Bengal Calling

Bengal Calling বাঙ্গালী, গ্রাম বাংলার প্রান্তিক, পিছ?

06/01/2024
06/09/2023

Dear ভক্তো👇👇👇

৫০০ টাকার নোটে কিন্তু ইন্ডিয়াই লেখা।
দম থাকলে পালটে দেখা.. 🙏

05/09/2023

শুভ জন্মদিন থিসিস চোর

কাকা কি বলছেন তাহলে হিন্দু মেয়েদের লাভ জেহাদ করছে হিন্দুরাই 😂😂দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দির ভাঙচুর করছে হিন্দুরাই 😂😂
03/09/2023

কাকা কি বলছেন তাহলে হিন্দু মেয়েদের লাভ জেহাদ করছে হিন্দুরাই 😂😂
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দির ভাঙচুর করছে হিন্দুরাই 😂😂

02/09/2023

কোনো থিসিস চোর সমাজের আদর্শ হতে পারে না!❗
তাই শিক্ষক দিবস 5ই আগস্ট নয়, 26শে সেপ্টেম্বর, বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে!

৪৬ এর কষাই এর ডান হাতটা এবং সুভাষ বসুকে পিছন থেকে ছুরি মারা বৃটিশ দালালটা একই প্যানেলে শিয়ালদার বুকে খাড়া করিয়ে দিয়ে...
02/09/2023

৪৬ এর কষাই এর ডান হাতটা এবং সুভাষ বসুকে পিছন থেকে ছুরি মারা বৃটিশ দালালটা একই প্যানেলে শিয়ালদার বুকে খাড়া করিয়ে দিয়ে কাদের অপমান করা হচ্ছে?

31/08/2023

একটা প্রশ্ন, বাংলা ভাষা শহিদদের স্মরণ ইংরেজি তারিখ মেনে কেনো করা হয়??

29/08/2023

#আসাম
#বাঙালি
পেট্রোলিয়াম গ্যাসের যে সম্ভার বরাকে রয়েছে তা দিয়ে আগামী ৫০ বছর বরাকের স্থানীয় বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রতি ঘরে গ্যাস কানেকশন, সিএনজি প্ল্যান্ট ইত্যাদি স্থাপন করা সম্ভব এবং তার ফলে একদিকে যেমন জনগনের সাশ্রয় হবে অন্যদিকে ব্যাপক কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে ।

বরাকের বাঁশ এবং কুশিয়ার ব্যাবহার করে তৈরি হতে পারে ইথানল, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার হবার পূর্ণ সম্ভাবনা বর্তমান। এটি একটি রপ্তনিযোগ্য পন্য। এটির উৎপাদন বরাকের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত পাল্টে দিতে পারে।

কিন্তু এসবের জন্য চাই উদ্যোগ,চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
আসল প্রশ্ন, এটা করবে কে ?
হিন্দি আধিপত্যবাদী বানিয়া গুজ্জু পেটোয়া বিজেপি কখোনোই করবে না।
তাই বাঙালিকে বিজেপি বিচি চোষা বন্ধ করে , একজোট হতে হবে দাবী আদায়ে ।।

 #জম্মু_কাশ্মীর #হিন্দু_ঐক্যহিন্দু ঐক্যের একটি চিত্র । জম্মু ও কাশ্মীরে কাঠুৃয়া জেলায় একটি বিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্রকে মারধ...
29/08/2023

#জম্মু_কাশ্মীর
#হিন্দু_ঐক্য
হিন্দু ঐক্যের একটি চিত্র । জম্মু ও কাশ্মীরে কাঠুৃয়া জেলায় একটি বিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্রকে মারধর করা হয় মুসলিম শিক্ষক দ্বারা তার একটিই অপরাধ ছিল সে ব্লকবোর্ড এ জয় শ্রী রাম লিখেছিল ।
ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে সব ছাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে এবং জয় শ্রী রামের মধুর ধ্বনি দেয় বাধ্য হয়ে প্রশাসন শিক্ষককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে সাথে গ্রেফতার করে । দলমত নির্বিশেষে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ।

বাঙালিদের বুঝতে হবে এবার হিন্দি বলয় ওদের হিন্দুই ভাবে না  #জয়বাংলা
29/08/2023

বাঙালিদের বুঝতে হবে এবার হিন্দি বলয় ওদের হিন্দুই ভাবে না
#জয়বাংলা

29/08/2023

#ত্রিপুরা
#রাজনীতি
শুধুমাত্র CPIM করার অপরাধে মিথ্যা মামলা। এর পর জেলের ভেতর পিটিয়ে খুন বাহা দারুন মানিক বিপ্লবের থেকেও এগিয়ে যাবে ! ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করা হোক। মানিক ফ্লপ এটা স্পস্ট।

29/08/2023

গ্যাসের দাম যখন কমতে পারে, পেট্রল ডিজেল কেরোসিনের দাম‌ও তখন কমতে পারে। এতদিনে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি আসন্ন লোকসভা ভোটে হারার ভয়ে কুঁকড়ে যেতেও পারে,মানে ৫৬" যে কোনো সময়ে ১৬" হয়ে যেতে পারে!

প্রাচীন  #ভারতবর্ষে হিন্দি কোনো ভাষা ছিল না❗"যদি কৃত্তিবাস ওঝাকে জিজ্ঞেস করা হত, তিনি কোন ভাষায় রামায়ণ লিখেছেন, তিনি কী...
29/08/2023

প্রাচীন #ভারতবর্ষে হিন্দি কোনো ভাষা ছিল না❗

"যদি কৃত্তিবাস ওঝাকে জিজ্ঞেস করা হত, তিনি কোন ভাষায় রামায়ণ লিখেছেন, তিনি কী উত্তর দিতেন?
তিনি বলতেন, "বঙ্গভাষা" ।

যদি গোস্বামী তুলসীদাসকে জিজ্ঞেস করা হত, তিনি কোন ভাষায় রামায়ণ লিখেছেন, তিনি কী উত্তর দিতেন?
তিনি বলতেন, "অওয়ধী" (अवधी) ভাষা।

অথচ আজকে প্রচার করা হয়, তুলসীদাস ছিলেন হিন্দী কবি।

"হিন্দী" শব্দটা লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, এটা আদি ভারতীয় শব্দ নয়। এটা এদেশে এসেছে তুর্কী-পাঠান-মুঘলদের মাধ্যমে, যাঁরা সিন্ধু নদীকে হিন্দ কিম্বা হিন্দু নদী বলতেন, এবং তার এপারের দেশকে বলতেন হিন্দুস্তান।

প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষে হিন্দী বলে কোনও ভাষাই ছিল না। উত্তর ভারতের ভাষাগুলি ছিল গুরুমুখী, রাজস্থানী, হরিয়ানভী, গুজরাতী, ভীল, কোল, গাহরওয়ালী, অওয়ধী, খড়িবোলী, ভোজপুরী, মগধী, মৈথিলী ইত্যাদি। আর একটু দক্ষিণে ছিল বুন্দেলখন্ডী, রোহিলখন্ডী, ছত্তিসগড়ী ইত্যাদি। ছোটনাগপুর অঞ্চলে ছিল খোরঠা, মানভূমী বাংলা, ইত্যাদি।

