আপনি কি জানেন?

আপনি কি জানেন? বিভিন্ন আশ্চর্যজনক তথ্য, সাধারণ জ্ঞান, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ও আরও অন্যান্য অজানা তথ্য জানার জন্য আমাদের পেজটি ফলো করুন।

অভিনব এক বাণীবন্দনা ......‌🏵️সেদিনও ছিলো সরস্বতী পুজো, সকালবেলা এক সৌম্যদর্শন যুবক আপনমনে গঙ্গার ঘাটের শোভা দেখছিলেন। বে...
03/02/2025

অভিনব এক বাণীবন্দনা ......‌🏵️
সেদিনও ছিলো সরস্বতী পুজো, সকালবেলা এক সৌম্যদর্শন যুবক আপনমনে গঙ্গার ঘাটের শোভা দেখছিলেন। বেলা একটু চড়তে উনি যখন ফেরার কথা ভাবছেন তখনই এক বৃদ্ধা এগিয়ে এলেন তার দিকে সঙ্গে একটা দশ-বারো বছরের মেয়ে।

বৃদ্ধা উদ্ভ্রান্তের মতো তার কাছে এসে বললেন, "আমার বাড়ির সরস্বতী পূজাটা একটু করে দাও না বাবা। সকাল থেকে পুরুত ঠাকুরের অপেক্ষা করছি, এখনও তো তিনি এলেন না। এতো বেলায় এখন পুরুত কোথায় পাই ? নাতনিটা সেই সকাল থেকে অঞ্জলি দেবে বলে না খেয়ে বসে আছে।"
মেয়েটার শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ এই বয়স্ক বৃদ্ধা তাকে ব্রাহ্মণ ভাবলেন কেন এসব জিজ্ঞাসা না করেই যুবক সঙ্গে যেতে রাজি হয়ে গেলেন।

সেখানে গিয়ে নিখুঁত সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ করে শাস্ত্র মতে সরস্বতী পুজো করলেন, উদাত্ত কন্ঠে করলেন বাণীবন্দনা ।পুজোর আচার পদ্ধতি আর পুরুতঠাকুরের ভক্তি দেখে বাড়ির সবাই খুব খুশি, তারা ভাবতেই পারেনি পুজো করার জন্য এরকম একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণকে পেয়ে যাবে !
যুবকটিও পুজো সমাপন করে দক্ষিণা আর প্রসাদ নিয়ে হাসিমুখে বাড়ির পথ ধরলেন......

বাড়ি ফিরে এ কাহিনী স্ত্রীকে বলতে তিনি তো আঁতকে উঠলেন ! করেছো কি, মুসলমানের ছেলে হয়ে সরস্বতী পুজো করলে ?
যুবকটি শান্ত গলায় বললেন , "জানিনা মাতা সরস্বতী এই বিধর্মী‌র পুজোতে অসন্তুষ্ট হলেন কিনা, তবে আশা করি ওই উপোসী বাচ্চাটির শুকনো মুখের হাসি দেখে অন্তত এই অধমকে তিনি ক্ষমা করে দেবেন !"

বুঝতে পারলেন নাতো কার কথা বললাম এতক্ষণ? বাংলা সাহিত্যেকে অজস্র রম্য রচনা উপহার দিয়ে সম্বৃদ্ধ করে তুলেছিলেন যিনি সেই এক ও অদ্বিতীয় সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেব ।
তাঁকে নিয়ে এই লেখাটা কোথায় পড়েছিলাম আজ আর মনে নেই, কিন্ত যখনই এদেশে মন্দির মসজিদ, গরু শুয়োর, কীর্তন আজান নিয়ে দাঙ্গা লাগে ঘরবাড়ি পোড়ে তখনই বড় বেশি করে মনে পড়ে যায় আদ্যোপান্ত বাঙালী এই মুসাফিরের কথা ‌। ‌🌹🌹
‌🌲 সংকলনে ✍🏻 স্বপন সেন 🌲
তথ্যসৌজন্য : সুফী ফারুক ।

🙂👍
03/02/2025

🙂👍

Winter left like your relationship. No warnings, just a sudden cold exit.
02/02/2025

Winter left like your relationship. No warnings, just a sudden cold exit.

"কবি কবি চেহারা কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ,,মুছে যাবে অমলের নামটা,একটা কবিতা তার হলনা কোথাও ছাপা ,,পেলোনা সে প্রতিভার দামটা।" ❤...
02/02/2025

"কবি কবি চেহারা কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ,,
মুছে যাবে অমলের নামটা,
একটা কবিতা তার হলনা কোথাও ছাপা ,,
পেলোনা সে প্রতিভার দামটা।" ❤️😔

🔎স্নেক প্ল্যান্টসবুজ সাপের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ গুলোকে 'শাশুড়ীর জিব্বাহ' নামেও ডাকা হয়। একটি গবেষণায় জানা যায়, এটি বি...
02/02/2025

🔎স্নেক প্ল্যান্ট

সবুজ সাপের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ গুলোকে 'শাশুড়ীর জিব্বাহ' নামেও ডাকা হয়। একটি গবেষণায় জানা যায়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছ গুলোর মধ্যে একটি। এর প্রধান কারণ এটি দিনের পাশাপাশি রাতেও অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। একই সাথে এই উদ্ভিদ গুলো বায়ুমন্ডলের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিন এবং টলিউইন সহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ও ধূলিকণা শোষণ করতে পারে। এছাড়াও অসম্ভব সুন্দর দেখতে এই উদ্ভিদ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজেও ব্যবহার করা হয়।

সূত্রঃ Wikipedia

রান্না করতে ভালবাসতেন | প্রায়ই মাংস রাঁধতেন | রাঁধতে রাঁধতেই সুর ভাজতেন। সুর মাথায় এলে ঢ়ুকে পড়তেন বাথরুমে। তারপর বাথরু...
01/02/2025

রান্না করতে ভালবাসতেন | প্রায়ই মাংস রাঁধতেন | রাঁধতে রাঁধতেই সুর ভাজতেন। সুর মাথায় এলে ঢ়ুকে পড়তেন বাথরুমে। তারপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে বসে পড়তেন পিয়ানোর সামনে | সুরটা এসে গিয়েছে মনে | তৈরী হত কালজয়ী বিভিন্ন সৃষ্টি |
মুম্বাই | পেডার রোডে। সাজানো ফ্ল্যাট। সে-ফ্ল্যাটেই সক্কালবেলা এসে হাজির কিশোরকুমার। ডেকে পাঠিয়েছিলেন গৃহকর্তা | ‘অন্নদাতা’ ছবির গান বেঁধেছেন। শোনাবেন বলে।
মুখ গম্ভীর করে গৃহকর্তার পাশেই সোফায় বসলেন কিশোরদা । খুব মন দিয়ে সুর শুনতেন উনি।
সোফায় বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শোনাচ্ছেন, ‘গুজর গয়ে দিন দিন দিন কি/ হর পল গিন গিন গিন/ কিসিকি হায় ইয়াদোঁ মে’।
শেষ লাইনটি শুনেই ধপাস করে মাটিতে বসে পড়লেন কিশোরদা।।
‘‘কী হল, কী হল?’’ আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেন গৃহকর্তা। তখনও মাটিতে বসে কিশোরদা। মুখ নিচু। মাথা তুলে হাত জোড় করে বললেন, ‘‘আমাকে মাফ করুন দাদা, আপনার সমান উচ্চতায় বসে আমি এ গান শিখতে পারব না। কী সুর করেছেন!’’
এর পর বাকি সময়টা মাটিতে বসেই গান শিখেছিলেন কিশোরদা!
তাঁর মৃত্যুর পর নৌশাদসাব বলেছিলেন ‘‘ফ্রম আওয়ার সেভেন নোটস, ওয়ান ইজ নো মোর।’’
চিনতে পারলেন এই কিংবদন্তিকে ?
তিনি সলিল চৌধুরী |

