অ ন ন্যা

অ ন ন্যা গিরগিটি রং বদলায় আত্ম রক্ষার্থে
আর মানুষ রং বদলায় স্বার্থ রক্ষার্থে

03/07/2023

ছেলে :- তোমার পা দেখাও।
মেয়ে :- পা দেখে কি করবে ?
ছেলে :- (রেগে) যা বলছি তাই করো, পা
দেখাও।
মেয়ে :- না দেখাব না।
ছেলেটা একটা থাপ্পড় মেরে দিল।
ছেলে :- (আরো রেগে) বলছি পা দেখাও।
মেয়ে :- মেয়েটি গালে হাত দিয়ে ধীরে
ধীরে জুতা খুললো। ছেলেটা মেয়েটার পায়ে
দেখল বেশ কিছু ব্লেটের দাগ। তখন ছেলেটার
চোখে অশ্রু চলে এল। ছেলেটা সাথে সাথে
উঠে পড়ল এবং মানিব্যাগ থেকে একটি ব্লেট বের
করল। মেয়েটা সাথে সাথে ছেলেটার হাত ধরে
ফেলল।
মেয়ে :- (কেঁদে কেঁদে) এই তুমি এটা কি
করছ ?
ছেলে :- যা তুমি করেছ।
মেয়ে :- প্লিজ এসব কর না।
ছেলে :- তুমি কেন করেছ ?
মেয়ে :- তো তুমি কাল আমার মেজাজ গরম
করেছিলে কেন ?
ছেলে :- তাই বলে এভাবে নিজেকে কষ্ট
দেবে ?
মেয়ে :- মাথা গরম হলে এটাই করি।
ছেলে :- এটা করে কি হয় ?
মেয়ে :- জানি না। তবে সাময়িক শান্তি পাই।
ছেলে :- আমিও করব এখন।
ছেলেটা ব্লেট খুলতে শুরু করল।
মেয়ে :- প্লিজ প্লিজ,এটা কর না।
(ছেলেটা তবুও থামছে না। অবশেষে মেয়েটা
কোনো উপায় না পেয়ে ছেলেটাকে জড়িয়ে
ধরল। মেয়েটার ভালোবাসার উষ্ণতা পেয়ে
ছেলেটা থেমে গেল)
মেয়ে :- প্লিজ এসব কর না। তোমার কষ্ট আমি
সইতে পারব না।
ছেলে :- আমিও তো তোমার কস্ট সইতে পারি
না। তাহলে তুমি কেন এমন করলে ?
মেয়ে :- আর কখনো করব না।
ছেলে :- প্রমিজ ?
মেয়ে :- হুম প্রমিজ।
ছেলে :- আচ্ছা সবাই হাত কাটে তুমি পা কাটলে
কেন ?
মেয়ে :- যাতে কেউ দেখতে না পাই সেইজন্য।
ছেলে :- বুদ্ধি গুলো ভালকাজে ব্যবহার করো,
মেয়ে :- আচ্ছা ঠিক আছে, করব।
মেয়েটা ছেলেটার বুক থেকে সরে আসতে
চাইল। কিন্তু ছেলেটা আরো জোরে জড়িয়ে
ধরল।
মেয়ে :- ছাড়।
ছেলে :- না। ছাড়ব না।
মেয়ে :- (সরে আসার চেষ্টা) ছাড় বলছি।
ছেলে :- তাহলে কিন্তু আবার ব্লেট বের করব।
মেয়ে :- ব্ল্যাকমেইল ?
ছেলে :- না। ভালবাসার উষ্ণতা।
(মেয়েটা ছেলেটাকে আরেকটু শক্ত করে
জড়িয়ে ধরল)
একেই বলে রিয়েল লাভ

যারা পল্প পড়তে ভালো বাসে তারা ফলো দিয়ে পাসে থাকবেন ধন্যবাদ
যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন 📕- অ ন ন্যা -📗

28/06/2023

❤️

25/06/2023

💔

23/06/2023

তিন মাতাল একটা গাড়িতে !

