Wisdom Of The Sage

Wisdom Of The Sage দিব্যত্রয়ীর নিত্য দর্শন, জীবনী, বাণী, শিক্ষা ও ভাবপ্রচার আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

27/12/2024

অহংকার থাকে কোথায় - ব্যাখ্যা করছেন স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ

শ্রীশ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাণী: 🙏🙏
26/12/2024

শ্রীশ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাণী: 🙏🙏

*আজ ২৪ ডিসেম্বর, শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবধারায় এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন।* _১৮৮৬ সালের আজকের দিনে যুগনায়ক নরেন্দ্রনাথের পরিচাল...
25/12/2024

*আজ ২৪ ডিসেম্বর, শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবধারায় এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন।* _১৮৮৬ সালের আজকের দিনে যুগনায়ক নরেন্দ্রনাথের পরিচালনায় যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কয়েকজন বিশিষ্ট ত্যাগী সন্তান সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষিত হয়ে নিজেদের “আত্মনো মোক্ষর্থাং জগদ্ধিতায় চ” উৎসর্গ করার সংকল্প গ্রহণ করেন। ভগবান যীশুখ্রীষ্টের পূণ্য জন্মদিবসের ঠিক আগের দিন রাতেই (যদিও দিনটি যে ক্রিসমাস ইভ, সে ব্যাপারে তাঁরা তখন কেউ জ্ঞাত ছিলেন না, পরে জেনে সকলেই বিস্ময়ে চমকিত হলেন।) পবিত্র ধুনি জ্বালিয়ে ধ্যান ও তপস্যার মধ্য দিয়ে হুগলি জেলার আঁটপুরে বাবুরাম মহারাজের (পরবর্তীকালে স্বামী প্রেমানন্দ) বাড়িতে তাঁরা এই সংকল্প গ্রহণ করেন। এই বিশেষ দিনটির স্মরণে আঁটপুর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠে ধুনি উৎসব পালিত হয়।_

-
*সংঘ গঠনে আঁটপুরের অবদানের কথা স্মরণপূর্বক পূজ্যপাদ স্বামী শিবানন্দ (তারকনাথ) বলিয়াছিলেন “আঁটপুরেই আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার সংকল্প দৃঢ় হলো। ঠাকুর তো আমাদের সন্ন্যাসী করে দিয়েছিলেনই --- ঐ ভাব আরও পাকা হলো আঁটপুরে।” (📓শিবানন্দ বাণী)*

এ ঘটনা সম্পর্কে পূজনীয় স্বামী গম্ভীরানন্দজী রচিত ‘যুগনায়ক বিবেকানন্দ’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি নিম্নরূপঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
প্রথমে কথা ছিল -- নরেন্দ্র, বাবুরাম প্রভৃতি দু-চারিজন যাইবেন। কিন্তু ক্রমে জানাজানি হইয়া বেশ একটি বড় দল জমিয়া গেল। নরেন্দ্র, বাবুরাম, শরৎ, শশী, তারক, কালী, নিরঞ্জন, গঙ্গাধর ও সারদা ট্রেনে চড়িয়ে সেখানে চলিলেন এবং সঙ্গে বাঁয়া-তবলা ও তানপুরা লইতে ভুলিলেন না। হাওড়া স্টেশন হইতে তারকেশ্বরগামী গাড়িতে উঠিয়া নরেন্দ্রনাথ গান ধরিলেন, “শিব শঙ্কর ব্যোম ব্যোম ভোলা” ইত্যাদি। এইভাবে সমস্ত পথটি গীতবাদ্য ও আনন্দরোলে মুখরিত করিয়া তাঁহারা হরিপাল স্টেশনে নামিলেন এবং সেখান হইতে আট মাইল পথ ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে সন্ধ্যার পূর্বে আটপুরে পৌঁছিলেন। তাহাদিগকে পাইয়া বাবুরামের মাতা শ্রীযুক্তা মাতঙ্গিনী দেবী আনন্দে আত্মহারা হইলেন এবং সকলকে পুত্রবৎ গ্রহণপূর্বক আহার ও শয়নাদির ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। জমিদার গৃহে লোকজনের অভাব না থাকীলেও ইহাদের আদর-যত্নের ভার তিনি স্বহস্তে তুলিয়া লইলেন। পল্লীর শ্যামল নির্জনতার মধ্যে এই শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত পরিবারে স্বচ্ছন্দে আহার-বিহারের সুযোগ পাইয়া ত্যাগী যুবকবৃন্দ ভগবত আরাধনা ও ভগবত চিন্তায় প্রাণ ঢালিয়া দিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণের ভালোবাসা, উপদেশ, আদর্শ, জীবন ও তাঁহার অর্পিত দায়, ইত্যাদিই তাঁহাদের অবিরাম আলোচনার বিষয় হইল। আর সঙ্গে সঙ্গে শাস্ত্রব্যাখ্যা, স্তবস্তুতি, ভজন-সংগীত-কীর্তন ও জপ-ধ্যান তো চলিতেই থাকিল। এইরূপ একটা জমাট ভাবের আকর্ষণে তাঁহারা যেন নিজ-নিজ পৃথক অস্তিত্ব হারাইয়া নরেন্দ্রনাথের পরিচালনায় এক অখন্ড চৈতন্যসত্তায় পরিণত হইলেন।