এছাড়া ছিল ভারতের আদি বাসিন্দাদের অস্ট্রিক-দ্রাবিড় ভাষাগুলি, যেমন সাঁওতালী, মুন্ডারী, ওরাওঁ, বিরহোড়, হো ইত্যাদি।

উত্তর ভারতের কথ্য ভাষাগুলির সঙ্গে ফারসি ভাষার সঙ্গমে সৃষ্টি হয় উর্দু নামে একটি ভাষা, যেটি মূলতঃ পাঠান এবং মুঘল সৈন্যদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। ওয়র্দ (वर्द) কথাটার মানে হল সৈন্য, যার থেকে ভাষাটির নামকরণ হয়েছে।

ইংরেজরা এসে এখানকার সব অধিবাসীদেরই নামকরণ করল নেটিভ হিন্দু, জাতিধর্মনির্বিশেষে। বলাই বাহুল্য, কথাটা খুব সম্মানজনক অর্থে তারা ব্যবহার করত না। পরাজিত জাতিকে কে-ই বা সম্মান করে? আর সরকারী ভাষা হিসেবে ইংরেজির সঙ্গে রইল ফারসি। কথ্য ভাষা হল উর্দু।

মির্জা গালিব থেকে মুনসী প্রেমচন্দ পর্যন্ত সবাই লিখতেন উর্দুতে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ইংরেজের মাথায় ঢোকে হিন্দু আর মুসলিমরা হল দুটো আলাদা ধর্মের লোক, যাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে না পারলে আবার অনুরূপ একটি বিদ্রোহের সম্ভাবনা। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে জন্ম নিল মুসলিম লীগ এবং তার হিন্দু সংস্করণ, হিন্দু মহাসভা। এবার হিন্দুদের দরকার একটা ভাষা, কারণ উর্দুটা বড্ড মুসলিম ঘেঁষা। রাতারাতি সংস্কৃত অর্থাৎ দেবনাগরী অক্ষরগুলি দিয়ে উর্দু লেখা শুরু হল। একটা জগাখিচুড়ি ভাষার সৃষ্টি করা হল, যার অধিকাংশ শব্দ উর্দু, ব্যাকরণ উর্দু, উচ্চারণও উর্দু। শুধু কিছু সংস্কৃত শব্দ ঢুকিয়ে তাকে হিন্দী ভাষা বলে চালানো হতে লাগল। মাঝখান থেকে উর্দু ভাষার যে মিষ্টতা, সেটা গেল নষ্ট হয়ে।

হিন্দী ভাষা যে আদতে উর্দু ভাষা, তার প্রমাণ এখনও এই ভাষার সর্ব অঙ্গে। প্রথমতঃ, সংস্কৃত বাক্যে কর্তার লিঙ্গ কর্তার গায়ে, কর্মের লিঙ্গ কর্মের গায়ে থাকে।

रामस्य माता। सीताया पिता।

উর্দুতে তার উল্টো। কর্মের লিঙ্গ কর্তার গায়ে চলে আসে। হিন্দীতেও তাই।

राम की माता। सीता का पिता।

এর ফলে ভারতের বেশিরভাগ লোক সঠিকভাবে হিন্দী বলতে পারে না। কারণ বেশিরভাগ ভারতীয় ভাষায় এই লিঙ্গের ঝামেলা নেই।

হিন্দীর "अ“-এর উচ্চারণ উর্দু "अलिफ"-এর মতন। মোটেই দেবনাগরী "अ"-এর মতন নয়। দেবনাগরী মানে সংস্কৃত "अ"-এর সঠিক উচ্চারণ হয় ভোজপুরী, মৈথিলী, মগধী, ওড়িয়া, অসমিয়া এইসব ভাষায়। বাংলা ভাষায কোনো কোনো শব্দে দেবনাগরী "अ"-এর উচ্চারণ হয়, যেমন বল, পথ, সরোবর ইত্যাদি, আবার কোনো কোনো শব্দে তা ও-কারের মতন উচ্চারণ হয়, যেমন মন, বন, গরু ইত্যাদি।

কিন্তু হিন্দীতে अ-এর সবসময় উর্দু अलिफ-এর মতন উচ্চারণ হয়।
সংস্কৃত শব্দের অ-কারান্ত উচ্চারণ ওড়িয়া ভাষায় রয়ে গেছে, বাংলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে। কিন্তু হিন্দীতে উর্দুর হসন্তযুক্ত উচ্চারণ থেকে যাওয়ার ফলে অদ্ভুত শুনতে লাগে।

যেমন, "भारत" শব্দের উচ্চারণ "ভারত" কিন্তু "भारती" শব্দের উচ্চারণ হল "ভার্তী"। "कमल" শব্দের উচ্চারণ হল "কমল" কিন্তু "कमला" শব্দের উচ্চারণ হল "কম্লা"।

এই জগাখিচুড়ি ভাষাটিকে সরকারী ভাবে চাপিয়ে দেবার ফলে উত্তর ভারতের বেশিরভাগ ভাষা অবলুপ্ত হতে বসেছে। অনেক শিক্ষিত বাঙালি এখন ভোজপুরী, মৈথিলী, খোরঠা ইত্যাদি উত্তর ভারতের মূল ভাষাগুলিকে হিন্দীর উপভাষা বলে মনে করেন।

দুঃখের কথা হল, এমন একটা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, যেটা ভারতের কোনও অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষা নয়। কিন্তু উত্তর ভারতের মানুষের মগজধোলাই করে তাদেরকে নিজেদের মাতৃভাষা ভুলিয়ে দিয়ে হিন্দীকে তাদের মাতৃভাষা বলে চালানো হচ্ছে।

দক্ষিণ ভারতে তামিল এবং তার আনুষঙ্গিক ভাষাগুলি যেমন মালয়ালম, কন্নড়, তেলুগু এগুলি অবশ্য তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, আর এখনও হিন্দীর আধিপত্য অস্বীকার করে চলেছে।

যারা হিন্দু হিন্দী হিন্দুস্তান বলে লাফাচ্ছে, তারা যদি বুঝত যে এটা আসলে ফারসি ও উর্দু ভাষা, তাহলে বোধহয় লাফাত না। যাই হোক, সেটা তাদের সমস্যা।

