, ও অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী তিনাদের জীবনের অতীতএর দরিদ্রতার কথা বলতে লজ্জা পেতেনা,😍
যাক সে কথা,
#তবে_স্যার_কোনো_দিন_ও_টাকা_চাইতেন_না, #এটা_একটা_স্যারেরে_মহাত_গুন_ছিলো।
আমি বেড়াতে গেলাম মামার বাড়ি, সেই সময় হঠাৎ শিক্ষক মহাশয় টান্সফার হয়ে গেলেন৷ তখন ১ মাসের টিউশনের ৭০ টাকা বাকি আছে। কিছু দিন পর হটাৎ স্যার কে দেখলাম, তখন বাড়িতে এসে আব্বুকে বললাম যে স্যার এসেছেন, তখন আব্বু ৭০ টাকা দিলেন একটা ৫০ টাকার নোট আর একটা ২০ টাকার নোট, তাড়াতাড়ি স্যার কে গিয়ে দরিদ্র টার ঘটনা বললাম, সেই কারনে টাকা টা দিতে দেরি হয়েছিল,
স্যার সব সুনে কান মলা দিয়ে বলেছিলেন #যেদিন_নিজের_পায়ে_দাঁড়িয়ে_নিজে_আয়_করতে_পারবে_সেদিন_টাকা_টা_নিবো_আজ_নিবোনা, যাও বাড়ি যাও।
#স্যার_আমার_মাথার_মধ্যে_আয়_করারা_একটা_চিন্তা_ঢুকিয়ে_দিয়েছিলেন।
তার পর এইচ এস পাস করলাম বিএ ভর্তি হলাম লেখাপড়া চলছে, আব্বু, চাচা, মামা, ফুপি দের সাহায্য,
তারপর জীবনে প্রথম একটা মটর সাইকেল শোরুমে কাজে নিয়ুক্ত হলাম। ১ মাস করে তার পর আর পারিনি। তার পর অনেক ধাক্কা খাবার পর, ২০১৫ সালে (মামার সাহায্য) তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প তে একটা কোম্পানি তে নিযুক্ত হলাম। ইলেকট্রিক ওয়ারিং এর কাজে, কিছু দিন করার পর, সিকিউরিটি তে নিযুক্ত হলাম, কয়েক মাস করার পর আর একটা ভালো কাজ পেলাম৷ সেই কাজে নিযুক্ত হলাম। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সল্প আয় করতে শিখলাম।🤗
তারপর স্যারের আর খোঁজে পায়নি 😥মোবাইল নম্বর টা বন্ধ। হঠাৎ ২০২০ সালে ফেসবুকের সাহায্য খুঁজে পেলাম স্যার কে। মেসেঞ্জারে কথা হলো, স্যার মোবাইল নম্বর দিলেন, কলকরে কথা হল। সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের পর দেখা করার সুযোগ করে দিবেন বললেন। অবশেষে আজ ২৫/০৯/২০২০ দেখা হলো সন্ধা ০৬ঃ৪৫ এ স্যার তিনার প্রিয় বন্ধু বাড়িতে ছিলেন, ওখানে ডাকলেন, স্যারের মতই স্যারের বন্ধু অনেক ভালো মানুষ, পরিচয় হল কথা হল, নাস্তা হল।
সব শেষে খুব ভয়ে ভয়ে স্যার কে পূরনো ঘটনা টা বললাম, স্যার এবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অতি সল্প আয় করতে পেরেছি, আপনি এবার আপনার ৭০ টাকা টা নিন। স্যার ও তিনার বন্ধুরা খুব হাসলেন, আমার খুব লজ্জা লাগলো🙈
অবশেষে স্যার বললেন আমি এখন ফরেস্ট আছি, সেই টাকা আমাকে না দিয়ে বরং তুমি তোমার মতন এক অসহায় শিক্ষার্থ কে দিয়েদিও। এই ভাবে চললে সমাজের পরিবর্তন হবে।😍
্যার_সমাজ_সেবা_করার_একটা_চিন্তা_আমার_মাথায়_ঢুকিয়ে_দিলেন।
মূল কথা আমি যেটা বুঝলাম, #বাবা_ও_মা_এর_কাছে_যেমন_সন্তান_সারাজীবনের_জন্য_ঋণী_হয়ে_থাকে, #ঠিক_তেমন_ই_শিক্ষকের_কাছে_শিক্ষার্থি_সারাজীবন_ঋণী_হয়ে_থাকে।
#বাবা_মা_ও_শিক্ষকের_ঋণী_কোনো_দিন_ও_শোধ_করা_যায়_না।
😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍
(ফারুক মহম্মদ আসফাক)
২৫/০৯/২০২০