seikh Ahinoor

seikh Ahinoor assalamualaikum

আমার ফেসবুক পেজে সবাই কে স্বাগত জানাই ।
আমার পেজ টি ফলো করুন আর আমার পাশে থাকুন ।

06/05/2024
“নিচু মনের মানুষের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য।” – হযরত আলী (রা)
03/05/2024

“নিচু মনের মানুষের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য।” – হযরত আলী (রা)

কোন ভাই যদি আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবু কথাগুলো আপনার জন্য আ...
01/05/2024

কোন ভাই যদি আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবু কথাগুলো আপনার জন্য আমানাত।

—উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)

28/04/2024

মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার রাস্তা

03/08/2023

*ফুফু খুব অবহেলিত একটি শব্দ।*

ক'জন ভাইপো আছেন ফুফুর খবর রাখেন?খালার খবর যতোটা রাখা হয় ফুফুর খবর ততোটা রাখা হয়না।

বাবা-মা'র ইন্তেকালের পর নারীরা বাপের বাড়ীর কথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভুলে যেতে থাকেন।শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত উঠোন,গাছের লিচু,পাকা আম আর পুকুর পাড়ের নারিকেল গাছ সব গুলো কেমন যেনো পর হতে শুরু করে।ভাইদের ইন্তেকালের পর সবকিছুই একেবারে স্মৃতি হয়ে যায়।

ফুফুরা আমাদের রক্ত সম্পর্কের স্বজন।তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা কোন মু'মিনের জন্য মোটেও কাম্যনয়।শরীয়তে যেসকল স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখতে বলা হয়েছে তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কারিদের কথা কুরআন মাজীদে উঠে এসেছে এভাবে-
أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱللَّعۡنَةُ وَلَهُمۡ سُوٓءُ ٱلدَّارِ [الرعد: ٢٥]
তাদের জন্য রয়েছে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং তাদের জন্যই রয়েছে মন্দ আবাস”। [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ২৫] জুবায়ের ইবন মুত্বইম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

«لا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ قَاطِعٌ»

“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না"।[বুখারী-মুসলিম] ফুফুদের ভুলে যাওয়া কোন মু'মিনের জন্য মোটেও উচিৎ নয়। #আয়াতুল্লাহ_হালিমা

ছোট ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে ফুফুর বাড়ী বেড়াতে যাবেন।হাতে করে গাছের ফল,পুকুরের মাছ,গাভীর দুধ নিয়ে যাবেন। এই শিশুরা আপনার কাছ থেকে শিখবে। তারাও তাদের ফুফুকে যত্ন নিবে। ফুফুরা ভাইপোদের জন্য চকলেট কিনে রাখুন বোনের সন্তানের মতো এদেরকেও কাছে টানুন।

রক্তের বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা দু'পক্ষই সমান তালে করে যেতে হয়।আল্লাহ আমাদের সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করুন (আমীন)

جزاك الله خيرا في الدارين______

02/08/2023

*একজন_পুরুষের_আত্মকাহিনী*

ছেলেরা মাসে ১০,০০০ টাকা বেতনেও চাকরি করে!
বাবা ও মায়ের ওষুধের জন্য ১০০০ টাকা,
বউয়ের জন্য ১০০০ টাকা,
ফ্যামিলি চালানোর জন্য ৬৫০০ টাকা,
ছেলেমেয়ের জন্য ১০০০ টাকা খরচ করেও
দিব্যি ৫০০ টাকায় মাস চালিয়ে নিতে জানে।

মাসে ১০,০০০ টাকা মাইনের ছেলেটা বেতন পেয়ে! বউয়ের কাছে বলতে জানে " ওগো তোমার জন্য
কী আনবো ?
সামান্য বেতন পাওয়া, যে ছেলেটা নিজের পুরনো জুতো বদলাবে ঠিক করেছে , সেই ছেলেটাই মার্কেটে গিয়ে বউ আর ছেলেমেয়ের জন্য জুতো কিনে নিজের ছেঁড়াজুতো সেলাই করে মাসের-পর-মাস পড়তে জানে।
উপোস পেটে কাজে গিয়ে মাকে বলতে জানে আমি
মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি তোমরা খেয়েছো তো ?
১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে কাজে গিয়ে বাবাকে বলে,
" আমি অনেক ভালো আছি।" তোমরা ভালো আছো তো ?
নিজের পকেট ফাঁকা জেনেও বউকে বলে, "একটু
ধৈর্য ধরো সামনের মাসে তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনে আনবো।"
ছেলেরা এমনই অনেক অনেক কিছু জানে
সকালবেলা লোকাল বাসে বা ট্রেনে ঝুলে অফিসে যেতে জানে।
লেট হলে বসের ঝাড়ি খেতে জানে। ৭ টার অফিস রাত 10 টা পর্যন্ত করতে জানে।
অফিস থেকে ফিরতে লেট হলে বউয়ের কাছে জবাব দিতে জানে।
অটো ভাড়া বাচিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ী আসার পথে ছেলেমেয়ের জন্য ব‌ই কিনতেও জানে।

শুধু জানে না প্রকাশ্য চোখের জল ফেলতে।

এরই_নাম_পুরুষ .. . ...............

31/07/2023

*কুকুর হইতে সাবধান*

১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!
২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!
৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!
৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!

