ব্যস্ত জীবন

ব্যস্ত জীবন Bestho Jibon page is a regular religious, entertaining, romantic post on the page.Various news and protest posts were posted on the page.
(1)

The main purpose of our page is to realize the rights of ordinary people. please like and follow my page. 𝐁𝐞𝐬𝐭𝐡𝐨 𝐉𝐢𝐛𝐨𝐧 𝐩𝐚𝐠𝐞 𝐢𝐬 𝐚 𝐫𝐞𝐠𝐮𝐥𝐚𝐫 𝐫𝐞𝐥𝐢𝐠𝐢𝐨𝐮𝐬, 𝐞𝐧𝐭𝐞𝐫𝐭𝐚𝐢𝐧𝐢𝐧𝐠, 𝐫𝐨𝐦𝐚𝐧𝐭𝐢𝐜 𝐩𝐨𝐬𝐭 𝐨𝐧 𝐭𝐡𝐞 𝐅𝐚𝐜𝐞𝐛𝐨𝐨𝐤 𝐩𝐚𝐠𝐞.𝐕𝐚𝐫𝐢𝐨𝐮𝐬 𝐧𝐞𝐰𝐬 𝐚𝐧𝐝 𝐩𝐫𝐨𝐭𝐞𝐬𝐭 𝐩𝐨𝐬𝐭𝐬 𝐰𝐞𝐫𝐞 𝐩𝐨𝐬𝐭𝐞𝐝 𝐨𝐧 𝐭𝐡𝐞 𝐩𝐚𝐠𝐞. 𝐓𝐡𝐞 𝐦𝐚𝐢𝐧 𝐩𝐮𝐫𝐩𝐨𝐬𝐞 𝐨𝐟 𝐨𝐮𝐫 𝐩𝐚𝐠𝐞 𝐢𝐬 𝐭𝐨 𝐫𝐞𝐚𝐥𝐢𝐳𝐞 𝐭𝐡𝐞 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐨𝐟 𝐨𝐫𝐝𝐢𝐧𝐚𝐫𝐲 𝐩𝐞𝐨𝐩𝐥𝐞. 𝐩𝐥𝐞𝐚𝐬𝐞 𝐥𝐢𝐤𝐞 𝐚𝐧𝐝 𝐟𝐨𝐥𝐥𝐨𝐰 𝐦𝐲 𝐩𝐚𝐠𝐞.

13/01/2025

শাড়ি কেনার থেকেও ভয়ঙ্কর খরচ ব্লাউজের মজুরিতে।🥺

I salute this boy... এই ছেলেটাকে দেখে স্টুডেন্ট মনে হচ্ছে। হয়তো মা, বোনের বা নিজেরই রান্না করা খাবার নিয়ে শীতের কনকনে সন...
13/01/2025

I salute this boy... এই ছেলেটাকে দেখে স্টুডেন্ট মনে হচ্ছে। হয়তো মা, বোনের বা নিজেরই রান্না করা খাবার নিয়ে শীতের কনকনে সন্ধ্যায় বিক্রি করছে দুটো পয়সার আশায়। কারন দিন শেষে বেঁচে থাকতে টাকা লাগে - এটা সবাই জানি। ফেসবুকে ছবিটা পেলাম। ওর দোকান কই জানলে খেয়ে আসব একবার ওখান থেকে।
আমি ডাক্তারী, পোস্টগ্রাজুয়েশনের পড়ার পাশাপাশি বাবা মার থেকে হেল্প না নিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হবো, জামাইকে হেল্প করব সংসারে এজন্য ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্ট চালাই, কখনো ক্যাফেতে নিজেও রান্না করি অসহ্য শীত বা গরমে, মিডিয়ার কাজেও আগ্রহ আছে। কখনো কাছের মানুষ দের বলি একটু আমার রেস্টুরেন্ট এর প্রচারনায় / নতুন সাংস্কৃতিক কাজের প্রজেক্টে সাহায্য করতে পোস্ট শেয়ার করে / বা একটু ছোট করে রিভিউ দিয়ে - অনেকে সাগ্রহে সাহায্য করেন, আবার অনেকেই আছেন যারা হয়তো নাক সিঁটকান ডাক্তার মেয়ে আবার বাবুর্চি, সাথে মডেলিং ও করে! ছি ছি! অনেকে হয়তো মেসেজ সিন ও করেন না কি হেল্প আবার করতে হয় এই ভয়ে, তাদের বলছি - সবার জন্য জীবন সোজা নয়। যে ছেলে / মেয়েটা সোজা পথ, আরাম আয়েশ বাদ দিয়ে কষ্ট করে নিজেকে প্রমান করতে চায় যে কোন অংগনে - তাকে বাহবা দিন, পারলে উৎসাহ দিন। তাতে আপনার কোন লোকসান হবেনা অন্তত। আমার এই স্বল্প ভাতার রেসিডেন্সি জার্নিতে - শেফগিরি করে ৫০০ টাকার প্রফিট ও অনেক বড় - অন্তত আমার জন্য।

