10/01/2025
হাওড়া স্টেশনের অজানা গল্প
১৬৫ বছরে পুরনো হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস বেশ কৌতুহলদ্দীপক। কোলকাতা তখন আধুনিক শহর হয়ে উঠছে। তখন লন্ডনের পরে বৃটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় শহর কলকাতা। কলকাতা ব্যবসা বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কলকাতার অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী এবং জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা
দ্বারকানাথ ঠাকুরই প্রথম ভারতীয় যিনি ব্রিটিশ শিল্পপতি তথা বন্ধু উইলিয়াম কার-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কয়লাখনি গড়ে তুলেছিলেন। সংস্থার নাম দিয়েছিলেন কার এন্ড টেগোর কোম্পানি
১৮৩৫ সালে খনি-শহর রাণীগঞ্জের দামোদর নদের তীরবর্তী নারানকুড়ি গ্রামের কয়লাখনি থেকে কয়লা তোলা হতো। খনি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরেই ছিল তাঁদের প্রশাসনিক ভবন। সেখানেই বসে নিয়মিত কাজের তদারকি করতেন দ্বারকানাথ ও উইলিয়াম কার
খনি থেকে তোলা কয়লা গরুর গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হত নারানকুড়ি গ্রামের সীমান্তে মুক্তেশ্বরী মন্দির ঘাটের জেটিতে। সেখানে নৌকায় কয়লা চাপিয়ে তা পাঠানো হত কলকাতার কয়লাঘাটায়
নৌকায় করে কয়লা পরিবহণ অত্যন্ত বিপজ্জনক, আর লাভজনকও নয়। তাই কলকাতা থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ পাতার পরিকল্পনাও করছিলেন দ্বারকা নাথ। কিন্তু তিনি তো ‘নেটিভ’, তাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁকে রেললাইন পাতার অনুমোদন দেয়নি
তখন আর.এম স্টিফেনসন নামে এক ব্যক্তি ১৮৪৪ সালে রেললাইন পাতার জন্য 'ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি' গঠন করলেন। কিন্তু কোম্পানীর কাছ থেকে কাজ শুরুর অনুমোদন পেতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে গেল
নানা টালবাহানায় সেই অনুমতি মিলল ৭ই মে ১৮৫০ সালে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানী ও গ্রেট ওয়েস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে দুটি কোম্পানীকে যুক্ত হয়ে বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানী গঠিত হয়ে গিয়েছে
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কোলকাতা থেকে বর্ধমান পর্যন্ত্য একটি পরীক্ষামূলক রেল লাইন পাতার চুক্তি করল ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানীর সাথে
কোম্পানী দেখল গঙ্গার ওপারে হাওড়ায় স্টেশন নির্মাণ করলে পুরো ভারতের সাথে যোগাযোগ সম্ভব । কারণ পশ্চিম দিকে যেতে হলে গঙ্গা পেরিয়ে যেতে হবে
ট্রেন চালু হলে যাত্রী ওঠা নামার জন্য তখনি একটি স্টেশন দরকার। সেই মোতাবেক ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানীর তৎকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চীফ ইঞ্জিনীয়ার মিঃ জর্জ টার্নবুল ১৭ই জুন ১৮৫১ সালে হাওড়া স্টেশন বিল্ডিং-এর জন্য প্ল্যান জমা দিলেন
স্টেশনের জন্য কোম্পানী যত জমি চেয়েছিল সরকারী আধিকারিকরা তা দিতে রাজী হলেন না
এক বছর বাদে মিঃ টার্নবুল আবার সম্পূর্ণ ও পরিমার্জিত আরেকটি প্ল্যান জমা দিলেন। এবারে সে প্ল্যান গৃহীত হয় এবং স্টেশন নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডাকা হল
অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৪টি টেন্ডার জমা পড়ে। হাওড়া স্টেশন নির্মাণের জন্য রেল কোম্পানীর আনুমানিক খরচের হিসেব ছিল ২৫০০০০/- (দু লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)
হাওড়াতে একটা বড় জমি পাওয়া গেল। ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে জমিটি দখলের আগে, ডোমিনিকান সম্প্রদায়ের পর্তুগিজ মিশনারিদের সেখানে একটি অনাথ আশ্রম ও একটি ছোট গির্জা ছিল। কোম্পানী জমিটি অধিগ্রহণ করার পর অনাথদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হল
১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে হাওড়া স্টেশন তৈরী হয়ে গেছে। তখন হাওড়া স্টেশন বলতে ছিল একটি টিন শেড সমন্বিত অস্থায়ী রেল প্ল্যাটফর্ম।
হাওড়া থেকে হুগলী পর্য্যন্ত ট্রেন লাইন পাতার কাজ শেষ। ট্রেন যাত্রার ব্যবস্থা পাকা।
১৮৫৪ খৃষ্টাব্দের ১৫ ই আগষ্ট সকাল ৮.৩০টায় হাওড়া স্টেশন থেকে হুগলীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেনটি যাত্রা শুরু করল। প্রথম ট্রেনটিতে ২৪ মাইল ভ্রমণের জন্য রেল কোম্পানী প্রায় তিন হাজার আবেদন পত্র পেয়েছে।
ট্রেনটিতে রয়েছে তিনটি প্রথম শ্রেনী, দুটি দ্বিতীয় শ্রেণী কামরা ও তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য রয়েছে তিনটি 'ট্রাকস' এবং গার্ডের জন্য একটি ব্রেক ভ্যান। কামরাগুলো চার চাকার। এগুলো সবই কলকাতায় নির্মিত হয়েছে।
ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর ভাড়া তিন টাকা ও তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া সাত আনা।
সকাল ৮.৩০ টায় ট্রেন ছেড়েছে। হাজারে হাজারে মানুষ পুরো যাত্রা পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে। হুইসেল বাজিয়ে ভসভস করে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেন এগিয়ে চলল। সমবেত জনতা প্রথমটা ভয়ে লাইনের ধার ছেড়ে পালাতে লাগল। ভয় ভাঙলে জনতা হর্ষধ্বনি দিতে দিতে ছুটছে। এমন আজব কল আগে তারা দেখে নি।
হাওড়া থেকে হুগলী যেতে সময় লাগল ৯১ মিনিট। বালি, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে ট্রেন থামল ।
ভারতের প্রথম ট্রেন কিন্তু চলেছিল ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল। ১৪ কামরার ট্রেনটি ৪০০ জন অতিথিকে নিয়ে বিকেল ৩.৩৫ মিনিটে বোম্বাইয়ের বুড়িবন্দর থেকে থানে যায়। সময় লেগেছিল ১.১৫ মিনিট।
তখন হাওড়াতে টিকিট কাউন্টার ছিল না। রেল যাত্রীদের নদীর ওপারে আর্মেনিয়ান ঘাটের বুকিং কাউন্টার থেকে অন্য যাত্রীদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করে টিকিট কাটতে হত। টিকিটের মধ্যে নদী পারাপারের ভাড়া অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলস্য ইংরেজদের চরিত্রে নেই তাই প্রথম ট্রেনটি চালু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে লাইন পাতার কাজ পান্ডুয়া অবধি বর্ধিত হল। আর ছয় মাসের মধ্যে রাণীগঞ্জ অবধি লাইন পাতার কাজ শেষ।
কলকাতার স্থানীয় খবর কাগজগুলোতে সে খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছে। 31 জানুয়ারি 1855 তখনকার কলকাতার বিখ্যাত কাগজ 'হরকরা'তে কোম্পানীর বিজ্ঞাপন- Opening of the East Indian Railway, by the most noble the Marquis of Dalhousie, K.T Governor –General, on Saturday, 3rd February 1855.