-----------------------------------------------

বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"। এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!! যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!
যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!
হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে! এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!! যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান।

30/07/2023

*মুহাররম ও আশুরা : গুরুত্ব ও ফযীলত :*

----------------- *[পার্ট :০৫]*------------------

*নতুন চাঁদ নতুন প্রত্যয়, দু'আ পড়ে নিই নতুন বছরের:*

রাসূলুল্লাহ্ *(ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম)* নতুন চাঁদ দেখে এই দু'আ পড়তেন---

*اللهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلامَةِ وَالْإِسْلامِ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللهُ.*

আয় আল্লাহ্! আপনি এই হিলালকে আমাদের জন্য ঈমান ও ইসলাম এবং শান্তি ও বরকতের সঙ্গে উদিত করুন। আমার ও তোমার রব আল্লাহ। *(জামে তিরমিযী,হাদীস ৩৪৫১,মুসনাদে আহমাদ,হাদীস ১৩৯৭)*

এ দু'আটি যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ দেখে পড়ার জন্য। এ হিসাবে যদি মুহাররমের চাঁদ দেখে এ দুআ পড়া হয় তাহলে নতুন চাঁদের সাথে সাথে নতুন বছরের দুআও হয়ে যাবে।

অবশ্য ইমাম আবুল কাছেম বাগাভী রাহ. (৩১৭ হি.) ‘মু‘জামুস সাহাবা’ কিতাবে সহীহ সনদে নতুন মাস ও নতুন বছরের শুরুতে পড়ার একটি দু'আ উল্লেখ করেছেন। সাহাবী হযরত 'আবদুল্লাহ্ বিন হিশাম (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নতুন মাস বা নতুন বছর শুরুর এ দু'আটি তেমন গুরুত্ব দিয়ে শিখতেন, যেভাবে কুরআনুল কারীম শিখতেন। দু'আটি হলো---

*اللّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالأَمْنِ وَالِإيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالإِسْلَامِ وَجِوَارٍ مِنَ الشَّيطَانِ وَرِضوَانٍ مِنَ الرَّحْمنِ.*

হে আল্লাহ্! আপনি আমাদের মাঝে এ মাস/বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে। *(দ্রষ্টব্য : মুজামুস সাহাবাহ ৩/৫৪৩,বর্ণনা ১৫৩৯; আলইসাবাহ ৪/২৫৬)*

এ দু'আর ক্ষেত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে- এটি নতুন বছরের দুআ। আর সাহাবায়ে কেরামও এ দুআটির প্রতি খুব গুরুত্ব দিতেন।

অতএব ঈমান- ইসলাম,শান্তি- নিরাপত্তা ও রহমত-বরকতের সাথে কীভাবে আমার নতুন বছরটি অতিবাহিত হতে পারে- এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকাই হচ্ছে নতুন চাঁদের বার্তা। বিশেষ করে শয়তানের পথ পরিহার করে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির পথ অবলম্বন করা এবং নিজের ঈমানী যিন্দেগী প্রাণবন্ত করে তোলাই হবে আমার আগামী দিনের প্রত্যয়। তাই এখনই সংকল্পবদ্ধ হই- আমার ঈমান-আমল, স্বভাব-চরিত্র, চিন্তা-দর্শন, মন-মানসিকতা, বোধ-উপলব্ধি সর্বোপরি একজন মুমিন-মুসলমান হিসাবে আমার জীবন যাপন যেন বিগত দিনের তুলনায় আরো বেগবান, ফলপ্রসূ, সমৃদ্ধ এবং সাফল্যমণ্ডিত হয়।

*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
*•••==•◐◉✦❀✺❀✦◉◑•==•••*

_*📋 নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

29/07/2023

*মুহাররম ও আশুরা : গুরুত্ব ও ফযীলত :*

----------------- *[পার্ট :০৪]*------------------

হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে----

*وَأَفْضَلُ الْأَشْهُرِ شَهْرُ اللهِ الَّذِي تَدْعُونَهُ الْمُحَرّمُ.*

(রমযানের পর) শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মুহাররম বলে থাক। *(সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদীস ৪২১৬)*

প্রকৃতপক্ষে সকল মাসই তো আল্লাহর মাস। তথাপি এ মাসকে বিশেষভাবে ‘আল্লাহর মাস’ বলে ব্যক্ত করার মাঝে রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। যেমন পৃথিবীর সকল মসজিদই আল্লাহর ঘর। কিন্তু কাবা শরীফকে বিশেষভাবে বাইতুল্লাহ্ বা আল্লাহর ঘর বলার হেকমত কী? কারণ এর রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। তেমনি বছরের অন্যান্য মাস অপেক্ষা মুহাররমের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন মাজীদে হিজরী সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন---

*یَسْـَٔلُوْنَكَ عَنِ الْاَهِلَّةِ قُلْ هِیَ مَوَاقِیْتُ لِلنَّاسِ وَ الْحَجِّ.*

*(তরজমা :)* লোকেরা আপনার কাছে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি তাদেরকে বলে দিন, এটা মানুষের (বিভিন্ন কাজ-কর্মের) হিসাব এবং হজ্বের সময় নির্ধারণ করার জন্য। *(সূরা বাকারা : ১৮৯)*

মুসলমানদের বহু দ্বীনী বিষয়, বিশেষ করে হজ্বের মতো মহিমান্বিত আমল নির্ভরশীল চাঁদের হিসাবের উপর। আরবী মাস-বছরকে ঘিরে ইসলামের বহু বিধান আবর্তিত হয়। এই আরবী হিজরী চান্দ্রবর্ষের প্রথম মাসটিই হচ্ছে মুহাররম। মুহাররমকে ঘিরেও রয়েছে শরীয়তের সুন্দর সুন্দর বিধান ও আমল। ফলে দ্বীনী দায়িত্ববোধ থেকেই হিজরী মাস-বর্ষের গণনা এবং এর শুরু-শেষের হিসাবের প্রতি যত্নবান হওয়া মুমিনের জন্য সবিশেষ কাম্য।

*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
*•••==•◐◉✦❀✺❀✦◉◑•==•••*

_*📋 নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

28/07/2023

*মুহাররম ও আশুরা : গুরুত্ব ও ফযীলত :*

----------------- *[পার্ট :০৩]*------------------

*মুহাররম : আল্লাহ্ তা'আলার নির্ধারিত সম্মানিত মাস এবং হিজরী বর্ষের প্রথম মাস:*

হিজরী বর্ষের সর্বপ্রথম মাস মুহাররামুল হারাম তথা মুহাররম মাস। হাদীসের ভাষায়- শাহরুল্লাহ্ আলমুহাররাম। আল্লাহ্ তা'আলা বছরের যে ক’টি মাসকে বিশেষ মর্যাদায় মহিমান্বিত করেছেন মুহাররম তার অন্যতম। পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ্ তা'আলা বলেন----

*اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ؕ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ. فَلَا تَظْلِمُوْا فِیْهِنَّ اَنْفُسَكُم ...*

