Orchid Printers and paper house

Orchid Printers and paper house Copybook Manufacturing, Printing and Book publishing,

যোগীরাজ শ‍্যামাচরণ লাহিড়ী একদিন শিষ্য কৃষ্ণরাম সহ কাশীতে গঙ্গার রাণামহল ঘাটে বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়েছেন। এক আগন্তুক এসে য...
16/01/2024

যোগীরাজ শ‍্যামাচরণ লাহিড়ী একদিন শিষ্য কৃষ্ণরাম সহ কাশীতে গঙ্গার রাণামহল ঘাটে বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়েছেন। এক আগন্তুক এসে যোগীরাজকে করজোড়ে প্রণাম করে তাঁদের সঙ্গী হয়ে আলাপ জমাল। হাঁটতে হাঁটতে ঐ আগন্তুক যোগীরাজকে বলে- 'যদি অভয় দেন তবে একটি কথা জানতে পারি?' যোগীরাজ বলেন-'অনায়াসে বলতে পারো'! বিনীতভাবে আগন্তুক জানতে চায়- 'শুনেছি আপনি ধ‍্যান করেন। কিন্তু কোন্ দেবতার ধ‍্যান করেন'? মুখে হাসি নিয়ে যোগীরাজ উত্তর দিলেন- 'তা তো জানি না'! আগন্তুক পুনরায় জানতে চাইল- 'নিশ্চয়ই কৃষ্ণ, শিব, কালী এইসব কোনো দেবদেবীর ধ‍্যান করেন'? যোগীরাজ বলেন- 'কৃষ্ণ, শিব, কালী, তুমি, আমি সকলের মধ‍্যে যিনি আছেন তাঁরই ধ‍্যান করি'। বিস্মিত হয়ে আগন্তুক প্রশ্ন করে- 'আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না'! যোগীরাজ বলেন- 'আমিও তোমাকে বোঝাতে পারবো না, তুমিও বুঝবে না'।
যোগীরাজের মতে- 'কেউ যখন মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে তখন সংশ্লিষ্ট লোক কী মন্দিরকে প্রণাম করে? না কী ঐ মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দেবদেবীকে প্রণাম করে'? দেবদেবী ছাড়া মন্দির মূল‍্যহীন। আর ঈশ্বর তো সব জায়গাতেই আছেন। মন্দিরের বিগ্রহের মধ্যে আছেন যেমন সত‍্য, তেমনি তোমার ভেতরে আছেন তাও সত‍্য। ঈশ্বর যখন তোমার ভেতরে রয়েছেন এবং এটা সর্বাপেক্ষা কাছে। সুতরাং কাছের বস্তুকে খোঁজাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই বলে যোগীরাজ সাকার পূজা বিরোধী ছিলেন না। বরং বলতেন, সাকার পূজায় মন স্থির হয়, ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধার উৎকর্ষ হয়। কালক্রমে আত্মসাধনা প্রাপ্ত হলে সাকার পূজা গৌণ হয়ে যাবে। রত্নখনির সন্ধান পেলেও খনন করা ছাড়া যেমন রত্ন পাওয়া যায় না, তেমনি আত্মকর্ম ছাড়া নিজের (আত্মার) সাক্ষাৎ পাওয়ার উপায় নেই।...

15/08/2023
অফলাইনে কলকাতা কলেজস্ট্রীটে কিনতে হলে অন্য দোকানের পাশাপাশি এখন সবার পরিচিত 'D.M.LIBRARY' তেও পাওয়া যাবে।
13/07/2023

অফলাইনে কলকাতা কলেজস্ট্রীটে কিনতে হলে অন্য দোকানের পাশাপাশি এখন সবার পরিচিত 'D.M.LIBRARY' তেও পাওয়া যাবে।

ভক্ত পরিবেষ্টিত শ্রীশ্রী রামঠাকুর একদিন আলোচনা প্রসঙ্গে একটি গল্পের উল্লেখ করেন। ঠাকুর বলেন, "এক রাজার ইচ্ছে হল তাঁর প্র...
30/05/2023

