শেকড়ের সন্ধানে
হঠাৎই একদিন নিরুদ্দেশ হলেন শশাঙ্কশেখর। পেশায় অধ্যাপক। নেশায় ইতিহাসের গবেষক। প্রাচীন শিলালিপির অবোধ্য আখরমালার পাঠোদ্ধারে ছিলেন নিমগ্ন। দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটত পড়ার ঘরে। ঘরের দেয়াল জুড়ে কাঠের বুক-শেল্ফ্। খোপে খোপে অজস্র বই ঠাসা। ধুলোটে, বিবর্ণ। অগোছালো পড়ার টেবিলেও স্তূপীকৃত বই। রাশি রাশি কাগজপত্রে লেখাজোখা, আঁকিবুকি। হাতলহীন একটি চেয়ার। এই চেয়ারে বসেই কাল থেকে কালাতীতে যাত্রা। অনন্ত অন্বেষণ। সিন্ধু সভ্যতার সীলমোহরে খোদিত গূঢ়-গহন প্রহেলিকার রহস্যময় জগতের আনাচকানাচে বিচরণ।
স্ত্রী সুধাময়ী, ছেলে অমু, দুই মেয়ে ঝুমা ও রুমাকে নিয়ে সুখের সংসার। বৈভবে নয়, শান্তি ও স্বস্তির আটপৌরে গেরস্থালি জীবনের আনন্দ। তবু চলে গেলেন শশাঙ্ক। পরিবার-প্রিয়জনদের ছেড়ে নিঃশব্দে চলে গেলেন। কোনও চিঠি নেই, খবর নেই। হঠাৎই হারিয়ে গেলেন এক বৃষ্টিভেজা রাতে। কোথাও তাঁর হদিশ মিলল না। একরাশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, আশঙ্কা ও বেদনার কালো মেঘ ঘনিয়ে এল পরিবারে। কেন চলে গেলেন ঘর ছেড়ে? কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় গেলেন? বাবার স্নেহ থেকে তো কখনও বঞ্চিত হয়নি ছেলেমেয়েরা। গভীরভাবে ভালোবাসতেন স্ত্রী সুধাকে। কত আনন্দঘন মুহূর্ত, কত মধুর স্মৃতি ফেলে রেখে গেলেন। সুধার বুকের ভেতর উথালপাথাল ঝড়। আশা-নিরাশার দোলাচল, নিদারুণ দুশ্চিন্তা আর ব্যাকুল প্রতীক্ষায় কেটে যায় একের পর এক অশ্রুসজল দিন। শশাঙ্ক ফেরেন না। পাড়ার তল্লাট ছাড়িয়ে কলকাতার অলিগলি থেকে রাজপথ, থানা-পুলিশ থেকে হাসপাতাল, মর্গ — তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজি। অক্লান্ত ছোটাছুটি। সবই ব্যর্থ হল। শুধু শূন্য হৃদয়ে এক অজানা রহস্যের পিছনে নিষ্ফল দৌড়।
শশাঙ্কের এই অকস্মাৎ অন্তর্ধান ঘিরে ঘনীভূত হয় জটিল এক রহস্য। যে রহস্যের পরতে পরতে হাজারো সংশয়, প্রশ্নচিহ্ন। মানুষটাও তো চিরকালই ছিলেন রহস্যময়। চারপাশের দুনিয়া থেকে যেন আলাদা। ছেলেমেয়েরা দেখেছে, বাবা কখনও তপোধীর, কখনও প্রচণ্ড চঞ্চল। কখনও অধ্যয়নে নিবিষ্ট, কখনও অস্থির পদচারণা। কখনও মুখর, কখনও মৌন। মনে হত, কী যেন এক অব্যক্ত অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। কী যেন এক অদম্য আবেগ, চাপা অনুভূতি বিস্ফোরিত হতে চাইত। শুধু বলতেন, ‘এ যে কী কষ্ট, বুঝবি না, বুঝবি না। একটা অঙ্কের উত্তর না মেলার মতো। কয়েকটা ব্যঞ্জনবর্ণ আমি পেয়ে গেছি, শুধু যুক্তাক্ষর মেলাতে পারছি না।’ আজ ওরাও যেন বাবার মতোই কঠিন অঙ্ক মেলাতে পারছে না। সিন্ধু-সভ্যতার লিপিমালার মতোই দুরূহ দুর্বোধ্য এক গাণিতিক ধাঁধা। শিলালিপির মতোই খণ্ডিত স্মৃতিতে গাঁথা বাবার এক অস্পষ্ট অবয়ব। যেন ‘জিগ্স্য পাজল্’-এর মতো টুকরো টুকরো ছবি দেখতে পাচ্ছে, কিন্তু সব মিলিয়ে ধরতে পারছে না সম্পূর্ণ মানুষটাকে। যে রহস্যভেদ না করতে পারার যন্ত্রণায় ওরা কাতর, বাবাও হয়তো এমনই এক অসহনীয় যন্ত্রণায় কষ্ট পেতেন অহোরাত্র। খুঁজে না পাওয়ার যাতনা। রুমা একবার বলেছিল, ‘এসব পুরোনো জিনিস ঘেঁটে ঘেঁটে কী পাও? ওসব জেনেই বা কী লাভ?’ শশাঙ্ক বলে উঠেছিলেন, ‘সে কী রে! পিতৃপরিচয় জানবি না? তাহলে যে নিজেকেই জানা হবে না।’ ওই অতীত, ওই হারানো ইতিহাস, ওটাই পিতৃপরিচয়, আত্মপরিচয় — বাবা আজ নিজেই হারিয়ে গিয়ে সেকথা বুঝিয়ে দিলেন।