*(তরজমা:)* আল্লাহ্ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ্ তা'আলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটাই সহজ-সরল দ্বীন (-এর দাবি) অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে নিজের উপর জুলুম করো না।... *(সূরা তাওবা : ৩৬)*

এ চার মাস কী কী? হাদীস শরীফে তা বলে দেওয়া হয়েছে। নবী কারীম *(ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম)* বলেন, সময়ের হিসাব যথাস্থানে ফিরে এসেছে, আসমান-যমীনের সৃষ্টির সময় যেমন ছিল।(কারণ,জাহেলী যুগে আরবরা নিজেদের স্বার্থ ও মর্জিমতো মাস-বছরের হিসাব কম-বেশি ও আগপিছ করে রেখেছিল।) বার মাসে এক বছর।এর মধ্য থেকে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক- যিলকদ, যিলহজ্ব ও মুহাররম। আরেকটি হল রজব, যা জুমাদাল আখিরাহ ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস। *(সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৬৬২)*

হাদীসে এ মাসকে শাহরুল্লাহ্ তথা আল্লাহর মাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হযরত আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম *(ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম)* ইরশাদ করেন----

*أَفْضَلُ الصِّيَامِ، بَعْدَ رَمَضَانَ، شَهْرُ اللهِ الْمُحَرّمُ، وَأَفْضَلُ الصَلَاةِ، بَعْدَ الْفَرِيضَةِ، صَلَاةُ اللّيْلِ.*

রমযানের পর সবচে উত্তম রোযা হল আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সবচে উত্তম নামায হল রাতের নামায (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামায)। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৩)*

*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
*•••==•◐◉✦❀✺❀✦◉◑•==•••*

_*📋 নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

26/07/2023

*মুহাররম ও আশুরা : গুরুত্ব ও ফযীলত :*

----------------- *[পার্ট :০১]*------------------

হিজরী সনের প্রথম মাস হচ্ছে মুহাররাম মাস। হতে যাচ্ছে একটি বছরের বিদায় আর একটি বছরের সূচনা। পশ্চিমাকাশে হেসে উঠবে মুহাররমের হেলাল- নতুন বছরের নতুন চাঁদ। জগদ্বাসীকে ডেকে বলবে- বিগত দিনের হিসাব মেলাও। প্রত্যয় গ্রহণ কর নতুন বছরের। পাথেয় সংগ্রহ কর পরকালের।

দিন যায় রাত আসে। সপ্তাহ পেরিয়ে মাস আসে। ধীরে ধীরে তা ও ফুরিয়ে যায়। এভাবে বারটি মাস ঘুরতেই কেটে যায় একটি বছর। শুরু হয়ে যায় আবার নতুন বছরের আয়োজন। এভাবে একদিন নিভে আসে জীবন-বাতি।বুদ্ধিমান তো সে-ই যে জীবনের এ মূল্যবান সময়গুলো যথাযথ কাজে লাগায়।

প্রাত্যহিক জীবনে দিন-রাতের এ পরিক্রমা অনেকের কাছেই অনেকটা স্বাভাবিক। তবে জ্ঞানীদের জন্য এ থেকে শিক্ষা গ্রহণের বহু উপলক্ষ রয়েছে। কুরআনে কারীমে আল্লাহ্ তা'আলা বিষয়টি বিভিন্নভাবে বোঝাতে চেয়েছেন। আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বলেন----

*إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ وَاخْتِلافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآياتٍ لأولِي الأَلْبَابِ.*

*(তরজমা:)* নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজনে এবং পালাক্রমে রাত-দিনের আগমনে বহু নিদর্শন আছে ওই সকল বুদ্ধিমানদের জন্য...। *(সূরা আলে ইমরান : ১৯০)*

আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনে আরো বলেন----

*إِنَّ فِي اخْتِلافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمَا خَلَقَ اللهُ فِي السَّمَاوَاتِ والأرض لآياتٍ لِقَوْمٍ يَتَّقُونَ .*

*(তরজমা:)* নিশ্চয়ই দিন-রাতের একের পর এক আগমনে এবং আল্লাহ্ তা'আলা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাতে সেই সকল লোকের জন্য বহু নিদর্শন উপস্থিত রয়েছে, যাদের অন্তরে আছে অল্লাহর ভয়। *(সূরা ইউনুস : ৬)*

*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*

*•••==•◐◉✦❀✺❀✦◉◑•==•••*

_*📋 নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

25/07/2023

*প্রশ্ন হলো, মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর এত বিরুদ্ধে এত অপপ্রচার কেন ?*
*তাঁর কি অপরাধ?*
কারন হলো, মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ), অন্যদের মত, একজন ধর্মপ্রচারক ছিলেন না I তিনি এই পৃথিবীতে এক ধরণের বিপ্লব নিয়ে এসেছিলেন I
এই কথাটি কেন বলেছি, সেই বিষয়ে কিছু তথ্য দেই, তারপর আমরা আবার মূল প্রশ্নে চলে আসবো I
আপনি কি জানেন, নবী হওয়ার পর এই মানুষটি, সর্বপ্রথম সমাজে কি পরিবর্তন চেয়েছিলেন ?
তিনি চেয়েছিলেন, নারীর অধিকার I
সমাজ পরিবর্তনের জন্য কোরআনের আয়াতগুলিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাজালে
প্রথম আয়াতটির মূল বিষয় ও আদেশ ছিল, "নারী শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া যাবে না"
এর পর কিছুদিন পরই তিনি বললেন, একজন নারী তার পিতার, স্বামীর ও সন্তানের সম্পদের অংশীদার হবে I
রাসূল (সাঃ) যখন এই ঘোষনা দিলেন, তখনই তিনি সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে গেলেন I
এত দিনের মেনে চলা এই সংস্কৃতি ও আইনের বিরুদ্ধে, এই মত তারা মেনে নিতে পারেনি I
তারপর আসলো ক্রীতদাসের কথা I
তিনি জানালেন, মানুষ আর মানুষের ক্রীতদাস হতে পারে না I
মৃত পিতার রেখে যাওয়া ইথিওপিয়ান ক্রীতদাসী উম্মে আইমানকে নিজের মা, আর উপহার হিসাবে পাওয়া জায়েদকে নিজের ছেলে, হিসাবে যখন সমাজে পরিচয় করিয়ে দিলেন, তখন সারা পৃথিবীতে আলোচনা শুরু হয়ে গেলো,
মুহাম্মদ (সাঃ)আসলে কি চায় ?
ক্রীতদাস ছাড়া সমাজ ব্যবস্থা কেমন করে চলবে? অর্থনীতি কি করে আগাবে? ক্রীতদাসের দল মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করলে কি অবস্থা হবে ?
ব্যাস, তিনি হয়ে গেলেন সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু I
(আজকের আধুনিক ইউরোপীয়ানদের হাজার বছরের ক্রীতদাস প্রথা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে I ব্ল্যাক লাইভস ষ্টীল ডাজ নট মেটার )
ম্যালকম এক্সের মত বিপ্লবীরা, মুহাম্মদ আলীর মত শক্তিমান পুরুষরা যখন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালোবাসতে শুরু করলো, তখনই তাদের মনে হলো, সব অপরাধ ঐ আরব লোকটিরই I
তিনি বললেন,
ধনীদের সম্পদের সুষম বন্টন হতে হবে I তাদের সম্পদের উপর গরিবের অধিকার আছে I
তিনি ঘোষণা দিলেন, সবাইকে জাকাত দিতে হবে I
সমাজের ধনী ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাবানরা ভাবলো,
মুহাম্মদ একজন সমাজ বিপ্লবী, তাকে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে I
ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্যকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেন I
সবাই ভাবলো, মুহাম্মদ (সাঃ) একজন সোসালিস্ট, তাকে মেরে ফেলতে হবে I
নিজের অনুসারীদেরকে বললেন,
তোমরা আর মদ পান করবে না I সমাজে অন্যায় অবিচার কমে গেলো I চুরি ডাকাতি কমে গেলো I
মাতাল স্বামীর সংখ্যা কমে যাওয়ায়, নারী নির্যাতন প্রায় বন্ধ হয়ে গেলো I
অসভ্য পুরুষের মনে হিংসা শুরু হলো, এ লোক পাগল নাকি? মদ খাবে না, নারীকে নিয়ে ফুর্তি করবে না
সে কোন ধরণের সমাজ চায়?
মাদক ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে মুহাম্মদকে (সাঃ) ঠেকানোর জন্য নতুন পরিকল্পনা শুরু করলো I
অসহায় মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ নিয়ে জুয়ার আসরের নিষেধাজ্ঞা আসলো I
মুহাম্মদের (সাঃ)আর কোন রক্ষা নেই I সে বড় বেশি বাড়া বাড়ি করছে I
জুয়ার ব্যবসা ছাড়া সমাজে বিনোদনের আর কি রইলো ?
মুহাম্মদকে (সাঃ) ঘর ছাড়া করতে হবে I তার সব আয়-রোজগার বন্ধ করতে হবে I
এখন কি বুঝতে পারছেন,
কেন মুহাম্মদের (সাঃ)এত অপরাধ ?
এই যে এখন, নবী মুহাম্মদকে (সাঃ) কে এত বছর পর অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে
তার কি কারন?
শুধু "ফ্রীডম অফ স্পিচ" ?
নো I
যে মানুষটির অনুসারীরা শুধু ভালোবাসা দিয়ে একসময় আফ্রিকা বিজয় করেছিল
সেই আফ্রিকার ২৪ টি দেশের, শত বছরের কলোনিয়াল নির্যাতন নিপীড়ন ও শোষণ থেকে যখন আলজেরিয়া ও তিউনেশিয়ার মত দেশগুলি অর্থনৈতিক ও রাজনৌতিক মুক্তি চেয়েছে
তখনই নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হয়ে গেলেন বড় অপরাধী I
লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে, অসহায় ও নিরপরাধ মানুষকে নিজের ক্রীতদাস করে রেখে যে সম্পদের পাহাড় তারা একসময় গড়েছেন, সেটি যখন হুমকির মুখে তখনই সব রাগ ও ক্ষোভ এসে জমা হয়েছে I
এখন তাদের নবীকে অপমান করতে হবে, তাঁর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শন করতে হবে I
তারপর আফ্রিকাতে আবার জঙ্গি দমানোর জন্য ন্যাটো বাহিনীকে পাঠাতে হবে I
কিন্তু তারা পারবে না I
পিউ রিসার্চের গবেষণা অনুযায়ী, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে I
আপনি দেখবেন কিছু দিন পর এই সংখ্যা হবে, দশ হাজার I
কারন হলো, এই ঘটনার পর, মানুষ জানতে চাইবে ,
কে এই মুহাম্মদ ? (সাঃ)
প্রথমেই সে জানবে I
মানুষটি শুধু আমাদেরকে মনে প্রাণে একজন মাত্র সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে বলেছেন Iযার কোন শরীক নেই।যিনি এক ও অদ্বিতীয়।
মানুষরূপী কোন খোদার কাছে মাথানত করতে নিষেধ করেছেন I শিরক করতে নিষেধ করেছেন।
একজন মানুষের জন্য শুধু এতটুকু জানাই যথেষ্ট I
এখন কেউ যদি চোখ বন্ধ করে সূর্যের আলোকে দেখতে না চায়, তাহলে কি সূর্য আলো দেয়া বন্ধ করে দিবে নাকি সূর্যের আলো হারিয়ে যাবে ?
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন এই পৃথিবীতে সেই আলো I
এই আলোকে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারবে না I

21/07/2023

*সুরা ইখলাসের অর্থসহ উচ্চারণ, বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত**

সুরা ইখলাসের অর্থসহ উচ্চারণ, বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত
সুরা ইখলাস। কুরআনুল কারিমের ১১২তম ও ছোট সুরা এটি। যে সুরা তেলাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ সবচেয়ে বেশি ফজিলত ও নেয়ামত পায় সেটি হলো সুরা ইখলাস। আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরা ৪ আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট সুরাটি হিজরতের আগে মক্কায় অবতীর্ণ হয়। সুরার নামের অর্থ থেকেই এর ফজিলত, মর্যাদা ও নেয়ামত প্রকাশ পায়।