আমাদের সমস্যা হল, আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা, যার প্রায় হাজার বছরের বেশি সাহিত্যের ইতিহাস আছে, কুক্কুরীপাদ, ভুসকু-র থেকে শুরু করে চন্ডীদাস, গোবিন্দদাস, কৃত্তিবাস, কাশীরাম দাস, মুকুন্দরাম,সৈয়দ আলাওল,
ভারতচন্দ্র, মাইকেল, বঙ্কিমচন্দ্র, বিদ্যাসাগর,দীনবন্ধু মিত্র, রবীন্দ্রনাথ,নজরুল, ত্রৈলোক্যনাথ, সুকুমার রায়, সৈয়দ মুজতবা আলি, পরশুরাম, শরৎচন্দ্র, প্রেমেন্দ্র মিত্র, তারাশংকর,মানিক, বিভূতিভূষণ,সমরেশ বসু,জীবনানন্দ,লীলা মজুমদার,আশাপূর্ণা, মহাশ্বেতা, উৎপল দত্ত, শম্ভু মিত্র,বিষ্ণু দে, বুদ্ধদেব বসু, শঙ্খ ঘোষ,সুনীল , সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ, শরদিন্দু, শীর্ষেন্দু,সত্যজিৎ প্রমুখ মহামূল্যবান রত্নের সমাবেশে তৈরি এই সমৃদ্ধ ভাষা, পৃথিবীর সাহিত্য জগতে যার বেশি তুলনা পাওয়া যাবে না, সেই ভাষাও এরপর অওয়ধি, মগধী, মৈথিলী, বুন্দেলখন্ডী ভাষার মতন হিন্দীর চাপে অবলুপ্ত হয়ে যাবে কিনা।

যদিও এই এক হাজার বছর ধরে অনেক আঘাত সামলে এই ভাষা এখনও শুধু টিকে আছে তাই নয়, অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ী মহলের প্রচন্ড চাপে এই ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, তা দেখা আপনার, আমার কর্তব্য। "

 #বাঙালি  #জয়বাঙালীনৌবিদ্রোহের বিস্মৃত বাঙালি শহীদ মানকুমার বসু ঠাকুরের জন্মদিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম । বাঙালি কি আজ মনে রেখে...
28/08/2023

#বাঙালি
#জয়বাঙালী

নৌবিদ্রোহের বিস্মৃত বাঙালি শহীদ মানকুমার বসু ঠাকুরের জন্মদিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম । বাঙালি কি আজ মনে রেখেছে তাঁকে ?

শিক্ষা -
তার পিতা ভূপতিমোহন এবং মাতা হেমপ্রভা। মানকুমার বসুঠাকুরের আদি নিবাস ঢাকা মালখানগার। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ঢাকা জগন্নাথ কলেজে পড়ার সময় রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। পরিবারের অমতে কলেজ ছেড়ে ব্রিটিশ নৌ-বাহিনীতে যোগ তিনি। ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর ১৩ টি বিভাগীয় পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকার করেছিলেন।

বিদ্রোহে যোগ -
১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর 'দিল্লী চলো' আহবানে সৈন্যশিবিরে দেশীয় সিপাইদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আজাদ হিন্দ বাহিনীর গোপন বিভাগের সাথে যোগাযোগ হলে দেশী সিপাইদের মধ্যে বিদ্রোহের চেতনা জাগিয়ে তোলেন মানকুমার। তারই নেতৃত্বে গোলন্দাজ বাহিনীর সৈন্যরা সঞ্চিত গোলাবারুদ গোপনে সমুদ্রে ফেলে দিতে থাকে। ইংরেজ ও দেশী সৈন্যদের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব ও আনুষঙ্গিক নানা অব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ ধ্বনিত হয়। চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের বীজ আছে এই অভিযোগে ১৮ এপ্রিল ১৯৪৩ তারিখে সামরিক পুলিশ মানকুমার সহ বারো জনকে গ্রেপ্তার করে।

বিচার -
যুদ্ধে বাধাসৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে প্ররোচনা ও বিদ্রোহের অপরাধে ৫ আগস্ট ১৯৪৩ মানকুমার বসুঠাকুর ও আরো ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। তারা হলেন কালীপদ আইচ, চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, দুর্গাদাস রায়চৌধুরী, নন্দকুমার দে, নিরঞ্জন বড়ুয়া, নীরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় এবং ফণিভূষণ চক্রবর্তী। বাকি তিনজনের মধ্যে আবদুল রহমান ও রবীন্দনাথ ঘোষের দ্বীপান্তর এবং অনিলকুমার দে'র সাত বছর কারাদন্ড হয়েছিল।

ফাঁসি -
২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ মানকুমার ও বাকি সাথীরা 'বন্দে মাতরম' স্লোগান দিয়ে মাদ্রাজ দুর্গে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র - Wikipedia

 For the thousands of Meiteis who risked everything to make it to relief camps, they did it because they had no other ch...
28/08/2023


For the thousands of Meiteis who risked everything to make it to relief camps, they did it because they had no other choice. The fact is, many Meiteis will not be safe in districts like churachandpur , Chandel, Thoubal, Bishnupur and kangpokpi area near Senapati, while Chinkuki militants remains in power. There are no Meiteis left in Churachandpur and Moreh, 2 areas from where Meiteis have been completely ethnically cleansed.
In the remaining areas mentioned above, innocent Meitei civilians face being kidnapped, ambushed, detained, tortured, executed.

To force them to stay in relief camps or temporary houses for a long and indefinite time is a slow death sentence and to make them return before driving out the Chinkuki militants is signing their death warrants.

Enough of bandaid 🩹 solutions, we need surgical intervention!

‼️ BIG QUESTION ‼️
Why are Chinkuki militants and their supporters roaming freely with advanced weapons in Churachandpur. Why is the lawlessness in Churachandpur not controlled after almost 4 months! They proudly walk around brandishing automatic weapons yet nothing has been done!

The images below show the complete demolition of Meitei houses in Churachandpur thenga leirak. Houses looted, gutted and bulldozed to the ground. They absolutely annihilated everything, there is nothing left.

The State and Central government should build new houses for the Meitei here and drive out the militants!

28/08/2023

মানুষের হার্টের ♥ দাম ১.৭ বিলিয়ন ডলার ! আর আমি তোরে মাগনা দিছিলাম শাকচুন্নী ফকিন্নি কোথাকার...

