বইয়ের হাট

বইয়ের হাট Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from বইয়ের হাট, Book & Magazine Distributor, A-25/8, V. I. P Park, Kolkata/, KOLKATA.
(1)

বাংলা বইয়ের সেরা ঠিকানা - https://boierhaat.com
• ৮০০০-এরও বেশি বই
• ১০০-রও বেশি প্রকাশক
• ভারতের যেকোনো প্রান্তে ক্যাশ-অন-ডেলিভারী, ট্র্যাকিং সহ
• ১৯৯ টাকার ওপর কেনাকাটায় সারা ভারতে শিপিং বিনামূল্যে
• আইফোন ও আন্ড্রয়েড অ্যাপ
• এখন বিদেশেও ডেলিভারী সহিত শব্দ হইতে সাহিত্য শব্দের উৎপত্তি। অতএব ধাতুগত অর্থ ধরিলে সাহিত্য শব্দের মধ্যে একটি মিলনের ভাব দেখিতে পাওয়া যায়। সে যে কেবল ভাবে-ভাবে ভাষায়-ভাষা

য় গ্রন্থে-গ্রন্থে মিলন তাহা নহে; মানুষের, সহিত মানুষের, অতীতের সহিত বর্তমানের, দূরের সহিত নিকটের অত্যন্ত অন্তরঙ্গ যোগষাধন সাহিত্য ব্যতীত আর-কিছুর দ্বারাই সম্ভবপর নহে। যে দেশে সাহিত্যের অভাব সে দেশের লোক পরস্পর সজীব বন্ধনে সংযুক্ত নহে; তাহারা বিচ্ছিন্ন।

--- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

'কলকাতার বুকে আমরা জুড়ে দিতে চাই এমন একটি ডানা যার নাম গতি'— উনিশশো সত্তরের দশক থেকে উনিশ'শো আশি'র গোড়ার সময়ে কলকাতার বু...
08/06/2024

'কলকাতার বুকে আমরা জুড়ে দিতে চাই এমন একটি ডানা যার নাম গতি'— উনিশশো সত্তরের দশক থেকে উনিশ'শো আশি'র গোড়ার সময়ে কলকাতার বুকে নানান জায়গায় 'বিজ্ঞাপিত' হ'ত এই অসাধারণ অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার ছিল ভারতের মেট্রোরেলের —‘কলকাতা পাতাল রেল’—যে স্বপ্ন পঞ্চাশের দশকে ডঃ বিধানচন্দ্র রায় দেখেছিলেন। ১৯৭২ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী স্থাপন করেছিলেন এর ভিত্তিপ্রস্তর। তারপর নানা সংশয় ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৪শে অক্টোবর ইতিহাসে নতুন নজির গড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ—চালু হয়েছিল ভারতের প্রথম মেট্রো রেলপথ খাস কলকাতার বুকে। সমস্ত বাধা ও বিপত্তি কাটিয়ে ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়র এবং সহকর্মীরা দেশীয় প্রযুক্তিতে গড়ে তুলেছিলেন এই রেলপথ। ১৯৬৪ সালে ‘সি.এম.পি ও.’ পাতাল রেল প্রকল্পের রচনা করেছিল এবং প্রকল্পের রূপকার ও তত্ত্বাবধায়ক ছিল পূর্ব রেল বিভাগের মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট। ১৯৭৩ সালে পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। তিনটি পর্যায়ে এই পাতাল রেলপথ স্থাপন সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল—প্রথম পর্যায়ে দমদম থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৬ কি.মি, দ্বিতীয় পর্যায়ে টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া ৮ কি.মি ও বিধান নগরী থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত ১৭ কি.মি এবং তৃতীয় বা অন্তিম পর্যায়ে দক্ষিনেশ্বর থেকে ঠাকুরপুকুর পর্যন্ত প্রায় ২৬ কি.মি রেলপথ স্থাপন। আর এই ২০২৪ সালে এসে মেট্রোরেল কল্লোলিনী কলকাতার শীর্ষে জুড়ে দিলো নতুন পালক— গঙ্গা নদীর নিচ দিয়ে শুরু হলো মেট্রো রেলের দৌড়। আর এই প্রথম শুরু হয়ে গেল সারা ভারতে নদীর তলদেশ দিয়ে ট্রেন চলা। ট্রেন ধর্মতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত হুগলি বা গঙ্গা নদীর তলদেশের ৫২০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। নদীর তলদেশের ৩৪ মিটার তল দিয়ে চলে গেছে এই রেলপথ। মেট্রো-রেলপথের নির্মানের আদি কাল থেকে, অর্থাৎ ডিজাইন ও ড্রইং-এর সময় থেকে আধুনিক ভারতের কারিগরি বিস্ময়ের একজন সাক্ষী ছিলেন তদানীন্তন মেট্রো-রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়র অশোক সেনগুপ্ত। তিনি তাঁর প্রাঞ্জল বিবরণীতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন এই বিশাল স্বপ্নময় বাস্তবায়ন তাঁর ‘কলকাতার পাতাল রেল’ গ্ৰন্থে। সম্পাদক পূর্ণেন্দু শেখর মিত্রের ঐকান্তিক চেষ্টায় ১৯১২ সালে প্রথম প্রকাশিত এই বইটি অল্প সময়ের মধ্যেই নি:শেষিত হয়ে গিয়েছিল! সম্প্রতি বই'টির পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে 'দুর্বা প্রকাশনী' থেকে পূর্ণেন্দু শেখর মিত্র ও কৌশিক বক্সীর উদ্যোগে। কলকাতার পাতাল রেল কী ভাবে তৈরি হয়েছিল তার একমাত্র তথ্য-নির্ভর ইতিহাস অশোক সেনগুপ্ত লিখিত এই গ্ৰন্থটি এখন অনলাইনে ‘বইয়ের হাট' ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। অনবদ্য এই গ্ৰন্থটি সম্পর্কে জানতে ও নিজস্ব সংগ্রহে রাখতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে ,:

https://boierhaat.com/product/kolkatar-patal-rail
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
Durba Prakashani