সুরাটির উচ্চারণ, অর্থ, মর্যাদা ও তেলাওয়াতের ফজিলতগুলো তুলে ধরা হলো-

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি )
অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস)

সুরার নাম ‘ইখলাস’। যার অর্থ হলো- একনিষ্ঠতা, নিরেট খাঁটি বিশ্বাস, ভক্তিপূর্ণ উপাসনা। দুনিয়ার সব বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলে।

সুরার নামকরণ
সুরার প্রকৃত মর্মার্থের ভিত্তিতেই সুরাটির নামকরণ করা হয়েছে। এ সুরাটিতে মহান আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। এ সুরাটি মানুষকে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি দিয়ে একত্ববাদের উপর একনিষ্ঠ বিশ্বাস স্থাপনে মানুষ হয় মুখলিস বান্দায় পরিণত হয়।

সুরার বৈশিষ্ট্য
সুরাটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার শেখানো ভাষায় তাঁর পরিচয় তুলে ধরেছেন। যে পরিচয় তুলে ধরতে আল্লাহ তাআলা নিজেই এ সুরাটি নাজিল করেছেন। এ সুরার মতো কোনো সুরায় আল্লাহর একত্ত্ববাদের বিষয়টি বর্ণিত হয়নি। আল্লাহর সৃষ্টিরহস্যের নিরসণ করা হয়েছে এ সুরায়।

সুরাটি নাজিলের কারণ
- হজরত আনাস রাদিয়ল্লাহু আনহু বলেন, ‘খায়বারের কয়েকজন ইয়াহুদি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে বলল- হে আবুল কাসেম! আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের নূর থেকে, আদমকে মাটি থেকে এবং পৃথিবীকে পানির ফেনা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এখন আপনার রব সম্পর্কে আমাদের জানান, তিনি কোন বস্তু থেকে সৃষ্ট?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন কোনো জবাব দেননি। অতপর (তাদের উত্তরে) হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম সুরা ইখলাস নিয়ে হাজির হন।

- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন নাজরানের সাতজন খ্রিস্টান পাদ্রি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন-
‘আমাদের বলুন, আপনার রব কেমন? তিনি কিসের তৈরি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার রব কোনো জিনিসের তৈরি নয়। তিনি সব বস্তু থেকে আলাদা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা সুরা ইখলাস নাজিল করেন।

সুরা ইখলাসের বিষয়বস্তু
আল্লাহ তাআলা তার পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে সুরা ইখলাসের ৪ আয়াতের মাধ্যমে ৪টি বিষয় তুলে ধরেছেন। আর তাহলো-
- আল্লাহ এক। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তার একত্ববাদের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।
- তিনি অমুখাপেক্ষী। এ আয়াতে তিনি কোনো কিছুতেই মুখাপেক্ষী নন। কারো কাছে তার কোনো প্রয়োজন নেই। সব কিছুতেই তিনিই যথেষ্ট।
- তার জন্ম-সৃষ্টিতে কারো কোনো হাত নেই। তিনি কারো জনক নন আবার তাকে কেউ জন্ম দেননি। তিনি জন্ম-সৃষ্টি দেয়া ও হওয়া থেকে পূত-পবিত্র এবং মুক্ত।
- জন্মের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই এবং চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অতুলনীয়। চারটি আয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।
- তার সমকক্ষ কেউ নেই। অর্থাৎ তিনি যে এক ও একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। তার ওপর তাকিদ করা হয়েছে, সত্যয়ন করা হয়েছে যে, তার সমকক্ষ কেউ নেই।

সুরাটির মর্যাদা
সুরা ইখলাস অনন্য মর্যাদা সম্পন্ন ৪ আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট একটি সুরা। সুরাটিকে কুরআনের ৩ ভাগের এক ভাগ ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
- হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘এক ব্যক্তি রাতের বেলা অন্য ব্যক্তিকে বার বার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন। সকাল হলে বিষয়টি রাসুলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবহিহত করা হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার প্রাণ। অবশ্যই এ সুরা কুরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (বুখারি, আবু দাউদ, নাসাঈ, মুয়াত্তা মালেক)
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সাহাবিদের বললেন, তোমারা কি এক রাতে কুরআন মাজিদের ৩ ভাগের একভাগ পড়তে পারবে? সাহাবিরা এ প্রস্তাবকে খুবই কঠিন মনে করলেন। ফলে তারা বলল, আমাদের মধ্যে এ কাজ কে করতে পারবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, সুরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (বুখারি, নাসাঈ)
- হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কুরআনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। আর এ সুরাটি (সুরা ইখলাস)-কে একটি ভাগে পরিণত করেছেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি)
- হজরত ওকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সুরার কথা বলছি, যা তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কুরআনে অবতীর্ণ হযেছে। রাতে তোমরা ততক্ষণ ঘুমাতে যেয়ো না, যতক্ষণ সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনও এ আমল পরিত্যাগ করিনি।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

সুরা ইখলাসের ফজিলত
সুরা ইখলাস-এর ভাব ও মর্মার্থ বুঝে পড়লে তাতে বান্দার অন্তরে আল্লাহর গুণাবলী গেঁথে যাবে। মনে প্রাণে ওই ব্যক্তি হয়ে উঠবে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হবে। আর তার বিনিময়ে সে লাভ করবে দুনিয়া ও পরকালের অনেক উপকারিতা ও ফজিলত।

>> আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
কোনো এক যুদ্ধের সেনাপতি জামাআতে নামাজ পড়ার সময় সুরা ইখলাস দিয়ে নামাজ পড়ান। যুদ্ধ থেকে ফিরে সৈন্যরা বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তা অবহিত করেন। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা তাকে জিজ্ঞাসা কর কেন সে এরূপ করেছে। তখন সে সেনাপতি জানান, এ সুরায় আল্লহার গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে বিধায় আমি এ সুরাকে ভালোবাসি।’ বিষয়টি জানার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের জানান, ‘তোমরা তাকে গিয়ে বলো, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন।’ (বুখারি, মুসলিম, নাসাঈ)