আগামী ১৮৫৫ সালের ৩ রা ফেব্রুয়ারী ,শনিবার হাওড়া থেকে রাণীগঞ্জ মাল ও যাত্রী পরিবহনের জন্য রেলগাড়ি উদ্বোধনী যাত্রা শুরু হবে।
গাড়ি ছাড়ার আনুমানিক সময় সকাল ৯.৩০ টা এবং বর্ধমানে পৌঁছবে বেলা ১২.৩০টায়। সেখানে প্রাতঃরাশ সহ তিন ঘন্টা উৎসব উদযাপনের পর ট্রেনটি ৩.৩০টেয় বর্ধমান থেকে ফিরতি যাত্রা করবে। সেই উপলক্ষ্যে ২ রা ফেব্রুয়ারি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হবে বল নাচ।
গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি পরিকল্পনা করেছেন প্রথম ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে গিয়ে,রানিগঞ্জ সেকসনের উদ্বোধন যাত্রাকে তাঁর রাজত্বকালের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মরণীয় ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করবেন।
উদ্বোধনের দিনটি খুব সুন্দর। ঝকঝকে নীল আকাশ তার সাথে কনকনে শীত। কুয়াশাবিহীন সূর্যের আলোতে নদীর দুই পাড় ঝলমল করছে।
নদীর দু পাড়ের ফেরীঘাট জেটি এবং হাওড়া স্টেশন টার্মিনাস পাতা ফুল, আলোর মালা এবং ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
দমদম থেকে একদল সামরিক অশ্বরোহী তাদের ঘোড়া নিয়ে কলকাতার দিক থেকে আড়ম্বরপূর্ণ প্রদর্শণী করছে।
এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য কলকাতার অভিজাত সমাজসহ সাধারণ দর্শকদের বিপুল ভিড় হুগলি নদীর দুপাশে জড়ো হয়েছে।
প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানো ভারতের রেলওয়ের ইতিহাসের দীর্ঘতম ১৫ বগীর বিশেষ ট্রেন। প্রায় ৭০০ জন মান্যগন্য অতিথিরা এসে গেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা সোসাইটির সদস্যবৃন্দ, কলকাতার বিশপ, বেশ কিছু সংখ্যক পাদ্রী, সুপ্রীম কোর্টের বিচারকরা, সদর কোর্টের বিচারকরা এবং বহু উচ্চ পদস্থ সিভিল সার্ভিস, বার,
সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর অফিসার।
লর্ড ডালহৌসি উপস্থিত। তাঁর শরীর বিশেষ ভাল নয়। তিনি এই ট্রেনে ভ্রমণ করছেন না। তিনি ঘুরে ফিরে সব আয়োজন দেখলেন। ১৯টি গান স্যালুট হল। তিন ফ্ল্যাগ অফ করলেন। কলকাতার লর্ড বিশপ প্রার্থনা করার পর সকাল ৯.৪০ মিনিটে বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু করল।
আধঘন্টা বাদে আরেকটি ট্রেন রওয়ানা হল।
যাত্রা পথের প্রতিটি স্টেশনকে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। যেখানে যেখানে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে সেখানে শঙ্খ ধ্বনি উলু দিয়ে দূর থেকে ট্রেনকে বরণ করে নিচ্ছে গাঁয়ের বৌ ঝিরা।
দুপুর সাড়ে বারোটায় ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে ঢুকল। বর্ধমানের সাহেবসুবোরা প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে। স্টেশনের বাইরে হাতির শোভাযাত্রা। স্থানীয় জমিদারেরা হাতিতে চড়ে, সাধারন মানুষ হেঁটে চলেছে ঐতিহাসিক রেলযাত্রার সাক্ষী থাকতে।বিউগল বাজছে। বাজছে কাড়ানাকাড়া। সে এক হুলুস্থুলস ব্যাপার। স্থানীয় লোকেরা দূর থেকে ভয়ে ভয়ে দেখছে এই আজব কল কে।
