ASSAM & STUDO

ASSAM & STUDO ♥️assalamualaikum warahmatullahi borakatulla♥️ সবসময় থাকবে আমাকে সাপোর্ট করুন প্লিজ

22/04/2024

Benodon 😸😸😂😂

04/04/2024

Howrah to Pune live video

04/04/2024
█▓▒F░O░L░L░O░W▒▓█ Follow me 💚┊┊┊▕▔╲▂▂▂╱▔▏╭━━╮╭┈╮⠀╭┈╮╭━━╮╰╰╰┃▏╭╮⠀╭╮▕┃╯╯╯┈┃⠀┃▏┈┈▅┈┈▕┃⠀┃┈┃⠀┃▏┈╰┻╯┈▕┃⠀┃┈┃⠀╰█▓▒░M░E░▒▓█
29/03/2024

█▓▒F░O░L░L░O░W▒▓█ Follow me 💚
┊┊┊▕▔╲▂▂▂╱▔▏
╭━━╮╭┈╮⠀╭┈╮╭━━╮
╰╰╰┃▏╭╮⠀╭╮▕┃╯╯╯
┈┃⠀┃▏┈┈▅┈┈▕┃⠀┃
┈┃⠀┃▏┈╰┻╯┈▕┃⠀┃
┈┃⠀╰█▓▒░M░E░▒▓█

সকাল সকাল হাসাহাসির শব্দ পেয়ে সালমা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে দেখে উনার ছেলে তরকারি কাটছে আর ছেলের বউ রান্না করছে।  উনি রেগে গ...
22/03/2024

সকাল সকাল হাসাহাসির শব্দ পেয়ে সালমা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে দেখে উনার ছেলে তরকারি কাটছে আর ছেলের বউ রান্না করছে। উনি রেগে গিয়ে ছেলেকে বললেন,
-" কিরে, তুই এখনো দোকানে যাস নি? বউ নিয়ে যদি সারাক্ষণ রঙ ঢঙে মেতে থাকিস তাহলে সংসার আয় উন্নতিটা হবে কি করে শুনি?"

হুট করে মাকে রান্নাঘরে আসতে দেখে রাশেদ কিছুটা থতমত হয়ে বললো,
-"এইতো মা এখনি যাচ্ছি"
-"যাচ্ছি বলে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? বিয়ের আগে তো কখনো রান্নাঘরে উঁকিও দিতি না আর এখন বিয়ের পর বউয়ের কথাতে বাবুর্চি হয়ে গেছিস"

রাশেদ আর দেরি না করে তড়িঘড়ি করে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে গেলো....

রাতে বাসায় ফেরার সময় রাশেদ ওর বউয়ের জন্য একটা চানাচুরের প্যাকেট এনেছিলো। সেটা দেখে ওর মা বললো,
-" এখন বিয়ে করেছিস বউয়ের জন্য কত কি আনবি। মায়ের কথা তো মনেই হবে না"

রাশেদ শান্তভাবে ওর মাকে বললো,
-"আসলে মা লিমা( রাশেদের বউ) বললো ওর চানাচুর খেতে ইচ্ছে করছে তাই দোকান থেকে নিয়ে এসেছি। তোমার কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বলো। আমি নিয়ে আসি"

--" আমারও চানাচুর খেতে ইচ্ছে করছে?"

রাশেদ কিছু না বলে চানাচুরের প্যাকেটটা মায়ের হাতে দিয়ে চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলো। সে চাই না এইসব নিয়ে মায়ের সাথে ওর ঝামেলা হোক...

পরেরদিন রাশেদ যখন ভেজা কাপড়গুলো ছাদে শুকাতে দিচ্ছিলো তখন ওর মা ওকে বললো,
-"এই দিন দেখার জন্য আমি তোকে বিয়ে করিয়েছিলাম? ছিঃ ছিঃ ছিঃ তোর লজ্জা করে না মেয়ে মানুষের কাপড় ধুয়ে দিতে?

রাশেদ মাথা নিচু করে বললো,
-" আমি গোসলের পর দেখলাম বাথরুমে ওর ভেজা কাপড়গুলো রাখা। আমি ধুয়ে শুকাতে দিলাম শুধু। এতে তো লজ্জার কিছু নেই"

কথাটা বলে রাশেদ চলে যাচ্ছিলো। পিছন থেকে ওর মা চিৎকার করে বলতে লাগলো,
-"মুখপোড়া তোর লজ্জা লাগবে কি করে তুই তো বিয়ের পর ধোপা হয়ে গেছিস"----

আজ অনেকদিন পর সালমা বেগম আর উনাম স্বামী শওকত আলী মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছে। দুপুরের দিকে মেয়ে রিনা এসে মা সালমা বেগমকে বললো,
-" মা, তোমাদের জামাই তোমাদের জন্য কাঁচা টমেটো দিয়ে শোল মাছের পাতলা ঝোল রান্না করছে।ওর হাতে জাদু আছে। খেলেই বুঝবে ।"

সালমা বেগম হাসতে হাসতে বললো,
-"জামাই রান্না পারে?"
--" হুম মা, ও তো সব সময় আমায় রান্নার কাজে সাহায্য করে"---

রাতে মেয়ের জামাই যখন বাসায় ফিরলো তখন সালমা বেগম বললো,
-"বাবা অফিস থেকে ফিরতে এতো রাত হলো যে?"
মেয়ের জামাই তানিম হেসে বললো,
--"আর বলেন না যে মা, আপনার মেয়ে ফোন করে বললো ওর আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে। ওর প্রিয় আইসক্রিম নিয়ে আসতেই তো দেরি হলো। তা মা আপনি খাবেন আইসক্রিম?"
সালমা বেগম হেসে বললো,
-"না বাবা, আমি এইসব খাই না তুমি মেয়েকে দাও গিয়ে"

পরদিন সকালে সালমা বেগম খেয়াল করলো মেয়ের জামাই রিনাকে বলছে, "তোমার শরীর খারাপ। তোমার কাপড় ধুতে হবে না। অফিস যাবার আগে কাপড়গুলো আমি ধুয়ে রেখে যাবো"

এইসব দেখে সালমা বেগমের চোখ দিয়ে পানি এসে গেলো। স্ত্রীর চোখে পানি দেখে শওকত আলী সালমা বেগমকে বললো,
-" তুমি কাঁদছো কেন?"
সালমা বেগম চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,
-" আমার মেয়ের কপালে যে এতো সুখ জুটবে আমি আগে ভাবি নি। কত খেয়াল রাখে আমার মেয়েকে ওর স্বামী"

শওকত আলী হেসে বললো,
-" সমাজে একটা প্রচলিত কথা আছে। "আমার মেয়ের জামাই অনেক ভালো কারণ জামাই মেয়ের সব কথা শুনে। আমার নিজের ছেলেটা খুবই বদ, বউয়ের কথায় উঠে আর বসে"
মেয়ের জামাইয়ের যে কাজ গুলো দেখে আনন্দে তোমার চোখে জল এসে গেছে সেই একই কাজ গুলো তোমার ছেলে যখন তোমার বউয়ের সাথে করতো তখন তোমার রাগে গা জ্বলে যেতো। তোমার ছেলে রান্নাঘরে গেলে তোমার সহ্য হয় না। বউয়ের জন্য কিছু কিনে আনলে সহ্য হয়না। বউয়ের কাপড় ধুয়ে দিলেও তোমার সহ্য হয় না। অথচ তোমার মেয়ের জামাই সেইম কাজগুলো করছে কিন্তু তোমার আনন্দ হচ্ছে। আমরা যে সব সময় বলি ছেলের বউ কখনো শ্বাশুড়িকে মায়ের চোখে দেখতে পারে না। সমাজে কয়টা শ্বাশুড়ি আছে যে ছেলের বউকে নিজের মেয়ের চোখে দেখে?"

