17/11/2024
মন দিয়ে শেষ অবধি পড়ুন,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি কলকাতার সোনাগাছি বস্তিতে এক বেশ্যা মহিলার কাছে এসেছেন। ব্যক্তিটি জিঙ্গাসা করলেন নাম কি তোমার ?
মহিলাটি : কেন নাম দিয়ে ধুয়ে খাবেন,, স্বপ্না আমার নাম।
ব্যক্তিটি : বয়স কত ?
স্বপ্না : কেন বাবু, বয়স শুনলে ২০০ আরো বেশি দেবেন ?
ব্যক্তিটি : এমন ভাবে কথা বলছো কেন ?
স্বপ্না : ভালো ভাবে কথা বলার জন্য তো এক্সট্রা পয়সা দেননি বাবু !
ব্যক্তি : তা বলে এইভাবে কথা বলার জন্যও তো কম পয়সা নাওনি ?
স্বপ্না : বাবু, পয়সা তো শুধু শরীরের জন্যই, কেনোই বা সময় নষ্ট করছেন, শুরু করুন !
ব্যক্তি : সিগারেট খেতে পারি একটা ?
স্বপ্না : খান না, আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন !
ব্যক্তি : না মানে, যদি সমস্যা থাকে .…
স্বপ্না : বাব্বা, পারি না গো পারিনা, ***তে এসে এতো ন্যাকামো আসে কিভাবে আপনার !
ব্যক্তি : এমন কেন বলছো ? সমস্যা তো থাকতেই পারে অনেকের সিগারেটে !
স্বপ্না : বাবু, সমস্যা তো প্রাণীর থাকে, আমরা তো জড়ো পদার্থ।
ব্যক্তি : একটু বেশিই বাজে বকছো, সমস্যা আছে কিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম !
স্বপ্না : তবে রে, অনেকক্ষন ধরে বড্ডো ***চ্ছেন, এবার নিজের সমস্যা দূর করে বিদায় হন তো, শুরু করুন !
ব্যক্তি : হ্যাঁ ।
স্বপ্না : খুলবো ? না নিজেই খুলবেন ?
ব্যক্তি : হ্যাঁ ..না…হ্যাঁ আমিই..না…
স্বপ্না : ওহ বুঝেছি, সোনাগাছিতে প্রথমবার ?
ব্যক্তিটি : হ্যাঁ ।
স্বপ্না : কেনো ? গার্লফ্রেন্ড দেয়নি ?
ব্যক্তি : না না, গার্লফ্রেন্ড টালফ্রেন্ড নেই ।
স্বপ্না : এমন গা জ্বালানো পাবলিক হলে গার্লফ্রেন্ড হবেই বা কি করে !
ব্যক্তি : না না, আমি বিবাহিত !!
স্বপ্না : তো ? বউ কি রাতে ডিস্কো গেছে ? আর আপনি এলেন সোনাগাছি ? সত্যিই মাইরি, আপনারা বড়লোকরাই পারেন এমন নাটক ***তে !
ব্যক্তি : না না, আমি ওই জন্য আসিনি, বউ কে খুঁজতে এসেছি !
স্বপ্না : মানে ?
ব্যক্তি : হ্যাঁ, জানেন.... রাতে শপিং করে ফিরছিলাম দুজনেই, আমি আর আমার স্ত্রী উত্তরা , হঠাৎ ৪ জন এলো, আমাদের দুজনের মুখে রুমাল চেপে ধরলো, জ্ঞান ফিরলো যখন, পরদিন সকালে আমি স্থানীয় একটা হসপিটালে বেডে শুয়ে আছি , উত্তরা নেই, অনেক খুঁজেছি জানেন, কোথাও পাইনি
স্বপ্না : তা, হটাৎ আজ রাতে সোনাগাছিতে একরাতের জন্য বউ খুঁজতে এলেন বুঝি ?
ব্যক্তি : নাহঃ, বলছি, প্লিজ পুরোটা শুনুন, ওই রাতের ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় মানে গতকাল স্ত্রীর ফোন আসে, শুধু বললো সোনাগাছিতে এসে আমাকে নিয়ে যেও, নাম আমার নিশা…. আমি কিছু বলার আগেই ফোন টা কেটে দিলো উত্তরা। বুঝতে পেরেছিলাম হয়তো ৫ সেকেন্ডের সুযোগটাই পেয়েছিলো আমাকে জানানোর জন্য। তারপর কাল থেকে যতবার ফোন করেছি ওই নম্বরে, ফোন লাগে নি আর.… তাই আমি খুঁজতে এসেছি উত্তরাকে !! জানি এতো বড় সোনাগাছিতে আমার স্ত্রীকে খোঁজা সম্ভব নয়, শুধু চাই তোমার মতো একজন বন্ধু যে আমার স্ত্রীকে খুঁজে বের করে দেবে এই নরক থেকে। প্লিজ তুমি খুঁজে দাও উত্তরাকে, যা লাগবে আমি তোমাকে দেবো !!
স্বপ্না : আমার কি লাগবে সে দাবি না হয় আপনাকে পরেই বলবো, তবে পারবেন নিজের স্ত্রীকে এখান থেকে ফিরিয়ে নিতে সব কিছু জেনেও ?
ব্যক্তি : কেনো পারবো না ? আমি তো বেশ্যা নিশাকে কিনতে আসিনি, স্ত্রী উত্তরা কে ফেরাতে এসেছি! তুমি তো কত দালাল, কত মাসি কে চেনো…. প্লিজ ফিরিয়ে দাও আমার উত্তরা কে !!
স্বপ্না : আচ্ছা, আপনার নম্বর টা দিয়ে যান, আমি আপনাকে জানাবো কথা দিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
(৩ দিন পর ব্যক্তিটিকে ফোন করে স্বপ্না)
স্বপ্না : শুনছেন ? নিশার খবর পেয়েছি.... আমার বিল্ডিঙের ডান দিকের ৩ নং বিল্ডিয়েই নিশা থাকে, এখানে নতুন তো তাই হাতে ফোন পায়না, আর হ্যাঁ, হয়তো কোনো বাবুর ফোন থেকেই আপনাকে সেদিন ৫ সেকেন্ডের জন্য ফোন করতে পেরেছিলো, নিয়ে যান আপনার নিশা কে !!
(সাথে পুলিশ নিয়ে গিয়েই ব্যক্তিটি উদ্ধার করলো নিশা ওরফে তার স্ত্রী উত্তরা কে এবং ফেরার পথে দেখা করতে যান ওই স্বপ্না নামক বেশ্যার সাথে)
ব্যক্তি : কি বলে ধন্যবাদ দেবো তোমায়, নিজেও জানিনা, এবার বলো তোমার কত টাকা লাগবে ?
স্বপ্না : টাকা লাগবে না, টাকার থেকেও অনেক বেশি কিছু আপনি আমাকে দিয়ে গেলেন বাবু !!
ব্যক্তি : মানে ? কি বলতে চাইছো ? কিছুই বুঝলাম না.…
স্বপ্না : জানেন বাবু ? আজ থেকে ৩ বছর আগে গ্রামেরই একটা ছেলে কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, খুব ভালোবাসতাম !! বাবা মা মানে নি তাই পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম…. জানেন বাবু ? বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় আমাকে এই নরকে বিক্রি করে দিয়ে যায় ১৩ হাজার টাকায়..!! অনেকবার এখান থেকে পালিয়ে যাবার চান্স পেয়েছিলাম, কিন্তু কোথায় যাবো বলুন, বাবা-মার সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো, রাস্তায় নামলেও তো সেই আমাকে ছিঁড়েই খাবে সমাজের বাবুরা রাতের অন্ধকারে , আর দিনের বেলায় খেপি সাজিয়ে রাখবে রেল স্টেশনের চাঁতালে..!! তার থেকে বরং এখানে দিব্যি খেতে বাঁচতে তো পারছি!! বিশ্বাস করুন বাবু, সেদিন থেকে কোনো পুরুষ কে মন থেকে সহ্য করতে পারি না, কোনো পুরুষ কে বিশ্বাস করতেও পারিনা, শুধু এটাই মনে হতো সব পুরুষ সমান…. ৩ দিন আগে আপনি আমার সেই ভুল ভাঙলেন। নতুন করে বিশ্বাস করতে শিখলাম, একটা পুরুষ যেমন তার স্ত্রীকে বিক্রি করতেও পারে সোনাগাছিতে, তেমন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেও পারে সোনাগাছি থেকে..!! গতর খাটিয়ে পয়সা তো ৩ বছরে অনেক রোজগার করেছি বাবু, তবে ৩ বছরে যে ভুল টা রোজ ভেবে এসেছি, সেই ভুল টা আপনি ৫ মিনিটেই ভেঙে দিলেন.. যেটা পয়সার থেকেও অনেক দামি..!! যান বাবু, ভালো থাকবেন আপনার উত্তরা কে নিয়ে..!! আর অনেক ধন্যবাদ এই সত্যিটা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবার জন্য “সব পুরুষ সমান নয়”….. কেউ রেখে যায়, কেউ নিয়ে যায়….!! কেউ রাখতে আসে, কেউ ফেরাতে আসে….!!
সংগৃহীত
সত্য ঘটনা
লেখাটা ভালো লাগলে,নির্দ্বিধায় লাইক,কমেন্ট এবং শেয়ার করুন🙏🏻