Unakoti Film Festival

Unakoti Film Festival Film Festival Unakoti Film Festival is dedicated to nurture, encourage, inspire and be inspired by the power-packed performances of youth.

Unakoti Film Festival is all about promotion of the varied art culture of ‘Film’, which is an art in itself, from a perspective of a new arising medium- UDBM Films & Media Arts. Unakoti Film Festival is a tribute to the film industry, a welcoming to the advancing technology of filming, to appreciate the young talent, a celebration of Indian Cinema and much more. Unakoti Film Festival was founded o

n 2014 to promote, recognize and create a platform for all categories of film makers. We at Unakoti Film Festival, mainly focus on promotion of new talents and encourage filmmakers from all different categories irrelevant of their language background. Facebook Channel: https://m.me/j/Abatx6tAYxuDVrM8/
Watsapp Channel: https://whatsapp.com/channel/0029VamXudY0rGiH4Y9M8Z2i

এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবচেয়ে আলোচিত দুটি ছবি "The Raining Men" ও "Parthenope"
31/12/2024

এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবচেয়ে আলোচিত দুটি ছবি "The Raining Men" ও "Parthenope"

অমিতাভ বচ্চনকে বাংলা ছবিতে অভিনয় করাতে রাজি করিয়েছিলেন শক্তি সামন্ত, "বরসাত কি এক রাত" সিনেমায়।"আপনি না বাংলার জামাই, ...
31/12/2024

অমিতাভ বচ্চনকে বাংলা ছবিতে অভিনয় করাতে রাজি করিয়েছিলেন শক্তি সামন্ত, "বরসাত কি এক রাত" সিনেমায়।
"আপনি না বাংলার জামাই, একটাও সিনেমা করবেন না। এটা আবার হয় নাকি?"
একইসঙ্গে হিন্দি এবং বাংলা উভয় ভাষায় চিত্রায়িত হয়েছিলো ছবিটি। দুটি সংস্করণেই বচ্চন এ.সি.পি. অভিজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। অমিতাভ বচ্চন বাংলা সংস্করণের নাম হয়েছিল "অনুসন্ধান", যা একটা সময় বক্স-অফিস সেনসেশন হয়ে উঠেছিলো। এই শক্তি সামন্ত মনে প্রাণে চেয়েছিলেন "মেঘে ঢাকা তারা"র হিন্দি রিমেক হোক। প্রযোজক, পরিচালক, শক্তি সামন্ত ছবির বিষয়ে উৎসাহিত। প্রায় একই রকম উৎসাহী ঋত্বিক ঘটকও। চুড়ান্ত বিপত্তি ঘটে যায় চুক্তি পত্রের একটি শর্ত নিয়ে৷ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন ঋত্বিক ঘটক, বললেন—"আরে ঋত্বিক ঘটক কখন মদ খাবে, সেটা ঠিক করবে কিছু চাকরবাকর টাইপের লোক"।

চলচ্চিত্রের অত্যন্ত সফল প্রযোজক, পরিচালক, শক্তি সামন্ত মনে প্রাণে চেয়েছিলেন ঋত্বিকের "মেঘে ঢাকা তারা" হিন্দিতে রিমেক হোক৷ দুর্ভাগ্য বোধহয় যেমন শক্তি সামন্তের, তেমনি চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষদের তুচ্ছ কারণে ছবিটি হিন্দিতে আর রিমেক করা সম্ভব হলোনা৷ কিন্তু ঋত্বিক যে ঋত্বিকই, তাঁর ছিল অদম্য জেদ, জাগতিক কোনও প্রলোভনে তাঁকে টলানো যায়নি। ঘটনার অনেকগুলো বছর পরে শক্তি সামন্তের সাথে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা, সাহিত্যিক তুষার তালুকদারের পরিচয় হয়, কিশোরকুমারের এক গানের অনুষ্ঠানে৷ লেখক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ঋত্বিক ঘটকের মুখে তিনি শুনেছেন "মেঘে ঢাকা তারা" হিন্দিতে রিমেক না হওয়ার সমস্ত বৃত্তান্ত৷ শক্তিবাবু সখেদে বলেছিলেন "আপনি ঠিকই শুনেছেন, ব্যাপারটা ওরকম ঘটেছিলো৷ শুধু আমার দোষটা কোথায় এখনও বুঝতে পারিনি৷ আমরা ছবি করছি আর ঋত্বিকদার মত লোক ফ্যা-ফ্যা করে ঘুরছেন, এটা আমাদের কি ভাল লাগতো? তুচ্ছ অজুহাতে ছবিটা করলেন না৷ সবই বরাত"। "ঋত্বিকদা সলিলদা" বইয়ের লেখকের অবশ্য মনে হয়েছিলো ঋত্বিক ঘটক যদি অদম্য জেদ আর অহেতুক পাগলামি থেকে একটু সরে আসতেন, তাহলে হয়তো তাঁর জীবনেও অনেক অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হত না। কিন্তু তিনি যে ঋত্বিক ঘটক, নিজের সৃষ্টির মহিমায় চিরদিন উদ্ভাসিত হয়ে থাকবেন৷ তাঁর সম্পর্কে অনেকের অভিমত চিরকাল বিরাজ করেছেন জাগতিক সব প্রলোভনের ঊর্ধ্বে৷ সেই জন্য ঋত্বিক একজনই হয়। তাঁর সৃষ্টির জন্যই চিরকাল তিনি মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।

