অ ন ন্যা

অ ন ন্যা গিরগিটি রং বদলায় আত্ম রক্ষার্থে
আর মানুষ রং বদলায় স্বার্থ রক্ষার্থে

03/07/2023

ছেলে :- তোমার পা দেখাও।
মেয়ে :- পা দেখে কি করবে ?
ছেলে :- (রেগে) যা বলছি তাই করো, পা
দেখাও।
মেয়ে :- না দেখাব না।
ছেলেটা একটা থাপ্পড় মেরে দিল।
ছেলে :- (আরো রেগে) বলছি পা দেখাও।
মেয়ে :- মেয়েটি গালে হাত দিয়ে ধীরে
ধীরে জুতা খুললো। ছেলেটা মেয়েটার পায়ে
দেখল বেশ কিছু ব্লেটের দাগ। তখন ছেলেটার
চোখে অশ্রু চলে এল। ছেলেটা সাথে সাথে
উঠে পড়ল এবং মানিব্যাগ থেকে একটি ব্লেট বের
করল। মেয়েটা সাথে সাথে ছেলেটার হাত ধরে
ফেলল।
মেয়ে :- (কেঁদে কেঁদে) এই তুমি এটা কি
করছ ?
ছেলে :- যা তুমি করেছ।
মেয়ে :- প্লিজ এসব কর না।
ছেলে :- তুমি কেন করেছ ?
মেয়ে :- তো তুমি কাল আমার মেজাজ গরম
করেছিলে কেন ?
ছেলে :- তাই বলে এভাবে নিজেকে কষ্ট
দেবে ?
মেয়ে :- মাথা গরম হলে এটাই করি।
ছেলে :- এটা করে কি হয় ?
মেয়ে :- জানি না। তবে সাময়িক শান্তি পাই।
ছেলে :- আমিও করব এখন।
ছেলেটা ব্লেট খুলতে শুরু করল।
মেয়ে :- প্লিজ প্লিজ,এটা কর না।
(ছেলেটা তবুও থামছে না। অবশেষে মেয়েটা
কোনো উপায় না পেয়ে ছেলেটাকে জড়িয়ে
ধরল। মেয়েটার ভালোবাসার উষ্ণতা পেয়ে
ছেলেটা থেমে গেল)
মেয়ে :- প্লিজ এসব কর না। তোমার কষ্ট আমি
সইতে পারব না।
ছেলে :- আমিও তো তোমার কস্ট সইতে পারি
না। তাহলে তুমি কেন এমন করলে ?
মেয়ে :- আর কখনো করব না।
ছেলে :- প্রমিজ ?
মেয়ে :- হুম প্রমিজ।
ছেলে :- আচ্ছা সবাই হাত কাটে তুমি পা কাটলে
কেন ?
মেয়ে :- যাতে কেউ দেখতে না পাই সেইজন্য।
ছেলে :- বুদ্ধি গুলো ভালকাজে ব্যবহার করো,
মেয়ে :- আচ্ছা ঠিক আছে, করব।
মেয়েটা ছেলেটার বুক থেকে সরে আসতে
চাইল। কিন্তু ছেলেটা আরো জোরে জড়িয়ে
ধরল।
মেয়ে :- ছাড়।
ছেলে :- না। ছাড়ব না।
মেয়ে :- (সরে আসার চেষ্টা) ছাড় বলছি।
ছেলে :- তাহলে কিন্তু আবার ব্লেট বের করব।
মেয়ে :- ব্ল্যাকমেইল ?
ছেলে :- না। ভালবাসার উষ্ণতা।
(মেয়েটা ছেলেটাকে আরেকটু শক্ত করে
জড়িয়ে ধরল)
একেই বলে রিয়েল লাভ

যারা পল্প পড়তে ভালো বাসে তারা ফলো দিয়ে পাসে থাকবেন ধন্যবাদ
যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন 📕- অ ন ন্যা -📗

28/06/2023

❤️

25/06/2023

💔

23/06/2023

তিন মাতাল একটা গাড়িতে !

তিন মাতাল একটা গাড়িতে উঠল ।🍷🍷
ড্রাইভার বুঝতে পারল যে তারা মাতাল, তাই সে গাড়ির ইঞ্জিল চালু করল ও কিছুক্ষণ পর বন্ধ করে ফেলল, এবং মাতালদের বলল……
তোমরা তোমাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছেগেছ,
তিন মাতাল গাড়ি থেকে নামল,,
তারপর তারা বললো……
১ম মাতালঃ- ধন্যবাদ,,💜💜
২য় মাতালঃ নিন, ১০০ টাকা বকশিস,,💵💵
৩য় মাতাল ড্রাইভারকে একটা জোরে থাপ্পর দিল,,✋✋✋
ড্রাইভার মনে করল, যে লোকটা বোধ হয় মাতাল ছিল না, সে সবকিছু বুঝতে পেরেছে ।💃💃💃
তবুও সে ৩য় মাতাল কে জিজ্ঞেস করল, থাপ্পর মারলেন কেন?😖😖😖
৩য় মাতালঃ শালা…. এত স্পীডে কি কেউ গাড়ি চালায়…🚔🚔🚔🚔

23/06/2023

মধ্যরাতের বিভ্রান্তি!
আমি যখন ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন মাথার ওপর ভরা জোছনা। এ রকম চাঁদের আলোয় মানুষের ছায়া পড়ে আর মানুষ তাতে বিভ্রান্ত হয়। আমি মোটামুটি বিভ্রান্তের মতো রিকশায় উঠে বসি।

বাসস্টেশনে এসে দেখি হাতে জ্বলন্ত মশার কয়েল নিয়ে এক লোক নূরের পেছনে পেছনে হাঁটছে। আমি হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করি, ‘এই আজব লোককে কোত্থেকে জোগাড় করলে?’

নূর হাসে, ‘যাদের ঘর আছে মশা তাদের কামড়ায়, যাদের ঘর নাই মশা তাদেরকেও কামড়ায়!

‘মশার কাছে মানুষের কোনো বাছবিচার নেই, সবাই সমান। এই লোক রাস্তায় ঘুমায়, কিন্তু মশার কামড়ে নাকি ঘুম আসে না, তাই সব সময় মশার কয়েল নিয়ে ঘোরে।’

লোকটা নূরের কথায় অত্যন্ত আনন্দিত হয়। তারপর হাসতে হাসতে বলে, ‘ভাইজান, যদি একটা চা খাওয়াইতেন।’

আমি দোকানদারকে তিন কাপ চা দিতে বলি। লোকটা আবার হাসে, ‘যদি একটা কেক খাওয়াইতেন।’

আমি দোকানদারকে বলি, ‘উনাকে একটা কেক দেন।’
লোকটা আরও উৎসাহিত হয়ে বলে, ‘যদি একটা কলা খাওয়াইতেন।’

নূর লোকটাকে ধমকিয়ে ওঠে, ‘কলা খেলে রাতে ঘুম আসবে না। তাড়াতাড়ি চা-কেক খেয়ে জায়গা দখল করেন, না হলে অন্য কেউ এসে আপনার জায়গা দখল করে ফেলবে। দেশে এখন জায়গার খুব দাম!’

নূর আমার দিকে তাকিয়ে গোপন কোনো আলাপের মতো ফিসফিসিয়ে বলল, ‘ঘটনা কী বল তো? হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, টেকনাফ যাওয়ার দরকার হলো কেন?’

আমি রহস্য করে বলি, ‘একটা ফুল আনতে যাচ্ছি।’
নূর আমার কথায় ভীষণ অবাক হয়, ‘একটা ফুল আনতে এত দূর! তোমার মাথা খারাপ হলো নাকি!’

আমি আবারও হেঁয়ালি করি, ‘পৃথিবীর কোনো প্রেমিকের মাথা কখনো ঠিক ছিল না! যারা একবার প্রেমে পড়েছে তাদের সবার মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে!’

