This page is a complete guide for Baruipur Lovers' along with latest news about our beloved City.❤️
(253)
বারুইপুর এক ঐতিহ্যশালী ও ঐতিহাসিক মহকুমা শহর, এই ভারত উপমহাদেশের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে বারুইপুর 22.35° অক্ষাংশ এবং 88.44° দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। নৃতত্ব, ভূতত্ব, পুরাতত্ব, প্রত্নতত্ব, লোকসংস্কৃতি প্রভৃতির উর্বর ক্ষেত্র রূপে বারুইপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল।আদিগঙ্গা বিধৌত এই ভুখন্ড নানা কারণে গৌরবমন্ডিত। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পাদস্পর্শে ধন্য এ শহর।
এছাড়াও দ্বারকানাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ঋষি অরবিন্দ, মতান্তরে স্বামী বিবেকানন্দ, বিপিনচন্দ্র পাল, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আচার্য বিনোবা ভাবে, পদ্মজা নাইডু, মাদার টেরিজা প্রমুখ মহাপুরুষ ও মহানারীর স্মৃতি বিজড়িত এই শহর বারুইপুর। এখানে দুর্গাদাস বন্দোপাধ্যায়, রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায়, ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়, সজল রায়চৌধুরী, অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম. এন. রায়, সাতকড়ি বন্দোপাধ্যায় ও পরবর্তীকালে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের মত অনেক বিখ্যাত মানুষ এখানে স্বল্পদিন হলেও বাস করেছেন। সেই স্মৃতি বারুইপুরবাসীর মনে আজও অমলিন। জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী সপরিবারে রাজপুর থেকে এখানে এসে বসবাস করেন ও গড়ে তোলেন বিভিন্ন সমাজ।
বারুইপুর নামের উৎপত্তি বারুই থেকে। এখানকার আদি পান ব্যবসায়ী "বারুই" সম্প্রদায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল 'বারুইপুর'। তবে কবে যে তারা এখানে প্রথম বসবাস শুরু করেছিল তার হদিস কে দেবে? মধ্যযুগে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে কবি বিপ্রদাস পিপলাই রচিত 'মনসামঙ্গল' কাব্যে চাঁদসদাগরের আদিগঙ্গার স্র্রোত ধরে বানিজ্য যাত্রার প্রসঙ্গে বারুইপুরের উল্লেখ্য আছে "বাহিল বারুইপুর মহাকোলাহলে"। তখন বাংলার সুলতান ছিলেন হূসেন শাহ, অতএব পাঁচশ বছর পূর্বেই বারুইপুরের নামকরণ হয়ে গিয়েছে, একথা বলা যায়।
বারুইপুরের পেয়ারা, লিচু প্রভৃতি ফল বিখ্যাত। দুর্লভ লকেট ফল আজও বারুইপুরে কিছু বাগানে ফলে থাকে। বারুইপুরে তৈরী সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট সারা পৃথিবীতে রপ্তানি হয়। এছাড়া এখানকার দড়ি তৈরী শিল্প, করমচা থেকে চেরি শিল্প, বাঁশ শিল্প, ধূপকাঠি শিল্প, বাজিশিল্প ইত্যাদির যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে।
এখানে সারাবছর ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বারুইপুর রাসমাঠের রথের মেলা, রাসের মেলা, চড়কের মেলা, কৃষি মেলা প্রভৃতি বিখ্যাত। এছাড়া নিউ ইন্ডিয়ান মাঠ, রাসমাঠ, বিশালাক্ষী মাঠ, ফুলতলা মাঠ ও সাগর সংঘ মাঠের বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা জাতীয় স্তরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিয়েছে। অনেক বিখ্যাত অভিনেতা/অভিনেত্রী যেমন রেবা রায়চৌধুরী, সজল রায়চৌধুরী, অনিল ঘোষ বারুইপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানকার অনেক কবি এবং লেখক যেমন সন্তোষ কুমার