ভক্ত পরিবেষ্টিত শ্রীশ্রী রামঠাকুর একদিন আলোচনা প্রসঙ্গে একটি গল্পের উল্লেখ করেন। ঠাকুর বলেন, "এক রাজার ইচ্ছে হল তাঁর প্রাসাদের কাছে খালি জায়গায় হাট বসাবেন। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত পুরনো হাট ছেড়ে কেউ রাজপ্রাসাদের কাছের জনবিরল জায়গার এই নতুন হাটে স্থানান্তরিত হতে রাজি হলেন না। যখন দেখলেন নতুন হাট বসানোর পরিকল্পনা সফল হচ্ছে না, তখন রাজা ঘোষণা করলেন- তাঁর হাটে দিনশেষে যার যা কিছু অবশিষ্ট থাকবে তিনি তা ন‍্যায‍্য দামে কিনে নেবেন। এই ঘোষণার পর অল্পদিনের মধ‍্যেই অনেক দোকানপাট বসে যায় ও ধীরে ধীরে হাট জমে ওঠে। প্রতিশ্রুতি মতো রাজার কর্মচারী নিয়মিত সন্ধ‍্যার আগে গিয়ে হাটের অবিক্রিত জিনিসপত্র কিনে নিতো। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এক সন্ধ্যায় কর্মচারীটি হাটে গিয়ে দেখে সবকিছুই বিক্রি হয়ে গেছে, শুধু এক কুমোরের একটি মূর্তি বিক্রি হয় নি। কর্মচারী জানতে পারে, মূর্তিটি ছিল অলক্ষ্মীর সেজন‍্যে বিক্রি হয় নি। বিষয়টি রাজাকে অবহিত করা হয়। রাজা বলেন, প্রতিশ্রুতি যেহেতু দেওয়া হয়েছে সেহেতু অবিক্রিত মূর্তিটি কিনতেই হবে। রাজার কথায় কর্মচারী মূর্তিটি কিনে এনে রাজপ্রাসাদের এক জায়গায় রেখে রাতে বাড়ি চলে গেল।
পরদিন সকাল থেকে রাজার এক কঠিন পরীক্ষা শুরু হল। প্রথমে বাড়ির লক্ষ্মী এসে রাজাকে জানান, অলক্ষ্মীর যেখানে জায়গা হয়েছে সেখানে আমি কোনোভাবেই থাকতে পারি না; আমি চললাম। এই বলে রাজার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লক্ষ্মী চলে গেলেন। তারপর একে একে অনেকেই বিদায় নিয়ে প্রাসাদ ছেড়ে চলে গেলেন। সবশেষে ধর্ম এসে রাজাকে বলেন, অলক্ষ্মীর ঠাঁই দেয়ায় তোমার এই প্রাসাদ শ্রীভ্রষ্ট; শ্মশানতুল‍্য মনে হচ্ছে আমি আর এখানে থাকতে পারছি না, আমি চললাম। রাজা এবার ধর্মের পথ আগলে দাঁড়িয়ে বলেন, তোমার জন‍্যে অর্থাৎ সত‍্য রক্ষার জন‍্যে আমি অলক্ষ্মীকে প্রাসাদে স্থান দিয়ে আজ এই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। এই অবস্থায় তুমি চলে যেতে চাও কোন যুক্তিতে? তোমাকে আমি কিছুতেই যেতে দিতে পারি না। সত‍্যের আর প্রাসাদ ছেড়ে যাওয়া হল না। সঙ্গে সঙ্গে সকলে আবার প্রাসাদে ফিরে এলেন। রাজার কোনো অসুবিধা বা অমঙ্গল হল না। ধর্মকে ধরে থাকায় রাজার সব দিক বজায় থাকল।" তাই শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলতেন, 'লেগে থাকলে মেগে খায় না।'
_________________________
সৌজন্যে: 'বারো সাধকের কথা'

সাধু-ঋষি-যোগীরা অগণিত মানুষদের একটি নির্দিষ্ট ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করেন। বারোজন মহাপুরুষের রহস‍্যাবৃত মনোরম জীবনধারার পূর...
27/05/2023

সাধু-ঋষি-যোগীরা অগণিত মানুষদের একটি নির্দিষ্ট ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করেন। বারোজন মহাপুরুষের রহস‍্যাবৃত মনোরম জীবনধারার পূর্ণ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে "বারো সাধকের কথা" বইয়ে। সংশ্লিষ্টদের উন্নত ভাবধারার আস্বাদ পেতে এই বই পড়ুন। যোগাযোগ-
WhatsApp: 9732773828

