Wayfarers' FoodPrint

Wayfarers' FoodPrint We DruPal, the Wayfarers', you can follow our travel and food experience here as our foodprint in 4K.

আজ রোববার, তাই আমারও তো ইচ্ছে হয় একটু ঘুরতে, সময় হচ্ছেনা তাই একটু এভাবেই ব্রেকফাস্ট করলাম।ডিম তড়কা, আলুর পরোটা আর চা    ...
18/02/2024

আজ রোববার, তাই আমারও তো ইচ্ছে হয় একটু ঘুরতে, সময় হচ্ছেনা তাই একটু এভাবেই ব্রেকফাস্ট করলাম।
ডিম তড়কা, আলুর পরোটা আর চা

শীতের মরশুমে কলকাতা থেকে মাত্র একশো কিলোমিটার দূরে টেরাকোটা মন্দির, পুরোনো রাজবাড়ী, ঠাকুর দালান, দেউল ও দামোদর নদ দেখে দ...
07/01/2024

শীতের মরশুমে কলকাতা থেকে মাত্র একশো কিলোমিটার দূরে টেরাকোটা মন্দির, পুরোনো রাজবাড়ী, ঠাকুর দালান, দেউল ও দামোদর নদ দেখে দুর্দান্ত বাঙালি খাবার খেয়ে একদিনেই ঘুরে আসবেন চলুন Wayfarers’ foodprint এর সাথে গুরাপ - দশঘরা - সাত দেউল

https://yt.openinapp.link/42hm8

24শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভের আমেজে সকাল 8টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়লাম কলকাতা থেকে 80কিলোমিটার দূরে গুরাপের উদ্যেশ্যে। (চাইলে হাওড়া বর্ধমান কর্ড লোকাল ধরে গুরাপ থেকে অটো বা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরতে পারেন।) তবে আমরা তো রোড ট্রিপ ভালোবাসি তাই কলকাতা থেকে গাড়িতেই বেড়িয়ে পড়লাম। সিক্স লেনের কাজ চলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ে ডাইভার্সনে ভরা হলেও রাস্তা বেশ মসৃন আর গড় গতিবেগ ও ভালোই ছিলো। ঘন্টা দুয়েক সময়ে পৌঁছে গেলাম গুরাপ। আমাদের ব্রেকফাস্ট স্টপ হিন্দুস্তান ধাবা। এখানের কচুরি আমাদের বড্ড প্রিয়। এখন শীতকালে পেলাম গরম গরম করাইশুঁটির কচুরি সাথে কাজু কিসমিস দেওয়া তরকারি ও মসলা ধোসা খেয়ে হাইওয়ে ছেড়ে গুরাপ স্টেশনের দিকে ঢুকলাম। প্রথম গন্তব্য ছিলো নন্দদুলাল জিউ মন্দির।
মূল মন্দিরের পাঁচিলের বাইরে একটি রথ ও আরেকটি ছোট্ট মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরটি ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান রাজের অমাত্য রামদেব নাগ প্রতিষ্ঠা করেন। আটচালা টেরাকোটার এই মন্দিরটি পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম মন্দিরগুলির অন্যতম। ২৭৫ বছরের পুরনো এই মন্দিরের অপূর্ব সুন্দর কারুকাজ কিছুটা নষ্ট হয়ে গেলেও ভালোমতো সংরক্ষন করায় তার বেশিরভাগই মন্দির দেওয়ালে অবশিষ্ট রয়েছে। খিলানের দুপাশে বারোটি করে মোট চব্বিশটি শিবমন্দিরের টেরাকোটার কাজ রয়েছে, এছাড়াও রয়েছে রাজা, নর্তকী ও দেবী সরস্বতী সহ প্রচুর দেবদেবী, সাপ, পাখিদের সূক্ষ্ম কারুকাজ।

মূল মন্দিরে রাধা কৃষ্ণের নিয়মিত পূজা হয়, সামনেই রয়েছে নাট মন্দির, রবিবার সকালে সেখানে আঁকার ক্লাস চলছিল।
এছাড়াও পাশেই রয়েছে আরো শিব মন্দির, সেখানে খুবই সামান্য নিদর্শন রয়েছে। গুরাপের এই মন্দিরের অদূরেই আছে গনিতজ্ঞ কেশব চন্দ্র নাগের বাড়ি, সেটাও চাইলে দেখতে পারেন, তবে আমরা এগিয়ে গেলাম দশঘরা ঘুরতে।

সুন্দর তারকেশ্বর গুরাপ রোড ধরে দশঘরায় প্রথমেই এলাম বিশ্বাসদের জমিদার বাড়ি। উড়িষ্যার জগমোহন বিশ্বাস, তাঁর হাত ধরেই হুগলী জেলার দশঘড়ায় জমিদারবাড়ি বা বিশ্বাস বাড়ি গড়ে ওঠে।
দশঘড়া বিশ্বাস বাড়ির দেবীতে দুর্গাপূজায় উড়িষ্যার জয়দুর্গা মূর্তির আদলে নির্মিত চতুর্ভূজা
দুর্গা মায়ের পুজো হয়, যার চার হাতে থাকে তরোয়াল, ঢাল, সাপ ও খোঁচ। মায়ের দেবী মূর্তির কাছে থাকে কার্তিক-গণেশ এবং লক্ষ্মী-সরস্বতী থাকে একটু দূরে। বিশ্বাস বাড়িতে মহালয়ার পরের দিন দেবীর বোধন হয় এবং ষষ্ঠীর দিন থেকে শুরু হয় মূর্তিপুজা। সপ্তমী অষ্টমী সন্ধিক্ষণে হয় পাঠা বলি আর এরসঙ্গে ছাঁচি কুমড়ো, লেবু, আখ বলি দেওয়ার প্রথা এই বাড়িতে রয়েছে।
দেবী মা শাক্ত মতে এখানে পূজিত হন।
এই বাড়িতে পুজোর সময় ছাড়া ঢোকা যায়না।
তবে পিছনের সরু রাস্তা দিয়ে বিশ্বাস বাড়ির কুলদেবতা গোপীনাথ জিউর এবং রাধারানীর মন্দির দেখা যায়। যেখানে টেরাকোটার কাজ দেখতে পাওয়া যায় এবং প্রতিবছর দোল পূর্ণিমার দিন রাধাকৃষ্ণ এখানে পূজিত হন। দোল মঞ্চের পাশেই রয়েছে রাসমঞ্চ যেখানে কার্তিক পূর্ণিমায় রাধাকৃষ্ণের পুজো করা হয়।