নূর আমার রসিকতা ধরতে পারে না, ‘কী হয়েছে খুলে বল তো। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

আমি অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলি, ‘সুনন্দাকে বলেছিলাম, তোমাকে কিছু একটা দিতে চাই। সুনন্দা আমার হাতটা ধরে রেখে বলেছিল, তুমি আমার সাথে আছ এটাই তো আমার সবকিছু, আর কিছু চাই না। আমি অনেক জোরাজুরি করাতে সুনন্দা মুচকি হেসে বলল, যে জিনিসটা চাইব সেটা খুবই সহজলভ্য আবার খুব দুষ্প্রাপ্য। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের কোনো এক দ্বীপে একটা ফুল পাওয়া যায়, বছরে একবার ফোটে। সেটা নামে ফুল হলেও দেখতে ফলের মতো। পারলে আমার জন্য সেই ফুল একটা এনে দিয়ো।’

নূর বিস্ময়ে কথা বলতে পারে না। অনেকক্ষণ পরে তার সংবিৎ ফেরে, ‘তাহলে আমি কী দোষ করলাম ভাই! আমাকে সাথে নেওয়ার কারণ কী?’

আমি এবার হেসে ফেলি, ‘তুমি হারানো মানুষ খুঁজে পাওয়াতে ওস্তাদ। এবার না হয় আমার জন্য একটা হারানো ফুল খুঁজে দেবে। কারও কারও জন্য তো একটা ফুল একটা মানুষের জীবনের সমান।’

নূর কিছু বলে না। আমি ভয়ে ভয়ে বলি, ‘আমরা নাফ নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বের হয়ে যাব। তারপর ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে ফুলটা খুঁজব।’

আমি নূরের ধমক খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। নূর মুখ কালো করে বলে, ‘বাস ছাড়তে এখনো ঘণ্টাখানেক বাকি। চল, কর্ণফুলীর পাড় থেকে ঘুরে আসি। নোঙর করে থাকা জাহাজ আর মাছ ধরার ট্রলারে লাল-নীল বাতি জ্বলে। দেখে মনে হয় একঝাঁক তারা নিয়ে আকাশটা নদীতে নেমে এসেছে।’

কর্ণফুলীর পাড়ে এসে আমি অবাক হয়ে গেলাম। জোছনায় নদীটাকে অপার্থিব লাগছে। নূর রহস্যময় গলায় বলে, ‘অনেক বছর আগে আমার পূর্বপুরুষ এই নদীর ওপর দিয়ে সাম্পানে করে রেঙ্গুন শহরে গিয়েছিল বাণিজ্য করতে।’

আমি রসিকতা করি, ‘আবদুল গফুর হালী সে জন্যই তো গান লিখেছিলেন, “বানু রে, অ বানু, আঁই যাইয়ুম রেঙ্গুন শহর, তোঁয়ারলাই আইননুম কী”?’

নূর আমার কথায় কান দেয় না। আমি দেখতে পাই জোছনার আলো নূরের গালের ওপর চকচক করছে। অবাক হয়ে বলি, ‘তুমি কাঁদছ নাকি!’

নূরের গলা বুজে আসে, ‘অথচ দেখ আজকে হাজার হাজার মানুষ একটু আশ্রয়ের খোঁজে, একটু খাবারের জন্য নাফ নদী পার হয়ে এ দেশে আসতে চাইছে।’

আমার হঠাৎ করে বাসস্টেশনে মশার কয়েল হাতে নিয়ে ঘোরা লোকটার কথা মনে হলো। একটু মাথা গোঁজার জন্য, একটু খাবারের জন্য সারা পৃথিবীতেই এ রকম লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমার খুব মন খারাপ হয়, ‘আসলে গৃহহীন মানুষের কোনো দেশ নেই।’

আমার আর কিছু ভালো লাগে না। নূরকে বলি, ‘চল, বাসায় চলে যাব। কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না।’

নূর অবাক হয়, ‘ফুল আনতে যাবে না?’

আমার বিষণ্নতা কাটে না, ‘আমি যদি ফুল নিয়ে আসার সময় নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসা লোকগুলোর সামনে কিংবা মশার কয়েল হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো লোকটার সামনে পড়ে যাই, তাহলে লজ্জায় তো আমার মরে যেতে ইচ্ছে করবে। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আমার অন্তত মাথার ওপর ছাদ খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে না।’

নূর নাছোড়বান্দা, ‘কিন্তু, সুনন্দা রাগ করবে না?’
আমি হেসে ফেলি, ‘সুনন্দা তো বলেই দিয়েছে, আমি সারা জীবন তার হাত ধরে থাকলে সে তাতেই খুশি। তার আর কিছু চাই না।’

আমি রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি তখন জোছনা আরও ঘন হয়ে এসেছে। এ রকম জোছনায় খুব প্রিয় কারও হাত ধরে সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আমি সুনন্দার বাসার সামনে চলে যাব কি না ভাবছি। এ রকম জোছনায় কেউ বেশিক্ষণ ঘরের ভেতরে থাকতে পারবে না। কখনো না কখনো তাকে বারান্দায় আসতেই হবে। সে দেখবে অনেক দূরে একটি ছেলে ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর মতো একা বসে একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। জোছনায় ছেলেটির ছায়া পড়েছে রাস্তায়। তারপর একবার ছেলেটির দিকে, আরেকবার তার ছায়ার দিকে তাকাতে তাকাতে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যাবে সে।

আমার পেটে যখন সন্তান এলো তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, সন্তানের জন্ম শ্বশুরবাড়িতে হবে। বাবার বাড়িতে যাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ...
20/06/2023

আমার পেটে যখন সন্তান এলো তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, সন্তানের জন্ম শ্বশুরবাড়িতে হবে। বাবার বাড়িতে যাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারি নি।

গর্ভধারণের পর থেকে লক্ষ্য করলাম প্রবল ভাবে পেটে ব্যথা করছে। ব্যথাটা এতো তীব্র ছিলো যে, চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়লো।
স্বামীকে বললে, সে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। ডাক্তার বললেন, বিশ্রামে থাকতে।

কিন্তু দু একদিন আমাকে শুয়ে বসে থাকতে দেখে শাশুড়ির মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
তিনি একদিন রুমে এসে কাটা কাটা উচ্চারণে বললেন,"সন্তান তো আমিও ধারণা করেছি। কিন্তু তখন তো তোমার মতো এভাবে শুয়ে বসে থাকি নি! এসব ঢং বাদ দাও।"
তারপর রুম থেকে বেরুনোর সময় গজগজ করে বললেন,"যত্তোসব ফাঁকিবাজ! কাজ না করার বাহানা!"

ডাক্তারের কথা আর মানা সম্ভব হলো না। প্রবল ব্যথা নিয়ে সংসারের কাজ করে যেতে লাগলাম। কাজ বেশি করতে হতো। কারণ কাজের লোক রাখা শাশুড়ি পছন্দ করতেন না।

আমার স্বামী ব্যবসায়ী। কিন্তু তখন তার ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিলো। তাই আগের মতো খরচ করতে পারছিলো না। গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের যে বাড়তি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় এটা সে বুঝতো। সে তার সাধ্য অনুযায়ী আমার জন্য দুধ, ডিম, ফলমূল কিনে আনতো। বাড়ির সবার জন্য এসব খাবার কেনার সাধ্য তার ছিলো না। অবশ্য আমার শ্বশুর তখনো চাকরি করতেন। এসব খাবার তিনি অনায়াসে কিনতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে এবং ছেলের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা না করে ছেলের ওপর ক্ষেপে গেলেন।