শক্তি সামন্ত, ঋত্বিক ঘটককে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি যেমন ভাবে চাইবেন সেভাবেই ছবি হবে৷ অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন থেকে সব কিছু হবে তাঁর অভিমত অনুসারে৷ সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে গেল চুক্তিপত্রের একটি শর্ত নিয়ে৷
যেদিন প্রস্তাব চুড়ান্ত হবে, সেদিন চিত্র পরিচালক চুক্তিপত্র মন দিয়ে পড়ছিলেন৷ সেখানে এক জায়গায় লেখা ছিলো, যতক্ষন সিনেমার শুটিং হবে তিনি মদ্যপান করতে পারবেন না৷ অবশ্য শুটিং সমাপ্ত হলে তাঁর পছন্দমত ব্যবস্থা - যে হোটেলে তাঁকে রাখা হবে সেখানেই করা হবে৷ বলা বাহুল্য চুক্তিপত্রের এই শর্ত বোধ হয় ঋত্বিকের আত্মসম্মানে যথেষ্ট আঘাত হেনেছিল৷ তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন৷ বলে দিলেন —"আরে ঋত্বিক ঘটক কখন মদ খাবে সেটা ঠিক করবে কিছু চাকরবাকর টাইপের লোক"? বলা বাহুল্য হিন্দিতে "মেঘে ঢাকা তারা" র রিমেকের চেষ্টা সেখানেই শেষ হয়ে যায়৷ শক্তি সামন্ত অবশ্য বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তবে লাভের লাভ কিছুই হয় নি, কারণ ততক্ষনে চুক্তিপত্র ছিঁড়ে ফেলে রাস্তায় নেমে এসেছেন প্রবাদপ্রতিম চিত্র পরিচালক৷

চলচ্চিত্র নির্মাতা শক্তি সামন্ত হিন্দিতে "অমর প্রেম", "হাওড়া ব্রিজ", "কাশ্মীর কি কলি" এবং "কাটি পতং" এর মতো আইকনিক বেশকিছু চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ছবিগুলো জনপ্রিয়ও হয়েছিল ভীষণভাবে। এই ছবিগুলি ছিলো সবই ছয় এবং সাতের দশকের। বলিউডের সোনালী যুগ হিসাবে সেই সময়টাকে উল্লেখও করা হয়। সে সময়ের সিনেমায় মূল চরিত্রে তারকাদের কাস্টিং করার ক্ষেত্রে শক্তি সামন্তের ধারণাও ছিল বেশ স্পষ্ট। তিনি যদি "মেঘে ঢাকা তারা"র হিন্দি রিমেক করতে পারতেন বিষয়টি বোধহয় খারাপ হতো না।

এই চমৎকার তথ্যটি জানতে পেরেই সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ জন্মায়। এমনিতে হিন্দি সিনেমা দেখার ইচ্ছে ধীরে ধীরে কমছে। মানুষ বলিউড ...
31/12/2024

এই চমৎকার তথ্যটি জানতে পেরেই সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ জন্মায়। এমনিতে হিন্দি সিনেমা দেখার ইচ্ছে ধীরে ধীরে কমছে। মানুষ বলিউড এর ফর্মূলা ছবি দেখে সময় নষ্ট করতে চায় না আর। কিন্তু এই সিনেমাটি বলিউডের অভিনেত্রী (সাহানা গোস্বামী) নিয়ে তৈরি হলেও, বলিউডের সমস্ত ফর্মূলা ভেঙে চুরে এক অপূর্ব সিনেম্যাটিক এক্সপিরিয়েন্স দর্শকদের সামনে হাজির করেছে নি:সন্দেহে।