যে কারণে এই বিশ্বাস পরিবারের পুজো এত জনপ্রিয় সেই বলির বিশেষত্ব হল বলির সময় তাঁদের কুলদেবতা গোপীনাথ জিউর ও রাধারানীকে কানে তুলো দিয়ে শয়নে রাখা হয়। কারণ এই বলির আর্তনাদ নাকি বিশ্বাস পরিবারের কুলদেবতা সহ্যকরতে পারেন না। কাছারি বাড়ির পাশে রয়েছে আটচালা শিবমন্দির। প্রতিটি মন্দিরের গায়ে অসম্ভব সুন্দর টেরাকোটার কাজ দেখতে পাওয়া যায়।

রায়বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বিপিন কৃষ্ণ রায়। বিপিনবাবু কর্মসূত্রে কলকাতা বন্দরে যুক্ত ছিলেন। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রভূত ধন সম্পত্তির মালিক হন এবং এই বিশাল বাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন। রায়পাড়া ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল তোরণদ্বার।
দ্বারের বাম দিকে একটি অষ্টভুজাকৃতি ঘড়িঘর। ওপরে বিদেশি মূর্তি সহ চারদিকে চারটি বিশাল লোহার ঘড়ি এবং বাকি চারটি দেওয়ালে সেই আমলের চারটি খড়খড়ি দেওয়া জানালা। কোলকাতার ঘড়ি নির্মাতা J. M Dass এই বিশাল ঘড়িটির নির্মাণ করেন, যার ঢং ঢং আওয়াজ কিছু বছর আগেও প্রায় 4-5 কিলোমিটার দূরথেকেও শোনা যেত। তোরণদ্বার পেরিয়ে সরু পথ দিয়ে একটু এগিয়েই দেখবেন রাস মঞ্চ ও চাতাল। এর পরেই এক চমৎকার দ্বিতল বাড়ি। বাড়ির ভিতরেই দুর্গামন্দির। সামনে প্রকাণ্ড ঝিল। এই বাড়িতে হয়েছে একাধিক বাংলা সিনেমার শুটিং। তারমধ্যে অন্যতম হলো হীরের আংটি, বাড়িওয়ালী ও বাঞ্ছারামের বাগান। তবে এখানেও পুজোর সময় ছাড়া ভিতরে ঢোকা যায়না। তাই বাইরে থেকেই দেখে ফিরে চললাম।

এই পাশেই আছে হুগলীর ম্যাজিস্ট্রেট বার্ডলি বার্টের বাংলো, ভগ্নপ্রায় বাড়ির ফলকে প্রতিষ্ঠাতা বিপিন কৃষ্ণ রায়ের নাম লেখা।, সামনে একটা পুকুর ও আছে, তবে এখন সম্ভবত স্থানীয় লোকজন থাকেন এখানে।

দশঘরা থেকে সুন্দর রাস্তা দিয়ে এলাম চকদিঘী জমিদার বাড়ি। সিংহ রায় বাড়ির ইতিহাস আমরা সেভাবে জানতে পারলে ও সুদৃশ্য বাড়ি আর সামনের তারকার ন্যায় ফোয়ারা দেখে তাক লেগে যায়। যদিও এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাব স্পষ্ট। ব্রিটিশ বড়লাট লর্ড কার্জন ও অনেকবার এসেছিলেন এখানে, সিংহরায় পরিবারের সাথে পরিচয় ঘনিষ্ঠ থাকার জন্য।
এই অংশে পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়, সিংহ রয় পরিবারের সাথে লাইব্রেরী ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, তবে এখন সবই নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির পিছনে দুর্গা দালান ও আছে, এখানে এখনো পুজো হয়। শুনেছি বাইরে এরকম হলেও, ভিতরে বেলজিয়াম কাঁচে সাজানো এই বাড়িতে এখনো নিয়মিত সিনেমা ও সিরিয়ালের শুটিং হয়। এখানে সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরের শ্যুটিং হয়েছিল, সম্প্রতি দেবের গোলন্দাজ সহ অনেক শুটিং হয়েছে। এর পরে এগিয়ে গেলাম জামালপুরের দিকে। পাশ দিয়েই বয়ে গেছে দামোদর নদ, তাই আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে গ্রামের মধ্যে দিয়ে এলাম নদের বাঁধের ওপরে, এই গাছের ছায়াতে আলো আঁধারীর নদের রূপ অনেকদিন মনে থাকবে। নদের বুকে প্রচুর পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। কিছু মাছ ধরার নৌকা ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপার করছে। এই জায়গা আমাদের এতই পছন্দ হল, যে অনেকটা সময় এখানেই বসে থাকলাম। চাইলে সূর্যাস্তের সময় এখানে আসতে পারেন, বা একটু এগিয়ে বেগর মুখে যেতে পারেন। তবে আমরা ফিরে চললাম হাইওয়ে, এবার দেখবো সাত দেউল।

NH2 পেরিয়ে এলাম আঝাপুরের সাত দেউল। কথিত প্রায় ১০০০বছর আগে পাল যুগের রাজা শালিবাহন এই অঞ্চলে সাতটি জৈন মন্দির বা দেউল নির্মাণ করেন। দেউল শব্দের অর্থ দেবালয়, ৬০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝে বাংলার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বর্ধমান এলাকায় জৈন ধর্মে অপরিসীম প্রভাবে এই দেউলগুলো গড়ে ওঠে। যদিও তার বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। উড়িষ্যার রেখা দেউল স্থাপত্য শৈলীর অনুপ্রেরণায় প্রাচীন বাংলার জৈন কৃষ্টির এই অমূল্য সম্পদ আজ বয়সের ভারে জরাজীর্ণ।