শশাঙ্ক বলতেন, ‘শিকড় থাকলে তবেই তো গাছ পাতা ফুল ফল। অথচ শিকড়টার কেউ খোঁজ রাখে না। একটু একটু করে একদিন হয়তো সভ্যতার শিকড়টাই শুকিয়ে যাবে, আর তখন যা-কিছু চোখে দেখতে পাচ্ছো, তা একটা প্রকাণ্ড ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাবে। এখন আমরা যেমন ইতিহাসের পাতায়, পাথরের গায়ে, মাটির তলায় সেই সভ্যতা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু শিকড়টা খুঁজে পাচ্ছি না। পাচ্ছি শুধু বাড়িঘর, মূর্তি কিংবা মমি, কঙ্কাল, দুর্বোধ্য লিপি।’ শশাঙ্ক খুঁজতেন সেই শেকড়টাকে। খুঁজে বের করতে চাইতেন ইতিহাসের এক বিস্মৃত অধ্যায়, যা অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে যুগ যুগ ধরে। স্বজনেরা ওঁর এই অন্বেষার নেশাকে বুঝতে পারেননি। কোন হারানো ঐশ্বর্যের সন্ধানে শশাঙ্কের নিরলস সাধনা? মাটি খুঁড়ে বের করা ভাঙাচোরা মূর্তি, প্রস্তরখণ্ড, পোড়ামাটির সীল — এসবের মধ্যে দামি কী থাকতে পারে ওরা কেউই বোঝেনি। এতো আর সোনাদানা নয়। তাই সুধাময়ীর কাছেও এসব ছিল ‘মাটি পাথরের জঞ্জাল’, ‘আঁস্তাকুড়’।
পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের কাছে এই আত্মভোলা শশাঙ্ককে নিয়ে ‘গর্ব’ করার মতো কিছুই ছিল না। নেহাতই ছাপোষা মানুষ। ভাড়াবাড়িতে বসবাস। যৎকিঞ্চিৎ উপার্জন। হিসেব করে সংসারের খরচপাতি। মাসকাবারে অনটন। আর্থিক কৌলীন্য, পেশাগত পদমর্যাদা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা বা খ্যাতি কোনওটাই ছিল না শশাঙ্কের। নাগরিক সমাজের প্রচলিত ‘স্ট্যাটাস’-এর মানদণ্ডে নিতান্ত ‘মূল্যহীন’। বড়ো হীনমন্যতায় ভুগতেন সুধাময়ী। ভগ্নীপতি রেবতী নামী কোম্পানির ঊর্ধ্বতন অফিসার। হাল-ফ্যাশনের দামি আসবাবে সুসজ্জিত ফ্ল্যাট। কত নামডাক, ঠাটঠমক, পসার-প্রতিপত্তি। নিজেদের খুব ‘ছোটো’ বলে মনে হত। তাই অপূর্ণ সাধ মেটাতে বাড়িটা একটু পরিপাটি করে সাজাতে চেয়েছিলেন। শুরু হল, সংসার খরচ বাঁচিয়ে একটু একটু করে টাকা জমানো। পুরোনো মান্ধাতা আমলের আসবাব বিদায় করে দিয়ে এল নতুন জিনিসপত্র। ডাইনিং টেবিল এল। বৈঠকখানায় সোফা এল। টিভি এল। এল ফ্রিজ। এমনকি শশাঙ্কের পড়ার ঘরের জং-ধরা লোহার র্যাকগুলো বদলে ঝকঝকে পালিশ করা মর্ডান ডিজাইনের কাঠের বুক-শেল্ফ। আধুনিক নাগরিক সমাজে শশাঙ্ককে ‘দামি’ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু ভালো করে বাসা সাজানোর বিভ্রমে ভুলে থেকে ভালোবাসার মানুষটা যে কত দামি, বোঝেননি সুধা।
