IndiaVerse -

IndiaVerse - WELCOME ��
এখানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ইতিহাস, রহস্য, রাজনৈতিক বিষয় খুব সজভাবেই বাংলায় বোঝানো হয়।

23/10/2023

📌ইনকিলাব জিন্দাবাদ!! এই শব্দ দুটি শুনলে কেমন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাই না? এই শব্দ দুটি জনপ্রিয় করেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং। ১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ নির্ধারিত সময়ের আগেই বিপ্লবী ভগৎ সিংএর ফাঁসি হয়। আপনি কি জানেন তাঁর এই ফাঁসি বেআইনি ছিল? শুনে অবাক হলেন? যে ব্রিটিশ সরকারের আমলেও ফাঁসি কি করে বে আইনি হয়? তাহলে আরো একটা কথা শুনলে আরো অবাক হবেন যে মহাত্মা গান্ধী ভগৎ সিং এর ফাঁসি রোধ করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত। অথচ তাদের মধ্যে মতাদর্শের প্রচুর অমিল ছিল। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অহিংসা বাদী, আর ভগত সিং ছিলেন সহিংস বিপ্লবী। আসুন আজকের এই পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপ এ ফরোয়ার্ড হওয়া ভুয়ো গল্পঃ বাদ দিয়ে ভগৎ সিং এর আসল ইতিহাস ও রহস্য জানা যাক।

🔵ভগৎ সিং 27 সেপ্টেম্বর 1907 সালে একটি পাঞ্জাবী শিখ পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন পাঞ্জাবের বাঙ্গা নামের একটি গ্রামে যেটি তখনকার ব্রিটিশ ভারত এবং বর্তমানে পাকিস্তান। ভগৎ সিং- এর বাবা কিষান সিং এবং তার চাচা অজিত সিং তখনকার সময়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। 1907 সালে Canal Colonization Bill এবং পরে 1914 সালের গদর আন্দোলনেও তারা যোগ দিয়েছিলেন।

🔥4ই সেপ্টেম্বর ১৯২০ সাল। মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। 1923 সালে ভগৎ সিং লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে যোগদান করেন, যা দুই বছর আগে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে লালা লাজপত রায় তৈরি করেছিলেন, এটি ভারতীয় ছাত্রদের ব্রিটিশ ভারত সরকার কর্তৃক ভর্তুকি দেওয়া স্কুল ও কলেজগুলি পরিত্যাগ করার ডাক দেয়। ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদের মত বিপ্লবীরা মহাত্মা গান্ধীর সাথে এই অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু 1922 সালের ফেব্রুয়ারিতে, চৌরিচৌরা ঘটনা হিংসাত্মক রূপ নেয়। সহিংসতার এই ঘটনার কথা শুনে, মহাত্মা গান্ধী অবিলম্বে এই আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানান।" কারণ তিনি হিংসার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু এটা করার ফলে অনেক বিপ্লবী হতাশ হয়ে পড়েন। অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী আলাদা আলাদা দল তৈরি করেন। 1926 সালে, ভগত সিং নওজওয়ান ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল ভারতের প্রথম দিকের বামপন্থী সংগঠনগুলির মধ্যে একটি।
পরে তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন। 1928 সালে এটি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান সোশ্যালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে পরিনত হয়।

💥সেই বছরই মানে 1928 সালে, সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ চলছিল। সত্যাগ্রহের সময়ে পুলিশ সুপার জেমস স্কট, লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন। সেখানে একজন ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়। সেখানে তিনি আহত হন। আর পরে সেই ক্ষতের কারণেই তিনি শহীদ হন। এই ঘটনা নিজের চোখে দেখেছিলেন ভগৎ সিং। হত্যার বদলা নিতে 1928 সালের ডিসেম্বরে, তিনি এবং তার কমরেডরা স্কটকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখানে তাদের একটু ভুল হয়, তারা ভুল করে সহকারী পুলিশ সুপারকে হত্যা করে। তিনি ছিলেন 21 বছর বয়সী, জন স্যান্ডার্স। এই ঘটনার সময় একজন ভারতীয় পুলিশ কনস্টেবল চরণ সিং যিনি ব্রিটিশদের হয়ে কাজ করতেন রাজগুরু ও ভগৎ সিংকে ধরতে ছুটে যায় কিন্তু চন্দ্রশেখর আজাদ আত্মরক্ষা হিসাবে তাকেও গুলি করে। এই পুরো ঘটনাটিকে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়।

💥এরপরে 1929 সালের এপ্রিল মাসে আরো একটি ঘটনা ঘটে।ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ফেলে। সরকার সে সময় কেন্দ্রীয় পরিষদে দুটি বড় বিল পাস করছিল। জননিরাপত্তা বিল এবং বাণিজ্য বিরোধ বিল। সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন বৃটিশ সরকার বেআইনি করে দেওয়ার জন্য এই বিল। সেই সভায় ভগত সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত আসেন এবং সভার মাঝখানে একটি বোমা ফেলে। এবং স্লোগান দেয়। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। সেখানে তারা বোমা ফেলার পরও পালিয়ে না গিয়ে সারেন্ডার করে। তারা এই বোমা ফেলে কাউকে হত্যা করতে চায়নি।বোমার আঘাতে ছয়জন সামান্য আহত হয়েছিল।আর কেউ নিহত হয়নি । গ্রেফতারের পর ১৯২৯ সালের ৭ মে তাদের বিচার শুরু হয়। সরকার ভগৎ সিং কে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন।
আদালতে ভগৎ সিং কিছু আইনি পরামর্শ নিয়ে নিজের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর বটুকেশ্বর দত্তের প্রতিনিধিত্ব করেন কংগ্রেস সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী আসিফ আলী। প্রায় 1 মাস পরে, ব্রিটিশ আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। 14 বছরের জেল। এর সাথে সাথে স্যান্ডার্স হত্যার জড়িত প্রমাণ ও পাওয়া যায়। শিব ভার্মা, জয়দেব কাপুর, রাজগুরু এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়।" ভগৎ সিং যখন জেলে ছিলেন, ব্রিটিশরা লাহোর এবং সাহারানপুর বোমা কারখানা খুঁজে পায়। এই কারখানা Hindustan Socialist Republican Association এর সাথে যুক্ত বিপ্লবীরা তৈরি করেছিলেন। যে বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন ব্রিটিশ সরকারের চাকরে পরিণত হয় এবং সবকিছু বলে দেয়।