আমাকে শুনিয়ে একদিন আমার স্বামীকে বললেন,"তোকে জন্ম দিয়েছি, লালন পালন করে বড়ো করেছি। আর আজ তুই বাবা মাকে দুধ, ডিম, ফলমূল না খাইয়ে পরের ঘরের মেয়েকে খাওয়াচ্ছিস? এতো নিচে নামলি কী করে তুই?"
শাশুড়ি তখন বললেন,"বউ পেয়েছে, এখন কি আর বাবা মা'র কথা মনে থাকবে? নিমক হারাম ছেলে!"
স্বামী তখন নরম স্বরে বললো,"আমার এখন ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। তাই সবার জন্য ওসব খাবার কিনতে পারছি না। বউকে তো বিলাসিতা করে খাওয়াচ্ছি না। এখন ওর পুষ্টিকর খাবার দরকার।"
তারপর বললো,"কথা দিচ্ছি, ব্যবসার মন্দা কেটে গেলে আপনাদের জন্য ভালো খাবার প্রতিদিন কিনবো।"
এরপর বললো,"বাবা, আপনি তো এখনো আয় করেন। আপনি চাইলে তো ওসব খাবার কিনতে পারেন।"
শ্বশুর ধমকে বললেন,"চুপ থাক। কথা বেশি বলিস তুই। আমরা কিছু বুঝি না, তাই না? প্রেম উতলে পড়ছে বউয়ের জন্য।"

স্বামী সে রাতে বিষণ্ণ গলায় আমাকে বললো,"সামান্য কিছু পুষ্টিকর খাবার তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম। তাও পারলাম না।"
ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম,"তুমি মন খারাপ কোরো না। তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি।"

শারীরিক যন্ত্রণা, ঠিক ভাবে খেতে না পারা এবং সংসারের কাজের ধকলে শরীর দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে লাগলো। একটা সময় কোমর, হাত, পা ব্যথা শুরু হলো। যন্ত্রণায় এবং দুর্বলতায় রাতে এক ফোঁটা ঘুম হতো না।

রক্তশূন্যতায় এবং পুষ্টিহীনতায় আমার অবস্থার যখন খুব বেশি অবনতি হয়ে গেলো তখন পেটের বাচ্চার কথা ভেবে ভয় পেয়ে গেলাম। ভাবলাম, ওর যদি কিছু হয়ে যায়? সেই ভয় থেকে অত:পর শ্বশুরবাড়িতে সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হলাম।
এবং ভগ্ন কণ্ঠে স্বামীকে বললাম,"আমাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে চলো।"
সে আমার কথা রাখলো।

বাবার বাড়ি যাওয়ার পর আমার করুন অবস্থা দেখে বাবা মা হুহু করে কেঁদে দিলেন। যাই হোক, যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো। যদিও ওর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিলো, তবে ভগবানের কৃপায়আমি এবং ছেলে দুজনই সুস্থ থাকলাম।

২.
তিরিশ বছর পরের কথা। স্বামী এবং শ্বশুর শাশুড়ি মারা গেছেন। ছেলেকে বিয়ে করালাম।
তারপর পুত্রবধূ যখন গর্ভবতী হলো, তখন বউয়ের হাত ধরে বললাম,"মাগো, তোমার যখনই কোনো সমস্যা হবে আমাকে বলবে। আর তোমার এখন ঘরের কাজ করার দরকার নেই।"

আমি নিজে ছেলের বউয়ের দেখাশোনা করছি। সুষম খাবার খেতে দিচ্ছি, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।

মাস খানিক পর ছেলে এক সন্ধ্যায় আমাকে এসে বললো,"আজ শ্বশুর ফোন করে মেয়েকে বাবার বাড়ি যেতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, এই সময় বাবার বাড়িতে মেয়েদের যত্ন ঠিক ভাবে হয়। শ্বশুরবাড়িতে হয় না। শুনে আমার বউ কি বললো জানো?"
বললাম,"কী বললো?"
"বললো,'না বাবা, বাড়ি যাবো না। সন্তান এখানে হবে। শাশুড়ি মা এতো ভালো যে, বলে বোঝাতে পারবো না। তিনি আমাকে আপন সন্তানের মতো ভালোবাসেন। সার্বক্ষণিক আমার খেয়াল রাখেন। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো'।"

শুনে চোখ দুটো হঠাৎ ভিজে উঠতে চাইলো। কোনো রকমে নিজেকে আটকালাম।

কিন্তু ছেলে চলে যাওয়ার পর আর আটকানোর চেষ্টা করলাম না। চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো। নিজে গর্ভকালীন সময়ে শ্বশুরবাড়িতে এমন ভালোবাসা পাই নি বলে কি? নাকি আনন্দে? কে জানে!

"বিজয়ের পর"
এরকম গল্প পড়তে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন তাহলে নেক্সট টাইম যতো গল্প পোস্ট করবো সব পড়তে পারবেন।

(সংগৃহীত)

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?- ও আচ্ছা ঠিক...
19/06/2023

- মারে তোকে অনেক দিন হলো দেখিনা। একটু আসবি এখানে ?
- বাবা , তোমার জামাইয়ের অফিসে ছুটি নেই কিভাবে আসবো বলো ?
- ও আচ্ছা ঠিক আছে । ছুটি হলে একটু এসে দেখে যাস। গাছে কিছু পেয়ারা পেকে আছে তোর জন্য রেখেছি, তুই তো খুব ভালোবাসিস। আর তোর মা সেই কবে থেকে মোরগ টা রেখে দিয়েছি তোর জন্য তুই আসলেই মোরগ পোলাও করবে । দিন দিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে মোরগ টা তবু ও তোর মা ওটা জবাই করছে না ।বলছে আমার মেয়ে এলে ওর জন্য নিজের হাতে আমি রান্না করবো।
- বাবা তোমার শরীর ভাল তো ?
- হ্যা রে মা আমি ভাল আছি। কিন্তু তোর মা ভাল নেই। প্রেসারটা খুব বেড়েছে ।
- মাকে বলো আমি খুব তাড়াতাড়ি আসবো । চিন্তা না করতে এখন রাখি বাবা ।
- ঠিক আছে মা রাখ।
,,
বাবার ফোন রেখে খুব কান্না পেল। কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। যখন ছোট ছিলাম বাবা রোজ আমাকে নিজের হাতে পেয়ারা পেরে খাওয়াতো। সব থেকে পাকা পেয়ারাটা আমি পেতাম । ভাইয়া মাঝে মাঝে বলতো - তোমাদের ওই মেয়ে সব । আমি কিছু না।
মা হেসে দিয়ে বলতো ,- ছি বাবা হিংসে করতে নেই। ও যখন পরের ঘরে চলে যাবে তখন তুই পাকা পেয়ারা গুলি খাস। এখন ওকে দে। ভাইয়া চোখের পানি আড়াল করে বলতো - আমি জানি তোমরা ওকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসো। এই কথা শুনে বাবা মা মুখ টিপে হাসতো।
,,
ছোট বেলা থেকেই আমার মোরগ পোলাও ভিষন পছন্দ । বাবা বাজারে গেলেই সব সময় খোঁজ করতো কোথাও
মোটা তাজা মোরগ কোথায় আছে কিনা। কিনে এনেই আমাকে ডেকে বলতেন - এই দ্যাখ মা কি এনেছি ।
তারপর মাকে বলতেন - শোন আজ খুব ভাল করে মোরগ পোলাও করো আমার মেয়েকে আমি পাশে বসিয়ে খাওয়াবো। বাবা আমাকে আর ভাইয়াকে নিজের হাতে মুখে তুলে খাওয়াতো। তিন বেলা মোরগ পোলাও চলতো ,আমি ভাত খেতে চাইতাম না বলে বাবা বলতো - আমার পেটটা ভাল না। এ খাবার খেতে পারবো না। ওদের দাও আমার ভাগের টাও।
,
আজ কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখিনা। বুকটা কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছে । পৃথিবীতে কেন এতো নিষ্ঠুর নিয়ম বাবা মাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে ।