12/04/2023

📕
বহু প্রশংসনীয় অনন‍্য জীবনীগ্রন্থ 'বারো সাধকের কথা' এখন বিশেষ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। এই অফার সীমিত সময়ের জন‍্য; দেরি না করে এই জীবনী সংকলনটি আজই সংগ্রহ করুন!!!
📕
For Booking WhatsApp: 9732773828

Copybook Manufacturing, Printing and Book publishing,

অর্কিড পেপার হাউসের নিজস্ব ব‍্যান্ডের কিছু পাঠসামগ্রী।
11/04/2023

অর্কিড পেপার হাউসের নিজস্ব ব‍্যান্ডের কিছু পাঠসামগ্রী।

হিমাদ্রি শিখর রায়ের লেখা জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা" এবারের কল‍্যাণী বইমেলার ৯০নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
26/11/2022

হিমাদ্রি শিখর রায়ের লেখা জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা" এবারের কল‍্যাণী বইমেলার ৯০নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

দেহের অবসানে অবতারশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় না। তাই পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বামীজীর দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি- "এমনও হতে পারে এই শ...
13/11/2022

দেহের অবসানে অবতারশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় না। তাই পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বামীজীর দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি- "এমনও হতে পারে এই শরীরটাকে পুরনো কাপড়ের মত ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এর বাইরে চলে যাওয়াই আমি শ্রেয় মনে করব। কিন্তু কখনও কাজ থেকে বিরত হব না। সর্বত্র মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাব, যতদিন না প্রতিটি মানুষ বুঝতে শেখে যে, সে ভগবান"।

শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রদেবের ছোট ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রমোহন চক্রবর্তী একবার এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। নানান চিকিৎসায় ক...
11/11/2022

শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রদেবের ছোট ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রমোহন চক্রবর্তী একবার এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। নানান চিকিৎসায় কোনো ফল হচ্ছিল না। ছেলের অসুস্থতার বিবরণ দিয়ে দাদা কালীকুমার চক্রবর্তী অনুমানের ভিত্তিতে কালীঘাটের ঠিকানায় ছোটভাই রামঠাকুরকে চিঠি লিখেন। ভাগ‍্যক্রমে ঠাকুর তখন কালীঘাটেই ছিলেন এবং চিঠি পেয়ে তিনি বাড়ি চলে যান। নিয়মিত হরিনাম কীর্তনেই সুরেন্দ্রকে রোগমুক্ত করালেন। ঐবার ঠাকুর বেশ কিছুদিন বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে তখন একটি জীর্ণ রান্নাঘরের সংস্কার হচ্ছিল, ঠাকুর ঐ কাজে হাত লাগিয়ে ছিলেন।
ছোট ভাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ঠাকুরের বড় ভ্রাতুষ্পুত্র সতীন্দ্রমোহন চক্রবর্তীও চাকুরিস্থল ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি চলে আসেন। সংসারে ছোটবড় সবার উপর সতীন্দ্রের স্নেহের আধিপত্য ছিল। বাড়ির সকলের বিশেষ করে বড়দের আগ্রহে সতীন্দ্রমোহন কাকা রামঠাকুরকে অনুরোধ করেন বিয়ে করে সংসারী হতে। বিয়ের পক্ষে নানান যুক্তি দেখাচ্ছিলেন, প্রত‍্যুত্তরে ঠাকুরও প্রবোধ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ভাইপো সতীন্দ্র দৃঢ়সংকল্প, পায়ে ধর্না দিয়ে পড়ে আছেন, কিছুতেই পা ছাড়বেন না। অগত‍্যা ঠাকুর বিয়েতে সম্মতি জানান এবং কন‍্যা দেখতে বলেন।
কিন্তু পরক্ষণেই ঠাকুর বলেন- "তোমাদের খোঁজ করতে হবে না। কলিকাতায় কৃষ্ণবাবু নামে এক ইঞ্জিনিয়ার আছেন। তিনি আমার সাথে তাঁর কন‍্যা দান করতে একান্ত আগ্রহী। কৃষ্ণবাবুর চাপাচাপিতে আমিও কথা দিয়েছিলাম যদি বিয়ে করতে হয় তবে ওনার মেয়েকে করবো।"
সেই রাতেই চিঠি লিখে পরদিন ডাকে কৃষ্ণবাবুকে পাঠানো হলো। কিছুদিন পর ঠাকুর আবার নিরুদ্দেশ হলেন। ঠাকুর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার প্রায় একমাস পর কৃষ্ণবাবুর কাছ থেকে চিঠির উত্তর আসে।
জানান, তখন কলকাতায় প্লেগ দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত কৃষ্ণবাবু সপরিবারে সিমলা চলে গিয়েছিলেন বলে চিঠির উত্তর পাঠাতে দেরী হয়েছে। রামচন্দ্রদেবের সঙ্গে কন‍্যাদানে সম্মতি জানান। কিন্তু পাত্র রামচন্দ্রদেব কোথায়? অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রামচন্দ্রদেবের কোনো সন্ধান পাওয়া গেল না। সুতরাং রামঠাকুর চিরকুমার থেকে গেলেন।
পরিবারের সকলে সাধারণ শক্তি নিয়ে অভ্রভেদী বিশালাকায় অটল অচল হিমগিরিকে স্থানচ‍্যুত করার চেষ্টা করেছিলেন।...