ঝাড়খণ্ডের বাংলাভাষী লোকেদের ক্রমাগত আন্দোলনের ফল ফলতে শুরু করেছে।।রেলস্টেশন, স্কুল, মন্দিরে বাংলা পুনরায় স্থান পেয়েছে...
28/08/2023

ঝাড়খণ্ডের বাংলাভাষী লোকেদের ক্রমাগত আন্দোলনের ফল ফলতে শুরু করেছে।।
রেলস্টেশন, স্কুল, মন্দিরে বাংলা পুনরায় স্থান পেয়েছে । মানভূম ও সিংহভূমের প্রথম ভাষা ছিল "বাংলা"। ব্রিটিশ আমলে মানভূম ও সিংহভূম জেলার অফিস আদালতের ভাষা ছিল -- "বাংলা" । স্কুল কলেজের শিক্ষার মাধ্যম ছিল -- "বাংলা" ।

আমরা পুনরায় ঝাড়খন্ডে বাংলাকে প্রথম ভাষা হিসেবে ফিরিয়ে আনবো এই অঙ্গীকার করছি।

কুলাঙ্গার বাঙ্গালীদের জন্য আরেকটা শিক্ষনীয় ব্যাপার রয়েছে এই পোস্টের ছবিতে হিন্দুস্তানি "ওম" আর বাংলা #ওঁ এর পার্থক্য শেখার।।

বিজেপি সরকারের বি. এস .এফ কি করছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে , এই অবাধ চোরাচালান এর দায়ভার কার ( আসামের কাছাড় জেলার খবর ).হি...
27/08/2023

বিজেপি সরকারের বি. এস .এফ কি করছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে , এই অবাধ চোরাচালান এর দায়ভার কার ( আসামের কাছাড় জেলার খবর ).
হিন্দুত্বের নৌকা চেপে ভোট বৈতরণী পাড়ি দেবার পর বিজেপি কিছুই করেনি গো মাতাকে সূরীক্ষত করতে 😭😭

আসামের বরাকে কিছু মিশনারি স্কুলে প্রচুর কুকি ছাত্র ভর্তি ও নতুন বসতি স্থাপনে উদ্বেগমাসখানেক আগে ভুবন পাহাড়ে লাগানো হয়ে...
27/08/2023

আসামের বরাকে কিছু মিশনারি স্কুলে প্রচুর কুকি
ছাত্র ভর্তি ও নতুন বসতি স্থাপনে উদ্বেগ

মাসখানেক আগে ভুবন পাহাড়ে লাগানো
হয়েছিল পৃথক" জো ল্যান্ডের" সাইনবোর্ড

শিলচর: মনিপুরের সীমান্তবর্তী কাছাড় জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কিছু নতুন কুকি জনবসতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এইসব এলাকায়। মাসখানেক আগে ভুবন পাহাড়ের একটি সাইনবোর্ড পাওয়া গিয়েছিল তাতে লেখা' "সেপারেট জো ল্যান্ড"। অর্থাৎ এখান থেকে জো ল্যান্ড"এর সীমানা শুরু। মায়ানমার মনিপুর মিজোরাম ও কাছাড়ের
কুকি এলাকা এই রাজ্য গঠনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।এনিয়েগত ১৩ আগস্ট শিলচরে বরাক মনিপুর ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি শান্তি সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মনিপুরী সংগঠনের নেতারা। আর এখন বসতি স্থাপনের যে খবরটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগ জনক।
একটা মহল থেকে ধারণা করা হয়েছে মনিপুর দাঙ্গার সময় যেসব কুকিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে তারা কি ফিরে গেছেন? এই প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। হরিনগর এলাকায় ও চন্ডিঘাটে নতুন কুকি বসতি লক্ষ্য করেছেন
স্থানীয়রা। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গা বসতি লক্ষ্য করা গেছে বরথলে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ভবিষ্যতে বরাকেও একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মনিপুরে যে ব্যাপক হারে মাযানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেছে সেটা মনিপুরের জনসংখ্যার বিন্যাসের পরিবর্তনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। অন্য জনগোষ্ঠীর তুলনায় কুকি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়েছে। যার ফলে এখন নিজেদের রাজ্যে সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছেন মৈতৈরা। তাই এই বিষয়টাকে হালকা করে দেখা উচিত হবে না। শিলচরের বিভিন্ন মিশনারি স্কুলে ইতিমধ্যেই প্রচুর কুকি ছাত্র ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে যে মায়ানমারি অনুপ্রবেশকারীর সন্তান নেই তার কি নিশ্চয়তা আছে।এই স্কুলগুলিতে ভর্তি হতে হলে তেমন কোন কাগজপত্র চাওয়া হয় কুকিদের কাছ থেকে।
এই যে পড়াশোনার জন্য শিলচরে আসছে কুকি ছাত্ররা এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণ মণিপুরে যা ঘটেছে তাতে কুকিরা আগামী কয়েক বছর ইমফল উপত্যকার নামতে পারবে না। সম্পর্কটা এখন এতটাই তিক্ত। এই অবস্থায় পড়াশোনা ও চিকিৎসার জন্য একমাত্র উপত্যকা বা‌ ভেলি হল বরাক।মিজোরামে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন । কিন্তু সব সুবিধা মিজোরামে হবে না। স্বভাবতই পরবর্তী লক্ষ্য থাকবে বরাক উপত্যকা। তাই এই বসতি গড়ে ওঠাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। মনিপুরের দাঙ্গার সময় যারা লক্ষীপুর ফূলেরতলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের নাম ঠিকানা প্রশাসন রেখেছে কিন্তু তারা ফিরে গেছে কিনা এ সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রশাসনের হাতে নেই।
এছাড়া ভুবন পাহাড়ের যেভাবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল সেটাকে নিছক একটা সাধারণ ঘটনা বলে মনে করলে ভুল হবে। ৯০এর দশকে এই ভুবন পাহাড়ে কিন্তু জঙ্গিরা সক্রিয় ছিল। সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। এছাড়া মিজোরামে যে হারে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেছে তাতে আগামীতে মিজোরামের সঙ্গে বরাকও বিপদে পড়তে পারে। মনিপুরের সংঘাতকে অনেকে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সংঘাত বলে দেখাতে চাইছেন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কারন সেখানে নাগারাও খ্রিস্টান কিন্তু তাদের সঙ্গে স্থানীয় মৈতৈ সম্প্রদায়ের কোন ধরনের বিরোধ নেই। গত দুদিন আগে শিলচরে ৮ কোটি টাকার হেরোইন ধরা পড়েছে। চার পাচারকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এরা সবাই কুকি। এরা মণিপুরের কুকি অধ্যুষিত চোরাচাঁদপুর জেলা থেকে আসছিল। উদ্দেশ্য ছিল এগুলি বাংলাদেশে পাচার করা। এত বড় আকারের ড্রাগস আগে কাছাড় পুলিশ একই সঙ্গে ধরতে পারেনি। অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে যে বরাক বড় একটা ড্রাগস পাচারের করিডোর। চোরাচাদপুর জেলায় যে মাদক চাষ হয় এটা সর্বজনবিদিত। এবং মনিপুর সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। মনিপুরের এই যে জাতি দাঙ্গার পিছনে এটাও একটা বড় কারণ। এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ বরাক উপত্যকায় বসে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মনিপুরের কুকিদের হাতে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র এলো কোথা থেকে। এসব অস্ত্র যে মনিপুর থেকে মিজোরাম হয়ে বরাকে আসবেন না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়!

অতএব আসাম এর বরাক উপত্যকার শান্তিপ্রিয় হিন্দু বাঙালি র স্বার্থে এসব বিষয়ে চিন্তা করার জরুরি হয়ে পড়েছে। ছোট একটা কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন লোক একটা জায়গায় অস্থায়ীভাবে থাকতেই পারেন। কাউকে আশ্রয় দেওয়া অন্যায় তো কিছু নয়। এমন অনেকেই ভাবতে পারেন। কিন্তু এভাবে একটু একটু করে দেখা যাবে একটা বড় বসতি গড়ে উঠেছে একটা দিন ।তারপর আর কিছু করার থাকবে না। এসব বিষয়ে পুলিশ কতটুকু সচেতন তার চাইতেও বড় প্রশ্ন প্রশাসন কতটুকু সচেতন। কিন্তু এ বিষয়গুলোকে প্রশাসন খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায় বলে মনে হয় না। কিন্তু বাস্তব কথা হল এভাবেই অঙ্কুরিত হতে হতে সমস্যাটা একদিন বড় আকার নিতে পারে। তাই বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সরকারের উচিত এই মুহূর্তে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।

বাঙালির হাতে পয়সা নেই ,   filthy riches একটা অজানা শব্দ বাঙালি সমাজে কিন্তু, আসলে বাঙালির হাতে ক্ষমতাও নেই।নীচের চার্ট ...
27/08/2023

বাঙালির হাতে পয়সা নেই , filthy riches একটা অজানা শব্দ বাঙালি সমাজে

কিন্তু, আসলে বাঙালির হাতে ক্ষমতাও নেই।

নীচের চার্ট এর কিছু Crux Point
1. পশ্চিম বঙ্গ একটি ১০ কোটি লোকসংখ্যার রাজ্য হওয়া সত্বেও, এখান থেকে UPSC selection rate মাত্র ২.৬%

2. হিন্দি রাজ্য UP, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে যথাক্রমে ১৬%, ১১% , ১১% , অর্থাৎ total ৩৮% , মানে ৩ ভাগের এক ভাগ এর থেকেও বেশি Officer মাত্র এই ৩ টি হিন্দি রাজ্য থেকে।

3. দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলির মোট representation ২৮%। অর্থাৎ, UPSC হিন্দি তে হওয়া সত্ত্বেও, আর নিজেরা হিন্দির সবথেকে বড় বিরোধী হয়েও, দক্ষিণ রা নিজেদের দাবি টা আদায় করে নিয়েছে

4. পঞ্জাব আর আসাম Interesting।
Assam এর পপুলেশন ৩.৫ কোটি , পশ্চিম বঙ্গের থেকে ১/৩ ভাগ কম। তা সত্বেও, ওদের ১.১% আছে, জনসংখ্যার basis এ ওরাও এগিয়ে।

পঞ্জাব এর population মাত্র ৩ কোটি,
সেই হিসেবে ওদের 6% Representation একটা অস্বাভাবিক High Ratio।

পঞ্জাব এর কথাটা আলাদা ভাবে বলা এই কারণেও, জরুরি কারণ অনেক বাঙালির ই পাঞ্জাবী নিয়ে একটা আদেখলাপনা করে,
পঞ্জাব আর বাংলা কে একই কষ্টের ভাগীদার মনে করে,
আদৌ না, পাঞ্জাবী দের situation way better than current Bengal

5. বড় রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র গুজরাটের representation বাংলার থেকে কম, কিন্তু ওদের আসলে এটা দরকার ই নেই, কারণ ওদের ব্যবসা তে একাধিপত্য আছে।

6. দিল্লি একা একটা শহর, সেখান থেকে ৮% selection rate!!

হ্যাঁ, মনে করিয়ে দি - পশ্চিম বাংলার ওই ২.৬% কিন্তু বাঙালি শতাংশ নয়, ওর মধ্যেও একটা ভালো অংশ পশ্চিম বাংলায় থাকা বিজাতীয়

So the bottom line goes like - একটা জাতির survive করার জন্য দুটো জিনিস লাগে,
১. অর্থ
২. ক্ষমতা
অর্থ বাঙালির নেই (Forbes list এ একটা single বাঙালি নেই), আর রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নেই (UPSC তে শোচনীয়রকম performance)

Congratulations, You're doomed

১৯০০ সালে পূর্ব বঙ্গের রাজধানী ঢাকায় জন্মাষ্টমীর ছবি , সেইসময় পূর্ব বঙ্গে সনাতনীদের সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ আর আজ ৭-৮ শতাংশ ...
27/08/2023

১৯০০ সালে পূর্ব বঙ্গের রাজধানী ঢাকায় জন্মাষ্টমীর ছবি , সেইসময় পূর্ব বঙ্গে সনাতনীদের সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ আর আজ ৭-৮ শতাংশ মাত্র । ১৯০০ সালে কোন সনাতনী কি এই চিন্তা করেছিল যে আরও ৪৭ বছর পর কি হতে পারে ঠিক‌ তেমনই পশ্চিমবঙ্গে আজ সনাতনী ৬৮% এবং মোটামুটি জাকজমকভাবে ধর্মীয় উৎসবও পালন হয় কিন্তু সমাজে সচেতনতা নেই শুধু ধর্ম পালন আর উৎসব করলেই কি হবে ‌? নিজের সমাজ অতি রক্ষণশীল না হলে টিকে থাকা মুশকিল আছে । আরও ৫০ বছর পর কি হতে পারে বলা মুশকিল ?

বাংলাভাষা বিশ্বায়নে ইসকনের অবদান✍️অক্ষয়লীলা মাধব দাস👤পৃথিবীতে বর্তমানে প্রচলিত সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম প্রাচী...
21/02/2023

