প্রয়াস সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য

  • Home
  • India
  • Jhargram
  • প্রয়াস সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য

প্রয়াস সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য PRAYASH : A Journey Of Self Discovery

Please Follow this Page and Stay tuned.

19/11/2024

Justice
Sukumar Sinha

A scream in the night, unheard by all,
Echoes in the silence, through an endless hall.
A life torn apart, a soul left to bleed,
Justice cries out, but who will take heed?

Innocence shattered, trust turned to dust,
A world filled with shadows, where power is lust.
She walks with the weight of a thousand lies,
Her truth buried deep, beneath tearful skies.

But justice must rise, with a voice like thunder,
To break the chains that hold her under.
No more silence, no more shame,
She is not the one who should bear the blame.

Justice for r**e, let it be heard,
In every heart, let it be stirred.
The pain she endures, the scars she bears,
Are cries for a world that truly cares.

For every tear, let justice rain,
To wash away the endless pain.
Her body is hers, not a battlefield,
Let the truth be known, let wounds be healed.

Justice is not just a word to say,
It’s the light that turns night into day.
For every victim, every broken heart,
Let justice play its rightful part.

We stand with her, in strength and grace,
To bring her tormentors face to face.
With the truth they buried, the lies they spun,
Justice for r**e—let the fight be won.

25/03/2024

কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি কবিতা । কবিতাটি কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত সময়ে লেখা। কবিতাটি ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কবিতা প্ল্যাটফর্মে দেওয়া হয়েছিল। কবিতাটি লেখার সময়কাল : ২২/১২/২০১৭
Srijato Official Srijato Bandyopadhyay

শ্রীজাত তুমি
*********************
সুকুমার সিনহা

আকাশের নীলিমা থেকে খুঁজে নিয়েছো সুখ,
দেখিয়েছো বিশ্ববাসীকে সেই নির্মল মুখ ।

ঝরণা কলমের রক্তক্ষরনে করেছো মুখোশ উন্মোচন,
বিবেক-চেতনা নিদ্রিত রেখে বাক্য জালের অবচেতন ।

নিশুতি রাতে শুনেছো তুমি ধর্ষিতা নারীর আর্তনাদ,
ধর্মীয় বিভেদে উন্মোচিত সাম্প্রদায়িক সব বিবাদ ।

বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বেঁধে কিসের এতো ঘৃণ্য নীতি,
জনগণের মধ্যে বিভেদ গড়ে কষছো হিসেব লাভক্ষতি।

দেখিয়েছে তোমার ঝরণা কলম ভাষা নয় অন্তরায়,
অন্যায়ের প্রতিবাদে নেই ভয়ভীতি - করবো আবার- পুনরায় ।

প্রতিবাদের ভাষা আজ হারিয়ে গেছে রসাতলে,
ধর্ষিতা নারী গোপিনী আজ - কলির কেষ্টো যতো কদমতলে ।

কোন্ সে অসীম ধর্মবলে চড়াও ভাষাকে ধর্মশূলে,
একা নও শ্রীজাত তুমি - ঝড় উঠবেই কাব্যকূলে ।

বিভেদের বেড়াজালই অন্তরায় প্রগতির মূলে,
প্রতিবাদ করবো সবাই আপন আপন মন খুলে ।

প্রতিবাদের ভাষার পাল সবাই মিলে দেবো তুলে,
সত্যের জয়গান করবো সবাই মিথ্যার গ্লানি ভুলে ।

08/01/2024

Very nice song 👍👍👍

ভারতীয় সংস্কৃতি বারবার বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে।তার ব্যতিক্রম থাকলো না দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ডিন এলগারের ...
05/01/2024

ভারতীয় সংস্কৃতি বারবার বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে।তার ব্যতিক্রম থাকলো না দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ডিন এলগারের আউট হওয়ার পরও।

ডিন এলগারের ক্যাচ নেওয়ার পর খেলোয়াড়দের আনন্দ উদযাপন করতে মানা করেছিলেন বিরাট কোহলি। বিরাট জানতেন এটাই এলগারের শেষ টেস্ট ম্যাচ। কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনেই দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামতে হয়েছে ডিন এলগারকে। 11তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি মুকেশ কুমার করেন, রাউন্ড দ্য উইকেটের বাইরে গুড লেন্থ। এলগার এই বল ছেড়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি ড্রাইভ করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ নেন বিরাট কোহলি। তার শেষ টেস্ট ইনিংসে, ডিন এলগার 28 বলে 2 চারের সাহায্যে 12 রান করতে পারেন। ক্যাচ নেওয়ার পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের উদযাপন না করার নির্দেশ দেন বিরাট। এরপর এলগারকে সম্মান জানিয়ে দুই হাত উপরে উঁচিয়ে রাখা হয়। এর পরে, বিরাট ডিন এলগারকে জড়িয়ে ধরে তার অবসরের জন্য শুভকামনা জানান।
বিরাট কোহলির এই সুন্দর gesture সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানান আর ডিন এলগারকে শুভকামনা জানান।



ছবি: সংগৃহীত

25/12/2023
🔵 কিছু ছোটো ছোটো মুহূর্ত জীবনে অনেক কিছুই শিক্ষা দেয় : অমিতাভ বচ্চন তাঁর জীবনীতে লিখেছেন....."আমি তখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গ...
12/12/2023