সিনেমাটি দেখতে দেখতে অবশ্যই কয়েক বছর আগে রিলিজ হওয়া, আয়ুষ্মান খুড়ানা অভিনীত Article -15 এর কথা মনে পড়বে নিশ্চিত। সিনেমার মূল প্লটে এখানেও এক দলিত কিশোরীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল প্রোটাগনিস্ট, সাহানা গোস্বামী এখানে নতুন চাকরিতে প্রবেশ করা সামান্য এক কনস্টেবল। তাই ইচ্ছে থাকলেও এই খুনের তদন্তে সে একজন প্যাসিভ দর্শক। তদন্ত করতে আসা এক মহিলা অফিসার (অনবদ্য সুনীতা রাজওয়ার) এর অধস্তন কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু তার এই কাজ করতে গিয়ে নিজের আদর্শ ও মানবিক অনুভূতি গুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়। সিস্টেম এর জাঁতাকলে আবদ্ধ হয়ে সে এক সময় হাঁফিয়ে ওঠে। একজন সংবেদনশীল মহিলা পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কাজ করা - দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে ভীষণ একা।

"সন্তোষ" - নামটি পুরুষের। এই নাম নিয়েও তাঁকে বিদ্রূপ শুনতে হয়। ক্ষমতায় উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের সামনে নতমস্তকে থাকে সে। ভারতের মেট্রো শহরের বাইরে কোনায় কোনায় কাস্ট ও রিলিজিয়ন নিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলে বলে সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখি। সেরকমই কিছু ভয়াবহ ঘটনা প্রবাহ সিনেমার ক্লাইম্যাক্স এর সামনে আসে। কিন্তু তবুও সিনেমাটিতে রাতারাতি কোন সমাধান দেখান না পরিচালক। কোনো নায়কের আবির্ভাব ঘটেনা - অপরাধীদের যিনি শাস্তি দেবেন। মেলোড্রামাটিক কোনো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন না তদন্তকারী অফিসাররা। পরিচালক সন্ধ্যা সুরি শুধুমাত্র আমাদের পচে গলে যাওয়া সিস্টেমকে - "সন্তোষ" এর চোখ ও অসহায় অভিব্যক্তি দিয়ে নগ্ন করে তোলেন। সাহানা গোস্বামীর আন্তর্জাতিক মানের অভিনয় বিশেষ করে, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও চোখ, এই সিনেমাটির মূল সম্পদ। সিনেমাটিতে ব্যাকগ্ৰাউন্ড স্কোর প্রায় নেই বললেই চলে। ন্যাচারাল সাউন্ড ব্যবহার করা হয়েছে। মনে হয় - ভীষণ চেনা জানা মানুষ গুলোকে দেখছি, যারা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে এই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ এর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে।

সিনেমাটি, আদতে একটি পুলিশ তদন্তের ড্রামা। সিনেমার শেষে অপরাধের কিনারা হোক বা না হোক দর্শকদের মুগ্ধ করে পরিচালকের গল্প বলার ভঙ্গী। সিনেমার ভাষা এবং সর্বোপরি ট্রিটমেন্ট, প্রতিটি ফ্রেমে দর্শকদের বুঝিয়ে দেয়, আধুনিক সিনেমা কাকে বলে।

সত্যজিৎ রায় নিজের শোওয়ার ঘরের সামনের বারান্দায় বসিয়ে তাঁর ছবি তুললেন। পরে সেই ছবি 'Cine Advance' পত্রিকায় বড় করে ব...
22/12/2024

