The Bengal Owl

The Bengal Owl উন্নয়নের বাণে ভাসি
গণতন্ত্র পরলো ফাঁ?

আজ  #রামনবমী তে ভগবান রামকে  #সূর্যতিলক দেওয়া হয়েছে। • সূর্য তিলক কি? • IIA বেঙ্গালুরু কীভাবে সম্পর্কিত? • এর পিছনে বি...
17/04/2024

আজ #রামনবমী তে ভগবান রামকে #সূর্যতিলক দেওয়া হয়েছে।

• সূর্য তিলক কি?
• IIA বেঙ্গালুরু কীভাবে সম্পর্কিত?
• এর পিছনে বিজ্ঞান কি?

১. সূর্য তিলক বা সূর্য অভিষেক = সূর্য পৃথিবীতে নেমে আসে ভগবান রামের কপালে কিচ্ছুক্ষণের জন্য সাজিয়ে তাকে উজ্জ্বল করে তুলতে। দেবতার কপালে সাবধানে সূর্যের রশ্মিকে উদ্দিষ্ট করার জন্য আলোকবিদ্যা ও মেকানিক্সের মিশ্রণ এর খেলা চলে।

২. ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স মন্দিরের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী গণনা করে এবং অপটিক্যাল সিস্টেম কে অপটিমাইজ করে। পুরো মন্দির সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ৪টি আয়না এবং ৪টি লেন্সের পরিকল্পনা করা হয়।

রাম লালার সূর্য তিলক এখন প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে। এই বছর দুপুর থেকে শুরু করে ৩ মিনিট ধরে সম্পন্ন করা হয়েছে এই পবিত্র সূর্যাভিষেক। ভিডিওটি দেওয়া থাকলো কমেন্ট বক্সে।

রাম নবমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই সবাইকে।

"কলকাতা কসাইখানা" ঐতিহাসিক উপন্যাসে ঔরঙ্গজেবের‌ও গুণকীর্তন করা হয়েছে ‌। পৃষ্ঠা ৮৫ তে বলা হয়েছে "শুরুতেই ঔরঙ্গজেবকে রাক...
16/04/2024

"কলকাতা কসাইখানা" ঐতিহাসিক উপন্যাসে ঔরঙ্গজেবের‌ও গুণকীর্তন করা হয়েছে ‌। পৃষ্ঠা ৮৫ তে বলা হয়েছে "শুরুতেই ঔরঙ্গজেবকে রাক্ষসের থেকেও খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছিল। অথচ লোকে জানেই না লোকটার ডান হাত ছিল জয়সিংহ। নিজের ছেলের থেকেও বড় পদ তিনি জয়সিংহকে দিয়েছিলেন। শিবাজির সঙ্গে ঝগড়া ছিল ঔরঙ্গজেবের। কিন্তু আগ্রায় শিবাজিকে কিচ্ছুটি বলেননি জয়সিংহের জন্য।"

অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবকে ভিলেন বানিয়েছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু যদুনাথ সরকারের লেখা থেকে জানা যায় ঔরঙ্গজেব সিংহাসনে বসার পরেই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে হিন্দুদের সরানোর চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তার ফলে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ধসে পড়ার উপক্রম হয়। তাই বাধ্য হয়ে হিন্দুদের চাকরিতে রাখতে হয়।ঔরঙ্গজেব নিজের ছেলেদের রাজ্যশাসনে শিক্ষা দেননি সম্পূর্ণ অন্য কারণে, কেননা তাঁর ভয় ছিল যদি কোনো পুত্র তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করে বসে। তিনি নিজেই পিতা শাহজাহানকে সিংহাসনচ্যুত করে বন্দী করেছিলেন। আগ্রায় শিবাজিকে নিয়ে ঔরঙ্গজেবের অন্য একটি পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু শিবাজি নিজের চাতুর্যে আগ্রা দুর্গ থেকে পলায়ন করেন। নয়তো প্রাণসংশয় হতে পারতো।

ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার সময় লেখককে সত্যনিষ্ঠ হ‌ওয়া উচিত।

কলকাতা কসাইখানা: রিভিউ "কলকাতা কসাইখানা" ঐতিহাসিক উপন্যাসটির ভূমিকায় লেখক লিখেছেন  "আর শুনুন, সেদিনের ধ্বংসাত্মক লোকগুল...
15/04/2024

কলকাতা কসাইখানা: রিভিউ

"কলকাতা কসাইখানা" ঐতিহাসিক উপন্যাসটির ভূমিকায় লেখক লিখেছেন "আর শুনুন, সেদিনের ধ্বংসাত্মক লোকগুলো না হিন্দু ছিল না মুসলিম,না ভারতীয় ছিল না ভবিষ্যতের পাকিস্তানি, না বিহারী ছিল না পাঞ্জাবি। ওরা শুধু দাঙ্গাবাজ ছিল।আর দাঙ্গাবাজদের কোনো জাত হয় না।" এই ক্লিশে হয়ে যাওয়া বাক্যাংশ চোখে পড়ার পর আমাদের মতো ঘরপোড়া পাঠক যখন আসল উপন্যাসে ঢোকে তখন একটা আশঙ্কা থেকেই যায়, এবং উপন্যাস শেষ করার পর পাঠক বুঝতে পারে তার আশঙ্কা অমূলক নয়। আমরা তো জানি ছেচল্লিশের দাঙ্গা আসলে কারা শুরু করেছিল, নোয়াখালী, ঢাকা বরিশালে কারা গণহত্যা চালিয়েছিল।
উপন্যাসে দুটো গল্প সমান্তরালে চলতে থাকে। প্রথম গল্প ছেচল্লিশের দাঙ্গার, দ্বিতীয় গল্প বর্তমান সময়ের হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের ওপর।