🔵 কিছু ছোটো ছোটো মুহূর্ত জীবনে অনেক কিছুই শিক্ষা দেয় :

অমিতাভ বচ্চন তাঁর জীবনীতে লিখেছেন.....
"আমি তখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। একদিন প্লেনে করে যাচ্ছিলাম । খুব সাধারণ শার্ট আর প্যান্ট পরিহিত একজন ভদ্রলোক আমার পাশে বসেই যাচ্ছিলেন৷ দেখে উনাকে একজন শিক্ষিত এবং মার্জিত মধ্যবিত্ত মানুষ মনে হয়েছিল । অন্য সহযাত্রীরা আমায় চিনতে পেরে খুব উৎসাহিত হয়ে অটোগ্রাফ নিচ্ছে। কিন্তু পাশে বসা ভদ্রলোককে লক্ষ্য করলাম উনার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ।

উনি একমনে একটা খবরের কাগজ পড়ছিলেন আর মাঝে মাঝে জানালার বাইরে তাকিয়ে কি যেন ভাবছিলেন । চা পরিবেশন করা হলো, ঠোঁটের আগেই থ্যাঙ্কস লেগেই আছে। আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

আমার উনার প্রতি কৌতূহল বেড়েই চলছিল । তাই উনার সাথে কথা বলার জন্য উনার দিকে তাকিয়ে হাসলাম । উনিও একটা সৌজন্যমূলক হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বললেন,'হ্যালো', কিছু সৌজন্যমূলক কথোপকথন শুরু হলো ।"

"আমি নিজে থেকে সিনেমা প্রসঙ্গ উত্থাপন করলাম ।
জিজ্ঞাসা করলাম :' আপনি সিনেমা দেখেন ?'
উনি বললেন, 'কখনো-সখনো ।
শেষ যে সিনেমাটা দেখেছি...
হ্যাঁ...তাও প্রায় এক বছরের বেশি হয়ে গেছে ।'
বললাম: ' আমি ওই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই আছি ।'
উনি উৎসাহিত হয়ে বললেন ' দারুণ ব্যাপার!
তা আপনি কী করেন ?'
বললাম, ' আমি একজন অভিনেতা ।'
প্রত্যুত্তরে বললেন 'দারুণ! '
ব্যস! ওই পর্যন্তই...

প্লেন, ল্যান্ড করার পরে আমি ভদ্রলোকের দিকে করমর্দনের জন্য হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম:
'আমার নাম অমিতাভ বচ্চন'

উনি মাথা নত করে আমার হাতটা ঝাঁকিয়ে দিয়ে বললেন:'আপনার সাথে পরিচিত হয়ে দারুণ লাগল !
আমার নাম জে.আর.ডি. টাটা(Jehangir Ratanji Dadabhoy Tata, chairman of TATA Group)'

চমকে উঠলাম আমি !

ওই দিনের ঘটনা থেকে একটা বিষয় শিখলাম:
"যত বড়োই হই না কেন, আমার থেকেও বড়ো কেউ না কেউ আছে, কিন্ত তাঁর দৃষ্টিটা সর্বদাই মাটির দিকে !"

শিক্ষনীয়: গাছ যতই বড়ো হয়,
ততই মাটির দিকে ঝুঁকে যায়
(সংগৃহীত)

⭐ ভারতীয় উপমহাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ🔵 ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্...
12/12/2023

⭐ ভারতীয় উপমহাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

🔵 ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন -মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাসকেই বোঝানো হয়। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ(?) বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ-নির্ভর বৈদিক যুগের। এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত ১৬টি প্রধান প্রধান রাজ্য-তথা-জনবসতির উত্থান ঘটে। এই জনপদগুলির অধিকাংশই রাজতান্ত্রিক হলেও এদের মধ্যে "লিচ্ছিবি" ছিল গণতান্ত্রিক। এই জনপদের মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন।

⭐ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসঃ

⭐ দক্ষিণ এশিয়া
• প্রস্তর যুগ ৭০,০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব
• মেহেরগড় ৭০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব
• হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব
• হরপ্পা সংস্কৃতি ১৭০০-১৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব বৈদিক যুগ ১৫০০-৫০০ খ্রীষ্টপূর্ব লৌহ যুগ ১২০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব
• ষোড়শ মহাজনপদ ৭০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব
• মগধ সাম্রাজ্য ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব
• মৌর্য সাম্রাজ্য ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব
• মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ ২৫০ খ্রীষ্টপূর্ব
• চোল সাম্রাজ্য ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব
• সাতবাহন সাম্রাজ্য ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব
• কুষাণ সাম্রাজ্য৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ
• বাকাটক সাম্রাজ্য ২৫০-৫০০ খ্রীষ্টাব্দ
• গুপ্ত সাম্রাজ্য ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ
• পাল সাম্রাজ্য ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ
• রাষ্ট্রকুট ৭৫৩-৯৮২
• ইসলামের ভারত বিজয় ৭১২
• সুলতানী আমল ১২০৬-১৫৯৬
• দিল্লি সালতানাত ১২০৬-১৫২৬
• দক্ষিণাত্য সালতানাত ১৪৯০-১৫৯৬
• হৈসল সাম্রাজ্য ১০৪০-১৩৪৬
• কাকতীয় সাম্রাজ্য ১০৮৩-১৩২৩
• আহমন সাম্রাজ্য ১২২৮-১৮২৬ বিজয়নগর সাম্রাজ্য ১৩৩৬-১৬৪৬ মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬-১৮৫৮ মারাঠা সাম্রাজ্য ১৬৭৪-১৮১৮ শিখ রাষ্ট্র ১৭১৬-১৮৪৯ শিখ সাম্রাজ্য ১৭৯৯-১৮৪৯ ব্রিটিশ ভারত ১৮৫৮–১৯৪৭ ভারত ভাগ ১৯৪৭ স্বাধীন ভারত ১৯৪৭–বর্তমান জাতীয় ইতিহাসঃ বাংলাদেশ • ভুটান • ভারত মালদ্বীপ • নেপাল • পাকিস্তান • শ্রীলঙ্কা আঞ্চলিক ইতিহাস আসাম • বেলুচিস্তান • বঙ্গ হিমাচল প্রদেশ • উড়িষ্যা • পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ পাঞ্জাব • দক্ষিণ ভারত • তিব্বত বিশেষায়িত ইতিহাস টঙ্কন • রাজবংশ • অর্থনীতি ভারততত্ত্ব
• ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস • সাহিত্য • নৌসেনা
• সেনা • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি • সময়রেখা