ইহারই মধ্যে ২৪ ডিসেম্বর (১০ই পৌষ, শুক্রবার) এক অচিন্তনীয় ঘটনার ফলে আঁটপুর শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হইয়া উঠিল। সন্ধ্যার অনেক পরে বাহিরে ধুনি জালিয়া নক্ষত্রখচিত উজ্জ্বল মুক্তাকাশের নিম্নে ত্যাগী শ্রীরামকৃষ্ণ সন্তানবৃন্দ ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন। ধ্যানান্তে তাঁহারা ঈশ্বরালোচনায় রত আছেন এমন সময় নরেন্দ্রনাথ ক্রমে যীশুখ্রীষ্টের ত্যাগ তপস্ব্যাপূত অপূর্ব জীবন-কথা প্রাণস্পর্শী ভাষায় আদ্যোপান্ত অনর্গল বলিয়া যাইতে লাগিলেন। তারপর সেন্ট পল হইতে আরম্ভ করিয়া বিভিন্ন ত্যাগী শিষ্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মবিসর্জনের ফলে কিরূপে খ্রীষ্টধর্ম ও খ্রীষ্টসম্প্রদায় প্রচারিত ও প্রসারিত হইল তাহার ইতিহাস বর্ণনা করিয়া তিনি গুরুভ্রাতাদিগকে এক ত্যাগৈশ্বর্যমন্ডিত প্রেরণাময় নবীন রাজ্যে লইয়া গেলেন এবং সকলের নিকট সাগ্রহে আবেদন জানাইলেন, তাঁহারাও যেন যীশুখ্রীষ্ট ও তদীয় শিষ্যবৃন্দের ন্যায় পবিত্র জীবন গঠনপূর্বক উহা জগৎ কল্যাণে উৎসর্গ করিতে পারেন। সেই প্রাণপ্রদ বাগ্মিতার প্রভাবে গুরুভ্রাতারি উঠিয়া দাঁড়াইলেন এবং পরস্পরের সম্মুখে ধুনির লেলিহান অগ্নিশিখাকে সাক্ষী করিয়া শ্রীভগবানের স্বীয় অটুট সংকল্প জানাইলেন --- তাঁহারা সংসার ত্যাগ করিবেন। সম্মুখস্থ অগ্নিশিখা তাঁহাদের ভাবোজ্জ্বল বদনোপরি প্রতিফলিত হইয়া সে আবেগময় প্রতিজ্ঞাকে ভাস্বরতর করিল, সমস্ত বায়ুমণ্ডল যেন অপূর্ব ভগবৎপ্রেরণায় শিহরিয়া উঠিল, আর স্তব্ধ নয়ন বিস্তারিত করিয়া সে অনুপম দৃশ্য প্রাণ ভরিয়া দেখিয়া লইল। পুনর্বার সাধারণ ভূমিতে তাঁহাদের মন নামিয়ে আসিলে তাঁহারা ভাবিয়া আশ্চর্য হইলেন যে, সন্ধ্যাটি ছিল যীশুখ্রীষ্টের ‘আবির্ভাবের প্রাকক্ষন’।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ এই পবিত্র দিনটির স্মরণে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব, যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ এবং সকল ত্যাগী সন্ন্যাসী মহাজীবনের শ্রীচরণে আমরা জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রণাম।
🙏🙏🙏
➖➖➖➖➖
(শ্রীরামকৃষ্ণ পরিবার গ্রুপের প্রাত্যহিক স্মরণ মনন)
গ্রুপ লিংক:-
https://chat.whatsapp.com/LBcAbOLFH8EKSJ8Cv1ADzH

