27/07/2023
কাল থেকে এই ছবিটি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে ।
কন্টেক্সট: ফুলশয্যার বিছানায় ছেলের মা এসে শুয়ে পড়েছেন, ছেলের বউকে হাজব্যান্ডের সাথে শুতে দেবেন না বলে।
ঘটনা টা কি ডিসটার্বিং, কি ভয়ানক ভাবে অন্যায়,এবং সেটা একটা পপুলার রিজিওনাল চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে।
সবাই একটা বিকৃত সম্পর্ক ইঙ্গিত করলেও আসলে জিনিসটা তার থেকেও অনেক বেশি গভীর ও অনেক বেশি কনসার্নিং।
এই সিরিয়াল আমি দেখি না। ইনফ্যাক্ট কোনো বাংলা ডেলি সোপ আমি দেখি না। মেয়েদের গ্রূপে থাকলে রোজ নানা রকম সিরিয়ালের চেয়েও বেশি অদ্ভুত ঘটনা জানা যায়।
এই ঘটনা টা হয়ত খানিকটা অতিরঞ্জিত। কিন্তু মেয়েদের গ্রূপে বেশিরভাগই ম্যারেড মেয়ে যারা আছে 90% এরকম সমস্যা লেখে। বিয়ের পর শ্বাশুড়ি একসাথে শুত/শোয় ,ছিটকিনি আটকাতে দেয় না ঘরে ,রাতে আড়ি পাতে। শুনলে মনে হবে 50 বছর আগে আছি তখন ও হত এখন ও হয়।
সাথে add হয়েছে ছেলের বউকে/ছেলেকে আন্ডার ওয়ার কাচতে না দেওয়া,শুধু ওই জিনিসটি কাড়াকাড়ি করে নিজের কাছে রেখে দেওয়া কিংবা 30 -31 বছরের পূর্ন বয়স্ক ছেলেকে ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে চুম্বন,স্নান করিয়ে দেওয়া,তার সামনে পোশাক পরিবর্তন করা উলঙ্গ হয়ে
এরকম আরও কত শত ঘটনা দেখি রোজ।
সবথেকে লজ্জার ব্যাপার মেয়েদের হাজব্যান্ডের attitiude তারা দিব্যি মেনে নেয় ,বলে যে কিছু করতে ইচ্ছে হলে আলাদা ঘরে উঠে করে এসে শুয়ে পড়বে। কিংবা এই চুম্বন স্বাভাবিক ,এই স্নান করানো ও,উলঙ্গ হয়ে পোশাক পরিবর্তন। এবং তাদের দাম্পত্য এই ভাবেই চলছে। এইটাই আসলে ভয়ঙ্কর। একজন ছেলে একজন এডাল্ট সুস্থ(ধরে নিচ্ছি বিয়ে করেছে,কাজ/ চাকরি করে তো সুস্থ ই।)ছেলে এসব নোংরামি কিভাবে মেনে নেয়!!