Asi সংরক্ষিত এই মন্দিরটির ভিত পঞ্চ রত্ন আলেখ্যতে তৈরি, এর বিশেষত্ব হলো চারদিকে বিশাল বাঁকানো সুউচ্চ টাওয়ার ও মাঝের প্রবেশদ্বারে ধনুকাকৃতি গেট। প্রবেশদ্বারের উপরে বাইরের দেওয়ালে সুন্দর কারুকাজ করা চৈতন্য জানলা। যদিও এখন এই ভিতরে কোনো বিগ্রহ নেই।
আমরা পড়ন্ত বিকেলে ছবি তুলে আজকের ঘোরাঘুরি শেষ করে এবার চললাম লাঞ্চ করতে। এই রাস্তায় বেশ কয়েকটি ভালো রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা তার অনেকগুলোতেই খেয়েছি। আজকে যাবো নতুন একটা জায়গায়, হাইওয়ের পাশেই ফুড এক্সপ্রেসের সর্ষে পোস্ততে। অনেকদিন ধরে নাম শুনেই আসা সুন্দর সাজানো এই রেস্টুরেন্টে। মেনু কার্ডে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে অর্ডার দিলাম।এখানে নানারকমের থালি ছাড়াও ala carte মেনু আছে। অনেক রকমের মাছ যেমন ইলিশ, গলদা চিংড়ি, পাবদা থেকে আমরা ভেটকি পাতুরি আর পমফ্রেট সর্ষে নিলাম আর ভেজ মিল। খাবার আসার আগে গন্ধরাজ ঘোল খেয়ে ঘোরাঘুরির ক্লান্তি কেটে গেল।সেদিন ভেজ মিলে ছিল বাসমতি চালের সুন্দর ভাত, ঝুরঝুরে আলুভাজা, গন্ধরাজ লেবু, স্যুক্ত, মুগের ডাল, আলু পোস্ত, চাটনি, পাঁপড় ও স্যালাড। এ বলে আমায় দেখে ও বলে আমায়, যেমন ভালো সুক্ত আরো ভালো ডাল আর আলু পোস্ত। এর সাথে এলো প্রমাণ আকারের মাছ। মশলাদার পাতুরি মুখে লেগে থাকবে, খুবই দারুন স্বাদ ও গুনমান, পমফ্রেট তাও কোনো অংশে কম নয় একদম তাজা মাছের রান্নাটাও জম্পেশ হয়েছে। হাইওয়েতে এত ভালো বাঙালি খাবার বিরল।
তারপরে ইচ্ছে ছিল আরো কিছু ঘুরতে যাওয়ার তবে আলো পরে আসায় ফিরে এলাম কলকাতায়।

আবার নাহয় একদিনের ট্রিপের খোঁজ নিয়ে wayfarers ফুডপ্রিন্ট ফিরে আসবে। পাশে থাকবেন আর ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
https://yt.openinapp.link/42hm8

অচেনা সমুদ্র সৈকত দাগারা থেকে ঘুরে বাড়ি ফেরার সময় ঘুরতে গিয়েছিলাম মোঘলমারি ও কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখতে।https://yt.openinapp....
08/12/2023

অচেনা সমুদ্র সৈকত দাগারা থেকে ঘুরে বাড়ি ফেরার সময় ঘুরতে গিয়েছিলাম মোঘলমারি ও কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখতে।
https://yt.openinapp.co/qdck7

আমরা অনেকেই কাছে পিঠে এক-দুদিনে ঘুরতে যাওয়া যায় এমন জায়গা খুঁজি, তাদের জন্য আদর্শ এই জায়গা।

দুদিন নিরিবিলিতে ঝাউবন ঘেরা সমুদ্র দেখে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে ফেরার পথে একদম হাইওয়ে থেকে ১৫০মিটার গিয়েই মোঘলমারীর দেখা পেলাম। সেই পর্বের লিংক রইলো https://yt.openinapp.co/dri73

দাগাড়া থেকে বালিয়াপাল-কামারদা হয়ে জ্বলশ্বরে ওঠার রাস্তাটি বেশ সুন্দর, মসৃণ ও চওড়া। হাইওয়ে উঠে ডানদিক ঘুরে আমরা যাবো বেলদার কাছে মগোলমারী ও কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখতে। চাইলে ট্রেনে করে হাওড়া থেকে বেলদা বা নেকুরসেনি নেমে একদিনেই ঘুরে আসা যায় এই দুটি জায়গা। কিংবা একদিনে ঘণ্টা চারেক ড্রাইভ করে ১৭৬ কিলোমিটার দূরের এই জায়গা দুটি ঘুরে আসতে পারেন।
প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি এই রাস্তায় টোল পরে ৩৮০ টাকা।
টোল প্লাজায় একদল দোলের আবির মাখা লোক দেখে প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেছিলাম। সামনে যেতেই বুঝলাম রং মাখানোর আশঙ্কা মিথ্যে, ওনারা আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের গ্রিটিংস কার্ড, চকোলেট ও ফুল উপহার দিলেন। ওনাদের এই সৌহার্দ্যে বেশ ভালো লাগলো।
মসৃন হাইওয়ে ছেড়ে সরু গ্রামের রাস্তা ধরে পৌঁছাতে হয় মগোলমারী।
এখানে আলাদা কোনো পার্কিং নেই, রাস্তার পাশেই কোনোরকমে পার্ক করে চলে এলাম। এখনো অব্দি এখানে টিকিট লাগেনা।

মোগোলমারীর এই প্রাচীন স্থাপত্য টি গুপ্ত পরবর্তী ষষ্ঠ থেকে সপ্তম যুগে নির্মিত বলে অনুমান করা হয়। ২০০২-২০০৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশোক দত্তের নেতৃত্বে প্রথম খনন কার্যে ঐতিহাসিক মগোলমারীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে ২০১৩ সালে state archeological department এর সহায়তায় উনি পুনরায় খননকার্য চালিয়ে প্রচুর মূল্যবান ভাস্কর্য ও মূর্তির সন্ধান পান।

চোখের সামনে এইরকম জলজ্যান্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে আমাদের শিহরিত লাগছিলো।

তাম্রলিপ্তের এই বৌদ্ধ বিহারের উপস্থিতি নিয়ে ভূপর্যটক হিউয়েন সাং এর লেখায় তার বিবরণ পাওয়া যায়।
এই মোগলমারী নামটি সম্ভবত ১৬শতকে এই অঞ্চলে স্থানীয় রাজার সাথে মোগল সেনার যুদ্ধের ফলে মোঘল সেনার মৃত্যুর কারণে নামকরণ হয়।

এখানে খনন করে বৌদ্ধ বিহার, বৌদ্ধ স্তুপ, রাজা সমাচার দেবের ধাতুর মুদ্রা, সোনার লকেট ও মুকুট, বুদ্ধ ও বৌদ্ধ দেবদেবীর কালো পাথর, স্ট্যাকো ও ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য। অপূর্ব কারুকার্য খোচিত দেওয়ালের অলংকরণ, সেই সময়ের ব্রাহ্মী অক্ষরযুক্ত শিল ও সীলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতিহাসবিদ দের মতে উত্তরপূর্ব ভারতে অবস্থিত বৃহৎ ও প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্য গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।

