23/11/2024
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ আল দেইফের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসি গতকাল এ পরোয়ানার বিস্তারিত তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান গত ২০ মে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও দেইফের পাশাপাশি হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তখন অবশ্য ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে।
এদিকে গত জুলাইয়ে মোহাম্মদ আল দেইফ এক হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দেইফ হামাসের বিশেষ সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের নেতৃত্বে থাকাকালে সুড়ঙ্গ হামলার সূচনা করেন। তার নেতৃত্বে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় হামাস।
অন্যদিকে জুলাইয়ের শেষ দিকে ইরানে এক হামলায় নিহত হন তৎকালীন হামাসপ্রধান হানিয়া। এরপর হামাসের প্রধান হন সিনওয়ার। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনিও নিহত হন।
হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে করা অভিযোগে বলা হয়, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে সংগঠনটির আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। ইতিহাসের স্মরণকালের এ ভয়াবহ হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস। আর নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেয়াসহ ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা।