Astitya-Existence Digitally

Astitya-Existence Digitally astitya–a highly experienced and dedicated team of professionals who are keenly serve their skill.

24/12/2023
We are proud of you girls!
07/11/2023

We are proud of you girls!

 #আজকের_ভারতের_নারী সংসার কাঁধে পাদানিতে দাঁড়িয়ে ডলি। ঋণে কেনা বাসে নিজেই কন্ডাকটর।বাসটা চলে বেলগাছিয়া থেকে হাওড়া। মেয়েল...
19/10/2023

#আজকের_ভারতের_নারী

সংসার কাঁধে পাদানিতে দাঁড়িয়ে ডলি। ঋণে কেনা বাসে নিজেই কন্ডাকটর।

বাসটা চলে বেলগাছিয়া থেকে হাওড়া। মেয়েলি কণ্ঠে ‘দাদা ভাড়াটা দেবেন’ শুনেই চমকে ওঠেন নতুন যাত্রী। পাশে বসা ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মুখে তখন মুচকি হাসি। প্রথম দিন চমকেছিলেন উনিও। এখন চেনেন কন্ডাক্টর দিদিকে। কোমরে শাড়ি পেঁচিয়ে, সাইড ব্যাগ বগলদাবা করে, একের পর এক স্টপের নাম হাঁকতে থাকেন তিনি। মাথায় দুশো চিন্তা। আর চোয়াল দুটো শক্ত। সংসারের ভিতটা মজবুত করতেই হবে।

পুজোর গন্ধ বাতাসে লাগা মাত্র বাস স্টপের নামগুলো বদলে বদলে যায়। লেকটাউন হয়ে যায় শ্রীভূমি। পাইকপাড়া হয়ে যায় টালা প্রত্যয়। কাশফুলের হাওয়ায় ডলি রানা নামটাও তাই আজ বেমানান। এ যেন অন্য দুর্গা। হাওড়ার বাসিন্দা। তিনি সংসার সামাল দেন, রান্না করেন, আবার বাসের গায়ে আলতো দুটো চাপড় মেরে নেমেও পড়েন পথে। আলতো চাপড় কেন? এই বাস যে তাঁর বড্ড আদরের। লোন নিয়ে কিনেছিলেন। ওই ক’টা টাকায় চলছিল না যে! স্বামী কারখানায় কাজ করে। একই সংসারের সদস্য ভাই, বোন, আর বোনপো। ভেবেছিলেন, বাসটা ঠিকঠাক চলে গেলেই দিন বদলাবে।

দু’বছর। অপেক্ষা বাড়ছিল। সঙ্গে ঋণের বোঝা। কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। কাঁধে ব্যাগ তুলে নিলেন ডলিদেবী। কন্ডাক্টরিটা নিজেই শুরু করলেন। রাজেশ জয়সওয়াল প্রথম দিন থেকেই বাসটি চালান। বলছিলেন, ‘ওঁকে আমি মালিক হিসেবে দেখি না। নিজের দিদি মনে করি। উনি কন্ডাক্টর হিসেবে কতটা সফল, আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। পুরো রুটে কোনও যাত্রীর সঙ্গে কখনও রাগারাগি বা তর্ক করতে দেখিনি।’ অসুবিধা হয়নি? ডলিদেবী হাসলেন, ‘প্রথম প্রথম একটু হতো ঠিকই। অনেক নিয়মকানুন জানতাম না। এখন সবটা সহজ হয়ে গিয়েছে।’

দিন বদলেছে। বাসের ইএমআই শেষ। এখন আর কোনও দায়ে পড়ে এই কাজ করেন না ডলিদেবী। তাঁর উপার্জন এখন সঞ্চয়ের জন্য। সংসারের ব্যাক আপ। বলছিলেন, ‘আমার দায়িত্ব তো স্বামীর।’ তাহলে পুজোর জামা? আগের বছর পারেননি। কিন্তু ভাই, বোন, বোনপো তিনজনের জন্যই এবার পুজোয় জামাকাপড় কিনেছেন ডলিদেবী। আর স্বামী? ‘নাঃ, ওর জন্য কিছু কিনিনি। অষ্টমী-নবমী ডে-নাইট বাস চালাব। আর দশমীতে বেরব... আমরা দু’জন। ওই দিনটা হবে শুধু আমাদের জন্য।’

নারীশক্তির আরাধনায় মেতে উঠেছে বাংলা। দু’দিন পরই অকাল বোধন। মায়ের অধিষ্ঠান যে শুধু মণ্ডপে নয়। তিনি আছেন ঘরে ঘরে। হয়তো ডলিদেবীর বাসেও।

শঙ্কর চক্রবর্তীর ওয়াল থেকে নেওয়া।

"আনন্দধারা" - জন্ম শতবর্ষে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩৭এ ১৩ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কলকাতা এসেছিলেন ‘বর্ষমঙ্গল’ অনুষ্ঠ...
12/10/2023

"আনন্দধারা" - জন্ম শতবর্ষে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৩৭এ ১৩ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কলকাতা এসেছিলেন ‘বর্ষমঙ্গল’ অনুষ্ঠানে গান গাইতে । কলকাতার শিল্পীরা ছিলেন । রবীন্দ্রনাথ সঙ্গে করে এনেছিলেন তাঁকে । ‘ছায়া’ সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত সেই ‘বর্ষামঙ্গল’ অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ । গুরুদেবের সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠে গান গাওয়ার দুর্লভ অভিজ্ঞতা হয়েছিল । তিনি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় – যার জীবন পরিক্রমার সবটাই জুড়ে ছিল শান্তিনিকেতন আর রবীন্দ্রনাথের গান ।

আজ (১২ অক্টোবর) কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শততম জন্মদিন । জন্ম বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে ১৯২৪এর ১২ই অক্টোবর । শৈশব – ছয় বছর বয়স থেকেই শান্তি নিকেতনে । পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কর্মী, মাতা অনিলা দেবী শান্তিনিকেতনের আশ্রম জননী । তাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গেও ছিল শান্তিনিকেতনের বন্ধন । কণিকার দাদামশাই রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন শান্তিনিকেতনে অধ্যাপনা ও অর্থ বিভাগের দায়িত্বে ।

বিবাহ ১৯৪৫এ (১৬ই বৈশাখ)। বীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । বীরেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন চীনা ভবনে অধ্যাপক তান ইয়ুন সানের সেক্রেটারির চাকরি নিয়ে । বীরেন্দ্রনাথের সঙ্গে কণিকার পরিচয়ের সূত্রটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন আর এক কিংবদন্তী শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । কণিকা নিজেই সে কথা লিখেছেন তাঁর আত্মকথন ‘আনন্দধারা’ গ্রন্থে । কণিকা তখন কলকাতায় মায়ার খেলা গীতিনাট্যর রিহার্শাল দিতে এসেছিলেন । সেখানেই “একদিন হেমন্ত বলল, মোহর, তোমাদের শান্তিনিকেতনে আমাদের এক বন্ধু বীরেন গেছে । বীরেন বন্দ্যোপাধ্যায় । খুব ভালো ছেলে । ওর সঙ্গে আলাপ কোর” । সেই আলাপ থেকে প্রণয়ও বিবাহ।