ভগৎ সিং যিনি আগে থেকেই জেলে ছিলেন সেন্ট্রাল আসেম্বলির বোমা হামলার জন্য, তিনি আবার স্যান্ডার্স হত্যার জন্য আবার দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
সেই জেলে থাকাকালীন তাকে যেনো রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে দেখা হয় আর সব বন্দীর প্রতি সমান আচরণের দাবি জানান তিনি। ভালো খাবার, ভালো পোশাক, বই এবং তাদের সবাইকে দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া উচিত, এমন দাবিও জানান তিনি। কিন্তু ব্রিটিশরা চেয়েছিল ভগৎ সিংকে একজন সাধারণ হিংস্র অপরাধী ও দেশদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করা হোক। যেমন করে এখন করা হয় , কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তাকে দেশ দ্রোহী বানিয়ে দেওয়া হয়, আর সঙ্গ দেয় মিডিয়াও। যাই হোক এই দাবি না মানায় জন্য ভগৎ সিং আমরণ অনশন শুরু করেন । এই খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি হয়ে ওঠেন দেশের জাতীয় আইকন। দিন দিন, অনশন দীর্ঘ হওয়ার সাথে সাথে, ভগৎ সিং-এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
ভাইসরয় আরউইন এই বিষয়টা খুব তাড়াতাড়ি মেটাতে চাইছিল। এই কারণেই সন্ডার্স হত্যার বিচার শুরু হয়েছিল 1929 সালের জুলাই মাসে।বিপ্লবীরা নিজেদের বিচার বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন।১৯২৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর অনশনের ৬৩ দিন পর যতীন্দ্রনাথ দাস শহীদ হন। সুভাষ চন্দ্র বসু তাঁর মরদেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে তার শেষ কৃত্যে 500,000 মানুষ অংশ নিয়েছিল।" কিন্তু এর পরেও লাহোর বন্দীদের সাথে অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে ভগৎ সিং অনশন চালিয়ে যান। অনশনের 116 দিন পর, 1929 সালের 5ই অক্টোবর তিনি তার ধর্মঘট শেষ করেন। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম অনশন ।এর ফলে ভগৎ সিংয়ের গল্প ভারত ছেড়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু চার বিপ্লবী জয় গোপাল, হংস রাজ ভোহরা, ফনীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং মনমোহন ব্যানার্জি ব্রিটিশ সরকারের দেখানো লোভে পড়ে বিচারে সবাই ভগৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। ভাইসরয় বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।

🔵এরপরেই 1930 সালের 4 মে মহাত্মা গান্ধী ভাইসরয়কে চিঠি লিখে এই বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন। কিন্তু সেই সমালোচনা মূলক চিঠির কোনো গুরুত্ব না দিয়েই তিন দিন পর ১৯৩০ সালের ৭ই অক্টোবর জন সন্ডার্স এবং চরণ সিং হত্যা মামলায় ভগৎ সিং, রাজগুরু ও সুখদেবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং বটুকেশ্বর দত্তকে সভায় বোমা হামলার ঘটনায় 14 বছরের জন্য কালা পানিতে পাঠানো হয়েছিল। এই মৃত্যু দণ্ডের রায়ের সপক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সমর্থন ছিলনা। তাই এই রায় অনেকটাই বেআইনি ছিল। ভগৎ সিং একজন বিপ্লবী হিসাবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তার মৃত্যু দণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে জীবন বাঁচানোর দাবি জানিয়ে শুধু ভারতই নয় ,বিদেশ থেকেও ভাইসরয়ের কাছে আবেদন আসে । 31শে জানুয়ারী 1931 সালে মহাত্মা গান্ধী এলাহাবাদে আবার এই মৃত্যু দণ্ডের বিরুদ্ধে ভাষণ দেন। 18ই ফেব্রুয়ারি মহাত্মা গান্ধী আরউইনের সাথে দেখা করেন এবং তাকে বলেছিলেন যে তিনি যদি চান দেশের পরিস্থিতি তার অনুকূলে থাকুক, তাহলে তার উচিত ভগত সিংয়ের ফাঁসি স্থগিত করা। আরউইন এর সেক্রেটারি এ বিষয়ে বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী প্রথমে ফাঁসি স্থগিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং যখন পরিস্থিতি ঠিক হবে তখন আর যাতে সময় পাওয়া যায় ফাঁসির আদেশ বাতিল করার।তাই প্রথমে এটি স্থগিত করা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহাত্মা গান্ধী আসিফ আলীকে লাহোরে পাঠান যাতে তিনি ভগৎ সিং এর সাথে কথা বলে তাদের অঙ্গীকার করাতে পারেন যে তারা মানে ভগৎ সিং এবং তার কমরেডরা সহিংসতা ত্যাগ করে। কিন্তু ভগৎ সিং নিজেই চাইতেন যাতে তাকে সব থেকে বড় শাস্তিই দেওয়া হয়। তিনি আসিফ আলীকে না বলে ফিরিয়ে দেন। ১৭ই মার্চ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আজাদ ময়দানে এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।জনগণের সামনে তিনি সেই দাবি তুলে ধরেন ভগৎ সিং-এর ফাঁসি স্থগিত করা হোক। পরের দিন ১৮ই মার্চ ভগৎ সিং-এর পক্ষের আইনজীবী প্রাণ নাথ মেহতা ভগত সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবকে অনুরোধ করেন যাতে তারা ক্ষমার আবেদন লেখে । ভগৎ সিং দরখাস্ত লেখেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার বদলে যাতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর বদলে গুলি করে মৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয় এমন দাবি জানালেন।
পরের দিন ১৯শে মার্চ, মহাত্মা গান্ধী আবার আরউইনের সাথে দেখা করলেন ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি বন্ধ করার জন্য। কিন্তু ভাইসরয় কোনো ভাবেই রাজি হননি। পরের দিন বিশে মার্চ, মহাত্মা গান্ধী স্বরাষ্ট্র সচিব হার্বার্ট এমারসনের সাথে দেখা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। পরের দিন ২১শে মার্চ আবার তিনি ভাইসরয় আরুইনের সাথে দেখা করেন। কিন্তু এবারেও ভাইসরয় রাজি হননি। 23শে মার্চ সকালে মহাত্মা গান্ধী আবার আরউইনের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এবারেও তিনি ব্যর্থ হন।