23/12/2024

আমরা কেন ঈশ্বরকে দেখতে পাইনা ? Sri Sri Ramkrishna Kathamrita by Swami Ishatmananda | Part 33
স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত (শ্রীম কথিত) পাঠ করে তার অন্তর্নিহিত অর্থ অতি সহজ ভাষায় আমাদের বোঝাচ্ছেন ।
বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছি :
স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ
Vivekananda Vedanta Society of Chicago
Sri Sarada Sangha, Newtown Kolkata West Bengal ও
Sadananda UTube চ্যানেল কে
আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া |
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত বাংলা ভাষায় লেখা একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৮৫৪-১৯৩২) পাঁচ খণ্ডে এই বইটি রচনা করেন। এই বইতে উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথোপকথন ও কার্যকলাপের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কথামৃত-এর পাঁচটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮, ১৯১০ ও ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিকে বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ বলে মনে করা হয়। ভক্ত শাক্তরা বইটিকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা দেন।
মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (যিনি "শ্রীম" ছদ্মনামে কথামৃত রচনা করেন) ছিলেন কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক। কলকাতার একাধিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতাও করেছিলেন। তের বছর বয়স থেকে তিনি ডায়েরি লিখতেন। ১৮৮২ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে তার আলাপ হয়। রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে। এই রেকর্ডটিই পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামক বইয়ের আকার নেয়। প্রথম দিকে মহেন্দ্রনাথ যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোন ক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন। "কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।

পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর ১৭২তম শুভ জন্মতিথি
23/12/2024

পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর ১৭২তম শুভ জন্মতিথি

আজ জগজ্জননী মায়ের পুণ‍্য আবির্ভাব তিথি 🙏🙏💐💐শতকোটি প্রণাম নিও মা 🙏🙏🙏💐💐❤❤
22/12/2024

আজ জগজ্জননী মায়ের পুণ‍্য আবির্ভাব তিথি 🙏🙏💐💐শতকোটি প্রণাম নিও মা 🙏🙏🙏💐💐❤❤

আজ জগজ্জননী মায়ের পুণ‍্য আবির্ভাব তিথি 🙏🙏💐💐শতকোটি প্রণাম নিও মা 🙏🙏🙏💐💐❤❤ প্রকৃতিং পরমামভয়াং বরদাংনররূপধরাং জনতাপহরাম্ ।শ...
22/12/2024

আজ জগজ্জননী মায়ের পুণ‍্য আবির্ভাব তিথি 🙏🙏💐💐শতকোটি প্রণাম নিও মা 🙏🙏🙏💐💐❤❤
প্রকৃতিং পরমামভয়াং বরদাং
নররূপধরাং জনতাপহরাম্ ।
শরণাগতসেবকতোষকরীং
প্রণমামি পরাং জননীং জগতাম্ ।।
গুণহীনসুতানপরাধযুতান্
কৃপয়াদ্য সমুদ্ধর মোহগতান্ ।
তরণীং ভবসাগরপারকরীং
প্রণমামি পরাং জননীং জগতাম্ ।।
বিষয়ং কুসুমং পরিহৃত্য সদা
চরণাম্বুরুহামৃতশান্তিসুধাম্ ।
পিব ভৃঙ্গমনো ভবরোগহরাং
প্রণমামি পরাং জননীং জগতাম্ ।।
কৃপাং কুরু মহাদেবি সুতেষু প্রণতেষু চ।
চরণাশ্রয়দানেন কৃপাময়ী নমোহস্তু তে ।।
লজ্জাপটাবৃতে নিত্যং সারদে জ্ঞানদায়িকে ।
পাপেভ্যো নঃ সদা রক্ষ কৃপাময়ি নমোস্তু তে ।।
রামকৃষ্ণগতপ্রাণাং তন্নামশ্রবণপ্রিয়াম্ ।
তদ্ভাবরঞ্জিতাকারাং প্রণমামি মুহুর্মুহুঃ ।।
পবিত্রং চরিতং যস্যাঃ পবিত্রং জীবনং তথা ।
পবিত্রতাস্বরূপিণ্যৈ তস্যৈ দেব্যৈ নমো নমঃ ।।
দেবীং প্রসন্নাং প্রণতার্তিহন্ত্রীং
যোগীন্দ্রপূজ্যাং যুগধর্মপাত্রীম্ ।
তাং সারদাং ভক্তিবিজ্ঞানদাত্রীং
দয়াস্বরূপাং প্রণমামি নিত্যম্ ।।
স্নেহেন বধ্নাসি মনোহস্মদীয়ং
দোষানশেষান্ সগুণীকরোষি ।
অহেতুনা নো দয়সে সদোষান্
স্বাঙ্কে গৃহীত্বা যদিদং বিচিত্রম্ ।।
প্রসীদ মাতর্বিনয়েন যাচে
নিত্যং ভব স্নেহবতী সুতেষু ।
প্রেমৈকবিন্দুং চিরদগ্ধচিত্তে
প্রদায় চিত্তং কুরু নঃ সুশান্তম্ ।।
জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদগুরুম্ ।
পাদপদ্মে তয়োঃ শ্রিত্বা প্রণমামি মুহুর্মুহুঃ ।।
----স্বামী অভেদানন্দ