১৯৪৩এ ৪০টাকা বেতনে সঙ্গীত ভবনের শিক্ষিকা হয়ে যোগ দেন । তারপর অধ্যক্ষ ও এমিরেট প্রফেসর হয়ে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৮৪তে । দীর্ঘ ৪১ বছর রবীন্দ্রগান শিখিয়েছেন । দীর্ঘ ৬৩বছরের সাঙ্গীতিক জীবনে বহু সম্মাননা তিনি পেয়েছেন । সঙ্গীত নাটক আকাডেমি সম্মান(১৯৭৯), পদ্মশ্রী সম্মান(১৯৮৬), শিরোমণি পুরস্কার(১৯৯৬), বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সন্মান ‘দেশিকোত্তম’(১৯৯৭), আলাউদ্দীন পুরস্কার(১৯৯) কিংবা কলকাতার এক সুরম্য উদ্যানের নামকরণ তারই নামে চিহ্নিত করা (‘মোহরকুঞ্জ’) নিশ্চিতভাবেই তাঁর প্রতি গানপ্রিয় বাঙালির ভালোবাসার চিহ্ন ।

১৯৩৭এ হিন্দুস্থান রেকর্ডে প্রথম গান গাইলেন ১৩ বছর বয়সে । রবীন্দ্র-গান নয় – আধুনিক বাংলা গান । কাকার সঙ্গে কলকাতা এসেছিলেন । কাকা নিয়ে গিয়েছিলেন হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানীতে । শান্তিনিকেতন থেকে অনুমোদন নেওয়া ইত্যাদি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই রেকর্ড কোম্পানী আধুনিক গানর রেকর্ড করলেন । ১৩ বছরের কণিকার ওসব জানার কথা নয় । কণিকা আধুনিক গান করেছেন শুনে রবীন্দ্রনাথ দুঃখ পেয়েছিলেন । তারপর আর কোন দিন কণিকা আধুনিক গানের রেকর্ড করেন নি । একবার সলিল চৌধুরীর গান গাইতে চেয়েছিলেন নিজেই । সলিল চৌধুরী তাঁর জন্য গান লিখে, সুর দিয়ে রেকর্ডও করেছিলেন । কিন্তু সে খবর শান্তিনিকেতনে পৌছে যাওয়ায় অনেকে আপত্তি করেছিলেন । সেই আপত্তি মেনে নিয়ে কণিকা সেই রেকর্ডের প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিলেন । আর একবার, মানবেন্দ্র মুখার্জী দুটি আধুনিক গান রেকর্ড করিয়েছিলেন তাঁর সুরে । সেই গানের রেকর্ডটিও প্রকাশিত হয়নি।

ওপার বাংলাতেও সমান লোকপ্রিয় ছিলেন কণিকা । স্বাধীনতার পরেই ১৯৭২এ শান্তিনিকেতন সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন । তিনমাস ছিলেন । পরে ১৯৭৩, ৭৪, ১৯৮৬ ও শেষবার গিয়েছিলেন ১৯৯৪এ বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে । এছাড়া ইউরোপ আমেরিকায় অনেকবারই গান গাইতে গিয়েছেন নানান শহরে । ১৯৯৪এ বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত তাঁর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যশস্বী সাহিত্যিক প্রয়াতা সুফিয়া কামাল তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন –
“জীবনের পাত্র হতে যে সঙ্গীত সুধা
নিত্য কর দান তুমি – যেমন বসুধা
বক্ষরসে সিক্ত করি ফুল, ফল ফসল সম্ভার
প্রত্যহ দিতেছে উপহার
তেমনি তুমিও তব গীত সুধারস
সঞ্চারি করেছ কত মরুময় হৃদয়সরস...” কবিতাটির নাম ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণীয়াসু।

রবীন্দ্রনাথের গান আর কণিকা বন্দ্যোপাধ্যকে পৃথক করা যায় না । সুদীর্ঘ সাঙ্গীতিক জীবনে অনেক রবীন্দ্র-গান গেয়েছেন । কিন্তু ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ এই গানটি তাঁর কাছে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল । ১৯৫৬তে তিনি গানটি প্রথম রেকর্ড করেন । মালকোষ রাগ নির্ভর গানটি কণিকা তুলেছিলেন প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ পন্ডিত রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষণে । গানটির মধ্যে শিল্পী খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের অমোঘ বিশ্বাস । শান্তিনিকেতনে তাঁর গৃহের নাম রেখেছিলেন ‘আনন্দ ধারা’, যে বইটিতে তাঁর আত্মকথন ধরা আছে তার নামও ‘আনন্দ ধারা’ । সেই বইটিতে শিল্পী লিখে গিয়েছেন “এ গানে মন আত্মবিশ্বাসে ভরে যায় । জীবনের প্রতি আশ্বাস নষ্ট হতে দেয় না এ গান । জীবনের প্রান্তসীমায় এ গান আমাকে আজও ভরসা জোগায়” । হাজার দুঃখ, কষ্টঝ, ঝঞ্ঝার পরেও জীবন বয়ে চলে । ঋতু পালটায় বর্ষা আসে বসন্তও । মনে মনে গুনগুন করি আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ । সেই কোন বালিকা বয়সে গুরুদেবের কাছটিতে বসে গানের দীক্ষা নিয়েছিলাম আজও সেই গান আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা হাসি কান্নাকে একসঙ্গে অন্তরে নিয়েই বেঁচে থাকা । গুরুদেব কই কম কষ্ট পেয়েছেন । তবুও তিনিই তো লিখেছেন, আনন্দধারা বহিছে ভূবনে । আমিও আজ একথা অনুভব করি ভেতরে ভেতরে । ঘরে বসে তাই যখন বাইরে তাকাই, কখন যেন মনে হয় ঘরের দেওয়াল মুছে গেছে । আমি যেন বিশ্বপ্রকৃতিরই একজন । কে যেন তখন গেয়ে ওঠে, আনন্দধারা বহিছে ভুবনে । সে কি আমি ?”

৫ই এপ্রিল ২০০০এ, ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন রবীন্দ্রগানের এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী । কিংবদন্তী
শিল্পীর ৯২তম জন্মদিনে জানাই আমার বিনম্র প্রণাম ।

লেখক - ফাল্গুনী মুখার্জি

রবীন্দ্রগানের প্রবাদপ্রতীম শিল্পীকে তাঁর শততম জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধা ও বিনম্র প্রণাম।

05/10/2023



ফোন সাইলেন্ট মোডে করে একজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন। ব্রেকের সময় ফোনে জানতে পারেন তিনি এ বছরের নোবেল প্রাইজ জিতেছেন। বিশ্বের সেরা সম্মান। তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন তাঁদের কাজের এই চরমতম স্বীকৃতির জন্য। অথচ এই বিজ্ঞানী, এই শিক্ষক তাঁর জয়ের খবর জানার পরে তাঁর বাকি ক্লাস শেষ করার জন্যে ক্লাসে গেছেন, বলে গেছেন "ধন্যবাদ, আমি ক্লাসটা শেষ করে কথা বলছি"।

Lund University, Sweden, তাদের অফিসিয়াল এক্স(টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছে
"Not even the 2023 in Physics could tear Anne L'Huillier from her students.
Our new physics laureate was busy teaching a class. During a scheduled break, she heard the news.

