শুভ দুপুর বন্ধুরা
ভালো আছো তো সবাই! আজ একটু ভিন্নভাবেই তোমাদের কাছে হাজির হলাম! জীবনটাকে সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিতে গেলে সুন্দরভাবে থাকতে গেলে প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হল মনের শান্তি পেটের শান্তি সেই পেট পুজো করতেই বসেছি আমি যেমন গুছিয়ে খেতে দিতে ভালোবাসি সেই রকম নিজে এলোমেলো করে খাব সেটা আমি কোনদিনও করতে পারিনা আমি নিজেও খারাপ থাকতে পারিনা কাউকে খারাপ রাখার চেষ্টাও করতে পারিনা অনেকেই জানি নিজের যত্ন নিজে করেন না একা থাকলে খাওয়া খেতে চান না নিজের যত্ন করাটাকে discredit ভাবে ভাবে যে লোকে কি বলবে আমি এটা জানি আমি খারাপ থাকলে লোকে আমাকে ভালো করতে পারবে না তাই আমার আমাকে ভালবাসতে হবে আমাকেই আনন্দে থাকতে হবে আমার আনন্দটা কেউ দিয়ে যাবে না! মানুষ পেছনে কি বলবে? সেই ভেবে নিজেকে ভালো রাখবো না এমন বোকা আমি নই 😆🤩🤪তাই নিজে সুন্দর করে গুছিয়ে খেতে বসেছি সেটাই আমি করি এ
বলেছি না!রাঁধতে ভালো বাসি!খাওয়াতে,খেতে ভালো বাসি!কিন্তু সাহেবি কায়দায় রান্না টান্না পারি না!কাজ চালানো র মতো রাঁধি!ভালো ভিডিও করতেও পারি না!তবুও সাহস করে তোমাদের সঙ্গে সেয়ার করি!অনেক নিয়ম কানুন আছে! এ করা যাবে না ও করা যাবে না!ব্লগ করার অনেক হ্যাপা!দূর!আমার সময় কাটেনা টুকুর টাকুর যা করি টুক করে সেয়ার করি! যদিও চলে না!মেনে মানিও নাও!আজ রাঁধলাম বাড়ির গাছের উচ্ছে,আলু ভাতে,বেথো শাকঘণ্টো,সোনামুগ ডাল,বেগুন ভাজা, কৈ মাছের জিড়ে বাটার ঝোল ব্যাস!আর রাঁধতে রাঁধতে খেয়ে নিলাম আমার বানানো চবনপ্রাশ আমলোকি,কাঁচাহলুদ,আদা,যষ্টিমধু,পিপুলের জোটা বচ,বাসকপাতা,তুলসি,গোলমরিচ, আাখের গুড়,যোয়ান,আরও এমন অনেক উপাদানে তৈরি করে রেখেছি! পুরো শীতকাল ভর ব্যাবহার করি!এই আর কি!যতোটা ঘরোয়া ভাবে থাকা যায়!পাশে থেকো সাথে থেকো।🥰
রাতে চৌকি ধানি /হাওয়া মহল ঘুরে
জয়পুরের authentic খাবারের স্বাদ নিয়ে
ফিরলাম! বেঁচে থাকলে বাকি রাজস্থান দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফিরে এলাম!
জয়পুর ট্রিপের পরের দিন! খুব মন দিয়ে দেখলাম, সব দেখতে দেখতে মনটা হারিয়ে যাচ্ছিলো!অপূর্ব সব কারুকাজ! ইতিহাস পরেছি সেগুলো চোখের সামনে দেখতে পেলাম!আহা!!বিচিত্র ভারত বর্ষ!!সারাজীবন কম পরে যাবে এর এর আনাচে কানাচে ঘুরতে!