13/01/2025

পাসওয়ার্ড ছাড়া মোবাইল এর লক খুলে না, তাহলে হরি নাম ছাড়া স্বর্গের দরজা কি ভাবে খুলবে।
🌸🙏🏼হরেকৃষ্ণ🙏🏼🌸

গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫বাবার পেশা নিয়ে যদি লজ্জিত হও, তাহলে তোমার শিক্ষার অভাব আছে! কারন তোমার কাছে যা অল্প বাবার কাছে তা ম...
11/01/2025

গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫
বাবার পেশা নিয়ে যদি লজ্জিত হও, তাহলে তোমার শিক্ষার অভাব আছে! কারন তোমার কাছে যা অল্প বাবার কাছে তা মহামুল্য।🙂

11/01/2025

ভদ্র মহিলা ৩৫ বছর ধরে মাথার চুল কাটেনি।
বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় আসছেন

নতুন বছরের শুভেচ্ছা, প্রিয় তোমায় দেওয়ার মতন কিছুই নেই আমার, আমি শুধু শুভ কামনা করি, পৃথিবীর সব সুখ যেন তুমি পাও🙏🏼🌸🙏🏼🌺...
01/01/2025

নতুন বছরের শুভেচ্ছা, প্রিয় তোমায় দেওয়ার মতন কিছুই নেই আমার, আমি শুধু শুভ কামনা করি, পৃথিবীর সব সুখ যেন তুমি পাও🙏🏼🌸
🙏🏼🌺জয় তারা মা🌺🙏🏼

🙏🏼🌺হর হর মহাদেব🌺🙏🏼
01/01/2025

🙏🏼🌺হর হর মহাদেব🌺🙏🏼

31/12/2024

Dear ২০২৫
সবার মা-বাবা যেন সুস্থ আর ভালো থাকে‌😊❤️
🌿 হরে কৃষ্ণ 🌿

31/12/2024

নতুন বছরটা না হয়
রাধে রাধে বলে শুরু
করা যাক।
🌿🌸রাধে রাধে🌸🌿

১টা বীজ ধানে ১৫০ pic ধান লাভ পেয়েছি,এর থেকে বড় জুয়া পৃথিবীতে আর নেই।
31/12/2024

১টা বীজ ধানে ১৫০ pic ধান লাভ পেয়েছি,
এর থেকে বড় জুয়া পৃথিবীতে আর নেই।

31/12/2024

২০২৪ এর শেষ সকাল! ২০২৪ এর শেষ ভোর!❤️
🌸রাধে রাধে🌸
🙏🏼🌸হরে কৃষ্ণ🌸🙏🏼

30/12/2024

I Wish, আমার স্ট্যাটাসটা এখন যে পড়ছে 🙂
ভগবান যেন নতুন বছরে তার দুঃখ কষ্ট দূর করে দেয়
🌸🌿হরে কৃষ্ণ🌿🌸

27/12/2024
27/12/2024

তোর বাবার বয়স হচ্ছে, শরীরটাও ভালো না।
তুই বিয়েতে রাজি হয়ে যা...

Best emotional blackmail for a girl 😔💔

18/12/2024

-অভিভাবক হিসেবে
মা-বাবাই যথেষ্ট।😍
এবং সাহায্যকারী হিসেবে ও শ্রীকৃষ্ণ'ই যথেষ্ট।❤️
🌸হরে কৃষ্ণ🌸

শাক সবজির  ইংরেজী নাম:শাক সবজি (Vegetables)গোল আলু – Potato (পটেটো)টমেটো – Tomato (টম্যাটো)গোল/তাল বেগুন – Brinjal (ব্রি...
13/12/2024

শাক সবজির ইংরেজী নাম:

