03/05/2023
এবার চলে এলো 'দুয়ারে বিরিয়ানি'। কোন সরকারি প্রকল্প নয়, শিক্ষিত বেকার ছেলের। পেটের জ্বালা মেটানোর প্রয়াস প্রকল্প। Zomato, Swiggy-র মতো কোটি কোটি টাকা পুঁজি, রয়েছে কোটি কোটি স্বপ্ন আর বুকভরা আত্মবিশ্বাস। যুবকটির নাম ঐয়ীশ বসাক, বাড়ি মালদা ইংলিশ বাজার। তোমার প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানাই ভাই। তুমি এগিয়ে চলো।💖 কেউ নিতে চায়লে বসাকের এই নাম্বারে 8967486776 ফোন করে নেবেন প্লিজ।
সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের একটা ছেলে। বাবা মার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আর নিজের জীবনের আশা স্বপ্নগুলো পূরণের জন্য রাস্তায় খাবার বিক্রি করছে।অনেক টাকা তো অনেক ভাবেই খরচা হয়, একদিন না হয় ছেলেটার বিক্রি করা খাবারই কিনে খেয়ে দেখলেন।
শুধু বাকি রয়ে গেলো ওই মেয়ে হওয়ার criteria টা। তাই হয়তো viral হলো না। ছেলে তো, একটাই কথা শুনতে হয় "এতো পড়াশোনা করে এই করছিস ?" যেন রান্না করা বা খাওয়ানো কত খারাপ কাজ বা মেয়েদের কাজ। চেনাপরিচিত লোকেরা, বন্ধুরা দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায়। অনেকে আবার ছবি তুলে যে যার গ্রূপে হাসাহাসি করে...।
দুঃখ টা অন্য জায়গায়। আমাদের মতো শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত ই হোক, সংসার সামলাতে অল্পবয়সীদের দোকান দেওয়া ব্যাপারটা এদেশে অন্তত খুবই সাধারণ। যাদের এটা অসাধারণ মনে হয় তারা সবে নিজের মায়ের আঁচল থেকে বেরিয়ে নিজের দেশটা কে দেখছে। তাও বাবার হোটেল থেকে বেরোতে পারেনি। তাহলে দেখতে পেত নন্দিনী দি কে ছাড়াও হাজারো মেয়ে, ছেলে, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা এমনকি সাত আট বছরের বাচ্চারাও নিজের ভাত জোগাড় করতে দোকান দেয়। কেউ তেলেভাজা, কেউ ফুল ফল, কেউ শাক সবজি, কেউ ঝালমুড়ি, কেউ জুতো পালিশ, কেউ কুলি। এক আধ দিন ওদের সাথেও vlog করুন না, জানতে পারবেন তারাও কিন্তু সখে রাস্তায় নামেনি। কারোর বাবার চাকরি গেছে, কারোর বাবাই গেছে, কারোর হয়তো বাবা মা কেউ নেই, ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করছে। এমন হাজার হাজার নবাব নন্দিনী রা দোকান দেয় আমাদের চারিদিকে।
এই পোস্টের উদ্দেশ্য হলো কয়েকটা কথা বলা। ১)কারোর কাজ কে ছোটো করবেন না, ২) একই কাজ নারী করলে হিরো আর পুরুষ করলে জিরো এই চিন্তা বাদ দিন, ৩) সবকিছু কে glorify করার দরকার নেই।
যেখানে বাবা মা এর পাশে দাঁড়ানোই সন্তানের কাজ সেখানে একজন নন্দিনী কেন ভাইরাল হবে, যেখানে জীবনসঙ্গী মানেই সারা জীবন সঙ্গ দেওয়া মানুষ, সেখানে একজন সব্যসাচী ভাইরাল হবে কেন!!