২১শে নভেম্বর হঠাৎই দিল্লি আসলাম! বড় মেয়ের
বাড়ি! ওর কাছে আমাদের ভাসুরের মেয়ে জামাই নাতি এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে তাদের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য! ওদের সাথেই বেশ হৈচৈ করে
দিন কাটালাম! ওরা ফিরে গেলে আমরা নিজেরা হঠাৎ প্ল্যান করে কাছাকাছি ২দিনের বেড়িয়ে পরেছিলাম "জয়পুর " পুরো রাজস্থান ঘুরা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার!ইচ্ছে মনে নিয়েই জয়পুরেই ২দিন কাটিয়ে কোলকাতা ফিরে এলাম!ব্যাস এতটুকু অক্সিজেন আমাদের যথেষ্ট! ভাবলাম একটা ব্লগ যখন খুলেই ফেলেছি তার জন্য তো কিছুটা দায়িত্ব থেকেই যায়!তাই পেজের উদ্দেশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারন!সেটাই তোমাদের কাছে সেয়ার করলাম কেমন লাগলো বলো!আমি অতো ভালো পারিনা!আজ কিছুটা সেয়ার করলাম বাদবাকি পরে দেবো🤩
আবারও হাজির হলাম আমার রান্না নিয়ে 🤩জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পার করে আজ এমন একটা সময়ে দাঁড়িয়েছি! যেখানে দাঁড়িয়ে সামনের অদেখা ভবিষ্যৎ জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে! তাই সেটা নিয়ে বেশি গভীরে না যেয়ে এতদিন তো সংসারে অনেকের খোঁজ খবর রাখলাম, সবার ভালোমন্দ পছন্দ অপছন্দ নিয়ে ভাবলাম এবার যেকটা দিন সামনে আমার জন্য পরে আছে সেটা নিয়েই ভাববো!পরে পাওয়া চৌদ্দ আনাই যথেষ্ট! রান্না নিয়ে থাকলে মনটা দেখি চাংগা লাগে! এখনকার অনেক আধুনিক রান্না হয়তো পারবো না!অনেক খটোমটো! সাবেকি ঘরোয়া রান্না নিজে খেতে ভালো বাসি!খাওয়াতেও ভালোবাসি এযাবৎ অনেকেই খুশি হয়েছেন তৃপ্তি নিয়ে প্রসংসাও করেছেন সেটাকেই আমার পুরস্কার আশীর্বাদ হিসাবে গ্রহণ করেছি এটা পরম পাওয়া!রান্না টা ভালোবেসে করা!শরীর টা গরবর করে মাঝেমধ্যে ইতিভিন্ন ভালোই লাগে! বেশ কদিন রিচ খাবার খাওয়া হয়েছে বলে আজ খুব হাল্কা পাতলা নতুন ফুলক
কচুর লতি চিংড়ি :-
লতি ছাড়িয়ে সামান্য ভাপিয়ে নিয়েছি, তেলে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে
সরষে কাঁচালংকার বাটা,পেঁয়াজ রসুন লংকা র গুড়ো চিংড়ি দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে সামান্য জল দিয়ে ফুটিয়ে জল টেনে এলেই হয়ে গেলো লতিচিংড়ি! ঝাল নুন টানটান!!
মুগডাল
ভাজা সোনামুগ ডাল
কুচো চিংড়ি, ফুলকপি ছোট্ট টুকরো করে দিয়ে
মসলার সাথে কষিয়ে! মশলায় যোগ করেছি (ধনে,জিড়ে লংকাবাটা আদাবাটা) ফোড়নে দিয়েছি (গোটা গরমমসলা, তেজপাতা,শুকনো লংকা গোটা জিড়ে)শেষ বেলায় নামালাম (ঘি,গরমমসলা ভাজামশলা ছড়িয়ে) সামান্য একটু মিষ্টি যোগ করতে হবে রান্নার স্বাদে balance আনার জন্য।
চিতলের পেটির তেলঝাল:-
মাছ ভেজে তুলে নিয়ে ওই তেলে নতুন আলু
বেশ করে ভেজে নিয়েছি! ফোড়নে (জিড়ে শুকনোলংকা,তেজপাতা গোটা গরমমসলা)
মসলায় জোগ করেছি আদা,জিড়ে ধনে,লংকা বাটা টমেটো পেষ্ট পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কষিয়ে প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে তেল উঠে এলে ঘি গরমমসলা ভাজা
পাক্কি বিরিয়ানি :-
পুরো প্রক্রিয়া টা তুলে ধরতে ভুলে গিয়েছিলাম!