সত্যজিৎ রায় নিজের শোওয়ার ঘরের সামনের বারান্দায় বসিয়ে তাঁর ছবি তুললেন। পরে সেই ছবি 'Cine Advance' পত্রিকায় বড় করে বের হল।
অপুর সংসারে "অপর্ণা" কে হবেন? কেউ বোধ হয় রিঙ্কুর কথা বলেছিলেন। মানিকবাবুদের সাথে তাঁর বাবা-মায়ের আগেই পরিচয় আছে। টিঙ্কু "কাবুলিওয়ালা" ছবিতে অভিনয় করেছেন। নিশ্চয়ই এই মেয়ের ক্ষেত্রে ইরা-গীতিন্দ্রনাথ আপত্তি করবেন না। "কাবুলিওয়ালা"র টিঙ্কুর বড় বোন রিঙ্কুকে নিয়ে মানিকবাবুর বাড়িতে এসেছেন গীতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সহধর্মিণী। ওদিকে বিজয়া রায় গ্ৰামের মেয়ে "অপর্ণা" চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া কন্যাটিকে দেখে একটু হলেও হতাশ। কিশোরী ফ্রক পরা ফুটফুটে মেয়ে, ঘাড় পর্যন্ত ঘন কোঁকড়ানো চুলের রাশি, সবথেকে বড় চেহারার মধ্যে শহুরে ছাপ। এহেন কন্যা কিভাবে "অপর্ণা" হবে?

মানিক বাবু বিজয়া রায় কে বললেন - "ওকে বেডরুমে নিয়ে যাও। খুব টেনে চুলটা বেঁধে ঘাড়ের উপর একটা খোঁপা করে দেবে। বাংলা ফ্যাশনে শাড়ি পরিয়ে কপালে একটা সিঁদুরের টিপ দিয়ে ঘোমটা টেনে ওকে সাজিয়ে নিয়ে এসো"। পুরোটাই সত্যজিৎ রায়ের নির্দেশ মত হল, শুধু বাড়তি হিসেবে বিজয়া রায় তাঁর আইব্রাউ পেনসিল দিয়ে চোখের তলায় একটু কাজলের মত লাগিয়ে দিলেন। পোশাক পরিবর্তনের পর শহরের রিঙ্কু গাঁয়ের অপরূপা অপর্ণা। অপূর্ব দুটো চোখ, ঠোঁটের কোণে একটু মিষ্টি হাসি, সঙ্গে হাসলে দুগালে টোল পড়ে।
বিজয়া রায় নিজেও অভিভূত কিন্তু মৌন। জায়ার দিকে তাকিয়ে মানিকবাবু মৌন থেকে যেন জোরেই বললেন - "কেমন বলেছিলাম না, মিলে গেল"।
সেদিন সব চুড়ান্ত হল, সত্যজিৎ, রিঙ্কুর মতামত নিলেন, শুধু একবার বললেন কী তোমার নিজের কোন ও আপত্তি নেই তো? আমরা কোনওরকম জোর করব না।
"অপুর সংসার", "দেবী", "আরাধনা", "অমর প্রেম", "নায়ক", সহ অনেক সফল ছবিতে তাঁর অবিস্মরণীয় উপস্থিতি। চোদ্দ বছর বয়স থেকেই শর্মিলা ছায়াছবির নায়িকা। যদিও পিতৃদেব গীতীন্দ্রনাথ চাননি মেয়ে পাকাপাকি ভাবে অভিনয় জগত বেছে নিন, শর্মিলাও চেয়েছিলেন লেখাপড়া করবেন। সেই লক্ষ্যে ভর্তি হয়েছিলেন লোরেটো কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে। নৃত্যশিল্পী অথবা চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। গগনেন্দ্রনাথের প্রপৌত্রী ছবি আঁকার স্বপ্ন স্বাভাবিক, নাচ শিখেছেন একেবারেই ছোট থেকে।

শর্মিলার ছোট বোন ঐন্দ্রিলা (টিঙ্কু) পাঁচ বছর বয়সে তপন সিংহের "কাবুলিওয়ালা" ছায়াছবিতে অভিনয় করে সবার হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন। কয়েকবছর পরে যখন সত্যজিৎ রায় "অপুর সংসার" এর জন্য নতুন মুখ খুঁজছেন বাড়ির সবাই শর্মিলা কে খ্যাপায় সে কি আবেদন করবে। অবশ্য এর আগে সত্যজিৎ রায় নিজেই ফোন করেছিলেন শর্মিলার বাবার কাছে। আক্ষরিক অর্থেই অভিনেত্রী হওয়ার সব গুণ শর্মিলার মধ্যে ছিল। কথা বলা দুটো অসাধারণ চোখ, সরল নিস্পাপ চাওনি, গালের দুটো টোল, মনের ভাব ফুটিয়ে তোলার দূর্লভ ক্ষমতা সবই শর্মিলাকে নায়িকা হিসেবে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। "অপুর সংসার" কিংবা "দেবী"র সাথে "কাশ্মীর কি কলি" অথবা "অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস" দুই ধরনের ছবিতেই শর্মিলা নিজেকে অপরিহার্য হিসেবে প্রমাণ করেছেন। অনেকেই বলেন শর্মিলাদের তিন বোন মায়ের ধারা বহন করেছেন। তাদের 'মা' ইরা কলেজে খুব সুন্দর অভিনয় করতেন। ইরা ১৯৪৩ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ করেন। গীতীন্দ্রনাথের সাথে প্রেম, পরিণয় এমন একটা সময়ে। রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্নেহ করতেন ইরাকে। তবে ইরার প্রতিভা সেভাবে ফুটে ওঠার সুযোগ না পেলেও তিন মেয়ে পেয়েছেন সেই ধারা। শৈশবেই টিঙ্কু ঠাকুর তপন সিংহের আবিষ্কার, কৈশোর পেরোবার আগে শর্মিলা সত্যজিৎ রায়ের আবিষ্কার। ইরার ছোট মেয়ে রোমিলা হতে পারতেন অপর্ণা সেনের আবিষ্কার, কেনো না তাঁর ইচ্ছা ছিল "৩৬, চৌরঙ্গী লেন" এ জেনিফারের ছাত্রীর ভূমিকায় রোমিলা কে নেবেন, কিন্তু মডেলিং জগতে পা রাখলেও অভিনয় রোমিলাকে টানেনি।

আর রোমিলার দিদি শর্মিলা বিয়ে করেছেন পতৌদির নবাবকে, গৃহজীবন ও কর্মজীবনে চমৎকার ভারসাম্য রক্ষা করেছেন, যেমন তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি "ছায়াসূর্য", "অরণ্যের দিনরাত্রি", "নির্জন সৈকতে", মত ছবিতে।
ঐন্দ্রিলা বা টিঙ্কু ঠাকুর আর অভিনয়ে ফেরেন নি। কিন্তু তাঁর দিদি রিঙ্কু আজও অভিনয়ের ব্যপ্তিতে অনন্য। "আরাধনা 'র 'মা' "নায়ক" এর সাংবাদিক, মৌসমের নায়িকার সঙ্গে অমর প্রেমে'র নায়িকা। সব চরিত্রগুলো শর্মিলা ঠাকুর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় বিশ্বসযোগ্য করতে পেরেছেন। ঐন্দ্রিলা অসাধারণ অভিনয় করে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন, পরে খেলার জগতে তাঁকে মাঝে মাঝে পাওয়া গিয়েছে, ব্রিজ খেলায় অসমান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন। তাস খেলার উপর লিখেছেন, অকালে না চলে গেলে হয়তো আরও লিখতেন। অবশ্য তাঁর দিদি শর্মিলা আজও অভিনয়ের ব্যপ্তিতে অনন্য। যিনি '"আরাধনা" 'র 'মা' 'নায়কের' সাংবাদিক, মৌসমের নায়িকার সঙ্গে অমর প্রেমে'র নায়িকা। সব চরিত্রগুলো অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর বিশ্বাসযোগ্য করতে পেরেছেন।১৯৬৭ সালে শক্তি সামন্তের "অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস" সিনেমায় শর্মিলার সাহসী ছবি রীতিমত আলোড়ন ফেলে দেয় সারা দেশে। র়ক্ষণশীল মানসিকতার অনেকেই সাহসী সে ছবি দেখে সমালোচনা করেছেন, কিন্তু লাস্য ভঙ্গিমায় শর্মিলার অভিনয় বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়। সেই বছরেই ‘ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনে’র প্রচ্ছদেও এই বেশে তাঁকে দেখা যায়।

Rare and treasured moment from the golden era of Indian cinema, featuring two legends—Satyajit Ray, the master filmmaker...
20/12/2024

Rare and treasured moment from the golden era of Indian cinema, featuring two legends—Satyajit Ray, the master filmmaker, and Suchitra Sen, the iconic actress—both holding bouquets, symbolizing mutual respect and admiration. The photograph beautifully captures their timeless grace and the unparalleled brilliance they brought to Indian cinema, making it a truly iconic flashback.