বাংলাভাষা বিশ্বায়নে ইসকনের অবদান
✍️অক্ষয়লীলা মাধব দাস

👤পৃথিবীতে বর্তমানে প্রচলিত সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ একটি ভাষা। বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালিদেরই প্রাণ বিসর্জনের ইতিহাস রয়েছে। সেই রক্তাক্ত ইতিহাস স্মরণে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। অগণিত কবি-সাহিত্যিকের ক্ষুরধার লেখনীতে বাংলা ভাষার সাহিত্য ভাণ্ডারও অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
👤বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র প্রেমধর্মের প্রচারক ও সমাজ সংস্কারক শ্রীচৈতন্যদেব (১৪৮৬-১৫৩৩খ্রি.)। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং ভক্তভাব অঙ্গীকার করে বঙ্গভূমিতে আর্বিভূত হন। সমাজ যখন জাতিভেদ, বর্ণভেদ প্রথার কষাঘাতে জর্জরিত, তখন বৈদিক সাম্যবাদের বাণী প্রচার করে তিনি এক বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের পথ প্রদর্শন করেন। তাঁর প্রচারিত বৈষ্ণবদর্শন সমাজে অহিংসা, প্রেম, মৈত্রী, সাম্য ও শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে। তাঁর অমিয় চরিতগাঁথা সকলকে এমনভাবে আকৃষ্ট করে যে, বাংলা সাহিত্যে তাঁকে নিয়ে এক নবযুগের সূচনা হয়, যা ‘চৈতন্যযুগ’ (১৫০০-১৭০০ খ্রি.) নামে প্রসিদ্ধ। তাঁকে কেন্দ্র করেই শ্রীলোচন দাস ঠাকুর কর্তৃক রচিত হয়েছিল ‘চৈতন্যমঙ্গল’ নামে বাংলা সাহিত্যের প্রথম জীবনীগ্রন্থ। এরপর একে একে মুরারীগুপ্তের কড়চা, বৃন্দাবন দাস ঠাকুর রচিত শ্রীচৈতন্যভাগবত, নরহরি সরকার ঠাকুরের শ্রীভক্তিরত্নাকর, নরোত্তম দাস ঠাকুর বিরচিত বাংলা গীতাবলিসহ অন্যান্য বৈষ্ণবকবিগণের রচিত বিভিন্ন পদ্যাবলি ও ভক্তিগীতি। চৈতন্যদেব সম্পর্কিত যত গ্রন্থ রয়েছে, তার মধ্যে শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী কর্তৃক রচিত ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি বিশেষ সমাদৃত এবং তা বাংলা সহিত্যের জীবনীগ্রন্থগুলোর অন্যতম।
👤শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন- “পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম। সর্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম॥”। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর এই বাণীর সার্থক রূপকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আচার্য কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি সন্ন্যাসী। বাঙালির সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে তিনি বিশে^র দরবারে তুলে ধরেছেন। শ্রীল প্রভুপাদ ৭০ বছর বয়সে বিশ্বব্যাপী মহাপ্রভুর দর্শন প্রচারের নিমিত্তে আমেরিকায় পাড়ি জমান। সেখানেই এক নতুন আধ্যাত্মিক বিপ্লবের শুভারম্ভ হয়, যার মূল উপকরণ ছিল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের দর্শন। শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীচৈতন্যদেবের দর্শন ও তাঁর জীবনী গ্রন্থ শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। শ্রীল প্রভুপাদের অনূদিত এই গ্রন্থ বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষার এক বিপ্লব সৃষ্টি করে। বর্তমানে পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই বললেই চলে যেখানে শ্রীচৈতন্যদেবের আদর্শ ও শিক্ষা প্রচারিত হচ্ছে না। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের পদ্যসুধা আস্বাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভাষার মানুষ বাংলা ভাষা শিক্ষার অনুশীলন করতে শুরু করছে। বাংলায় মহাপ্রভুর শিক্ষা ও অপ্রাকৃত জীবনদর্শন উপলব্ধি করে তারা তাদের জীবনধারা পরিবর্তন করছে।
👤শ্রীল প্রভুপাদ কর্তৃক ইংরেজি অনুবাদের পরবর্তীকালে তাঁর শিষ্যগণ জার্মান, ফ্রেঞ্চ, রাশিয়ানসহ বিভিন্ন ভাষায় বাংলা সাহিত্যের অনন্য কীর্তি শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের অনুবাদ করেন। শুধু শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতই নয়, মহাপ্রভুর জীবনাদর্শ নিয়ে রচিত অন্যান্য গ্রন্থ এবং শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের গ্রন্থাবলিসহ অসংখ্য বাংলা গ্রন্থ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলা ভাষার এত সমৃদ্ধ সাহিত্যভাণ্ডার বিশ্ববাসীকে এমন বিমুগ্ধ করেছে, যার ফলে তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে ও বাংলা ভাষা অনুশীলন করছে।
👤বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছয়শোরও অধিক ইস্কন মন্দিরে সকাল-সন্ধ্যা আরতি-কীর্তনসমূহ বাংলা ভাষায় গাওয়া হয়। শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই সেই কীর্তন গাইছে, আনন্দে নৃত্য করছে ও বাংলায় বিরচিত ভজন ও গ্রন্থাবলি থেকে পাঠ করে তা শ্রবণ করছে। এভাবে প্রতিনিয়ত তারা বাংলা ভাষার ব্যবহার করছে। তাই বাংলা ভাষা আজ বিশ্বজুড়ে সগৌরবে স্বমহিমায় বিরাজ করছে।
👤২০১৫ সালে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শ্রীল প্রভুপাদের পাশ্চাত্য যাত্রার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১০৫টি দেশের ভক্তবৃন্দ সমবেতভাবে বৈষ্ণবকবি নরোত্তম দাস ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত গুরুবন্দনা ‘শ্রীগুরুচরণপদ্ম’ পরিবেশন করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ স্থান করে নেয়। বাংলা ভাষার বিশ্বায়নে ইস্কনের এই উদ্যোগ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ভাষা ও সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। বাংলা ভাষা এমনই এক ভাষা, যে ভাষা বহু কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও লেখকের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে। বাঙালি জাতির এ এক অনন্য সৌভাগ্য যে, পরমেশ্বর শ্রীচৈতন্যদেব এই বঙ্গভূমিতে জন্মগ্রহণ করে বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির গরিমা বৃদ্ধি করেছেন। আজ তারই দর্শন শ্রীল প্রভুপাদ কর্তৃক প্রচারিত হয়েছে। যার কারণে আজ বাংলা ভাষা পৃথিবীব্যাপী অগণিত মানুষের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষার মহিমা আরো ছড়িয়ে পড়ুক এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
- জয় বাঙালি

চেসেজু | নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার | গ্রামের চারিদিক সবুজে ঘেরা, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়...
02/02/2023

চেসেজু | নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার | গ্রামের চারিদিক সবুজে ঘেরা, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে উঁচু নীচু বেশ কয়েকটা টিলা | ভেজু সুয়োরো এই গ্রামেরই বাসিন্দা | বয়স প্রায় ৯৫ | অশীতিপর বৃদ্ধের শরীর প্রায় ভেঙেই পড়েছে | দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ , স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে চলতেও পারেন না | এরই মাঝে বৃদ্ধ মানুষটি হারিয়ে যান প্রায় ৭৭ বছর আগের কথায় | স্মৃতি বেইমানি করেনি তাঁর সঙ্গে | মনের মাঝে আজও ভেসে ওঠে তার "বন্ধু"র স্মৃতি | আজও যে তিনি খুঁজেই চলেছেন তার সেই বন্ধুকে | চেসেজু গ্রামকে বদলে যেতে দেখেছেন ভেজু সুয়োরো | দেখেছেন দেশের স্বাধীনতা | দেখেছেন বহু উত্থান পতন | কিন্তু তিনি আর খুঁজে পাননি তার সেই বন্ধুকে | মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে ভেজু সুয়োরো-র | চোখের কোণায় চিকচিক করছে জল | এরই মাঝে বৃদ্ধ মানুষটি হারিয়ে যান প্রায় ৭৭ বছর আগের কথায়......