দত্ত, শীতাংশুদেব চট্টোপাধ্যায়, ড. পূর্ণেন্দু ভৌমিক, ড. উত্তম দাশ, পরেশ মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় সেন, ড: শংকর প্রসাদ নস্কর, নির্মল ব্যানার্জী, সুশান্ত চক্রবর্তী, শান্তিকুমার বন্দোপাধ্যায়, ড. সনৎ কুমার নস্কর, জয়কৃষ্ণ কয়াল, অনিল ঘোষ, রত্নাংশু বর্গী, স্বপ্না গঙ্গোপাধ্যায়, নরনারায়ণ পুততুন্ড, মনোরঞ্জন পুরকাইত, আনসার উল হক, জয়দীপ চক্রবর্তী, সুনীল দাশ, রঞ্জন দত্ত রায়, প্রসুন মজুমদার, রথীন দেব, নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, নিত্যানন্দ রায় ও ইতিহাস-পুরাতত্ব, প্রত্নতত্ব আর লোকসংস্কৃতির বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিকদের মধ্যে অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ডা: সুশীল ভট্টাচার্য, হেমেন মজুমদার, কৃষ্ণকালী মন্ডল, পূর্ণেন্দু ঘোষ, ড. কালিচরণ কর্মকার, ড. দেবব্রত নস্কর, সাগর চট্টোপাধ্যায়, ড. ইন্দ্রজিৎ সরকার, ড. ইন্দ্রানী ঘোষাল প্রমুখের নাম উল্ল্যেখযোগ্য। কবি শুভ্র বন্দোপাধ্যায়, যিনি ২০১৩ সালে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান, এই বারুইপুরেই বাস করতেন।
07/11/2024
ছট পূজার শুভেচ্ছা 🙏
এই পূজায় সূর্য দেবতার পূজা করা হয় এবং তাকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। হিন্দু ধর্মে সূর্য পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তিনিই একমাত্র দেবতা যাকে সরাসরি দেখা যায়। প্রার্থনা করি, সূর্যদেবের এই পুজো সকলের জীবনে নতুন আশার আলোকবর্তিকা নিয়ে আসুক।
07/11/2024
বারুইপুর নতুন পাড়ায় নতুন ভোর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনায় তৃতীয় বর্ষের জগদ্ধাত্রী পূজার উদ্বোধন হয়ে গেল বুধবার সন্ধ্যায়। উদ্বোধন করেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়াপ্রদা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খরাজ মুখার্জি, সঙ্গীত শিল্পী কাজিবর রহমান (জুনিয়র কুমার শানু), শাকিল আনসারি প্রমুখ।
পৃথিবীতে সবথেকে মধুর সম্পর্ক হলো ভাইবোনের।
পৃথিবীর সকল ভাই-বোনকে জানাই শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥
💕শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া💕
#বারুইপুর
02/11/2024
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা কর্তৃপক্ষ দীপাবলি উপলক্ষ্যে গত রাতে বুর্জ খলিফা কে আলোয় ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোকিত করে। ❤️❤️
02/11/2024
Rituparna Das, Baruipur অক্ষয় সংঘের নিকট পালপাড়া পঞ্চানন তলায় বাড়ি, আপনার পার্স গত ৩১শে অক্টোবর আপনার স্কুটি থেকে বারুইপুর রেলওয়ে ওভার ব্রিজে পরে যায় এবং জনৈক ভদ্রলোক পান। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে জনৈক ভদ্রলোকের কাছ থেকে নিয়ে নেবেন। যোগাযোগ:- 9073636541
Be the first to know and let us send you an email when Baruipur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Contact The Business
Send a message to Baruipur:
Videos
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা কর্তৃপক্ষ দীপাবলি উপলক্ষ্যে গত রাতে বুর্জ খলিফা কে আলোয় ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোকিত করে। ❤️❤️
#Diwali2024 #BurjKhalifa #Dubai
বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ করা হল...