স্বামীর মুখ থেকে কথা গুলো শুনে সালমা বেগম বুঝতে পারলো উনার ভুলটা। পরদিন সালমা বেগম যখন নিজের বাসায় চলে আসে তখন খেয়াল করে উনার ছেলে চিরুনি দিয়ে বউয়ের চুল আছড়ে দিচ্ছি। মাকে হুট করে বাসায় দেখে ছেলে যখন কিছুটা ঘাবড়ে চিরুনিটা দূরে ফেলে দিলো তখন সালমা বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,
-" আমায় দেখে এমন বেহবাচেকা খেয়ে আছিস কেন? বউয়ের চুলেই তো আছড়ে দিচ্ছিস চুরি তো করছিলি না। তো ভয়ের কি আছে? আর শুন বউমার জন্য এইসব ছোট চানাচুরের প্যাকেট না এনে এককেজির একটা প্যাকেট আনা যায় না। চানাচুরের দাম তো আর লাখ টাকা না।"

কথাগুলো বলে সালমা বেগম নিজের রুমে চলে গেলেন। ছেলে আর ছেলের বউ মায়ের এমন কথা শুনে এইবার সত্যি সত্যিই বেহবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলো...

মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
আবুল বাশার পিয়াস
সমাপ্ত

সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।এইটা লেখকের নিজস্ব পেজ 🤍 NayaN-নয়ন

স্বামীর সাথে ঝগড়া'র এক পর্যায় তাকে বললাম,  "তোমার লাজ লজ্জা থাকলে আর কখনো আমায় কল করবা না।""কিহ্! এতো বড় কথা.... ঠিকাছে ...
22/03/2024

স্বামীর সাথে ঝগড়া'র এক পর্যায় তাকে বললাম, "তোমার লাজ লজ্জা থাকলে আর কখনো আমায় কল করবা না।"

"কিহ্! এতো বড় কথা.... ঠিকাছে আর জীবনেও তোমাকে কল করবো না আমি।"

এই বলেই কল কেটে দিলো, বর। দেয় দিক। উনার সাথে কথা না বললে কি ম-রে যাবে আমি?

কত বড় সাহস! আধাঘন্টা ধরে কল ওয়েটিং। আমিও একের পর এক কল, মেসেজ দিয়ে গেছি। নো রেসপন্স। পরে আবার ধমক দিয়ে বলে,

"কি সমস্যা? দেখছো কল ওয়েটিং তারপরও এতো কল করছিলে কেন? বসের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি, অফিসে ঝামেলা চলছে। তুমি একটু ওয়েট করতে পারতে না? আমি তো কথা শেষ হলেই কল ব্যাক করতাম তোমায়। শুধুশুধু বসের ধমক খেতে হলো।"

"ওহ্ আচ্ছা, এই ব্যাপার। আমি তোমাকে বিরক্ত করছি? ঠিক আছে, আর জীবনেও কল করবো না তোমায়। বুঝি তো... ওটা বস ছিলো না-কি অন্য কেউ। সে আমি বুঝে গিয়েছি। থাকো তারে নিয়া।রিলাক্সে কথা বলো। আরো কথা বলো। কেউ তোমাকে ডিস্টার্ব করবে না।"

"এ্যাই... একদম ফা'ল'তু কথা বলবা না বলে দিলাম।"

ব্যাস এভাবেই কথা কাটাকাটি হতে হতে বড়সড় ঝগড়া লেগে গেলো। বরের সাথে তর্কে জিততে না পেরে আমিও বলে দিলাম,

"তুমি আর কখনো কল করবা না আমায়।"

ঝগড়ার এক ঘন্টা পর....

বারবার ফোন হাতে নিয়ে দেখছি, উনি কল করলো কি-না। না একটা বারও কল দেয়নি লোকটা। স্বার্থপর! আমি না হয় রাগ করেই বলছি, কল দিবা না। তাই বলে উনিও কল দিবেনা। এটা কোনো কথা? আমার প্রচুর মন খারাপ হলো...

দুই ঘন্টা হলো। কি ব্যাপার... উনি কি আমায় সত্যিই আর কল করবে না? আচ্ছা আমি একবার কল দিবো না-কি? না থাক, আর একটু অপেক্ষা করে দেখি। এভাবে খেতে খেতে ফোন চেক করছি, বিকেলে ঘুমের মধ্যেও ফোন হাতে নিয়ে ঘুমিয়েছি। এমন কি বাথরুমেও ফোন নিয়ে গেছি। এভাবেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এখনো কল করলো না, মানুষটা। মন খারাপ হলো। নিজেও কল করতে পারছি না, কারণ আমি তো রেগে আছি। এরিমধ্যে হঠাৎ উনার কল আসলো। সাথে সাথে আমার মুখে হাসি ফুটলো। কিন্তু, কল রিসিভ না করে কেটে দিলাম আগে। কারণ এতো তাড়াতাড়ি রিসিভ করা যাবে। তাহলেই ভাববে, আমি উনার কলের অপেক্ষা করছিলাম। কলটা কা'ট'তে পেরে মনটা খুশি-খুশি।

"ইয়াহহ! জিতে গেছি, জিতে গেছি! ফাস্ট কল উনিই করলো, আমি না।"

(সমাপ্ত)

#অণুগল্পঃজিতে_গেছি
নতুন নতুন গল্প পেতে আমার আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন।

মেয়ে - এই চুপ করে আছ যে  ? ছেলে - ভাবছি 🤔🤔মেয়ে - কি? ছেলে - তোমাকে কবে বিয়ে করবো৷।। মেয়ে -  আমার বয়েই গেছে তোমাকে বিয়ে ক...
22/03/2024

মেয়ে - এই চুপ করে আছ যে ?
ছেলে - ভাবছি 🤔🤔
মেয়ে - কি?
ছেলে - তোমাকে কবে বিয়ে করবো৷।।
মেয়ে - আমার বয়েই গেছে তোমাকে বিয়ে করতে 😋😋
ছেলে - দরকার পরলে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবো"!
মেয়ে - এহ!
ছেলে - এহ কি?
মেয়ে - তুমি পারবা না!
ছেলে - পারবো না কেন?
মেয়ে - তুমি আমার আব্বু কে দেখলেই দৌড় দিয়ে পালায় চলে যাবা!
ছেলে - আমি কাউকে ভয় পাইনা!
মেয়ে - তাই নাকি?
ছেলে - ইয়ে মানে শশুড় কি খুব রাগী?
মেয়ে - শশুড় কে? 😒
ছেলে - না মানে তোমার আব্বু! 😫
মেয়ে - হ্যা অনেক! 😂
ছেলে - তো? আমি কি ভয় পাই? দরকার পরলে বন্ধুদের নিয়ে যাবো! বন্ধুরা তোমার আব্বুকে ট্যাকেল দিবে! আর তোমার যা শরীর আমি একাই কোলে নিয়ে আসতে পারবো!..
মেয়ে - আমার যা শরীর মানে কি? 😒
ছেলে - খুব ছোট আকৃতির। 🤣🤣
মেয়ে - মানে? 😒
ছেলে - কিছুনা 😖
মেয়ে - আম্মু বলে, আমি খুব ভাল কামড় দিতে পারি! 😁
ছেলে - তুমি আমাকে কামড় দিতে পারবা? 😞
মেয়ে - ওমা কোলে করে নিয়ে গেলে আমি কামড় দিয়ে নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করবো না?
ছেলে - কামড় দিলেও নিয়ে যাবো কোলে করে!! 😒
মেয়ে - আমি আবার টুকটাক ক্যারাটেও পারি!
ছেলে - তো?
মেয়ে - না মানে বলে রাখলাম।
ছেলে - আমি তোমাকেই কোলে করে নিয়ে পালিয়ে যাবো আর তোমাকেই বিয়ে করবো!