🔵 এই নিবন্ধটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্ববর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস-সম্পর্কিত। ১৯৪৭-পরবর্তী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস নিবন্ধটি। এছাড়া পাকিস্তান বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস। দক্ষিণ ভারত, অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস।
অব্যবহিত পরবর্তীতেই একাধিক বৈদেশিক শাসনে আওতায় চলে আসে উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চল। এগুলির মধ্যে ৫৪৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ প্রতিষ্ঠিত হখামনি পারসিক সাম্রাজ্য ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ মহামতি আলেকজান্ডারের রাজত্বকাল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পাঞ্জাব ও গান্ধার অঞ্চলে ব্যাকট্রিয়ার প্রথম ডিমেট্রিয়াস কর্তৃক ১৮৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে স্থাপন করেন ইন্দো-গ্রিক রাজ্য। প্রথম মিনান্ডারের আমলে গ্রিকো-বৌদ্ধ যুগে এই রাজ্য বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির চরমে পৌঁছায়।

🔵 খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে উপমহাদেশে রাজনৈতিক ঐক্য সাধিত হয়। পরবর্তী দশ শতাব্দীকালে একাধিক ক্ষুদ্রকায় রাজ্য ভারতের বিভিন্ন অংশ শাসন করে। চতুর্থ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর ভারত পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পরবর্তী প্রায় দুই শতাব্দীকাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের যাবৎ এই ঐক্য বজায় থাকে। এই যুগটি ছিল হিন্দুধর্মসংস্কৃতির পুনর্জাগরণের কাল। ভারতের ইতিহাসে এই যুগ "ভারতের সুবর্ণ যুগ" নামে অভিহিত । এই সময় ও পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করেন চালুক্য, চোল, পল্লব ও পাণ্ড্য রাজন্যবর্গ। তাদের রাজত্বকাল দক্ষিণ ভারতের নিজস্ব এক সুবর্ণ যুগের জন্ম দেয়। এই সময়ই ভারতীয় সভ্যতা, প্রশাসন, সংস্কৃতি তথা হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ৭৭ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ কেরলের সঙ্গে রোমান সাম্রাজ্যের সামুদ্রিক বাণিজ্যের কথাও জানা যায়।

🔵 ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে আরব সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন কাশিম দক্ষিণ পাঞ্জাবের সিন্ধ ও উত্তর পাঞ্জাবের মুলতান অধিকার করে নিলে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসনের সূচনা ঘটে।এই অভিযানের ফলে দশম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে সংগঠিত একাধিক অভিযানের ভিত্তিভূমি সজ্জিত করে। এরই ফলস্রুতিতে ভারতীয় উপমহাদেশে দিল্লি সুলতানি ও মুঘল সাম্রাজ্যের মতো মুসলমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। মুঘল শাসনে উপমহাদেশের প্রায় সমগ্র উত্তরাঞ্চলটি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মুঘল শাসকরা ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের শিল্প ও স্থাপত্যকলার প্রবর্তন ঘটান। মুঘলদের সমকালেই দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব পশ্চিম ভারতে বিজয়নগর সাম্রাজ্য, অহোম রাজ্য এবং বাংলা, মারাঠা সাম্রাজ্য ও একাধিক রাজপুত রাজ্যের মতো বেশ কিছু স্বাধীন রাজ্যের উন্মেষ ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ধীরে ধীরে মুঘলদের পতন শুরু হয়। এর ফলে আফগান, বালুচ ও শিখরা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়।অবশেষে ব্রিটিশরা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার উপরে নিজেদের শাসন কায়েম করে।

🔵 অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ও পরবর্তী শতাব্দীতে ধীরে ধীরে ভারত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে চলে যায়। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে অভিহিত সিপাহী বিদ্রোহেরপ্রেক্ষিতে কোম্পানির শাসনে অসন্তুষ্ট ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতকে ব্রিটিশ রাজের প্রত্যক্ষ শাসনে নিয়ে আসেন। এই সময়টি ছিল ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবনমনের এক অধ্যায়। যদিও পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষার প্রসার এই যুগেই বাংলার মাটিতে নবজাগরণের জন্ম দেয়।