সৌজন‍্যে: "বারো সাধকের কথা"
বইয়ের জন‍্যে: WhatsApp- 9732773828

একদিন দুপুরে মায়ের মন্দিরের পুরোহিতরা সবে ভোগের যাবতীয় আয়োজন সেরেছেন তখনই ক্ষ‍্যাপা শ্মশান থেকে এসে মন্দিরে ঢুকে পুজোয় ব...
12/10/2022

একদিন দুপুরে মায়ের মন্দিরের পুরোহিতরা সবে ভোগের যাবতীয় আয়োজন সেরেছেন তখনই ক্ষ‍্যাপা শ্মশান থেকে এসে মন্দিরে ঢুকে পুজোয় বসে পড়লেন। ইচ্ছে মতো ফুল নিয়ে নিজের মাথায় চাপাচ্ছেন, দু'একটা মায়ের পায়েও দিচ্ছিলেন। নৈবেদ‍্য ভোগের সব উপাচার একসাথে মেখে নিজে খেতে শুরু করেন এবং তা থেকে মাকেও খাওয়াচ্ছেন। এহেন পুজো করা এবং মাকে উচ্ছিষ্ট খাওয়াতে দেখে পুরোহিতরা ক্ষ‍্যাপাকে টেনেহিঁচড়ে মন্দিরের বাইরে বের করে রান্নার চ‍্যালাকাঠ দিয়ে মেরে সারাশরীর রক্তাক্ত করে দিল। ক্ষ‍্যাপা কোনো রকমে উঠে গিয়ে শিমুলতলায় শুয়ে পড়লেন। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আর তারা মায়ের ওপর রাগ করে বিড়বিড় করে বলছেন- "আর তোর মন্দিরে যাব না, তোর মুখও দর্শন করব না।"
ছেলেকে খুব মেরেছে, লোকমুখে এই খবর শুনে জন্মদাত্রী 'ছোটমা' বাড়ি থেকে আলপথে ছুটে মন্দিরে গেলেন ক্ষ‍্যাপার কাছে। ক্ষ‍্যাপাকে দেখে মা জানতে চাইলেন- "হ‍্যাঁ রে বামা, তোকে ওরা খুব মেরেছে? যন্ত্রণা হচ্ছে? আয় আমার কোলে আয়...।" উত্তরে ক্ষ‍্যাপা বলেন- "হ‍্যাঁ মা, খুব মেরেছে। তুই এসে যখন আমার রক্তঝরা কাটা জায়গাগুলোতে হাত বুলিয়ে দিয়েছিস তখন থেকে আমার আর যন্ত্রণা নেই। আমি আর মুখপুড়ি বড়মায়ের মন্দিরে যাব না।" এই কথা শুনে মা জানতে চাইলেন- "হ‍্যাঁ রে বামা, আমি তো এক্ষুনি এলাম তোর গায়ে হাত বুলিয়ে দিলাম কখন?" আসলে ক্ষ‍‍্যাপা যখন যন্ত্রণায় 'ছোটমা' 'ছোটমা' বলে কাতরাচ্ছিলেন তখন 'মা তারা' ছোটমায়ের রূপ ধরে এসে যন্ত্রণা জায়গাগুলোতে হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। ক্ষ‍্যাপাকে কিছুক্ষণ স্নেহের আঁচলে রেখে অশ্রুসজল চোখে বাড়ি ফিরে গেলেন ছোটমা।
শিমুলতলা থেকে ক্ষ‍্যাপা ধীরে ধীরে কুটিরের দিকে চলে গেলেন। বড়মায়ের ওপর খুব রেগে আছেন। কিচ্ছু খাচ্ছেন না এবং মন্দিরেও যাচ্ছেন না। পুরোহিত আর মন্দির কর্তৃপক্ষ মিলে বামাকে প্রসাদ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তিনদিন কেটে গেল। ক্ষ‍্যাপার কষ্ট তারা মায়ের সহ‍্য হচ্ছে না। ছল করে তারা মা নাটোরের রাণী আন্নদাসুন্দরীকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে জানান- "আমার ক্ষ‍্যাপাছেলে ক'দিন ধরে অভুক্ত। পুরোহিতরা যথারীতি ভোগ দিলেও আমি কিছু গ্রহণ করছি না। ছেলে মাকে এঁটো খাওয়ালে মায়ের শরীর অপবিত্র হয় না। তোমার পুরোহিতরা আমায় মন্দিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠার আয়োজনে রত। তুমি এর বিহিত কর নতুবা আমি তারাপীঠ ছেড়ে চলে যাবো।" এই স্বপ্ন দেখে তারাপীঠের তত্বাবধানে থাকা তারাভক্ত রাণীমা পরদিনই রওনা হলেন তারাপীঠের উদ্দেশ্যে। রাণীর আগমনে মন্দিরের সকলের ব‍্যস্ততা বেড়ে গেল। এরই মধ্যে রাণীর পাঠানো লোকজন এসে খবর দিল বামাক্ষ‍্যাপার সন্ধ‍‍ান পাওয়া গেছে। মন্দিরে প্রণাম সেরে রাণীমা গিয়ে হাজির হলেন বামাক্ষ‍্যাপার কুটিরে। কুটিরের সামনে দাঁড়িয়ে রাণীমা 'বাবা' বলে ডাকতেই ভেতর থেকে সদা সরল বামাক্ষ‍্যাপা বেরিয়ে এলেন। ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করে সেইদিনের ঘটনার জন্যে সকলের হয়ে রাণীমা ক্ষ‍্যাপার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। ক্ষ‍্যাপা বলেন- "আমাকে ওরা মেরেছে তো সেই কবে! আমি তো ভালো হয়ে গেছি। আর ক্ষমা? সে তো ঐ বেটি করতে পারে! আমার বড়মা'ই একমাত্র পারে ক্ষমা করতে।" রাণী তখন মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচালকদের ডেকে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান এবং নির্দেশ দেন- "ভবিষ‍্যতে ক্ষ‍্যাপাবাবার কোনো কাজে কেউ যেন বাঁধা না দেয়। আর যে ছেলের জন‍্যে মা না খেয়ে থাকেন, সেই ক্ষ‍্যাপাছেলের ভোগ আগে দিতে হবে; তারপর মায়ের ভোগ হবে।"