ব্রিটিশ নাগরিক ওলিভার তার প্রপিতামহের ডাইরি থেকে জানতে পারে ১৯৪৬এর গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর সময় প্রপিতামহ কলকাতায় ছিলেন এবং তাঁকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে হয়েছিল। এর পরেই ওলিভার গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংএর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে, ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে গোপাল মুখোপাধ্যায় নামটির সঙ্গে পরিচিত হয়, সোস্যাল মিডিয়ায় এই সূত্রে পরিচয় হয় দেবদত্ত নামের এক যুবকের সঙ্গে, এবং শেষ পর্যন্ত চলে আসে পশ্চিমবঙ্গে। দেবদত্তের পরিচিত একজন বৃদ্ধ ছেচল্লিশের দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শী, এবং তিনি নিজেও গোপাল মুখোপাধ্যায়ের পরিচিত। গল্পটি একটু এগোলেই পাঠক বুঝতে পারবেন এই বৃদ্ধ ভদ্রলোক আসলে মুসলমান, কিন্তু গোপাল মুখোপাধ্যায়ের সমর্থক!! সোনার পাথরবাটি।

উপন্যাসে কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার চোখে পড়ে। যেমন লেখক শুরুতেই ১৯৪৬ এর মুসলিম লীগ, হিন্দু মহাসভা এবং কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। লীগের ইস্তেহারে পাকিস্তানের দাবি ছিল, যেটা একজনের ব্যক্তিগত দাবি মনে হয়েছে,হিন্দু মহাসভার ইস্তেহার একটি সংস্থার, যারা পরোক্ষভাবে হিন্দুদের সহায়তা চেয়েছে, এদিকে কংগ্রেসের ইস্তেহারের থেকে তাদের দিশেহারা মনোভাব সুষ্পষ্ট। কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভা উভয়েই অখন্ড ভারতের সমর্থক।

কিন্তু লেখক কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তেহারের উল্লেখ কেন করলেন না জানা নেই। কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তেহারে বলা হয়েছিল " The League is free to plead for and get a separate sovereign Federation of Muslim majority areas living in friendly alliance with a sovereign Federation of Hindu majority areas, but not inside a common Indian union." অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টি পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়। শুধু তাই নয়, The Communist Party stands for a United and Free Bengal in a Free India.
গল্প যত‌ই এগোয়, আরো কিছু ইন্টারেস্টিং বিষয় চোখে পড়ে। যেমন কথক মুসলমান ভদ্রলোক ১৯৪৬এ দশ বছরের বালক।১৫ ই আগস্ট ‌ তার জন্মদিনে প্রতিবেশী হিন্দু মুসলমান সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে খাওয়া দাওয়া করে, যেমন রমজানের সিমাই আর কালীপূজার খিচুড়ি ভোগ তারা একসঙ্গে খেয়ে এসেছে। কিন্তু তার কয়েক পৃষ্ঠা আগেই জানতে পারি সময়টা রমজানের মাস।ঐসময় তো দুপুরে রোজার নির্জলা উপবাস চলার কথা। অবশ্য লেখক এইটাও উল্লেখ করেছেন ঐ বালকের পিতা জাতীয়তাবাদী হ‌ওয়ায় মুসলিম লীগের হিংসার বলি হন। এক্ষেত্রে লেখক অনেকটাই ঠিক, কেননা ১৯৪৬সালে রেলওয়ে আসন থেকে কংগ্রেসের হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে দা‍ঁড়ান জ্যোতি বসু, এবং মুসলিম লীগ সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে কমিউনিস্ট জ্যোতি বসুকে।ইলেকশনের ঠিক আগে পূর্ববঙ্গের ভৈরব বাজার স্টেশনে মুসলিম লীগের কয়েকজন গুন্ডা লীগের স্লোগান দিতে দিতে কবিরসাহেবকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। যেখানে হুমায়ূন কবিরের মতো জাতীয়তাবাদী মুসলিমকে মারধর খেতে হয়েছিল, সেখানে সাধারণ জাতীয়তাবাদী মুসলিম পরিবারের এইরকম হাল হতেই পারে।

আরও কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে। যেমন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের মাংসের দোকান থেকে কোনো এক রহিম চাচা মাংস কিনতেন। গোপাল মুখোপাধ্যায় মা কালীর সামনে পাঁঠা বলি দিতেন। যতদূর জানি বিশেষ সম্প্রদায়ের কাছে হালাল মাংস ছাড়া বলির মাংস নিষিদ্ধ।

গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এ সোহরাওয়ার্দীর এবং মুসলিম লীগের ভূমিকা, গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হিন্দুদের প্রতিরোধ ইত্যাদির বর্ণনা যথাযথ তথ্যানুগ, কিন্তু এখানেও সেই প্রশ্ন, দাঙ্গা যদি বিশেষ সম্প্রদায় শুরু করে থাকে, তবে "দাঙ্গাকারীর ধর্ম হয় না" এই কথাটা কি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে না?
ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে তে মুসলিম লীগের ভূমিকা উল্লেখ করা হলেও কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা কেন বলা হলো না বোঝা গেল না।১৯৪৬এর ১৩ই আগস্ট বালি জুট মিলের সিপিআইয়ের ট্রেড ইউনিয়নের সেক্রেটারি মংরু টাটোয়া আর অমর চক্রবর্তী একটা সভায় শ্রমিক আর স্থানীয় দোকানদারদের রীতিমতো সাবধান করে বলে ১৬ই আগস্ট হরতাল পালন না করলে ফল খারাপ হতে পারে।১৫ ই আগস্ট ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলের একটি সভায় সিপিআইয়ের ট্রামকর্মীদের ইউনিয়ন মহম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত নেয় তার পরের দিন তারা হরতাল সমর্থন করবে।
সেইরকম লেখক মেটিরিয়াবুরুজের লিচুবাগানে পাঁচশো জন ওড়িয়া শ্রমিকের গণহত্যা উল্লেখ করলেও সেই গণহত্যায় কমিউনিস্ট পার্টির সৈয়দ আব্দুল্লাহ ফারুকীর ভূমিকার ব্যাপারে নীরব। ফারুকী মুসলিম লীগের পতাকা শোভিত গাড়িতে এসে প্রত্যক্ষভাবে নিরীহ শ্রমিকদের গণহত্যা আর লুন্ঠনে অংশ নিয়েছিল।ফারুকীকে গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েকজন পার্টিকর্মী মুম্বাইয়ের পার্টি হেডকোয়ার্টার্সে ফারুকীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পাঠান। কিন্তু গঙ্গাধর অধিকারীর আদেশে পার্টি ফারুকীর বিরুদ্ধে নিয়ে আসা অভিযোগ নস্যাৎ করে ফারুকীকে সমর্থন করে। ফারুকীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং পরে সিপিআইয়ের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত করা হয়।