After the phone call, L'Huillier went right back to her students."

ক্লাস শেষে তাঁর সহকর্মী, শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের বাইরে জড়ো হয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছে। উনি ক্লাস শেষ করে বেরোতেই সবাই হাত তালি দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তাঁকে।

কতটা ডেডিকেটেড শিক্ষক হলে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের খবর পাওয়ার পরেও আনন্দ উচ্ছ্বাস চেপে রেখে শিক্ষার্থীদের পুরো ক্লাস শেষ করে তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য করতে পারেন। কী অপূর্ব এক দৃশ্য!!!

অথচ আমাদের দেশে? শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মান সম্ভ্রম সরকারিভাবে, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে, সামাজিক ভাবে ভুলুণ্ঠিত করার জন্য উদগ্রীব সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সমাজের এক স্তরের মানুষজন। পরবর্তী প্রজন্মের হবু যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের প্রাপ্য চাকরির দাবীতে রাস্তায় বসে আছেন বছরের পর বছর, কারো কিছু যায় আসে না! মেধাবী শিক্ষাবিদদের মধ্যে কয়েকজন এখনও যে এই দেশে থাকেন, সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।

লেখক - Kollol Ghoshal,
ভিডিও সুত্র- Lund University, Sweden-র এক্স(টুইটার) হ্যান্ডেল।

শতবর্ষে সুচিত্রা মিত্র ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাধীন হতে চলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সেনাবাহি...
18/09/2023

শতবর্ষে সুচিত্রা মিত্র

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাধীন হতে চলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ স্রেফ সময়ের ব্যাপার । কলকাতায় পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন পতাকার নিচে সার বেঁধে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন। সবাই গাইছেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন সুচিত্রা মিত্র । আজ সুচিত্রা মিত্র তাঁর জন্মের শতবর্ষ ছুঁলেন ।

১৯২৪এর ১৮শে সেপ্টেম্বর ডেহরি-অব-শোন থেকে কলকাতা ফেরার পথে ‘গুঝান্টি’ নামে এক অখ্যাত স্টেশনে, ট্রেনের কামরায় সূচিত্রা মিত্রর জন্ম । পিতা ছিলেন সেকালের প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৌ্রিন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় । বাড়িতে ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতির আবহ । সেইসূত্রে কবিগুরুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণের ঠিক কুড়ি দিন পরে সঙ্গীত শিক্ষার পাঠ নিতে পৌছেছিলেন শান্তি নিকেতনে, কুড়ি টাকার সরকারী স্কলারশিপ নিয়ে । ১৯৪৫এ ডিপ্লোমা নিয়ে ফিরে এলেন । ঐ বছরেই তাঁর প্রথম গ্রামফোন রেকর্ড প্রকাশিত হল এইচ এম ভি থেকে । দু’পিঠে দুটি গান – ‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান’ আর ‘হৃদয়ের একুল ওকুল দুকুল ভেসে যায়’ ।
১৯৪৬এ প্রতিষ্ঠা করলেন রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষন প্রতিষ্ঠান ‘রবিতীর্থ’ । ১৯৪৮এর ১লা মে বিবাহ, ধ্রুব মিত্রর সঙ্গে । একমাত্র পুত্র কুনালের জন্ম ১৯৫০এর ২৩শে জুন । ১৯৫৫র ডিসেম্বরে বিবাহ-বিচ্ছেদ । সুচিত্রার নিজের কথায় “ ব্যক্তিত্বের মিলমিশ না হওয়াই আমাদের বিচ্ছেদের কারণ । ব্যক্তিত্বের সংঘাত হলে আর যে কোন সম্পর্কই থাক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকে না” ।

কানন দেবি, পঙ্কজ মকুমার মল্লিকের পর যাঁদের কন্ঠবৈভব ও গায়ন-ঐশ্বর্য আপামর বাঙালিকে গানের রবীন্দ্রনাথকে চিনিয়েছে, সুচিত্রা মিত্র ছিলেন তাঁদের একজন । একমাত্র পুত্র কুণাল রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখার বাসনা প্রকাশ করেছিল । সুচিত্রা তাকে বলেছিলেন ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা দেবব্রত বিশ্বাসের মতো শিল্পী হতে পারবে মনে করলে চেষ্টা করে দেখ, নইলে পড়ালেখায় মন দাও’। কুনাল আর শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেননি, লেখাপড়া করে প্রযুক্তিবিদ হয়ে এখন বিদেশে ।
সুচিত্রা মিত্র’র ব্যক্তি ও সংগীত জীবনের অনেকটা জুড়ে আছে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ । শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসার পরেও এই সম্পর্ক অটুট ছিল এবং আরো ঘনিষ্ঠ হয় । সেখানেই তাঁর অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে রবীন্দ্র-গানের আর দুই কিংবদন্তী শিল্পী তাঁর চেয়ে ১৬ বছরের বড় দেবব্রত বিশ্বাস ও চার বছরের বড় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । কত গান যে তারা একসঙ্গে গেয়েছেন ! তাঁর নিজের কথায় – “গণনাট্য সঙ্ঘের সক্রিয় সদস্য ছিলাম । কলেজে থাকতে গেট মিটিং করেছি । বক্তৃতা দিয়েছি । ঘাড়ে ঝান্ডা নিয়ে হেঁটেছি পথে পথে । একটা বিশ্বাস, একটা আদর্শের জন্য সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলাম । মিছিল, টিয়ার গ্যাস, লাঠি চার্জ –এসবের মধ্য দিয়ে গিয়েছি । অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছি ঠিকই, কিন্তু তাকে ‘রাজনৈতিক জীবন’ আখ্যা দেওয়া যাবে না” । অথচ, সুচিত্রার গান নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয় নি । প্রধান মন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেদিন কলকাতায় আর কলকাতা রেডিওতে সুচিত্রা মিত্রর গানের অনুষ্ঠান । সুচিত্রা মিত্র বাল্মিকী প্রতিভা’র একটা গান গান গাইলেন, গানের পংক্তি ‘কাজের বেলায় উনি কোথা যে ভাগেন, ভাগের বেলায় আসেন আগে’ । ব্যস, রেডিওর উর্বর মস্তিষ্কের তালেবররা বুঝে গেলেন আইপিটিএ-র সক্রিয় সদস্য সুচিত্রা মিত্র, প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেই এ গান গেয়েছেন । ফল হ’ল টানা ছয় বছর আকাশবাণীতে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন সুচিত্রা মিত্র ।

মর্যাদামন্ডিত এক পরিপূর্ণ শিল্পী ছিলেন সুচিত্রা মিত্র । গানের মতই পারদর্শী ছিলেন নৃত্যে । লিখেছেন তাঁর ছড়ার বই ‘খেয়াল খুশি’, নৃত্যনাট্য রচনা ও সুর করেছেন – অবন ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’, শান্তিনিকেতনে নৃত্যনাট্যে অংশ নিয়েছেন, মঞ্চের নাটকে অভিনয় করেছেন, এমনকি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন । মৃণাল সেনের পদাতিক ও উমাপ্রসাদ মৈত্র’র ‘জয় বাংলা’ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন । রবীন্দ্রনাথে গান ছাড়াও গেয়েছেন অতুল প্রসাদ,হিমাংশু দত্ত,সলিল চৌধুরীর গান ।