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা - সলিল চৌধুরীর স্ত্রী-র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখা
কৃতজ্ঞতা Ahonish

চিলির ইস্টার আইল্যান্ড ::--পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমন কিছু নিদর্শন রয়েছে যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। চিল...
01/02/2025

চিলির ইস্টার আইল্যান্ড ::--

পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমন কিছু নিদর্শন রয়েছে যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। চিলির অন্তর্গত ইস্টার দ্বীপের প্রাগৈতিহাসিক এইসব মূর্তিগুলি এক বিস্ময়। আসুন জেনে নিই প্রাগৈতিহাসিক এই মূর্তিগুলির সম্পর্কে কিছু তথ্য

প্রাচীনকালে এই দ্বীপের নাম ছিল রাপা নুই। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি চিলির অন্তর্গত। ইস্টার আইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিমানের ওপরই নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে এটি চিলির একটি বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র। পৃথিবীর বিভিন্ন পান প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আছেন চিলির ইস্টার দ্বীপের এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্য

এই দ্বীপে আসলে আপনি দেখতে পাবেন অনেকগুলি পাথরের মূর্তি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পাথরের মূর্তিগুলি পৃথিবীজুড়ে মোয়াই নামে পরিচিত। মূর্তিগুলি অদ্ভুত প্রকৃতির। মূর্তিগুলির মুখমন্ডল সারা ইস্টার দ্বীপে ইতিউতি ছড়ানো রয়েছে। এগুলোর মুখমন্ডল লম্বা। এছাড়াও এর নাকগুলি লম্বা ধরনের, ঠোঁটগুলো বেশ চওড়া। কানগুলি সরু লম্বাটে প্রকৃতির

২০১২ সালে খনন কার্য চালিয়ে মাটির নীচে দেহের বাকি অংশ খুঁজে পাওয়া যায়। পর্যটকরা অবাক হন এই দ্বীপের এতগুলি মূর্তি নিয়ে। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন মূর্তির মাথা সাথে সাথে মাটির নীচে দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

কিভাবে এই মূর্তিগুলি তৈরি করা হয়েছে বা কারা এই মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা আজও রয়ে গেছে। হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে এই মূর্তিগুলোর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারা যাবে।

বঙ্গভঙ্গের সময়ে স্বদেশি আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা | এই সময়ে কলকাতায় অক্ষয়কুমার সরকারের মেসে এসেছেন তিনি | তাঁকে দেখেই মেসের...
31/01/2025

বঙ্গভঙ্গের সময়ে স্বদেশি আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা | এই সময়ে কলকাতায় অক্ষয়কুমার সরকারের মেসে এসেছেন তিনি | তাঁকে দেখেই মেসের ছেলেরা ধরে বসল, একটা গান লিখে দিতে হবে | কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি বসে পড়লেন কাগজ কলম নিয়ে | লিখে ফেললেন প্রথম কয়েকটা লাইন | তারপরে ছেলেদের বললেন,চল জল’দার ওখানে যাই | ওখানে ‘আদ্ধেক’ গান কম্পোজ় হতে হতে বাকিটা লেখা হয়ে যাবে | জল’দা মানে জলধর সেন, ‘ওখানে’ মানে ‘বসুমতী’র দফতরে | সকলে মিলে গেলেন সেখানে | জলধর সেন বললেন, এ তো মাত্র কয়েকটা লাইন, বাকিটা কই ? তিনি বললেন কম্পোজ করতে দিন, হয়ে যাবে বাকিটা | সত্যিই তাই | কম্পোজ করতে করতেই পুরো গানটা লিখে ফেললেন উনি | তার পর গানের সুর হল | কাগজে ছাপা গান নিয়ে চলে গেল মেসের ছেলেরা |