মাঝের থেকেই ক্যামেরা বন্ধি করেছি! বিরিয়ানি রান্না শাহি ব্যাপার!মোটাতলার হাড়ি লাগে!কাঠের উনুন লাগে!!অনেক প্রস্তুতি! ৯ তলার ওপরে বাস করে সেসব ভাবাও স্বপ্ন! ঝটপট প্রেসার কুকারে আমার মতে রেস্টুরেন্টে স্বাদ কে হার মানাবে!স্বাদে গন্ধে, বর্নে অতুলনীয়! ৬ জন মানুষের জন্য তৈরী! ঘরে বানানো বিরিয়ানির মসলা দিয়ে তৈরী। মাটনের পাক্কি বিরিয়ানি। খাইয়ে বাহবা পেলাম! নিজে খেয়েও তৃপ্তি পেলাম! আবারও যেদিন রান্না করবো সব কিছু ক্যামেরায় তুলে ধরতে ভুলবোনা৷ কথা দিলাম 😁প্রফেসনাল নই ঘরোয়া তাই পরিমাপ গুলো হাতের আন্দাজে করা পরবর্তীতে পরিমান গুলো তুলে ধরবো।তাও বলছি
চাল-১কেজি(দেড়া দুন লংগ্রেন বাসমতী)
মাটন-দেড় কেজি
পেঁয়াজ -৪টা
রসুন -দেড়টা
আদা বাটা -দুই টেবিল চামচ
বিরিয়ানির মসলা -২টেবিল চামচ
নুন স্বাদ অনুযায়ী
ঘি-৪টেবি
চিতল মাছের কোপ্তা :-
মাছের গাদা বলো আর পিঠ বলো থেঁতলে নিয়ে
চামচের সাহায্যে কুড়ে নিয়ে (দেখানো হয়নি) নুন দিয়ে জল ফুটিয়ে মুঠো মুঠো করে জলে ছাড়লেই
শক্ত হয়ে যাবে!তুলে নিয়ে বড়া গুলো কে মাঝ খান থেকে কেটে নিলে ঝোল ভালো ভাবে ডুকে কোপ্তা গুলো রসালো হবে!
এবারে তেল (সরসের তেল)গরম করে কোপ্তা গুলো হল্কা হাতে ভেজে নিয়ে, সেই তেলেই জিড়ে শুকনো লংকা তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে আদা বাটা, জিড়ে গুংড়ো,ধোনে গুড়ো, লংকার গুড়ো দিয়ে গরম জল দিয়ে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে তেল ছড়লে কোপ্তা সেদ্ধ জল টা দিয়ে ঝোল ফুটে উঠলেই কোপ্তা গুলো দিয়ে জাল করে প্রয়োজনীয় ঝোল হলেই গরমমসলা, ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি চিতল কোপ্তা কাড়ি!অসম্ভব সুস্বাদু পিয়াজ,রসুন ছাড়া চিতল কোপ্তা কাড়ি।
আয়রন সমৃদ্ধ! ডুমুরের ডালনা!
ডুমুর কেটে নুন,হলুূদে ভাপিয়ে
তেলে জিরে,শুকনো ঝাল
তেজপাতা হিং!ভালোভাবে আলু,ডুমুর আদা,জিরে,ধনে লাংকার সাথে কষিয়ে,ঝোলটা পরিমাণ মতো হলে ঘিয়ে হিং গরমসলা বাটা দিয়ে নামিয়ে
নিলেই কেল্লাফতে 🤩