অস্কারের জন্য ভারত থেকে একটিই ছবি গেছে, "লাপাতা লেডিস"। তাহলে আর একটা হিন্দি ছবি অস্কারে পৌঁছলো কী করে?আক্ষরিক অর্থে এটা...
01/10/2024

অস্কারের জন্য ভারত থেকে একটিই ছবি গেছে, "লাপাতা লেডিস"। তাহলে আর একটা হিন্দি ছবি অস্কারে পৌঁছলো কী করে?
আক্ষরিক অর্থে এটা তাজ্জব করে দেওয়ার মতো ঘটনা। আমেরিকার বাইরের কোনও দেশ সরকারিভাবে মাত্র একটি ছবিকেই মনোনীত করে পাঠাতে পারে অস্কারের জন্য। সেই অনুযায়ী অনেক ঝাড়াই বাছাইয়ের পর, ভারত থেকে সরকারি ভাবে অস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে কিরণ রাও পরিচালিত ,"লাপাতা লেডিস"। এসব তো সবাই জানে। এটাও সবাই জানে যে, হিন্দি ছবি তৈরি হয় একমাত্র ভারতবর্ষে। চমকটা এরপরই। অস্কার কমিটি তাদের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া ছবির তালিকা প্রকাশের পরই সকলের চোখ কপালে। কি হলো? তালিকায় দুটো হিন্দি ছবি। একটি লাপাতা লেডিস আর অন্য ছবিটির নাম "সন্তোষ" এবং হিন্দি ভাষায় নির্মিত। খোঁজ খোঁজ খোঁজ। তারপর জানা গেল এই ছবি এসেছে ব্রিটেন থেকে। ব্রিটিশ একাডেমির পক্ষ থেকে ছবিটি এসেছে অস্কারের দৌড়ে। ছবির পরিচালক ব্রিটিশ নাগরিক সন্ধ্যা সুরি। ইংল্যান্ডে জন্ম বড় হওয়া সন্ধ্যা তৈরি করেছেন ক্রাইম থ্রিলার "সন্তোষ", যার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাহানা গোস্বামী। এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর কিনারা করতে গিয়ে, পরতে পরতে উঠে এসেছে লোমহর্ষক এক কাহিনী। এই ঘটনায় একইসঙ্গে বিস্ময় ও কৌতুহল ছড়িয়ে পড়েছে ফিল্ম জগতের বাইরেও।

01/10/2024

যেমন গল্প, তেমন চিত্রনাট্য, অসাধারন পরিচালনা।। UltiMad Media প্রোডাকশন এর দারুন একটি প্রযোজনা। পরিচালনাঃ অভীক রায় ও সুজয়নীল।।

30/09/2024

আজকের আড্ডায় লগ্নজিতা চক্রবর্তী

29/09/2024

আজকের সান্ধ্য আড্ডায় ইমন চক্রবর্তী।। সঙ্গে অরুনাভ খাসনবীস।।

28/09/2024

আজকের আড্ডায় উশষী রায়।। সঙ্গে অরুনাভ খাসনবীস।।

26/09/2024

আজকের আড্ডায় স্বস্তিকা দত্ত।। সঙ্গে অরুনাভ খাসনবীস।।

25/09/2024

আড্ডায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।। সঙ্গে অরুনাভ খাসনবীস।

Here’s to powerful stories and unstoppable women.The film "Stree 2" shatters records, becoming the first Hindi film to s...
24/09/2024

Here’s to powerful stories and unstoppable women.
The film "Stree 2" shatters records, becoming the first Hindi film to soar past 600 crores, while "Laapataa Ladies" proudly represents India, as our official entry for the Academy Awards.

22/09/2024

Nawazuddin Siddiqui had a few minor roles, including in the film Black Friday, which came out in 2007 and was a nominee for the Golden Leopard. In 2009, he appeared in a cameo role in the song "Emotional Atyachar" in the movie Dev D, playing the role of Rangila.

21/09/2024

Sushmita Sen has epitomised the term 'Woman of Substance'. The former Miss Universe and actress is known for speaking her mind and leading by example.

21/09/2024

Amir Khan Shared Few Hidden Truths About His Life

21/09/2024

Anushka Sharma's Old Audition

20/09/2024

After a few unnoticed roles, Manoj Bajpayee played the gangster. He portrayed as a Naxalite in Chakravyuh.

Address

Unakoti Kalakshetra Auditorium
Kailashahar
799277

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unakoti Film Festival posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Unakoti Film Festival:

Videos

Share