22/08/2023
নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সারা বাংলার ঈমামসাহেব ও মোয়াজ্জেনদের নিয়ে যে ঘৃন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করলেন এবং তাঁদের অপমান করলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী, এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাই। আমার বিশ্বাস ঈমামসাহেবগন নিজেদেরকে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মচারী বা নেতা হিসাবে পরিচিতি হোক এটা চাননা। তাঁরা রাজনৈতিক দলের ঊর্দ্ধে নিরপেক্ষভাবে অবস্থান করেন। আমি বারবার দাবি করে এসেছি এবং আজও দাবি করি ঈমামসাহেব ও মোয়াজ্জেনদের উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে৷ আজ যেভাবে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ঈমামসাহেবদের উপযুক্ত সম্মানের পরিবর্তে রাজনীতিকরন করার অপচেষ্টা করলেন সেটা কখনো ঈমামসাহেবগন মেনে নেবেন না বলে আমি বিশ্বাস করি।
ঈমামসাহেবগন হলেন আল্লাহর ঘর অর্থাৎ পবিত্র মসজিদের সেবক, মুসলিম সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব৷ যাদের নিকট কোন রাজনৈতিক দল নয় নিরপেক্ষভাবে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে হকের পথে চলা, হক কথা বলা, কোরান ও সুন্নাহর আলোকে সমাজকে সুশিক্ষিত করে তোলাই প্রধান কর্তব্য। আজ সেই ঈমামসাহেবগন ও মোয়াজ্জেনদের পরোক্ষভাবে শাসক দলের প্রচারক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করা হল কার স্বার্থে সে জবাব আগামীদিনে বর্তমান সরকারকে দিতে হবে? কেন বারবার মুসলিম ধর্মীয় ভাবাবেগে এবং ধর্মগুরু ও ধর্মস্থান নিয়ে রাজনীতি করা হবে?
আমরা পূর্বে দেখেছি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে ঈমামসাহেবদের উপর অমানবিক হামলা করা হয়েছে এবং তাঁদেরকে শহীদ করা হয়েছে। এ রাজ্যেও বর্তমান শাসকের আমলে আসানসোলের ঈমামসাহেবের ছেলেকে খুন করা হলো এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুল সুপ্রিয় আজ বর্তমান সরকারের মন্ত্রী!
তাহলে বলতে পারি মাননীয়া মুসলিমদের তোষনের নামে কি শোষণ করে চলেছেন? কেন একটি বিশেষ সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে রুখতে ঈমামসাহেব ও মোয়াজ্জেনদের ব্যবহার করার চক্রান্ত করতে হবে শাসকদলকে ?
যে সমস্ত ঈমামসাহেব ও মোয়াজ্জেন শাসকদলের এই ঘৃন্য চক্রান্ত বুঝতে পেরে এবং তাঁদের যে শুধুমাত্র ভোটের প্রচারের অংশ হিসাবে সামান্য ভাতা বৃদ্ধি (ভিক্ষা) প্রদান করে নির্বাচনে কাজে লাগাতে চায় তাঁর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে ধিক্কার জানিয়েছেন তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করি।
সর্বশেষে বলতে চাই সন্মানীয় ঈমামসাহেব ও মোয়াজ্জেনদের যে, আপনারা মুসলিম সমাজের স্বার্থে এবং আমাদের ধর্মীয় স্বার্থে ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার জন্য সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ন আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং নিজেদের ন্যায্য অধিকার দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমি পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীকে সবসময় একজন আন্দোলনের সহকর্মী হিসাবে পাশে পাবেন।
পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী