Creative Womb

09/09/2023

"মন্দার" ওয়েব সিরিজ খ্যাত 'মঞ্জু' ,... "আবার প্রলয়'' এবং আপকামিং ফিল্ম বাঘাযতীনে ঋষি অরবিন্দ ঘোষ চরিত্রাভিনেতা, টলিউডের পরিচিত মুখ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার গর্ব সজল মণ্ডলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা।
আমার প্রযোজনা এবং পরিচালনায় আগামীর ছোটছবি ''আপাত সাধারণের গপ্পো '' তে মুখ্য দুই চরিত্র সজল মণ্ডল এবং সম্ভাবনাময়ী শিল্পী ঋত্বিকা নাথ...

30/08/2023

রাখি পূর্ণিমার পূণ্য তিথিতে সকল ভাই ও বোনের জন্য আমার এক আকাশ ভালোবাসা....ও তাদের জন্য একটা ছোট্ট উপহার আমার কলমে...😍😍😍

উপহারের আলিঙ্গনে
✍️✍️ প্রণব রায়

ঘড়িতে তখন ঠিক কত বাজে ? এই সকাল সাড়ে নয়টা-দশটা.... তুয়া হাতের ছোট্ট ব্যাগটা নিয়ে একপ্রকার ছুটতে ছুটতে তার ঘরে প্রবেশ করল।... আমার তখন অফিস যাবার তাড়া..ধর্মতলা পোষ্ট অফিসে কাজ করি,রোজ সকালে তাড়াতাড়ি স্নান খাওয়া সেরে অফিস বের হবার উদ্যোগ চলছে ..। বাড়ি শিয়ালদহ প্রাচী সিনেমার গলিতে।...হঠাৎ একদিন আমার সাজানো সুন্দর সাধের শরীরে সুগার এর আক্রমণ..গিন্নির হুকুম ..না না--আর গাড়িতে করে অফিস যেতে হবে না..যেহেতু সকালের মুখ দেখতে তোমার কষ্ট হয়,তাই একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে হেঁটেই যেও অফিস ,রথ দেখা কলা বেচা দুই হবে,...
পকেটটা একটু ভারি হবে আর শরীর টাও একটু চাঙ্গা থাকবে..তাহলে অন্তত সপ্তাহান্তে একটা দুটো রসগোল্লা চলতেই পারে।
এমনি এক ভাদ্র মাসের পুণ্য পূর্ণিমার রাঙা সকালে আমি বেরিয়েছি অফিস এর উদ্দেশ্যে গিন্নির হাতের রান্না খেয়ে ।বাড়ির সদর দরজা পেরিয়ে দুলকি চালে কাঁধে অফিস এর ব্যাগ নিয়ে পাশের গলিতে প্রবেশ করলাম,পাশের পানের দোকান থেকে একটা মিষ্টি পান মুখে চালান করে একটু এগোতেই গলির মোড়ে একটা কোলাহল শুনতে পেলাম ।প্রথমটা তেমন গুরুত্ব না দিয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলাম কারণ এমন গন্ডগোল তো লেগেই থাকে ।কিছুটা যাওয়ার পর মনে হলো .. এই কোলাহল টা একটু অন্যরকম, তাই নিজের জিজ্ঞাসা নিবারণের জন্য ফিরে এলাম।ঘটনাটা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায়। এক- পা, দ-ু পা করে এগিয়ে সরাসরি প্রবেশ করলাম আট দশ জন লোকের একটা জটলাতে। উপস্থিত ভিড়ে দুই ব্যাক্তির দুই কাঁধে হাত দিয়ে একটু জায়গা করে ভিতরে উঁকি মারতেই দেখলাম-ছোট্ট একটি মেয়ে ধুলোর মধ্যে পড়ে, কত আর বয়স হবে? এই পাঁচ ছয় বছর হবে -- রোদে পুড়ে তামাটে , মাথায় ঝাঁকড়া চুলে বেশ কিছুদিন সাবান শ্যাম্পু কিছুই জোটেনি , পরনে বাসন্তী রঙের ফ্রকটাও তার রঙ হারিয়ে ধূসর শীতের রঙ পেয়েছে। কনুইয়ে কালশিটে পড়ে গেছে , চোখে তার হাজার তারার আগুন ভালোবাসা মাখানো , চোখেতে প্রতিজ্ঞার ছাপ স্পষ্ট , ঠোঁটের কোণে একফোঁটা রক্ত জমে আছে।মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে দুই হাতে বুকের কাছে কিছু একটা আঁকড়ে ধরে রেখেছে।
সেটা বাঁচানোর জন্য তার আপ্রাণ চেষ্টা সম্মিলিত জনতার পায়ের তলায়-- আর মাঝে মাঝে মুখ তুলে উপরে দেখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।কয়েক পলক দেখার পর যেটা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছিল , সেটা হলো একটি বাচ্ছা ছেলে মেয়েটির থেকে ছোট্ট ,তাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে আর জনতার আঘাত সব নিজের পিঠে একাই সহ্য করছে। যার বহিঃপ্রকাশ ছিল তার যন্ত্রনা ক্লিষ্ট কান্নার আওয়াজ।
এমন একটা অমানবিক দৃশ্য দেখার পর নিজেকে আর ধরে রাখা গেল না..কোথায় থেকে হাজার হাতের শক্তি আমার হাতে ভর করলো...ও বার কয়েক এর চেষ্টা তে উন্মত্ত জনতাকে সরাতে সমর্থ হলাম ও বাচ্ছা দুটিকে রক্ষা করলাম। একটু পরেই চিনতে পারলাম দুজনকে ।