“বাংলার লেখকমণ্ডলীর মধ্যে সাধারণত লিপিনৈপুণ্যের অভাব দেখা যায় না; কিন্তু স্বাধীন মননশক্তির সাহস ও ঐশ্বর্য অত্যন্ত বিরল।...
06/06/2024

“বাংলার লেখকমণ্ডলীর মধ্যে সাধারণত লিপিনৈপুণ্যের অভাব দেখা যায় না; কিন্তু স্বাধীন মননশক্তির সাহস ও ঐশ্বর্য অত্যন্ত বিরল। মনন ও রচনারীতি সম্বন্ধে রামেন্দ্রসুন্দরের দুর্লভ স্বাতন্ত্র্য ছিল। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তাঁহার সেই খ্যাতি বিলুপ্ত হইবে না।”— আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সম্পর্কে এই কথাগুলি বলেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যদিও বাংলা ভাষার এই বিজ্ঞান লেখক জন্মসূত্রে বাঙালি ছিলেন না। বন্ধুগল গোত্রের জিঝৌতিয়া ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁর পূর্বপুরুষরা এবং এই সম্প্রদায়ের লোকেরা রামেন্দ্রসুন্দরের জন্মের প্রায় দুশো বছর আগে থেকেই মুর্শিদাবাদে বসবাস করতো। ফলতঃ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে তারা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং বাংলা ভাষা বাঙালিদের মতো করেই আপন করে নিয়েছিলেন। রামেন্দ্রসুন্দর মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার জেমো গ্রামে ১৮৬৪ সালের ২২শে আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন — তাঁর পিতার নাম গোবিন্দসুন্দর এবং মাতা চন্দ্রকামিনী। লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী রামেন্দ্রসুন্দর ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং এই কলেজ থেকেই ১৮৮৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান উভয় বিষয়েই সাম্মানিক স্নাতক পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরেও প্রথম স্থান অর্জন করে নেন। পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি পেয়েছিলেন তিনি। রামেন্দ্রসুন্দরের মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁদের পারিবারিক রীতি অনুযায়ী জেমো রাজপরিবারের নরেন্দ্র নারায়ণের কনিষ্ঠা কন্যা ইন্দুপ্রভা দেবীর সঙ্গে বিবাহ হয়। তিনি ১৮৯২ সালে রিপন কলেজে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রের অস্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে স্থায়ী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯০৩ সালে তিনি এই কলেজের স্থায়ী অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়ে আমরণ সে পদেই কর্মজীবন সমাপ্ত করেছিলেন। তাঁর পূর্বে উপযুক্ত বইয়ের অভাবে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার জন্য উপযুক্ত পরিবেশই ছিল না। তিনি প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করে এবং বক্তৃতার মাধ্যমে বাঙালিদের বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কোনো মৌলিক গবেষণা বা আবিষ্কার না করেও মূলত লেখনীর মাধ্যমেই একজন বিজ্ঞানী ও শাস্ত্রজ্ঞের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তিনি। বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ছাড়াও তিনি দর্শন ও সংস্কৃত শাস্ত্রের দুর্বোধ্য বিষয়গুলিকে সহজ বাংলায় পাঠকের উপযোগী করে তুলে ধরেছিলেন। বাংলা সংস্কৃতির ধারা বজায় রাখার জন্য ১৮৯৪ সালে তিনি গঠন করেছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং ১৯০৪ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত তিনি এই বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন। বাংলা ভাষাতে প্রথম বিজ্ঞান রচনাকার রামেন্দ্রসুন্দর ১৯১৯ সালের ৬ জুন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। বাংলা বই, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ই-কর্মাস আ্যপ 'বইয়ের হাট'এর পক্ষ থেকে আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদিত হলো। ‘পত্র ভারতী’ প্রকাশনার উদ্যোগে প্রকাশিত রামেন্দ্রসুন্দরের অনাদরে পড়ে থাকা রচনা থেকে প্রাসঙ্গিক লেখাগুলিকে একত্রিত করে ‘রামেন্দ্রসুন্দর সেরা রচনা সম্ভার’ এবং ‘বাংলার মুখ’ প্রকাশনা থেকে ‘বেদ-কথা যজ্ঞ-কথা’ নামক বইদুটি রয়েছে ‘বইয়ের হাট’ ওয়েবসাইটের সংগ্রহে। অনবদ্য এই বইদুটি অনলাইনে সংগ্রহ করার লিংকটি হলো :

https://boierhaat.com/brand/Ramendrasundar-Trivedi-lRTSU
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
Patra Bharati

03/06/2024

১লা জুনের নির্বাচন ও ৪ঠা জুন ভোট গণনার জন্য, ডাককর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে আমাদের স্বাভাবিক পরিষেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। আশা রাখি পরিস্থিতি বিচার করে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন🙏।

"...আমি গরীবের মেয়ে ছিলাম। থিয়েটার করতে যাবার আগে থিয়েটার কখনও দেখিনি। কি ক'রে যে থিয়েটারের মধ্যে পড়লেম... একদিন আমাকেও ...
30/05/2024