কী ছিল তাঁর কাছে রবীন্দ্রনাথের গান ? কেমন করে গাইতে হবে সেই গান ? সুচিত্রা মিত্র’র নিজের কথায় “রবীন্দ্রনাথের গান শুধু সুর,তাল,লয় নয় । রবীন্দ্রনাথের গানের সাহিত্যমূল্য না বুঝলে কিছুই হবে না । বারে বারে পড়তে হবে । বুঝতে হবে । উচ্চারণ,পাংচুয়েশন শিখতে হবে ।গানটাকে চোখের সামনে দেখতে হবে । ‘ভিসুয়ালাইজ’ করতে হবে ......’তুমি আমায় লহো হে নাথ লহো’ যখন গাই, তখন এ গানের আর্তি মিশে যায় আমার আর্তির সঙ্গে । ‘জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো’ – এই প্রার্থনার সঙ্গে আমার প্রার্থনার কোন অমিল থাকে না, যখন এ- গান আমি গাই । এভাবে আমার নিজেরই গান হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথে গান । হয়ে ওঠে আমার নিজেরই রচনা” । এই আর্তি নিয়েই রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেন দুই বাংলায় অসামান্য লোকপ্রিয় সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র ।

২০১১’র ৩রা জানুয়ারি কলকাতায় ৮৭ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় এই মহান শিল্পীর । কিন্তু বিশ্বের সর্বত্র গান-প্রিয় বাঙালীর অন্তরে সুচিত্রা মিত্র যে মর্যাদার আসনে আসীন তাকে স্পর্শ করবে কোন মৃত্যু ? রবীন্দ্র-গানের যে অমিত ঐশ্বর্য তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন তার মধ্যেই অমরত্ব লাভ করেছেন সুচিত্রা মিত্র ।
জন্ম-শতবার্ষিকীর সূচনায় তাঁর প্রতি আমার বিনম্র প্রণতি ।

- ফাল্গুনী মুখার্জি

What An Inspiring Development For Every Women Out There,Congratulations Madam 🪅 🇮🇳
03/09/2023

What An Inspiring Development For Every Women Out There,
Congratulations Madam 🪅 🇮🇳

Neeraj Chopra wins the Gold Medal in World Athletics Championships 2023! He is the WORLD CHAMPION. 🇮🇳Top of the World! 🤩...
28/08/2023

Neeraj Chopra wins the Gold Medal in World Athletics Championships 2023! He is the WORLD CHAMPION. 🇮🇳

Top of the World! 🤩

Willpower is given to you by nature to choose the right way, whatever the obstacles come across.There is a small town ca...
27/08/2023

Willpower is given to you by nature to choose the right way, whatever the obstacles come across.

There is a small town called Charouda in Chhattisgarh, unfamiliar to most of us, there lived a boy named Bharat. He belongs to a weak financial family. His father worked as a security guard at a bank and his mother ran a tea stall

Later age he went to Kendriya Vidyalaya Charouda for school. In the 9th grade, he was unable to pay fees, but the school helped by waiving them, he did well in 12th grade and got into IIT Dhanbad.

When money became an issue again, business people Arun Bagh and Jindal Group from Raipur helped him. He did excellent in college and got a gold medal with 98% at IIT Dhanbad.

During his 7th semester in engineering, he got placed in ISRO. And got an opportunity to work on Chandrayaan 3 at just 23 years old.

He is proof of the saying 'Rising from the ashes like a phoenix'.

There are many Bharat like him around us, who come from humble backgrounds from the small towns, and who are pushing the dream of a new India every day. 🇮🇳

স্বপ্নের ফর্মে অশ্বমেধের ঘোড়াকোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পরাজিত করে, বিশ্বের দু নম্বরকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে ...
24/07/2023

স্বপ্নের ফর্মে অশ্বমেধের ঘোড়া

কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পরাজিত করে, বিশ্বের দু নম্বরকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়ে, ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন...
শুনতে বেশ ভালো লাগলেও নিজেদের কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে এটা বারবার সম্ভব করা যায়, সেটা একমাত্র বলতে পারবে দুই ভারতীয় জুটি সাত্ত্বিক-চিরাগ...

পেশাদার ব্যাডমিন্টন সার্কিটে পুরুষদের ডবলসে ফের ভারতকে বড় খেতাবি সাফল্য এনে দিল, সাত্ত্বিক সাইরাজ রানকি রেড্ডি ও চিরাগ শেট্টি। (লিখলেন: Manab Guha)

কোরিয়া ওপেন সুপার ৫০০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটি, দেশের নয়া আইকন। বিশ্বের টপ রাঙ্কিং জুটিরাই, এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায়।

কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের জুটি তাকুরো-কাবাইয়াশিকে ২১-১৪, ২১-১৭ হারায় স্যাটচি জুটি।

সেমিফাইনালে বিশ্বের দু'নম্বর চীনা জুটি লিয়াং ওয়েই কেং-ওয়াং চাংকে হারিয়ে কোরিয়া ওপেন সুপার ৫০০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল সাত্ত্বিক-চিরাগ। স্ট্রেট গেমে চীনা প্রতিপক্ষকে ২১-১৫ এবং ২৪-২২ স্কোরে হারায় তারা।

রবিবার ফাইনালে প্রথম গেমে হারের পরেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে, বিশ্বের এক নম্বর জুটি ইন্দোনেশিয়ার ফাজার আলফিয়ান ও মহম্মদ আরদিয়ানোকে হারিয়ে খেতাব জিতল সাত্বিক-চিরাগ। ইন্দোনেশিয়ার তারকা জুটির বিরুদ্ধে ফাইনালে স্যাটচি জুটি জিতল ১৭-২১, ২১-১৩, ২১-১৪। টক্কর হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি।

গত মাসে ইন্দোনেশিয়ান ওপেনে সুপার ১০০০ ডবলসে ঐতিহাসিক খেতাব জয়ের পথে সাত্ত্বিক-চিরাগরা হারিয়েছিল আর এক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মালেশিয়ান জুটিকে। মালয়েশিয়ার অ্যারন চিয়া ও সোহ উহ ওয়াইকা, এশিয়া ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। খেলার ফল ছিল ২১-১৭, ২১-১৮। অ্যারন-য়িক জুটি ২০২২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মেনস ডাবলসে সোনা জেতে। তাদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ে চিরাগ সাত্ত্বিক।

এর আগে ভারতের কোনও জুটি সুপার ১০০০ ইভেন্টে জিততে পারেনি। জাকার্তার জয় তাই নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় জুটির সাফল্যের মুকুটে যোগ করেছিল নতুন পালক। একমাসের মধ্যেই এবার কোরিয়া জয় সম্পূর্ন হল। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের এই জুটি জিতেছিল সোনা। গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জও জেতে তারা। এবার যেন দুরন্ত গতিতে জিতে চলেছে তারা, সামনে কেউ দাঁড়াতে পারছে না।

চিরাগ-সাত্ত্বিক এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩ নম্বরে থাকা জুটি। দুটি বড় টুর্নামেন্টে পরপর চ্যাম্পিয়ন হবার পর, নিঃসন্দেহে তাদের রাঙ্কিং আরও উপরের দিকে হবে....
ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে দুই নয়া আইকন:
সাত্ত্বিক সাইরাজ ও চিরাগ শেট্টি।
অশ্বমেধের ঘোড়া..কেউ আটকাতে পরছে না।

©...... Manab Guha

11/07/2023

𝐂𝐇𝐀𝐌𝐏𝐈𝐎𝐍 🏆

লক্ষ্য সেন, কানাডার ক্যালগারিতে ফাইনালে চীনের লি শি ফেংকে পরাজিত করে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরুষদের একক শিরোপা জেতার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই তোমায়৷ 🇮🇳🔥

 #আজকের_ভারতের_নারীক্রিকেট, ফুটবলের পরে এবার আবার ভারতসেরা..প্যারিসে ওয়ার্ল্ড আর্চারী (তীরন্দাজি) প্রতিযোগিতায় সোনার মেয়...
11/07/2023

#আজকের_ভারতের_নারী

ক্রিকেট, ফুটবলের পরে এবার আবার ভারতসেরা..