শাক সবজি (Vegetables)
গোল আলু – Potato (পটেটো)
টমেটো – Tomato (টম্যাটো)
গোল/তাল বেগুন – Brinjal (ব্রিনজাল)
লম্বা বেগুন – Eggplant (এগপ্লান্ট)
করলা – Balsam Apple (বোলসাম এ্যাপেল)
পটল – Pointed gourd (পয়েন্টেড গোর্ড)
লাউ/কদু – Bottle Gourd (বটল গোর্ড)
মটর শুঁটি – Green Pea(গ্রীন পী)
কাঁচা পেঁপে – Green Papaya (গ্রীন পাপ্যায়া)
কাঁকরোল – Sweet Bitter Gourd (সুইট বিটার গোর্ড)
শসা – Cucumber (কিউকাম্বার)
গাঁজর – Carrot (ক্যারট)
ফুলকপি – Cauliflower (কলি ফ্লাওয়ার)
মুলা – Radish (র‍্যাডিস)
ঝিংগে – Rige Gourd (রিজ গোর্ড)
চাল কুমড়া – Green Cucumber (গ্রীন কিউকাম্বার)
মিষ্টি আলু – Sweet Potato (সুইট পটেটো)
সাজনা – Drum Stick (ড্রাম স্টিক)
বরবটি – Asparagus Bean (অ্যাস্প্যারাগাস বিন)
চিচিংগা/চিচিংগা – Snake Gourd (স্নেক গোর্ড)
মিষ্টি কুমড়া – Pumpkin (পামকিন)
কাঁচা কলা – Green Banana (গ্রীন ব্যানানা)
পুঁই শাক – Basil (বেসিল)
পালং শাক – Spinach (স্পিনাজ)
কচু – Arum (অ্যারাম)
কচুর লতি – Arum (অ্যারাম)
Arum-lobe কচুর লতি।
সিম – Bean (বিন)
ঢেঁড়স – Lady’s Finger (লেডিস ফিংগার)
কচুর ছড়া – Arum (অ্যারাম)
কলার মোচা – Plantain Flower (প্লান্টেইন ফ্লাওয়ার)
কলমি শাক – Bindweed (বাইন্ডউইড)
শালগম – Turnip (টারনিপ)
লাল শাক – Read Leafy (রেড লিফি)
Cress হেলেঞ্চা শাক।
বাঁধাকপি – Cabbage (ক্যাবেজ)
মাশরুম – Mushroom (মাশরুম)
ভূট্টা – Maize (মেইজ)
শিমলা মরিচ – Capsicum (ক্যাপ্সিকাম)
পেঁয়াজ – Onion (অনিয়ন)
রসুন – Garlic (গার্লিক)
আদা – Zinger (জিনজার)
হলুদ – Turmeric (টার্মারিক)
মরিচ – Red Chili (রেড চিলি)
ধনে পাতা – Coriander (করিয়্যান্ডার)
পুদিনা পাতা – Mint (মিন্ট)
লেবু – Lemon (লেমন)
কাঁচা মরিচ – Green Chili (গ্রীন চিলি)
Zucchini ধুন্দুল।
Leek পেঁয়াজ পাতা।
Grum ছোলা।
Lentils মসুর ডাল।
Lettuce লেটুসপাতা।
Drum-stick সজনে।
Eggplant সাদা বেগুন।

পার্থক্য ছিলো, আছে, থাকবে! 🇮🇳❤️
13/12/2024

পার্থক্য ছিলো, আছে, থাকবে! 🇮🇳❤️

পাত্রকে দেখেই চমকে উঠলাম আমি। ইশ্ একে আমি বিয়ে করব! মাথার সামনের দিকের চুল পাতলা হয়ে এসেছে এখনই। বছরখানেকের মধ্যে টাক পড়...
12/12/2024

পাত্রকে দেখেই চমকে উঠলাম আমি। ইশ্ একে আমি বিয়ে করব! মাথার সামনের দিকের চুল পাতলা হয়ে এসেছে এখনই। বছরখানেকের মধ্যে টাক পড়ে যাবে। ছেলে হিসেবে হাইটও তেমন একটা নয়। কেমন যেন বোকা বোকা দেখতে। ভালো মাইনে পায় বলে একে আমায় বিয়ে করতে হবে। কোনো মানে হয়! বরং পাশে যে ছেলেটি বসে আছে দেখতে বেশ ভালো। আমার সাথে খুব মানাবে।

আমার কথা শুনে মা ধমকে বলল, "মেয়েদের এসব কথা বলতে আছে! তোর বাবাকেও কি আমার প্রথমে পছন্দ ছিল! কুড়ি বছর সংসার করছি। পরে সব ঠিক হয়ে যায় রে মা! তখন দেখবি বরকে ছেড়ে মায়ের কাছে আসতে চাইছিস না।"