,
আজ বাসায় মোরগ পোলাও রান্না হচ্ছে । আমার বর ইয়া বড়ো মোরগ এনে বললো এটা আজকে রান্না করো খুব সুন্দর করে আমার দুজন মেহমান আসবে ।
রাতে সবাই এক সাথে ডিনার করবো।
এই বলেই অফিসে চলে গেল ।
আমি মোরগ টাকে কেটেকুটে সুন্দর করে রান্না চড়ালাম। কিন্তু আমার মন রয়েছে সেই পুরনো দিনে । বার বার বাবা মায়ের মুখটা মনে পড়ছে । মা আমার জন্য নিজের হাতে পোষা মোরগ নিয়ে অপেক্ষা করছে পথ চেয়ে ।
,
দুপুরে খেতে গিয়ে পারলাম না। চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার । ওভাবে রেখে উঠে গেলাম ।
রাতে আমার বর এলো বাসায় । এসে বললো খাবার রেডি করো আমি তাদের নিয়ে আসছি।
,
খাবার রেডি করে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। এখনও ওর ছুটি পেতে পঁচিশ দিন বাকি। বাবা মাকে কবে দেখতে পাবো। চোখ থেকে অজান্তে পানি গড়িয়ে পড়লো। এমন সময় পিছনে কেউ আমার মাথায় হাত দিলো। চমকে উঠে পিছনে ফিরে দেখলাম বাবা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে । মা ও পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে । আমি অবাক হয়ে গেলাম । মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম । বাবা বললো ,- জামাই আজ অফিস ছুটি দিয়ে আমাদের আনতে গিয়েছিল । তুই নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদিস? বোকা মেয়ে একটা আমরা ভাল আছি ।
,
দুরে দাড়িয়ে আমার বর হাসছে । ওর হাসি দেখে মনটা ভরে গেল । চোখের পানি মুছে বললাম - বাবা আমার ভিষন খিদে পেয়েছে চলো আমাকে খাইয়ে দিবে। তোমার হাতে কতোদিন খাইনা। বাবা চোখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে পানি মুছলো।
আমি হুহু করে কাঁদতে লাগলাম ।
এমন সময় আমার বর বললো - এখন খেতে দাও ভিষন খিদে পেয়েছে । আমি সবাই কে খেতে দিলাম । বাবা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে ।মনে হচ্ছে সেই ছোট্ট আমি । আমার প্লেট থেকে এক টুকরো মাংস বাবার মুখে দিতেই বাবা বললো - জানিস মা আমি যখন ছোট্ট ছিলাম আমার মাও ঠিক এভাবে মাংসের টুকরো আমার মুখে তুলে দিতো। আমি আমার মায়ের চেহারা তোর মাঝে দেখতে পাই। তুই যে আমার মা আমার জননী ।

,
সমাপ্ত

18/06/2023

জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏

17/06/2023

#শিক্ষনীয়পোষ্ট

পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ
মা'রে,
শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জায়গায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি? আমি তখন ভেতরে বসে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতির কাছে কি করে মুখ দেখাবো? জানিস মা, তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে। বাবারা সন্তানদের কতোটা ভালবাসে তা বোঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা, আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে। কি করবো বল? তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভালো লাগা টাকে সহজে মানতে চায় না? উত্তরটা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো,তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তরটা পেয়ে যাবি। তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।কিন্তু একটা বাবা বোঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর নানুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,যদি মেয়ে হয় তাহলে নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যা দানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো। তাই তোর প্রতি এত অভিমান। মারে বাবার উপর রাগ করিসনা। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হবো না কেন? বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো?আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোনো প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো? তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারি। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেবো। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা।
ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত একটি মেয়ে/ছেলেও যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে মন্দ কি......লিখাটা ভালো লাগলে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন 🙏

Please please follow অ ন ন্যা

😊🥀
16/06/2023

😊🥀

 #ছবি_দেখে_লিখিশিরোনাম - "সুখের ছোঁয়া"মা...ও মা..., আমার সেই লাল শাড়িটা দেখেছো, আলমারিতে পাচ্ছি না, নীলাঞ্জনার  চিৎকারে ...
16/06/2023

#ছবি_দেখে_লিখি
শিরোনাম - "সুখের ছোঁয়া"

মা...ও মা..., আমার সেই লাল শাড়িটা দেখেছো, আলমারিতে পাচ্ছি না, নীলাঞ্জনার চিৎকারে নন্দিনী বললো কোন লাল শাড়ি?
- ওই যে যেটা পড়ে আমার স্কুলের ফাংশনে গিয়েছিলাম।
-দেখো মেয়ের কান্ড আমি কি লাল শাড়ি পড়ি যে আমার আলমারিতে শাড়ি থাকবে। দেখ কোথায় রেখেছিস সব তো আমিই গুছিয়ে রাখি।
নন্দিনী ও খুঁজতে লাগলো। অবশেষে সেটা পাওয়া গেলো একটি চেয়ারের নীচে থেকে। নীলাঞ্জনা জড়িয়ে ধরলো নন্দিনী কে...."তুমি আমার গত জন্মে মা ছিলে তাই আমি এইজন্মে তোমার বউ হয়ে এসেছি।"
দুজনের কি হাসি! শাশুড়ী বউয়ের কেমিস্ট্রি জমে ক্ষীর।
- বলছি এখন এই শাড়ীটার খোঁজ করছিস কেন?
- আসলে কিছু শাড়ি কাঁচতে দেবো। তোমার কিছু থাকে তো বলো।
নন্দিনী বললো, - আমার শাড়ি? না রে আমার কিছু কাঁচার নেই।
- বলছি মা... এই রবিবার তুমি আমি মিলে আইসক্রীম খেতে আইসক্রীম পার্লার এ যাবো। আর একাডেমিতে একটা পেন্টিং প্রদর্শনী হচ্ছে আমার বন্ধুর। আর তুমি তো আঁকা ভীষণ ভালোবাসো। সেদিন তোমার ড্রয়ার থেকে একটা আঁকা পেয়েছি। কি ভালো আঁকতে তুমি। কেন আবার নতুন করে শুরু করো না মা।
- দূর পাগলী মেয়ে তুই তো কতো ভালো লিখিস কিন্তু এখন সব স্টপ।
- আমার কথা ছাড়ো, আমি তো তোমার ছেলের প্রেমে বিন্দাস আছি।
নন্দিনী নীলাঞ্জনার নাকটা টিপে দিয়ে বললো
- পাকা বুড়ি আমার।
সত্যি দুজন মানুষের বয়সের অনেকটা ফারাক সত্তেও দুজনে কতো খোলামেলা। পাড়ার লোকেরা ও বলে, শাশুড়ী বৌমার জুটি দেখার মতো। প্রথম যখন বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলা গেলো নন্দিনী নিজে হাতে আলতা দিয়ে পা রাঙিয়ে দিতে দিতে বলেছে আমার বাড়িতে যে লক্ষ্ণীর প্রবেশ হয়েছে তাকে যদি সাজিয়ে না দি তাহলে যে মা লক্ষ্ণীর অপমান করা হবে। প্রতিটা মেয়ে যে লক্ষ্ণী।খাবার টেবিলে আজ নন্দিনীর পছন্দের রান্নাগুলো দেখে নন্দিনী শ্যামলী কে জিজ্ঞাসা করলো
- আজ কোন দিকে সূর্য উঠেছে শ্যামলী। সব আমার পছন্দের রান্না করেছিস।
- আমি করেছি না কি গো, বৌদিমনি সেই সকাল থেকে সব রান্না করে স্কুলে গেছে। তোমার আজ না কি জন্মদিন?
নন্দিনীর দু চোখ দিয়ে জলের ধারা নেমে আসছে। আজ যে বড্ডো বাবা, মা, ছোটবেলাটা চোখের সামনে চলে আসছে।
সেই পিঁড়ি পেতে থালায় খাবার সাজিয়ে জন্মদিনের দিন খেতে দিতো। বাবা পকেট থেকে বড়ো ক্যাডবেরি বার করে সামনে রেখে দিতো। তারপর কতো বছর পেরিয়ে গেছে সংসারের যাঁতাকলে পিষে সবকিছুর পাঠ চুকে গিয়েছিলো। তারপর আজ আবার এই পঞ্চাশ বছরে এসে এক ঝলক খুশির হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো নন্দিনীকে। কলিং বেল বাজছে , শ্যামলী গিয়ে দরজা খুলে দিলো। হৈ হৈ করতে করতে নীলাঞ্জনা এসে নন্দিনীকে জড়িয়ে ধরলো...
- ওরে ছাড়... আমি তো তোর জন্যে অপেক্ষা করছি পাগলী মেয়ে।
- ঠিক আছে আজ কিন্তু সব খেতে হবে।
নন্দিনী বললো -তুই ও বসে পড়।
নীলাঞ্জনা ও খেতে বসে গেলো। নন্দিনী বললো
- প্রত্যেকটা রান্না দুর্দান্ত হয়েছে। পায়েস তো ঠিক আমার মায়ের মতো। আবার মা-র ছোঁয়া পেলাম।
মুঠোফোন বেজে উঠলো। নীলাদ্রি ভিডিও কল করেছে... - কি মা আজ খুব নীলার হাতের রান্না খাচ্ছ। আর আমায় তো দিব্যি ভুলে গেছো।
- দূর, তুই ছাড়া আমার ফটো ফ্রেমটা অসম্পূর্ণ। তুই কবে আসবি নীল?
-মা আমি খুব শীঘ্রই আসছি। কিন্তু আজ তোমার দিন, অতএব নো টেনশন। আরো কিছু কথা বলার পর নীল ফোনটা ছেড়ে দিলো। খাওয়া দাওয়া করে দুজন ঘরে বিশ্রাম করতে চলে গেলো। নন্দিনী আজ ভীষণ খুশী। যোগ্য মেয়েকে ঘরে এনেছে। সত্যি, হয়তো নীলাঞ্জনা গত জন্মে মেয়েই ছিলো।
নন্দিনী নিজের মনে গান ধরলো ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে.....

