দূর্ঘটনার কবলে চন্দ্রকোনারোড-ঝাড়গ্রাম রুটের যাত্রীবাস 'ব্ল্যাক প্যান্থার'। সোমবার সকালে রাইপুর থেকে ঝাড়গ্রাম অভিমুখে আসার সময় ফুলকুসমার অমৃতপালে কালভার্টের কাছে একটি মোটরবাইকে ধাক্কা লাগে।মোটরসাইকেলে থাকা দুই যাত্রী ছিটকে পড়েন।একজনের পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।দূর্ঘটনার পরে মোটরসাকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং কিছুক্ষনের মধ্যে সেটিতে আগুন লেগে যায়।সেখান থেকে মহুর্তে সারা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে অবশ্য বাস যাত্রীরা সকলে বাস থেকে নামতে সক্ষম হন। ফলে বাসযাত্রীদের হতাহতের কোন খবর নেই।দূর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল বাহিনী পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বিনপুরের কাঁকো গ্রামে হাতির হামলায় গুরুতর ভাবে জখম এক ব্যাক্তি।ঘটনাস্থলে বিনপুর থানার পুলিশ।
নিম্নচাপের অতিবৃষ্টির জের। ফুসছে তারফেনী ও ভৈরাবাকি নদী। এই দুই নদীর কজওয়ে জলে ডুবে যাওয়ার ফলে বিনপুর ১ ব্লকের নেপুরা অঞ্চলের বিস্তর্ন এলাকা জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন।জেলার সীমান্তে এই দুই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারনে একই ভাবে ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। দুই কিলোমিটার দুরে পাপটপুরে তারাফেনী ও ভৈরাবাঁকি নদীর উপর ব্রীজ হলেও সংযুক্ত রাস্তার কাজ এখনো হয়নি। কাজ সম্পুর্ন হওয়া সত্বেও আজও ব্রীজটি চালু হয়নি।পাপটপুরের ব্রীজ চালু হলে এই সমষ্যা দুর হয়ে যাবে।
নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে জেরবার ঝাড়গ্রাম জেলাবাসি।অতিবৃষ্টির জেরে সোমবার বিনপুর ২ ব্লকের হাড়দা অঞ্চলের ঢোলভাঙ্গায় তারাফেনী নদীর কজওয়ের ওপর বইছে নদীর জল।তার উপর চলছে ঝুঁকির যাতায়াত।সোমবার সকালে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় দুপুরের পর জল নামতে শুরু করেছে।
হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচী পালনে এবার সিআরপিএফ। ঝাড়গ্রামে CRPF 184 ব্যাটেলিয়ান এর হেডকোয়ার্টার থেকে আজ গ্রামবাসী দের নিয়ে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়। সবাই হাতে তিরঙ্গা নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। 184 ব্যাটেলিয়ন এর CO জানান স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে হরঘর তিরঙ্গা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য তিরঙ্গা কে সম্মান করা ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা। গ্রামের মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ ও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্য উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিনপুর ২ ব্লকের হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলভাঙ্গা গ্রামে তারাফেনী নদীর ব্রীজের উপর শুক্রবার বিকেলেও নামল না জল। ব্রীজের উপর হাটু সমান জল থাকা সত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারপার।যাত্রীবাহি বাসও চলাচল করছে। বন্যার ফলে ডুবে থাকা অন্যান্ন রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ঢোলভাঙ্গা গ্রামের ব্রীজ শুক্রবারও জলে ডুবে রইল। নিত্যযাত্রীদের দাবী মুলত বন্যার ফলে আগাছা ভেসে আাসায় পুলের মুখে আটক পড়ে জল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে এই সমষ্যা। কিন্তু পুলের মুখের এই অগাছা সরাতে কারও কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
করোনা পরিস্থিতির ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিবছর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিমা তৈরির বরাত দেওয়া হত। এবছর দুএকটি সংগঠন ছাড়া এখনো পর্যন্ত কেউ প্রতিমা তৈরীর বরাত দেয়নি । যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ঝাড়গ্রাম শহরের নতুন ডিহি এলাকার মৃৎশিল্পীরা ।ঝাড়্গ্রাম এর প্রবীন মৃৎশিল্পী শিবশঙ্কর সিংহ বলেন আগে এই সময় কথা বলার সময় থাকত না প্রতিমা তৈরীতে সকলেই ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু এ বছর দুর্গা প্রতিমা গণেশ ঠাকুর, মনসা ঠাকুর ও কালী ঠাকুরের মূর্তি তৈরির সেভাবে অর্ডার আসেনি। হাতে গোনা দুই একটি গণেশ ঠাকুর তৈরি করার বরাত এসেছে । এতে সংসার চলবে কিভাবে। রাজ্য সরকারের কাছে আমরা সরকারি সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মৃৎশিল্পীরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা কিংবা কোন ভাতা পায় নি। যেখানে বিভিন্ন লোক শিল্পীর
ঝাড়গ্রাম শহরে বাণিজ্য বিভাগের পড়াশোনার জন্য কেবলমাত্র একটি বিদ্যালয় রয়েছে। যে বিদ্যালয়ে কেবল মাত্র ছেলেরাই পড়াশোনা করতে পারবে বাণিজ্য বিভাগে । কিন্তু ছাত্রীদের জন্য শহরে কোন বিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগ চালু নেই। যার ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেক ছাত্রী বাণিজ্য বিভাগে পড়তে পারছে না। যেকারনে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে এক অভিভাবক জানান।ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারি ইনস্টিটিউশনের টিচার ইনচার্জ নিরঞ্জন মান্না বলেন তাদের বিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগ রয়েছে কেবল মাত্র ছেলেদের জন্য ।ঝাড়গ্রাম শহরে অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে ছাত্রীদের জন্য বাণিজ্য বিভাগ চালু করা প্রয়োজন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়নি ।যার ফলে বাণিজ্য বিভাগে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বহু ছাত্রী পড়াশোনা করতে পারছে না । তিনি বলেন এর ফলে
বৃহস্পতিবার বিনপুর ১ ব্লকের নেপুরা অঞ্চলে হাতির তান্ডবে নষ্ট হল প্রায় ১০০ বিঘা জমির ধান। এদিন বেলপাহাড়ির দিক থেকে আসা ২৫/৩০টি হাতির একটি দল বিনপুর ১ ও বিনপুর ২ এর সীমান্তবর্তী এলাকার ঢোলভাঙ্গা ও করাতসাল গ্রামের কাছে ঝোপ জঙ্গলে আটকে থাকে। বেলা নামার সঙ্গে সঙ্গে দলটি ভৈরাবাকি নদী পেরিয়ে নেপুরা অঞ্চলে প্রবেশ করে। বিকেল ৫ টা থেকে প্রায় রাত ১ টা পর্যন্ত উড়লিডাঙ্গা, নছিপুর,নেপুরা, মির্জাপুর মৌজায় ধান ক্ষেতে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। উড়লিডাঙ্গা থেকে নছিপুরে কংসাবতী নদী পার হলেই হাতির দলটি কাঁটাপাহাড়ির দিকে জঙ্গলে চলে যেত। কিন্তু এই ২ কিমি পথ পেরোতেই দলটির গভীর রাত হয়ে যায়।এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ বনদফতর সক্রিয় থাকলে এতটা ক্ষতি হত না।