আমার মায়ের কথাটা শুনে অবাক লাগল। পরে সবকিছু কিভাবে ঠিক হবে ঠিক বুঝলাম না। আমি রাস্তায় বেরোলে সবাই দুবার তাকিয়ে দেখত। এতটাই সুন্দরী ছিলাম আমি। রূপের অহংকারও ছিল আমার। কেনই বা থাকবেনা! অনুষ্ঠান বাড়ি গেলে ফোটোগ্রাফারদের লাইন পড়ে যেত। অনেকে মডেলিং এর অফারও দিয়েছিল কিন্তু বাবার আপত্তি ছিল বলে করতে পারিনি। সুন্দরী ছিলাম বলে অনেকে হিংসে করত আমায়। ছেলেরা বিরক্ত করত খুব কিন্তু আমি সেভাবে কোনদিনো কাউকে পাত্তা দিইনি। মনে মনে ভাবতাম এদের থেকে ঢের ভালো বর হবে আমার। যখন বিয়ের পর দুজনে একসাথে বেরোবো সবাই তাকিয়ে দেখবে। কিন্তু তেমন কিছুই হল না আমার সাথে।

বিয়ের দিন পাড়া প্রতিবেশিরা ফিসফিসিয়ে বলেছিল, "কম তো দেমাক ছিলনা। শেষে কিনা এই বর!"

কথাগুলো শুনে কান গরম হয়ে যাচ্ছিল আমার। নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে ছিলাম বলে চাইলেই সবকিছু পায়নি। এবার উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘরে যাচ্ছি এইটুকুই যা ভরসা ছিল।

অনেকের মত আমিও অপছন্দের সংসার শুরু করলাম। আমার স্বামী দিব্য ভালো করেই বুঝত সবদিক থেকেই ও আমার পাশে বেমানান তাই আমাকে সবসময় খুশি রাখার যথাসম্ভব চেষ্টা করত। কোনকিছু আবদার করলে যেখান থেকে পারত এনে হাজির করত। রাস্তায় একসাথে বেরোলে আমার পেছনে হাঁটতো তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় শক্ত করে আমার হাতটা চেপে ধরত। তখন বুঝতাম মানুষটা আমায় ভালোবাসে, আমার কথা ভাবে। কিন্তু আমি কখনই ওকে ভালোবাসতে পারিনি। ঐ সবকিছুই লোক দেখানো ছিল। হয়ত সেটা দিব্যও বুঝত তাই কখনো ভালোবাসা দাবি করেনি।

হঠাৎই একদিন আমাদের বাড়ি দিব্যর বন্ধু ইন্দ্র এল। ঐ যাকে আমি সম্বন্ধ দেখার দিন দিব্যর পাশে বসে থাকতে দেখেছিলাম। সুপুরুষ হয়ত একেই বলে। সামনে এসে দাঁড়ালে চোখ ফেরানোর উপায় ছিলনা।

ইন্দ্র আমাকে বলত, "আচ্ছা শর্বরী তুমি কখনো কারোর প্রেমে পড়োনি! এটা ভেবে সত্যিই আমার আবাক লাগে।"

আমি হেসে বলতাম, "তখন তুমি থাকলে নিশ্চয়ই তোমার প্রেমে পড়তাম।"

ইন্দ্র আফশোস করে বলত, "ইশ্ কেন যে তখন ছিলাম না!"

চাকরির ইন্টারভিউ দেবে বলে ইন্দ্র মাসখানেক আমাদের বাড়ি ছিল। তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমি ওর প্রেমে পড়লাম। ঘন্টার পর ঘন্টা ছাদে গল্প করতাম আমরা। আমার বেমানান স্বামীকে আমি প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। ইন্দ্র বলল চাকরি পেয়ে গেলেই আমায় বিয়ে করবে। আমি জানতাম ডিভোর্স চাইলে দিব্য কোনরকম ঝামেলা করবেনা। কারন ও ভালো করেই বুঝত আমি ইন্দ্রকে কতটা পছন্দ করি।

চাকরি পেয়ে গেল ইন্দ্র। চলেও গেল। তখন খুব একা লাগত আমার। আবার সেই একঘেয়ে জীবনে ফিরে গেলাম আমি। আমার বিরক্তিগুলো দিব্যর ওপর উগড়ে দিতাম। ও চুপ করে সব শুনত।

মাঝে একবার বলেছিল, "শর্বরী আমার সাথে সমুদ্র দেখতে যাবে!"

আমি ঝাঁঝিয়ে উঠে বলেছিলাম, "তোমার ইচ্ছে করলে তুমি যাও!"