"...আমি গরীবের মেয়ে ছিলাম। থিয়েটার করতে যাবার আগে থিয়েটার কখনও দেখিনি। কি ক'রে যে থিয়েটারের মধ্যে পড়লেম... একদিন আমাকেও খেলাঘরের হাঁড়ি-কুড়ি, হাতা বেড়ীর মাঝখান থেকে টেনে নিয়ে ন্যাশনাল থিয়েটারের নাচঘরের মাঝখানে ফেলে দিলেন। ছোট্ট মেয়ে, কিছুই জানি না, কখনও অতগুলি ভদ্রলোকের মাঝখানে এর পূর্ব্বে যাইওনি; থিয়েটার যে কি জিনিষ তাও জানি না। ভয়ে ভাবনায় লজ্জায় কেমন একরকম হয়ে গেলেম। ঠিক যেন হংস মধ্যে বক।..."
সমাজের আলোকবর্তিকা থেকে দূরে অন্ধকারময় জগতে হেলায় পড়ে থাকা এক বিদ্যুৎবহ্নি ঊনবিংশ শতকে মহিলাদের অভিনয়কে বাঙালী দর্শকের দরবারে গ্রহণযোগ্য করতে যিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন—কথাগুলি সেই বিনোদিনী দাসীর। মাত্র ১২ বছরের অভিনয় জীবনে ৫০টি নাটকে ৬০টিরও বেশি চরিত্রে অভিনয় করে প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছিলেন নটী বিনোদিনী নামে খ্যাত এই অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় প্রতিভা মুগ্ধ করেছিল সমাজের সকল স্তরের মানুষকেই। বহুল প্রশংসিত হয়েছিলেন নাট্যাচার্য এবং তাঁর অভিনয়ের গুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষের। গিরিশচন্দ্র তাঁর 'কি করিয়া বড় অভিনেত্রী হইতে হয়' শীর্ষক প্রবন্ধে বিনোদিনীর জীবনচর্চাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। স্বয়ং রামকৃষ্ণদেব তাঁর চৈতন্যলীলার অভিনয় দেখে তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন ‘চৈতন্য হোক’। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসের চরিত্রগুলির সার্থক রূপায়ণ হয়েছিল বিনোদিনীর অভিনয়ে—এই উপলব্ধি লেখক বঙ্কিমচন্দ্রের। একই নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সহজাত প্রতিভা ছিল তাঁর। দুর্গেশনন্দিনীর দুটি ভিন্নমুখী চরিত্র—আয়েষা ও তিলোত্তমা একই সাথে সার্থক রূপদান করেছিলেন তিনি। এছাড়াও মেঘনাদবধের সাতটি চরিত্রে একই সাথে অভিনয়ের মাধ্যমে সফলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। আবার একই অভিনয় রজনীতে একাধিক নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে দক্ষতার সাথে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষবৃক্ষের কুন্দনন্দিনী, সধবার একাদশীর কাঞ্চন, বিবাহ বিভ্রাটে বিলাসিনী কারফর্মা, বিল্বমঙ্গলে চিন্তামনি, চৈতন্যলীলার চৈতন্য এবং বেল্লিক বাজার-এ রঙ্গিনী। চৈতন্য, প্রহ্লাদ প্রভৃতি পুরুষ চরিত্রগুলিতে অভিনয়েও তিনি প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। পৌরানিক, সামাজিক বা ঐতিহাসিক— যেকোন নাটকের করুণরসাত্মক হোক বা ভক্তিরসাত্মক, গুরুগম্ভীর হোক বা হাস্যরসাত্মক অথবা কোন গভীর চরিত্রের রূপায়ন—তিনি ছিলেন অনায়াস দক্ষ। অভিনয় ছাড়াও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিনী বিনোদিনীর গানের গলা ছিল উঁচুমানের। বিশ শতকের গোড়ায় যখন গ্রামোফোন চালু হয়, তখন গান শুরু করেন। এছাড়াও বিনোদিনী লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার কথা’, কাব্যগ্রন্থ ‘বাসনা’ এবং ‘কনক’। কিছু মানুষের প্রতারনার শিকার হয়ে সারাজীবনের জন্য ভালোবাসার অভিনয়জীবন থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। নিজের আত্মত্যাগে গড়ে ওঠা থিয়েটারে বিনোদিনীর নাম থাকেনি। এই নতুন থিয়েটারের নাম হয়েছিল স্টার থিয়েটার। এই বিশ্বাসঘাতকতায় অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার দুবছর পরেই মাত্র ২২-২৩ বছর বয়েসে তিনি স্বেচ্ছায় চিরতরে রঙ্গমঞ্চ ত্যাগ করেছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন জীবিত থাকলেও কখনও অভিনয়ে ফিরে আসেননি। ফলে বাংলা থিয়েটার হারিয়েছিল এক অসামান্য অভিনেত্রীকে।
বিনোদিনীর ‘আমার কথা’ আত্মকথায় একদিকে যেমন তাঁর রোমাঞ্চকর জীবনের কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে, তেমনি বিধৃত হয়েছে সেকালের নাট্যসমাজের মহারথীদের কথা, নাট্যজগতের অন্দরমহলের নানা অন্তরঙ্গ কথা। সমাজের প্রতি বিনোদিনীর তীব্র কটাক্ষও বারবার উঠে এসেছে। বিনোদিনীর অভিনয়-জীবনকে বাদ দিয়ে সেকালের নাট্যচর্চা অসম্পূর্ণ। তাই 'আমার কথা' এই কালজয়ী গ্রন্থটি শুধুমাত্র নটী বিনোদিনীর আত্মকাহিনী নয়, হয়ে উঠেছে সেকালের সমাজদর্পণ। সম্প্রতি ‘রাজশ্রী পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত এই বিশেষ গ্ৰন্থটি এখন অনলাইনে ‘বইয়ের হাট’ মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। বিনোদিনী রচিত এই বইটি সম্পর্কে জানতে ও নিজস্ব সংগ্রহে রাখতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :

https://boierhaat.com/product/amar-kotha-2
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই

কল্যাণী দাস— স্বাধীনতা আন্দোলনের এই অগ্নিকন্যার জন্ম ১৯০৭ সালের ২৮ মে, কৃষ্ণনগরে— পিতা বেণী মাধব দাস ও মাতা  সরলা দাস। ক...
28/05/2024

কল্যাণী দাস— স্বাধীনতা আন্দোলনের এই অগ্নিকন্যার জন্ম ১৯০৭ সালের ২৮ মে, কৃষ্ণনগরে— পিতা বেণী মাধব দাস ও মাতা সরলা দাস। কল্যাণী দাসের পরিবার ছিল রাজনৈতিক পরিবার।অসহযোগ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর মেজদাদা কারাবরণ করেন। তাঁর বোন বীণা দাসও সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। দেশপ্রেম ও শিক্ষকতায় নিবেদিতপ্রাণ পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে কল্যাণী রাজনীতিতে যোগ দেন। ছাত্রাবস্থাতেই তাঁর রাজনৈতিক মনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায়। কলিকাতার স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে এই সময়ে গঠিত হয় ‘ছাএীসংঘ' যার সভানেত্রী ছিলেন সুরমা মিত্র ও সম্পাদিকা ছিলেন কল্যানী দাস। সে সময় যুগান্তর দল এর কিছু সদস্যের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তীকলে তিনি এই দলের তিনি একজন সক্রিয় নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৩০ সালে ডালহৌসির অত্যাচারের বিরুধে প্রতিবাদের জন্য আইন অমান্য আন্দোলনে ছাত্রীদের যোগদান করতে উৎসাহিত করেন। ১৯৩২ সালে 'আইন অমান্য আন্দোলন' শুরু হলে তিনি অংশ গ্ৰহণ করে গ্রেপ্তার হন। তিনি নানা সমাজ সেবামূলক এবং বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্রী সংঘের উদ্যোক্তা এবং ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতির জন্য কারাবরণ করেন।
১৯৩৮ সালে কল্যাণী দাসের বিবাহ হয়ে যায় নির্মলেন্দু ভট্টাচার্যের সঙ্গে, কিন্তু বিয়ের পরও রাজনৈতিক নানা কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে 'মন্দিরা' নামে একটি মুখপত্র প্রকাশ করেন। এরপর ১৯৪০ সালে স্বামীর কর্মস্থল বোম্বে চলে যেতে হয়। ১৯৪২ সালে ভারত জুড়ে ‘ভারত ছাড়' আন্দোলন শুরু হলে তিনিও যোগদান করেছিলেন এবং বোম্বেতে তিন মাসের জন্য কারাবরণ করেন।
১৯৮৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তিনি 'জীবন অধ্যায়ন' নামক একটি আত্নচরিত প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে নিজের নানা অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। এই বইটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও নারী আন্দোলনের এক দলিল বলা চলে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগের বিস্মৃতপ্রায় এই অগ্নিকন্যার রচিত ‘জীবন অধ্যয়ন’ বইটি ‘তবুও প্রয়াস’ প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি সম্পর্কে জানতে এবং অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্ৰহ করতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া ‘বইয়ের হাট’এর লিংকে :

https://boierhaat.com/product/jiban-adhyan
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
তবুও প্রয়াস

প্রতিমা ঠাকুর— বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ এবং রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী এই পরিচয়ের অন্তরালে তিনি বিশেষ গুণে গুণান্বিতা ...
25/05/2024