✨যে জায়গায় এই ফাঁসির অর্ডার 24 তারিখে হওয়ার কথা ছিল, সেটা 11 ঘণ্টা আগিয়ে নিয়ে আসা হয়, 23শে মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লাহোর জেলে রাজগুরু, সুখদেব এবং ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তারা ভারতের জন্য শহীদ হয়ে যান। ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করেছিলো যে , ভগৎ সিং এর সমর্থকেরা ফাঁসির দিন জেলের সামনে আন্দোলন করতে পারে। তাই ব্রিটিশ সরকার আগের দিন সন্ধ্যায় এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করে।

অনেকেই মনে করেন যেহেতু মহাত্মা গান্ধী আর ভগৎ সিং এর মতাদর্শের পার্থক্য ছিল, তাই হয়তো তিনি ভগৎ সিংকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করেননি। কিন্তু সুভাষ চন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে জহরলাল নেহেরু প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছিলেন। যারা আসলেই দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও একে অপরের প্রতি সম্মান ছিল প্রচুর। তাই আজকের সময়ের হোয়াটস অ্যাপে ফরোয়ার্ডেড ম্যাসেজের উপরে ভরসা না করে বই পড়ুন।

এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট নিয়মিত দেখতে আমাদের পেজটি ফলো করুন। IndiaVerse ।

আমরা এমন তথ্যমূলক ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করে থাকি। আপনারা সাবসক্রাইব করতে পারেন।
Link- https://youtube.com/-?si=fdZCSqdrl1OxubPS

#ইতিহাস #শিক্ষা #শিক্ষা #বিপ্লবী #স্বাধীনতা #ইতিহাসেরঘটনা #রহস্য

06/10/2023

আপনি কি জানেন ১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে 7 কোটি সৈন্যরা ছাড়াও সৈনিক পায়রারাও ছিল? ( 📓পুরোটা পড়ুন)
4 ই অক্টবর ১৯১৮ সাল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে Argonne Forest এ মার্কিন সেনা বাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ন অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও শত্রু পক্ষের মানে জার্মানির লাইনে চলে যায়। যেহেতু তারা শত্রু পক্ষের লাইনের মধ্যে তাই তখন নিজেদেরই দল বুঝতে না পেরে তাদের উপরে সমানে ব্যারেজ নিক্ষেপ করে। তখন রেডিও নূতন টেকনোলজি আর এখন কার মত নয়, সাভাবিক ভাবেই তারা সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন ছিল।এই সময় সেই হারিয়ে যাওয়া ব্যাটেলিয়নের কাছে শেষ ভরসা চের আমি নামের এক পায়রা। Cher Ami প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পসের একজন হোমিং পায়রা ছিল। অনেক দূরে গিয়েও আবার নিজের ঘরে ফিরে আসার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে যুদ্ধে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অনেক পায়রার মধ্যে একজন ছিল চের আমি। চের আমি নামের অর্থ হলো প্রিয় বন্ধু। এর আগে চের আমি 11 বার সফল ভাবে নিজের মিশন সম্পূর্ন করেছিলো। কিন্তু এবারে? আপনাদের কি মনে হয় ? সে কি বাঁচাতে পেরেছিল সেই আমেরিকান সৈন্যদের? নাকি খবর পৌঁছাতে যাওয়ার পথে শত্রুর গুলিতে সে প্রাণ হারিয়েছিল?
সেটা বলার আগে আসুন ১৯১৪ সালের ২৮ শে জুলাই অস্ট্রিয়ান যুবরাজ আর্কডিউক ফার্ডিনান্ডের হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আসল কারণটা জেনে নেওয়া যাক। এমন এক যুদ্ধ যা 2 কোটিরও বেশী মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
এমন এক যুদ্ধ যা পুরানো অনেক সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছিল আবার নূতন শক্তির সূচনাও করেছিল। আর এত বড় একটা যুদ্ধ শুধু মাত্র একজনের হত্যার কারণে শুরু হয়েছিল এটা একটু অবিশ্বাসের তাই না ? আসলে এটি পেট্রোল পাম্পের কাছে সিগারেট খাওয়ার মত ছিল। যার সামান্য আগুনের ছোঁয়া পুরো পেট্রোল পাম্পের সাথে সাথে আসে পাশের সব কিছুকেই জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আসুন শুরু থেকে শুরু করা যাক।