এদের সাথে আলাপ আমার হাসিমাখা নিরব সংলাপে । রোজ সকালে অফিস যাওয়ার পথে ওই ছোট্ট মেয়েটির সাথে দেখা হতো। ছেলেটি ও মেয়েটি পার্কের গেটের বাইরে বাঁধানো বকুল গাছের রেলিংটা তে বসে পা দোলাত ....পরনে সেই বাসন্তী রঙের ফ্রক ,ধুলো মাখা কিন্ত একটা পরিপাটি ভাব ছিল ,পাশে ভাই লক্ষণ এর মত হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ছোট্ট সাগরেদ। তখন ও তাদের নাম জানতাম না ,আলাপ নিরব মিষ্টি হাসিতে ..দেখতাম সেই রেলিংয়ে বসে অবিকল ..আমাকে দেখে এক পরিমিত মিষ্টি হাসি লেগে থাকতো ওদের ঠোঁটে , প্রত্যুত্তরে আমার ও ।কেমন একটা করুন অথচ মায়াবি হাসি মাখা মুখ দুজনের.. মনে হতো কত জনমের সম্পর্ক আমাদের, ওদের চোখে ও সেই গভীরতা আমি খুঁজে পেতাম , কোনো কথার আদানপ্রদান ছাড়া । প্রতিদিন অফিস যেতাম একটা প্রশান্তি ভরা হাসি মুখে নিয়ে, কিন্তু কি এক যন্ত্রনা ও হতো মনের অতলে । কি সেই যন্ত্রনা বুঝতে পারতাম না । বিকালে ফেরার পথে কখনো দেখি নি ওদেরকে। এমনি ভাবে দিন চলছিল আপন গতিতে ।
একদিন যন্ত্রনা টা বেড়ে গেল...যেদিন দেখলাম শিশু দুটি তাদের দুটি হাত বকুল ফুলে ভরে ,এগিয়ে এলো গুটি গুটি পায় আমার কাছে ,চোখের ভাষায় বুঝিয়ে দিল আমার জন্য বসে থাকে তারা সারা সকাল জুড়ে । বকুলে ভরা হাত গুলি এগিয়ে এলো আমার দিকে ..বললো ..
কাকু এগুলো তোমার জন্য ।
আমি কোনও কথা বলতে পারিনি , সেদিন শুধু চোখ ভোরে জল এসেছিল , আর গলার কাছটা ব্যথা অনুভব করেছিলাম ফুলগুলো নেওয়ার সময় ।
আলাপ হলো পরের দিন...
বললাম ...খুকু ,নাম কি তোমার ? বললো ..তুয়া ,
অন্যজনকে কিছু জিগ্যেস করার আগেই আগবাড়িয়ে বললো ... আমার নাম ফারু ।
তুয়া বললো ..না না ওর নাম ফারুক ।বললাম ..তাই নাকি ? উত্তরে ওরা মাথা নাড়ে।ও আমার ভাই -- তুয়া বললো ।
আমার নিজের বলতে তো শুধু ওই আছে, ওর সাথে আমার জনম জনমের সম্পর্ক । কতবার যে আমাকে বাঁচিয়েছে কতজনের হাত থেকে..