গোপাল মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে লেখক আরো একটি সমান্তরাল গল্প লিখেছেন বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। সেখানে মহিনুর নামে এক ব্যক্তির জমিতে একটি প্রাচীন রাধামাধব মন্দির নির্মিত এবং মহিনুর সেই জমিতে তার অধিকার দাবি করলে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। সেই মন্দিরে মহিনুর প্রবেশ করতে উদ্যত হলে মন্দিরের পুরোহিত তাকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়। সেখানে বিদেশি ওলিভার পুরোহিতকে বোঝায় "বহু হিন্দুকে কারণে বা অকারণে মসজিদে যেতে দেখেছি। দুর্গাপুজোর মন্ডপে লক্ষ লক্ষ মুসলিমরা প্রবেশ করে।" দুর্গাপুজোর মন্ডপে লক্ষ লক্ষ মুসলিমরা কোথায় প্রবেশ করে আমাদের জানার একটু আগ্রহ র‌ইল। ২০২১এর রক্তাক্ত শারদের স্মৃতি ম্লান হয়ে যায় নি।
যাই হোক গোপাল মুখোপাধ্যায়কে যেখানে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে , সেখানে এইরকম উদ্যোগ রীতিমতো প্রশংসনীয়। তবে একটাই আক্ষেপ ইতিহাস বা বাস্তবকে সঠিকভাবে পুরোপুরি তুলে ধরা হয় নি।

সরবজিত সিং কে কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যা করেছিল এক পাকিস্তানি ডন, আমির সরফরাজ। আজ লাহোরে তাকে হত্যা করা হলো।...
14/04/2024

সরবজিত সিং কে কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যা করেছিল এক পাকিস্তানি ডন, আমির সরফরাজ। আজ লাহোরে তাকে হত্যা করা হলো। নেপথ্যে, দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি।

শুভ নববর্ষ।

"ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ।""তেরা মেরা রিশতা কেয়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।"মনে পড়ে এই কথাগুলো? আজ উমর খালিদের জন্...
10/04/2024

"ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ।"
"তেরা মেরা রিশতা কেয়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।"

মনে পড়ে এই কথাগুলো? আজ উমর খালিদের জন্য যাদের মন প্রাণ কাঁদে, তারা কত বড় দেশদ্রোহী, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যাই হোক, আদালতে প্রসিকিউশন প্রকাশ করেছে যে এই উমর খালিদ, স্বরা ভাস্কর, সুশান্ত সিং, অল্ট নিউজের মুহাম্মদ জুবের, এবং আরও অনেক লোকের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। দিল্লির ২০২০ দাঙ্গা মামলার শুনানির সময় প্রসিকিউশন দিল্লি কারকারডুমা আদালতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলিও পড়ে শোনায়।

দিল্লি পুলিশ UAPA-এর অধীনে উমর খালিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ নরেন্দ্র মোদীর এন ডি এ তে যোগ দিলেন রাজ ঠাকরে।
10/04/2024

আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ নরেন্দ্র মোদীর এন ডি এ তে যোগ দিলেন রাজ ঠাকরে।

10/04/2024

কর্ণাটকে কোনো গরীব সংখ্যালঘু অটোরিকশা বা ট্যাক্সি কিনে নিজস্ব ব্যাবসা করতে চাইলে সরকারের থেকে ৫০% ভর্তুকি পাওয়া যাবে, এবং বাকি ৫০%এর বেশিরভাগই সরকার ঋণ দেবে, কিন্তু সংখ্যালঘু হলেই সেটা পাওয়া যাবে। সংখ্যাগুরুর জন্য এই প্রকল্প প্রযোজ্য নয়।

"বনফুল" বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের "কশাই" নামে একটা গল্প পড়ে শিউরে উঠলাম। কমিউনিস্ট লেখক দুলাল দত্ত রহিম কসাইয়ের কাছে পাক...
08/04/2024

"বনফুল" বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের "কশাই" নামে একটা গল্প পড়ে শিউরে উঠলাম। কমিউনিস্ট লেখক দুলাল দত্ত রহিম কসাইয়ের কাছে পাকিস্তানের দাবি সম্পর্কে তার মনোভাব জানতে গিয়েছেন। এদিকে দুলালবাবুর মহাজন বাবাকে প্রতিদিন আধসের মাংস ফ্রিতে দিতে হয়, পাঁচশো টাকার সুদ। দুলালবাবুর বাবা চতুর্থ পক্ষ ঘরে এনেছেন। একটা নধরকান্তি ছেলেও হয়েছে। দুলালবাবুকে দেখে তার একটা কথাই মনে হয় " শা লা হা®মী কা বাচ্চা.."
কিছুদিন পর দুলালবাবুদের বাবুর্চি এসে রহিম কসাইয়ের দেওয়া মাংসের খুব প্রশংসা করে গেল, সবাই চেটেপুটে খেয়েছে। কিন্তু দুলালবাবুর বাবার মনে সুখ নেই, ছোট খোকাকে পাওয়া যাচ্ছে না কাল থেকে।

বামনের মেয়ে এনে       নেকা দেয় কতো জনে     সাঁকা ভাঙ্গি হাতে দিল চুড়ি।বামন গোনেরে ধোরে     কলমা পড়ায় জোরে     চুল ফেলে ম...
07/04/2024

বামনের মেয়ে এনে নেকা দেয় কতো জনে
সাঁকা ভাঙ্গি হাতে দিল চুড়ি।
বামন গোনেরে ধোরে কলমা পড়ায় জোরে
চুল ফেলে মুখে রাখে দাড়ি।
গাও গোস্ত তারা খাইয়া কাপড় পরে ওন্দারা দিয়া
কাছা খুলে সবে গেল বাড়ী।

( নেকা : নিকাহ, পুর্নবিবাহ, সাঁকা : শাঁখা, গোন : জন, মানুষ)

১৬-১১-১৮৩১, আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে কাহিনী, তা যেন এখনও বিরাজমান। তিতুমীর, যে কমিউনিস্টদের কল্যাণে স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে পরিচিত, তার কীর্তি। শুধু ব্রাহ্মণ নয়, নমঃশূদ্ররাও রক্ষা পায়নি তিতুমীরের হাত থেকে।

সময়ের পরিক্রমায় পাল্টেছে স্টাট্রেজি। আর নয়তো সব রয়ে গেলো একি। গোমাংসের নিমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে, কান্ট্রিসাইডে নানাভাবে দখল করে নেওয়া হচ্ছে ভিটেমাটি। বাড়িছাড়া করা হচ্ছে নানা কৌশলে। হিন্দুর কন্যাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিচ্ছে ঘরে তুলে।

তথ্যসূত্র: নবরূপে তিতুমীর, রুদ্রপ্রতাপ চট্টোপাধ্যায়। পৃষ্ঠা ৬৩

কেরালার স্কুলপাঠ্য ব‌ইয়ের থেকে কিছু অংশ ১. অ্যাডাম কিংবা সুজান মু$লিম হতে গেলে কি করতে হবে শেখানো হচ্ছে,যেমন নাম বদলাতে...
06/04/2024

কেরালার স্কুলপাঠ্য ব‌ইয়ের থেকে কিছু অংশ

১. অ্যাডাম কিংবা সুজান মু$লিম হতে গেলে কি করতে হবে শেখানো হচ্ছে,যেমন নাম বদলাতে হবে,ক্রস পরে থাকলে খুলে ফেলতে হবে, সাহাদাত শিখতে হবে, বাবা মা অমুসলিম হ‌ওয়ায় দূরে চলে যেতে হবে, হালাল খাবার খেতে হবে।
২.আদিল নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখে কিন্তু অভিমন্যু নোংরা।

৩. আপ্পানের দোকান নোংরা কিন্তু আসলামের দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।তাই আসলামের দোকান থেকেই মিষ্টি কেনা উচিত।

https://www.facebook.com/share/p/2VL2wovNGiK7oKK5/?mibextid=oFDknk

✍️ম্যাথিউ ডি কোস্টা

দয়া করে অ্যাংরি ইমো দেবেন না।

সিপিএম।যাদের পুরো দেশে সাংসদ সংখ্যা দুই সংখ্যার হবে না।বাংলায় বিগ জিরো হবে।তাদের লোকসভা 2024 এর ম্যানিফেস্টোতে বিদেশনীতি...
06/04/2024

সিপিএম।

যাদের পুরো দেশে সাংসদ সংখ্যা দুই সংখ্যার হবে না।

বাংলায় বিগ জিরো হবে।

তাদের লোকসভা 2024 এর ম্যানিফেস্টোতে বিদেশনীতিতে কি কি লিখেছে শুনুন।

(১) ইজরায়েল এর সাথে সমস্ত বৈদেশিক সম্পর্ক ত্যাগ করা হবে। এবং ফ্রি প্যালেস্টাইন স্টেট প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করা হবে।

(২) চীনের সাথে সম্পর্কে উন্নতি করা হবে এবং কোয়াড থেকে ভারতকে বের করা হবে।

(৩) সমস্ত পারমানবিক অস্ত্রকে নষ্ট করে দেওয়া হবে।

(৪) পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক শুরু করতে হবে।

যশোদা নন্দনকে ধন্যবাদ যে সিপিএম কখনো কেরালা ছাড়া আর কোনো রাজ্যে ক্ষমতায় হবে না।
এরা দেশের স্বার্থের ঘোষিত শত্রু এবং চীনের ডিপ স্টেট এজেন্ট ইন ইন্ডিয়া।

পুরো ম্যানিফেস্টো এই লিংকে পাবেন
https://cpim.org/pressbriefs/cpim-election-manifesto

✍️ কে ডি কৌশিক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একটি পরিকল্পনা ছিল ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সেনাদের মনোরঞ্জন করা। তা ক...
05/04/2024

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একটি পরিকল্পনা ছিল ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সেনাদের মনোরঞ্জন করা। তা কিভাবে সেটা করা যেতে পারে? স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কিছু গ্রুপ বানিয়ে তাদের সঙ্গীত এবং নাটকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর এইসব "সাংস্কৃতিক" অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিটিশ আর আমেরিকান সেনাদের মনোরঞ্জন করা হবে।
সেই সময় মিলিটারি দেখলেই সাধারণ মানুষ ঘরদোর বন্ধ করে দিত, কেননা এরা ছিল বিকৃতরুচির, যৌনক্ষুধাতুর। সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী "জীবন রহস্য" তে দেখি এক প্রতিবেশীর তরুণী স্ত্রীকে মার্কিন সৈন্যরা গণধ**ণ করছে, গুরুজনেরা আটকে রেখেছেন ছেলেমেয়েদের।
কমিউনিস্টরা সেই বিকৃতকামী সৈনিকদের মনোরঞ্জন করার জন্য‌ এগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।