--------সমাপ্ত----------

যখন ৬বছরের ছিলামআর এখন৬০বছরেরসবটা পাল্টালেও,মায়ের ভালবাসাসেই আগের মতোই থাকে
16/06/2023

যখন ৬বছরের ছিলাম

আর এখন৬০বছরের

সবটা পাল্টালেও,মায়ের ভালবাসা

সেই আগের মতোই থাকে

16/06/2023

যদি ভাগ্যক্রমে তোমাকে পেয়ে যাই,
তাহলে তুমি হবে আমার সবচেয়ে বড় উপহার🥰

13/06/2023

বোঝার ভুল হাসির গল্প

৩ দিন আগে কলেজে গিয়ে দেখি,মেয়েরা গল্প
করতেছে?

কেউ বলছে আমার ৫ মাস!
=
কেউ বলছে আমার ৪ মাস!
=
এর মাঝে,একজন বলতেছে?
=
=
আমার তো পুরাই ১০
মাস হয়েছে!

এ কথা শুনে আমি তো অবাক! কি ব্যাপার,বিয়ে হয়নি অথচ এরা কার কয় মাস তা নিয়ে ব্যস্ত কেনো?

কিছুক্ষণ পর,একটি ছেলে দৌড়ে এসে বলতেছে,,, =

আমার ১১ মাস ১৭ দিন
হয়েছে!

এই কথা শুনে,আমি তো বেহুশ!
=
=
৩ দিন পর হসপিটালে হুশ হয়ে,বন্ধুদেরকাছে শুনলামঃ তাদের নাকি

কলেজের বেতন বাকি

11/06/2023

আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়

একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো। প্রথম মোমবাতি টি বললো, 'আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে যাবো।' তারপর সেটি নিভে গেলো।
দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, 'আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন নিভে যাবো'। কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।
তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো, আমি ভালবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মত শক্তি নেই। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।" কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।
কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চা টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন?
তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। তারপর বাচ্চা টি কাঁদতে শুরু করলো। এবার চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খোলে। 'ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবারো বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা। "বাচ্চা টি আশা নামের মোমবাতি টি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো জ্বালালো। সমস্ত রুমটা আবারো উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।

গল্পটি রূপক কিন্তু হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়। কারন আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।

সাহেবগঞ্জের ঝর্না - পর্ব ২আমেরিকা ফেরার পর থেকেই অসীমবাবু ভাবছিলেন, সাহেবগঞ্জের ডায়েরির প্রসঙ্গটা তুলে এক দিন দিলীপকে ফ...
10/06/2023

সাহেবগঞ্জের ঝর্না - পর্ব ২
আমেরিকা ফেরার পর থেকেই অসীমবাবু ভাবছিলেন, সাহেবগঞ্জের ডায়েরির প্রসঙ্গটা তুলে এক দিন দিলীপকে ফোন করলে হয়। যোগাযোগটাও থাকবে আর ঘটনাটা তো ইন্টারেস্টিং বটেই। শেষে এক দিন একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিলেন,

“দিলীপ, সে দিন এয়ারপোর্টে তোর ফোনটা পেয়ে খুব ভাল লাগল। সিয়াটলের সঙ্গে কলকাতার সাড়ে বারো ঘন্টার তফাত। তোকে কোন সময় ফোন করলে সুবিধে, জানাস। আমাদের '৬৬ ব্যাচের আর কার সঙ্গে যোগাযোগ আছে? কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে কি? এর পর তো দেশে করে যাওয়া হবে, জানি না। রিটায়ারমেন্টের পর তুই এক বার ঘুরে যা। মজা হবে। সে দিন হিন্দুস্তান পার্কের বাড়ি খালি করার সময় একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল। সিক্সটি সেভেনের একটা ডায়েরিতে দেখলাম, তুই, আমি আর কাঞ্জিলাল এক বার সাহেবগঞ্জের ঝর্না দেখতে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে আমাদের মন্দার হিল্স বলে কোথাও একটা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঝর্নায় এমন কিছু একটা ঘটে যে, মন্দার না-গিয়ে তুই আর আমি সেই রাতেই কলকাতার ট্রেন ধরি। অথচ কাঞ্জিলালের কী হল, সেটা লেখা নেই। আমার স্মৃতি থেকে ঘটনাটা পুরো মুছে গেছে। এমনকি, ঝর্নাটাও মনে করতে পারলাম না। কী ঘটেছিল রে? সিরিয়াস কিছু? তোর নিশ্চয়ই মনে থাকবে। খুব জানতে ইচ্ছে করছে। তোর ফটোগ্রাফি কেমন চলছে? কাঞ্জিলালকে আমার শুভেচ্ছা জানাস।'

মেসেজটা পাঠিয়েই অসীমবাবুর মনে হল, কাঞ্জিলালকে যে চিনতে পারেননি, সেটা স্বীকার করে নিলেই হত। এত

দিন পর মনে না-ই থাকতে পারে! কাজটা ঠিক হল না।

আমেরিকার কর্মব্যস্ততা মানুষকে ফুরসতই দেয় না। দিন পনেরো হয়ে গেল, দিলীপের উত্তর না-পেয়ে অসীমবাবুর সাহেবগঞ্জের ঘটনার আগ্রহটা কমে এসেছে। এ-ও ভেবেছেন, যেহেতু ডায়েরিতে লেখা আছে অন্যায়টা দিলীপেরই ছিল, ও ইচ্ছে করেও উত্তর না দিতে পারে! আগের মতো সম্পর্ক তো আর নেই!