তিন মাতাল একটা গাড়িতে উঠল ।🍷🍷
ড্রাইভার বুঝতে পারল যে তারা মাতাল, তাই সে গাড়ির ইঞ্জিল চালু করল ও কিছুক্ষণ পর বন্ধ করে ফেলল, এবং মাতালদের বলল……
তোমরা তোমাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছেগেছ,
তিন মাতাল গাড়ি থেকে নামল,,
তারপর তারা বললো……
১ম মাতালঃ- ধন্যবাদ,,💜💜
২য় মাতালঃ নিন, ১০০ টাকা বকশিস,,💵💵
৩য় মাতাল ড্রাইভারকে একটা জোরে থাপ্পর দিল,,✋✋✋
ড্রাইভার মনে করল, যে লোকটা বোধ হয় মাতাল ছিল না, সে সবকিছু বুঝতে পেরেছে ।💃💃💃
তবুও সে ৩য় মাতাল কে জিজ্ঞেস করল, থাপ্পর মারলেন কেন?😖😖😖
৩য় মাতালঃ শালা…. এত স্পীডে কি কেউ গাড়ি চালায়…🚔🚔🚔🚔

23/06/2023

মধ্যরাতের বিভ্রান্তি!
আমি যখন ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন মাথার ওপর ভরা জোছনা। এ রকম চাঁদের আলোয় মানুষের ছায়া পড়ে আর মানুষ তাতে বিভ্রান্ত হয়। আমি মোটামুটি বিভ্রান্তের মতো রিকশায় উঠে বসি।

বাসস্টেশনে এসে দেখি হাতে জ্বলন্ত মশার কয়েল নিয়ে এক লোক নূরের পেছনে পেছনে হাঁটছে। আমি হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করি, ‘এই আজব লোককে কোত্থেকে জোগাড় করলে?’

নূর হাসে, ‘যাদের ঘর আছে মশা তাদের কামড়ায়, যাদের ঘর নাই মশা তাদেরকেও কামড়ায়!

‘মশার কাছে মানুষের কোনো বাছবিচার নেই, সবাই সমান। এই লোক রাস্তায় ঘুমায়, কিন্তু মশার কামড়ে নাকি ঘুম আসে না, তাই সব সময় মশার কয়েল নিয়ে ঘোরে।’

লোকটা নূরের কথায় অত্যন্ত আনন্দিত হয়। তারপর হাসতে হাসতে বলে, ‘ভাইজান, যদি একটা চা খাওয়াইতেন।’

আমি দোকানদারকে তিন কাপ চা দিতে বলি। লোকটা আবার হাসে, ‘যদি একটা কেক খাওয়াইতেন।’

আমি দোকানদারকে বলি, ‘উনাকে একটা কেক দেন।’
লোকটা আরও উৎসাহিত হয়ে বলে, ‘যদি একটা কলা খাওয়াইতেন।’

নূর লোকটাকে ধমকিয়ে ওঠে, ‘কলা খেলে রাতে ঘুম আসবে না। তাড়াতাড়ি চা-কেক খেয়ে জায়গা দখল করেন, না হলে অন্য কেউ এসে আপনার জায়গা দখল করে ফেলবে। দেশে এখন জায়গার খুব দাম!’

নূর আমার দিকে তাকিয়ে গোপন কোনো আলাপের মতো ফিসফিসিয়ে বলল, ‘ঘটনা কী বল তো? হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, টেকনাফ যাওয়ার দরকার হলো কেন?’

আমি রহস্য করে বলি, ‘একটা ফুল আনতে যাচ্ছি।’
নূর আমার কথায় ভীষণ অবাক হয়, ‘একটা ফুল আনতে এত দূর! তোমার মাথা খারাপ হলো নাকি!’

আমি আবারও হেঁয়ালি করি, ‘পৃথিবীর কোনো প্রেমিকের মাথা কখনো ঠিক ছিল না! যারা একবার প্রেমে পড়েছে তাদের সবার মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে!’