তথ্যসূত্র: 1. The Only Fatherland. Arun Shourie
2. জীবন রহস্য। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়।

"দুশো টাকা মাইনেতে গিয়েছিলুম; কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই কাবুল সরকার আবিষ্কার করলেন যে আমি জর্মনও জানি। মাইনে ধাঁ করে একশো ...
04/04/2024

"দুশো টাকা মাইনেতে গিয়েছিলুম; কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই কাবুল সরকার আবিষ্কার করলেন যে আমি জর্মনও জানি। মাইনে ধাঁ করে একশো টাকা বেড়ে গেল। পাঞ্জাবি ভায়ারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওজিরে মওয়ারিফের ( শিক্ষামন্ত্রী ) কাছে ডেপুটেশন নিয়ে ধরনা দিয়ে বললেন, সৈয়দ মুজতবা এক ‘অনরেকগনাইজড’ বিদ্যালয়ের ডিপ্লোমাধারী। আমরা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ; এমএ। আমাদের মাইনে দেড়শো; তাঁর মাইনে তিনশো, এ অন্যায়।

শিক্ষামন্ত্রীর সেক্রেটারি ছিলেন আমার বন্ধু। তিনি আমার কাছে ঘটনাটি বর্ণনা করেছিলেন ফারসিতে। — জানো, বন্ধু, শিক্ষামন্ত্রী তখন কী বললেন?
খানিকক্ষণ চুপ করে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বললেন,
বিলকুল ঠিক! কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই, তোমাদের ডিগ্রিতে দস্তখত রয়েছে পাঞ্জাবের লাটসাহেবের। তাঁকে আমরা চিনি না, দুনিয়াতে বিস্তর লাটবেলাট আছেন— আমাদের ক্ষুদ্র আফগানিস্তানেও গোটা পাঁচেক লাট আছেন। কিন্তু মুজতবা আলীর সনদে আছে রবীন্দ্রনাথের দস্তখত—সেই রবীন্দ্রনাথ যিনি সমগ্র প্রাচ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’"

যখন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া বিশ্বভারতীকে রেকগনাইজ করত না (নাইট উপাধি ত্যাগ করার জন্য ব্রিটিশরা বিলক্ষণ চটে গিয়েছিল) তখন আফগানিস্তান রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীর ডিগ্রিকে ব্রিটিশ ভারতের যে কোনো ইউনিভার্সিটির থেকে বেশী মূল্য দিতো। রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। এমনকি এর পরেও জার্মানিতে গিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী নিজের গুরুর মূল্য আরো ভালো করে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, "রবীন্দ্রনাথের ছাত্র " এই পরিচয়ের জন্য গর্বিত ছিলেন আজীবন। কিন্তু এখনকার বাংলাদেশের একধরনের দুপেয়ে জীব, যারা নিয়মিত রবীন্দ্রনাথকে অশ্লীলতম ভাষায় গালাগালি করে , মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন এবং শুধুমাত্র অমুসলিম হ‌ওয়ার জন্য জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে চায় , তাদের দেখলে আলী সাহেব কি বলতেন?

নদীয়ার রাজাধিরাজ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর ' রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ'(১৯০৯),পৃ: ৮-৯ বলেছ...
04/04/2024

নদীয়ার রাজাধিরাজ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর ' রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ'(১৯০৯),পৃ: ৮-৯ বলেছেন - "বঙ্গদেশ যে আজিও ভারত সাম্রাজ‍্যের মধ‍্যে বিদ‍্যা, বুদ্ধি, সুরসিকতা প্রভৃতির জন‍্য প্রতিষ্ঠা লাভ করিতেছে, কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভা তাহার পত্তন ভূমিস্বরূপ ছিল।"

শিবনাথ শাস্ত্রী ব্রাহ্মসমাজের একজন শীর্ষস্থানীয় ছিলেন, উপবীত ত্যাগ করার জন্য তাঁকে একঘরে হতে হয়েছিল। তিনি ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম ট্রেড ইউনিয়নের উপযোগীতা বুঝতে পারেন।

✍️ সৌমক পোদ্দার

নব্ব‌ইয়ের দশকের শুরুতে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় অনেক ভারতীয় মুসলিম শিশুর নাম সাদ্দাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন ...
04/04/2024

নব্ব‌ইয়ের দশকের শুরুতে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় অনেক ভারতীয় মুসলিম শিশুর নাম সাদ্দাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন আবার নিজেকে খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্যাবিলনের সম্রাট নেবুচাডনেজারের উত্তরাধিকারী বলে মনে করতেন। বলতে গেলে নেবুচাডনেজার হয়ে উঠেছিলেন সাদ্দামের অবশেসন।

সাদ্দাম নিজের আইকন খুঁজে পেয়েছিলেন প্রাকইসলামিক এক ব্যক্তিত্বের মধ্যে। ব্যবিলনকে তথা ইরাককে তিনি নিজের মাতৃভূমি মনে করতেন, পাশের দেশ সৌদি আরবকে নয়। পাকিস্তানের সিন্ধে রাজা দাহিরকে আইকন মনে করা হয়, বিদেশী হানাদার মহম্মদ বিন কাশেমকে নয়। মিশরে অ্যানিমেশন মুভি "প্রিন্স অফ ইজিপ্ট" মুভিটি ব্যান করা হয়েছিল, কেননা ফারাও দ্বিতীয় রামোসিসকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছিল। মিশরে দ্বিতীয় রামোসিস একজন আইকন।

কিন্তু এই দেশে আর পাশের দেশে অনেকের কাছেই বখতিয়ার খিলজী, আওরঙ্গজেব আর সিরাজ‌উদ্দৌলা হলো আইকন।