কাঁচ ও কাঠের পাটাতনে ঘেরা এই অংশের নাম শশী সেনের ঢিবি, সেখানে বেশ কিছু প্রাচীন মূর্তি আছে। যদিও এখনো এই খনন কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

এখানে একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে বেশ কিছু ছবি, ভাঙা বাসন, ইট, পাথর রাখা আছে। এছাড়াও অশোক দত্তের একটি ছবিও রাখা আছে।

এখানের ঘোরাঘুরি শেষ করে আবার হাইওয়ে ধরে চললাম, কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখতে। কিছু দূর গিয়ে হাইওয়ে ছেড়ে অনেকটা ভিতরে ঢুকতে হলো।

কুরুমবেড়া এমন একটি প্রাচীন সেনানিবাস যেখানে হিন্দু ও ইসলামিক স্থাপত্যের চিহ্ন এখনো বর্তমান। কালের নিয়মে অনেক কিছুই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। মোগল আমলে কুরুমবেড়া দুর্গ থেকে বানিজ্যকেন্দ্রকে নিরাপত্তা দেওয়া হতো।

স্বাধীনতা পরবর্তী কালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ কুরুমবেড়া দুর্গটিকে জাতীয় সংরক্ষিত সৌধের মর্যাদা প্রদান করে। বর্তমানে আয়তাকার সেনানিবাসের উত্তর দিকের দরজাটি খোলা রাখা হয়েছে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য।

‘কুরুম’ শব্দের অর্থ কচ্ছপের খোলের ন্যায় দুর্ভেদ্য শক্তিশালী পাথরের প্রাচীর। অর্থাৎ পাথরদ্বারা ঘেরা স্থানকে বলা হয় ‘কুরুমবেড়া’। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ওড়িশার রাজা কপিলেন্দ্র দেব (১৪৩৪-১৪৬৭) এই সেনানিবাসটি নির্মাণ করেন। উত্তর ভারত থেকে আগত মোগল আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য এই আশ্রয়স্থলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয় মাঁকড় পাথর দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

কুরুমবেড়ার মধ্যবর্তী আয়তাকার ফাঁকা জমির পূর্বভাগে একটি শিবমন্দির নির্মাণ করেছিলেন রাজা কপিলেন্দ্র দেব। কুরুমবেড়া এলাকার মধ্যে থাকা শিবের নাম ছিল গগনেশ্বর। মোগল আক্রমনের সময় মন্দিরের পূজারীরা বিগ্রহটিকে কুঁয়োর মধ্যে ফেলে চলে যান। পরবর্তী কালে গ্রামের অধিবাসীরা বিগ্রহটিকে উদ্ধার করে গ্রামের ভিতরে স্থাপন করেন। বিগ্রহের নামেই গ্রামের নাম গগনেশ্বর।
১৬৯১ খ্রীষ্টাব্দে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে জনৈক সেনাপতি তহির খাঁ কুরুমবেড়া দখল করেন। বিজয়ী সেনাপতি নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য আশ্রয়স্থলের মধ্যে থাকা মন্দিরটি ধ্বংস করেন। বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরটির ভিত্ অক্ষত রয়েছে, যা দেখে মন্দিরটি আয়তন সম্পর্কে অনুমান করা যায়। সেনানিবাসটির মধ্যবর্তী প্রান্তরের পশ্চিমাংশে মন্দিরের ভেঙে ফেলা পাথর দিয়ে ঠিক মন্দিরের বিপরীত দিকে একটি সুদৃশ্য মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মিত মসজিদটির তিনটি গম্বুজ। যা ইসলামিক স্থাপত্যের ক্ষেত্রে একটি বৈচিত্রপূর্ণ উদাহরণ। সেনাপতি তহির খাঁ এই আশ্রয়স্থল কে দুর্গে পরিণত করেন। মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর মারাঠা দস্যুরা কুরুমবেড়া দখল করে নেয়।

একে চড়া রোদ্দুর তার উপরে খুব ক্ষিদে পাচ্ছিল তাই বেরিয়ে পড়লাম। খেতে এলাম বেলদার কাছেই হোটেল অন্নপূর্ণা তে, দারুন সেফ পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে ঢুকলাম ওনাদের এসি ডাইনিং হলে। ছিমছাম অন্দরসজ্জা, প্রচুর মানুষের ভিড়, বেশিরভাগ লোকজন দুপুরে মিল খাচ্ছেন। আমরাও তাই ভেজ মিল নিলাম, ভাত, ডাল, আলু ভাজা, আলু সেদ্দ, শুক্তো, চাটনি, ফুলকপি আলুর তরকারি, স্যালাড পাঁপড় দইসাথে কড়াই চিকেন। ফাটাফাটি লাঞ্চ করে কোলকাতায় ফিরে এলাম। দারুন ঘুরলাম দুদিনের ছোট্ট ট্রিপে। আপনারাও ঘুরে এসে জানাবেন কেমন লাগলো এই অফবিট ট্রিপ Wayfarers' FoodPrint এর সাথে।

https://yt.openinapp.co/qdck7

Road Trip to Nepal - Day 12Pokhara - Lumbinihttps://yt.openinapp.co/ai1skOur time in Nepal was about to seize!We will re...
13/11/2023

Road Trip to Nepal - Day 12

Pokhara - Lumbini
https://yt.openinapp.co/ai1sk

Our time in Nepal was about to seize!
We will return to plain land from the hills of Pokhara.
After having a great breakfast at our hotel, we left to see off this lovely city of Nepal. We clicked some pictures near the lake. Then we collected some gifts and souvenirs from a gift shop.

The road from Pokhara to Lumbini was beautiful but narrow. Its well maintained black top road. The curves made it exciting, and some excellent view points made us stop.
We stopped at an eatery on the highway, after having some chicken dal bhat, we resumed our journey towards lumbini.

Though we thought to stop a few more places on the way but dusty roads made us to skip them.

Fortunately we found a local pakora stop, we had some dal pakora, onion pakora with a great view.

Then straight to lumbini after leaving the curves of hill roads to 6 lane highway to the birthplace of Lord Buddha.