বাইকটা এতদিনে নিজের ইজ্জত হারালো... 🤣🤣
আগামীকাল ২৪শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে পরশু ২৫শে অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদহ সাউথ সেকশনের সকল ট্রেন এবং হাসনাবাদে কোন লোকাল ট্রেন চালানো হবেনা। অন্যান্য ট্রেন স্বাভাবিক সময়ে চলাচল করবে।
দেখুন বিস্তারিত -
Credit:- Eastern Railway
#Dana #DanaUpdate #Train #Sealdah #Cyclone #CycloneAlert #Baruipur #News #Alert
এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে 'মেরে ঢোলনা' গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, "এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।"
প্রসঙ্গত, ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় শো করার কথা ছিল তারকা শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের। কিন্তু প্রতিবাদের শহরে সেই শো বাতিল করেছিলেন তিনি। বদলে ১৯ অক্টোবর শহরে পারফর্ম করলেন বঙ্গ তনয়া শ্রেয়া ঘোষাল। গানে গানে মাতিয়ে রাখলেন দর্শক মহলকে। অনুষ্ঠান মঞ্চে ধরলেন নতুন গান, 'যত ইচ্ছের ভাঙা ডানা, যত গল্প নজরবন্দি / যত সন্ধের যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি / সব মিথ্যের আর ধন্দের, তাই রক্তের সোঁদা গন্ধে / শুধু মুছে যাবে, ঘুচে যাবে, বেঁধে রাখা গণ্ডি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তাই ভাঙে
বারুইপুর রাসমাঠের রায়চৌধুরী জমিদারদের দুর্গা পূজা ও নীলকন্ঠ পাখির ইতিবৃত্ত -
শনিবার বিকালে বারুইপুর রাসমাঠের রায়চৌধুরী জমিদারদের প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই প্রথা মেনে ওড়ানো হয় নীলকন্ঠ পাখি।
পুরাণ মতে দুর্গার বিসর্জনের পরেই নীলকণ্ঠ পাখি কৈলাশে গিয়ে মহাদেবকে খবর দেন মা দশভূজা স্বর্গে ফিরছেন। সেই বিশ্বাসে প্রতিবছর বারুইপুর সদাব্রত ঘাটে আদি গঙ্গার জলে প্রতিমার বিসর্জনের সময় নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ান বারুইপুর রায়চৌধুরী বাড়ির কর্তারা।
যদিও নীলকণ্ঠ পাখি ধরা বা কেনা আইনত দণ্ডনীয়। তবুও বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকে চলে আসা ঐতিহ্য ছাড়তে নারাজ রায়চৌধুরীরা। রীতি মেনে বারুইপুরে ফি বছরই রায়চৌধুরীদের প্রতিমা আগে বিসর্জন হয় সবার আগে। তারপর বিসর্জিত হয় অন্যান্য প্রতিমা।
#Baruipur #Rasmath #Tradition #Historic #DurgaPuja
সদাব্রত ঘাট থেকে বারুইপুর রাসমাঠের রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন সরাসরি -
বারুইপুর রাস মাঠের রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ির দুর্গা মায়ের বিসর্জন যাত্রা
প্রয়াত রতন টাটা কে এভাবেই সম্মান জানানো হলো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে...🙏🏻❤️
বারুইপুর এক ঐতিহ্যশালী ও ঐতিহাসিক মহকুমা শহর, এই ভারত উপমহাদেশের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে বারুইপুর 22.35° অক্ষাংশ এবং 88.44° দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। নৃতত্ব, ভূতত্ব, পুরাতত্ব, প্রত্নতত্ব, লোকসংস্কৃতি প্রভৃতির উর্বর ক্ষেত্র রূপে বারুইপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল।আদিগঙ্গা বিধৌত এই ভুখন্ড নানা কারণে গৌরবমন্ডিত। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পাদস্পর্শে ধন্য এ শহর।
এছাড়াও দ্বারকানাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ঋষি অরবিন্দ, মতান্তরে স্বামী বিবেকানন্দ, বিপিনচন্দ্র পাল, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আচার্য বিনোবা ভাবে, পদ্মজা নাইডু, মাদার টেরিজা প্রমুখ মহাপুরুষ ও মহানারীর স্মৃতি বিজড়িত এই শহর বারুইপুর। এখানে দুর্গাদাস বন্দোপাধ্যায়, রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায়, ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়, সজল রায়চৌধুরী, অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম. এন. রায়, সাতকড়ি বন্দোপাধ্যায় ও পরবর্তীকালে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের মত অনেক বিখ্যাত মানুষ এখানে স্বল্পদিন হলেও বাস করেছেন। সেই স্মৃতি বারুইপুরবাসীর মনে আজও অমলিন। জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী সপরিবারে রাজপুর থেকে এখানে এসে বসবাস করেন ও গড়ে তোলেন বিভিন্ন সমাজ।