প্রতিমা ঠাকুর— বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ এবং রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী এই পরিচয়ের অন্তরালে তিনি বিশেষ গুণে গুণান্বিতা স্বকীয় মহিমায় উজ্জ্বল এক ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে লেখিকা, কবি, চিত্রশিল্পী এবং নৃত্যবিশারদ। জন্মসূত্রে তিনি ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন বিনয়িনী দেবীর কন্যা, পিতার নাম শেষেন্দ্রভূষণ চট্টোপাধ্যায়। জন্মসূত্রে তাঁর ঠাকুর পরিবারে ছিল অবারিত দ্বার। এহেন ছোট্ট প্রতিমাকে দেখে রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী তাকে নিজের পুত্রবধূ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মৃণালিনীর অকালমৃত্যুতে তাঁর সে সাধ অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল সেদিন। এরপর মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রতিমার বিয়ে হয় যায় গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটবোন কুমুদিনীর ছোট নাতি নীলানাথের সাথে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই গঙ্গাবক্ষে সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় নীলানাথের। এই ঘটনার পাঁচ বছর পর যখন রবীন্দ্রপুত্র রথীন্দ্রনাথ বিলেত থেকে দেশে ফিরে আসেন তখন রবীন্দ্রনাথ নিজে রথীন্দ্রনাথের সাথে প্রতিমার বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি সেদিন সমাজ সংস্কারকে অগ্রাহ্য করেই এই বিয়ে দিয়েছিলেন এবং এই বিয়ে ছিল সেই সময়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির প্রথম বিধবা বিবাহ। প্রতিমা বিয়ের পর রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর স্বামীর সাথে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতনের নানাবিধ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি একজন সুদক্ষ চিত্রশিল্পীও ছিলেন এবং কিছুদিন ইতালীয় শিক্ষক গিলহার্ডির কাছে ছবি আঁকা শিখেছিলেন। আজও স্মরণীয় রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যগুলির নৃত্যনির্দেশনা ও পরিকল্পনায় তাঁর ভূমিকা। তাঁর বিয়ের কিছুদিন পরে শান্তিনিকেতনে মেয়েদের প্রথম অভিনয় লক্ষ্মীর পরীক্ষাতে তিনি ক্ষীরির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর নিজে অভিনয় না করলেও রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যের তিনিই ছিলেন প্রধান উৎসাহী। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং প্রথমে চিত্রাঙ্গদা বা পরিশোধ নিয়ে নৃত্যনাট্য রচনার পরিকল্পনা করেন নি, কিন্তু প্রতিমা দেবী যখন নৃত্যনাট্যের খসড়া নিয়ে রবীন্দ্রনাথসমীপে উপস্থাপন করেন তখন তিনি এই নতুন শিল্পকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। প্রতিমা দেবী প্রথাগত ভাবে কখনও নাচ শেখেননি এবং নিজেও নৃত্যশিল্পী ছিলেন না। তিনি বর্ষামঙ্গলের কিছু নৃত্যে রূপ দেওয়ার পর রবীন্দ্রনাথকে অনুরোধ করেছিলেন পূজারিনী কবিতার নৃত্যনাট্যরূপ লিখে দেওয়ার জন্য এবং রবীন্দ্রনাথ লিখলেন নটীর পূজা। প্রতিমা দেবী অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের মেয়েদের দিয়ে সেটি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অভিনয় করালেন। এই নৃত্যনাট্যে শ্রীমতীর ভূমিকায় নৃত্যাভিনয় করেছিলেন নন্দলাল বসুর মেয়ে গৌরী। তিনি নৃত্যরূপ দিয়েছিলেন শাপমোচন নৃত্যনাট্যের। প্রায় চোদ্দ বছরের পরিশ্রমে প্রতিমা স্থায়ী রূপ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ রচিত গীতিনাট্য — চিত্রাঙ্গদার। নৃত্যরূপ দিয়েছিলেন চণ্ডালিকাতেও। মায়ার খেলা নাটকের নতুন রূপদান করেন তিনি। প্রতিমার তীক্ষ্ণ নজর ছিল নাটকের পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজসজ্জা এমনকি মঞ্চ-সজ্জা প্রভৃতির দিকেও । তিনি
শান্তিনিকেতনের নৃত্যশৈলীতে মিশ্র তাল ও ভঙ্গির সম্মিলনে বৈচিত্র এনেছিলেন এবং তা রূপ দিয়েছিলেন সার্থক ভাবে সঙ্গীতের ভিত্তির উপর। প্রতিমা কল্পিতাদেবী ছদ্মনামে প্রবাসী পত্রিকাতে অনেক কবিতা লিখেছেন। তাঁর রচিত স্বপ্নবিলাসী পড়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হয়েছিলেন। প্রতিমা দেবী লিখিত নির্বাণ গ্ৰন্থে রবীন্দ্রজীবনের শেষ বছরের ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। স্মৃতিচিত্র নামক গ্ৰন্থে অবনীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের কথা ছাড়াও আছে বাড়ির মেয়েদের কথা এবং উৎসবের কথা। শান্তিনিকেতনের নৃত্যধারার বিষয়ে লিখেছিলেন নৃত্য নামক গ্ৰন্থে। চিত্রলেখা গ্ৰন্থটি তাঁর রচিত কবিতা এবং কথিকার সংকলন। প্রতিমা শান্তিনিকেতনে নারীশিক্ষা এবং নারীকল্যাণের জন্য মেয়েদের নিয়ে আলাপিনী সমিতি গঠন করেছিলেন।
এহেন বর্ণময় একজন চরিত্রকে এই প্রথম সম্যকভাবে বিশ্লেষণের অভিপ্রায়ে বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়েছে এক অসামান্য সংগ্রহ 'প্রতিমা দেবী'। এই রাজ সংস্করণে প্রতিমা দেবী-কে নিয়ে গুণীজনেদের স্মৃতিকথা, তাঁর কার্যাবলী বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা, অজস্র চিঠিপত্র, প্রতিমা দেবীর রচনা ও রঙিন চিত্রাবলী, আলোকচিত্র-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি সহযোগে খেরোর কাপড়ে মোড়া গ্রন্থটি পরিকল্পিত হয়েছে। ভূমিকা লিখেছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য শ্রীসুপ্রিয় ঠাকুর। শ্রীসৌম্যকান্তি দত্তের সংকলন ও সম্পাদনায় এই বিশেষ গ্রন্থটি এখন অনলাইনে ‘বইয়ের হাট’এর মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। বইটি সম্পর্কে জানতে ও নিজস্ব সংগ্রহে রাখতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :

https://boierhaat.com/product/pratima-debi
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
Bichitropotro Granthana Vibhaga। বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ

উর্দু ও হিন্দি সাহিত্যের স্বনামধন্য কথাশিল্পীমুন্সী প্রেমচাঁদের জন্ম ১৮৮০ সালের ৩১ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশে। তাঁর আসল ...
23/05/2024

