04/02/2024
22021 সালে এমন দিনে লিখেছিলাম। আজ সোনা নেই। আমি আছি আর সোনাকে মনের গভীরে আমার মতো করে লালন করছি।
আজ আমি লক্ষীছাড়া। তবে বেটা আছে সঙ্গে। তাই বাইরের কোন কাজ রাখি নি ।বেটাকে নিয়েই ঘরেই আছি। আলস সময় কাটানো কষ্ট কর হয়ে যাচ্ছে.... তাই আজ যখন একটু সময় পেলাম ভাবছি কিছু একটা লিখি কী বা ভেবে পারছি না। ওদিকে বেটা তার বাহাদুরী দেখাচ্ছে রান্না ঘরে ।মাঝে মধ্যে লক্ষ ও রাখতে হচ্ছে.... ।তবু ভাবছি কিছু একটা লিখি কিন্তু কী আর লিখবো! লেখার বা কী আছে?
মন যখন চাইছে লিখি ..... লেখার ধার যেদিকে পারে যায় যাক ..... যদি আজকের লেখা কাউকে আঘাত করে তো আমি দায়ী নয়। বলে রাখলুম। চাপ নেবেন না! তাহলে শুরু করি? শুরু করছি......
মানুষ মানে আপনি একলাই মানুষ। একলা অর্থ দুঃখ, দুর্দশা অথবা হতাশা আপনাকে একলাই বয়ে বেড়াতে হবে। ভরা পূর্ণিমার একলা চন্দ্রস্নানে মন ভাসানোর সাথে মাঝ রাতের দুঃখ, বুক ধরফর, পৃথিবীর কেমিস্ট্রি বুঝতে না পারার ব্যর্থতা শুধুমাত্র আপনার। ঘানির মত এসব কেবলমাত্র আপনাকেই টানতে হবে। একজন মানুষ কখনোই নিজের পুরোটা সুখ অথবা দুঃখ কারো সাথে ভাগাভাগি করতে পারে না। কেউ জানে না কার কি নিজস্ব অনুভূতি, চাহিদা অথবা পছন্দ। একই বিছানার দীর্ঘদিনের প্রিয়তম সঙ্গী অথবা প্রিয় বন্ধুটিও হয়তো জানে না আপনার কি প্রয়োজন। আপনি কিসে খুশি কিংবা অখুশি। এটাই সহজাত, স্বাভাবিক, প্রকৃতির নিয়ম। ধরুণ, একসাথে একই পথে দু'জন মানুষ বেশ কিছুটা সময় ধরে হাঁটছেন। এরমধ্যে কেউ চাইবেন কিছুটা সময় সামনের টি স্টলে দাঁড়ানো যাক। কেউবা চাইবেন একটু তাড়া করে ঘরে ফেরা যাক। একই সময়ে কারো জন্য যখন আপনি নিজের সেরাটা বিলিয়ে দেবার চেষ্টা করেন, তখন তিনি হয়তো অন্য প্রান্তে আপনাকেই ডুবিয়ে দেবার ফন্দি আটতে থাকেন। এ তো গেল নেগেটিভ সেন্সের কথা। পজিটিভলি চিন্তা করলেও কারোটা কারে সাথে কখনোই মিলে না। কারো সেন্স অব হিউমার, হাসি, কান্না, কথা বলার ধরণ, আকৃতি, প্রকৃতি ঠিক কোনকিছুই অন্যজনের সাথে মিলে না। যারা দীর্ঘদিনের ইনিংস খেলতে ব্যবসা অথবা সম্পর্কের তরী অদূর ভবিষ্যতে ভাসাতে থাকেন, তারাও একসময় বলে উঠেন- নাহ্! ম্যাচ করছে না। আসলে আমরা মানুষ কেউই কারো মত হতে পারি না, পারা সম্ভব নয়। এরপরও যতটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা সামাজিক, পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক জীবন পরিচালনা করে থাকি; তাই আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস কিংবা সাতচল্লিশ পরবর্তী বাঙালিয়ানাতে যতবার মানুষ একত্রিত হয়েছে ততটুকুই ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধির। তারপরও সেখানে সবসময় একদল মানুষের বিপরীতমুখী অবস্থান ছিল; এবং তারা মনে করেছেন তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। চাপে পড়ে বাধ্য হলেও আসলে মানুষ জন্মগতভাবে কখনো অন্যের চিন্তা কিংবা দর্শনের দাসত্ব করতে চায় না। ফুলের ঘ্রাণ সবারই পছন্দ তবে একেকজনের নাক একেকটা ভিন্ন ঘ্রাণ কামনা করে থাকে। কেউ কুঁড়িয়ে আনন্দ পায়, কারো আনন্দ উড়িয়ে। কারো পছন্দ ডাক্তার হওয়া তো কেউ হতে চাই মোটা ফ্রেমের মাস্টার, কেউবা আবার এক জীবন হেসেখেলেই কাটিয়ে দিতে চায়। আবার কেউবা আমার মত এমন করেই দু'কলম লিখে জ্ঞানীর ভাব ধরতে চায়। আমি যখন এইসব ফাঁকা বুলি জাহির করে সাহিত্যিক সাজার ভান করছি, ঠিক ততক্ষণে আমারই মত কেউ একজন হয়তো হাজার ডলার উপার্জন করে ফেললো! একই রক্ত-মাংসে গড়া অথচ যার যার চিন্তা, দর্শন ও কর্মপ্রণালী কেবলমাত্র তার তার মত। আমরা মানুষ কত আশ্চর্য তাই না?