অর্কিড প্রিন্টার্স এন্ড পেপার হাউসের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
05/10/2022

অর্কিড প্রিন্টার্স এন্ড পেপার হাউসের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

ছোটবেলায় বামা পাড়ার বন্ধুদের সাথে মাটির মূর্তি বানিয়ে পুজো করতেন, ভাঙ্গা টিন দিয়ে ঢাক বাজাতেন, মাঠে গরু চরাতে যেতেন। রাখ...
29/09/2022

ছোটবেলায় বামা পাড়ার বন্ধুদের সাথে মাটির মূর্তি বানিয়ে পুজো করতেন, ভাঙ্গা টিন দিয়ে ঢাক বাজাতেন, মাঠে গরু চরাতে যেতেন। রাখাল বন্ধুদের সাথে মেশার ফলে অল্প বয়সেই বামা বিড়ি, হুঁকো, গ‍্যাঁজা প্রভৃতি খেতে শিখে গিয়েছিলেন। একদিন কয়েক বন্ধু মিলে প্রতিবেশি দুর্গাদাস সরকারের খড়েরগাদার আড়ালে গ‍্যাঁজা টেনে অসাবধানতাবশত গ‍্যাঁজার সেই কলকে খড়েরগাদায় ফেলে বন্ধুরা গরু চরাতে মাঠে চলে গেলেন। ধীরে ধীরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। পুকুর থেকে জল এনে সকলে আগুন নেভাতে ব‍‍্যস্ত। ক্রমে আগুনের লেলিহান শিখা উপরদিকে উঠতে থাকল। আগুন দেখে মাঠ থেকে ছুটে এসে বামার বন্ধুরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালো। কিন্তু বামা একপাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে খুব নাচছে আর আগুনের দিকে তাকিয়ে বলছে- 'আমার বড়মায়ের লকলকে জিব।' তাঁর কান্ড দেখে উপস্থিত সমাজপতিরা রেগে গিয়ে ঐসব কথা বলার কারণ জানতে চাইলে বামা বলেন- 'তা আমি কি করব! মা আমাকে আগুন ফেলতে বলেছে তাই এখানে আগুন ফেলেছি। আমার কী দোষ?' কথা শুনে সমাজপতিরা বামাকে মারতে শুরু করল। অনেকে বলল- 'ওকে মেরে ফেলো। নইলে আবার কারো ঘরে আগুন লাগিয়ে বলবে মা আগুন লাগাতে বলেছে। শালাকে আগুনে ফেলে দে...।' সমাজপতিদের নির্দেশে বামাকে আগুনে ফেলে দেওয়া হল। খবর পেয়ে বাড়িতে বামার মা মূর্ছা গেছেন, বাবা পাগলের মতো করছেন। ভাইবোন, প্রতিবেশি অনেকে শোকে পাথর হয়ে গেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। অনেক চেষ্টায় আগুন নিভেছে, বামার দেহাবশেষ খোঁজার চেষ্টা চলছে।
তখন বামার দুই প্রতিবেশি আত্মীয়বাড়ি থেকে দ্বারকা নদীর তীরবর্তী চন্ডীপুর শ্মশানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। শ্মশানের কাছে বামাকে দেখতে পেয়ে ওরা জানতে চাইলেন- 'এই ক্ষ‍্যাপা, এখানে কী করছিস? চল বাড়ি যাবি।' বামার উত্তর- 'তোমরা যাও আমি যাবো না; মা আমাকে এখানে খেলতে বললে তাই খেলছি।' কয়েকবার বামার কাছ থেকে একই উত্তর শুনে ওরা ভাবলেন আশেপাশে কোথাও হয়তো ওর মা রয়েছেন, তাই তারা বাড়ি ফিরে এলেন। বাড়ি এসে শুনতে পেলেন বামাকে সমাজপতিরা আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, কিন্তু আগুনে বামার কোনো অংশই পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা বলেন- 'তা কী করে সম্ভব? এইমাত্র বামাকে দেখে এলাম শ্মশানঘাটের কাছে শিমুলতলায় বসে খেলা করছে। আনতে চাইলাম কিছুতেই এলো না। এদের কথায় উপস্থিত অনেকে বামাকে ফিরিয়ে আনতে মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
সমাজপতিদের প্রশ্নের উত্তরে বামা জানান- 'তোমরা যখন আমাকে আগুনে ফেলে দিলে তখন বড়মা (মা তারা) আমাকে কোলে নিয়ে নিলে। কি ঠান্ডা কোল গো! নিয়ে এসে এখানে নামিয়ে বললে, এখানে খেলা কর, ভয় নেই। তাই আমি খেলছি।' বাবা সর্বানন্দ বামাকে বুকে জড়িয়ে বলেন- 'বাড়ি চলো বাবা, তোমার মা কান্নাকাটি করছেন।' জন্মদাত্রী ছোটমায়ের কান্নার কথা শুনে বামা বাড়ি ফিরতে রাজি হলেন। বাড়ি আসতেই বামাকে জড়িয়ে ধরে মা খুব কাঁদছেন আর বলছেন- 'তোর কতো লেগেছে না রে?' মাকে শান্তনা দিয়ে বামা বলেন- 'তুই কাঁদছিস মা? বড়মায়ের হাতের ছোঁয়ায় সব যন্ত্রণা ভালো হয়ে গেছে। খেতে দে, খুব খিদে পেয়েছে।'

এঁদের সকলের পূর্ণাঙ্গ জীবনী এক বইতে "বারো সাধকের কথা"। বইয়ের জন‍্যে WhatsApp No.- 9732773828
18/09/2022

এঁদের সকলের পূর্ণাঙ্গ জীবনী এক বইতে "বারো সাধকের কথা"। বইয়ের জন‍্যে WhatsApp No.- 9732773828