ইন্দ্র একদিন ফোন করে বলল দেখা করতে চায় আমার সাথে। বিয়ের ব্যাপারটা ফাইনাল করে ফেলতে হবে তো সেই জন্যে। আনন্দে নেচে উঠলাম আমি। তাহলে সত্যিই ইন্দ্র ভোলেনি আমায়! সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ত একেই বলে! এতদিনে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পাব আমি। ঠাকুরমা ছোটবেলায় বলত লাল টুকটুকে বর হবে তোর দিদিভাই! এবার তাহলে ঠাকুরমার কথাই সত্যি হবে। বাড়িতে এসব বললে অশান্তি হবে তাই ঠিক করলাম সব পরেই বলব। মায়ের কাছে দিব্য ভগবানের অপেক্ষা কোন অংশে কম ছিলনা। এত শিক্ষিত হয়েও এত বিনয়ী নাকি লাখে একটা মেলে! কিন্তু আমার সাফ কথা। আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী।

বিকেল চারটে নাগাদ কফিশপে দেখা করব আমরা। সেদিন ছিল রবিবার। দিব্য সকালে সোফায় বসে কাগজ পড়ছিল। আমি বললাম বান্ধবীর সাথে দেখা করতে যাব বিকেলে তাই তাড়াতাড়ি রান্না সারতে হবে আমায়।

দিব্য মুখ থেকে কাগজ নামিয়ে বলল, "তুমি যে কাল বললে ওভেন ঠিকঠাক কাজ করছে না। তাই আমি বলি কি একটা মেকানিক নিয়ে আসি তারপর রান্না কর। এখন গ্যাসে হাত না দেওয়াই ভাল।"

আমি বারবার ঘড়ি দেখছিলাম। উফ্ কখন যে চারটে বাজবে।

বিরক্ত হয়ে বললাম, "তুমি কখন লোক ডাকবে সেই আশায় হাঁ করে বসে থাকি আমি আর কি! আমাকে তাড়াতাড়ি রান্না সেরে বেরোতে হবে তাই এখন এসব লোক ডাকাডাকির ঝামেলা করো না।"

আমার মেজাজ দেখে দিব্য আর কথা বাড়ালো না।

লাইটার দিয়ে গ্যাস ধরাতেই বার্নার থেকে আগুনের লেলিহান শিখা ঝলসে দিল আমায়। শুধু মনে হচ্ছিল মুখটা পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে আমার। দিব্য পেছন থেকে টেনে সরিয়ে এনে আমার প্রাণ বাঁচাল। তবে আমার মুখ পুড়ল। যে রূপ নিয়ে এত গর্ব ছিল আমার, আগুনে পুড়ে ছাই হল। দিন পনেরো পর কথা বলার মত অবস্থায় এলাম। আয়নায় নিজের মুখটা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠেছিলাম। দিব্যর কাছে শুনেছিলাম ইন্দ্র নাকি একদিন আমায় দেখতে এসেছিল। তারপর আর কখনো আসেনি। আমার ভালোবাসার মানুষ, যাকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করেছিলাম সে আমার পোড়ামুখ দেখে পালিয়ে গেল। প্রথমে খুব রাগ হয়েছিল ইন্দ্রের ওপর। কিন্তু পরে মনে হয়েছিল ও তো ভুল কিছু করেনি। আমিও তো ওর রূপ দেখেই ওকে ভালোবেসেছিলাম। ভেতরের মনটা তো কখনো পড়তে চাইনি! তাহলে কি আর দিব্যকে ছেড়ে ওর কাছে যেতে চাইতাম!

যে মানুষটাকে সবসময় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছি, সে কিন্তু আজো আমায় ছেড়ে কোথাও যায়নি। রাস্তা পারাপারের সময় আগের মতোই শক্ত করে আমার হাতটা চেপে ধরে। যদিও আজ আমিই বেমানান ওর পাশে। তবে ভগবান কে ধন্যবাদ জানাই এই বলে যে ভাগ্যিস মুখটা পুড়িয়ে রূপের দম্ভ চূর্ণবিচূর্ণ করেছিলে ঠাকুর! তা না হলে দিব্যর যে কত সুন্দর একটা মন আছে সেটা কখনো জানতেই পারতাম না।

দিব্য আমায় সমুদ্র দেখাতে নিয়ে যাবে বলেছে। সামনের সপ্তাহে পুরী যাচ্ছি আমরা। ওকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম ক্ষমা করে দিও আমায়। অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। দিব্য বলেছিল যত রাগ অভিমান কষ্ট আছে সব সাগরে ভাসিয়ে দিও।
সমাপ্ত

Address

Kadwip
Kolkata
700014

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ব্যস্ত জীবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ব্যস্ত জীবন:

Videos

Share