🔰1878 সালে রাশিয়ান সাম্রাজ্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। রাশিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বলকান দেশগুলিকে অটোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা করতে সাহায্য করা। আজকের আপনি যে গ্লোবাল ম্যাপ দেখেন সেটা তখনকার সময়ে অনেকটাই আলাদা ছিল। সার্বিয়া, বসনিয়া, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া, এদেরকে সম্মিলিতভাবে বলকান দেশ বলা হত। সেইসময়েরর জার্মানি সাম্রাজ্য বর্তমান সময়ের থেকে অনেক বড় ছিল। ইউরোপের বেশিরভাগই দেশে তখন রাজতন্ত্র ছিল। গণতন্ত্র বলতে ছিল ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং সান মারিনোতে।
যাই হোক যুদ্ধের শেষে 1878 সালে বার্লিন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি অনুসারে, অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যকে সাময়িকভাবে অধিকার দেওয়া হয়েছিল বসনিয়া-হার্জেগোভিনা অঞ্চল পরিচালনা করতে । তবে শর্ত ছিল এলাকাটি অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ থাকবে।
কিন্তু অক্টোবর 1908 সালে, অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দখল করে নেয়।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা অঞ্চল 400 বছর ধরে অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে ছিল, কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার বদলে, আরেকটি সাম্রাজ্য এসে দখল করে নেয়। স্পষ্টতই, বসনিয়ার জনগণ এতে ক্ষুব্ধ ছিল।
আর দশ টা দেশের মতো তারাও স্বাধীনতা চেয়েছিল। প্রতিবেশী দেশ সার্বিয়ার মানুষরাও এ ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যেহেতু তাদের মধ্যে জাতিগত মিল ছিল। এই দেশগুলির লোকেরা নিজেদেরকে স্লাভ বলে। স্লাবরা তখন এমন অভিযোগ করে যে অস্ট্রো হাঙ্গেরি সাম্রাজ্য শুধু বসনিয়া আক্রমণ করেনি, আসলে তারা স্লাভদের আক্রমণ করছিল।
যুদ্ধের আগে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চুক্তি করে রেখেছিল যাতে এই বসনিয়া দখলের সময় রাশিয়া না বাধা দেয়। কিন্তু অনেক স্লাভিক মানুষ রাশিয়ায় বাস করত। যার ফলে তারা বসনিয়া আক্রমণের প্রতিবাদ করতে থাকে। তাই চুক্তি থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া সার্বিয়াকে সমর্থন করতে শুরু করে।
এর জন্য 1909, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য জার্মানির সাথে হাত মেলায়। তারা আসলে সার্বিয়া দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া যেহেতু সার্বিয়াকে সমর্থন করেছিল তাই অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য জার্মানির সমর্থন চায়। অন্যদিকে, রাশিয়া তখন ফ্রান্সকে সাহায্যের জন্য রিকোয়েস্ট করে।
কিন্তু এ বিষয়ে নাক গলাতে রাজি হয়নি।
যার জন্য একটা বড় যুদ্ধ শুরু হতে হতে থেমে যায়।

💥 কিন্তু তারপর আসে ফার্দিনান্দের সেই হত্যাকাণ্ড।
আসলে বসনিয়ানরা স্বাধীনতা চেয়েছিল। যেমন ভারতে স্বাধিনতার জন্য বিপ্লবী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তেমন ভাবেই সেখানেও এক নতুন বিপ্লবী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তারা এটিকে নাম দিয়েছিল ইয়ংবসনিয়া। এটি ছিল ছাত্রদের একটি বিপ্লবী দল। আর সার্বিয়ানরা তাদের সাহায্য করছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল একটি স্বাধীন দেশ গড়ার শুধু তাই নয় তারা সার্বিয়া, বসনিয়া মিলে একটি ইউনাইটেড সাউথ স্লাভিক জাতি গঠন করতে চেয়েছিল। যার নাম যুগোস্লাভিয়া।
১৯১৪ সালের ২৮শে জুন, অস্ট্রো-হাঙ্গেরির রাজপুত্র ফার্দিনান্দ, তার স্ত্রী সোফির সাথে বসনিয়ার এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছয়জন বসনিয়ান বিপ্লবী তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে।
সেদিনই সকাল ১০টার দিকে, ক্যাব্রিনোভিক নামের একজন বিপ্লবী, ফার্দিনান্দের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু বোমাটি গাড়ির পাশের রাস্তায় বিস্ফোরিত হয়। আহত হয় 20 জন। কিন্তু ফার্দিনান্দ বেচেঁ যান এবং অন্যান্য কর্মসূচি বাতিল করে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে, তাদের গাড়ি ভুল করে অন্য রাস্তায় ঢুকে পড়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন 19 বছর বয়সী স্কুল ছাত্র,গ্যাভরিলো প্রিন্সিপ, অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান যুবরাজ ফার্দিনান্দকে গুলি করে হত্যা করে।গাভরিলো প্রিন্সিপকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়।এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গ্যাভরিলোকে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু তার বয়স কুড়ি বছরের কম ছিল তাই আইন অনুযায়ী মৃত্যু দণ্ড দেয়া হয়নি ।শুনানির সময় তিনি এ কথা বলেন তিনি একজন যুগোস্লাভ জাতীয়তাবাদী ছিলেন।
এর পরে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সম্রাট এই যুবরাজ হত্যাকাণ্ডের জন্য রাগে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। রাশিয়া সার্বিয়াকে বাঁচাতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আর অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের বন্ধু জার্মানিও এই যুদ্ধে তখন যোগ দেয়। এবারে রাশিয়া ও সার্বিয়ার সাপোর্টে ফ্রান্সও যুদ্ধে নামে।
ইতালি অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি এবং জার্মানির সাথে জোটে ছিল।কিন্তু ইতালি চুক্তি প্রত্যাহার করে রাশিয়াকে সমর্থন করে। চুক্তি না মানার যুক্তি হিসেবে তারা বলে চুক্তিতে বলা ছিল, তাদের দেশে হামলার ঘটনা ঘটলে অন্যরা তাদের সাহায্য করবে। কিন্তু অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি এবং জার্মানি আগে সার্বিয়া আক্রমণ করেছিল ।তাই ইতালি সাহায্য করতে বাধ্য নয়। তাই তারা রাশিয়াকে সমর্থন করে।
কিন্তু রাশিয়ার সাথে অটোমান সাম্রাজ্যের শত্রুতা ছিল বলে, অটোমান সাম্রাজ্য অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সাপোর্ট করে। ব্রিটেন ও এতে যুক্ত হয়ে পড়ে । কারণ রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মধ্যে ট্রিপল এন্টেন্ট নামে একটি জোট চুক্তি ছিল।
ঠিক এভাবেই সারা বিশ্বে এত বড় যুদ্ধ শুরু হয়। যা আরো বড় হয় আমেরিকা ও জাপানের মতো দেশগুলো ব্রিটেনের সমর্থনে এই যুদ্ধে যোগদান করায়। এবং যে দেশগুলি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল, যেমন আমাদের দেশ ভারত, এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।অনেক ভারতীয় ব্রিটেনের পক্ষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিল।

কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন সেই সময় প্রায় সৈন্যরা যুদ্ধে রাজি ছিল না। তারা প্রায়ই বিরোধ করেছিলো। যেমন 1914 সালের ক্রিসমাস যুদ্ধবিগ্রহ ছিল সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।
1914 সালে যখন যুদ্ধ চলছিল, তখন প্রথম বড়দিনে
ব্রিটিশ এবং জার্মান সৈন্যরা একত্রিত হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে বড়দিন উদযাপন করতে।এমনকি তারা খাবার বিনিময় ও করেছিল। যেনো কোনো পুরনো বন্ধু। কিন্তু তারপর তাদের কমান্ডাররা তাদের উদযাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলেন।

🔰যাই হোক কারণ তো জানা হলো এবারে আসা যাক ভিডিওর শুরুতে আমি যে পায়রার কথা বলেছিলাম সেটাতে।
চের আমি যার অর্থ হলো প্রিয় বন্ধু।
১৯১৮ সালের যুদ্ধে Argonne Forest এ সেই হারিয়ে যাওয়া 77th ডিভিশন ব্যাটেলিয়ন যার কথা আমি শুরুতেই বলেছিলাম , তার লিডার মেজর চার্লস হুইটলসি তখন পায়রাদের মাধ্যমে বেশ কিছু বার্তা পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু আগের সব পায়রাই শত্রুপক্ষের গুলিতে মারা যায়। তখন চের আমিই ছিল তাদের শেষ ভরসা। 4 অক্টোবর, 1918-এ, আগের একটি মিশনে আহত হওয়া সত্ত্বেও তাকে একটি বার্তা বহন করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। তার বার্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল: চিঠিতে লেখা ছিল "আমরা 276.4 এর সমান্তরাল রাস্তা ধরে রয়েছি। আমাদের নিজস্ব আর্টিলারি সরাসরি আমাদের উপর একটি ব্যারেজ নিক্ষেপ করছে। স্বর্গের জন্য, এটি বন্ধ করুন।"
চের অমি তার আঘাত সত্ত্বেও যাত্রা শুরু করেছিল এবং বার্তা দেওয়ার জন্য ভারী আগুন এবং বিষাক্ত গ্যাসের মধ্য দিয়ে উড়ে চলছিল। যাওয়ার সময় চের আমি পায়রা আহত হয়, একটি চোখ হারায় এবং একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তার আঘাত সত্ত্বেও, চের অমি পৌঁছাতে এবং বার্তা দিতে সক্ষম হয়। আধ ঘণ্টারও কম সময়ে সে ২৫ মাইল পথ পার করে। তার সাহসিকতা এবং সংকল্পের জন্য হারানো সেই ব্যাটালিয়নের ১৯৪ জন সৈন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ পেয়েছিল , তাদের উপরে যে বম্ব নিক্ষেপ করা হচ্ছিল তা বন্ধ হয়, এবং অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চের অমি একজন নায়ক এবং সাহসিকতা এবং সংকল্পের প্রতীক হয়ে ওঠে এবং ফ্রেঞ্চ ক্রোয়েক্স ডি গুয়েরে ভূষিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, চের অ্যামির আঘাতগুলি খুব গুরুতর ছিল , সে তার একটি চোখ আর একটি পা হারিয়েছিল। এবং যুদ্ধ শেষের কিছুদিন পরে ১৮১৯ সালের জুন মাসের 13 তারিখ মারা যায়। তার নামে ২০০৮ সালে একটি সিনেমা ও বার হয়। আপনারা এটি দেখতে পারেন।

এটি আপনি ভিডিওর মাধ্যমে আরো সহজে বুঝতে আমাদের চ্যানেলের এই ভিডিওটি পুরো দেখুন।
https://youtu.be/nrwyxUVlSGY?si=782zExFXDtzfLikq

এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট নিয়মিত দেখতে আমাদের পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

#ইতিহাস #বিশ্বযুদ্ধ #শিক্ষা

23/09/2023

📌জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা অনুসারে প্রতি 100 জন মহিলার পিছু পুরুষের সংখ্যা:-

🇶🇦 কাতার: ২৬৬
🇦🇪 UAE: 228
🇧🇭 বাহরাইন: ১৬৪
🇴🇲 ওমান: 157
🇰🇼 কুয়েত: 156
🇸🇦 সৌদি আরব: 137
🇬🇱 গ্রীনল্যান্ড: 111
🇮🇳 ভারত: 107
🇮🇸 আইসল্যান্ড: 105
🇨🇳 চীন: 104
🇧🇩 বাংলাদেশ : 103
🇳🇬 নাইজেরিয়া: 102
🇪🇬 মিশর: 102
🇧🇴 বলিভিয়া: 101
🇦🇺 অস্ট্রেলিয়া: 99
🇨🇦 কানাডা: 99
🇺🇸 US: 98
🇺🇬 উগান্ডা: 98
🇧🇷 ব্রাজিল: 97
🇯🇵 জাপান: 95
🇵🇱 পোল্যান্ড: 94
🇰🇿 কাজাখস্তান: 93
🇵🇹 পর্তুগাল: 89
🇿🇼 জিম্বাবুয়ে: ৮৯
🇷🇺 রাশিয়া: 87
🇦🇲 আর্মেনিয়া: 82

এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

01/08/2023

🇮🇳

23/07/2023

🚆 ভারতে রেলওয়ে অ্যাকসি*ন্ট :-

2000-01: 473
2001-02: 415
2002-03: 351
2003-04: 325
2004-05: 234
2005-06: 234
2006-07: 195
2007-08: 194
2008-09: 177
2009-10: 165
2010-11: 141
2011-12: 131
2012-13: 122
2013-14: 118
2014-15: 135
2015-16: 107
2016-17: 104
2017-18: 73
2018-19: 59
2019-20: 55
2020-21: 22
2021-22: 35
2022-23: 48

এরকম তথ্যমূলক পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

18/07/2023

"আপনার চোখে এমন কিছু আছে যা শুধু অ্যাকশনে নষ্ট করা যায় না"
- 90-এর দশকে শাহরুখ খান কে আদিত্য চোপড়া বলেছিলেন।

#শাহরুখ

09/07/2023

📌 হত্যার হার (প্রতি 100,000 জনের মধ্যে):

🇲🇨 মোনাকো - ০
🇧🇭 বাহরাইন - ০.১
🇸🇬 সিঙ্গাপুর - 0.2
🇱🇺 লুক্সেমবার্গ - 0.2
🇯🇵 জাপান - 0.3
🇸🇳 সেনেগাল - 0.3
🇴🇲 ওমান - 0.3
🇭🇰 হংকং - 0.3
🇶🇦 কাতার - ০.৪
🇮🇩 ইন্দোনেশিয়া - 0.4
🇸🇮 স্লোভেনিয়া - 0.5
🇧🇳 ব্রুনাই - 0.5
🇨🇳 চীন - 0.5
🇮🇹 ইতালি - 0.5
🇨🇭 সুইজারল্যান্ড - 0.5
🇳🇴 নরওয়ে - 0.6
🇳🇱 নেদারল্যান্ডস - 0.6
🇲🇻 মালদ্বীপ - ০.৬
🇰🇷 দক্ষিণ কোরিয়া - 0.6
🇪🇸 স্পেন - 0.6
🇵🇱 পোল্যান্ড - 0.7
🇦🇹 অস্ট্রিয়া - 0.7
🇦🇪 UAE - 0.7
🇮🇪 আয়ারল্যান্ড - 0.7
🇩🇪 জার্মানি - ০.৮
🇬🇷 গ্রীস - 0.8
🇭🇺 হাঙ্গেরি - ০.৮
🇸🇦 সৌদি আরব - 0.8
🇹🇼 তাইওয়ান - ০.৮
🇦🇺 অস্ট্রেলিয়া - ০.৯
🇵🇹 পর্তুগাল - ০.৯
🇸🇾 সিরিয়া - ০.৯
🇭🇷 ক্রোয়েশিয়া - 1.0
🇩🇰 ডেনমার্ক - 1.0
🇸🇪 সুইডেন - 1.1
🇧🇯 বেনিন - 1.1
🇬🇧 যুক্তরাজ্য - 1.1
🇺🇿 উজবেকিস্তান - 1.2
🇸🇰 স্লোভাকিয়া - 1.2
🇧🇦 বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা - 1.3
🇫🇷 ফ্রান্স - 1.3
🇫🇮 ফিনল্যান্ড - 1.6
🇧🇪 বেলজিয়াম - 1.7
🇨🇦 কানাডা - 2.1
🇮🇷 ইরান - 2.2
🇧🇩 বাংলাদেশ - 2.4
🇹🇷 তুরস্ক - 2.5
🇳🇿 নিউজিল্যান্ড - 2.6
🇪🇬 মিশর - 2.6
🇮🇳 ভারত - 3.0
🇵🇰 পাকিস্তান - 3.8
🇨🇱 চিলি - 4.8
🇦🇷 আর্জেন্টিনা - 5.3
🇦🇫 আফগানিস্তান - 6.7
🇷🇺 রাশিয়া - 6.8
🇺🇸 USA - 6.8
🇮🇶 ইরাক - 10.1
🇧🇸 বাহামা - 18.6
🇳🇬 নাইজেরিয়া - 22
🇧🇷 ব্রাজিল - 22.5
🇨🇴 কলম্বিয়া - 22.6
🇿🇦 দক্ষিণ আফ্রিকা - 33.5
🇻🇪 ভেনিজুয়েলা - 36.7
🇯🇲 জ্যামাইকা - 44.7

ফলো করুন IndiaVerse

#বাংলা

09/07/2023

Ready ?






05/07/2023

📌বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের জন্য প্রতি মাসে যত টাকা খরচ হয় (আনলিমিটেড ডাটা, ওয়াইফাই - হিসাব ডলারে। 1 ডলার= ভারতীয় রুপিতে 82 টাকা):