"  স্বদেশী আন্দোলনের সময় হিন্দু নেতারা মুসলমানদের মধ্য থেকে নায়ক খোঁজার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে তাঁরা ...
01/04/2024

" স্বদেশী আন্দোলনের সময় হিন্দু নেতারা মুসলমানদের মধ্য থেকে নায়ক খোঁজার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে তাঁরা তরুণ সিরাজের মতন এক দুর্বল, অপরিণামদর্শী, দুশ্চরিত্র, নিষ্ঠুর যুবককে প্রতীক নায়ক হিসেবে বেছে নেন , তাঁদের ইচ্ছে অনুসারেই নাট্যকাররা সিরাজকে গড়ে তোলেন এক রোমান্টিক , আদর্শবাদী, হিন্দু মুসলমানের সমন্বয়সাধক হিসাবে, আমরাও সেই বয়সে তাই গিলে নিয়েছিলাম।"
অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ১০১-১০২, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

তিন বছর আগের কথা একটু মনে করুন,যখন সারা বিশ্ব করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে হিমশিম খাচ্ছে,তখন কোথাকার না কোথাকার জঙ্গি আর ভিখির...
01/04/2024

তিন বছর আগের কথা একটু মনে করুন,
যখন সারা বিশ্ব করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে হিমশিম খাচ্ছে,
তখন কোথাকার না কোথাকার জঙ্গি আর ভিখিরি দেশ পাকিস্তান কুড়িটা এম্বুলেন্স পরপর রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে রটিয়ে দিল তারা ভারতকে সাহায্য করতে চায়।
আর সেটা দেখে ভারতের বামেদের সে কি ভয়ানক আনন্দ উল্লাস, "ভারত তো ভুগছে, দেখো দেখো ভারতের আজকে পাকিস্তানের মত দেশেরও সাহায্য লাগছে, দেখো সেই পাকিস্তানই এখন ভারতকে সাহায্য করতে চাইছে, না না না, সব দোষ সরকারের, ওই দেশের জনসমাজ তো নিষ্পাপ, ট্রাস্ট মি ব্রো, ইত্যাদি ইত্যাদি"।

দিন দুয়েক আগেই আমাদেরই ভারত মহাসাগরে তেইশ জন পাকিস্তানি নাগরিক থাকা একটি পাকিস্তানি ট্রলারকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের জেলেরা অব্দি ভারতের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছে। বিশ্বের মেরিটাইম ট্রেডিংয়ে টপ সবকটা দেশ এভাবে দেখছে ভারত মহাসাগরে ভারতের "চৌকিদার" হওয়া।

আপনার আশেপাশে থাকা বাম আত্মীয় বন্ধুগুলো বা আপনার প্রিয় বাম দলগুলো এখনো ভারতের গর্বের এই সুখবরটা আপনাকে জানায়নি, তাই না?

আরে তারা আপনাকে এসব জানাবে কীকরে?
জানালে তো আপনারা জেনে যাবেন ভারতের বর্তমান সরকার কতটা শক্তিশালী এবং দেশ হিসেবেও ভারত এখন বিশ্বের মানচিত্রে কত শক্তিশালী হয়েছে?
জেনে যাবেন আপনারই দেশে নেভি এখন কত টেকনিক্যালি এডভান্সড ও কতটা স্ট্রেট ফরোয়ার্ড?
সাথে মনে প্রশ্ন আসবে ভারত মহাসাগরে দুটো নেভাল বেস বানিয়ে রাখা চীনই বা চুপ আছে কেন এসব কেসে?
বাপ পে মত যা, বাপ পে মত যা চাড্ডি।

আমি তো বলেইছি,
ওসব ইলেক্টোরাল বন্ড, গ্যাসের দাম, পেট্রোলের ট্যাক্স ওগুলো সবই তো বাহানা হ্যায়,
আসল উদ্দেশ্য তো দেশটাকে দুর্বল করানা হ্যায়.....

https://m.economictimes.com/news/defence/indian-navy-rescues-23-pakistani-crew-from-hijacked-iranian-ship-in-arabian-sea/videoshow/108892304.cms

এই ঘটনার একটা জিওপলিটিক্যাল এনালাইসিসের ভিডিও দিলাম, ইচ্ছে হলে অবশ্যই দেখবেন -
https://youtu.be/CD4KdzSKTQY?si=XwbVr3CBsml1_HPO

✍️ সন্দীপন মন্ডল

১৯৭৩  সালের মাঝামাঝি মুজিব দিল্লী এলেন শ্রীমতী গান্ধীর আমন্ত্রণে । এয়ারপাের্টে উপস্থিত ছিলাম। সন্ধ্যায় রিপোর্ট পাঠালাম...
01/04/2024

১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি মুজিব দিল্লী এলেন শ্রীমতী গান্ধীর আমন্ত্রণে । এয়ারপাের্টে উপস্থিত ছিলাম। সন্ধ্যায় রিপোর্ট পাঠালাম।
পরের দিন সকালে এক বন্ধুর পরিবারের কয়েকজনের জন্য ভিসা নেবার ব্যাপারে ইরাক দূতাবাসে গেছি। হঠাৎ ঐ দূতাবাসেই আমার টেলিফোন এলাে বাড়ি থেকে -- রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফোন এসেছে এখুনি মুজিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য। ঠিক বিশ্বাস করতে পারলাম না। বাড়ি এসেই রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন করলাম শেখ সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারিকে। হ্যাঁ, সত্যি আমাকে এখুনি মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে। যে মানুষটির জন্য দিনের পর দিন চোখের জল ফেলেছি, যিনি লক্ষ-কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়-সম্রাট, সেই মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হলাম খানকয়েক বই হাতে নিয়ে। দীপ্তিও সঙ্গে চলল। বুঝলাম, মল্লিক সাহেব ও মেমসাহেব- ডিপ্লোম্যাটের জন্যেই এই অভাবনীয় সৌভাগ্য সম্ভব হলাে।