20/12/2024

তীর্থ ভ্রমণের আগে সেই তীর্থের মাহাত্য সম্পর্কে জেনে যেতে হয় কেন ? - ব্যাখ্যা করছেন স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ

17/12/2024

সচিদানন্দই গুরু - মুক্তি তিনিই দেন ! Sri Sri Ramkrishna Kathamrita by Swami Ishatmananda | Part 32
স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত (শ্রীম কথিত) পাঠ করে তার অন্তর্নিহিত অর্থ অতি সহজ ভাষায় আমাদের বোঝাচ্ছেন ।

বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছি :
স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ
Vivekananda Vedanta Society of Chicago
Sri Sarada Sangha, Newtown Kolkata West Bengal ও
Sadananda UTube চ্যানেল কে

আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া |
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত বাংলা ভাষায় লেখা একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৮৫৪-১৯৩২) পাঁচ খণ্ডে এই বইটি রচনা করেন। এই বইতে উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথোপকথন ও কার্যকলাপের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কথামৃত-এর পাঁচটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮, ১৯১০ ও ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিকে বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ বলে মনে করা হয়। ভক্ত শাক্তরা বইটিকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা দেন।
মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (যিনি "শ্রীম" ছদ্মনামে কথামৃত রচনা করেন) ছিলেন কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক। কলকাতার একাধিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতাও করেছিলেন। তের বছর বয়স থেকে তিনি ডায়েরি লিখতেন। ১৮৮২ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে তার আলাপ হয়। রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে। এই রেকর্ডটিই পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামক বইয়ের আকার নেয়। প্রথম দিকে মহেন্দ্রনাথ যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোন ক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন। "কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।

13/12/2024

সত্ত্ব রজ তম কি ? | Sri Sri Ramkrishna Kathamrita by Swami Ishatmananda Part 31

স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত (শ্রীম কথিত) পাঠ করে তার অন্তর্নিহিত অর্থ অতি সহজ ভাষায় আমাদের বোঝাচ্ছেন ।
বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছি :
স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ
Vivekananda Vedanta Society of Chicago
Chicago Vedanta: https://www.youtube.com/c/ChicagoVedanta/channels
Sri Sarada Sangha, Newtown Kolkata West Bengal ও
Sadananda UTube : https://www.youtube.com/ চ্যানেল কে
আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া |
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত বাংলা ভাষায় লেখা একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৮৫৪-১৯৩২) পাঁচ খণ্ডে এই বইটি রচনা করেন। এই বইতে উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথোপকথন ও কার্যকলাপের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কথামৃত-এর পাঁচটি খণ্ড যথাক্রমে ১৯০২, ১৯০৪, ১৯০৮, ১৯১০ ও ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিকে বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ বলে মনে করা হয়। ভক্ত শাক্তরা বইটিকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা দেন।
মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (যিনি "শ্রীম" ছদ্মনামে কথামৃত রচনা করেন) ছিলেন কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক। কলকাতার একাধিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতাও করেছিলেন। তের বছর বয়স থেকে তিনি ডায়েরি লিখতেন। ১৮৮২ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে তার আলাপ হয়। রামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে। এই রেকর্ডটিই পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামক বইয়ের আকার নেয়। প্রথম দিকে মহেন্দ্রনাথ যখন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন তার সেটি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোন ক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন। "কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।

12/12/2024

কৃপা ও পুরুষকার - ব্যাখ্যা করছেন স্বামী ইসত্মানন্দ মহারাজ

Address

P-9, Dalimtala Lane Bagan
Kolkata
700006

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Wisdom Of The Sage posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Wisdom Of The Sage:

Videos

Share