1. ইউক্রেন 🇺🇦: $5.42
2. রাশিয়া 🇷🇺: $6.08
3. তুরস্ক 🇹🇷: $7.97
4. ভারত 🇮🇳: $8.54
5. রোমানিয়া 🇷🇴: $8.83
6. ভিয়েতনাম 🇻🇳: $10.73
7. মিশর 🇪🇬: $11.22
8. শ্রীলঙ্কা 🇱🇰: $12.04
9. কাজাখস্তান 🇰🇿: $12.28
10. বুলগেরিয়া 🇧🇬: $12.64
.
12. চীন 🇨🇳: $12.85
14. ইরান 🇮🇷: $13.19
19. পাকিস্তান 🇵🇰: $15.88
28. আর্জেন্টিনা 🇦🇷: $19.96
29. বাংলাদেশ 🇧🇩: $20.25
30. ব্রাজিল 🇧🇷: $21.32
31. দক্ষিণ কোরিয়া 🇰🇷: $21.87
49. ইন্দোনেশিয়া 🇮🇩: $২৯.৪২
51. মেক্সিকো 🇲🇽: $30.26
52. ইতালি 🇮🇹: $30.32
54. ফ্রান্স 🇫🇷: $32.16
57. জাপান 🇯🇵: $33.12
68. স্পেন 🇪🇸: $36.94
72. ইউকে 🇬🇧: $38.38
73. ভেনিজুয়েলা 🇻🇪: $39.25
75. দক্ষিণ আফ্রিকা 🇿🇦: $43.42
81. জার্মানি 🇩🇪: $47.46
85. নরওয়ে 🇳🇴: $50.88
90. অস্ট্রেলিয়া 🇦🇺: $57.58
93. কানাডা 🇨🇦: $64.55
95. USA 🇺🇸: $70.25
99. UAE 🇦🇪: $100.00

ফলো করুন IndiaVerse

04/07/2023

📌দুর্ঘটনার কবলে শাহরুখ খান 💔

শাহরুখ খান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লস এঞ্জেলসে একটি দুর্ঘটনার স্বীকার হন যার ফলে নাক দিয়ে প্রচুর র*ক্তপাত হয়।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয় এবং সম্ভবত অপারেশন ও করতে হয়েছে ।

তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন কিং 👑

#শাহরুখ

🇮🇳🔵💙
04/07/2023

🇮🇳🔵💙

🔵 Congratulations INDIA 🇮🇳
প্রথমে (1-1) ড্র তারপরে পেনাল্টি শুট আউটে (কুয়েত 4-5 ইন্ডিয়া) ভারত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জয়ী হয় ❤️

🇮🇳INDIA এটা নিয়ে নয় বারের
SAFF 𝐂𝐇𝐀𝐌𝐏𝐈𝐎𝐍𝐒 💙

🏆 1993
🏆 1997
🏆 1999
🏆 2005
🏆 2009
🏆 2011
🏆 2015
🏆 2021
🏆 𝟮𝟬𝟮𝟯

কি গর্ব হয় ??

💥
03/07/2023

💥

🗡️এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় এবং বিগেস্ট মুভিস্টার টম ক্রুজের আজ জন্ম দিন।
🔷 জন্ম: 3rd জুলাই , 1962 সাল। ( আমেরিকা)

ঠিক কতটা না জনপ্রিয় হলে জাপানে অক্টোবর মাসের 10 তারিখ Tom Cruise Day হিসাবে পালন করা হয়।
আসুন আজ তার প্রতিটা সিনেমা থেকে শুরু করে তার বিষয়ে কিছু তথ্য আমরা জেনে নিই।
__________________________________________

🔰 বিশ্বের একমাত্র অভিনেতা যিনি টানা ৩১ বছর লিড রোলে কোনো ফ্লপ দেননি।

🔰বিশ্বের ১০টি ১০ কোটি ফুটফলসের ফিল্ম দিয়েছেন (কমিক বুক ফিল্ম বাদ দিলে হয়তো এরকম রেকর্ড করা তিনিই একমাত্র অভিনেতা )।

🔰 30 টি ফিল্মের উপরে কাজ করেও তাঁর 90% + এর বেশি সাকসেস রেশিও রয়েছে। যা বিশ্বের আর কোনো অভিনেতার নেই।