🔵 বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশব্যাপী এক স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেয়। অবশেষে, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ গ্রেট ব্রিটেনের অধীনতাপাশ ছিন্ন করে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়। উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি নিয়ে পাকিস্তান ও অবশিষ্ট অঞ্চল ভারতীয় প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম-প্রতিষ্ঠা করে।

🔵 প্রাগৈতিহাসিক যুগ

⭐ বৈদিক ও বেদোত্তর যুগঃ

🔵 লিচ্ছবি রাজ্যের রাজধানী বৈশালী। লিচ্ছবি ছিল অরোয়াদের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক রাজ্য।
বৈদিক সংস্কৃতে মৌখিকভাবে রচিত হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আর্য সভ্যতাই ছিল বৈদিক যুগের ভিত্তি। বেদ বিশ্বের প্রাচীনতম প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির অন্যতম। এই গ্রন্থ মেসোপটেমিয়া ও প্রাচীন মিশরের ধর্মগ্রন্থগুলির সমসাময়িক। বৈদিক যুগের সময়কাল ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই সময়েই হিন্দুধর্ম ও প্রাচীন ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের মূল ভিত্তিগুলি স্থাপিত হয়। গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সমগ্র উত্তর ভারতে বৈদিক সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেয় আর্যরা। ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্দো-আর্যভাষী উপজাতিগুলির অনুপ্রবেশের ফলে প্রাগৈতিহাসিক পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে এবং বিদ্যমান স্থানীয় সভ্যতার উপরেই স্থাপিত হয় বৈদিক সভ্যতা। স্থানীয় বাসিন্দারা আর্যদের কাছে দস্যু নামে পরিচিত হয়।

🔵 আদি বৈদিক সমাজ ছিল গ্রামকেন্দ্রিক। ফলত এই যুগে পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার নগরায়ণের ধারণাটি পরিত্যক্ত হয়।ঋগ্বেদোত্তর যুগে, আর্য সমাজ অধিকতর কৃষিভিত্তিক হয়ে পড়ে এবং এই সময়েই সমাজে বর্ণাশ্রম প্রথার উদ্ভব ঘটে। মনে করা হয়, হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদ ছাড়াও সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতের আদি সূত্রগুলি এই যুগেই নিহিত ছিল। বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক খননের ফলে প্রাপ্ত মৃৎপাত্রগুলিতে আদি ইন্দো-আর্য সভ্যতার কিছু নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতের কুরু রাজ্যে, কৃষ্ণ ও রক্ত ধাতব ও চিত্রিত ধূসর ধাতব সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উত্তর-পশ্চিম ভারতে লৌহ যুগের সুচনা হয়। এই সময়ে রচিত অথর্ববেদে প্রথম লৌহের উল্লেখ মেলে। উক্ত গ্রন্থে লৌহকে "শ্যাম অয়স" বা কালো ধাতু বলে চিহ্নিত করা হয়। চিত্রিত ধূসর ধাতব সভ্যতা উত্তর ভারতে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।বৈদিক যুগেই ভারতে বৈশালীর মতো একাধিক গণরাজ্য স্থাপিত হয়। এগুলি খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী এমনকি কোনো কোনো অঞ্চলে চতুর্থ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তও স্থায়ী হয়েছিল। এই যুগের পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজ্যস্থাপন ও রাজ্যবিস্তারের সংগ্রাম শুরু হয়। এই রাজ্যগুলিই পরিচিত হয় মহাজনপদ নামে।

⭐ পাদটীকাঃ আমার ইতিহাস সম্পর্কিত লেখাগুলি বিভিন্ন সুত্র থেকে সংগৃহীত। জানার জন্য লিখা। তাই একটি লিখার সাথে আরেকটি লিখার অমিল থাকতে পারে। এই অমিল কারো দায় সৃষ্টি করেনা, তবে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে।

🔵 লেখা ও ছবি : সংগৃহীত

Sukumar Sinha

12/12/2023

শুভ জন্মদিন মৃত্যুঞ্জয়ী #যুবরাজ_সিং 🎂❤️

এই মানুষটার সাথে 'লড়াই' শব্দটার এর এক অভূতপূর্ব জোর, ক্যান্সার ও হার মেনেছিল এই মানুষটার লড়াই এর কাছে, বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ক্যান্সার কারোর জীবন কে থামিয়ে দিতে পারে না।

যুবরাজ মানেই লড়াই,সে বিপক্ষে কোনো নামি দামি বোলার থাকুক বা ক্যান্সার,বিপক্ষ কে ঘায়েল করার জন্য সে প্রস্তুত ۔۔۔۔۔ক্যান্সার কে হারিয়ে তিনি ফিরেছিলেন তার সিংহাসনে।

যুবরাজ মানে,২০০৭ এর সেই বিধ্বংসী ছয় বলে ছয় ছক্কা😍
যুবরাজ মানে, ২০০৭ এর টি20 বিশ্বকাপ ও ২০১১ র বিশ্বকাপ এর অবধারিত উজ্জ্বল মুখ।

প্লেয়ার তো অনেক হয়,কিন্তু সবাই যুবরাজ সিং হয় না সবাই রক্তবমি উপেক্ষা করে দেশ এর জন্য লড়তে পারে না।🇮🇳💙
Happy Birthday 🎈🎈🎂🎂🎈🎈