মহাপুরুষদের জীবনধারা মনোরম হলেও জটিলতম রহস‍্যে আবৃত। "বারো সাধকের কথা" জীবনীগ্রন্থে বারোজন মহাপুরুষের পূর্ণাঙ্গ জীবনী  স...
24/05/2022

মহাপুরুষদের জীবনধারা মনোরম হলেও জটিলতম রহস‍্যে আবৃত। "বারো সাধকের কথা" জীবনীগ্রন্থে বারোজন মহাপুরুষের পূর্ণাঙ্গ জীবনী সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণিত হয়েছে। (📖WhatsApp: 9732773828)

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা-২০২২'এ এক ক্রেতার হাতে আমাদের প্রকাশিত বহুল বিক্রিত জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা"।
19/03/2022

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা-২০২২'এ এক ক্রেতার হাতে আমাদের প্রকাশিত বহুল বিক্রিত জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা"।

https://youtu.be/HR_r9Jnfu6c
27/02/2022

https://youtu.be/HR_r9Jnfu6c

🔵শিরোনাম: বারো সাধকের কথা।লেখক: হিমাদ্রি শিখর রায়।প্রকাশক: অর্কিড প্রকাশনী।ISBN: 978-93-5437-147-9ফরম‍্যাট: পেপারব‍্যাক।পৃষ.....

হিমাদ্রি শিখর রায়ের লেখা বারোজন মহাপুরুষের জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা" আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা'22 পাওয়া যাচ্ছে।
21/02/2022

হিমাদ্রি শিখর রায়ের লেখা বারোজন মহাপুরুষের জীবনীগ্রন্থ "বারো সাধকের কথা" আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা'22 পাওয়া যাচ্ছে।

বারোজন মহাপুরুষের রহস‍‍্যাবৃত মনোরম জীবনী বর্ণিত হয়েছে "বারো সাধকের কথা" গ্রন্থে। আধ‍্যাত্মপিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের প্রিয় এ...
17/02/2022

বারোজন মহাপুরুষের রহস‍‍্যাবৃত মনোরম জীবনী বর্ণিত হয়েছে "বারো সাধকের কথা" গ্রন্থে। আধ‍্যাত্মপিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের প্রিয় এই জীবনীগ্রন্থ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: WhatsApp # 9732773828

সুর সম্রাজ্ঞী, ভারতরত্ম লতা মঙ্গেশকরের চির বিদায়। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।
07/02/2022

সুর সম্রাজ্ঞী, ভারতরত্ম লতা মঙ্গেশকরের চির বিদায়। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।

শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস 🙏 বিনম্র শ্রদ্ধা।
26/01/2022

শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস 🙏 বিনম্র শ্রদ্ধা।

সাধু-ঋষি-যোগীরা অনুগামীদের একটি নির্দিষ্ট ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করেন। বারোজন মহাপুরুষের রহস‍‍্যাবৃত মনোরম জীবনী বর্ণিত হয়ে...
10/01/2022

সাধু-ঋষি-যোগীরা অনুগামীদের একটি নির্দিষ্ট ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করেন। বারোজন মহাপুরুষের রহস‍‍্যাবৃত মনোরম জীবনী বর্ণিত হয়েছে "বারো সাধকের কথা" গ্রন্থে। আধ‍্যাত্মপিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের প্রিয় এই বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: WhatsApp # 9732773828

"বারো সাধকের কথা" গ্রন্থে বারোজন মহাপুরুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন চিত্র বর্ণিত হয়েছে। আধ‍্যাত্মপিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের প্রয়োজনীয় ...
07/01/2022

"বারো সাধকের কথা" গ্রন্থে বারোজন মহাপুরুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন চিত্র বর্ণিত হয়েছে। আধ‍্যাত্মপিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের প্রয়োজনীয় এই বই আকর্ষনীয় অফারে আজই সংগ্রহ করুন। WhatsApp # 9732773828

Address

Simhat, Ward # 9, Haringhata Municipality, Dist./Nadia, Pin/
Haringhata
741249

Opening Hours

Monday 10am - 7pm
Tuesday 10am - 7pm
Wednesday 10am - 7pm
Thursday 10am - 7pm
Friday 10am - 7pm
Saturday 10am - 5pm

Telephone

+919732773828

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Orchid Printers and paper house posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Orchid Printers and paper house:

Share

Category


Other Haringhata media companies

Show All

You may also like