নূর আমার রসিকতা ধরতে পারে না, ‘কী হয়েছে খুলে বল তো। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

আমি অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলি, ‘সুনন্দাকে বলেছিলাম, তোমাকে কিছু একটা দিতে চাই। সুনন্দা আমার হাতটা ধরে রেখে বলেছিল, তুমি আমার সাথে আছ এটাই তো আমার সবকিছু, আর কিছু চাই না। আমি অনেক জোরাজুরি করাতে সুনন্দা মুচকি হেসে বলল, যে জিনিসটা চাইব সেটা খুবই সহজলভ্য আবার খুব দুষ্প্রাপ্য। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের কোনো এক দ্বীপে একটা ফুল পাওয়া যায়, বছরে একবার ফোটে। সেটা নামে ফুল হলেও দেখতে ফলের মতো। পারলে আমার জন্য সেই ফুল একটা এনে দিয়ো।’

নূর বিস্ময়ে কথা বলতে পারে না। অনেকক্ষণ পরে তার সংবিৎ ফেরে, ‘তাহলে আমি কী দোষ করলাম ভাই! আমাকে সাথে নেওয়ার কারণ কী?’

আমি এবার হেসে ফেলি, ‘তুমি হারানো মানুষ খুঁজে পাওয়াতে ওস্তাদ। এবার না হয় আমার জন্য একটা হারানো ফুল খুঁজে দেবে। কারও কারও জন্য তো একটা ফুল একটা মানুষের জীবনের সমান।’

নূর কিছু বলে না। আমি ভয়ে ভয়ে বলি, ‘আমরা নাফ নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বের হয়ে যাব। তারপর ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে ফুলটা খুঁজব।’

আমি নূরের ধমক খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। নূর মুখ কালো করে বলে, ‘বাস ছাড়তে এখনো ঘণ্টাখানেক বাকি। চল, কর্ণফুলীর পাড় থেকে ঘুরে আসি। নোঙর করে থাকা জাহাজ আর মাছ ধরার ট্রলারে লাল-নীল বাতি জ্বলে। দেখে মনে হয় একঝাঁক তারা নিয়ে আকাশটা নদীতে নেমে এসেছে।’

কর্ণফুলীর পাড়ে এসে আমি অবাক হয়ে গেলাম। জোছনায় নদীটাকে অপার্থিব লাগছে। নূর রহস্যময় গলায় বলে, ‘অনেক বছর আগে আমার পূর্বপুরুষ এই নদীর ওপর দিয়ে সাম্পানে করে রেঙ্গুন শহরে গিয়েছিল বাণিজ্য করতে।’

আমি রসিকতা করি, ‘আবদুল গফুর হালী সে জন্যই তো গান লিখেছিলেন, “বানু রে, অ বানু, আঁই যাইয়ুম রেঙ্গুন শহর, তোঁয়ারলাই আইননুম কী”?’

নূর আমার কথায় কান দেয় না। আমি দেখতে পাই জোছনার আলো নূরের গালের ওপর চকচক করছে। অবাক হয়ে বলি, ‘তুমি কাঁদছ নাকি!’

নূরের গলা বুজে আসে, ‘অথচ দেখ আজকে হাজার হাজার মানুষ একটু আশ্রয়ের খোঁজে, একটু খাবারের জন্য নাফ নদী পার হয়ে এ দেশে আসতে চাইছে।’

আমার হঠাৎ করে বাসস্টেশনে মশার কয়েল হাতে নিয়ে ঘোরা লোকটার কথা মনে হলো। একটু মাথা গোঁজার জন্য, একটু খাবারের জন্য সারা পৃথিবীতেই এ রকম লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমার খুব মন খারাপ হয়, ‘আসলে গৃহহীন মানুষের কোনো দেশ নেই।’

আমার আর কিছু ভালো লাগে না। নূরকে বলি, ‘চল, বাসায় চলে যাব। কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না।’

নূর অবাক হয়, ‘ফুল আনতে যাবে না?’

আমার বিষণ্নতা কাটে না, ‘আমি যদি ফুল নিয়ে আসার সময় নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসা লোকগুলোর সামনে কিংবা মশার কয়েল হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো লোকটার সামনে পড়ে যাই, তাহলে লজ্জায় তো আমার মরে যেতে ইচ্ছে করবে। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আমার অন্তত মাথার ওপর ছাদ খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে না।’

নূর নাছোড়বান্দা, ‘কিন্তু, সুনন্দা রাগ করবে না?’
আমি হেসে ফেলি, ‘সুনন্দা তো বলেই দিয়েছে, আমি সারা জীবন তার হাত ধরে থাকলে সে তাতেই খুশি। তার আর কিছু চাই না।’