সন্ধেয় জলধর সেন বিডন স্ট্রিটের এক বাড়ির দোতলার বারান্দায় বসে আছেন। হঠাৎ শুনলেন, দূর থেকে এক দল ছেলে গান গাইতে গাইতে আসছে | অবাক হয়ে গেলেন জলধর সেন | কয়েক ঘণ্টা আগে বসুমতীর প্রেসে ছাপা হয়েছে সেই গান আর ইতিমধ্যেই সেই গান লোকের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে | শুনে রোমাঞ্চ হয়েছিল তার |

বুঝতে পারলেন কোন গান ? আর কে সেই গীতিকার ?
গানটি ছিল ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই’ | গানটির গীতিকার ছিলেন রজনীকান্ত সেন | রজনীকান্ত সেন ‘কান্তকবি’ নামেই বিশিষ্টতা অর্জন করেছিলেন। সুদীর্ঘকাল ধরে তাঁর গান বাঙালি মননে এক হর্ষ-বিষাদের স্থান অধিকার করে রেখেছে | শুধু স্বদেশি গান লিখে কিংবা গেয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। প্রয়োজনে ছুটে গিয়েছিলেন গ্রামে গঞ্জে। সেখানে সাধারণ মানুষকে স্বদেশি অন্দোলনের তৎপর্য বুঝিয়েছিলেন।

জীবনের মধ্য ভাগেই তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন গলার ক্যানসারে। চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসে ভর্তি হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। সামনে খাবার, খেতে পারেন না। অসম্ভব পিপাসা, কিন্তু জল দিলে সব পড়ে যায় বুক বেয়ে। মুখ দিয়ে কখনও বেরিয়ে আসে দুর্গন্ধময় পুঁজ-রক্ত। রাতের পর রাত ঘুম হয় না। তাই কাগজ টেনে রজনীকান্ত সেন লিখে যান একের পর এক লেখা— গান। কবিতা। হাসপাতালে বসেই লিখেছিলেন 'সেখানে সে দয়াল আমার বসে আছে সিংহাসনে’ বা ‘ওগো, মা আমার আনন্দময়ী, পিতা চিদানন্দময়’। অন্তরে কোন সাধন থাকলে এমন লেখা যায় ? রোগশয্যায় তাঁর পাশে বসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর অন্য পরিচয় খুঁজে পেয়েছিলেন। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ১৯১০-এর ১৩ সেপ্টেম্বর রজনীকান্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।

কান্তকবি রজনীকান্ত সেনকে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য |

© অহর্নিশ - Ahornish

তথ্য : জাগাও কবিকে, ও সে ঘুমে অচেতন (আনন্দবাজার পত্রিকা), বিভূতিসুন্দর ভট্টাচার্য (আনন্দবাজার পত্রিকা)

"কলোরাডোর মুন্ডুহীন জীবন্ত মুরগী"- ১৯৪৫ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর, কলোরাডোর বাসিন্দা লয়েড ওলসেনের হঠাত ইচ্ছে হয়েছিল চিকেন খাও...
31/01/2025

"কলোরাডোর মুন্ডুহীন জীবন্ত মুরগী"

- ১৯৪৫ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর, কলোরাডোর বাসিন্দা লয়েড ওলসেনের হঠাত ইচ্ছে হয়েছিল চিকেন খাওয়ার। তাই সে তার পোষা এক মুরগীকে কেটে খাবে বলে নিজের ছোট কুড়াল দিয়ে মুরগির মাথায় জোরে আঘাত করে। মুরগিটার মুন্ডু কেটে নীচে পড়ে যায়। কিন্তু তারপরই ঘটে এক বিস্ময়কর কান্ড। ওলসেন অবাক হয়ে দেখে সেই রক্তাক্ত মুরগিটা তখনও মরেনি, বরং কোন রকমে ব্যালেন্স করে দাঁড়াচ্ছে, আর কিছুক্ষন পর দিব্বি চলে ফিরে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনা দেখে ওলসেন এত্ত তাজ্জব হয় যে সে সিদ্ধান্ত নেয় মুরগিটা খাবে না আর, বরং এই মুন্ডুকাটা মুরগিটা পুষবে সে। মুরগিটার নাম সে দেয় "মাইক"।