প্যারিসে ওয়ার্ল্ড আর্চারী (তীরন্দাজি) প্রতিযোগিতায় সোনার মেয়ে Deepika Kumari 3টি গোল্ড মেডেল জিতেছে। এই চ্যাম্পিয়ানশিপে মোট 55টা দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।

দীপিকা কুমারীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি এবং অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই ❤️ 🇮🇳

আমি প্রায় মৌলবাদী বা কুসংস্কারাচ্ছন্নের মত  বিশ্বাস করি সমসাময়িক এবং পূর্বসূরী অনেক সঙ্গীত পরিচালকদের চেয়ে 'আর ডি" ছায়াছ...
27/06/2023

আমি প্রায় মৌলবাদী বা কুসংস্কারাচ্ছন্নের মত বিশ্বাস করি সমসাময়িক এবং পূর্বসূরী অনেক সঙ্গীত পরিচালকদের চেয়ে 'আর ডি" ছায়াছবির ব‍্যাপার স‍্যাপারগুলো বেশি বুঝতেন। হিন্দি ছবির প্রিয় গানগুলির ক্ষেত্রে বহুবার দেখেছি ফিল্মের সিচুয়েশন যেন শট ভেঙে ভেঙে বুঝতেন সঙ্গীত প্রয়োগ করার সময়।

একজন স্রষ্টা নিজেকে অবিরাম ভাঙেন গড়েন এটা কোন নতুন ঘটনা নয়,বিস্মিত হতে হয় তখনই,যখন প্রায় প্রতিটি ভাঙাগড়াই তাঁকে নতুন করে চিনিয়ে দেয়। রাহুল দেববর্মণ ওরফে আমাদের প্রাণপ্রিয় পঞ্চম নিজের সঙ্গীতশিক্ষার চেয়ে সহকারি সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন বেশি! সেই কারণেই কখনও কখনও তাঁর তৈরি করা সুর তথাকথিত আর ডি সিগনেচার ছাড়াই আমাদের মন জয় করেছে এবং কালজয়ী হয়েছে। দুটো গান মনে করিয়ে দিই

প্রথমটি হৃষিকেশ মুখার্জীর "জুরমানা" ছবিতে" ছোটি সি এক কলি থি" গানটি সত্তরের দশকের শেষার্ধের মধ‍্যধারার সিনেমার মত ছক ভাঙা দৃশ‍্যে শুরু হয়। রাখি গুলজার,এ কে হাঙ্গল,শ্রীরাম লাগু,ফরিদা জালাল বিনোদ মেহরা এবং অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে লং শটেই গানটি শুরু হয়। অমিতাভ বচ্চন কে কার্যত মূল ফ্রেমের বাইরে আউট অফ ফোকাসের কাছাকাছি রেখে গানটি লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে প্রথম লাইনেই থি শব্দটি কোমল নিষাদ স্পর্শ করে যেন নিশ্চিতভাবেই দর্শক বুঝে যান গানটি প্রায় পুরোটাই লং শট এবং মিড লং শটে প্রকৃতির কোলে ধরা হবে প্রধান চরিত্রগুলির সম্পর্কের টানা পোড়েন বোঝাতে। আনন্দ বক্সি গীতিকবি হিসাবে ঠিক কোন উচ্চতায় এই গানে আবার প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিস্ময় প্রতিভা রাহুল দেব বর্মণ যেভাবে তিন তিন ছন্দে গানটি বিন‍্যস্ত করলেন এবং তালবাদ‍্যের চেয়ে উডবক্সকে বেশি শ্রাব‍্য করলেন তা সম্ভবত বুঝিয়ে দিচ্ছিল আশির দশকে তিনি নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে অনেক বেশি করে হাঁটবেন। কিশোর কুমারকে দিয়ে গাওয়ানোর সময় খাদের পর্দা বেশি ব‍্যবহার করতেন পঞ্চম,লতা মঙ্গেশকরের বেলায় তিনি ধৈবত নিষাদ এবং তার সপ্তকের নিয়ন্ত্রিত ব‍্যবহার করেছেন। এই গানে শাদা মেঘের আকাশের নীচে প্রকৃতি, রাখীর গানে লিপ দেওয়ার সময় আশ্চর্য সংযত অভিব‍্যক্তি এবং নেপথ‍্যে লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠ সব মিলিয়ে যেন সৌন্দর্যের সংজ্ঞা!

অনিবার্যভাবেই এর পরের গান গুলজার পরিচালিত ইজাজত ছবিতে আশা ভোঁসলের কন্ঠে "কাতরা কাতরা বহতি হ‍্যায় -"। প্রথমত গুলজারের যেসব গানে সঙ্গীত এবং কবিতা পুরুষ ও প্রকৃতির মতো হাত ধরাধরি করে চলে এই গানটি তাদের অন‍্যতম। দ্বিতীয়ত, আশা ভোঁসলের কন্ঠ পেয়ে সাহসী পঞ্চম গানটি শুরুই করেন হিন্দী ধ্রুপদী কবিতার আবৃত্তির ধরণে। "জিন্দেগী হ‍্যায় -বহনে দো-" শব্দবন্ধের আগে যেন প্রথাগত স্বরলিপির বাইরেই থাকে গানটি। ভারতীয় ছায়াছবির নেপথ‍্য সঙ্গীতের শ্রোতাদের অভ‍্যস্ত কান চমকে ওঠে। এবং চড়া পর্দায় প্রথম অন্তরার শেষে " পিয়াসী হুঁ পিয়াসী রহনে দো "- লাইনটি গোটা গানটির দর্শন বুঝিয়ে দেয়। বাকি গানটির সুর ও কথায় সেই দর্শনেরই কাব‍্যিক ও সাঙ্গীতিক ব‍্যাখ‍্যা। খুব সচেতনভাবেই এবং শোনা যায় এই গানটি কতকটা আকস্মিকভাবেই এই ছবিতে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইনি সেই আর ডি বর্মণ যিনি কিতাব ছবিতে মাস্টারজি কি আয়ী চিঠির মত যুগান্তকারী গান সৃষ্টি করার সাহস রাখেন।