Indian Cricket Team ICC Cricket World Cup ICC - International Cricket Council Cricket Addictor Sportskeeda Cricket Virat Kohli Rohit Sharma CricTracker Sachin Tendulkar MS Dhoni

বেশ কিছু উদীয়মান নক্ষত্রের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট 🏏🏏🏏🏏🏏ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত! 🇮🇳হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! সম্প...
02/12/2023

বেশ কিছু উদীয়মান নক্ষত্রের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট 🏏🏏🏏🏏🏏

ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত! 🇮🇳

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আয়োজিত হয়েছিল চতুর্দেশীয় অনূর্ধ্ব-19 সিরিজ, যেখানে অংশ নিয়েছিল ভারত 'এ', ভারত 'বি', বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-19 দল। সেই সিরিজের ফাইনালে ভারত 'বি'-কে হারিয়ে জয়ী হয়েছে ভারত 'এ'। অপরদিকে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ।

এই সিরিজের কিছু তরুণ উদীয়মান ভারতীয় ক্রিকেটারের সম্পর্কে বলি, যাদের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার ক্ষমতা আছে।

🔴 মুশির খান - সরফরাজ খানের ভাই হলেন মুশির। এই সিরিজে 7 ম্যাচে করেছেন 322 রান, তুলেছেন 12 টা উইকেট। ফাইনাল ম্যাচে মাত্র 39 বলে সেঞ্চুরি করেছেন!

🔴 আর্শিন কুলকার্নি - জেনুইন পেস-বোলিং অলরাউন্ডার। এই সিরিজে 7 ম্যাচে করেছেন 261 রান, তুলেছেন 6 উইকেট। ফাইনালে ওপেন করতে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন।

🔴 রুদ্র প্যাটেল - ভারতের অনূর্ধ্ব-19 দলের মিস্টার কনসিস্ট্যান্ট। এই সিরিজে 7 ম্যাচে করেছেন 568 রান। 7 ম্যাচের মধ্যে 6 বার 50+ রানের ইনিংস খেলেছেন।

🔴 অনশ্ গোসাই - এই সিরিজে করেছেন 7 ম্যাচে 420 রান, দু'টো সেঞ্চুরি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে 199 রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন, এবং ফাইনালেও সেঞ্চুরি করেছেন।

পরের মাসেই শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-19 এশিয়া কাপ। তার আগে এই তরুণ তুর্কিদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে। ওয়েল প্লেয়েড বয়েজ। শুভকামনা রইল ❤️

বিশ্বকাপে  সবচেয়ে বেশি ৭টি সেঞ্চুরি , বিশ্বকাপেসবচেয়ে বেশি ৫৪টি ছক্বা, এক ক্যালেন্ডার ইয়ারেসবচেয়ে বেশি ৬৭টি ছক্কা ও ...
23/11/2023

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৭টি সেঞ্চুরি , বিশ্বকাপে
সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ছক্বা, এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে
সবচেয়ে বেশি ৬৭টি ছক্কা ও ক্রিকেট ইতিহাসেরই
সবচেয়ে বেশি রেকর্ড ৫৮২ টি ছক্কার মালিক নন
আদার দ্যান দ্যা হিটম্যান রোহিত গুরুনাথ শর্মা।
গত বিশ্বকাপে ১ফিফটি ও রেকর্ড ৫টি সেঞ্চুরিতে
সর্বোচ্চ ৬৪৮রান আর এবার ক্যাপ্টেন হয়েও ৩টি
ফিফটি ও ১সেঞ্চুরিতে ২য় সর্বোচ্চ ৫৯৭রান তার,

এই বিশ্বকাপে তো রীতিমতো টি টোয়েন্টি খেলেছে
হিটম্যান,প্রতি ম্যাচেই নিজের কথা না ভেবে দলের
ভালোর জন্য এগ্ৰেসিভ স্টার্ট এনে দিয়েছিলেন ৩৭
বছর বয়সী হিটম্যান,তার বিশাল বিশাল ছক্বাগুলা
জাস্ট চোখের শান্তি, কিন্তু ফ্যাব ফোরের এই যুগে
কোহলি, স্মিথ, রুট, উইলিয়ামসন কিংবা বাবরকে
নিয়েও যতটা আলোচনা হয় ওয়ানডে ইতিহাসের
৩য় সর্বোচ্চ ৩১টি সেঞ্চুরির মালিক রোহিত শর্মাকে
নিয়ে ততটা আলোচনা করা হয় না তেমন হয়তো!

Rohit Sharma Cricket Addictor ICC Cricket World Cup ICC - International Cricket Council Indian Cricket Team Sportskeeda Cricket Sachin Tendulkar Virat Kohli Cricket CricTracker

ধোনি একটা কথা রিসেন্টলি বলেছিলো , " তুমি যে জিনিসটা পেতে চাও, তার ঢোল ততক্ষন পেটাবে না যতক্ষণ না তুমি সেই জিনিসটা নিজের ...
21/11/2023

ধোনি একটা কথা রিসেন্টলি বলেছিলো , " তুমি যে জিনিসটা পেতে চাও, তার ঢোল ততক্ষন পেটাবে না যতক্ষণ না তুমি সেই জিনিসটা নিজের করে নিতে পারছো।"

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই ভারতের প্রতিটা স্পোর্টস চ্যানেলের টিভি কমার্শিয়াল হয় ভারত- ই বিশ্বকাপ জিতবে, এরকম চিন্তা মাথায় রেখে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর জেতা হয়না, ১২ বছর ধরে ক্রিকেট ফলো করসি কিন্তু ভারতকে শেষ হাসি হাসতে দেখলাম মাত্র দুইবারই আর দুইবারই ভারতের ডিফারেনশিয়াল অ্যাসেট ছিলো স্বয়ং ক্যাপ্টেন ধোনি।

ভাবতেই অবাক লাগে, এই ধোনি ডোমেস্টিক লেভেল থেকে ন্যাশনালে আসতে কতটা সময় নিয়ে ফেলেছিল। এজ লেভেলে যুবরাজের সাথে শুরু করেও জাতীয় দলে জায়গা পেতে ধোনির চার বছর বেশি সময় লেগেছিল। যুবরাজ ততদিনে একটা বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জয়ের হিরো বনে গিয়েছিল।

আর ধোনি? ধোনির ক্যারিয়ারটা সিনেম্যাটিক। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলার আগেও সিলেক্টররা কনফিউজড ছিলো দীনেশ কার্তিক আর ধোনির মধ্যে একজনকে পিক করা নিয়ে, জাতীয় দলে নিজেকে মেলে ধরতে আবার সংগ্রাম করতে হয়েছে আর শেষ পর্যন্ত ২০০৭ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরে ২৬ বছরের ধোনির হাতেই গিয়ে উঠে ন্যাশনাল টিমের ক্যাপ্টেন্সি।

প্রথম টি - ২০ বিশ্বকাপটা সেবছরই অনুষ্ঠিত হয়েছিল , দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রথম বিশ্বকাপেই ধোনির ক্যাপ্টেন হিসেবে বাজিমাত। রোহিত, উথাপ্পা, যুবরাজ, রুদ্র প্রতাপ, শ্রীশান্ত, ইরফান, গৌতমদের মতো ইয়াংস্টারদের নিয়েই বিশ্বকাপ জিতে ভারত। ধোনির ভিশনের সাথে ক্রিকেট বিশ্বের পরিচয় হয়ে যায় ফাইনালের শেষ ওভারে, যখন ৬ বলে ১২ রান দরকার ছিলো পাকিস্তানের আর ধোনি হারভাজানকে রেখে বোলিংয়ে আনে জোগিন্দর শর্মাকে। এই জগিন্দর গ্যাম্বল অন পয়েন্ট ছিলো , প্রথম বলে সিক্স হিট করলেও সেকেন্ড বলে মিসবাহ আউট হয়ে যায় অর ম্যাচ জিতে যায় ভারত!

এরপর ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অংশ নেয় ভারত। সেই বিশ্বকাপের আগে ধোনি দ্রাবিড়, গাঙ্গুলি, লক্ষণদের মত সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাঁটাই করে দলে নিয়ে আসে কোহলি , রায়নার মত ইয়াংস্টারদের। কোয়ার্টারে রায়না, ফাইনালে কোহলি দুজনেই ধোনির আস্থার প্রতিদান দিয়েছিল।

এই বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও ধোনি একটা গ্যম্বল করেছিলো অন ফর্ম, ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হওয়া যুবরাজকে বসিয়ে নিজে থ্রি ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে। এই সিদ্ধান্ত আরো বেশি অবাক করেছিলো কারণ পুরো টুর্নামেন্টে ধোনির কোনো ডাবল ডিজিট ইনিংস ছিলোনা বলতে গেলে, আর সেই ধোনিই ৯১* রানে অপারাজিত থেকে ভারতকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতায়।

২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার ধোনির নেতৃত্বে ভারত ফাইনালে যায়, সেখানে হোস্ট নেশন ইংল্যান্ডের শেষ ওভারে লাগতো ১০ রান। ধোনি অশ্বিনকে অ্যাটাকে আনে আর অশ্বিন শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দেয়..ওই ম্যাচের লাস্ট ওভারের ক্লিপ দেখলে বোঝা যাবে যে , ধোনি অশ্বিনকে বারবার সাজেস্ট করছিল কোন লেন্থে বল ফেলতে হবে সেটা নিয়ে।

ধোনি এমনই, ম্যাচ যখনই ভারতের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে যাচ্ছে অবস্থা ধোনি একটা সারপ্রাইজিং কিছু করে বসতো আর রেজাল্ট বের করে আনতো। এভাবেই মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে আইসিসির তিনটা বিগ ইভেন্ট জিতে নিয়েছিল ভারত।

ভারতের এই বিশ্বকাপের দলের কোয়ালিটি ২০০৭, ২০১১ এর দলের চেয়ে অনেক বেশি কিন্তু একটা ধোনি তো নেই গাইড করার জন্য। এই একটা মানুষই তো জিততে জানতো, জেতাতে জানতো!

এই যে "mawka mawka" , "Jitega bhai jitega" চললো গত দেড়মাস ধরে , শেষ পর্যন্ত এন্ড প্রোডাক্ট তো জিরোই থাকলো।

অবাক লাগে যে রিটায়ার করার পরেও ভারতের একাংশ এই লোকটাকে অ্যাবিউজ করে ভার্বালি। ভারত এই বিশ্বকাপটা হারা ধোনির গুরুত্ব আরেকবার রিয়েলাইজ করাক এদের।

MS Dhoni hai to Mumkin hai....