আমি রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি তখন জোছনা আরও ঘন হয়ে এসেছে। এ রকম জোছনায় খুব প্রিয় কারও হাত ধরে সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আমি সুনন্দার বাসার সামনে চলে যাব কি না ভাবছি। এ রকম জোছনায় কেউ বেশিক্ষণ ঘরের ভেতরে থাকতে পারবে না। কখনো না কখনো তাকে বারান্দায় আসতেই হবে। সে দেখবে অনেক দূরে একটি ছেলে ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর মতো একা বসে একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। জোছনায় ছেলেটির ছায়া পড়েছে রাস্তায়। তারপর একবার ছেলেটির দিকে, আরেকবার তার ছায়ার দিকে তাকাতে তাকাতে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যাবে সে।

আমার পেটে যখন সন্তান এলো তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, সন্তানের জন্ম শ্বশুরবাড়িতে হবে। বাবার বাড়িতে যাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ...
20/06/2023

আমার পেটে যখন সন্তান এলো তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, সন্তানের জন্ম শ্বশুরবাড়িতে হবে। বাবার বাড়িতে যাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারি নি।

গর্ভধারণের পর থেকে লক্ষ্য করলাম প্রবল ভাবে পেটে ব্যথা করছে। ব্যথাটা এতো তীব্র ছিলো যে, চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়লো।
স্বামীকে বললে, সে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। ডাক্তার বললেন, বিশ্রামে থাকতে।

কিন্তু দু একদিন আমাকে শুয়ে বসে থাকতে দেখে শাশুড়ির মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
তিনি একদিন রুমে এসে কাটা কাটা উচ্চারণে বললেন,"সন্তান তো আমিও ধারণা করেছি। কিন্তু তখন তো তোমার মতো এভাবে শুয়ে বসে থাকি নি! এসব ঢং বাদ দাও।"
তারপর রুম থেকে বেরুনোর সময় গজগজ করে বললেন,"যত্তোসব ফাঁকিবাজ! কাজ না করার বাহানা!"

ডাক্তারের কথা আর মানা সম্ভব হলো না। প্রবল ব্যথা নিয়ে সংসারের কাজ করে যেতে লাগলাম। কাজ বেশি করতে হতো। কারণ কাজের লোক রাখা শাশুড়ি পছন্দ করতেন না।

আমার স্বামী ব্যবসায়ী। কিন্তু তখন তার ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিলো। তাই আগের মতো খরচ করতে পারছিলো না। গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের যে বাড়তি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় এটা সে বুঝতো। সে তার সাধ্য অনুযায়ী আমার জন্য দুধ, ডিম, ফলমূল কিনে আনতো। বাড়ির সবার জন্য এসব খাবার কেনার সাধ্য তার ছিলো না। অবশ্য আমার শ্বশুর তখনো চাকরি করতেন। এসব খাবার তিনি অনায়াসে কিনতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে এবং ছেলের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা না করে ছেলের ওপর ক্ষেপে গেলেন।

আমাকে শুনিয়ে একদিন আমার স্বামীকে বললেন,"তোকে জন্ম দিয়েছি, লালন পালন করে বড়ো করেছি। আর আজ তুই বাবা মাকে দুধ, ডিম, ফলমূল না খাইয়ে পরের ঘরের মেয়েকে খাওয়াচ্ছিস? এতো নিচে নামলি কী করে তুই?"
শাশুড়ি তখন বললেন,"বউ পেয়েছে, এখন কি আর বাবা মা'র কথা মনে থাকবে? নিমক হারাম ছেলে!"
স্বামী তখন নরম স্বরে বললো,"আমার এখন ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। তাই সবার জন্য ওসব খাবার কিনতে পারছি না। বউকে তো বিলাসিতা করে খাওয়াচ্ছি না। এখন ওর পুষ্টিকর খাবার দরকার।"
তারপর বললো,"কথা দিচ্ছি, ব্যবসার মন্দা কেটে গেলে আপনাদের জন্য ভালো খাবার প্রতিদিন কিনবো।"
এরপর বললো,"বাবা, আপনি তো এখনো আয় করেন। আপনি চাইলে তো ওসব খাবার কিনতে পারেন।"
শ্বশুর ধমকে বললেন,"চুপ থাক। কথা বেশি বলিস তুই। আমরা কিছু বুঝি না, তাই না? প্রেম উতলে পড়ছে বউয়ের জন্য।"