We searched for a room in a couple of hotels and finally got a good one near gate no 5 of the temple complex.

I should mention about the yummy dinner with kebabs, butter chicken and tandoori ruti. We were surprised to see the kebab platter served with puffed rice and salad.

That's all, see you in the next part of Nepal Road Trip soon.
https://yt.openinapp.co/ai1sk
Wayfarers' FoodPrint

লুংথু গ্রামে লাঞ্চ সাথে সূর্যাস্তের রঙিন আভা
01/11/2023

লুংথু গ্রামে লাঞ্চ সাথে সূর্যাস্তের রঙিন আভা

কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:১. NH10 সকালে ৬টা থেকে বিকেল ৬টা অব্দি খোলা।২. রাস্তার অবস্থা ৯০% অংশে খুবই ভালো, একদম আগের মতন...
28/10/2023

কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

১. NH10 সকালে ৬টা থেকে বিকেল ৬টা অব্দি খোলা।
২. রাস্তার অবস্থা ৯০% অংশে খুবই ভালো, একদম আগের মতন।
৩. তিনটে জায়গায় রাস্তা ধসে ছোট হয়ে গেছে তাই সিঙ্গেল লেন করে গাড়ি যাচ্ছে। বাকি জায়গা একদম মাখন।
৪. সেবক রেল ব্রীজের আগে বেশ লম্বা জ্যাম, সেটা খুবই বিরক্তিকর, বিশেষত কিছু স্থানীয় লোকজন লাইন এড়িয়ে টুক টুক করে এগিয়ে যাচ্ছে।
৫. আমার আরিতার থেকে রংপো হয়ে শিলিগুড়ি আসতে সময় লাগলো ৩.৪৫-৪ঘন্টা মতন, জ্যামের ওপরে।

কোলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, গ্যাংটক ও জুলুকের রাস্তা নিয়ে কিছু জানতে চাইলে আমায় জানাতে পারেন এই কমেন্ট বক্সে।

Road Trip to Nepal Day 9 BExploring Marpha Village Video Link: https://yt.openinapp.co/6dx0sAfter visiting Muktinath, we...
11/10/2023

Road Trip to Nepal Day 9 B

Exploring Marpha Village
Video Link: https://yt.openinapp.co/6dx0s

After visiting Muktinath, we stopped at Jomsom for Lunch. Then we came to visit one of the most beautiful villages named 'Marpha'. Yesterday we stayed near the village on the highway, but you can also stay inside the village.

The village was set up around 300 years ago by a Tibetan Buddhist Monk. He helped the then Nepali Queen to recover from severe illness. Then the King of Nepal, helped him to setup the village with funds and men power. Then the Tibetan refugee camp gradually turned out to be a beautiful village of nepal.

The houses are made of stone structure, mud and wooden sheds. The walls are painted with white colour. These unique looking narrow allies made the travellers stop and spend some time here.
This village is also famous worldwide for its Apple and Apple Garden. You can drink bottle apple juice and dried apple through out the year. During September & October fresh Apple can be found here. There are many small shops sell yak wool winter clothes, originated from Tibet. You can get apple brandy, jam, apricot juice and many other things.

This picturesque village will awestuck you for a long moment. No cars are allowed inside the village, but bikes can roam around the narrow roads.

There is a small monastery at the top of the village, which offers 360° view of the surrounding. You can see the highway, the whole village and the old cave of the buddist monk who started this village.

This place is a part of Tibetan Desert Plateau, as a result though out the day Gusty winds are passing through the village. The force gradually increase as the sun goes high. But this closely aligned houses will stop the wind flow inside the villages. But when we are at the top of the village and clicking pictures from the monastery we can feel the strong wind to make us shiver.

Then we returned to our hotel Marpha Apple Land. A cup of hot coffee and hot chicken curry rice in dinner ended our mustang exploration in a happy note.

But this is not the end my friend!

Some big surprises are waiting for us tomorrow.

What's that? That will be coming in next episode.

See you soon.

Don't forget to subscribe us Wayfarers' FoodPrint and keep in touch.
https://yt.openinapp.co/6dx0s

Road Trip to Nepal Day 9 AMarpha - Muktinath - MarphaVideo Link: https://yt.openinapp.co/jwf7uThe morning in Marpha was ...
28/09/2023

Road Trip to Nepal Day 9 A

Marpha - Muktinath - Marpha

Video Link: https://yt.openinapp.co/jwf7u

The morning in Marpha was great, sunny, chilled & fresh. After the hectic drive through the most difficult conditions, the relaxing sleep and comfort food like hot chicken curry prepared us for the ultimate date.

The journey towards muktinath. It will be around 30+ km one way towards the Temple. But in the terrain it will be more challenging due to many factors like,
1. Lack of Oxygen in the cold desert of Tibetan Plateau.
2. The roads are full of stones after Marpha
3. High Altitude Sickness can attack anytime.

While traveling towards the next town Jomsom we witnessed Mt. Dhaulagiri & Mt. Nilgiri. So the picture breaks are mandatory for us.

Anyone can easily skip or shorten this difficult journey by catching a flight from Pokhara to Jomsom Airport. The airport is small, and contains one mid sized runway. We saw a couple of early morning flights flying over our heads. But witnessing the take off or landing down will need more luck or timing.

We left the town, after making one entry at the Jomsom checkpost. We crossed the river bed of the Kali Gandaki River. There is a Tata Motors Service Center also present here. Though we didn't want to visit it ;) .

Then the last leg of the journey started. The landscape changed a lot. We could merely see any tree, only a few small bushes with golden n purple flowers. The blue sky, sand coloured mountains, unique designs formation due to water & high winds asking us to stop and click some photos.
We can clearly spot some natural caves, where human beings lived 200-300 years ago.

This cold desert is pushing us to the extreme. The car is pushing hard to throlle and climb up. Due to lack of oxygen, the engine was sucking petrol as much possible.
The mileage even dropped to 8.5km/l from 14km/l. Atlast after some sharp hairpins we reached the parking lot. We had to walk 2km from the parking lot.

You can only cross the checkpost, if you are staying there or have any aged person with you. We started the walk, few steps and take some rest that's the main key. I was panicked, that I might be affected due to High Altitude Sickness but nothing happened as such. Though there was pony ₹300-₹500/ way to take you up to the main gate of temple. But we chose to climb up by foot only.