এখন এসবই নিরর্থক, মূল্যহীন। আসবাবপত্রগুলোর যতই দাম হোক, মানুষটা যে অমূল্য ছিলেন, তা আজ উপলব্ধি করেন সুধাময়ী। শশাঙ্ক বলতেন, ‘একটা সভ্যতার সর্বনাশের বীজ তার মধ্যেই থাকে। কোনটা দামি আর কোনটা দামি নয়, সেটা ভুলতে শুরু করে। তারপর এক সময় তার স্মৃতিভ্রংশ হয়ে যায়, মূল্যহীন জিনিসগুলোই হয়ে ওঠে মূল্যবান। আজকের সভ্যতাও তাই।’… “সামান্য একটা চাষিও জানে কোন জিনিসটা তার কাছে সবচেয়ে দামি, ‘বীজধান’! তাই বীজতলাকে সে প্রাণপণে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে, আমাদের এই সভ্যতা সেই বীজ চেনে না, কোথায় আছে জানতেও চায় না।”…‘আজকের এই অর্থহীন সভ্যতা ছুটে বেড়াচ্ছে। সে জানে না, তার আসল গর্ব কোথায়। যেদিন সেটা নিঃশব্দে চলে যাবে, নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে, সেদিন তার জন্যে থাকবে শুধু হাহাকার। বীজধান নষ্ট হয়ে গেলে চাষির যেমন হয়।’— একথাও বলেছিলেন শশাঙ্কশেখর তাঁর ছেলেমেয়েদের। কিন্তু এতকাল ধরে কাছে পেয়েও বাবাকে কখনও ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি অমু-ঝুমা-রুমারা। ভেতরের মানুষটাকে চেনবার তো কোনওদিন চেষ্টাও করেনি। ওঁর সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশা, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, ব্যথা-বেদনা, অভিমান — সবই ছিল ওদের কাছে অচেনা, অধরা। শশাঙ্ক যেন এক ‘অধর মানুষ’
দূরের মানুষ কাছে এলে চেনা যায়। কিন্তু কাছ থেকে দূরে হারিয়ে গেলেও যে এমন নিবিড় করে চেনা যায়, সেও তো অজানাই ছিল। সারা বাড়ি জুড়ে এক অসীম শূন্যতা ছড়িয়ে দিয়ে শশাঙ্ক যেন নিজেকে চিনিয়ে দিলেন। নিজের মূল্যটা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। আজ নিখোঁজ বাবা আছেন ওদের স্মৃতি সত্তা মননে তাঁর অশরীরী অস্তিত্ব নিয়ে। এ যেন ‘দিবসে সে-ধন হারায়ে’, খুঁজে পাওয়া ‘আঁধার রাতে’।
আজকের স্মৃতিভ্রষ্ট সমাজ ও সভ্যতার সর্বনাশের ‘বীজ’টি কোথায়, শশাঙ্কশেখরের অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে সেই কাহিনীই অসামান্য নিপুণতায় তুলে ধরেছিলেন রমাপদ চৌধুরী পঁয়ত্রিশ বছর আগে লেখা তাঁর অবিস্মরণীয় উপন্যাস ‘বীজ’-এ, যে আখ্যান আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই একুশ শতকে বিশ্বায়নের সংস্কৃতির আগ্রাসনের কালে।
নয়া উদার অর্থনীতির যুগে দুনিয়া জুড়ে মানুষের এখন একটাই পরিচয় — সে ‘ক্রেতা’। ষাটের দশকের শেষের দিকে প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব হেনরি কিসিংগার বলেন, ‘বিশ্বে আমরা নতুন মানুষ তৈরি করতে চলেছি।’ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের যুগে এই ‘নতুন মানুষ’ হল মানবিক সত্তাবিহীন, চেতনা-মননহীন, আত্মবিস্মৃত পণ্যবিলাসী ক্রেতা, যাদের জীবন আবর্তিত হয় নিছক ভোগের চাহিদা ঘিরে। সাধারণ মানুষের পছন্দ-অপছন্দ, ইচ্ছে-অনিচ্ছে, সাধ-আহ্লাদ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আবেগ-অনুভূতি — সবকিছুরই নিয়ন্তা একচেটিয়া পুঁজিনির্ভর মুক্ত বাজার অর্থনীতির কোলে লালিত পণ্যমুখীন ভোগবাদী সংস্কৃতি। স্থূল ভোগসর্বস্ব বিশ্বায়নী সংস্কৃতির মোহ মানুষকে টেনে আনছে ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায়। এক অবক্ষয়ী মূল্যবোধের তাড়নায় দিগ্ভ্রান্ত আমাদের সমাজ যেন এক মৃত্যুবিলাসী রোমসম্রাটের অ্যাম্ফি থিয়েটারে পরিণত। যেখানে আমরা সকলেই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের ‘দাস’ হয়ে গ্ল্যাডিয়টরের মতোই নিজেদের মধ্যে এক প্রাণঘাতী লড়াইয়ে মেতেছি। আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের জীবনশৈলী, আমাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি আজ গভীর সংকটের মুখোমুখি।
সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে দেশজ সংস্কৃতির শিকড় অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত। মানব সংস্কৃতির বিশ্বজনীন রূপে রয়েছে দেশ-অঞ্চল-সমাজ ভেদে স্থানিক স্বকীয়তা ও বিভিন্নতা। এই বহুবর্ণময় বৈচিত্র্যই মানব সংস্কৃতির প্রাণশক্তি। প্রত্যেক জনজাতির কঠিন জীবন সংগ্রামে এই সংস্কৃতিই প্রাণময়তা ও প্রণোদনের উৎস। প্রাকৃতিক পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখতে যেমন জীববৈচিত্র্যের দরকার, তেমনই মানব সমাজকে বাঁচাতে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সম্ভার। বিভিন্ন অঞ্চলের জনজাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতির উদ্ভব ও বিকাশের রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। সেই সংস্কৃতিই জাতির নিজস্ব সম্পদ, তার আত্মপরিচয় — যার ধারা লোকপরম্পরায় প্রবহমান। কিন্তু বিশ্বায়নের সংস্কৃতি এই শিকড় থেকেই মানব সভ্যতাকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। ধ্বংস করছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে। আমাদের যা কিছু নিজস্ব, আমাদের দেশজ শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার, বিশ্বায়নের অদৃশ্য হাতে কৃত্রিম একমুখী ছাঁচে গড়ার অপচেষ্টা চলছে। দেশিবিদেশি বৃহৎ পুঁজির বাজার-বর্গীদের হানাদারিতে মানুষ শুধু ভিটেমাটি, খেতখামার, জমি-জঙ্গল থেকেই উচ্ছিন্ন হচ্ছে না, ছিন্নমূল হচ্ছে তার সাংস্কৃতিক ‘আবাদভূমি’ থেকেও। মানবজমিন আজ বন্ধ্যা, বিপন্ন।
শশাঙ্কশেখর ফিরে আসেননি। কিন্তু শশাঙ্কের পরিবার খুঁজে পেয়েছিল ওঁদের হারানো বিশ্বাস। হারিয়ে যাওয়া যা কিছু মূল্যবান, সবকিছুই আছে। সেগুলো ফিরে পাওয়ার গভীর এই আস্থাটাকেই বাঁচিয়ে রাখা দরকার। এ এক মহত্তম জীবনবোধ। শশাঙ্কের কথায়, ‘যা মূল্যবান, সেটাকে চিনে নেওয়া চাই, দাম দেওয়া চাই।… যেদিন সেটা থাকবে না, সেদিনও বিশ্বাস রাখতে হবে, আছে। কোথাও আছে, তা না হলে এই তেরতলা বাড়ি, উজ্জ্বল আলো, এই উপকরণের সভ্যতা ভবিষ্যতে একটা ভীষণ সুন্দর প্রকাণ্ড ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাবে।’ অনুদ্দিষ্ট ‘শশাঙ্কশেখর’দের ফিরে পাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে আমাদেরও পথচলা শুরু হল এক অনন্ত অনিবার অন্বেষণে। এই বিশ্বাসের ‘বীজধান’ অন্তরের ‘আবাদভূমি’তে রোপণ করেই আমরা এক অনাগত ‘নবান্নে’র প্রতীক্ষায়।
(‘আবাদভূমি’ পত্রিকার প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়। অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৩)
আবাদভূমি - শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
ABADBHUMI - A Trimonthly Magazine on Art, Literature and Culture
Editor and Publisher : Rajesh Datta
‘আবাদভূমি’ পত্রিকার শেষ প্রকাশিত সংখ্যা ‘অসুর আখ্যান’ (তৃতীয় বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা)-এর প্রচ্ছদ। প্রকাশকাল: এপ্রিল, ২০১৭। এই সংখ্যাটি বর্তমানে নিঃশেষিত।