স্বামী সে রাতে বিষণ্ণ গলায় আমাকে বললো,"সামান্য কিছু পুষ্টিকর খাবার তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম। তাও পারলাম না।"
ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম,"তুমি মন খারাপ কোরো না। তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি।"

শারীরিক যন্ত্রণা, ঠিক ভাবে খেতে না পারা এবং সংসারের কাজের ধকলে শরীর দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে লাগলো। একটা সময় কোমর, হাত, পা ব্যথা শুরু হলো। যন্ত্রণায় এবং দুর্বলতায় রাতে এক ফোঁটা ঘুম হতো না।

রক্তশূন্যতায় এবং পুষ্টিহীনতায় আমার অবস্থার যখন খুব বেশি অবনতি হয়ে গেলো তখন পেটের বাচ্চার কথা ভেবে ভয় পেয়ে গেলাম। ভাবলাম, ওর যদি কিছু হয়ে যায়? সেই ভয় থেকে অত:পর শ্বশুরবাড়িতে সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হলাম।
এবং ভগ্ন কণ্ঠে স্বামীকে বললাম,"আমাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে চলো।"
সে আমার কথা রাখলো।

বাবার বাড়ি যাওয়ার পর আমার করুন অবস্থা দেখে বাবা মা হুহু করে কেঁদে দিলেন। যাই হোক, যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো। যদিও ওর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিলো, তবে ভগবানের কৃপায়আমি এবং ছেলে দুজনই সুস্থ থাকলাম।

২.
তিরিশ বছর পরের কথা। স্বামী এবং শ্বশুর শাশুড়ি মারা গেছেন। ছেলেকে বিয়ে করালাম।
তারপর পুত্রবধূ যখন গর্ভবতী হলো, তখন বউয়ের হাত ধরে বললাম,"মাগো, তোমার যখনই কোনো সমস্যা হবে আমাকে বলবে। আর তোমার এখন ঘরের কাজ করার দরকার নেই।"

আমি নিজে ছেলের বউয়ের দেখাশোনা করছি। সুষম খাবার খেতে দিচ্ছি, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।

মাস খানিক পর ছেলে এক সন্ধ্যায় আমাকে এসে বললো,"আজ শ্বশুর ফোন করে মেয়েকে বাবার বাড়ি যেতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, এই সময় বাবার বাড়িতে মেয়েদের যত্ন ঠিক ভাবে হয়। শ্বশুরবাড়িতে হয় না। শুনে আমার বউ কি বললো জানো?"
বললাম,"কী বললো?"
"বললো,'না বাবা, বাড়ি যাবো না। সন্তান এখানে হবে। শাশুড়ি মা এতো ভালো যে, বলে বোঝাতে পারবো না। তিনি আমাকে আপন সন্তানের মতো ভালোবাসেন। সার্বক্ষণিক আমার খেয়াল রাখেন। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো'।"

শুনে চোখ দুটো হঠাৎ ভিজে উঠতে চাইলো। কোনো রকমে নিজেকে আটকালাম।

কিন্তু ছেলে চলে যাওয়ার পর আর আটকানোর চেষ্টা করলাম না। চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো। নিজে গর্ভকালীন সময়ে শ্বশুরবাড়িতে এমন ভালোবাসা পাই নি বলে কি? নাকি আনন্দে? কে জানে!

"বিজয়ের পর"
এরকম গল্প পড়তে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন তাহলে নেক্সট টাইম যতো গল্প পোস্ট করবো সব পড়তে পারবেন।

(সংগৃহীত)

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?- ও আচ্ছা ঠিক...
19/06/2023

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?
- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?
- ও আচ্ছা ঠিক আছে । ছুটি হলে একটু এসে দেখে যাস। গাছে কিছু পেয়ারা পেকে আছে তোর জন্য রেখেছি, তুই তো খুব ভালোবাসিস। আর তোর মা সেই কবে থেকে মোরগ টা রেখে দিয়েছি তোর জন্য তুই আসলেই মোরগ পোলাও করবে । দিন দিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে মোরগ টা তবু ও তোর মা ওটা জবাই করছে না ।বলছে আমার মেয়ে এলে ওর জন্য নিজের হাতে আমি রান্না করবো।
- বাবা তোমার শরীর ভাল তো ?
- হ্যা রে মা আমি ভাল আছি। কিন্তু তোর মা ভাল নেই। প্রেসারটা খুব বেড়েছে ।
- মাকে বলো আমি খুব তাড়াতাড়ি আসবো । চিন্তা না করতে এখন রাখি বাবা ।
- ঠিক আছে মা রাখ।
,,
বাবার ফোন রেখে খুব কান্না পেল। কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। যখন ছোট ছিলাম বাবা রোজ আমাকে নিজের হাতে পেয়ারা পেরে খাওয়াতো। সব থেকে পাকা পেয়ারাটা আমি পেতাম । ভাইয়া মাঝে মাঝে বলতো - তোমাদের ওই মেয়ে সব । আমি কিছু না।
মা হেসে দিয়ে বলতো ,- ছি বাবা হিংসে করতে নেই। ও যখন পরের ঘরে চলে যাবে তখন তুই পাকা পেয়ারা গুলি খাস। এখন ওকে দে। ভাইয়া চোখের পানি আড়াল করে বলতো - আমি জানি তোমরা ওকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসো। এই কথা শুনে বাবা মা মুখ টিপে হাসতো।
,,
ছোট বেলা থেকেই আমার মোরগ পোলাও ভিষন পছন্দ । বাবা বাজারে গেলেই সব সময় খোঁজ করতো কোথাও
মোটা তাজা মোরগ কোথায় আছে কিনা। কিনে এনেই আমাকে ডেকে বলতেন - এই দ্যাখ মা কি এনেছি ।
তারপর মাকে বলতেন - শোন আজ খুব ভাল করে মোরগ পোলাও করো আমার মেয়েকে আমি পাশে বসিয়ে খাওয়াবো। বাবা আমাকে আর ভাইয়াকে নিজের হাতে মুখে তুলে খাওয়াতো। তিন বেলা মোরগ পোলাও চলতো ,আমি ভাত খেতে চাইতাম না বলে বাবা বলতো - আমার পেটটা ভাল না। এ খাবার খেতে পারবো না। ওদের দাও আমার ভাগের টাও।
,
আজ কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। বুকটা কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছে । পৃথিবীতে কেন এতো নিষ্ঠুর নিয়ম বাবা মাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে ।

,
আজ বাসায় মোরগ পোলাও রান্না হচ্ছে । আমার বর ইয়া বড়ো মোরগ এনে বললো এটা আজকে রান্না করো খুব সুন্দর করে আমার দুজন মেহমান আসবে ।
রাতে সবাই এক সাথে ডিনার করবো।
এই বলেই অফিসে চলে গেল ।
আমি মোরগ টাকে কেটেকুটে সুন্দর করে রান্না চড়ালাম। কিন্তু আমার মন রয়েছে সেই পুরনো দিনে । বার বার বাবা মায়ের মুখটা মনে পড়ছে । মা আমার জন্য নিজের হাতে পোষা মোরগ নিয়ে অপেক্ষা করছে পথ চেয়ে ।
,
দুপুরে খেতে গিয়ে পারলাম না। চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার । ওভাবে রেখে উঠে গেলাম ।
রাতে আমার বর এলো বাসায় । এসে বললো খাবার রেডি করো আমি তাদের নিয়ে আসছি।
,
খাবার রেডি করে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। এখনও ওর ছুটি পেতে পঁচিশ দিন বাকি। বাবা মাকে কবে দেখতে পাবো। চোখ থেকে অজান্তে পানি গড়িয়ে পড়লো। এমন সময় পিছনে কেউ আমার মাথায় হাত দিলো। চমকে উঠে পিছনে ফিরে দেখলাম বাবা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে । মা ও পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে । আমি অবাক হয়ে গেলাম । মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম । বাবা বললো ,- জামাই আজ অফিস ছুটি দিয়ে আমাদের আনতে গিয়েছিল । তুই নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদিস? বোকা মেয়ে একটা আমরা ভাল আছি ।
,
দুরে দাড়িয়ে আমার বর হাসছে । ওর হাসি দেখে মনটা ভরে গেল । চোখের পানি মুছে বললাম - বাবা আমার ভিষন খিদে পেয়েছে চলো আমাকে খাইয়ে দিবে। তোমার হাতে কতোদিন খাইনা। বাবা চোখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে পানি মুছলো।
আমি হুহু করে কাঁদতে লাগলাম ।
এমন সময় আমার বর বললো - এখন খেতে দাও ভিষন খিদে পেয়েছে । আমি সবাই কে খেতে দিলাম । বাবা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে ।মনে হচ্ছে সেই ছোট্ট আমি । আমার প্লেট থেকে এক টুকরো মাংস বাবার মুখে দিতেই বাবা বললো - জানিস মা আমি যখন ছোট্ট ছিলাম আমার মাও ঠিক এভাবে মাংসের টুকরো আমার মুখে তুলে দিতো। আমি আমার মায়ের চেহারা তোর মাঝে দেখতে পাই। তুই যে আমার মা আমার জননী ।