পঁচাশিতম জন্মদিনে অপ্রিয় সত‍্যি কথা বলাই ভালো সত্তরের দশকের শিক্ষিত সংস্কৃতিপ্রেমী বাঙালির একাংশ অপ সংস্কৃতির উদাহরণ টানতেন আর ডি বর্মণের গান দেখিয়ে। এঁরা সেই রাহুল দেব বর্মণকে চিনতেন না যিনি সরোদ,বাঁশি এবং মাউথ অর্গান দুর্দান্ত দক্ষতায় বাজাতে পারতেন।

প্রণাম ও শ্রদ্ধা।

- লেখক: চয়ন ভট্টাচার্য

 #আজকের_ভারতের_নারীচীনের বুক্সিতে আয়োজিত Asian Sword Championship এর মহিলা বিভাগে ভারতের বীরাঙ্গনা  #ভবানী_দেবী ব্রোঞ্জ ...
21/06/2023

#আজকের_ভারতের_নারী

চীনের বুক্সিতে আয়োজিত Asian Sword Championship এর মহিলা বিভাগে ভারতের বীরাঙ্গনা #ভবানী_দেবী ব্রোঞ্জ পদক জিতে ইতিহাস রচনা করলেন। গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান জাপানের মিসাকি এমুরা কে 15-10 সেটে হারিয়েছেন।

ভবানী দেবীর আগামী সোনালী ভবিষ্যতের জন্য রইল অফুরন্ত শুভকামনা! 🇮🇳

 #বাঙালি_যুগপুরুষআচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সিআইই, এএনআই, এফআরএএসবি, এফআইএস, এফসিএস (২রা আগস্ট ১৮৬১ - ১৬ই জুন ১৯...
16/06/2023

#বাঙালি_যুগপুরুষ

আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সিআইই, এএনআই, এফআরএএসবি, এফআইএস, এফসিএস (২রা আগস্ট ১৮৬১ - ১৬ই জুন ১৯৪৪)

বেঙ্গল কেমিক্যাল কোম্পানিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে শুনে কদিন আগে আমরা খুব হৈচৈ করলাম, ব্যাস ঐ পর্যন্তই কিন্তু এই প্রজন্মের বাঙালী কি মনে রেখেছে এর স্রস্টাকে?

শিয়ালদহ স্টেশনে কলেজ পড়ুয়া তরুণ কে এপিসি রোড কার নামে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে, "হবে কোন নেতা টেতা !"
ঐ এলাকার নামী এবং দামী কনভেন্টের ছাত্রী হলে তো ঝাঁঝিয়ে জবাব দেবে, মানেটা কি ? শেয়ালদা স্টেশনে যত লোক নামে তাদের সবাইকে চিনতে হবে নাকি ? ডিসগাসটিং !

'বেঙ্গল কেমিক্যাল’এর ওষুধের নাম জানেন ?
এ কালের ডাক্তার বলবেন, ওসব বেঙ্গল ফেঙ্গল এখন চলে না । মডার্ন মেডিসিনের যুগ, তা ছাড়া যে কোম্পানী মালকড়ি ছাড়বে তাদের ওষুধই লেখা হবে । মোটা টাকা ডোনেশন দিয়ে ম্যানেজমেন্ট কোটায় সিট পেয়ে পাশ করা ডাক্তার রাসায়নিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রথম ভারতীয় স্থপতি, বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড ও তার প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের নামই শোনেনি !

ছাড়ুন এসব , ওনার জন্মদিন টা কবে বলুন তো ? ইংরেজি ক্যালেন্ডারে নেই, বাংলা ক্যালেন্ডারে ইতুপুজো থেকে ছটপুজোর তারিখ পেলাম, পেলাম অনেক বাবা, ক্ষ্যাপা স্বামীর জন্মদিন, নেই শুধু ওনারটা !

বাঙালির এই অধঃপতিত অবস্থার কথা শতবর্ষ আগেই লিখে গেছেন তাঁর 'অন্ন সমস্যা ও বাঙ্গালীর নিশ্চেষ্টতা'প্রবন্ধে । ডিগ্রি প্রিয় চাকরি প্রিয় বাঙালিকে বিলাসের আরামশয্যা থেকে জাগাবার চেষ্টা করে গেছেন , তাদের দোষ ত্রুটি শুধরে নিতে পথনির্দেশ করেছেন - "বাঙালি আলস্যের নিদ্রায় সুখের স্বপ্ন দেখে , বুদ্ধির অহংকারে অন্ধ হইয়া জীবন সংগ্রামে ফাঁকি দেয় । ফলে বাঙালি সকল দিকের সকল ক্ষেত্র হইতে পরাজিত হইয়া পশ্চাদপদ হইতেছে!"

“মাড়োয়ারি , ভাটিয়া, দিল্লীওয়ালারা ব্যবসাবাণিজ্যের সকল ক্ষেত্র করতলগত করিতেছে , আর আমরা বাঙালিরা তাদের হিসাব লিখিয়া মাসমাহিনা লইয়া পরমানন্দে কলম পিষিতেছি । বাঙালি শ্রমজীবির দশাও কিছু ভাল নহে।”

তাঁর মতো বাঙালি জাতকে এত ভালো ভাবে কেউ চেনেননি আর সেজন্যই অতোদিন আগেই লিখে গেছেন এই সাংঘাতিক সত্যি কথাটা ?
রবীন্দ্রনাথের সাথে একই বছরে, ১৮৬১ সালের ২রা আগষ্ট জন্মেও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র বাঙালির মনন থেকে মুছে গেছেন ...!

ক্ষমা করবেন আচার্য আজ আপনার প্রয়াণ দিবস, কিন্তু আমরা তো আপনাকেই মনে রাখিনি ! ‌

কলমে - স্বপন সেন

প্রণাম

১৯২৮- ১৪ জুন পৃথিবীর আলোয় উদ্ভাসিত সংগ্রামী ধ্রবতারা, চে গুয়েভারা!   "চে গেভারা" র ডায়েরি প্রকাশের সূচনায়,  ফিদেল কাস্ত্...
14/06/2023

১৯২৮- ১৪ জুন পৃথিবীর আলোয় উদ্ভাসিত সংগ্রামী ধ্রবতারা, চে গুয়েভারা!

"চে গেভারা" র ডায়েরি প্রকাশের সূচনায়, ফিদেল কাস্ত্রো লিখেছিলেন এক দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা...'গেরিলা জীবনের দিনগুলিতে চে-র অভ্যাস ছিল প্রতি দিনের ঘটনাগুলি ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে রাখা।......টুকে রাখার এই যে অভ্যাস তা ঠিক বই লেখার উদ্দেশ্য ছিল না। পরিস্থিতি বিচার করতে, মানুষকে বুঝতে, তাঁর গভীরভাবে নিরীক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করবার মনোভাব এতে প্রকাশ পেয়েছে। মনে রাখতে হবে যে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও অমানুষিক শারীরিক পরিশ্রমের মাঝখানে বিশ্রামের সামান্য মূহুর্তগুলিতে এগুলি লেখা হয়েছে।..