🔰বিশ্বব্যাপী হলিউডের সবথেকে 4,5,6,7,8 কোটি ফুটফলস দেওয়ার রেকর্ড।

🔰 পৃথিবীর সবথেকে বেশি পর পর $100M আর $200M দেওয়ার রেকর্ড।

⏺️লিড রোলে তার সিনেমা :
❇️সিনেমা সংখ্যা - 38
🔵 ব্যবসাসফল - 35
⭐ হিট সংখ্যা - 31

📌তার সব সিনেমার নাম এবং সাল এবং বক্স অফিস ফলাফল :-

🔰 এন্ডেলস লাভ (1981) : হিট

🔰 ট্যাপস (1981) : হিট

🔰 Losin'It (1983) : ফ্লপ

🔰রিস্কি বিজনেস (1983) : ব্লকবাস্টার

🔰 অল দ্য রাইট মুভস (1983) — হিট

🔰 লেজেন্ড (1985) : ফ্লপ

🔰 টপ গান ( 1986): অল টাইম ব্লকবাস্টার

🔰 দ্য কালার অফ মানি (1986) — ব্লকবাস্টার

🔰 ককটেল(1988) ; ব্লকবাস্টার

🔰রেইন ম্যান (1988) : অল টাইম ব্লকবাস্টার

🔰Born On The 4th Of July (1989) : ব্লকবাস্টার

🔰 Days Of Thunder (1990) : হিট

🔰 Far & Away (1992) : হিট

🔰 এ ফিউ গুড মেন (1992) : ব্লকবাস্টার

🔰 দ্য ফার্ম (1993) : ব্লকবাস্টার

🔰 Interview With The Vampire (1994) : ব্লকবাস্টার

🔰Mission Impossible (1996) : ব্লকবাস্টার

🔰 Jerry Maguire (1996) : ব্লকবাস্টার

🔰Eyes Wide Shut (1999) : হিট

🔰 Mission Impossible II (2000) : ব্লকবাস্টার

🔰 ভ্যানিলা স্কাই (২০০১) :হিট

🔰Minority Report (২০০২) : হিট

🔰 The Last Samurai (২০০৩) : হিট

🔰Collateral (২০০৪) :হিট

🔰ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস (2005) : ব্লকবাস্টার

🔰Mission Impossible III (২০০৬) : হিট

🔰 Valkyrie (২০০৮) : হিট

🔰 Knight And Day (2010) ; অ্যাভারেজ

🔰 Mission Impossible: Ghost Protocol (2011) : সুপার হিট

🔰Jack Reacher (2012) : হিট

🔰 Oblivion (2013): অ্যাভব অ্যাভারেজ

🔰Edge Of Tomorrow (2014) : অ্যাভারেজ

🔰Mission Impossible: Rogue Nation (2015 ) : হিট

🔰Jack Reacher: Never Go Back (2016) : অ্যাভারেজ

🔰The Mummy (2017) : ফ্লপ

🔰 আমেরিকান মেড (2017) : হিট

🔰Mission Impossible: Fall Out (2018) : হিট

🔰Top Gun: Maverick (2022) : ব্লকবাস্টার

__________________________________________

এরকম তথ্যমূলক পোস্ট পেতে পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

03/07/2023

📌বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকা :
( বিলিয়ন ডলারের হিসাবে)

🇺🇸 এলন মাস্ক: $237.7B 🥇
🇫🇷 বার্নার্ড আর্নল্ট: $231.9 B🥈
🇺🇸 জেফ বেজোস: $153 B🥉
🇺🇸 ল্যারি এলিসন: $149 B🎖️
🇺🇸 বিল গেটস: $134B
🇺🇸 ওয়ারেন বাফেট: $114B
🇺🇸 স্টিভ বলমার: $104B
🇺🇸 ল্যারি পেজ: $102.2 B
🇺🇸 মার্ক জুকারবার্গ: $101.8B
🇲🇽 কার্লোস স্লিম: $101.4B

এরকম তথ্যমূলক পোস্ট পেতে পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

🙂
03/07/2023

🙂

( পুরোটা পড়বেন ❤️)
📌একটি মডার্ন ক্রুজ শিপ , ওয়ান্ডার অফ দ্য সিসের সাথে টাইটানিকের তুলনা করলে যেমন দৃশ্য দেখা যাবে৷

📊আসুন আমরাও একটু তুলনা করে দেখি -

🔰 টোটাল কনস্ট্রাকশন খরচের পরিমাণ :

🔴 উইকিপিডিয়ার মতে, বহু বছর আগের তৈরি টাইটানিক প্রায় £1.5 মিলিয়ন ( পাউন্ড) দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ভারতীয় রুপিতে এই পরিমাণ বেড়ে হবে 15,64,73,753 টাকা। আর এটা 1912 সালে তৈরি করা হয়েছিল , তো ইনফ্লেশনের জন্য বর্তমান সময়ে এর মূল্য £150 মিলিয়ন পাউন্ড, যা ভারতীয় রুপিতে 15,64,73,75,340 টাকা।

🔵 অন্যদিকে, ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস তৈরী করতে ব্যয় করা হয়েছে $1.35 বিলিয়ন ( ডলার)। ভারতীয় রুপিতে মাত্র 1,10,83,02,75,000 টাকা।

🔰 সাইজ :

🔴 টাইটানিকের দৈর্ঘ্য : 882 ফুট 9 ইঞ্চি (269.1 মি)
উচ্চতা : 175 ft (53.3 m)
Decks : 9 (A–G)

🔵 ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস
দৈর্ঘ্য : 362.04 মি (1,187 ফুট 10 ইঞ্চি)
Decks : 18
ছবিটি থেকে তো বুঝতেই পারছেন ঠিক কতটা বড়।

🔰 ওজন :

🔴উইকিপিডিয়া অনুসারে, টাইটানিকের , ওজন ছিল 46,329 টন।
🔵 অন্যদিকে ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস 236,857 টন ওজনের।
এই ওজনের পার্থক্য দেখায় যে ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস টাইটানিকের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ওজনের।

🔰 যাত্রী বহনের ক্ষমতা :
🔴 টাইটানিকের যাত্রী বহন করার ক্ষমতা ছিল
প্যাসেঞ্জার 2,453 জন
Crew: 874. জন
Total: 3,327 জন
(3,547 অন্যান্য sources এর মতে)

🔵 ওয়ান্ডার অফ দা সিস
প্যাসেঞ্জার : 5,734 জন
( 6,988 সর্বোচ্চ )
Crew : 2,369 জন
টোটাল সর্বোচ্চ 9000 এর ও বেশি।

❇️1912 এর সময় সুইমিং পুল অতটাও কমন ছিলনা, কিন্তু এখন কার সময় এটা কমন।
টাইটানিক জাহাজে মাত্র 1 টি সুইমিং পুল ছিল, আর ওয়ান্ডার অফ দ্য সিসে 4 টি সুইমিং পুল আছে।
এছাড়াও ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস এ 25টি ডাইনিং রুম, বেশ কয়েকটি বার, একটি আইস-স্কেটিং রিঙ্ক, একটি জিমনেসিয়াম, একটি বাস্কেটবল কোর্ট এবং একটি সমুদ্র স্পা রয়েছে।

যদিও ওয়ান্ডার অফ দ্য সিস-এর মতো লোভনীয় নয়, তবুও টাইটানিকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবা যেমন সুইমিং পুল, ধূমপান কক্ষ, অত্যাধুনিক জিমনেসিয়াম, বিলিয়ার্ড, স্কোয়াশ কোর্ট ও ছিল।

-----------------------------------------------------------------------
এরকম তথ্যমূলক পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন IndiaVerse

02/07/2023

😐🔥

🇮🇳
01/07/2023

🇮🇳

📌WOW India 🇮🇳 - ফাইনালে ভারত 🔥

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ 2023 এ পেনাল্টি শুটআউটে লেবাননকে 4-2 ( খেলার সময় গোল = 0-0) গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছালো ভারত।

ফলো করুন IndiaVerse

01/07/2023

Address

Canning
Canning Town
743329

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IndiaVerse - posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share