,
সমাপ্ত

19/06/2023

সময় সবার জন্য থেমে থাকে না 🥰😅

18/06/2023

জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏

17/06/2023

#শিক্ষনীয়পোষ্ট

পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ
মা'রে,
শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জায়গায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি? আমি তখন ভেতরে বসে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতির কাছে কি করে মুখ দেখাবো? জানিস মা, তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে। বাবারা সন্তানদের কতোটা ভালবাসে তা বোঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা, আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে। কি করবো বল? তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভালো লাগা টাকে সহজে মানতে চায় না? উত্তরটা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো,তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তরটা পেয়ে যাবি। তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।কিন্তু একটা বাবা বোঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর নানুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,যদি মেয়ে হয় তাহলে নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যা দানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো। তাই তোর প্রতি এত অভিমান। মারে বাবার উপর রাগ করিসনা। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হবো না কেন? বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো?আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোনো প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো? তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারি। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেবো। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা।
ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত একটি মেয়ে/ছেলেও যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে মন্দ কি......লিখাটা ভালো লাগলে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন 🙏

Please please follow অ ন ন্যা

😊🥀
16/06/2023

😊🥀

 #ছবি_দেখে_লিখিশিরোনাম - "সুখের ছোঁয়া"মা...ও মা..., আমার সেই লাল শাড়িটা দেখেছো, আলমারিতে পাচ্ছি না, নীলাঞ্জনার  চিৎকারে ...
16/06/2023

#ছবি_দেখে_লিখি
শিরোনাম - "সুখের ছোঁয়া"