After crossing around a km of ups n down road, we stopped for breakfast. Hot milk tea & egg waiwai made us acclaimetised with the weather. You can see many hotels & restaurants here, we won't recommend you to stay here due to low oxygen, it's better to stay at marpha & explore the village.

We stopped at the main gate to click some photos with our national flag. Then too many steps were waiting for us. We took as much time as we needed, as was no hurry. Atlast we reached the temple.

There was 108 cow shaped water source and two ponds around the main temple. If you take a bath from those 108 water sources and 3 dips in one pond and 1 dip in another you will be free from all past sins and ready for moksha as the believers say. We visited the main temple of lord Bishnu. The main door closed sharp at 12.00 noon.

We explored the place, there was a small monastery behind the temple but our legs were already stressed out. One big black stone buddha statue was also visible. We were awstruck with this gigantic statue. Then return to the parking and left with some memories of lifetime.

Though we thought to stop at Kagbeni and explore the village but the slow pace at muktinath took all the time so we clicked some pictures from the top and left.

Then stopped at one small restaurant at Jomsom for lunch with simple ghee, french fries and omelette. As we desperately needed simple food.

Then left for the other sight seeing of the day. There was a beautiful lake named Dumba Lake near the jomsom town but we were unable to find the road and missed the place.

The stories of Marpha village need a separate part so see you soon..

Wayfarers' FoodPrint do subscribe to us and follow for more.
Video Link: https://yt.openinapp.co/jwf7u

নেপালে ঘুরতে এলে কাঠমান্ডু পোখরা পর্যটকদের কাছে সব থেকে জনপ্রিয় হলেও। আমাদের গাড়ি নিয়েই নেপাল আসার সুবিধা ছিল, চাইলেই অফ...
06/09/2023

নেপালে ঘুরতে এলে কাঠমান্ডু পোখরা পর্যটকদের কাছে সব থেকে জনপ্রিয় হলেও। আমাদের গাড়ি নিয়েই নেপাল আসার সুবিধা ছিল, চাইলেই অফবিট বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখা যায়।
তাই ইচ্ছে ছিল গান্দ্রুক, ধামপুস, মারফার মতন অচেনা জায়গায় রাত কাটানোর।

আসলে কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার যাত্রা করে পোখরা আসার ধকল কাটিয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে দুর্গম মুক্তিনাথ যাত্রার আগে সতেজ হতেই যাচ্ছি এই ধামপুস। এখানে ১৮০° প্যানোরমিক তুষার শৃঙ্গ দেখা ছাড়া কাজ কিছুই নেই। পোখরা থেকে মাত্র ঘন্টাখানেক বা ২৯কিলোমিটার দূরে ধামপুস গ্রামের দিকে।

বাগলুঙ পোখরা হাইওয়ে ছবির মতন সুন্দর, যারা বলে নেপালের রাস্তা খারাপ তাদের এখানে আসা উচিত। তবে শেষ ৫-৬কিলোমিটার কিন্তু পারফেক্ট অফরোড এক্সপেরিয়েন্স। আমরা এরপরে যাবো মুসতাঙ্গ ভ্যালি পেরিয়ে মুক্তিনাথের দিকে, তার আগে এই প্র্যাক্টিস ভালোই লাগছে।

অফবিট গ্রাম তো হলো, কিন্তু পোখারার জমজমাট পরিবেশ ছেড়ে এখানে কেন আসবেন?
আসবেন ১৮০° প্যানোরমিক ভিউ, একদিকে ধৌলাগিরি থেকে শুরু হয়ে, ফিস টেল, অন্নপূর্ণা সব কিছুই দেখা যাবে এক ফ্রেমে। এছাড়াও সামনের পাহাড়ে সবুজের সমারোহ, একে বেঁকে যাওয়া শ্বেতী নদী আর অপার্থিব শান্ত পরিবেশ।

এখানে শান্ত গ্রামে ট্যুরিস্টদের সেভাবে আনাগোনা হয়না। কিছু বিদেশী ট্রেকার আসেন, সামনের অস্ট্রেলিয়ান বেস ক্যাম্প যাওয়া যায় ট্রেক করেই। তাই আমাদের মতন কাপেল হলে, এটা তো বেস্ট চয়েস।

আমরা মুক্তিনাথের পারমিট করে, ফেওয়া লেকে বোটিং করে পৌঁছাই এখানে। অনেকটা উপরে উঠে মূল ধামপুস গ্রামে এলাম, এখানে একজন হাতে চালানো মেশিনে শাল বুনছিলেন, আপনি চাইলে কিনতেও পারেন।
এর উল্টোদিকেই একটা সুন্দর অর্কিড বাগান আছে, তবে তখন সেটি বন্ধ ছিল তাই হোটেল এসে ঢুকলাম।
ওনাদের নিজস্ব পার্কিংয়ে গাড়ি রাখলাম, আবহাওয়া নিমিষেই পাল্টে পাল্টে যাচ্ছিল।
এই মেঘলা এই রোদ্দুর আবার বৃষ্টি।
বিশাল কাঁচের জানলা দেওয়া ভিউ রুমে ঢুকলাম। নেপালে আমাদের হোটেলগুলো আগে থেকে বেছে রাখা থাকলেও, বুকিং করিনি যাতে যেদিন যেখানে ইচ্ছে হবে ঘুরতে যেতে পারি। ধামপুসের Dhaulagiri View Hotel টি আমরা গতকাল রাতেই গুগলের রিভিউ দেখে বুক করে চলে আসি।
ওনাদের কটেজ, টেন্ট, রুম, ফ্যামিলি রুম সবই আছে নানা রকম বাজেটে।
সরাসরি ফোনে কথা বলে, এই ডাবল শেয়ার রুম রাখতে বলি।

ফ্রেশ হয়েই আমরা গেলাম লাঞ্চ করতে, এসেই অর্ডার করা ছিল। তবে এক প্লেট ভাত আর চিকেনের দাম দেখে ভিরমি খেলাম। ভারতীয় ৪৫০টাকা। কি জানি কেন এখানে খাবারের এত্ত দাম। আমরাও খানিকটা অবাক হই, এরকম আকাশছোঁয়া দাম দেখে।

খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা ব্যালকনিতে বসে মেঘে ঢাকা আকাশ দেখতে থাকলাম। আকাশ পরিষ্কার থাকলে নাকি এখানে বসেই ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা পর্বত দেখা যায়।
সত্যিই তাই, মেঘ কিছুটা কেটে যেতেই, দূরে আস্তে আস্তে তুষারশৃঙ্গ সুস্পষ্ট হতে থাকলো।
আমাদের প্রায় ১৫দিনের ট্রিপ, তার অর্ধেকটা শেষ হয়ে গেছে, তাই এইরকমই একটা অলস দিনের দরকার ছিল, আবার বাকি দিন গুলোর জন্য সতেজ হয়ে উঠতে।

তারপরই শুরু হলো মেঘের খেলা, কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝিনি, সন্ধ্যা হয়ে যাবার আগে একটু এদিক সেদিক ঘুরে ঘরে দেখলাম। গোলাপ বাগান, টেন্ট, হোটেলের সামনের ভিউ পয়েন্ট।
এখানে গুটি কয়েক হোমস্টে আর হোটেল আছে, তাই আগে থেকে বুক করে আসাই ভালো, নাহলে হোটেল খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। গ্রামটি বড়ই মিষ্টি, অফবিট পোখরার রূপে আমরা মুগ্ধ।

সন্ধ্যায় সেভাবে কিছু করার নেই, চাইলে বারবিকিউ করা যেত, তবে দাম শুনে পিছিয়ে এলাম। আমরা আড্ডা দিয়ে আলসেমিতেই কাটালাম, রাতেও দুপুরের মতন ভাত আর চিকেন খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। কারণ কাল অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে, মুক্তিনাথের দিকে।

সকালটা শুরু হলো একদম ঝকঝকে, পরিষ্কার আকাশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা পর্বত আর মোচ্চঃপুচরে। মিঠে কমলা রোদ্দুরে সেজে উঠেছে, কি দারুন সকাল। এই সব দেখতেই বাড়ি ছেড়ে এতটা পথ পেরিয়ে আসা। আমাদের রোড ট্রিপ আরো একবার সার্থক মনে হলো।

ব্রেকফাস্ট করলাম তাজা আপেল, সাথে প্যান কেক আর টস করা ভেজিটেবল দিয়ে।

আবার বেরিয়ে পড়লাম, ধামপুস থেকে আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে আবার নীচে নেমে পোখরা বাগলুঙ হাইওয়ে ধরতে।

এবার শুরু হবে ট্রিপের আসল এডভেঞ্চার, দুর্গম মুক্তিনাথ যাবো আমাদের Mr. Greyhound কে নিয়ে।
সেই রাস্তা যতটা সুন্দর ততটাই ভয়ঙ্কর। গলেস্বর শিব মন্দির, সুন্দরী ঝর্না আর কালি গণ্ডকী নদীকে পাশে রেখে যাবো। তবে ল্যান্ডস্লাইড ও ভারী বৃষ্টিতে বারবার পথ অবরুদ্ধ হয়েছে। তারপরও ঘাসার চেক পোস্ট পেরিয়ে যখন সেই তিব্বতী মরুভূমির অংশে পৌঁছাবে তার অনুভূতি আজও মনে আছে।

Video Link: https://openinapp.co/apq58

তাহলে দেখা হচ্ছে পরের পর্বে মুক্তিনাথের পথে যাত্রা শুরু করে। পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই wayfarers foodprint কে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।

Happy Independence Day 🇮🇳Wayfarers' FoodPrint Travel Eat Repeat
15/08/2023

Happy Independence Day 🇮🇳

Wayfarers' FoodPrint
Travel Eat Repeat

মুক্তিনাথ পারমিট আর পোখরা ভ্রমণ
07/08/2023

মুক্তিনাথ পারমিট আর পোখরা ভ্রমণ

Episode one
11/06/2023

Episode one

বেনারসের ঘোরাঘুরি - ২হাওড়া বিকানির এক্সপ্রেসে ঠিক দশটায় দিনদয়াল উপাধ্যায় বা মুঘলসরাই পৌঁছে, আমরা গাড়ি ভাড়া নিয়ে চললাম বে...
04/05/2023

বেনারসের ঘোরাঘুরি - ২

হাওড়া বিকানির এক্সপ্রেসে ঠিক দশটায় দিনদয়াল উপাধ্যায় বা মুঘলসরাই পৌঁছে, আমরা গাড়ি ভাড়া নিয়ে চললাম বেনারসের অচেনা দুটো ঝর্ণা দেখতে।
গাড়ির খোঁজ এই গ্রূপের এক সদস্য Koushik Sengupta এ দিয়েছিলেন, তাকে অনেক ধন্যবাদ। ওনার একটি সুন্দর হোটেল ও আছে, তবে সেটা দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে, তাই আমরা থাকিনি।
গাড়ির মালিক Bablu Gupta: +919580054281 একদম ঠিক সময়ে পরিষ্কার সুইফট ডিজায়ার আমাদের ব্রেকফাস্ট করিয়ে নিয়ে চললো চন্দ্রপ্রভা ওয়াইল্ডলাইভ সানচুয়ারীর দিকে রাজদারী ও দেওদারী জলপ্রপাত দেখতে।

রাস্তা মোটামুটি ভালো যেতে সময় লাগবে ঘন্টাখানেক। শহরের ঘিঞ্জি রাস্তা একটু পরেই ফাঁকা হয়ে গেল। দুপাশে পাহাড়েরা আস্তে আস্তে আলাপ জমাতে শুরু করলো। আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে। মূল গেটে পৌঁছে পার্কিং ও এন্ট্রি ফি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। গাড়ি রেখে কিছুটা হেঁটে যেতে হবে। আমরা একদম সামনে গিয়ে চমকে গেলাম।

পাহাড় থেকে চন্দ্রপ্রভা নদী ধাপে ধাপে ঝরে পড়ছে। আবার বুঝলাম। কেন Santanu দাদা আমায় বারবার বলছিল, এই সময়ে এই জায়গা একদমই মিস না করতে। বাঙালিরা এতবার বেনারস আসলেও এই জায়গার নাম আমি একদমই শুনিনি। তবে এখানে এসে রাজদারীর অপূর্ব সুন্দর জলরাশির রূপে মোহিত হয়ে কতক্ষণ কেটে গেল বুঝিনি। এখানে একদম সামনের ভিউ পয়েন্ট ছাড়াও একটু পিছিয়ে গেলে নদীর উপর থেকে নদী খাতের একটা সুন্দর ভিউ দেখা যায়, যেন জঙ্গলে মিলিয়ে যাচ্ছে।

এরপরে আরেকটু দূরেই দেওদারী জলপ্রপাত দেখতে এলাম। এখানেও চন্দ্রপ্রভা নদী আরো একটা ছোট্ট জলপ্রপাত সৃষ্টি করে, জঙ্গলে মিলিয়ে গেছে। দুর্দান্ত ঝর্ণা দেখে ফেরার পালা।

আমরা লাঞ্চ করতে গেলাম রাজদারী রিসোর্টে, এই অঞ্চলে একমাত্র ভালো হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। ওনাদের এসি নন এসি ঘর ও আছে। আমরা অনুরোধ করায় একটা ঘরে বিশ্রামের অনুমতি ও দেন একদম বিনামূল্যে। আমরা সেখানে ভাত মাংস খেতে ফিরে চলাম। আপনারা চাইলে এখানে এক রাত নিরিবিলিতে থাকতে পারেন, নয়তো শুধু লাঞ্চ করতেও পারেন।
Rajdari Resort: 07992054770

পথে রামনগর ফোর্ট দেখতে এলাম। একদম গঙ্গা লাগোয়া সুন্দর ফোর্টের সৌন্দর্যের কথা বলাই বাহুল্য। এখানে একটা মিউজিয়াম ও আছে, সেখানে ভিনটেজ গাড়ি ছাড়াও রাজপরিবারের নানা রকম ব্যবহৃত জিনিসের প্রদর্শনী করা হয়েছে। তবে সেখানে ছবি তোলা যায়না।

ফোর্টে পাশেই লাল বাহাদুর শাস্ত্রী চকে ফাটাফাটি লস্যি পাওয়া যায়। অনেকে বলেন এটাই নাকি বেনারসের সেরা লস্যি। আমরা ৫০টাকা দিয়ে শিব প্রসাদের মালাই ও রাবড়ি দেওয়া লস্যি খেয়ে এখনো সেটাই বলি, "বেনারসের সেরা লস্যি"।

এই লাল বাহাদুর শাস্ত্রী চকের পাশের এক গলি দিয়ে এঁকে বেঁকে কিছুটা গেলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পৈত্রিক ভিটের দেখা মিলবে। সেখানে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর অনেক ব্যবহৃত জিনিসপত্র, বাসন ও ছবির প্রদর্শনী আছে। কোনো টিকিট লাগেনা তবে ভিড় খুবই কম, আসলে হয়তো গাড়ি না আসায় তথাকথিত টুরিস্টদের আকর্ষণ একটু কম।

আমরা হোটেল এলাম, একদম অস্যি ঘাটের গা লাগোয়া, বিকেলে যাবো গঙ্গার আরতি দেখতে। সেসব নিয়ে পরের পর্বে কথা চলবে।

একটা ছোট্ট ভিডিও বানিয়েছি, ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন। সেখানে ম্যাপের লিঙ্ক দিয়ে রাখলাম।
Video Link: 👇
https://openinapp.co/pfza6

সেপ্টেম্বর, ২০২২

বেনারস পর্ব - ১গত বছর পুজোর সময় আমরা দুজনে আবার বেরিয়ে পড়েছিলাম, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গা।আমরা সরাসরি বেনারসে...
23/04/2023

বেনারস পর্ব - ১

গত বছর পুজোর সময় আমরা দুজনে আবার বেরিয়ে পড়েছিলাম, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গা।

আমরা সরাসরি বেনারসের ট্রেন পাইনি, তাই হাওড়া বিকানির সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস করে প্রথমে মুঘল সরাই তারপরে গাড়িতে অচেনা বেনারসের ঘোরাঘুরি শেষ করে যাবো অস্সি ঘাটের কাছেই আমাদের হোটেলে।

ডিনার সেরে ট্যাক্সি করে, হাওড়া স্টেশনে একটু আগেই পৌঁছে গেছিলাম। তাই একবার এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে ঢুঁ মারলাম।
৫০টাকা/জন, অনেক গুলোই সোফা সিট আছে। আপনাকে টিকিটের মধ্যেই সিট নাম্বার দিয়ে দেবে। দারুন পরিস্কার বাথরুম ও ছিল। এছাড়াও মায়েদের জন্য আলাদা ঘর আছে। বসার জায়গার ঠিক পাশেই ছিল ছোট্ট ফুড কোর্ট, সেখানে চাউমিন থেকে বিরিয়ানী বা ভাতের মিল পাওয়া যায়। তবে সেগুলো একটু দামি, তবে দামের সাথে সামনেই বানিয়ে দেওয়া খাবারের স্বাদ বা মান দেখে ভালোই লাগলো। এছাড়াও একজন কেক প্যাটিশের একটা দোকান আছে। আর ছিল ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও কুলফি।

ওহ, প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, সকল বড় স্টেশনের মতন এখানেও রিটায়ারিং রুম আছে, তবে সেগুলো তখন ও অনলাইনে দেখা যাচ্ছিল নক, তবে এসে খালি থাকলে থেকে যেতেও পারেন।

আমাদের সময় কাটিয়ে, ট্রেনে চড়ে বসলাম। একদম শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটায়, আমাদের সিট দুটো এক কামরায় পড়লেও, একসাথে পড়েনি। তাই ট্রেনে উঠেই একটু এদিকে ওদিকে ঘুরে সেটা ম্যানেজ করলাম।
একসাথে সাইড আপার ও লোয়ার নিয়ে যাত্রা শুরু হলো।

সকালে ঘুম ভাঙলো, ট্রেনে আমার সেভাবে ঘুম হয়না, ছাড়া ছাড়া ঘুমিয়ে আসলে নতুন স্টেশন দেখতে আমার দারুন লাগে। এককাপ চা খেলাম, কাপটা খুব পছন্দ হলো,তাই ছবি তুলে রাখলাম।
ট্রেন ঠিক সকালে ৯.৫০ এর আগেই ঢুকে গেলো। আমরা আগেই থেকেই গাড়ি বুকিং করে রেখেছিলাম।
পরের পর্বে থাকবে অচেনা বেনারসের ঘুরতে যাওয়ার গল্প।

আমাদের Wayfarers' FoodPrint চ্যানেলের ভিডিওটি দিয়ে রাখলাম
Video Link👇
https://openinapp.co/pfza6

তাও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন।

Address

Kolkata
700011

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Wayfarers' FoodPrint posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

Nearby media companies



You may also like