১৯৪৪ সাল | চেসেজু গ্রামের উপর দিয়ে প্রায়ই পাক খাচ্ছে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান | মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে সেই দিকে তাকিয়ে আছেন ১৬ বছরের ভেজু সুয়োরো | হঠাৎ ভেজু সুয়োরো লক্ষ্য করলেন তারা যেখানে কাজ করছিলেন সেই জায়গার উপর থেকে এক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পাক খেয়ে বেরিয়ে গেল | মুহূর্তের অপেক্ষা | আবার আরেকটি যুদ্ধবিমান হানা দিল ওই একই জায়গায় | এই যুদ্ধবিমানটি প্রায় নেমেই এসেছিল মাটির কাছাকাছি | যুদ্ধবিমানের ভয়ঙ্কর আওয়াজে ভেজু সুয়োরো রীতিমতো ভয় পেয়ে যান | কিন্তু এই অবস্থাতেও ভেজু সুয়োরো-র বন্ধু অবিচলিত, যেন কিছুই হয়নি | বন্ধুটি সুদর্শন, পরনে সামরিক পোশাক, চোখে চশমা আর মনে দুর্বার সাহস | তাঁর লক্ষ্য একটাই- দিল্লি চলো। ব্রিটিশদের শেকল থেকে ভারতকে মুক্ত করতেই হবে | তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু.....

তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা চলছে | সুভাষ তখন ব্রিটিশদের ত্রাস | দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বার্মা হয়ে নেতাজি ঢুকেছেন ভারতের সীমানায়। তারপর জেসামি,ফেক,রুনগুজু অতিক্রম করে তিনি পৌঁছান চেসেজু গ্রামে | শহরের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব অবস্থান করায় এবং টিলা দিয়ে ঘেরা থাকায় এই গ্রামটিতেই আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাম্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন নেতাজি | ১৯৪৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত প্রায় দুই মাস তিনি এই গ্রামেই ছিলেন | ভেজু সুয়োরো-র আজও মনে পড়ে যায় নেতাজিকে প্রথম দেখার কথা | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা পরিবেষ্টিত নেতাজি ঘোড়ায় চড়ে গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন | নেতাজির সঙ্গে ছিল দুটো হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি পিস্তল এবং একটি তলোয়ার |

চেসেজু গ্রামে নেতাজি সফি ডিজুখু (বর্তমানে নেতাজি ক্যাম্প) নামের ক্যাম্পে থাকতে লাগলেন | আর আজাদ হিন্দ বাহিনীর বাকি সৈন্যরা থাকতে লাগলেন ইন্সপেকশন বাংলোয় | চেসেজু গ্রামের লোকেরা তখন নেতাজিকে জাপানের সেনানায়ক ভাবতেন | অনেকেই তাঁকে জাপানের রাজা বলে সম্বোধন করতেন | নেতাজি বুঝেছিলেন গ্রামবাসীদের মন থেকে এই ভাবনা দূর করা ভীষণ জরুরি | কারণ গ্রামবাসীদের সাহায্য ছাড়া তাদের লড়াই করা সম্ভব নয় | কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গ্রামের মানুষদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুললেন | ভেজু সুয়োরো-র আজও মনে পড়ে যায় গ্রামবাসীদের নেতাজি বলেছিলেন যুদ্ধে জয়লাভ করার পর তিনি গ্রামে পাকা রাস্তা,স্কুল, হাসপাতাল গড়ে দেবেন | কৃষিকাজের উন্নতির জন্যে তিনি ধান কল গড়ে দেবেন, ব্যবস্থা করে দেবেন উন্নতমানের যন্ত্রপাতির | কিন্তু এর বিনিময়ে এখন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের দুবেলা খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে গ্রামবাসীদের |

চেসেজু গ্রামের লোকেরা নেতাজির পাশে এসে দাঁড়ালেন | এমন প্রেক্ষাপটেই ক্যাম্পে গিয়ে ভেজু সুয়োরো আলাপ করলেন সুদর্শন নেতাজির সঙ্গে। ভেজু সুয়োরো নেতাজিকে সাহা(সাহেব) বলে সম্বোধন করতেন | কিন্তু সমস্যা দেখা দিল অন্য জায়গায় | সুভাষচন্দ্র বসু তো নাগাল্যান্ডের ওই গ্রামবাসীদের ভাষা জানতেন না । আর ভেজু সুয়োরোও অন্য কোনো ভাষা জানতেন না | কাজেই উপায় ? তারা সংকেতের মাধ্যমে কথা বলতে লাগলেন | ভেজু সুয়োরোর আজও মনে পড়ে যায় নেতাজি মুরগির গলার আওয়াজ নকল করে তাকে "মুরগির ঝোল" বানানোর জন্যে অনুরোধ করেছিলেন | ওই গ্রামে নেতাজি যতদিন ছিলেন, ভেজু সুয়োরো প্রতিদিন নেতাজির জন্যে ভাত আর মুরগির ঝোল বানিয়ে নিয়ে যেতেন | ফলের মধ্যে নিয়ে যেতেন আমলকি | ভেজু সুয়োরোর আজও মনে পড়ে যায় যতবার তিনি নেতাজিকে খাবার দিয়েছেন, নেতাজি সেই খাবার থেকে সবার প্রথমে তাকে খেতে বলতেন আর তারপরে নিজে সেই খাবার মুখে ।

এইভাবেই নেতাজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে ভেজু সুয়োরোর | দুজনে একসাথে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন | গ্রামের পুরুষেরা কৃষিকাজ করছে, মহিলারা তাদের সন্তানদের জন্যে নিজে হাতে পোশাক বুনছেন - এই দৃশ্য বারবার মুগ্ধ করত নেতাজিকে | দুজনে প্রায়ই সুঁথোকা পিক ( বর্তমান নাম নেতাজি পিক)-এ উঠতেন | সুঁথোকা পিক থেকে আশেপাশের তিরিশটি গ্রামকে দেখা যায় | নেতাজি নিজের দূরবীন দিয়ে আশেপাশের গ্রামগুলিকে দেখতেন | সন্ধ্যা হয়ে এলে ভেজু সুয়োরো ফিরে যেতেন নিজের গ্রামে আর নেতাজি ফিরে যেতেন নিজের ক্যাম্পে |

কিন্তু নেতাজি ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যরা চেসেজু গ্রামে অবস্থান করছেন এই খবর পৌঁছে যায় ব্রিটিশদের কাছে | এই কারণেই চেসেজু গ্রামে হানা দেয় ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান | আতঙ্কিত হয়ে ভেজু সুয়োরো গ্রাম ছাড়েন | সেদিনই ব্রিটিশ সেনাবাহিনী গ্রাম ঘেরাও করে | শুরু হয় আজাদ হিন্দ বাহিনী এবং ব্রিটিশদের যুদ্ধ | যুদ্ধ চলে বহু ঘন্টা | এই ঘটনার কিছুদিন পরে ভেজু সুয়োরো এবং তার বেশ কিছু বন্ধু আবার গ্রামে প্রবেশ করে | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি দেখেন দুইজন বাঙালি সেনার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে | ভেজু সুয়োরো এরপর পৌঁছান নেতাজির ক্যাম্পে, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন ক্যাম্পটির আর বিন্দুমাত্র কিছু অবশিষ্ট নেই | পুরো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্প | বিস্ফোরণে জ্বলে গিয়েছে আশেপাশের সমস্ত গাছপালা | কিন্তু অবাক করার মত ঘটনা হল, কোথাও কোনও মৃতদেহ নেই | খটকা লাগে ভেজু সুয়োরো-র | কোথায় গেলেন নেতাজি | কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলেন না তাঁকে.....

