30/03/2024
রাগ করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়লাম। এতটাই রেগে ছিলাম যে বাবার জুতোটা পড়েই বেরিয়ে এসেছি। বাইক যদি কিনে দিতে না পারবে, তাহলে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবার সখ কেন? হঠাৎ মনে হল পায়ে খুব লাগছে। জুতোটা খুলে দেখি একটা পিন উঠে আছে। পা দিয়ে একটু রক্তও বেরিয়েছে। তাও চলতে থাকলাম। এবার পা একটু ভিজে ভিজে লাগল। দেখি পুরো রাস্তাটায় জল। পা তুলে দেখি জুতোর নিচটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম একঘন্টা পর বাস। অগত্যা বসে রইলাম। হঠাৎ বাবার মানি ব্যাগটার কথা মনে পড়ল, যেটা বেরোবার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। বাবা মানি ব্যাগে কাউকে হাত দিতে দেয় না। মাকেও না। খুলতেই তিনটে কাগজের টুকরো। প্রথমটায় লেখা "ছেলের ল্যাপটপের জন্য চল্লিশ হাজার লোন"। দ্বিতীয়টায় একটা ডা: প্রেসক্রিপশন লেখা "ডা: বাবাকে নতুন জুতো ব্যাবহার করবেন বলে আদেশ দিয়েছেন"। মা যখনই বাবাকে জুতো কেনার কথা বলত বাবার উত্তর ছিল "আরে এটা এখনও ছ'মাস চলবে"। তাড়াতাড়ি শেষ কাগজটা খুললাম। দেখি লেখা রয়েছে,"খোকা আমার পুরোনো বাইক পছন্দ করেনা তাই লোন করে হলেও নতুন বাইক কিনে খোকার মুখের হাসি দেখতে চাই"।বুঝতে পেরেই বাড়ির দিকে এক দৌড় লাগালাম। বাড়ি গিয়ে দেখলাম বাবা নেই। জানি কোথায়। একদৌড়ে সেই শোরুমটায়। দেখলাম স্কুটার নিয়ে বাবা দাঁড়িয়ে। আমি ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাঁধটা ভিজিয়ে ফেললাম। বললাম "বাবা আমার বাইক চাইনা। তুমি তোমার নতুন জুতো আগে কেন বাবা। "মা" এমন একটা ব্যাঙ্ক, যেখানে আমরা আমাদের সব রাগ, অভিমান, কষ্ট জমা রাখতে পারি। আর "বাবা" হল এমন একটা ক্রেডিট কার্ড, যেটা দিয়ে আমরা পৃথিবীর সমস্ত সুখ কিনতেSuk Deb
সংগৃহীত।
Suk Deb