মেয়ে - এহ বললেই হলো!!
ছেলে - বললেই হলো মানে কি! আমাকে তুমি বিয়ে করবা না!! 😫
মেয়ে - পাগল আমাকে বিয়ে করার জন্য এতো কিছু করা লাগবে না! আমি ই ফ্যামিলি কে ম্যানেজ করবো!ফ্যামিলির ম্যানেজের পর ই আমরা বিয়ে করবো! 😊
ছেলে - তুমি পারবে তো? 😍
মেয়ে - ভালবাসতে যখন পেরেছি, তখন এটা পারতে আর কতটুকু কষ্ট হবে বলো!
ছেলে - দিয়া ? ☺
মেয়ে - হ্যা বলো?
ছেলে - অনেক ভালবাসি তোমাকে! 💜
মেয়ে - আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি পাগল❤❤❤,

:-আজ রাইতে যদি তুই চিৎকার করছ, তাইলে তোরে আমি তালাক দিমু ! ওই ,তুই আমার বিয়া করা বউ তোর শরিলে আমার হাত দেওয়া জায়েজ আছে ...
21/03/2024

:-আজ রাইতে যদি তুই চিৎকার করছ, তাইলে তোরে আমি তালাক দিমু ! ওই ,তুই আমার বিয়া করা বউ তোর শরিলে আমার হাত দেওয়া জায়েজ আছে ।
,
:- দ্যাহেন , আপনারে আমার ভয় লাগে । আল্লার দোহাই লাগে আমারে ছুইয়েন না।

,
:- কি কইলি , আমারে ভয় লাগে । আমার আগে কয়জনরে মধু খাওয়াইছোস ?
,
:- ছি ছি , আপনে মানুষ না একটা অমানুষ । আমারে ছাইড়া দেন আমি মায়ের কাছে যামু।

,

এই বলেই রুপ কাঁদতে লাগলো। রুপের বয়স মাত্র তেরো বছর । বিয়ে হয়েছে একটা পয়তিশ বছরের লোকের সাথে । রুপের বাবা দিনমজুর করে । অভাবের সংসার । রুপের মা বাসায় বাসায় কাজ করে । রুপ কে অনেক কষ্ট করে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়িয়েছে। রুপের বাবাকে তাঁর বন্ধু একদিন ডেকে বললো ,

,
:- কি খবর রামিজ মিয়া ?মাইয়ারে আর কতো পড়াইবা? মাইয়াগো এতো পড়োনের কাম কি ! তাঁরে বিয়া দিয়া দাও সংসার করুক তোমার টাকা পয়সা ও বাচবো আর মাইয়া সুখে ও থাকবো ।

,
:- তুমি ঠিকই কইছো। কিন্তু ভাল পোলা কই পামু ? আমার অবস্থা তো জানো, নুন আনতে পান্তা ফোরায়। কেডা বিয়ে করবে । আর আমার যৌতুক দেওনের ও ক্ষমতা নেই।

,
:-আমার কাছে একটা ভাল পোলা আছে ।বিরাট বড়োলোক। তোমার মাইয়া সুখে থাকবো। কিন্তু কথা হইলো ?

,
:- কিন্তু কি কও ?

,
:- হেই পোলার বউ আছে । তিনডা মাইয়া আছে সাথে । কিন্তু তাগো পোলা লাগবো বংশের বাতি জ্বালানোর জন্য । তোমার মাইয়ারে হের লগে বিয়া দাও দেইখো রাজরানির মতো রাখবে ।

,
:- কওকি , ! আমার মাইয়া করবো সতিনের সংসার ?
না না এইডা সম্ভব না।

,
:- রামিজ মিয়া ! তুমি কি পাগল হইছো কতো বড়ো খানদানি বংশের বউ হবো তোমার মাইয়া । ছেলে দেখতে শুনতে ও ভাল । এহন তুমি ভাইবা দ্যাহ। তুমি আমার ছোট কালের বন্ধু তাই তোমারে কথাডা কইলাম।

এই বলেই সে চলে গেল । রামিজ চিন্তিত মনে বাড়িতে আসলো। আসতেই ফুলবানু বললো ,

,
:- কি গো রুপের বাপ ! খালি হাতে বাড়িতে আইলেন ?
রুপের স্কুল ব্যাগ কই ? মাইয়াডা দুইদিন ধরে খায় না কিছু। হ্যার স্কুল ব্যাগ লাগবো।

,
:- রুপ রে আর পড়ামু না। হ্যারে বিয়া দিমু।

,
:- কি কন এই সব। আপনের কি মাথা খারাপ হইছে । ওইটুকু মাইয়ারে বিয়া দেবেন ?

,
: - তোমার লগে আমার যহন বিয়া হয় তুমিও ওইটুকু ছিলা। খানদানি ঘরের পোলা । আমাগো রুপ সুখী হইবো। আইজ আমার লগে বশিরের কথা হইছে হেই বলছে পোলার কথা । যাও মাইয়ারে বাইরে বেশি যাইতে দিও না।

,
:- কিন্তু আমার ওইটুকু মাইয়া আরো দুইএক বছর লেহাপড়া করাইলে ভাল হইতো না।

,

:- বেশি বুঝবা না। হেই পোলার বউ আর তিনডা মাইয়া আছে । তাগো খানদানে পোলা দরকার আমাগো রুপের একটা পোলা হইলে ওরা মাথায় তুলে রাখবো।
,
:- হায় হায় কন কি ! আমার মাইয়া সতিনের সংসার করবো আপনি বাপ হইয়া মাইয়ারে সতিনের ঘরে দেবেন ।
,
:- বেশি বুঝবি না। তিন তালাক দিয়ে বাপের বাড়িতে পাঠায় দিমু। যা রুপ রে ঘরে নিয়ে আয়। খেলাধুলা অনেক হইছে ।

এই বলেই হনহন করে বন্ধুর সাথে কথা বলতে চলে গেল ।
রসুলপুর গ্রাম ,

এই গ্রামের সব থেকে ধনী রাশেদ চৌধুরি। উনার সাত বোন। সবাই শ্বশুর বাড়িতে । বংশের একমাত্র ছেলে রাশেদ একাই। বাবা মায়ের পছন্দ করা মেয়ে কে বিয়ে করেছিল পনেরো বছর আগেই । পরপর তিনটি মেয়ে হয়ে তাঁর আশঙ্কা হতে লাগলো হয়তো তাদের বংশ ধরে রাখার কেউ রইলো না। অনেক ভেবে চিন্তা করে ঠিক করলো আবার বিয়ে করবে । তাইতো চারিদিকে লোক পাঠিয়ে দিল। রাশেদ দেখতে শুনতে ভাল । ঠাণ্ডা মেজাজের ও বটে । কিন্তু রেগে গেলে খুব কঠিন রুপ ধারণ করে । মুখে যা আসে তাই বলে ।