উর্দু ও হিন্দি সাহিত্যের স্বনামধন্য কথাশিল্পী
মুন্সী প্রেমচাঁদের জন্ম ১৮৮০ সালের ৩১ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশে। তাঁর আসল নাম ধনপত রায় হলেও মুন্সী প্রেমচাঁদ নামেই তিনি পরিচিত। জীবনবাদী এই সাহিত্যিক হিন্দি সাহিত্যে ‘উপন্যাস-সম্রাট’ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক বলেও প্রেমচাঁদকে অভিহিত করা হয়। প্রেমচাঁদের লেখা ১৯১০ সালে প্রকাশিত 'বড়ে ঘরকী বেটি' উর্দু সাহিত্যের পাঠক মন ছুঁয়ে নিয়েছিল। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গোদান’। এছাড়া ‘নির্মলা’, ‘বাজার-এ-হুস্ন’, ‘কর্মভূমি’, ‘শাতরঞ্জ কে খিলাড়ি’, ‘গাবান’, ‘ঈদ্গাহ’ প্রভৃতি সাহিত্য সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তিনি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর প্রায় যাবতীয় সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায় অনূদিত ও বহুল পঠিত। কামিনী প্রকাশালয় থেকে সৌরেন দত্ত অনুদিত মুন্সী প্রেমচাঁদের গল্পসমগ্ৰের দুটি খন্ড এখন ‘বইয়ের হাট’এর মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। বইদুটি সম্পর্কে জানতে ও নিজস্ব সংগ্রহে রাখতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকগুলিতে :
https://boierhaat.com/product/munsee-premcnder-glp-smgr-1m-khnd

https://boierhaat.com/product/munsee-premcnder-glp-smgr-2y-khnd

এছাড়া ‘বইয়ের হাট’ ওয়েবসাইটের ‘গল্প ও গল্পসমগ্ৰ’ বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গল্পের বইয়ের সম্ভারের সম্পর্কে জানতে হলে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :
https://boierhaat.com/category/---bbgek?page=1
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই

বাঙালি ভাস্কর শিল্পী মীরা মুখোপাধ্যায়র জন্ম ১৯২৩ সালের ১১ই মে কলকাতার বউবাজার অঞ্চলে। তাঁর একাগ্ৰ সাধনায় প্রাচীন বাংলা...
17/05/2024

বাঙালি ভাস্কর শিল্পী মীরা মুখোপাধ্যায়র জন্ম ১৯২৩ সালের ১১ই মে কলকাতার বউবাজার অঞ্চলে। তাঁর একাগ্ৰ সাধনায় প্রাচীন বাংলার ভাস্কর্য শিল্পে এনেছিলেন আধুনিকতার ছোঁয়া। মীরা মুখোপাধ্যায় শিল্পকলা বিষয়ে তাঁর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট" প্রতিষ্ঠানে, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এরপর কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট এন্ড ক্র্যাফট থেকে শিক্ষালাভ করে পরে দিল্লির ‘দিল্লী পলিটেকনি’এ (বর্তমানে দিল্লি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) যোগদান করে তাঁর শিল্প বিষয়ক শিক্ষা গ্ৰহণ করেন এবং চিত্রকলার, গ্রাফিক্স ও ভাস্কর্য বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালে গবেষণার জন্য বৃত্তি পেয়ে জার্মানীর মিউনিখে
গিয়ে প্রথাগত শিল্পশিক্ষা শেষ করেন। সারাজীবন শিল্পের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই শিল্পী সৃষ্টি করেছেন অত্যাশ্চর্য অসংখ্য শিল্পকর্ম, খ্যাতিলাভ করেছেন দেশে বিদেশে। শিল্পকর্মে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে ভারত সরকারের থেকে তিনি পদ্মশ্রী পদক লাভ করেন।
মীরা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষে ‘দোসর পাবলিকেশন্স’ থেকে প্রকাশিত শিল্প ও ইতিহাসবিদ চিল্কা ঘোষ সম্পাদিত প্রবন্ধ সংকলন ‘চেনা অচেনা মীরা মুখোপাধ্যায়’। এই সংকলনটি মোট তিনটি ভাগে বিভক্ত—এক, ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন শিল্প ঐতিহাসিক ও তাত্ত্বিকদের প্রবন্ধ। দুই, মীরা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অনুরাগীদের সাক্ষাৎকার। তিন শিল্পীর ভাস্কর্য ও রেখাচিত্রের ছবি। মন থেকে আদ্যন্ত ভারতীয় ও কারিগরদের সঙ্গে একাত্ম এই শিল্পী ও তাঁর শিল্পসত্বাকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংকলনটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন শিল্প-ঐতিহাসিক, তাত্ত্বিক থেকে শুরু করে শিল্পী অনুরাগীরা নিজেদের কথা, ভাবনা, অনুভব ও ব্যক্তিগত সংগ্রহের ছবি দিয়ে এই গ্রন্থটি সাজিয়ে তুলতে তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্পাদক চিল্কা ঘোষের এই প্রয়াস শিল্প-রসিক ও আগ্রহী পাঠকদের ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যায় সম্বন্ধে নতুন কিছু জানতে ও তাঁকে নতুন ভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। ‘দোসর পাবলিকেশন্স’ থেকে প্রকাশিত এই বইটি অনলাইনে এখন ‘বইয়ের হাট”এর মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :

https://boierhaat.com/product/chena-ochena-meera-mukhopadhyay

এছাড়া ‘বইয়ের হাট’এর সংগ্রহে রয়েছে মীরা মুখোপাধ্যায়ের লেখা কিছু উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ। বইগুলি সম্পর্কে জানতে ও নিজস্ব সংগ্রহে রাখতে ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :

https://boierhaat.com/brand/Mira-Mukhopadhyay-G0Tui
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
Doshor Publications

মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়—জন্মসূত্রে সুদূর চেকোস্লোভাকিয়ার মেয়ে বিবাহসূত্রে হয়েছিলেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সন্তান মোহনলাল...
12/05/2024

মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়—জন্মসূত্রে সুদূর চেকোস্লোভাকিয়ার মেয়ে বিবাহসূত্রে হয়েছিলেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সন্তান মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের বধূ—পৃথিবীর দুই প্রান্তের এই দুই তরুণ তরুণীকে একসূত্রে আবদ্ধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘দি গার্ডেনার’ এবং ‘গীতাঞ্জলি’-র চেক অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন মিলাডা। একদিন এক সান্ধ্য গানের জলসায় গান শুনতে এসে আলাপ হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সন্তান মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি ছিলেন মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথের মেয়ে করুণা তিনটি শিশুসন্তান রেখে অকালে নাফেরার দেশে চলে গেলে তখন তাঁরা জোড়াসাঁকোর বৈঠকখানা বাড়িতেই এসে থাকতেন এবং বড়ো হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথের বড়ো ছেলে অলকেন্দ্রের স্ত্রী পারুলের স্নেহচ্ছত্রছায়ায়। মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বিশ শতকের বাংলায় একজন পরিসংখ্যানবিদ। এছাড়াও জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির আশ্রয়ে থেকে বাংলার শিশু-কিশোর সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। এই দুই ভিন্নভাষী মানুষ বিয়েটা সেরেছিলেন গোপনেই। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট —চেকোস্লোভাকিয়ার উপর যেকোন সময় ঘনিয়ে আসতে পারে জার্মানির আক্রমণ। ভারতে যাওয়ার জন্য মিলাডা ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবল অভিঘাতে মিলাডা নিজের শিকড় ছেড়ে অনেক দূরে চলে এসেছিলেন একাকিনী। যুদ্ধের কারণে তখন পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সব বাধা উপেক্ষা করে জাহাজে করে কলকাতায় পৌঁছলেন মিলাডা, অপেক্ষারত স্বামীর শহরে। জাহাজের এক মহিলার সাহায্য নিয়ে বাঙালি মেয়েদের তখনকার দিনের সাজপোশাক —শাড়ি পরেই ভারতে পৌঁছলেন মিলাডা। শঙ্খ বাজিয়ে ঠাকুরবাড়িতে অভ্যর্থনা করা হয় তাঁর, হাতে পেয়েছিলেন পদ্ম। শান্তিনিকেতনে গিয়ে মিলাডা শিখেছিলেন হাতের কাজ। করেছেন সাঁওতাল পরগণার বাসিন্দাদের নিয়ে কাজ। পরে নাগাদের সমাজের কেন্দ্রে প্রবেশ করে চেক ভাষায় নাগাদের নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন মিলাডা। এছাড়া লিখেছিলেন দুটি ইংরেজি বই— ‘আ পিলগ্রিমেজ টু দ্য নাগাজ’ এবং ‘নাগা আর্ট’। চেক, বাংলা, ইংরেজি — এই তিন ভাষাতেই বই লিখেছেন। সংগ্রহ করেছেন রূপকথা, করেছেন মোহনলালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুবাদের কাজ। ‘সাউথ পয়েন্ট’ স্কুলের শিশু বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি নৈর্ঋত প্রকাশন থেকে পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুর্লভ-দুষ্প্রাপ্য রূপকথা-গ্রন্থ ‘বারো মাসের বারো রাজা’ গ্ৰন্থটি পুনরুদ্ধিত হয়েছে। চেকোস্লোভাকিয়ার রূপকথা থেকে সংগৃহীত বাংলা ভাষায় লিখিত এই বইটি অনলাইনে ‘বইয়ের হাট’এর মাধ্যমে সংগ্ৰহ করা যাবে। ক্লিক করতে হবে নীচে দেওয়া লিংকে :

https://boierhaat.com/product/baro-maser-baro-raja
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই
নৈর্ঋত প্রকাশন

২৫-শে বৈশাখে হটাৎই মনে পরলো এক বুড়ো ডাক্তারের কথা, আজ রবিপূজোয় মত্ত আপামর বাঙালীর চেয়ে যিনি হয়তো ঢের বেশি চিনেছিলেন ...
08/05/2024

২৫-শে বৈশাখে হটাৎই মনে পরলো এক বুড়ো ডাক্তারের কথা, আজ রবিপূজোয় মত্ত আপামর বাঙালীর চেয়ে যিনি হয়তো ঢের বেশি চিনেছিলেন কবিকে। ‘বুড়ো ডাক্তার’ বললাম কারণ আশেপাশের বাচ্চারা Janusz Korczak -কে আদর করে এই নামেই ডাকতো, কারুর বয়স ১৫, কারুর ৫, কেউ আবার সবে কথা বলতে শিখেছে। এরকম ১৯৬ জনকে নিয়ে ‘বুড়ো’-র সংসার Warsaw -র ঘেঁটোতে একটা অনাথ আশ্রমে। হিটলার পোল্যান্ড দখল করার পর থেকে এটাই তাঁদের ঠিকানা। সেখানে প্রায় সকলেই যুদ্ধের বীভৎসতা দেখেছেন খুব কাছ থেকে, বিশেষ করে Korczak – যিনি প্রথম মহাযুদ্ধ অতিক্রম করে ষাটোর্ধ বয়সে এসে এই বাচ্চাদেরকেই নিজের সবটা উজার করে দিয়েছিলেন। গল্প লিখতেন, গল্প শোনাতেন, আর শিশুমন থেকে মোছানোর চেষ্টা করতেন বিশ্বযুদ্ধের বীভৎস স্মৃতি। কিন্তু, যত দিন যায়, অত্যাচার তত বাড়তে থাকে, সাথে আতঙ্কও। এই আতঙ্ক দূর করার জন্য ‘বুড়ো’ ভাবলেন একটা নাটক করার কথা।