অবিশ্বাস্যরূপে কঠিন অবস্থার মাঝে তাঁর কাজের বিশেষ ধারা এবং ইস্পাত-দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি এতে আর একবার প্রকাশ পেয়েছে।...বিপ্লবী দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে চে-র বলিভিয়ার ডায়েরি প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।..মেকি বিপ্লবী, সুবিধাবাদী, যত রকমের বাগাড়ম্বরকারী, যারা নিজেদের মার্ক্সসিস্ট,কমিউনিস্ট অথবা আরো কোনো গালভরা নামে পরিচয় দেয়, হয়ত তারাও এই ডায়েরি চেপে রাখত। তারা চে-কে ভ্রান্ত, হঠকারী বলতে ইতস্তত করেনি। আসল মতলব ছিল গেরিলা বাহিনীকে ভেঙে দেওয়া। তাদের বক্তব্য ও যুক্তি ছিল চরম প্রতিক্রিয়াশীল শাসকচক্র ও সাম্রাজ্যবাদের কথার মতো। চে তাঁর মৃত্যুকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক সম্ভাব্য বলেই ভেবে নিয়েছিলেন।

চে-র ডায়েরি পড়ে অনুমান করা যায়, সাফল্যের সম্ভাবনা কত বাস্তব ছিল। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করতেন, লাতিন আমেরিকার জনগণের মুক্তিতে বিপ্লবী গেরিলা যুদ্ধের মৌলিক ধরন রূপায়ন হবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার ভিত্তিতে। এবং মিলিটারী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হবে ঐক্যবদ্ধ। আর এই যুদ্ধ পরিচালিত হবে গেরিলাদের মধ্য থেকে। শহরের আমলাতান্ত্রিক এবং আরামদায়ক অফিস থেকে নয়।...কঠিন অনমনীয়তা, পরিচালন-দক্ষতা, নিজের আরামের প্রতি উদাসীনতা এবং আদর্শ ব্যবহার ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।...শেষ মুহুর্তে আহত হয়েও যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁর M-2 রাইফেলের ব্যারেল গুলি লেগে বিকল হয়ে পড়ে, ততক্ষণ পর্যন্ত চে যুদ্ধ করেছিলেন।...যারা তাঁকে বন্দী করে হিগুয়েরাস শহরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের সাথে কথা বলতে তিনি চাননি।... বারিয়েন্টাস, ওভালডো প্রমুখ মিলিটারি অফিসাররা লা-পাজে মিলিত হয়ে ঠাণ্ডামাথায় তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।.. ঘৃণিত শত্রুর হাতে তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত অত্যন্ত তিক্ততাপূর্ণ ছিল, কিন্তু এরকম পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত,চে-র চেয়ে বেশি আর কেউ ছিল না।'(ভাষান্তর-অরুণ রায়, কল্পতরু সেনগুপ্ত)!!

ফিদেল কাস্ত্রো র লেখার চারভাগের এক ভাগও এখানে দেওয়া সম্ভব নয়, এতটাই দীর্ঘায়িত চে-কে নিয়ে তাঁর লেখা। বাস্তবিকই চে-র ডায়েরি পড়ার আগেই ফিদেল কাস্ত্রোর ভূমিকা পড়লে মনে হয়, প্রায় সবটাই জানা হয়ে গেলো। কিন্তু ডায়েরি পড়লে অনুভব হয় আমি যেন নিজেই চে গুয়েভারা!!

শেষে খুব ইচ্ছে করলো দিতে, 'সন্তাদের প্রতি শেষ বিদায়ের চিঠি'...

"প্রিয়
হিলদিতা,আলেইদিতা, কামিলো, সেলিয়া ও এর্নেস্তো--
তোমরা যখন এই চিঠি পড়বে তখন আর আমি তোমাদের মধ্যে থাকব না। আমার কথা তোমাদের প্রায় কিছুই মনে পড়বে না,আর ক্ষুদে দুটোর তো কোনো কিছুই মনে পড়ার কথা নয়।
তোমাদের বাবা এমন একজন মানুষ হয়ে উঠেছে -যে তার চিন্তা ও কাজে এক। এবং অবশ্যই সে তার নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতি হয়ে উঠেছে বিশ্বস্ত।
তোমরা হয়ে ওঠো ভালো বিপ্লবী।.. এ কথা মনে রেখো যে, বিপ্লবই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এছাড়া একক ব্যক্তি হিসেবে আমাদের আলাদা কোনও মূল্য নেই।
সর্বোপরি, এই পৃথিবীর যে কোনও অংশে,যে কোনও মানুষের বিরুদ্ধে যে কোনও অন্যায় -অবিচার সংঘটিত হলে, তা গভীরভাবে অনুভব করার চেষ্টা করবে। এটাই একজন বিপ্লবীর সবচেয়ে বড়ো গুণ।
চিরবিদায়, সোনারা, যদিও তোমাদের খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। বিরাট চুম্বন ও বিপুল ভালোবাসা।
বাবা

পিয়ালী গাঙ্গুলি'র দেওয়াল থেকে
( মূল স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ : শুভেন্দু সরকার।)

 #বাঙালি_যুগপুরুষবিশ্বভারতীর নিচু একটি ক্লাসে একবার অংক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ১২ টা অংক দিয়ে যে কোনো ১০ টা করতে বলা হয়েছে...
11/06/2023

#বাঙালি_যুগপুরুষ

বিশ্বভারতীর নিচু একটি ক্লাসে একবার অংক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ১২ টা অংক দিয়ে যে কোনো ১০ টা করতে বলা হয়েছে৷ ওই ক্লাসের এক ছাত্র ১০ টা অংক করার পর দেখল, হাতে বেশ কিছুটা সময় বাকি। ১০০ তে ১২০ পাওয়া যায় কিনা দেখতে সে বাকি দুটোও কষে ফেলে আর সঙ্গে একটি কবিতাও লেখে--"হে হরি হে দয়াময়/ কিছু মার্ক দিয়ো আমায়.."।

বিকেলে ছেলেটির অংকের খাতা নিয়ে অংক-মাস্টারমশাইয়ের আবির্ভাব। ছেলেটি ভাবল, সব অংক করার জন্য মাস্টারমশাই হয়তো তাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। কিন্তু মাস্টারমশাই রুদ্রকণ্ঠে বললেন, একে তো সব অংক ভুল করলে, কবিতা লিখতে গেলে কেন?

ছাত্রটিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল রবীন্দ্রনাথের কাছে। তিনি আগাগোড়া খাতাটি দেখে বললেন, "ওর বয়সের কথা ছাড়িয়া দাও, এমন কয়জন প্রবীণ ভক্ত কবি আছে যে প্রশ্নপত্রের দশটা অংকের উদ্যত দশখানা খড়্গের সম্মুখে দাঁড়াইয়া এভাবে আত্মনিবেদন করিতে পারে!" বললেন, অংকগুলো সবই ভুল, তাই একে অংক শেখানো হোক, কিন্তু কবিতা থাকুক।

একদিন রবীন্দ্রনাথ ক্লাসে ইংরেজি পড়াচ্ছেন। "আকাশ থেকে দ্রুত নেমে আসা"-- এর সংক্ষিপ্ত ইংরেজি তিনি যেমন চাইছিলেন, সেটা কেউ বলতে পারল না। তিনি সঠিক উত্তরটা বলে স্মিত হেসে বললেন, "দ্যাখ দেখি, তোরা তো কেউ পারলি না, আমি কেমন পেরে গেলুম!" সঙ্গে-সঙ্গে অংকের খাতায় কবিতা লেখা বালকটি বলে উঠলো-- "আপনার হাতে তো বই আছে।" কবি হেসে উঠেছিলেন।

সে সময় 'বিশী' নামে অধিক পরিচিত যে বালকটি ছেলেবেলায় ভেবেছিল, রবীন্দ্রনাথ বইয়ের সাহায্য নিয়েছেন বলেই উত্তর দিতে পেরেছেন; পরিণত বয়েসে তিনিই প্রমথনাথ বিশী হয়ে 'জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার', 'কেরী সাহেবের মুন্সি' এসব বই ছাড়াও কবিকে নিয়ে লিখেছেন কত লেখা.. পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার।

১৯০১-এর ১১ জুন শিক্ষাবিদ-শিক্ষক-লেখক, প্রমথনাথ বিশীর জন্ম হয়েছিল।

- লেখিকা : সাবর্ণি চট্টোপাধ্যায়

প্রণাম এই মহাত্মাকে।

Your shadow is stolen!Today is zero shadow day... At every point between Earth's Tropic of Cancer and Tropic of Capricor...
05/06/2023

Your shadow is stolen!