মা...ও মা..., আমার সেই লাল শাড়িটা দেখেছো, আলমারিতে পাচ্ছি না, নীলাঞ্জনার চিৎকারে নন্দিনী বললো কোন লাল শাড়ি?
- ওই যে যেটা পড়ে আমার স্কুলের ফাংশনে গিয়েছিলাম।
-দেখো মেয়ের কান্ড আমি কি লাল শাড়ি পড়ি যে আমার আলমারিতে শাড়ি থাকবে। দেখ কোথায় রেখেছিস সব তো আমিই গুছিয়ে রাখি।
নন্দিনী ও খুঁজতে লাগলো। অবশেষে সেটা পাওয়া গেলো একটি চেয়ারের নীচে থেকে। নীলাঞ্জনা জড়িয়ে ধরলো নন্দিনী কে...."তুমি আমার গত জন্মে মা ছিলে তাই আমি এইজন্মে তোমার বউ হয়ে এসেছি।"
দুজনের কি হাসি! শাশুড়ী বউয়ের কেমিস্ট্রি জমে ক্ষীর।
- বলছি এখন এই শাড়ীটার খোঁজ করছিস কেন?
- আসলে কিছু শাড়ি কাঁচতে দেবো। তোমার কিছু থাকে তো বলো।
নন্দিনী বললো, - আমার শাড়ি? না রে আমার কিছু কাঁচার নেই।
- বলছি মা... এই রবিবার তুমি আমি মিলে আইসক্রীম খেতে আইসক্রীম পার্লার এ যাবো। আর একাডেমিতে একটা পেন্টিং প্রদর্শনী হচ্ছে আমার বন্ধুর। আর তুমি তো আঁকা ভীষণ ভালোবাসো। সেদিন তোমার ড্রয়ার থেকে একটা আঁকা পেয়েছি। কি ভালো আঁকতে তুমি। কেন আবার নতুন করে শুরু করো না মা।
- দূর পাগলী মেয়ে তুই তো কতো ভালো লিখিস কিন্তু এখন সব স্টপ।
- আমার কথা ছাড়ো, আমি তো তোমার ছেলের প্রেমে বিন্দাস আছি।
নন্দিনী নীলাঞ্জনার নাকটা টিপে দিয়ে বললো
- পাকা বুড়ি আমার।
সত্যি দুজন মানুষের বয়সের অনেকটা ফারাক সত্তেও দুজনে কতো খোলামেলা। পাড়ার লোকেরা ও বলে, শাশুড়ী বৌমার জুটি দেখার মতো। প্রথম যখন বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলা গেলো নন্দিনী নিজে হাতে আলতা দিয়ে পা রাঙিয়ে দিতে দিতে বলেছে আমার বাড়িতে যে লক্ষ্ণীর প্রবেশ হয়েছে তাকে যদি সাজিয়ে না দি তাহলে যে মা লক্ষ্ণীর অপমান করা হবে। প্রতিটা মেয়ে যে লক্ষ্ণী।খাবার টেবিলে আজ নন্দিনীর পছন্দের রান্নাগুলো দেখে নন্দিনী শ্যামলী কে জিজ্ঞাসা করলো
- আজ কোন দিকে সূর্য উঠেছে শ্যামলী। সব আমার পছন্দের রান্না করেছিস।
- আমি করেছি না কি গো, বৌদিমনি সেই সকাল থেকে সব রান্না করে স্কুলে গেছে। তোমার আজ না কি জন্মদিন?
নন্দিনীর দু চোখ দিয়ে জলের ধারা নেমে আসছে। আজ যে বড্ডো বাবা, মা, ছোটবেলাটা চোখের সামনে চলে আসছে।
সেই পিঁড়ি পেতে থালায় খাবার সাজিয়ে জন্মদিনের দিন খেতে দিতো। বাবা পকেট থেকে বড়ো ক্যাডবেরি বার করে সামনে রেখে দিতো। তারপর কতো বছর পেরিয়ে গেছে সংসারের যাঁতাকলে পিষে সবকিছুর পাঠ চুকে গিয়েছিলো। তারপর আজ আবার এই পঞ্চাশ বছরে এসে এক ঝলক খুশির হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো নন্দিনীকে। কলিং বেল বাজছে , শ্যামলী গিয়ে দরজা খুলে দিলো। হৈ হৈ করতে করতে নীলাঞ্জনা এসে নন্দিনীকে জড়িয়ে ধরলো...
- ওরে ছাড়... আমি তো তোর জন্যে অপেক্ষা করছি পাগলী মেয়ে।
- ঠিক আছে আজ কিন্তু সব খেতে হবে।
নন্দিনী বললো -তুই ও বসে পড়।
নীলাঞ্জনা ও খেতে বসে গেলো। নন্দিনী বললো
- প্রত্যেকটা রান্না দুর্দান্ত হয়েছে। পায়েস তো ঠিক আমার মায়ের মতো। আবার মা-র ছোঁয়া পেলাম।
মুঠোফোন বেজে উঠলো। নীলাদ্রি ভিডিও কল করেছে... - কি মা আজ খুব নীলার হাতের রান্না খাচ্ছ। আর আমায় তো দিব্যি ভুলে গেছো।
- দূর, তুই ছাড়া আমার ফটো ফ্রেমটা অসম্পূর্ণ। তুই কবে আসবি নীল?
-মা আমি খুব শীঘ্রই আসছি। কিন্তু আজ তোমার দিন, অতএব নো টেনশন। আরো কিছু কথা বলার পর নীল ফোনটা ছেড়ে দিলো। খাওয়া দাওয়া করে দুজন ঘরে বিশ্রাম করতে চলে গেলো। নন্দিনী আজ ভীষণ খুশী। যোগ্য মেয়েকে ঘরে এনেছে। সত্যি, হয়তো নীলাঞ্জনা গত জন্মে মেয়েই ছিলো।
নন্দিনী নিজের মনে গান ধরলো ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে.....

--------সমাপ্ত----------

Address

KAYLAPARA
Ganga Sagar
743373

Telephone

+917090027561

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অ ন ন্যা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share