ওলসেন মাইকের ভালই যত্ন নিত। রোজ সে একটা ড্রপার দিয়ে দুধ আর জল, আর অল্প করে ছোট গমের দানা মাইকের কাটা গলার ভিতরের শিরার মধ্যে ঢালত। এভাবে অনেক মাস কেটে গেল, মাইক তার মুন্ডু ছাড়াই দিব্বি সুস্থ এখন।

এরপরে মাইকের অদ্ভুত সারভাইভাল স্টোরি বিখ্যাত হয়ে যায়। মাইক নানা অনুষ্ঠানে সুযোগ পায়, যেখানে তার মুন্ডুহীন সচল জীবন্ত দেহ দেখার জন্যে লোকে টিকিট কেটে আসতো। এমনকি বিভিন্ন বিখ্যাত ম্যাগাজিন ও সংবাদপত্রে যেমন টাইমস, লাইফ এসব জায়গায়ও মাইকের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। মাইকের মালিক লয়েড ওলসেন যে নিজেই মাইকের মুন্ডু কেটেছিল সে রীতিমত বড়লোক হয়ে গেছিল মাইককে নিয়ে নানা প্রদর্শনী করিয়ে। বলা হয়, প্রতিটি প্রদর্শনীতে মাইকের চার্জ ছিল প্রায় ২৫ সেন্ট। লয়েড শুধু মাইকের জন্যেই প্রতি মাসে প্রায় ৫০০০ ডলার কামাতো। আর জীবন্ত মাইকের দাম উঠেছিল প্রায় ১০০০০ ডলার। যা এখন প্রায় ১,১৫০০০ ডলারের কাছাকাছি। ভাবা যায়!!!

বৈজ্ঞানিকরা মাইককে পরীক্ষা করে জানিয়েছিল যে কুড়ালের আঘাতে মাইকের মুন্ডু কাটা গেলেও তার JUGULAR VEINS বা গলার শ্বাসনলী কাটেনি, আর তার ব্রেইন স্টেমেরও ক্ষতি হয়নি সেভাবে, তাই স্বাভাবিক জীবনপ্রক্রিয়া যেমন নিঃশ্বাস নেওয়া, খাওয়া এগুলোতে অসুবিধে হয়নি, আর মুরগিদের শারীরবৃত্তীয় কাজ তার ব্রেন কন্ট্রোল করে সাধারনত। তাই হয়ত মাইকের বেঁচে থাকতে অসুবিধে হয় নি। এছাড়াও আরো নানান বায়োলজিকাল কারনও বলেছিল বৈজ্ঞানিকরা। সেগুলো নিয়ে আর আলোচনা করছিনা, কারন যে কারনেই হোক মুন্ডুহীন মাইক যথেষ্ট সুস্থ ভাবেই বেঁচে ছিল প্রায় দেড় বছর। অবশেষে প্রায় ১৮ মাস মুন্ডুহীন জীবন কাটানোর পর ১৯৪৭ সালের ১৭ই মার্চ, কলোরাডোর এক মোটেলে প্রদর্শনী চলা কালীন হঠাতই মাইকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এবং কিছু চিকিৎসা করার আগেই সে মারা যায়। এভাবেই শেষ হয় মাথা ছাড়াও বেঁচে থাকার এক বিস্ময়কর, অদ্ভুত সত্য ঘটনার।

©সুমন চৌধুরী

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর নিজ হাতে আঁকা চাঁদের বিভিন্ন দশার ছবি (১৬১০)।
30/01/2025