সে দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তুষারপাত ছিল। শুতে যাওয়ার আগে অসীমবাবু জানলা দিয়ে দেখলেন, গ্যারাজের

সামনে বরফ জমেছে। কাল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে ট্রেনেই অফিস যেতে হবে। ঘরের আলোটা নেভাতেই, মোবাইল

ফোনের স্ক্রিনে দিলীপের মেসেজ।

'অসীম, আজ ৯ই নভেম্বর। সাহেবগঞ্জের ঘটনার ফর্টি-সেকেন্ড অ্যানিভার্সারি। ঘটনাটা তোর মনে না থাকারই কথা। কারণ, আমিই তোকে ভুলে যেতে বলেছিলাম।

“ট্রেন থেকে ভোরবেলা সাহেবগঞ্জ স্টেশনে নেমেই আমরা একটা রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, ঝর্না কত দূর। ঝর্নাটা ছিল স্টেশনের পিছনেই। পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। কিন্তু রিকশাওয়ালা ভাড়ার লোভে বলেছিল, দূর আছে। সামনেই একটা বছর দশেকের দেহাতি বাচ্চা ছেলেকে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তুই একটা টাকা দিয়ে বলেছিলি, “যাও কুছ খা লো।””

'আমাদের ভাগলপুরের ট্রেন ধরার তাড়া ছিল। পাঁচ টাকা ভাড়া রফা করে তিন জনেই রিকশায় উঠলাম। মিনিট পনেরো ঘুরে রিকশাটা যখন আবার স্টেশনের পাশ দিয়েই যাচ্ছে, ওই বাচ্চাটা আমাদের দেখে হেসে কুটোপাটি। রিকশাওয়ালাকে টিপ্পনী কাটল, “ক্যায়া চাচা, পান খিলায়া?" আমাদের মধ্যে তুই-ই কথাটার ইঙ্গিত বুঝতে পেরে রিকশাওয়ালাকে খুব একচোট নিয়েছিলি। বিহারে মামার বাড়ি হওয়ায় সুবাদে তোর হিন্দির দখলটা ভালই ছিল।
'সাহেবগঞ্জের ঝর্নাটা ছিল অপূর্ব! ঘন সবুজ জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে নিকষ কালো পাথর ধাপে ধাপে আকাশে উঠে গেছে। সেখান থেকে অঝোরে জল নীচে লাফিয়ে পড়ে পাথরে আওয়াজ তুলছে, ঝম ঝম ঝম। তুই তো বরাবরই হিরো। টারজানের মতো সঙ্গে সঙ্গে জলে নেমে গেলি। কাঞ্জিলাল অতি সাব্বানে জলের কাছাকাছি পৌঁছে একটা পাথরে হেলান দিয়ে দাঁড়াতেই তুই আচমকা ওকে জোর করে টেনে জলে নামালি। ও প্রচণ্ড ভয় পেয়ে তোকে জড়িয়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করতে গেলে, তুই সরে গেলি। হয়তো মজা করেই। কিন্তু ও একটা পাথরে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল। ঝর্নার জলটা যেখানে মাটিতে জমেছিল, সেখানে তোর কোমর জল। কিন্তু ওখান থেকেই প্রচণ্ড কয়েকটা স্রোত জঙ্গলের আড়ালে বয়ে গেছে। আমি ক্যামেরায় তোদেরই ফটো তুলছিলাম। হঠাৎ লেপের ভিতর দেখি, কাঞ্জিলাল নেই। তুই একা দাঁড়িয়ে, চোখে-মুখে উদ্বেগ। আমি চিৎকার করে উঠলাম, “অসীম, কাঞ্জিলাল কই?” তুই চুপ। আমি এগিয়ে জলের কাছে গিয়ে কাঞ্জিলালকে কোথাও খুঁজে পেলাম না। তুই স্থির দাঁড়িয়ে। ঝর্নার এক টানা কম ঝম শব্দটা জঙ্গলের নিস্তব্ধতাকে সেই মুহূর্তে যেন আরও গম্ভীর করে তুলছিল। হঠাৎ কারও আওয়াজ পেয়ে আমি চমকে পিছন ফিরে দেখি, সেই দেহাতি বাচ্চাটা! জঙ্গলের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছে, “উ উধার ডুব গৈল।”

“সেই অপরিণত বয়সে, জঙ্গলের পরিবেশে, ঘটনার আকস্মিকতায় আমাদের তখন আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসেনি। অপরাধীর মতো আমি আর তুই জামা-কাপড়গুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে স্টেশন পালিয়ে এসেছিলাম। যত ক্ষণ পর্যন্ত না ট্রেনে উঠেছি, তত ক্ষণ ভয় পেয়েছি, যদি ঘটনার এক মাত্র সাক্ষী ওই বাচ্চাটা আমাদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

'কাঞ্জিলালকে যে তোর মনে আছে, জেনে অবাক লাগছে। কলেজে ওর সঙ্গে আমার তখন নতুন বন্ধুত্ব। বাবা-মা নেই। এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে থেকে এটা ওটা করে কলেজের খরচ জোগাত। আমিই ওকে বলেছিলাম, “চল, ঘুরে আসবি। সব খরচ আমার।”

“কলকাতায় ফিরেও আমার পুলিশের আশঙ্কাটা পুরো মাত্রায় ছিল। সব সময় ভয় পেতাম, বাচ্চাটার কাছে শুনে পুলিশ

যদি আমাদের ধরে, কাঞ্জিলালের ব্যাপারে কিন্তু তোকেই দায়ী করবে। মাসিমার কাছে মুখ দেখাব কী করে? তাই

তোকে এক দিন বাড়িতে ডেকে বুঝিয়েছিলাম, “যদি কেউ কখনও প্রশ্ন করে, জেনে রাখ, তুই কোনও দিন আমার

সঙ্গে সাহেবগঞ্জ যাসনি আর কাঞ্জিলাল নামে তুই কাউকে চিনিস না। সাহেবগঞ্জের ঘটনাটা মন থেকে মুছে ফেলিস।”

দিন পনেরো পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে কেউ কোনও দিন কাঞ্জিলালের খোঁজ করেনি। হঠাৎ এক দিন ক্লাসের মধ্যে কাঞ্জিলালকে ঢুকতে দেখে চমকে উঠলাম। ও আমার পাশে বসেই বলল, “দিলীপ, সে দিন অসীম ঠিকঠাক ফিরেছিল তো?”

"আমি ওর প্রশ্নটা সন্দেহের চোখে দেখেছিলাম। প্রশ্নটা কি পুলিশের? সঙ্গে সঙ্গে ওকেই দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রশ্ন

করলাম, “তুই কি সাঁতার জানতিস?”

"না।"

“তা হলে তোর ও ভাবে একা একা ঝর্নার জলে নামাটা কি উচিত হয়েছিল? যদি কিছু হয়ে যেত?”

“ও হেসে বলেছিল, “ধুর, আমার কিছু হয়ে গেলে কার কী! জ্ঞান হওয়ার পর থেকে অসীমের জন্যই খুব চিন্তা হচ্ছিল।”

'কাঞ্জিলাল বলেছিল, তোর এই এক টাকার বাচ্চাটাই নাকি জঙ্গল থেকে আদিবাসীদের ডেকে এনে ওকে উদ্ধার করে,

সুস্থ করে তোলে। এমনকি, ট্রেনের ভাড়াও ওরাই জোগাড় করে দেয়।

“এ বার কি তোর কিছুটা মনে পড়েছে?"
অসীমবাবু ঘড়িতে দেখলেন, রাত সাড়ে বারোটা। কাল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে ট্রেন ধরতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপেই জবাবে

লিখলেন,

“দিলীপ, ঘটনাটা আবছা মনে পড়েছে। কিন্তু তোর গল্পের সঙ্গে ডায়েরির পাতাটা এক জায়গায় মিলছে না। পাতার ফটোটা দেখে তোর কমেন্ট জানাস। কাঞ্জিলাল যখন তোকে মা'র মৃত্যুর খবর জানিয়েছে, ওর নিশ্চয়ই আমাকে মনে আছে। ও এখন কোথায়? কী করে? জানাস।'

সকালে অসীমবাবু যখন রেল স্টেশনে পৌঁছোলেন, তখনও অন্ধকার। বরফ পড়েই চলেছে। ওভারকোটেও ঠান্ডা

আটকাচ্ছে না। ট্রেনে বসেই মোবাইলে দেখলেন, দিলীপের উত্তরটা কাল রাতেই এসেছে।

“অসীম, ডায়েরির পাতাটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। দেখে হাসি পেল। পাতার শেষ লাইনটা ভাল করে দেখলেই বুঝবি, তোর হাতের লেখা নয়। চলন্ত ট্রেন বলেই লেখাটা পুরোপুরি মেলেনি। নইলে, স্কুলে তোর লেখা আমি হুবহু নকল করতে পারতাম। বাঙ্কে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম, কাঞ্জিলালের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তুই যে নির্দোষ, আমিই দায়ী, পুলিশের কাছে সেটা কী করে প্রমাণ করা যায়? শেষমেশ তুই যখন ঘুমিয়ে পড়েছিস, আমিই তোর ডায়েরিতে লাইনটা জুড়ে দিয়েছিলাম। পুলিশের কাছে প্রমাণটা কাঁচা হলেও আমাদের বন্ধুত্বের গভীরতার প্রমাণ পেয়ে গর্ব হল বইকি!