Indian Cricket Team Cricket ICC Cricket World Cup ICC - International Cricket Council Cricket Addictor Sportskeeda Cricket Virat Kohli Rohit Sharma CricTracker

এক বিশ্বকাপে "৪০-৪৯" এই রানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ বার আউট হওয়া ব্যাটার রোহিত শর্মা! ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতের চলমান বিশ্বকাপে ...
21/11/2023

এক বিশ্বকাপে "৪০-৪৯" এই রানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ বার আউট হওয়া ব্যাটার রোহিত শর্মা! ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতের চলমান বিশ্বকাপে ৪৮,৪৬,৪০,৪৭,৪৭ পাঁচটি ফিফটি মিস ইনিংস! তবে কিছু ইনিংস একটা টিমের জন্য সেঞ্চুরি কিংবা ফিফটির থেকেও মঙ্গলময় হয়।

রোহিত শর্মা পুরো বিশ্বকাপে বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছে, প্রায় সব ম্যাচে শুরুতেই দ্রুত রান করে দল এবং পরবর্তী ব্যাটারদের চাপমুক্ত করে গেছে। রোহিত এমন ইনিংস খেলে যায়, পরের ব্যাটার এসে ৫০ স্ট্রাইক রেটে রান করলেও দলের রান রেট আন্ডার ৬ হয় না। আবার অনেক ব্যাটার এসে চাপমুক্ত থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছে। ওপেনিংয়ে ভালো শুরু না আসলে পরের ব্যাটারদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়। অধিনায়ক পুরো দলকে চাপমুক্ত করে যায়, নেতা যদি এমন হয়, তাহলে সেই দলের পারফরম্যান্স তো সব সময় আকাশচুম্বী হবে। ভারতের সেটাই হয়েছে।

এই বিশ্বকাপে ৪৭৪ বল খেলে রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯৭ রান; স্ট্রাইক রেট ১২৫.৯৪ এরচেয়ে ভালো ইম্প্যাক্টফুল বিশ্বকাপ আর কী বা হতে পারে? বিশ্বকাপ জুড়ে বোলারদের উপর চলেছে রোহিত শর্মার নিষ্ঠুরতা! বিশ্বকাপে রান মেশিন বিরাট কোহলিকে টুর্নামেন্ট সেরা না করলে এমনই এক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেওয়া হবে, যেমনটা রোহিত শর্মা পুরো বিশ্বকাপে বোলারদের উপর করেছে। তবুও যদি আমার কোনভাবে ক্ষমতা থাকতো, তাহলে আমি রোহিত শর্মাকেই এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করতাম। হিটম্যান ইউ বিউটি, সব দলে শুরুতে একজন ছক্কাবাজ রোহিত দরকার...

বছর ছত্রিশের ডান হাতি ওপেনারটা তাড়াহুড়োয় করমর্দন পর্ব শেষ করেই দৌড়ে গিয়েছিলো সিঁড়ির দিকে। বাঁধ মানছে না চোখের জল। কিন্তু...
20/11/2023

বছর ছত্রিশের ডান হাতি ওপেনারটা তাড়াহুড়োয় করমর্দন পর্ব শেষ করেই দৌড়ে গিয়েছিলো সিঁড়ির দিকে। বাঁধ মানছে না চোখের জল। কিন্তু, অধিনায়কদের যে এভাবে ভেঙে পড়তে নেই!..... এক ছুটে ড্রেসিং রুমের দিকে লোকটা উধাও হতে না হতেই এবার ক্যামেরার কবলে পড়লো "সে"!...... কানাঘুষোয় তখন হবু ম্যান অফ দ্য সিরিজ। ক্লান্ত হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সদ্য বিশ্বজয়ী বিপক্ষ দলের অধিনায়কের দিকে। তারপর , একদা আইপিএল সতীর্থ ওয়াটসনের সাথে দুটো কথার বিনিময় করেই ছুটলো সেই সিঁড়িটার দিকে। হাত বাড়িয়ে মাথার টুপি নামিয়ে আড়াল করলো চোখ দুটো। .....যেন নিজের কাছেই নিজের আরেকটু অপেক্ষা করার কাতর অনুরোধ .....অন্তত ওই ড্রেসিং রুমের দরজা অবধি!
দু পা সিঁড়ি ভাঙতেই পিছু নিলেন কোচ। তাঁর ঠিক পরেই আইয়ার, শামী.... মাঝ মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়া সিরাজ আর তাকে সস্নেহে সামলে নিয়ে যাওয়া বুমরা, সূর্যরা।
পেছনে পড়ে রইলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট গ্রাউন্ড....আর তার গ্যালারী জুড়ে জ্বলজ্বলে শোক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নিস্তব্ধ নীল সমুদ্র! পেছনে পড়ে রইলো অন্য কারোর নামে আকাশ ছেয়ে যাওয়া অতশবাজির ধোঁয়া.......গোটা বিশেক হলুদ জার্সির হুঙ্কার....আর কয়েক লক্ষ দীর্ঘশ্বাসের এক থমথমে বিষাদ!
পেছনে পড়ে রইলাম আমরা..... পর্দার এপারে...নাওয়া খাওয়া ভুলে, আসন্ন উৎসবের আমেজে বিভোর হতে না হতেই হঠাৎ সর্বস্ব হারানোর ধাক্কা খাওয়া কয়েক কোটি উন্মাদ!
চারটে বছর আবার প্রলাপ বকবো। তারপর আবার আশায় বুক বাঁধবো। রঙ্গমঞ্চ বদলাবে। দল বদলাবে। মুখ বদলাবে। তবু, আমাদের জায়গা থাকবে। আমরা থাকবো। শুধু, প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে ওই নিজের চিন্তা না করে দলের জন্য উজাড় করে দেওয়া ক্যাপ্টেনটা,,আর, বহু যুদ্ধে পোড় খেয়ে ইস্পাত হয়ে যাওয়া সেই রাজা। যার মাথায় মুকুট উঠলো ....হাতের তলোয়ার চললো.... যার নামে সিংহাসন সাজলো.....শুধু রাজ্য জয় হলো না !