Today is zero shadow day... At every point between Earth's Tropic of Cancer and Tropic of Capricorn, zero shadow days occur twice a year — once during Uttarayana, when the sun moves north (between December 21 and June 21), and the other during Dakshinayana, when the Sun moves south (between June 21 and December).

29/05/2023

🔔 জনস্বার্থ সতর্কতা 🔔

বন্ধুরা!

আজ আমি একটি ফেস-সোয়াপ ভিডিও শেয়ার করছি যাতে অন্য কেউ নয় স্বয়ং বলিউড তারকা রণবীর কাপুর এবং জাভিষ্ট ছাড়া অন্য কেউ নেই৷ এই ভিডিওটি দেখার শেষে হয়ত আপনি সম্পূর্ণ অবিশ্বাসের মধ্যেই থাকতে পারেন। দাঁড়ান, আপনি আপনার কল্পনাগুলিকে উড়তে দেওয়ার আগে, আমাকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে দিন - এটি AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ক্ষমতা এবং সম্ভাব্য অপব্যবহারের একটি প্রদর্শন।

ডিপফেকের (Deepfake) মতো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে, এখন ভিডিও বা ছবিতে যে কোনো ব্যক্তির মুখ অদ্ভূত নির্ভুলতার সাথে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। প্রথম নজরে, এটি খাঁটি মজা এবং গেমের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু, বাস্তবতা বেশ ভিন্ন এবং যথেষ্ট বেশি বিপজ্জনক। এই ফেস-সোয়াপিং প্রযুক্তিটি ভুয়া খবর, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বা এমনকি জালিয়াতির জন্য অপব্যবহার করা যেতে পারে।

মনে রাখবেন, এই ডিজিটাল যুগে 'নিজের চোখে দেখা' আর বিশ্বাস হচ্ছে না। আপনি অনলাইনে যা দেখেন তা সবসময় সত্য প্রতিফলিত নাও হতে পারে। আমি প্রত্যেককে প্রশ্ন করতে, ক্রস-ভেরিফাই করতে এবং সমালোচনামূলকভাবে এমন বিষয়বস্তুর সাথে জড়িত হতে উত্সাহিত করি, যা খুব অসাধারণ বা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয় এমন বিষয়ের ক্ষেত্রে ৷

আসুন ভুল তথ্য নয়, সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই উদ্দেশ্য। জ্ঞান হল শক্তি, তাই আসুন প্রযুক্তির এই সম্ভাব্য ক্ষতিকারক অপব্যবহারগুলি চিহ্নিত করতে এবং প্রতিহত করার জন্য একে অপরকে শক্তিশালী করি।

সচেতন থাকুন, সচেতন থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন! 💪🔍🌐

#সচেতনতা #ডিজিটাললিটারেসি #ভুলতথ্য

আজ এই পুরুষ মানুষটির জন্মদিন। প্রণাম হে শিল্পী পুরুষ
25/05/2023

আজ এই পুরুষ মানুষটির জন্মদিন।
প্রণাম হে শিল্পী পুরুষ

 #অরণ্য_ষষ্ঠী প্রাচীন বাংলার এক ব্রত। প্লেগ,কলেরা,সাপ,শাপদ সঙ্কুল বাংলার ঘরে ঘরে সন্তানের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের কামনায় বহ...
25/05/2023

#অরণ্য_ষষ্ঠী

প্রাচীন বাংলার এক ব্রত। প্লেগ,কলেরা,সাপ,শাপদ সঙ্কুল বাংলার ঘরে ঘরে সন্তানের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের কামনায় বহু বর্ষজীবী বট,অশ্বত্থের মত মহীরুহের তলায় দেবীর আরাধনা করতেন মায়েরা।

ধনী,দরিদ্র নির্বিশেষের অংশগ্রহণে এই বারব্রতগুলি,দেবদেবীর আরাধনা বাংলা তথা বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষীয় সংস্কৃতির আধার হয়ে উঠে ছিল বহু প্রাচীন কালেই।

ঔপনিবেশিক শাসনেও এই একান্ত সামাজিক অনুষ্ঠান পালনে বিশেষ কোন সমস্যা হয়নি।

ঔপনিবেশিক যুগ অতিক্রান্ত সময়ে যুগের বিবর্তনে পোশাক-আশাক,চলন-বলনে পরিবর্তন হয়েছে।পরিবর্তন এসেছে, আসে স্বাভাবিক নিয়মেই।

কিন্তু তবুও বেঁচে থাকে মানুষের আচার,অনুষ্ঠান।মানুষের সংস্কৃতি। বাংলার বারব্রত বাংলার শান্ত,নিবিড়,নিরিবিলি সংস্কৃতির ধারকবাহক।

পুঁজিবাদী আগ্রাসনের এই ভয়ঙ্কর সময়ে ভোগবাদকে সব কিছুর ওপর নির্মমভাবে প্রতিষ্ঠার এই যে সর্বগ্রাসী প্রচেষ্টা দেখা দিয়েছে তা সর্বাগ্রে আঘাত হানছে বাংলার এই শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ওপর।

ধর্ম বলতে যখন মানুষে মানুষে হিংসা আর প্রবল হই হট্টগোল এই ধারনাকে ববদ্ধমূল করার ভয়ঙ্কর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ঢক্কানিনাদ বিহীন, শুধুমাত্র মঙ্গলকামনার এই যে ক্ষুদ্র,অনাড়ম্বর আয়োজন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে একে রক্ষা করা বড় প্রয়োজন।

শান্ত সংস্কৃতির বুনিয়াদই যদি ধ্বংস হয়ে যায় তবে সুস্থ, সচেতন সমাজ নির্মাণের সম্ভাবনাও অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে।

সেই সুস্থ, সুন্দর, শান্ত সমাজ সংস্কৃতির জন্যই আগলে রাখতে হবে বারব্রত,পট-পাঁচালি- কথকতা- কীর্তণের সৌন্দর্যময় ধারাকে।

ছবি ও লেখিকা - পাপিয়া চক্রবর্তী

Address

Kolkata
700105

Opening Hours

Monday 9am - 6pm
Tuesday 9am - 6pm
Wednesday 9am - 6pm
Thursday 9am - 6pm
Friday 9am - 6pm
Saturday 9am - 4pm

Telephone

+919433730200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Astitya-Existence Digitally posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Astitya-Existence Digitally:

Videos

Share