শেখ সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারি বললেন, "আপনার সময় পনের মিনিট, বারােটা পয়তাল্লিশ থেকে একটা।"
ওকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিহাসের প্রবাদপুরুষের ঘরে ঢুকলাম। মল্লিক সাহেব আমার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বই দিলাম।

মহা খুশি। তারপর পাশে বসিয়ে বললেন, "নিমাইবাবু, আপনি 'ডিপ্লোম্যাট' লিখে সাহিত্যিক হিসেবে একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি আপনার 'মেমসাহেব' আর 'ডিপ্লোম্যাট' পড়ে সত্যি মুগ্ধ।"

আমি সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানালাম।

উনি বললেন, "যে বইগুলো দিলেন, তাও পড়ব তবে সময় লাগবে। এত কাজের চাপ যে পড়াশোনা করার সময় পাওয়াই মুস্কিল।"

দীপ্তি মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখে। আমিও বিশেষ কথা বলি না।

উনি বলে যান, "আমরা পলিটিসিয়ান। নানা কারণে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী অনেক সীমাবদ্ধ থাকতে বাধ্য। কিন্তু আপনারা সাহিত্যিকরা, শিল্পীরা মুক্ত মনের মানুষ হন বলেই ইতিহাসের পাতা থেকে পলিটিসিয়ানদের নাম মুছে গেলেও আপনাদের কেউ ভােলে না।"

আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত ওর কথা শুনি।

"এই যে বাংলাদেশ হলাে, তা কী আমি না আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছে ? আসল জন্মদাতা কবি-সাহিত্যিক-শিল্লী-সাংবাদিক আর একদল পাগল ছাত্র। ওরা সাহায্য না করলে কজন পলির্টিসিয়ান কি দেশের মানুষকে এমনভাবে মরতে অনুপ্রাণিত করতে পারতাম ?"

উনি একটু থেমে বললেন, "রবীন্দ্রনাথ কবে লিখেছিলেন, 'আমার সােনার বাংলা, আমিं তােমায় ভালােবাসি' আর কবে আমরা তার মর্ম উপলব্ধি করলাম ?"

আরাে কত কথা বলার পর উনি আলতো করে আমার কাঁধে একটা হাত রেখে বললেন, "নিমাইবাবু, ভাল করে লিখুন, সত্যি কথা লিখুন। আমরা পলিটিসিয়ানরা রাজনৈতিক কারণে চরিত্রহীন লম্পট অপদার্থ সিরাজদৌল্লাকে দেশপ্রেমিক বানিয়েছি। আমরা সত্যি কথা বলতে পারি না কিন্তু আপনাদের কী ভয় ?"

জার্ণালিস্টের জার্ণাল
নিমাই ভট্টাচার্য
সমকাল প্রকাশনী
পৃঃ ১৯৫, ১৯৬

সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য (১৯৩৯ - ২০২০ ) সাংবাদিকতা পেশায় থাকার সুবাদে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই সময়কার রাজনৈতিক মহল এবং একই সঙ্গে গ্ল্যামারের দুনিয়াকে। সেই অভিজ্ঞতা ছায়া ফেলে তাঁর গল্পে-উপন্যাসে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘রাজধানীর নেপথ্যে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। পরে লেখালেখিকেই পুরো সময়ের পেশা হিসেবে নেন। একটা দীর্ঘ পর্বে বাঙালির পড়ার খিদেকে মিটিয়েছে নিমাই ভট্টাচার্যের রচনা।
বাংলায় ‘জনপ্রিয় লেখক’ বলতে যা বোঝায়, নিমাই ভট্টাচার্য ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই তা-ই। তাঁর লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৫০-এরও বেশি।

‘মেমসাহেব’, ‘এডিসি’, ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’, ‘গোধূলিয়া’— একের পর এক উপন্যাস এক সময়ে বাঙালির অন্দরমহলকে মাতিয়ে রেখেছিল। ১৯৭২ সালে তাঁর উপন্যাস থেকেই নির্মিত হয় পিনাকী মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘মেমসাহেব’।

✍️ ঋতুপর্ণ বসু

একটা খুব সুন্দর প্রেমের গল্প পড়ে মনটা ভরে গেল। নরেন্দ্রনাথ মিত্রের " পুনশ্চ"। গ্রামের তাঁতী জৈনুদ্দিন প্রেমে পড়ে যায় ...
31/03/2024

একটা খুব সুন্দর প্রেমের গল্প পড়ে মনটা ভরে গেল। নরেন্দ্রনাথ মিত্রের " পুনশ্চ"। গ্রামের তাঁতী জৈনুদ্দিন প্রেমে পড়ে যায় তার ভাবী ফতেমার। "ভাবীসাব, আমার চোখে ভারী সুন্দর লাগে তোমাকে।" কিন্তু ফতেমার ভিতরটা যেন কাঠ। শোহর মৈনুদ্দিন জানতে পারলে শুম্ভ নিশুম্ভর যুদ্ধ হবে। কিন্তু আল্লাহপাক জৈনুদ্দিনের ওপর বড়‌ই মেহেরবান। পাঁচ বছর পর নিমুনিয়ায় মৈনুদ্দিনের ইন্তেকাল হয়। জৈনুদ্দিন নিকাহ করে ফতেমাকে। কিন্তু জৈনুদ্দিনের আর এক বিবি সাকিনা আর তার একটা ছেলে আছে যে।
"থাকলেই বা,আমার বা জানের কয় বিবি ছিল জানো? চার জন। পুরো একহালি।"
জৈনুদ্দিনের আব্বা চার বিবিকে দিয়ে তাঁত খোলা চালাতেন, হুঁকো টানতে টানতে তদারক করতেন।
দুইশো টাকা খরচ হয় গ্রামের মৌলবী মুর্শিদদের মুখ বন্ধ করতে।