আসলে এমন নয় যে ছেলের বিয়ে হলে ছেলে মায়ের প্রতি ভালোবাসা যত্ন কমে যাবে। এর পিছনে ডিপ রুটেড থাকে নিজের না পাওয়া । সেখান থেকে তৈরি হওয়া ইনসিকিয়ারটি। এধরনের মহিলারা নিজেদের স্বামীর থেকে সেই ধরনের ভালোবাসা মর্যাদা পান নি। শ্বাশুড়ির থেকে একই ধরনের ব্যবহার পেয়েছেন ফলে সন্তান হওয়ার পর তাকে আঁকড়ে ধরে ভেবেছেন এই আমায় সমস্ত না পাওয়া attention দেবে,মনোযোগ দেবে। যাদের স্বামী এমন নন তাদের মধ্যে এই ব্যাপার টা নেই বা যারা সুস্থ মানসিকতার তাদের মধ্যেও নেই।
আর ইন্ডিয়ান মানসিকতায় বেশিরভাগ ছেলে মা বাবার উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে মেন্টালি ও অন্যান্য দিকে তারাও সেই বাউন্ডারি সেট করতে পারেনি। ফলে আরেকটা মেয়ে সমীকরণে ঢুকে গেল ওই ভয় টা জাঁকিয়ে বসে। মনে হয় ওদের স্বাভাবিক জীবন টা স্বাভাবিক করতে দেব না, বরং আমায় সব টুকু মনোযোগ দেবে,আগের চেয়ে বেশি দেবে। এটা যারা attention seeker তাদের বৈশিষ্ট্য। কাউকে attention পেতে দেখলে কিংবা সম্ভাবনা ও তৈরি হলে তারা খুব ই attacked ফিল করে জীবনে পুরুষ একজন থাকতে হবে। স্বামীর অবর্তমানে ছেলে যেন মনোযোগ দিয়ে সেই জায়গা পূরণ করে। কারণ এরা নিজের জীবনে নিজের কোনো জায়গা বানাতে পারেননি।
কিংবা ভয় পান একা হয়ে যাওয়ার। অদ্ভুত একটা সাইকোলজিক্যাল সমস্যা।
যেটাই হোক সেটার এরকম আউটকাম কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে কিছু কিছু মহিলা স্ট্রেট away শয়তান। মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের ভালো সহ্য হয় না। বা তাকে ভালো থাকতে দেয় না। আমি পাইনি ও কেন পাবে মানসিকতা।
সিরিয়াল গুলো এগুলো দেখাচ্ছে বটে কিন্তু এটা বাস্তবে অনেকের জীবনেই ঘটে। সব টা আমরা জানতে পারি না।
আমার চেনা একটি ছেলের মা বিধবা,উনি একমাত্র ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে মেনে নেননি বলে ,ছেলেটি আগে ভাগে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছিল। সামাজিক বিয়ের সব ব্যবস্থা নিজেই করে। মা পার্টিসিপেট করেননি। বিয়ের দিন কান্নাকাটি করতে করতে স্ট্রেট অজ্ঞান যখন ছেলে বেরোবে। ছেলে স্রেফ মাকে বিছানায় শুইয়ে বিয়ে করতে চলে যায়
আজ তাদের সন্তান ও হয়ে গেছে। ওর মা ভাবছিলেন শেষ মুহূর্ত অবধি যদি আটকানো যায়। কি অদ্ভুত,লজ্জাজনক একটা পরিস্থিতি এবং সামাজিক ঠিক ভুলের সমস্ত লজ্জা ঝেড়ে ফেলে এমন ব্যবহার!!
এটাই ইন্ডিকেট করে কত মানুষ অসুস্থ মানসিক ভাবে। তাদের চিকিৎসা দরকার।
সিরিয়াল কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। অনেক ক্ষেত্রে গাঁজাখুরি মনে হলেও আসলে বাস্তবের নোংরা কদর্য দিক ই তুলে ধরছে। তবে হ্যাঁ এগুলো প্রমোট করার দরকার নেই,রোজ রোজ লক্ষ লক্ষ মহিলাদের মাথায় এগুলো ওষুধের মতো গুঁজে দেওয়ার ও দরকার নেই
পজিটিভ বার্তা দেয় ,সুস্থ সম্পর্কর প্রতিচ্ছবি কিন্তু দেখানোই যায়।
এসব দেখে যারা বিয়ে করতে ভয় পায় তাদের বলি প্রেম করার সময় কিংবা বাবা মা র পছন্দ বিয়ে করার সময় শুধু হাতে হাত রেখে ক্যাফে না ঘুরে,সেলফি না তুলে একটু একে ওপরের মানসিকতা বোঝা,খারাপ ভালো কিছুটা হলেও বুঝে নিয়ে করলে হয়ত বিয়ের পর গ্রূপে এসব লিখতে হবে না। আর তাও যদি হয়,সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং আর তাও যদি না হয় পাততাড়ি গুটিয়ে চলে আসা better।❤️😊
# copied from_Bidisha Nath Bhowmick