>> জান্নাত লাভ
একবার এক সাহাবা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বলেন, এ ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ (বুখারি, তিরমিজি)

>> গোনাহ থেকে মুক্তি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার ৫০ বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তবে ঋণগ্রস্ত হলে তা ক্ষমা হবে না।’ (তিরমিজি)

>> দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি
হজরত সাহল ইবন সাদ সায়েদি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে দারিদ্র্যতার অভিযোগ করল তিনি বললেন, ‘যখন তুমি ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পড়বে। এ আমল করার ফলে কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্র্যতা দূর হয়ে যায়।’ (তাফসিরে কুরতুবি)

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়।’ (ইবনে কাসির)

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনলেন। তিনি বললেন, ‘এটা তার অধিকার।’ সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, তার অধিকার কী? তিনি উত্তরে বললেন- ‘তার অধিকার হচ্ছে জান্নাত।’ (মুসনাদে আহমাদ)

উল্লেখ যে, অনেকেই বলে থাকেন, সুরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করলে সম্পূর্ণ কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের সাওয়াবের অধিকারী হয় বা কুরআন খতমের সমান। আসলে বিষয়টি এমন নয়। হাদিসের কোথাও সাওয়াব প্রাপ্তি কিংবা সম্পূর্ণ কুরআন খতম হওয়ার বিষয়টি বলা হয়নি।

বরং যে ব্যক্তি এ সুরাটির মর্মার্থ বুঝে আল্লাহর বিশেষ গুণাবলীগুলো হৃদয়ে ধারণ করবে সে আল্লাহর একত্ত্ববাদ ও ক্ষমতায় একনিষ্ঠ বিশ্বাসী হিসেবে বেড়ে উঠবে। সে হবে প্রকৃত ঈমানদার। আল্লাহ তাআলার দরবারে এ গুণাবলীর বিশ্বাসই তাকে মর্যাদাবাদ করে দেবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ইখলাসের ভাব ও মর্মার্থ নিজেদের মধ্যে ধীর বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর একত্ত্ববাদ ও ক্ষমতায় পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত মর্যাদা ও ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

20/07/2023

*প্রাপ্তির শেষ কোথায়?*

⛔বিবাহিত?
সংসারে অশান্তি। তালাক দিয়ে সব মিটমাট করে ফেলতে ইচ্ছা করে!

⛔অবিবাহিত?
সারাক্ষণ বিয়ের ভাবনায় দিন কাটে। সঙ্গীকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর!

⛔ধনী?
একটু শান্তি আর সুখের খোঁজ কোথা থেকে পাওয়া যায়, তা ভাবতে ভাবতে বিষন্নতায় ডুবে থাকা!

⛔গরীব?
আরও বেশি অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে ফেরা!

⛔শিশু?
কবে যে বড় হবো? সবাই ছোট-ছোট বলে!

⛔প্রাপ্তবয়স্ক?
ইশ্! সেই শৈশবটাকে যদি আবার ফিরে পেতাম!

⛔সন্তানপ্রাপ্ত?
এইগুলোর যন্ত্রণায় জীবনটা শেষ হয়ে গেল। একটাও মানুষ হলো না। যাদের সন্তান নেই তারাই ভালো আছে!

⛔নিঃসন্তান?
আল্লাহ্, পৃথিবীর যেকোন কিছুর বিনিময়ে আমাকে সন্তান দাও!

⛔চাকুরীজীবি?
দিনভর এত খাটুনি আর ভালো লাগে না!

⛔বেকার?
কবে যে একটা চাকুরী হবে!

⛔সেলিব্রেটি?
মুখ লুকাতে ব্যস্ত!

⛔সাধারণ ব্যাক্তি?
সেলিব্রেটি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর!

✔️এই জগতে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া মানুষের এই অসীম ইচ্ছা, চাহিদা আর অপূর্ণতাকে দমানোর কোনো শক্তি নেই।

কাজেই আসুন, যে যেই অবস্থানে আছি আলহামদুলিল্লাহ বলে, সেখান থেকেই নিজের মনের সর্বোচ্চ প্রশান্তিটা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি। ❤️❤️

আলহামদুলিল্লাহ। ❤️❤️

19/07/2023

হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/৩৬৭; জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৮)
বাংলাদেশে 29 July আশুরার রোজা। মানে ওইদিন মহরম মাসের 10 তারিখ। এর সাথে 1 টা যোগ করে আরেকটা রোজা রাখা উত্তম। মানে 28,29 অথবা 29,30। আল্লাহ আমাদের সবাই কে এই নফল রোজা রাখার তৌফিক দান করুন, আমিন।

*মুহাররম মাসের চাঁদ দৃষ্টিগোচর হয় নি।*আজ মঙ্গলবার , (২৯/১২/১৪৪৫ হীঃ)  18/07/2023 মাগরিবের পর "মুহাররম" মাসের চাঁদ দেখা য...
18/07/2023

*মুহাররম মাসের চাঁদ দৃষ্টিগোচর হয় নি।*

আজ মঙ্গলবার , (২৯/১২/১৪৪৫ হীঃ) 18/07/2023 মাগরিবের পর "মুহাররম" মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। অতএব আগামী পরশু (20/07/2023 ) বৃহস্পতিবার আরবি *"মুহাররম"* মাসের পহেলা তারিখ হবে ইনশাআল্লাহ।
তদানুযায়ী আগামী 29/07/2023 শনিবার আশুরার দিন হবে ইনশাআল্লাহ।

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ،
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوۡرِ عِنۡدَ اللّٰهِ اثۡنَا عَشَرَ شَهۡرًا فِىۡ كِتٰبِ اللّٰهِ يَوۡمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ مِنۡهَاۤ۔۔۔۔ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الۡمُتَّقِيۡنَ،
"নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমান সমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে...., মনে রেখো আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন"।
(নতুন চাঁদ দেখা, ও আরবি মাসের হিসাব গণনা করা, এবং ইসলামী হিজরী সালের কালচার রাখা, মুসলিম জাতির কর্তব্য)। *(সূরা তাওবা 9/36)।*