রামিজ রসুলপুর গ্রামে আসলো বন্ধুর সাথে । সব কথা বার্তা ঠিক করতে । রাশেদের বাড়ি ঘর দেখে পছন্দ হলো। রাশেদ ও রুপের ছবি দেখে পছন্দ করলো। যদিও মেয়েটার বয়স কম। কিন্তু এটা আজকাল কোনও ব্যাপার না। দিন তারিখ ঠিক করে রামিজ ফিরে এলো।

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো। রাশেদ আগের থেকেই রামিজের কাছে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। বিয়ের খরচের জন্য । গহনা শাড়ি কাপড় কোনও কিছূর কমতি নেই।

আজ বিয়ে ,

সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখে রুপ ঘরে নিয়ে । খুবই সাদামাঠা বিয়ে হবে এটা রাশেদের ইচ্ছে । তাই লোকজন তেমন যানেনা।রুপের মা মেয়ে কে খেলার মাঠে পেলেন । সেখান থেকে মেয়ে কে ধরে এনে ভাল করে গোসল করিয়ে সাজাতে বসলেন ,

,,
রুপ হা করে সব কিছু দেখে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো ,

:- মা ! আইজ আমারে এতো সাজাও কেন ? আমরা বেড়াইতে যামু বুঝি ?

রুপের মা কেঁদে দিয়ে বললো ,

:- মারে , আজ তোর বিয়া ।

রুপ আরো অবাক হয়ে মাকে বললো.......

অবেলায় ঝরে যাওয়া
পর্ব এক
অধরা জেরিন

গল্পটা ভালো লাগলে পরের পর্ব দিব।। না হলে আর দিব না।।
তাই সবাই মতামত জানাবেন প্লিজ🥀❤️

আর আমাদের নতুন পেজ অনেক মজার মজার পোস্ট করা হয় প্লিয ফলো করে রাখুন - মা য়া র শি ক ল ヅ

ইন্ডিয়াতে তরমুজ খায় ৩০-৪০ রুপি পিস (স্ট্যান্ডার্ড সাইজ)আর আমাদের দেশের মানুষ নাকি ৭০০-৮০০ টাকা পিস তরমুজ খায়! হায়রে জুল...
21/03/2024

ইন্ডিয়াতে তরমুজ খায় ৩০-৪০ রুপি পিস (স্ট্যান্ডার্ড সাইজ)
আর আমাদের দেশের মানুষ নাকি ৭০০-৮০০ টাকা পিস তরমুজ খায়! হায়রে জুলুম!
অথচ আপনারাও কিন্তু ৬০-৭০ টাকা পিস তরমুজ খেতে পারতেন যদি না সিন্ডিকেট না করা হতো। কারন কৃষক কিন্তু ৪০-৫০ টাকা পিসেই বিক্রি করে দেয়!
এ সিন্ডিকেট ভাঙার কেউ নাই?
প্রশাসন নাহয় নাই করলো। সব বিষয় তাদের আশায় বসে থাকলেও চলবেনা! কোনো আলেম উদ্যোক্তা কিংবা তরুন উদ্যোক্তা?
অনেকেই বলছে তরমুজ বয়কট করুন, পচে যাবে নস্ট হয়ে যাবে তারপর দাম কমে যাবে অটোমেটিক! কয়টা জিনিস আপনি বয়কট করবেন? সব জিনিসের দামই তো নাগালের বাহিরে। ঠিকাছে আপনি বয়কট করলেন,
কিন্তু দেশের অধিকাংশ পয়সাওয়ালারা দাম দিয়েই কিনবে। সিন্ডিকেট বিক্রেতারা ১০ পিস কিনে ১ পিস সেই দামে বিক্রি করে তারা পার পেয়ে যাবে।
কিন্তু মাঝখান থেকে ভুক্তভোগী আপনি হবেন, আপনার বাচ্চা আপনার পরিবার ফল থেকে বঞ্চিত হবে!
সিন্ডিকেট ভাঙুন। মজুদদার এবং সিন্ডিকেটদের ধরে পিটান!
পিক কালেক্ট

রিকশায় পাশে বসা মেয়েটাকে ঘন্টাখানেক আগে বিয়ে করেছি আমি,তাও সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিতভাবে। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু রিয়াদের বোন ...
21/03/2024

রিকশায় পাশে বসা মেয়েটাকে ঘন্টাখানেক আগে বিয়ে করেছি আমি,তাও সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিতভাবে। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু রিয়াদের বোন অনামিকা। আজ ওর বিয়ে খেতেই রিয়াদের বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি! অনামিকার হবু স্বামী তার প্রেমিকার সাথে পালিয়ে গিয়ে বিপদে ফেলে দিলো আমাকে। আমার সকল অসুবিধার কথা জেনেও রিয়াদ যখন আমার সামনে হাত জোড় করলো, ফিরিয়ে দিতে পারিনি আর। তবুও বলেছিলাম,
--আমার সব তুই জানিস,রিয়াদ। এখনও এমবিএ কমপ্লিট করতে পারলাম না,নিজে চলি টিউশনি করে। থাকি চাচার বাসায়। এর মধ্যে তোর বোনকে নিয়ে থাকবো কোথায়? খাওয়াবো কি?
জবাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে রিয়াদ বলেছিলো,
--আমার বোনও কোন রাজরানী নয়,আবির। অভাবের সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছে ও। সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে পারবে, তুই দেখিস। আমি তো তোকে জানি,আমার বোনকে কখনও কষ্ট দিবিনা তুই।
ওর এসব কথাতেই অনামিকাকে আমার নিসঙ্গ জীবনের সাথে জড়াতে হলো।
অনামিকার মুখের দিকে তাকাতেই আমার হাতের উপর থেকে ওর হাত সরিয়ে নিলো। ধীর কন্ঠে বললো,
--এত দুশ্চিন্তা করবেন না। আল্লাহ সব ঠিক করে দিবে।
ওর সুন্দর মুখটার দিকে তাকিয়ে ম্লান হাসলাম। ওতো আর আমার পরিস্থিতি জানে না।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে চাচা চাচীর কাছেই থাকি আমি। চাচা অনেক শান্ত স্বভাবের মানুষ।কিন্তু চাচী ঠিক তার উল্টো। ভয়ংকর রাগী মানুষটাকে জমের মতো ভয় পাই আমি। পান থেকে চুন খসলেই এমন অবস্থা করে যেন ক্যাক করে গলাটা টিপে দেবে। অবশ্য চাচীকে নিজের ছেলের সাথেও কখনো আহ্লাদ করতে দেখিনি আমি। তাই বুঝতে পারিনা আমাকে ভালোবাসেন নাকি ঝামেলা মনে করেন।আট দিন হলো আমার সেই চাচীর জরায়ুর অপারেশন হয়েছে। আজ চাচীকে হসপিটাল থেকে রিলিজ দেয়ার কথা। চাচা অনেক বলেছিলো, বিয়েতে না গিয়ে রিলিজের সময় চাচার সাথে থাকার জন্যে। কিন্তু আমিই জোর করে গিয়েছিলাম,রিয়াদের বোনের বিয়ে বলে কথা! এতক্ষণে হয়তো চাচীকে নিয়ে এসেছে।
রিকশা থেকে নেমে দাড়ালাম। প্রচন্ড ভয় নিয়ে কলিংবেল বাজালাম। আমার পাশে দাড়িয়ে চোখ বুলিয়ে চারপাশ দেখছে অনামিকা।
চাচার ছোট্ট একটা একতলা বাড়ি। বসার ঘর আর রান্নাঘর ছাড়া একটা মাত্র শোবার ঘর আছে। শোবার ঘরটা চাচা-চাচীর। বসার ঘরের একপাশে সোফা আর অন্যপাশে একটা সিঙ্গেল খাটে আমি ঘুমাই।খাটের সাথে লাগোয়া ছোট টেবিলে একটার উপর একটা বই রেখে পাহাড় বানিয়ে রাখি।