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর নিজ হাতে আঁকা চাঁদের বিভিন্ন দশার ছবি (১৬১০)।

29/01/2025
❝ সুভাষচন্দ্রের আইডিওলজির প্রধান উৎস ছিল অরবিন্দ ঘোষের চিন্তাধারা, গান্ধীবাদ কিংবা মার্ক্সবাদী সোশ্যালিজম নয়। তাকে আমরা...
29/01/2025

❝ সুভাষচন্দ্রের আইডিওলজির প্রধান উৎস ছিল অরবিন্দ ঘোষের চিন্তাধারা, গান্ধীবাদ কিংবা মার্ক্সবাদী সোশ্যালিজম নয়। তাকে আমরা মেসিয়ানিক নেশনালিসম ( Messianic Nationalism ) আখ্যা দিতে পারি। তার মধ্যে মিশে আছে দয়ানন্দ - তিলকের আর্য ( তথা হিন্দু ) সভ্যতার গরিমাবোধ, বঙ্কিমচন্দ্রের দেশ মাতা ও দুর্গার সমীকরণ, বিবেকানন্দের অপরাজেয় পৌরুষের আহ্বান ও শিবজ্ঞানে জীব সেবার নির্দেশ এবং অরবিন্দের নিষ্ক্রিয় এবং প্রয়োজনে সক্রিয় ( অর্থাৎ সহিংস ) সংগ্রামের ডাক। গান্ধীর অনুগত থাকার, তাঁর সঙ্গে আপোস করে চলার মত লোক নন তিনি। স্বাধীনতার জন্য যে কোনও উপায় শ্রেয় ; যে কোনও শক্তির বন্ধুত্ব কাম্য। ❞

— ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠী

© নেতাজী

কুয়াসিমোডো সিনড্রোম (Quasimodo syndrome)কুয়াসিমোডো সিনড্রোম বা বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার এমন এক ব্যাধি যেটায় আক্রান্ত হলে ...
29/01/2025

কুয়াসিমোডো সিনড্রোম (Quasimodo syndrome)
কুয়াসিমোডো সিনড্রোম বা বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার এমন এক ব্যাধি যেটায় আক্রান্ত হলে রোগী নিজেই নিজের খুঁত বের করতে মরিয়া হয়ে পড়বে।
নিজের ছোটখাট শারীরিক ত্রুটিও আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিনিয়ত আয়নার সামনে দাঁড়াবে এবং বিভিন্ন দিক থেকে নিজের এমন এমন সব শারীরিক ত্রুটি খুঁজে বের করবে যেটা আসলে তার মধ্যে নেই।
ছবি তোলার ব্যাপারে তাদের মধ্যে ব্যাপক অনীহা দেখা দেয়। ক্যামেরার সামনে যেতে চায় না, ছবিতে তাদের ত্রুটি দেখা যাবে সেই ভয়ে। রোগী তার চেহারার অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া শুরু করে। নিজের চেহারা নিয়ে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতানির ফলে তার প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিবে।
তার মধ্যে আত্মমর্যাদার ঘাটতি দেখা যায় এবং লোকের সামনে যেতে সে অস্বস্তি বোধ করে। নিজের চেহারার কাল্পনিক ত্রুটির কারণে তার সামাজিক জীবন-যাপনও ব্যাহত হয়। কারো সামনে গেলেই তার মনে হবে, এই বুঝি সবাই তার ত্রুটি ধরে ফেলবে এবং তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।

চারুলতা সিনেমায় কিশোর কুমার কে দিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ানোর জন্য সমালোচিত হতে হয় বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায় কে...
29/01/2025