কোন রকম দেরী না করে স্টেশন থেকে আরেকটি সজ্জিত গাড়িতে অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হল গভর্নর জেনারেলের তাঁবুতে। সেখানে প্রাতরাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিথিরা সম্ভবত ক্ষুধার্ত। তাঁরা বিশপের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর প্রার্থনা শেষে ভোজন শুরু হল। নানা রকমের সুস্বাদু পদ এবং ওয়াইন সহকারে পরিতৃপ্ত ভোজন শেষ হল। এতে সময় গেল। তবুও, সবাই এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন। পার্টি শেষে সবাই ব্যাঙ্কুয়েট তাঁবু ছেড়ে ট্রেনের দিকে রওয়ানা দিলেন।
প্রথম ট্রেনটি ৩.৪০ এ বর্ধমান ছাড়ল। আধঘন্টা বাদে দ্বিতীয় ট্রেনটি।
পুরো দিনটি খুবই মনোরম কাটল। সাহেবদের এদেশে এমন অভিজ্ঞতা আগে অর্জন হয়নি। রেল কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ছিল চমৎকার।
খুব তাড়াতাড়ি রেল জনগনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠতে লাগল। স্থান সঙ্কুলানের জন্য আরও বড় করা দরকার।
হাওড়া স্টেশনের প্রাচীন বাড়িটি সম্ভবত ১৮৬০ সালে ভেঙে ফেলে বর্তমানের লাল ইঁট দিয়ে তৈরী হাওড়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হল। তার পাঁচ বছর পরে ট্রেন আসা ও যাওয়ার জন্য দুটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়ে গেল।
সেদিনের ট্রেন যাত্রার এক মনোরম বর্ণনা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তখন তাঁর বয়স বারো। ১৮৭৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর দুই পুত্র সােমেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ এবং দৌহিত্র সত্যপ্রসাদের একসাথে উপনয়ন দিলেন।
উপনয়নের পর রবীন্দ্রনাথ পিতার সাথে হিমালয় ভ্রমণে যাবেন। পথে বোলপুর পড়বে সেখান তাঁরা 'শান্তিনিকেতন' গৃহে কয়েকদিন থাকবেন। এই প্রথম রবীন্দ্রনাথ রেলগাড়িতে ভ্রমণ করছেন। তাঁর মুখেই তাঁর প্রথম ভ্রমণের কথা শুনি।
'সত্য বলিয়াছিল, বিশেষ দক্ষতা না থাকিলে রেলগাড়িতে চড়া এক ভয়ংকর সংকট-- পা ফসকাইয়া গেলেই আর রক্ষা নাই। তার পর, গাড়ি যখন চলিতে আরম্ভ করে তখন শরীরের সমস্ত শক্তিকে আশ্রয় করিয়া খুব জোর করিয়া বসা চাই, নহিলে এমন ভয়ানক ধাক্কা দেয় যে মানুষ কে কোথায় ছিটকাইয়া পড়ে তাহার ঠিকানা পাওয়া যায় না। স্টেশনে পৌঁছিয়া মনের মধ্যে বেশ একটু ভয়-ভয় করিতেছিল। কিন্তু গাড়িতে এত সহজেই উঠিলাম যে মনে সন্দেহ হইল, এখনো হয়তো গাড়ি-ওঠার আসল অঙ্গটাই বাকি আছে।
তাহার পরে যখন অত্যন্ত সহজে গাড়ি ছাড়িয়া দিল তখন কোথাও বিপদের একটুও আভাস না পাইয়া মনটা বিমর্ষ হইয়া গেল।
গাড়ি ছুটিয়া চলিল; তরুশ্রেণীর সবুজ নীল পাড়-দেওয়া বিস্তীর্ণ মাঠ এবং ছায়াচ্ছন্ন গ্রামগুলি রেলগাড়ির দুই ধারে দুই ছবির ঝরনার মতো বেগে ছুটিতে লাগিল, যেন মরীচিকার বন্যা বহিয়া চলিয়াছে। সন্ধ্যার সময় বোলপুরে পৌঁছিলাম।'
আরেক টি করুণ হাসির সত্য ঘটনা ১৯০৯ সালে ঘটেছিল যার কারণে সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে টয়লেট যোগ করা হয়
বর্তমানে ১৬৫ বছরের পুরনো এ স্টেশনটির প্ল্যাটফর্ম সংখ্যা ২৩ ও ট্র্যাক বা রেল পথ ২৬টি। প্লাটফর্ম ১ - ১৪ পুরনো টার্মিনাসের অন্তর্গত। ১৭-২৩ নতুন টার্মিনাস বা নিউ কম্প্লেক্সের অন্তর্গত
Ref - The History of the East Indian Railway by George Huddleston.