দুজনকে আমার পিছনে আড়াল করে উপস্থিত জনতাকে বললাম.. এভাবে কেউ বাচ্ছা কে মারে ? ওরা যে মরে যাবে..? কি এমন ঘটেছে যে এমন নিষ্পাপ দুটি শিশুকে এমন ভাবে মারছেন ? সম্মিলিত জনতা যেন ফুঁসে উঠলো আমার কথা শুনে..
সমস্বরে বলল .. চোরকে মারবে না তো কাকে মারবে শুনি?....যত্ত সব চোর।
-- বললাম কি চুরি করেছে মশাই?
একজন এগিয়ে এসে বললো ..ওর হাতের মুঠো টা খুলেই দেখুন না..কি চুরি করেছে? -

-- বলেই এগিয়ে আসছিল লোকটা , কিন্তু বাধা দিয়ে বললাম-- আপনি দাঁড়ান আমি দেখছি ।

তুয়ার দিকে ফিরে বললাম--
কি চুরি করেছ দেখি?
তুয়া কোনো উত্তর না দিয়ে প্রাণপনে হাতের মুঠোটা আরো শক্ত করল ।
বললাম ...দেখি তুয়া কি আছে হাতে?

এবার ওই ছোট্ট মেয়েটির চোখে সারা পৃথিবীর আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পেলাম --যেন এই পৃথিবীর অবহেলা, ঘৃণা, ভালোবাসা বর্জিত জীবনের কাহিনী আর এক ভালোবাসার জন্য--এই আগুন সবাইকে পুড়িয়ে দিতে পারে । চোখে তার অব্যক্ত এক প্রতিবাদ... সে কি অন্যায় করেছে পৃথিবীর কাছে , যার জন্য বাবা মা তাকে ছোট্ট বেলাতে আস্তাকুড়েতে ফেলে পালালো ?.. কি এমন পাপ করেছে যার জন্য আর পাঁচটা শিশুর মতো পিতা- মাতার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত , শৈশব চুরি হয়ে গেল ? ..কি এমন অপরাধ করেছে সে ,যার জন্য তার সমস্ত স্বপ্ন ,শখ - আল্লাদ বিসর্জন দিতে হবে ? ..কাউকে ভালোবাসতে ও পারবে না ! তার জন্য একটা ছোট্ট উপহার কিনতে চাওয়াটা কি গভীর অপরাধ ? ...যেখানে কোটি কোটি টাকার চুরি করেও সমাজের তথাকথিত বাবু লোকেরা সম্মানের সাথে বুক ফুলিয়ে ঘোরে.. সেখানে মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ , তার শৈশব যারা চুরি করলো তাদের কি হবে ?.কাকু ...আমি চুরি করি নি !
..ওই বকুল ফুল গাছটার পাশে যে বাড়িটা আছে না সুমনাদের ..আজ সকালে ওকে দেখলাম ওর ভাইয়ের জন্য , কি সুন্দর ! একটা রাখি কিনে নিয়ে গেলো..তাই দেখে আমার ভাইয়ের জন্য ও একটা রাখি কিনতে খুব ইচ্ছে করলো। কিন্তু আমার তো টাকা নেই ..
তাই আমি আর ভাই অনেক বকুল ফুল কুড়িয়ে এই দোকানে এসেছিলাম ....
ওই দোকানদার কাকু কে বললাম --
কাকু আমার তো কোনো টাকা নেই ..
তাই ওই ফুলগুলো রাখো আর তার বদলে আমাকে এই লাল রঙের রাখিটা দাও ।
আমার এই ভাইয়ের হাতে বাঁধবো। ...হাতের মুঠো খুলে রাখিটা দেখিয়ে বললো আমাকে।
বললো ..টাকা নেই যখন অত রাখি বাঁধার শখ কেনো ? যা পালা ..এখান থেকে ।
আমি অনেক অনুরোধ করলাম কিন্তু দিলো না , তাই এই লাল রাখি টা আমি নিয়ে এসেছি।

বিশ্বাস করো কাকু আমি চুরি করিনি...এর বিনিময়ে আমি তো বকুল ফুল দিয়েছি...একে কি চুরি করা বলে কাকু ? বলোনা কাকু ?..... ও কাকু ?
-- আমার তখন ঠিক কি বলা বা করা উচিত বুঝতে পারছিলাম না --হতভম্ব হয়ে এক পরাজিত সৈনিক এর মতো দাঁড়িয়ে রইলাম।