বারুইপুর নামের উৎপত্তি বারুই থেকে। এখানকার আদি পান ব্যবসায়ী "বারুই" সম্প্রদায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল 'বারুইপুর'। তবে কবে যে তারা এখানে প্রথম বসবাস শুরু করেছিল তার হদিস কে দেবে? মধ্যযুগে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে কবি বিপ্রদাস পিপলাই রচিত 'মনসামঙ্গল' কাব্যে চাঁদসদাগরের আদিগঙ্গার স্র্রোত ধরে বানিজ্য যাত্রার প্রসঙ্গে বারুইপুরের উল্লেখ্য আছে "বাহিল বারুইপুর মহাকোলাহলে"। তখন বাংলার সুলতান ছিলেন হূসেন শাহ, অতএব পাঁচশ বছর পূর্বেই বারুইপুরের নামকরণ হয়ে গিয়েছে, একথা বলা যায়।
স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, পুরাতত্ব, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বানিজ্য, লৌকিক দেবদেবী, কুটিরশিল্প প্রভৃতি বিষয়ে বারুইপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এখানকার সঙ্গীত, নাটক, যাত্রাপালা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্রীড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মন্দির-মসজিদ-গীর্জা, জলপথ ও জলাশয়, শশ্মান, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পূজা-পার্বন-মেলা, পত্র-পত্রিকা, ফুল ও ফল অনন্য সম্পদ হিসাবে সমাদৃত।
বারুইপুরের পেয়ারা, লিচু প্রভৃতি ফল বিখ্যাত। দুর্লভ লকেট ফল আজও বারুইপুরে কিছু বাগানে ফলে থাকে। বারুইপুরে তৈরী সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট সারা পৃথিবীতে রপ্তানি হয়। এছাড়া এখানকার দড়ি তৈরী শিল্প, করমচা থেকে চেরি শিল্প, বাঁশ শিল্প, ধূপকাঠি শিল্প, বাজিশিল্প ইত্যাদির যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে।
এখানে সারাবছর ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বারুইপুর রাসমাঠের রথের মেলা, রাসের মেলা, চড়কের মেলা, কৃষি মেলা প্রভৃতি বিখ্যাত। এছাড়া নিউ ইন্ডিয়ান মাঠ, রাসমাঠ, বিশালাক্ষী মাঠ, ফুলতলা মাঠ ও সাগর সংঘ মাঠের বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা জাতীয় স্তরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিয়েছে। অনেক বিখ্যাত অভিনেতা/অভিনেত্রী যেমন রেবা রায়চৌধুরী, সজল রায়চৌধুরী, অনিল ঘোষ বারুইপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানকার অনেক কবি এবং লেখক যেমন সন্তোষ কুমার দত্ত, শীতাংশুদেব চট্টোপাধ্যায়, ড. পূর্ণেন্দু ভৌমিক, ড. উত্তম দাশ, পরেশ মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় সেন, ড: শংকর প্রসাদ নস্কর, নির্মল ব্যানার্জী, সুশান্ত চক্রবর্তী, শান্তিকুমার বন্দোপাধ্যায়, ড. সনৎ কুমার নস্কর, জয়কৃষ্ণ কয়াল, অনিল ঘোষ, রত্নাংশু বর্গী, স্বপ্না গঙ্গোপাধ্যায়, নরনারায়ণ পুততুন্ড, মনোরঞ্জন পুরকাইত, আনসার উল হক, জয়দীপ চক্রবর্তী, সুনীল দাশ, রঞ্জন দত্ত রায়, প্রসুন মজুমদার, রথীন দেব, নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, নিত্যানন্দ রায় ও ইতিহাস-পুরাতত্ব, প্রত্নতত্ব আর লোকসংস্কৃতির বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিকদের মধ্যে অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ডা: সুশীল ভট্টাচার্য, হেমেন মজুমদার, কৃষ্ণকালী মন্ডল, পূর্ণেন্দু ঘোষ, ড. কালিচরণ কর্মকার, ড. দেবব্রত নস্কর, সাগর চট্টোপাধ্যায়, ড. ইন্দ্রজিৎ সরকার, ড. ইন্দ্রানী ঘোষাল প্রমুখের নাম উল্ল্যেখযোগ্য। কবি শুভ্র বন্দোপাধ্যায়, যিনি ২০১৩ সালে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান, এই বারুইপুরেই বাস করতেন।