নেতাজির ক্যাম্পের পিছনে দুটি পুকুর ছিল | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকরা এবং গ্রামবাসীরা একটি পুকুর ব্যবহার করতেন | আরেকটি পুকুর ব্যবহার করতেন নেতাজি | ভেজু সুয়োরো এবং তার বন্ধুরা কিছুদিন পর সেই পুকুরের পাশে আসেন | সেখানে গিয়ে পুকুর থেকে জল তুলে খেতে গিয়ে দেখেন, সেই জল পানের অযোগ্য | কেমন একটা পচা পচা গন্ধ | কিন্তু এর কারণ তখন তারা বুঝতে পারেননি | কয়েকদিন পর আবার তারা ওখানে যান, একটু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখেন পুকুরের পাড়ে পাথর চাপা দিয়ে রাখা রয়েছে সারি সারি আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের মৃতদেহ | অনেক সৈনিকদের মৃতদেহের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে বম্ব | এই দেখে ভয় পেয়ে যান ভেজু সুয়োরো এবং তার বন্ধুরা | দীর্ঘ এক বছর তারা ওই পুকুরের ধারেপাশে যাননি | ধীরে ধীরে পচে যেতে থাকে মৃতদেহগুলি | প্রায় এক বছর পর যখন ভেজু সুয়োরো সেখানে যান, শুধু কঙ্কাল ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না | এরপর থেকেই গ্রামবাসীরা ওই পুকুরটিকে সংরক্ষণ করেন | আজও ওই গ্রামে আসেন নেতাজি অনুরাগীরা |

আজ সেই ঘটনার প্রায় ৭৭ বছর অতিক্রান্ত | ভেজু সুয়োরো আজও ভুলতে পারেননি তার সেই বন্ধুকে | স্বপ্ন দেখেন একদিন আবার তাদের দেখা হবে....

তথ্য - Article written by: Asonuo, NE, RNU AIR Kohima / AirPics: Asonuo

কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শ্রীয়া গোস্বামীর থ্রিলার উপন্যাস "মুবভাম লোচনাম", সঙ্গে থাকুন :
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=513851750869540&id=100067341595392&mibextid=Nif5oz

30/01/2023

#আমাদের_সমস্যা_ও_সমাধান ঃ---

১) ভারতীয়দের গড় IQ ৭৮, জাপানিদের ১০৬
২) অপুষ্টিতে ভারতের স্থান খাদ্যসঙ্কটে ভোগা আফ্রিকার দেশগুলোর চাইতেও খারাপ যদিও ভারতে খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত এবং অতি সস্তায় পাওয়া যায়। ভারতে অপুষ্টির সাথে চাল ও গমের সহজ লভ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র রাজনীতির দালাল ও অশিক্ষিতরা এটা বলে থাকে।
৩) neonatal mortality rate ও infant mortality rate এ ভারতের অবস্থা মধ্য আফ্রিকার অত্যন্ত গরীব দেশগুলোর সাথে তুলনীয়
৪) বর্তমানে দেশের দুই তৃতীয়াংশ মৃত্যুর কারন বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ। করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে -- ৪০ থেকে ৪৫ লাখ
৫) পরিবেশ দূষণ অতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে, বোধহয় ভারত বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী।
৬) বিশ্ব খুশি সূচকেও একদম পিছনের দিকে,
৭) সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং দিনদিন সরকারি সহায়তা কমানো হচ্ছে।
৮) সরকারি স্বাস্থ্য পরিসেবা অত্যন্ত নিন্মমানের
৯) কৃষিজাত সামগ্রীর দাম খুবই কম এবং এই দাম কম রাখার জন্য স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর রাজনীতিক দালাল ও অশিক্ষিতরা দিনরাত চিল্লাতে থাকে।
১০) কৃষি নীতি নির্ধারনে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির প্রভাব অপরিসীম। এদের স্বার্থেই ভারত সরকার বর্তমানে GMO ফসলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে।
১১) বর্তমানে কৃষিতে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
১২) ক্লিভল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ আব্রাহামের মতে ভারতে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের সুনামি আসতে যাচ্ছে
১৩) আগামী ১৫/২০ বছরের মধ্যে একটা মহামারীতে তিন চার কোটি ভারতীয় মারা যাবে এবং এর প্রভাবে ভারতের অবস্থা শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের মতো হবে।
১৪) ধনবৈষম্য বৃদ্ধির হার পৃথিবীর মধ্যে ভারতে সর্বাধিক। দেশের গরীব ৫০% জনগণের হাতে সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৩%।
১৫) কেন স্কুল কলেজে খাদ্য ও জীবনযাপন প্রনালী নিয়ে পড়ানো হয় না?
১৬) কেন রিটেল ব্যবসায় বিভিন্ন কোম্পানিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে?
১৭) কেন সরকারি সম্পত্তির ইচ্ছামত বেসরকারিকরন করা হচ্ছে?
১৮) কেন সরকারি চাকরি ও পরিসেবার একতরফা বেসরকারিকরন করা হচ্ছে?
১৯) কাদের স্বার্থে ২০২২ এর জঙ্গল আইন আনা হয়েছে? ভারত সরকার এর মাধ্যমে জনগণ ও পরিবেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছে না আম্বানি আদানিদের উন্নতি করতে চেয়েছে?

এখন প্রশ্ন হচ্ছে---
১) এসব কেন হচ্ছে?
২) এসব কি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে?
৩) এসবের কি সমাধান নেই?
৪) দেশের জনগণকে কম বুদ্ধিসম্পন্ন রেখে কি দেশের উন্নতি করা সম্ভব?

দেশের জনগণের উন্নতির জন্য পাগল ন্যাতারা কোনদিনই কি এইসব সমস্যা সমাধান দূরের কথা এসব নিয়ে কখনো চিন্তাভাবনা করেছে কি? তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ব্যবস্থার জন্যই কাজ করে চলেছে? আচ্ছে দিন কি শুধুমাত্র জাদুকরের মরীচিকা? আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে রাজনেতারা কি আরও খারাপ দিন নিয়ে আসছে?
🖊️জিষ্ণু দত্ত

Address

Bhuban Dhar Lane
Kolkata
700012

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bengal Calling posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share



You may also like