'কাঞ্জিলালের একটা আইডি কার্ড আমার কাছে ছিল। ওটারই ছবি পাঠালাম। কার্ডে ওর সব পরিচয়ই আছে। যেটা নেই সেটা হল, ওর স্ত্রীর ক্যান্সার। বেচারা জেরবার হয়ে যাচ্ছে।'

অসীম আইডি কার্ডে কাঞ্জিলালের নীল ইউনিফর্ম পরা ফটোটা দেখেই সোজা হয়ে বসল। আরে! এ তো হিন্দুস্তান পার্কের বাড়ির সিকিয়োরিটি গার্ড। সে দিন বাড়ির চাবি হ্যান্ডওভার করে যখন বেরিয়ে আসছি, হাত জোড় করে বলল, “স্যর, পারলে বছরে পুজোর ক'টা দিন অন্তত কলকাতায় কাটিয়ে যাবেন। মাসিমাকে আমিই হুইল চেয়ারে বসিয়ে পাড়ার ঠাকুর দেখিয়ে আনতাম। সে সুযোগ আর পাব না।”

অসীমবাবুর অফিসের চার পাশ বরফে সাদা। অফিসে ঢুকতে গিয়েও কী মনে হল, ভাবলেন একটু হেঁটে আসবেন। ছেলেবেলা, বাবা, মা, হিন্দুস্তান পার্কের বাড়ি সব হারিয়ে কদিন মনটা খুব খারাপ ছিল। আজ কেমন যেন মনে হল, জীবনে যা হারিয়েছেন, তুলনায় পেয়েছেন অনেক বেশি। একটা কফির দোকানে ঢুকে দিলীপকে মেসেজটা পাঠিয়ে দিয়ে বুক ভরা আনন্দ নিয়ে অফিসে ঢুকলেন,

'দিলীপ, শোন, একটা সাহায্য চাইছি। তোকে ছাড়া আর কাকেই বা বলব? ব্যাপারটা কিন্তু আর্জেন্ট। হিন্দুস্তান পার্কের বাড়ি বিক্রির টাকাটা তোর সরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেই পড়ে আছে। আমি ওই টাকা থেকে বাড়ির সিকিয়োরিটি গার্ডের স্ত্রীর ক্যান্সারের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মেটাতে চাই। ওষুধ, পথা যা লাগে। যখন যেমন প্রয়োজন, তোকেই কিন্তু টাকাটা তুলে দিতে হবে। তুই ব্যাঙ্কের লোক। আমার কী করণীয়, জানাস প্লিজ। পারলে আজই।

“আর শোন, আইডি কার্ডের কাঞ্জিলালকে আমি কিন্তু চিনতে পারিনি।'

মা জলদি নাস্তা দাও আজকে অফিসে তাড়াতাড়ি যেতে হবে.. নতুন এম.ডি জয়েন করছে। আর কালকে রোহান স্যার বলেছে.. নতুন এম.ডি নাকি অনে...
09/06/2023

মা জলদি নাস্তা দাও আজকে অফিসে তাড়াতাড়ি যেতে হবে.. নতুন এম.ডি জয়েন করছে। আর কালকে রোহান স্যার বলেছে.. নতুন এম.ডি নাকি অনেক রাগী।

মাঃ তুই টেবিলে বস.. আমি এখুনি নাস্তা নিয়ে আসছি।

আমিঃ আচ্ছা।

আমি টেবিলে বসতে বসতেই আম্মু আমার জন্য নাস্তা নিয়ে টেবিলে হাজির হয়ে গেলো। আম্মু আমার প্লেটে পরোটা আর ডিম দিয়ে বলল,,,

মাঃ এই নে ধর.. সব খেয়ে যাবি কিন্তু। প্রতিদিন তোহ অর্ধেক খেয়েই চলে যাস।

আমিঃ উমম.. মা আজকে তো আরো তারাতাড়ি যেতে হবে। নতুন এম.ডি আসবে আর আমি তার পি.এ। আমি তাড়াতাড়ি নাহ গেলে কি করে হবে?? (খেতে খেতে)

মাঃ তাই বলে কি নাহ খেয়ে যেতে হবে নাকি?? আর দিন দিন নিজের চেহেরা আর শরীরের যাহ অবস্থা বানাচ্ছিস.. কিছুদিন পর তোহ তোকে চোখেও দেখা যাবে নাহ।

আমিঃ আহা.... মা আমি স্লিম নাহ থাকলে কাজ করবো কিভাবে? আর মোটা হয়ে গেলে তোহ ছেলেরা আমার দিকে তাকাবে নাহ!! আর আমার দিকে নাহ তাঁকালে তোহ ছেলেরা ক্রাসও খাবে নাহ.. তখন আমার কি হবে!! ( কান্নার ভাব করে)

মাঃ হয়ছে.. আর ঢং করতে হবে নাহ!! এইবার তারাতারি খেয়ে নে তোহ!! নাহলে আবার দেরি হয়ে যাবে।

আমিঃ আচ্ছা আমার খাওয়া শেষ.. আমি আসি। আর আম্মু তুমিও কিন্তু মনে করে খেয়ে নিও।

মাঃ আচ্ছা.. আর সাবধানে যাস কিন্তু।

আমি বাসা থেকে বের হয়ে.. রাস্তায় এসেই দেখি একটা রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে রিকশায় উঠে পড়লাম।

আমিঃ ওইই.. মামা!! একটু তারাতাড়ি চালাও তোহ।

রিকশাওয়ালাঃ আফা.. আমি তোহ যাইতাম নাহ!

আমিঃ মামা.. প্লিজ!! একটু আমারে অফিসে দিয়ে আসো নাহ!! আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর আজকে আমার অফিসে নতুন এম.ডি স্যার আসবে। দেরী করে গেলে আমার চাকরী শেষ। মামা.. এই পুড়া দুনিয়াতে তুমি ছাড়া.. আর কেউ এখন আমার চাকরীটা বাঁচাতে পারবে নাহ।

রিকশাওয়ালাঃ আফা.. আমি যামু.. কিন্তু ভাড়া বেশি দিতে হবে। আইচ্ছা.. আফনে যাইবেন কই??

আমিঃ মামা.. তুমি ***** এইখানে তারাতাড়ি চলো।

রিকশাওয়ালাঃ আইচ্ছা।

অনেক কষ্ট করে রিকশাওয়ালা মামাকে যেতে রাজি করালাম। আপনেরা তোহ সব দেখলেনই।

আপনাদের তোহ আমার পরিচয় বলতেই ভুলেই গেছি। আমি তানহা আহমেদ.. দেখতে অনেক কিউট আর গুলুমুলু। আর সবাই আমাকে শান্ত স্বভাবের মেয়েই বলে। বুঝছেন.. নিজের প্রশংসা নিজেই করতাছি, নাইলে আপনেরা বুঝবেন নাহ আমি কেমন!! আমাদের ছোটো একটা পরিবার। সেখানে আমি আর আমার মা থাকি। আমার বাবা আমাদের সাথে থাকেন নাহ। আমার যখন ৪ বছর বয়স তখন আমার বাবা গাড়ী এক্সিডেন্টে মারা যায়। আর সেই তখন থেকে অনেক কষ্টে আম্মু একা আমাকে বড় করেছে। কিন্তু আমাকে কখনো কষ্ট পেতে দেই নি আম্মু। অনেক বিলাসবহুল ভাবেই আমাকে বড় করেছে.. কারণ বাবা মরে যাওয়ার আগে যথেষ্ট সম্পদ আমাদের জন্য রেখে গিয়েছিলো। আমি অর্নাস পড়ছি এবং পাশাপাশি একটি চাকরীও করি.. আম্মুকে হেল্প করার জন্য।

হঠাৎ কোথা থেকে জানি.. একটা প্রাইভেটকার এসে আমার রিকশায় ধাক্কা মারলো। আমি ধাক্কা সামলাতে নাহ পেরে রিকশা থেকে পড়ে গেলাম।
রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে.. আমি হাতে অনেকটা ব্যাথা পায়। আমি রাস্তা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দেখি.. কিউট একটা ছেলে গাড়ি থেকে বের হলো। ছেলেটা আমার সামনে আসতেই.. আমি ঠাস করে ছেলেটার গালে একটা চড় মেরে দিয়ে,,,

আমিঃ ওই বদমাশ ছেলে.. রাস্তা কি তোর বাপের নাকি রে?? গাড়ী আছে দেখে কি.. যেমন খুশি চালাবি?? ইচ্ছে করতাছে.. তোরে মাইরা ফেলি!!