বি:দ্র:: জানি আজ সবার মন ভেঙেছে। তবু, আমরা তাদের মতো ভাঙিনি! তারা কতখানি ভেঙেছে , আমরা কল্পনাও করতে পারি না!....
ছেলেরা আজ অনেক আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিলো। ওদের পাশে থাকুন।

Indian Cricket Team ICC Cricket World Cup ICC - International Cricket Council Cricket Cricket Addictor Sportskeeda Cricket Virat Kohli Rohit Sharma CricTracker Sachin Tendulkar Please Follow This Page

Stay strong Virat Kohli ! Stay strong Rohit Sharma !.... Stay strong men in blues!...🖤

যাই হয়ে যাক!তোমরা সেরা ছিলে , সেরা হয়েই থাকবে প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ের অন্তঃস্থলে ।
19/11/2023

যাই হয়ে যাক!
তোমরা সেরা ছিলে , সেরা হয়েই থাকবে প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ের অন্তঃস্থলে ।

শচীন টেন্ডুলকারের তুলনা কেবল শচীন টেন্ডুলকারের সাথেইতাঁর সাথে দ্বিতীয় কারও তুলনা করাটা একেবারেই অন্যায়। ভীষণ রকমের অন্যা...
19/11/2023

শচীন টেন্ডুলকারের তুলনা কেবল শচীন টেন্ডুলকারের সাথেই

তাঁর সাথে দ্বিতীয় কারও তুলনা করাটা একেবারেই অন্যায়। ভীষণ রকমের অন্যায়। যেই যুগে একটা বিশ্বকাপে ৩৯+ সেঞ্চুরি হয়। ৩০০/৩৫০/৪০০ রান হয় হরহামেশাই সেই যুগের ব্যাটিং নিয়ে ক্রিকেট ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ জানান??

১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হয়েছিলো ২ টা!
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও সেঞ্চুরি হয়েছিলো ১১ টি!
২০২৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হয়েছে ৩৯* টি!

সেখানে এই যুগের হাইওয়ে পিচের সেরাদের কাউকে আপনি ক্রিকেটের ঈশ্বরের সাথে তুলনা করছেন? কেউ কেউ আবার তাকে এগিয়েও রাখছেন!! তাদের শুধু একটা কথাই বলবো শচীন টেন্ডুলকার একজনই। তার সাথে দ্বিতীয় কারও তুলনা হবে না। এমনকি ২০০ সেঞ্চুরি করলেও না। কারণ টেন্ডুলকারের প্রতিটি শটেই ছিলো শিল্পের ছোঁয়া। আগে ক্রিকেটটা ভালো করে বুঝুন। না বুঝলে লিজেন্ডদের কাছ থেকে মতামত নিন। গাঙ্গুলি, পন্টিং, ক্যালিস, ইনজামাম, সাঈদ আনোয়ার, ব্রেটলি, শোয়েব আখাতার, ওয়াসিম আকরাম, শেন বন্ড, মুরালিধরন, জয়াসুরিয়াদের মত ১০০ সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে যদি এই প্রশ্নটা করেন ৯০ জনই বলবেন শচীন টেন্ডুলকার। সেখানে আপনারা কারা? যারা শচীন টেন্ডুলকারের চাইতেও কোহলিকে এগিয়ে রাখার মত ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে তাদের ৯০ ভাগেরই কিন্তু জন্ম ২০০০ সালের পর! কাজেই যারা বুঝার এতটুকুতেই বুঝে যাবে। ক্রিকেটে আমার ভালোলাগা ভালোবাসা শচীন টেন্ডুলকারকে দেখেই। জানিনা এই ইস্যুতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছি কিনা। তবে এতটুকু বিশ্বাস ১০০ কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে এই প্রশ্ন করলে অন্তত ৯০ জনই শচীন টেন্ডুলকারকে সেরা বলবেন। সেটাই কি যথেষ্ঠ না অর্বাচীনদের মাতামাতি খারিজ করে দেয়ার জন্য।

Indian Cricket Team Cricket ICC - International Cricket Council ICC Cricket World Cup Cricket Addictor Sportskeeda Cricket Virat Kohli Rohit Sharma CricTracker Sachin Tendulkar Sourav Ganguly

Address

Lachipur, Lalgarh
Jhargram
721121

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রয়াস সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to প্রয়াস সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য:

Videos

Share

Nearby media companies