আর এখানেই আমাদের ‘বুড়ো’ – রবিঠাকুরকে আবাহন। Korczak চট করে ‘ডাকঘর’ নাটকটা অনুবাদ করলেন পোলিশ ভাষায়, আর অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের নিয়ে লেগে পড়লেন। কেউ হল অমল, কেউ দইওয়ালা আর কেউ প্রহরী। সকলে মেতে উঠল, খুজে পেল বাঁচার ছন্দ।

অনাথ আশ্রমের দোরগোড়ায় যেদিন নাৎজি বাহিনী এসে দাঁড়াল, ১৯৬ জন শিশু আর ১২ জন নার্সকে Treblinka কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সেদিন ছিল নাটকের শেষ পরিবেশনা। শোনা যায়, কলাকুশলীরা সেদিন নাটকের পোশাক পরেই হাসিমুখে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের দিকে রওনা দিয়েছিলো, মৃত্যুভয়কে হারিয়ে।

রোগটা সমাজের, তবু অমলরা আজও নিঃসঙ্গ - আর ‘বুড়ো ডাক্তার’ও কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন।

1268 বঙ্গাব্দের 25 শে বৈশাখ—এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবির উদয় হয়েছিল বাংলা সাহিত্যাকাশে। আপামোর বাঙালির...
08/05/2024

1268 বঙ্গাব্দের 25 শে বৈশাখ—এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবির উদয় হয়েছিল বাংলা সাহিত্যাকাশে। আপামোর বাঙালির আত্মগরিমার এই বিশেষ দিনটি যেন উৎসব প্রিয় বাঙালির আর একটি উৎসবমুখর দিন —তাঁর গান, কবিতা, নাটক প্রভৃতির মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করার দিন আজ। কৈশোরে মাতৃহারা রবীন্দ্রনাথ প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন। তাঁর কাব্যরচনা শুরু মাত্র আট বছর বয়স থেকেই। নয় বছর বয়সে অনুবাদ করেছিলেন 'ম্যাকবেথ'। ছোট থেকেই বিদ্যালয়ের বাঁধাধরা নিয়মে শিক্ষা ব্যবস্থায় রবীন্দ্রনাথের মন ছিল না। তাই বাড়িতেই চলেছিল তাঁর বিদ্যাচর্চা। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা আরম্ভ হয়েছিল দাদা হেমেন্দ্রনাথের হাত ধরে। ব্যারিস্টার হওয়ার উদ্দেশ্যে 1878 সালে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন রবি ঠাকুর। 1879 সালে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু তাঁর। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনায় ইতি টেনে ইংরেজি সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা জ্ঞান অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ, যা পরবর্তীতে তাঁর সাহিত্যচর্চায় বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবির প্রিয় স্থান ছিল সিঁড়ি আর ছাদ। ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে বসেই রচনা করেছেন বহু গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস। তাঁর একের পর এক কালজয়ী সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বাঙ্গনে। একের পর এক অসংখ্য সাহিত্য সৃষ্টি করতে করতে তিনি হয়ে ওঠেন সাহিত্যের মহীরূহবৎ। 52টি কাব্যগ্রন্থ, 36 টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন,13 টি উপল্যাস, 95 টি ছোটগল্প, 38 টি নাটক এবং 1915 টি গানের রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও রয়েছে তাঁর আরো অনেক লেখালেখি। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী—সঙ্গীতজ্ঞ, কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। 1913 সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের প্রথম নোবেলজয়ী তথা ইউরোপের বাইরের কোনও দেশের নাগরিক হিসাবে প্রথম নোবেল পুরষ্কারের সম্মানও পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনে নিজের শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান— বিশ্বভারতী। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তরুণ প্রজন্মকে সাহস জোগাতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন একের পর এক দেশাত্মবোধক গান। 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনেও জড়িয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেন বিশ্বকবি।
তিনিই একমাত্র কবি যিনি দুই দেশের জন্য জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জনগনমন' এবং বাংলাদেশের 'আমার সোনার বাংলা' দুটি গানই তাঁরই রচনা। আজ ২৫শে বৈশাখের এই বিশেষ দিনে বাংলা বই, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ই-কর্মাস আ্যপ 'বইয়ের হাট' পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববরেণ্য এই বাঙালি মণীষীর উদ্দেশ্যে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদিত হলো। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৃষ্ট সৃষ্টিসমূহ অনলাইনে পাওয়া যাবে ‘বইয়ের হাট’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করলে :

https://boierhaat.com/brand/RABINDRANATH-TAGORE-W0lCU
বইয়ের হাট সবসময় রয়েছে ভালো বইয়ের খোঁজে। আপনারাও ভালো বই খুঁজুন, খুঁজে পড়ুন না পেলে আমাদের জানান, আমরা এনে দেব আপনাদের হাতের মুঠোয়, ১৯৯ টাকা মূল্যের ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ভারতের যেকোন জায়গায় বিনা ডেলিভারি চার্জে ও ভারতের বাইরে ন্যূনতম ডেলিভারি চার্জে এবং ১০০০ টাকার ঊর্দ্ধে কেনাকাটায় ১০% ছাড়ের সুবিধাসহ ।

আমাদের পেজে, লাইক করুন, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন।

আমাদের সাইট: https://www.boierhaat.com/

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের লিংকও আপনারা পেয়ে যাবেন এটায় ক্লিক করে 👇
https://lnkd.in/g855-qgq

যেকোনো প্রশ্নের জন্য কমেন্ট বা ডিএম করুন ! 😇
#বিদেশে_বইমেলা #বিদেশে_বাংলা_বই

Address

A-25/8, V. I. P Park, Kolkata/
Kolkata
700101

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বইয়ের হাট posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বইয়ের হাট:

Videos

Share