-- How Dare You!! তোমার তোহ সাহস কম নাহ?? তুমি কাকে চড় দিয়েছো জানো??

আমিঃ ওইই.. এতো বড় বড় কথা তোর মুখ দিয়ে হচ্ছে কি করে রে?? বেটা বজ্জাত.. গাড়ী চালানোর সময় তোর চোখ কোথায় থাকে??

-- এইবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে!! তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি। তুমি এই হাত দিয়ে আমাকে চড় দিয়েছো নাহ??

কথাটা বলেই ছেলেটা আমার হাত চেপে ধরল.. কিন্তু আমি এতো রেগে ছিলাম যে ছেলেটির হাতে জোড়ে কামড় বসিয়ে দিলাম।

-- আয়য়য়য়হহহ... ওইইই তুমি আমার হাতে কামড় দিলে কেনো??

-- এই ছেলে.. তোর সাহস হয় কি করে আমার হাত ধরার??? যাই হোক.. তোর সাথে আজাইরা কথা বলার সময় নাই.. এমনি অফিসের অনেক দেরী হয়ে গেছে।

বলেই আমি ছেলেটির সামনে থেকে চলে আসলাম। এসে রিকশাওয়ালা মামাকে মাটি থেকে তুলে জিজ্ঞেস করলাম,,,

আমিঃ মামা.. আপনি ঠিক আছেন??

রিকশাওয়ালাঃ হ্যাঁ মা.. আমি ঠিক আছি।

আমিঃ ঠিক আছে.. তাহলে চলেন.. এমনি আমার অফিসের অনেক দেরী হয়ে গেছে।

রিকশাওয়ালাঃ হুম.. চলো মামা।

তানহা রিকশা উঠে চলে গেলো.. ছেলেটি রেগে লাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটির তোহ ইচ্ছে করছে তানহাকে মাথার উপরে তুলে একটা আচার মারতে। ছেলেটি মনে মনে ভাবছে...

ছেলেটিঃ আজকে পর্যন্ত এই ভাবে আমার সাথে কেউ কোনোদিন কথা বলারই সাহস পায়নি আর এই মেয়েটা আমাকে চড় দিছে। মেয়েটাকে শুধু আরেকবার পেয়ে নেই.. তখন দেখাবো নিহান চৌধুরীর গায়ে তুলার শাস্তি কি?? যাই হোক.. মেয়েটি কিন্তু অনেক কিউট আর সুইট।

এইসব ভেবে নিহানও গাড়ীতে উঠে চলে গেলো।

আমিঃ উফফ.. ওই বজ্জাত ছেলেটার জন্য অফিসে যেতে অনেক লেট হয়ে যাচ্ছে। আজকে নতুন এম.ডি স্যার আসলো.. আর আমি তার পি.এ হয়ে প্রথম দিনই লেইট।

এইসব ভাবতে ভাবতে অফিসে পৌঁছে গেলাম। অফিসে ঢুকে দেখি সবাই ফুলের তোরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে.. নতুন এম.ডি স্যারকে স্বাগতম জানানোর জন্য। অফিসে ঢুকে আমি,,,

আমিঃ শুভ সকাল.. সবাইকে।

কাব্যঃ আরে তানহা.. তুমি এতো লেট কেনো? এম.ডি ম্যাডাম তোহ এখনি চলে এসবে।

আমিঃ আর বলো নাহ.. একটা বেয়াদব, বজ্জাত ছেলের জন্য এইসব হয়ছে। রিকশা দিয়ে আমি কত সুন্দর আসছিলাম.. একটা ছেলে কোথা থেকে জানি গাড়ী নিয়ে এসে.. আমার রিকশার লাগিয়ে দিছে।

কাব্যঃ কি বলো?? তুমি ব্যাথা পেয়েছো??

আমিঃ নাহ এতো বেশি নাহ.. তবে হালকা ব্যাথা পেয়েছি হাতে। যদি ওই বজ্জাতটাকে আবার আমার সামনে পাই.. তাহলে ওকে আমি বুঝাবো তানহা কি জিনিস??

কাব্যঃ হুম.. যাহ করার করো। কিন্তু এখন এই নেও ফুলের তোরা.. স্যার হয়ত এখুনি এসে পড়বে।

আমি কাব্যের হাত থেকে ফুলের তোরা নিয়ে.. আবার কাব্যকে বললাম,,,

আমিঃ আচ্ছা.. স্যার এর নাম কি?? কাব্য...

কাব্যঃ কিহহ.. তুমি এখনো স্যারের নামই জানো নাহ!!

আমিঃ এতো অবাক হয়ে বলার কি আছে?? যদি জানতাম তাহলে কি আর তোমাকে জিজ্ঞেস করতাম??

কাব্যঃ স্যারের নাম নিহান চৌধুরী.. ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসেছে। শুনেছি স্যার নাকি অনেক কিউট আর স্মার্ট কিন্তু সমস্যাটা হলো ওনি নাকি অনেক রাগী। যদি বেশি রাগী হয়.. তাহলে তোহ তুমি শেষ!!

আমিঃ কেনো.. আমি শেষ কেনো??

কাব্যঃ কারণ.. স্যার তোহ তোমাকে জ্বালিয়ে শেষ করে দিবে। জানো আমার এইসব ভেবেই তোমার জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে।

আমিঃ হয়ছে তোমার.. আমাকে নিয়ে এতো ভাবতে হবে নাহ?? স্যারকে তোহ আমি জ্বালিয়ে শেষ করে দিবো। স্যার তোহ জানে নাহ.. এই তানহা কি জিনিস??

কাব্যঃ হুম.. ওই দেখো স্যার চলে এসেছে। চলো আমরা ওইদিকে যায়।

আমিঃ হুম.. চলো।

সবাই নতুন এম.ডি স্যারকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানাচ্ছে। আমি স্যারের সামনে এসে দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগতম জানাতে যাবো.. তার আগে আমি স্যারের চেহেরা দেখে বড়সড় শকড খেলাম। স্যারকে দেখে আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে নাহ। তারপরেও আমি মনের ভিতরে অনেক সাহস জোগাড় করে স্যারকে বললাম,,,

আমিঃ Welcome Sir...

স্যার কেনো কথা নাহ বলে.. আমার হাত থেকে ফুলের তোরাটা নিয়ে নিলো। একে একে সবার হাত থেকে ফুলের তোরা নিয়ে.. যাবার সময় আমাকে বলে গেলো...

নিহানঃ এইযে মিস.. আপনি একটু আমার কেবিনে আসুন।

বলেই স্যার চলে গেলো। আর আমি দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপছি আর ভাবছি,,,

তানহঃ হায় আল্লাহ.. এখন আমার কি হবে?? ওই বেয়াদব ছেলেটাই দেখি স্যার হয়ে গেলো। এখন তোহ আমার উপরে ওই থাপ্পড় দেওয়ার প্রতিশোধ নিবেই। আল্লাহ.. তুমি আমাকে বাঁচাও....

চলবে,,,,,,

১ম পর্ব

🍂রাগী বস🍂

Address

KAYLAPARA
Ganga Sagar
743373

Telephone

+917090027561

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অ ন ন্যা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Ganga Sagar

Show All

You may also like