ধীরে ধীরে বললাম ..আপনার রাখির দাম কতো ভাই?
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে রাখির দামটা মিটিয়ে ওদেরকে ওখান থেকে নিয়ে এলাম নিজের বাড়িতে । না আজ আর অফিস যাওয়া হলো না। হাত- মুখ ধুইয়ে দুজনকে পরিষ্কার করিয়ে আমার স্ত্রী অমলা কে বললাম -- রাখির জন্য সব জোগাড় করতে। আমরা নি:সন্তান ছিলাম --অমলা ও যেন নি:শব্দে নিমেষে সব জোগাড় করে দিলো এই ছোট্ট ভাই বোনের রাখির জন্য। অমলার চোখে দেখেছিলাম ওর ব্যাথিত তৃষিত হৃদয়ে সন্তানের আকুল আকুতির পরশ আর মন ভরানো ভালোবাসার অভিব্যাক্তি ।
-- সেই থেকে ওরা আমাদের সফরসঙ্গী।

তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা বছর ...
শুভ্র শরৎ সকালের রাঙা হাসির মতো সূর্যের আলো ওদের জীবনে এনেছিল আনন্দের প্লাবন। তুয়া এবার মাধ্যমিক দেবে ...সেই ছোট্ট মেয়েটি সদ্য যৌবনে পা রেখে বাহারি প্রজাপতির মতো পাখা মেলেছে শরৎ আকাশে। তার চোখে এক দীপ্তি নতুনের জন্য - আমারও অমলার বুক ভরানো এক স্বপ্নের প্রশান্তি। সব ছিল , ছিলো না শুধু একজন । আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে এমন ই এক রাখি পূর্ণিমার দিনে রাখির উপহার কিনতে গিয়ে , প্রাচী সিনেমা হল এর সামনে এক ধর্মতলা গামী বাস পিষে দিয়েছিলো দশ বছর এর ফারুকের নরম তুলতুলে শরীরটা--সামনেই নীলরতন হাসপাতাল কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারলো না তাকে --সঙ্গে সঙ্গে প্রাণবায়ু টা উড়ে গিয়েছিল ফারুকের ।...হাতে ধরে ছিলো দিদির জন্য কেনা টুকরো হয়ে যাওয়া কাঁচের গণেশ মূর্তিটা। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে সকালে ফারুকের ছবির সামনে সব আয়োজন সেরে.. তুয়া প্রাচী সিনেমার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে... এটা দেখতে তার ছোট্ট ভাই টা তার জন্য উপহার কিনছে ..এটা সে খুব মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতো কেমন করে সেই ঘাতক বাস টা তাকে পিষে দিয়েছিল ! ঠিক কতোটা যন্ত্রণা সহ্য করেছিলো তার ভাইটা ! ঠিক কি বলতে চেয়েছিলো শেষ মুহূর্তে তার প্রিয় দিদিকে! ..এই দিদি দেখ ,তোর জন্য উপহার কিনেছি ...তোর তো গণপতি বাপ্পা খুব প্রিয়, তাই না ! তোর পছন্দ হয়েছে !
--- সে আজও যেন শুনতে পায় সেই বুক ফাটা কান্না.......।

✍️✍️©️©️প্রণব রায়

08/05/2023

কবিগুরুর জন্মদিনে ...তাঁর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁর কিছু অব্যক্ত অনুভুতি কাদম্বরী দেবীকে নিয়ে...তাঁকে কি চোখে দেখেছেন সারাজীবন..তাদের পবিত্র সম্পর্কের এক কাল্পনিক "স্বীকারোক্তি" পার্বতী মোদকের কলমে ও প্রণব রায়ের কণ্ঠে...😊শুনে দেখতে পারেন 🙏😍শুনতে পাবেন আর একটু পরেই 11 am, শুধুমাত্র "creative Womb"youtube চ্যানেলে....

"স্বীকারোক্তি" কলমে : পার্বতী মোদক কণ্ঠে : প্রণব রায় সম্পাদনা : সৌম্যদ্বীপ সিংহ ...

12/04/2023

প্রমিত আবার পাহাড়ে

31/03/2023

30/03/2023

29/03/2023

An award winning short documentary film regarding the miserable condition of the people of sundarban and the remedy to get rid of it...