চারুলতা সিনেমায় কিশোর কুমার কে দিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ানোর জন্য সমালোচিত হতে হয় বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায় কে। দেশের নামকরা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী থাকতে কেন কিশোর কুমার কে গাওয়ানো হলো। কিন্তু আমাদের মানিক বাবু তো ওসব নিয়ে একবিন্দুও মাথা ঘামানোর লোক ছিলেন না। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে " আমি এমন একটা কন্ঠ চাইছিলাম যা কিনা ফ্রেশ এবং যে কন্ঠ আগে সেই অর্থে কোনোদিন রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়নি।" এর আগে একমাত্র লুকোচুরি সিনেমায় মায়াবন বিহারিনী গেয়েছিলেন। কিশোর কুমার চারুলতা সিনেমায় রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন আর ঘরে বাইরে তে সম্পূর্ণ খালি গলায় গাইলেন বিধির বাঁধন আর তারপরেই সত্যজিৎ রায় কে এক অসাধারণ প্রস্তাব দিলেন, বললেন " মানিক মামা আমি তোমার দুটো সিনেমায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলাম। খুব ভালো লাগলো। চলো আমরা দুজন মিলে একটা অ্যালবাম করি। অর্থাৎ তোমার পরিচালনায় তোমার বাছাই করা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কিছু গান আমি গাইবো।" সত্যজিৎ রায় ও ভীষণ উৎসাহি ছিলেন কাজটি করার জন্য। তারা ঠিক করলেন ১৯৮৪ সালে অ্যালবাম এর কাজ শুরু করবেন কিন্তু উভয়ের ব্যস্ততার কারণে আর হয়ে উঠছিল না।দিন পিছোতে থাকলো আর অবশেষে ১৯৮৭ সালে হঠাৎই কিশোর কুমার চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
এই অ্যালবামটি যদি হত , তাহলে এটাও সত্যজিৎ রায়ের অমর কীর্তির মধ্যে ধরা হত নিশ্চিত।

🙂
28/01/2025

🙂

রিচাট স্ট্রাকচার, মৌরিতানিয়া::--আফ্রিকা মহাদেশের মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত রিচাট স্ট্রাকচার যা সাহারার চোখ নামেও অধিক পরিচিত...
28/01/2025

রিচাট স্ট্রাকচার, মৌরিতানিয়া::--

আফ্রিকা মহাদেশের মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত রিচাট স্ট্রাকচার যা সাহারার চোখ নামেও অধিক পরিচিত। এটি সাহারা মরুভূমিতে প্রায় ত্রিশ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

এটি এমন একটি ভূপ্রাকৃতিক গঠন যা মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এটা হয়তো অগ্নুৎপাত এর ফলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে। এটা কেন পুরোপুরি বৃত্তাকার আর এর বলয়গুলো কেনইবা সমান দূরত্বের। যদি প্রাকৃতিক হতো তবে পুরোপুরি বৃত্তাকার হওয়ার কথা নয়।

একটি কথা- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়---(দাঁড়াও সুন্দর)একটি কথা বাকি রইলো, থেকেই যাবেমন ভোলালো ছদ্মবেশী মায়াআর একটু দূর গেলেই ছি...
28/01/2025

একটি কথা
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়---(দাঁড়াও সুন্দর)

একটি কথা বাকি রইলো, থেকেই যাবে
মন ভোলালো ছদ্মবেশী মায়া
আর একটু দূর গেলেই ছিল স্বর্গ নদী
দূরের মধ্যে দূরত্ব বোধ কে সরাবে।

ফিরে আসার আগেই পেল খুব পিপাসা
বালির নীচে বালিই ছিল, আর কিছু না
রৌদ্র যেন হিংসা, খায় সমস্তটা ছায়া
রাত্রি যেমন কাঁটা, জানে শব্দভেদী ভাষা

বালির নীচে বালিই ছিল, আর কিছু না
একটি কথা বাকি রইলো, থেকেই যাবে।

১৯০০ সালে তোলা ছবিতে কলকাতার একজন পুলিশ।
28/01/2025

১৯০০ সালে তোলা ছবিতে কলকাতার একজন পুলিশ।

Address

Calcutta

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আপনি কি জানেন? posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category