এই মেসেজটি আপনি যতটা পারেন শেয়ার করবেন।

*সূত্র: ইমারতে শরিয়াহ হিন্দ।*

*https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=672163638265404&id=100064153202386&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f*

মুহাররম মাসের চাঁদ দৃষ্টিগোচর হয় নি।

আজ মঙ্গলবার , (২৯/১২/১৪৪৫ হীঃ) 18/07/2023 মাগরিবের পর "মুহাররম" মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। অতএব আগামী পরশু (20/07/2023 ) বৃহস্পতিবার আরবি "মুহাররম" মাসের পহেলা তারিখ হবে ইনশাআল্লাহ।
তদানুযায়ী আগামী 29/07/2023 শনিবার আশুরার দিন হবে ইনশাআল্লাহ।

🌹 بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ،
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوۡرِ عِنۡدَ اللّٰهِ اثۡنَا عَشَرَ شَهۡرًا فِىۡ كِتٰبِ اللّٰهِ يَوۡمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ مِنۡهَاۤ۔۔۔۔ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الۡمُتَّقِيۡنَ،
"নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমান সমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে...., মনে রেখো আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন"।
(নতুন চাঁদ দেখা, ও আরবি মাসের হিসাব গণনা করা, এবং ইসলামী হিজরী সালের কালচার রাখা, মুসলিম জাতির কর্তব্য)। (সূরা তাওবা 9/36)।

এই মেসেজটি আপনি যতটা পারেন শেয়ার করবেন।

নিজের হাতে নাস্তা বানিয়ে সবাই কে খাওয়ানোর আনন্দ টাই অন্যরকম ।
17/07/2023

নিজের হাতে নাস্তা বানিয়ে সবাই কে খাওয়ানোর আনন্দ টাই অন্যরকম ।

*নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে ফরজ হচ্ছে ৭+৬=১৩ টি এবং ওয়াজিব হচ্ছে ১৪ টি।* এই ১৩ টি ফরজের মধ্যে কোন একটি ভুলক্রমে বাদ পড়ে গে...
17/07/2023

*নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে ফরজ হচ্ছে ৭+৬=১৩ টি এবং ওয়াজিব হচ্ছে ১৪ টি।*

এই ১৩ টি ফরজের মধ্যে কোন একটি ভুলক্রমে বাদ পড়ে গেলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। আবার পুনরায় সেই নামাজটি আদায় করে নিতে হবে।

🔲 আর ১৪ টি ওয়াজিবের মধ্যে কোনো ১ টি ওয়াজিব ভুলক্রমে বাদ পড়লে কিংবা ওয়াজিব আগে পরে হয়ে গেলে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ পূর্ণ করতে হবে। সাহু সিজদা দিতেও ভুলে গেলে সেই নামাজটি আবার পুনরায় আদায় করে নিতে হবে। [ফাতাওয়া শামী- ১/৪৪৭]

⭕ নামাজের বাহিরে সাতটি ফরজ হচ্ছেঃ-

১) শরীর পবিত্র হওয়া। [সুনানে তিরমিযী- ১/৩]

২) কাপড় পবিত্র হওয়া। [সুরা মুদ্দাসসির- ৪]

৩) নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া। [বাকারা- ১২৫]

৪) সতর ঢাকা (পুরুষের নাভি থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত এবং নারীদের চেহারা, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও পায়ের পাতা ছাড়া গোটা শরীর ঢেকে রাখা ফরজ) [আহমাদ- ৬৭৫৬]

৫) কিবলামুখী হওয়া। [সহীহ বুখারী- ৬২৫১]

৬) ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া। [সুরা নিসা- ১০৩]

৭) অন্তরে নির্দিষ্ট নামাজের নিয়ত করা। [সহীহ বুখারী- ১]

🔰 নামাজের ভিতরে ছয়টি ফরজ হচ্ছেঃ-

১) তাকবিরে তাহরিমা অর্থাৎ শুরুতে আল্ল-হু আকবার বলা। [সহীহ বুখারী- ৮৩৩]

২) ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া। [সহীহ বুখারী- ১১১৭]

৩) কিরাত পড়া। (অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামাজের প্রতি রাকাতেই ক্বিরাত পড়া ফরজ)। [সুরা মুজ্জাম্মিল- ২০]

৪) নামাজের প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা। [সুরা বাকারা- ৪৩]

৫) প্রত্যেক রাকাতে দুই সিজদা করা। [সুরা হজ্জ- ৭৭]

৬) শেষ বৈঠক (নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পরিমাণ সময় বসা) [আবু দাউদ- ৯৭০]

➡️ বিঃদ্রঃ- নামাজি ব্যক্তির নিজস্ব কোনো কাজের মাধ্যমে (যেমন সালাম ফেরানো ইত্যাদির মাধ্যমে) নামাজ থেকে বের হওয়াও একটা ফরজ। [আল বাহরুর রায়েক- ১/৫১৩]

🔲 নামাজের মধ্যে কোনো ফরজ ভুলক্রমে বাদ পড়লেও নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সাহু সিজদা করলেও নামাজ সহীহ হবে না। [ফাতাওয়া শামি- ৪৪৭]

⭕ নামাজের মধ্যে ১৪ টি ওয়াজিবসমূহ হচ্ছেঃ-

🔰 নামাজের ওয়াজিবগুলো তুলনামূলক একটু কঠিন। তাই প্রতিটি পয়েন্ট মনযোগ সহকারে একাধিক বার পড়ে দেখবেন। তাহলে ওয়াজিবগুলো বুঝতে সহজ হবে এবং তা আয়ত্ত্বে চলে আসবে ইন শা আল্লাহ 💞✅

১) ফরজ নামাযের প্রথম দুই রাকাতে এবং সুন্নত, নফল, ওয়াজিব নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। আর ৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের শেষের ২ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নত। (মোট কথা সূরা ফাতিহা প্রত্যেক নামাজের প্রতি রাকাতেই পাঠ করতে হবে) [বুখারি- ৭৫৬]

২) ৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা বা কমপক্ষে ছোট তিন আয়াত পাঠ করা ওয়াজিব। [মুসলিম- ৪৫১]

🔸 [বাকি ২ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। অন্য কোনো সূরা পাঠ করতে হবে না।]

৩) ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা ওয়াজিব। [বুখারী- ৭৭৬]

৪) সূরা ফাতিহা অন্য সূরার আগে পাঠ করা ওয়াজিব। [মুসলিম- ৪৯৮]

৫) তারতীব অর্থাৎ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নামায আদায় করা ওয়াজিব। অর্থাৎ নামাযে যে সকল কাজগুলো বারে বারে আসে ঐ সমস্ত কাজগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা ওয়াজিব।

🔹 [অর্থাৎ রুকু এবং সিজদা যা নামাযের প্রতি রাকাতে বারে বারে আসে। কিরাত পাঠ করা শেষে রুকু করা, রুকু করে দাঁড়িয়ে আবার সিজদা করা। এই যে ধারকবাহিকতা রয়েছে, এর ব্যতিক্রম হলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে এবং নতুন করে নামায আদায় করতে হবে। [তিরমিযী- ২৪৬]

৬) ৩ অথবা ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের ২ রাকাত শেষ করে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে যতটুকু সময় লাগে, সে পরিমাণ সময় পর্যন্ত বসে থাকা ওয়াজিব। [বুখারী- ৮২৮]

৭) ৩ অথবা ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের উভয় বৈঠকেই আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব। [বুখারী- ৮৩০]

৮) নামাজের ফরজ এবং ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা ওয়াজিব। [অর্থাৎ দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সঙ্গে করা, প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া শেষ করে তৎক্ষণাৎ তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি] [তিরমিযী- ৩০২, ৩০৩]

🔸 [এক্ষেত্রে কোনো রাকাতে একাধিকবার রুকু করে ফেললে কিংবা ৩ টি সিজদা দিয়ে ফেললে অথবা ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের পর দুরূদ শরীফের অর্ধেক বা সম্পূর্ণ দুরূদ পড়ে ফেললে ওয়াজিব তরক করা হবে, তাই এক্ষেত্রে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ পূর্ণ করতে হবে]

৯) নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা [অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবীহ সুবহা-নাল্ল-হ বলা পরিমাণ সময় দেরি করা] ওয়াজিব। [মুসলিম- ৩৯৭]

১০) বেতের নামাজের তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য আরেকটি সূরা মিলিয়ে, হাত ছেড়ে দিয়ে আবার হাত উঠিয়ে তাকবীর দেওয়া ওয়াজিব। তাকবীর দিয়ে পুনরায় হাত বেধে দোয়ায় কুনুত পড়া হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। [বুখারী- ১০০২]

🔸 [দোয়ায় কুনুত না পারলে দোয়ায় কুনুতের স্থানে কুরআনে বর্ণিত যেকোনো একটি দোয়া পড়া। যেমন- রব্বানা আতিনা ফিদনইয়া.. দোয়াটি পড়া এবং দোয়ায় কুনুত মুখস্থ করার দৃঢ় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া]

১১) জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামের জন্য যোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জু'মআ, দুই ঈদ, তারাবি ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া ওয়াজিব। [মুসলিম- ২৫৯, নাসাঈ- ৯৭০, তিরমিজি ১/১০৬]

🔹 [মনে রাখতে হবে, আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে পড়া নয়। বরং আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে পড়াকে বুঝানো হয়েছে। কারন মনে মনে কিরাত পড়লে নামাজ শুদ্ধ হবে না। আর মহিলারা সব সময় এভাবে আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে সূরা কিরাত পাঠ করবে]

১২) দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা ওয়াজিব। [মুসনাদে আহমাদ- ১৯৭৩৪]

১৩) দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্নভাবে তাকবীর বলা ওয়াজিব। [মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক- ৫৬৮৬] [তবে এই তাকবীরটি অন্যান্য নামাজে সুন্নত]

১৪) নামায শেষে “আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্ল-হ” বলে নামায শেষ করা ওয়াজিব। [বুখারী- ৮৩৭]

🔲 উপরে উল্লিখিত ওয়াজিবগুলোর মধ্যে কোনো একটি ওয়াজিব ভুলে ছুটে গেলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। সাহু সিজদা দিলে নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে। আর সাহু সিজদা না দিলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। [ফাতাওয়া শামী- ৪৫৬]

⭕ সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হচ্ছে, নামাজের শেষ রাকাতে বসে তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু..) পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে আবার ২ টি সিজদা দিতে হবে। সিজদা দিয়ে বসে এরপরে আবার তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে উভয় দিকে সালাম ফিরাতে হবে। [সুনানে তিরমিযি- ৩৬১]

🔸 সাহু সিজদা দেওয়ার দ্বিতীয় নিয়মটি হচ্ছে, নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরূদ শরীফ ও দোয়ায় মাসূরা পড়ে, আবার দুটি সিজদা দেওয়া। সিজদা দিয়ে বসে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নেওয়া। তাহলেও সাহু সিজদা আদায় হয়ে যাবে এবং নামাজ শুদ্ধ হয়ে যবে। [সহীহ বুখারী- ১২২৪]

🔹 সাহু সিজদা দেওয়ার তৃতীয় নিয়মটি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরূদ শরীফ, দোয়ায় মাসূরা পড়ে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে এরপরে আবার ২ টি সিজদা করা। তাহলেও সাহু সিজদা আদায় হয়ে যাবে। [বুখারী- ১২২৬]

🔲 উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিই সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। তাই যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করলেই সাহু সিজদা আদায় হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। তবে হানাফি মাযহাব অনুযায়ী আমরা প্রথম পদ্ধতিটি অনুসরণ করে সাহু সিজদা দিয়ে থাকি। আর এটিই উত্তম পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রথম পদ্ধতিটি অনুসরণ করার পরামর্শ থাকবে ।

Address

Dankuni

Telephone

+917811872670

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when seikh Ahinoor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to seikh Ahinoor:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dankuni

Show All

You may also like