আমার বিয়ে নিয়ে যতোটা ঝামেলা হবে ভেবেছিলাম,ততটা হলো না। চাচীকে বরং খুশিই মনে হলো। অপারেশনের কারনে বেডরেষ্টে থাকা অবস্থায় একজন হেলপার অবশ্য তার দরকার ছিলো। চাচা শুধু রাগান্বিত স্বরে একবার বললো,
--এজন্যেই আজ এতো তাড়া ছিলো তোর?থাকবেই তো,বিয়ে তো আর খেতে যাসনি,করতে গিয়েছিলি।
আমি সাথে সাথে মুখ কাচুমাচু করে বললাম,
--বিয়ে তো আরও ১৫ দিন আগে করেছি,চাচা। চাচী নেই দেখে বাসায় আনিনি। আমার আর কে আছে বলো,চাচীই তো আমার সব।
চাচা-চাচী একে অন্যের মুখের দিকে তাকালো। কিছু বললো না। বালিশের নিচ থেকে চাবি নিয়ে অনামিকার দিকে বাড়িয়ে দিলো চাচী।
--যাও,একটা শাড়ি নিয়ে বেনারসি টা পাল্টে নাও। ১৫ দিন আগে বিয়ে করে আজ আবার বউ সাজা কেন শুনি?যত্তসব ঢং!
অনামিকা কিছু না বলে আলমারির দিকে এগিয়ে গেলো। আমি আর চাচা বেরিয়ে এলাম বাইরে। মনে স্বস্তি পেলাম আমি,যাক ঝামেলাটা মিটেছে।
সবুজ রঙের একটা জামদানি শাড়ি পরে অনামিকা যখন বেরিয়ে এলো,আমার নিঃশ্বাস কিছুক্ষনের জন্যে আটকে গেলো। ও কি আসলেই এত্ত সুন্দর? কই আগে তো এমন লাগেনি। নাকি এখন আমার বউ বলে লাগছে?
আমার মনে একটা ক্ষীণ আশা ছিলো, হয়তো চাচী বলবেন, "যেমন বিয়ে করেছো তেমন রাখোগে বউকে নিজের বিছানায় ঠেলাঠেলি করে। আমার ঘরে জায়গা নেই।" কিন্তু চাচী আমার আশায় জল ঢেলে দিয়ে চাচাকে বসার ঘরের মেঝেতে বিছানা করতে বললো।তারমানে অনামিকা চাচীর সাথে ঘুমাবে। চাচা মিনমিন করে একবার বললো,
--ওদের নতুন বিয়ে,একসাথে থাকা উচিত না?
--১৫দিন হলো বিয়ে করেছে, একসাথে না থেকে বাকি রেখেছে বুঝি? হাজার হোক,তোমার ভাইপো বলে কথা!
চাচীর কথায় অবাক হয়ে চাচার দিকে তাকালাম আমি। চাচা মুখ ফিরিয়ে নিলো।
ওই মুহুর্তে আমার নিজেকে কষে ২টা থাপ্পর লাগাতে মন চাইছিলো। কি দরকার ছিলো ১৫ দিন আগে বিয়ে করেছি বলার??
চাচা বিছানা করে শোবার ঘরে যেতেই অনামিকাকে ডাক দিলাম আমি,
--অনু,তোমার ভাই ফোন করেছে, একটু এসো তো।
অনু ধীর পায়ে এসে আমার পাশে আমার ছোট্ট বিছানায় বসলো। এতো ভালো লাগছিলো আমার, নিজেকে অনেক সুখী মনে হচ্ছিলো।
--ফোন কোথায়? অনুই প্রথম বললো।
--তোমার আসতে দেরী হচ্ছিলো,তাই রেখে দিলো। নির্দ্বিধায় মিথ্যা বললাম আমি।
অনু উঠতে যাচ্ছিলো,ওর হাতটা ধরলাম আমি।
--একটু বসো। চাচা আসলে যেও।
অনু বসলো মাথাটা নিচু করে। আমি ওর হাতটা ছাড়লাম না। শক্ত করে ধরে রাখলাম। এতো অস্থির লাগছিলো আমার,ইচ্ছা করছিলো ওর মাথায় তুলে দেয়া আচঁলটা ফেলে দেই। ওর চুলের ঘ্রাণ নেই। আমি কখনও মেয়েদের চুলের ঘ্রাণ নেইনি। জানিনা সেটা কেমন হয়। কিন্তু আজ জানতে ইচ্ছা করছে। কি বলবো ভেবে না পেয়ে বললাম,
--চাচীর কথায় মন খারাপ করো না। উনি এমনই।
অনু কিছু বললো না। আগের মতোই বসে রইলো। আমি একটু ইতস্তত করে বললাম,
--ক্ষুধা লেগেছে?কিছু খাবে?
--না। খেতে ইচ্ছা করছে না। মনে মনে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম আমি। অনু খেতে চাইলে ওকে খাবার দেয়া আমার জন্য এখন একরকম অসম্ভব ছিলো।
চাচা আসার সাথে সাথেই চলে গেলো অনু। আর আমার শুরু হলো অস্থিরতা। ঘুম আসার নাম নেই। বারবার মনে হচ্ছিলো সব ঠিক থাকলে আজ আমাদের বাসর হতো! প্রথমবার নিজের এতিম হওয়ায়,একটা ঘর না থাকায় প্রচন্ড আফসোস হলো। আহারে, বিয়ে ভাঙার টেনশনে মেয়েটা রাতেও হয়তো কিছু খায়নি। এতো বড় একটা রাত না খেয়ে কাটাবে!! সারা রাত একফোঁটা ঘুম হলোনা আমার। নিজেরই অবাক লাগছিলো,হচ্ছে কি এসব? কাল পর্যন্ত তো আমার একটা বউ ছিলো না। আর আজ বিয়ে হতে না হতেই বউকে কাছে পাবার এতো আকুলতা কেনো?

চাচা আর চাচাত ভাই দুজনই সিলেটে কাজ করে। ওখানেই থাকে। ছুটি পেলে বাড়ি আসে। এবার চাচীর অপারেশনের জন্যে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলো চাচা। আমি মনে মনে অপেক্ষা করছিলাম,চাচা সিলেট চলে গেলে হয়তেো অনু বসার ঘরে থাকবে,আমার সাথে। কিন্তু আমার সে আশাও গুড়েবালি। চাচা যাওয়ার পরও চাচী অনুকে নিজের সাথেই রাখলেন। আর আমি অনুর এতটুকু ছোঁয়া,একটু দেখা পাওয়ার আশায় তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে থাকি।জীবনটা পুরো পুরি বদলে গেল আমার।চাচী সংসারের পুরো হাল ছেড়ে দিলেন অনুর উপর। রান্না থেকে শুরু করে সব সিদ্ধান্ত নেয়ার ভারও অনুকে দিলেন। আর অনু?দিনভর কাজ করেও রাতে চাচীর সেবা যত্নে বিন্দুমাত্র অলসতা নেই তার। স্বামীর সোহাগ ছাড়া সংসারে মনের সুখে ঘরকন্না করছে সে। এদিকে আমি ক্যাম্পাসে জোড়া জোড়া কপোত কপোতি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। প্রচন্ড আফসোস হয়,নিজের প্রতি। ভাগ্যটা এত্তো খারাপ কেন আমার। প্রায় প্রতিদিনই বাসায় চাচীর বকা খাই, অনুর পেছনে ঘুরঘুর করার অপরাধে!! নিজেকে অনেক বেশি অসহায় লাগে,যখন দেখি চাচীর বকা দেয়া দেখে অনুও মুখ টিপে হাসে! মাঝে মাঝে এতো অস্থির লাগে মনে হয় অনুকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাই,অন্তত ওকে কাছে তো পাবো।
এভাবেই কাটছিলো সময়। আমার বিয়ের মাস ছয়েক পরের কথা। আমি তখন বিসিএসের জন্য হুলস্থুল পড়ছি। এক সপ্তাহ পরেই প্রিলি। যদি কোনভাবে পাশ করে যাই। যদি একটা সরকারি কোয়ার্টার পাই!! অনু আর আমার সত্যিকারের সংসার শুরু হবে তখন! স্বপ্ন বাস্তব করতে দিনরাত এক করে পড়ছি। এরমধ্যে বর্ষার এক রাতে প্রচন্ড জ্বর এল আমার। বই রেখে কম্বল মুড়ি দিলাম। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখি কপালে জলপট্টি,আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে অনু। মুহূর্তের মধ্যে নিজের উতপ্ত হাত দিয়ে ওর হাতটা মুঠো করে নিলাম। ভাঙা স্বরে বললাম,
--চাচী দেখেনি আসতে?
একহাতে চোখের পানি মুছে অনু বললো,
--দেখেছে। বলেছি যে আপনার অনেক জ্বর,নিজে এসে দেখেও গেছে। তাই আর কিছু বলেনি।
বাইরে তখন বর্ষার তুমুল বর্ষণ। বামহাতে জলপট্টিটা নিয়ে নিজের মাথাটা অনুর কোলে তুলে দিলাম আমি। দুহাতে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে পেটে নাক ডুবালাম। মনে মনে ভাবলাম, জ্বর এতো ভালো কেন? এই জ্বর আমার আগে হলোনা কেনো? সেরাতে আমার আফসোসগুলো দিক পরিবর্তন করে ক্যাম্পাসের সেই প্রেমিকদের প্রতি চলে গেলো। পার্কে বসে হাত ধরে,বাদাম খেতে তো সবাই পারে; এমন বর্ষার রাতে প্রচন্ড জ্বর নিয়ে প্রেয়সীর কোলে মাথা কয়জন রাখতে পারে??

#আফসোস
Sumaiya Siya

""একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্যের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর আর্তনাদ"" আজকেই আমার বিয়ে হলো। বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুড়বাড়ি এসেছি কিছুক...
21/03/2024

""একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্যের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর আর্তনাদ"" আজকেই আমার বিয়ে হলো। বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুড়বাড়ি এসেছি কিছুক্ষণ হলো। চারদিকে আত্মীয় স্বজন দিয়ে ভর্তি। আমাকে ঘিরে সবাই গল্প করছে। চেনা বলতে এখানে তেমন কেউই নেই। তার উপর উনাকেও দেখছি না। উনার কথা ভাবতে ভাবতে দুমাস আগের কথা মনে পড়ে গেল। তিনি সহ আর ও কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গিয়েছিলেন আমাদের কলেজে। সিলিন্ডারে আ'গুন লাগলে কিভাবে নিভাতে হয় তা শেখাতে। অনেকজনকে শেখাচ্ছিল, আমি কিছুতেই এগোচ্ছিলাম না কারণ আমি আ'গুনে খুব ভয় পাই। আমার কান্ড দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছিল এত বড় মেয়ে এসবে ভয় পাই বলে। তিনি আমাকে সব বুঝিয়ে দেওয়ার পর ও আমি যখন তাও এগোচ্ছিলাম না তখন তিনি আমাকে সেটা কিভাবে নিভাতে হয় তা করিয়েই ছেড়েছিলেন। তার দেড়মাস পর আমার বিয়ের সম্বন্ধ আসে তার সাথে। পরে জানতে পেরেছিলাম কলেজ থেকে কাউকে দিয়ে আমার সম্পর্কে সব জেনে সম্বন্ধ পাঠিয়েছিলেন। আমার পরিবার ও রাজি হয়ে গিয়েছিল। ভালো ছেলে, দেখতে সুদর্শন, ভালো চাকরি, পরিবার ভাল ইত্যাদি কোনদিক দিয়ে কোন সমস্যা ছিল না।অতঃপর আজকে বিয়েটা হয়েই গেল। একথা সেকথা ভাবতে ভাবতে তিনি এসে আমার নিরবতা ভাঙলেন। সবার সামনে বললেন আয়শা একটু এদিকে এসো তো কথা আছে। চারপাশে সবাই একসাথে হেসে উঠলো, বলল যাও যাও তোমার বর তোমাকে চোখে হারাচ্ছে। আমি উঠতেই তিনি আমাকে টেনে রুমে নিয়ে গেলেন।দরজা আটকে দিলেন, আমি কিছু বলব বলে মুখ খুলতেই তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমি হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।কিছুক্ষণ পর নিজেই ছেড়ে দিয়ে বললেন, জানো আয়েশা আমি যেদিন তোমাকে প্রথম দেখি সেদিনই তোমাকে ভালোবেসে ফেলি,তাই তোমাকে অন্য কাউকে হতে দেই নি, আজকে নিজের করে নিয়েছি। এই বলে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললেন, একটা কথা বলতে তোমাকে নিয়ে এসেছিলাম।

"জি বলুন"

" আমাকে অফিস থেকে ফোন দিয়েছিল, আমাকে যেতে হবে এখন যদিও আমি ছুটি নিয়েছিলাম, তবুও স্যার কল দিয়ে এক্ষুনি যেতে বললেন। তুমি সাবধানে থেকো আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব। আর চিন্তা করিও না,আম্মাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করিয়েছি। আমি আসছি, আর শোনো, অনেক ভালোবাসি। "

বলেই তিনি বেড়িয়ে গেলেন।।

সকালে হাসপাতাল থেকে কল দিয়ে আসতে বলে। আম্মা আমাকেও নিয়ে এসেছেন সাথে অনেকে। উনি বেডে শুয়ে আছেন,আমি এত করে ডাকছি তবুও তিনি উঠছেন না। ওদিকে আম্মা কান্না করেই যাচ্ছেন, পাশে অনেকে কান্না করছে।।
উনি উঠছেন না কেন?

Taniya Mahi

মনারে মনা কোথায় যাস?বিলের ধারে কাটব ঘাস।ঘাস কি হবে?বেচব কাল, চিকন সুতার কিনব জাল। জাল কি হবে? নদীর বাঁকে মাছ ধরব ঝাঁকে ঝ...
21/03/2024

মনারে মনা কোথায় যাস?
বিলের ধারে কাটব ঘাস।
ঘাস কি হবে?
বেচব কাল,
চিকন সুতার কিনব জাল।
জাল কি হবে?
নদীর বাঁকে
মাছ ধরব ঝাঁকে ঝাঁকে।
মাছ কি হবে?
বেচব হাটে,
কিনব শাড়ি পাটে পাটে।
বোনকে দেব পাটের শাড়ি,
মাকে দিব রঙিন হাড়ি।

#ইচ্ছে।

আহসান হাবীব

'আজকে নুপুর কলেজে আসেনি।'স‍্যার নুপুরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর পরাশুনা করাবেনা ওর বাবা-মা।'কিইইই বলো কবে বিয়ে ঠিক হয়েছে।আর ক...
20/03/2024

'আজকে নুপুর কলেজে আসেনি।

'স‍্যার নুপুরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর পরাশুনা করাবেনা ওর বাবা-মা।

'কিইইই বলো কবে বিয়ে ঠিক হয়েছে।

আর কোথায়।

'স‍্যার সেটা জানিনা। শুনেছি কালকে ওর বিয়ে হবে।

'ছাত্রীদের মুখে এমন কথা শুনে স‍্যার

একটু কষ্ট পেলো।

কারন আলো বেশ ভালো ছাত্রী ছিলো। তার এইভাবে বিয়ে হবে ভাবতেই জানি কেমন লাগতেছে।

'স‍্যার কি ভাবতেছেন?

'কিচ্ছুনা।

কথাটি বলেই স‍্যার ক্লাসে মনোযোগ দেয়।

'ক্লাস শেষ করে স‍্যার আলোর বাড়িতে চলে যায়।

গিয়ে দেখতে পায় আলো কান্না করতেছে।

স‍্যার জিঙ্গেস করলো।

'কি ব‍্যাপার আলো কান্না করতেছো কেনো মা।

তোমার কি হয়েছে।

'স‍্যারকে দেখা মাত্রই আলো জরিয়ে ধরে বলে স‍্যার

আমি পরাশুনা করতে চাই।

কিন্তু দেখেন-না বাবা মা আমাকে জোর করে

বিয়ে দিচ্ছে।

'তুমি পরাশোনা করতে চাও।

'হ‍্যা স‍্যার আমি পরাশোনা করে চাই।

আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।

মানুষর সেবা করতে চাই।

'ছাত্রীর মুখে কথাটি শুনে স‍্যার বেশ খুশি হয়।

এবং আলোর বাবা-মাকে জিঙ্গেস করে।

'তোমরা কেনো আলোর বিয়ে দিচ্ছো জানতে পারি।

'স‍্যার আলোকে পরাশোনা করার মতো টাকা পয়সা

আমার কাছে আর নেই।

তাই বিয়ে দিচ্ছি।

'ওহ! আলো কিন্তু বেশ ভালো একটি ছাত্রী।

ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারে। যদি পরাশোনা

করানো হয়।

'কি আর করবো বলেন পরাশোনা করাতে অনেক

টাকা লাগে। এতো টাকা পাবো কোই।

'টাকা হলে পরাশোনা করাবেন।

'হ‍্যা।

'আজ থেকে আলোর পরাশোনা করতে যতো

টাকা লাগবে সব আমি বহন করবো।

এর পরিবর্তে আলোর বিয়ে বন্ধ করতে হবে আপনাকে।

'বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করার করার পরে।

আলোর বাবা বললো।

ঠিক আছে আপনি যদি ওর পরাশোনা দায়িত্ব নেন

আমার বিয়েটা দিবোনা।

'এই কথাই থাকলো। আজ থেকে ওর পরাশোনার

দায়িত্ব আমার। আপনি বিয়েটা বন্ধ করার

ব‍্যবস্থা করুন।

'আচ্ছা।

'এই দিকে স‍্যারের এমন কথা শুনে আলো

কান্না করতে করতে বললো।

'স‍্যার আপনার ঋন কখনো শোধ করতে পারবোনা।

আপনার মতো মানুষ এখনো পৃথিবীতে

আছে বলেই পৃথিবীটা টিকে আছে।

'পাগলি মেয়ে।

শোন আলো তোমাকে আরো ভালো করে পরাশোনা

করতে হবে। সবাইকে দেখিয়ে দিতে হবে।

'হ‍্যাঁ স‍্যার আমি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।

আপনি আমার সঙ্গে থাকেন শুধুমাত্র।

'হুমম! আচ্ছা আসি এখন কাল থেকে কলেজে

আসিও তুমি।

'আসলেই আমাদের চার পাশে এমন অনেক শিক্ষার্থি

আছে যারা টাকার অভাব পরতে পাড়েনা✅


গল্প পরতে পেজ ফলো করুন

আমাদের সংসারে সবচেয়ে অবহেলিত মানুষটার নাম হলো মা। মা নিজ হাতে সংসার সাজায় তারপর দিন শেষে সেই সংসারে সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ...
20/03/2024

আমাদের সংসারে সবচেয়ে অবহেলিত মানুষটার নাম হলো মা। মা নিজ হাতে সংসার সাজায় তারপর দিন শেষে সেই সংসারে সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ হয়ে দাঁড়ায়।

এক মা তার ছেলের কাছে গিয়ে বললো,
-"বাবা, তোর ফোনটা একটু দিবি? তোর খালার সাথে ২মিনিট কথা বলতাম। অনেকদিন কথা হয় না"
ছেলে তখন বিরক্ত হয়ে বললো,
-"আমার ফোনে টাকা নেই।"
মা চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর ছেলের নাম্বারে একটা মিসড কল আসলো। ছেলে তখন সাথে সাথে কল ব্যাক করলো আর ২ঘন্টা কথা বলার পর ফোন রাখলো।

মেয়ের কাছে গিয়ে মা বললো,
-"মা, তোর ফোনটা একটু দিবি? ২মিনিট তোর খালার সাথে কথা বলতাম।"
-মেয়ে বললো,
--"ফোনে এখন কাজ করছি। ফোন দিতে পারবো না ।"

মা চলে গেলো আর মেয়ে ফোনে মুভি দেখতে লাগলো...

পরেরদিন ছেলে যখন ভার্সিটি যাবে তখন মায়ের হাতে একগাদা কাপড় দিয়ে বললো,
--মা একটু ধুয়ে দিও তো।

মা যখন কাপড়গুলো নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যাবে তখন মেয়ে ডেকে বললো,
- "মা, আজ আমার কলেজের কয়েকটা বান্ধবী আসবে। তুমি পোলাও, গরুর গোশত, মাছ ভাজি, ডিম ভুনা আর ডাল রান্না করো তো "
মা ছেলের কাপড় ধুয়ে দিলো। মেয়ে যা যা বলেছিলো সব রান্না করে অপেক্ষা করতে লাগলো সন্তান ফিরে আসার....

রাতে মা অনেক আশা নিয়ে সন্তাদের পাশে বসে ছিলো গল্প করার জন্য কিন্তু সন্তানরা তখন ৬ইঞ্চি ডিসপ্লের যাদুর বাক্স নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মা তখন চলে যায়। এই দীর্ঘশ্বাসে কতটা কষ্ট আর একাকিত্ব লুকিয়ে ছিলো সেটা সন্তানটা বুঝতেই পারে না...

মা'দের সহ্য করার ক্ষমতা প্রচুর হয়। গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করে ছেলেটি বারান্দায় সিগারেট খাচ্ছিলো। মা ছেলেকে সিগারেট খাওয়া অবস্থায় দেখে বললো,
-"বাবা তুই সিগারেট খাচ্ছিস কেন?"
-ছেলে রেগে গিয়ে বললো,
--"আমার ইচ্ছা আমি সিগারেট খাচ্ছি তাতে তোমার কি? আমি এখন ছোট না যে তোমার কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে"

ছেলের এমন খারাপ ব্যবহারটা মা নিরবে সহ্য করে চুপচাপ চলে গেলো...

রেজাল্ট খারাপ হয়েছে দেখে না খেয়ে মেয়ে যখন শুয়ে রইলো তখন মা গিয়ে বললো,
- "মা, কিছু খেয়ে ঘুমা"
মেয়ে রেগে বললো,
-"আমার গলা দিয়ে ভাত নামবে না। রেজাল্ট খারাপ হলে কতটা কষ্ট লাগে সেটা তুমি বুঝবে না। তুমি তো মুর্খ মহিলা। পড়াশোনাই করো নি"
মা মেয়ের এই কথাগুলো চুপচাপ সহ্য করে চলে গেলো...

বুকের ব্যথাটা বাড়ার কারণে মা একদিন ছেলেকে ডেকে বললো,
-"বাবা, বুকের ব্যথাটা আজকাল খুব বেড়েছে। আমায় একটু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারবি?"
- ছেলে বললো,
-- "আমি বন্ধুর জন্মদিনে যাচ্ছি। এখন তোমায় নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে পারবো না"

ছেলে চলে গেলে মেয়েকে ডেকে বললো,
"তুই আমাকে একটু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারবি?"
মেয়ে বললো,
-"আমি বান্ধবীর গায়ে হলুদে যাবো। এখন তোমায় নিয়ে কোথাও যেতে পারবো না"

একদিন মা মারা যায়। ছেলেটা এখন কাপড় ধোয়ার সময় চিন্তা করে মাকে এতোদিন কতই না কষ্ট দেয়েছি। ছেলেটা এখন সিগারেট খেলে কেউ বাধা দেয় না। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কেউ বলে না, "বাবা, তোর ফোনটা একটু দিবি দুই মিনিট কথা বলতাম?"

মেয়েটা এখন নিজেও মা হয়েছে। মা হবার পর বুঝতে পেরেছে, মা'রা সংসারে কতটা অবহেলিত হয়। এখন সে রাতের পর রাত না খেয়েও ঘুমালে কেউ এসে বলে না, "মা রাতে খেয়ে ঘুমা"

উপরের ঘটনাগুলো প্রতিটা সংসারেই ঘটে। সন্তানরা নিদিষ্ট একটা বয়সের পর মাকে আর সময় দেয় না। যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। কারো মা চিরকাল বেঁচে থাকে না। তাই পরে আফসোস করার চেয়ে শত ব্যস্ততার মাঝে হলেও মাকে সময় দাও। কারণ যার মা নেই সেই বুঝে মা কি ছিলো...

(সমাপ্ত)
মা
আবুল_বাশার_পিয়াস

সবার আগে নিতিমুলক গল্প আমাদের পেইজে পাবেন ফলো করে নিন্সবাই NayaN-নয়ন 👈

18/03/2024

Helo bondura kemon ascho

12/03/2024

হেলো বন্ধুরা তোমরা কেমন আসো।।
আমি আজ কুব সুন্দর ভিডিও নিয়ে আসি।।

11/03/2024

Helo bondura kemon a*o sob ।।।
#

08/03/2024

আসসাামুআলাইকুম রমজান মুবারক
12/03/2024

08/03/2024

🤣শিলচর🤣 টো গুহাটি🤣 নিউ ইয়ার লাইক কমেন্ট করে দাও প্লিজ🙏🙏

07/03/2024

छाती इंडियन मूबी सबसे मजादार मूबी ♥️♥️♥️

02/03/2024

Moulana jabir husein sahab

" শা!রীরিক সম্পর্ক করে এখন এব'র্শন করাতে বলছো? "" তুমি প্রে'গন্যান্ট হয়ে যাবে সেটা কে জানতো।আর এখন আমি এসব ঝামেলায় জড়াতে...
01/03/2024

" শা!রীরিক সম্পর্ক করে এখন এব'র্শন করাতে বলছো? "

" তুমি প্রে'গন্যান্ট হয়ে যাবে সেটা কে জানতো।আর এখন আমি এসব ঝামেলায় জড়াতে পারবো না "

শুভ্রের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম।পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মা ফোনে আমাদের কথা শুনে বললো

" বলেছিলাম না ওই ছেলে পাল্টি খাবে?মুখ পুরিয়েই তো ছাড়লি শ'য়তান মেয়ে "

আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না।বাড়ি থেকে সোজাসুজি বলে দিলো হসপিটালে গিয়ে এব'র্শন করাতে হবে।কিন্তু আমি এব'র্শন করাতে চাই না।বু'কের ভেতরটা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।

রাতে আমায় জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেলো এব'র্শন করাতে।আমি অনবরত কান্না করছি।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।তবে শুভ্র যে এভাবে বেইমানি করবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

তিনজন নার্স মিলে ধরেবেঁধে বেডে শুয়ে দিয়েছে আমায়।আমি প্রাণপণে এখান থেকে বেরুনোর চেষ্টা করছি।এমন সময় একজন ডাক্তার ঘরে ঢুকলেন।শান্ত গলায় বললো

" আপনারা সবাই একটু বাইরে যান প্লিজ "

ওনার কথায় সবাই বাইরে চলে গেলো।ডাক্তার আমার পাশে বসে মৃদু স্বরে বললো

" আমি সবটা শুনেছি।ছেলেটার প্রতি আপনার অনেক রাগ জমে আছে তাই না? "

আমি চোখের জল মুছে বললাম " ওকে সামনে পেলে আমি খু'ন করবো।ডাক্তার আপনি প্লিজ আমার বাচ্চাকে মা'রবেন না,আপনার পায়ে পড়ি "

ডাক্তার বললো " বাচ্চার মুখে আগে বাবা ডাকটা শুনি,তারপর নাহয় খু'ন কইরেন।প্লিজ ম্যাডাম,বাবা ডাকটা শুনতে দেন "

আমি অবাক হয়ে বললাম " কিসব বলছেন? "

ডাক্তার মুখ থেকে মাস্ক সরালো।আমি যেন ধাক্কার মতো খেলাম।ডাক্তারের পোশাকে শুভ্র দাঁড়িয়ে আছে।শুভ্র হেসে বললো

" তো ম্যাডাম,ছেলেটির উপর কি এখনো রাগ আছে? "
আমি মুখ চেপে কান্না করছি।শুভ্র আমায় জড়িয়ে ধরলো।মৃদু স্বরে বললো

" এক কাজ করো,তোমার বাবার ঘাড় থেকে ঝপাং করে লাফ দিয়ে আমার ঘাড়ে উঠে পড়ো "

আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম " মানে ? "

শুভ্র আমার মাথায় গাট্টা মেরে বললো " বিয়ে করে আমার গলায় ঝুলে পড়তে বলছি।পাগলি মেয়ে "

আমি গাল ফুলিয়ে বললাম " শুধু ঝুলবো না,তোরে একদম খেয়ে ফেলবো "।একথা বলেই ঝাপিয়ে পড়লাম শুভ্রর বু'কে।

গল্প ্রহরের_ভালোবাসা
লেখক #জয়ন্ত_কুমার_জয়

সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।এইটা লেখকের নিজস্ব

Address

Bathisangjurai
Hailakandi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ASSAM & STUDO posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ASSAM & STUDO:

Videos

Share

Category

Nearby media companies



You may also like