কিন্তু এরপর আল্লাহর গজব শুরু হল। এক ফৌজদারি মামলায় সর্বস্বান্ত হয়ে জৈনুদ্দিনের ভিটেমাটি বাঁধা পড়ল, বিক্রি হয়ে গেল তাঁত। যুদ্ধের দরুণ জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। জৈনুদ্দিন নিজের দুই বিবিকে ঢেঁকি কিনে দিল।ধান ভেনে চাল বিক্রি করে দিন গুজরানের চেষ্টা। কিন্তু দেখা গেল ফতেমা এই দিক দিয়ে কোনো কাজের নয়।তাই আদর বাড়তে লাগলো সাকিনার। এরপর এলো দুর্ভিক্ষ। জৈনুদ্দিন যেখান থেকে পারে চেয়েচিন্তে সাকিনা আর তার ছেলে বজলুকে লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়ায়, এদিকে ফতেমা থাকে অনাহারে।
সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় ফতেমার।"পায়ে ধরে চৌদ্দবার করে সিধে নিকা করেছিলে মনে নেই?"

জৈনুদ্দিন জবাব দেয় , "রেহাই দে আমাকে। ভাইকে খেয়েছিস,আমায় আর খাসনে।গ্রামে আরো তো মুসলমান আছে, তাদের কারো ঘরে যা।"
ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ফতেমা গ্রামের ধনী আবদুল খাঁর বাড়িতে চলে যায়। "আমায় নিকা কর মিঞা।"
আবদুল খাঁ আপাদমস্তক দেখে বলে, " নিকা তো করব‌ই বিবি, একবার চল শহর থেকে ঘুরে আসি।"
চালানের নৌকায় ওঠার আগে ফতেমা জানতে পারে কলেরায় সাকিনা আর বজলু ফৌত হয়েছে। ফতেমা আল্লাহপাকের কাছে মোনাজাত করে , জৈনুদ্দিনের‌ও যেন ঐ দশা হয়।

এরপর জৈনুদ্দিনকে দেখা যায় শহরে। দুর্ভিক্ষের দিনগুলো কেটে গিয়েছে। জৈনুদ্দিন নতুন পেশায় নেমেছে, যেখানে কাঁচা পয়সা অঢেল। শহরের ঘাটে যেসব মহাজনেরা নৌকা ভেড়ায়, তারা রাতে অন্য রসের সন্ধান করে। জৈনুদ্দিন তাদের সেই রসের যোগানদার। এই রসের সন্ধানে জৈনুদ্দিনের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে যায় ফতেমার।ফতেমার ঘরে প্রতি রাতেই নতুন নতুন মানুষের আনাগোনা, মহাজন কাঞ্চন মিঞা, দারোগা নূর‌উদ্দীন, জমিদার কল্যাণ গাঙ্গুলী।
একদিন এক শাঁসালো খদ্দেরের সন্ধান আনে জৈনুদ্দিন। "ভালো করে সেজেগুজে থাকো বরুবিবি, লোকটি বড় সৌখীন।"
সেদিন সন্ধ্যায় জৈনুদ্দিন ফতেমাকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করে। ফতেমা খোঁপায় গুঁজেছে তার‌ই দেওয়া গোলাপ, শাড়িতে তার‌ই দেওয়া আতর। জৈনুদ্দিন ফতেমার হাতে একটা নতুন পাঁচ টাকার নোট গুঁজে দিয়ে হাতটা নিজের মুঠিতে চেপে ধরে। ফতেমা মৃদু হেসে হাত ছাড়িয়ে নোটটা জৈনুদ্দিনের পকেটেই গুঁজে দেয়। জৈনুদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়,"কম হল নাকি?"
ফতেমা অপূর্ব ভঙ্গিতে হাসে "এত কান্ডের পর মোল্লা মুনসীদের মুখ কি আর দু'পাঁচ টাকায় বন্ধ হবে ভেবেছ?"

ভালোবাসা এক ফল্গুধারার মতো। এত ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেও ঠিক নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখে।
ছোটগল্পের ভুবনে নরেন্দ্রনাথ মিত্র সত্যিই একজন জাদুকর।

সাল ১৯৯৬। তারিখটা ছিল মে মাসের ১০ তারিখ। বাম জমানায় ঘটে যাওয়া বহু খুনের ঘটনার মধ্যে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ...
30/03/2024

সাল ১৯৯৬। তারিখটা ছিল মে মাসের ১০ তারিখ। বাম জমানায় ঘটে যাওয়া বহু খুনের ঘটনার মধ্যে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গিয়েছিলো ওই দিনটায় I যিনি খুন হয়েছিলেন তিনি সিপিআইএম পার্টির ভেতরকার লোক, এক্কেবারে অন্দরমহলের মানুষ। অথচ তার খুনের কোন তদন্তই ওই সময় হয়নি , এবং খুব স্বাভাবিকভাবে কেউ ধরা পড়েনি , এবং খুনের কিনারাও হয়নি I

" এই সময় " পত্রিকার দুটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এই খুনের ঘটনা I

১৯৯৬ সালে সুশীলবাবু যখন খুন হন, তখন তাঁর বয়স ৭৫৷ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দপ্তরে দলের টাকাপয়সার হিসেব রাখতেন তিনি৷ অত্যন্ত সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত অজাতশত্রু সুশীলবাবু এক রাতে ইএম বাইপাসের উপর চিংড়িঘাটায় বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে নৃশংস ভাবে খুন হন৷ খালের ধারে তাঁর দেহ মেলে৷ কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে তাঁকে খুন করল, সে রহস্য এখনও ভেদ হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী তখন জ্যোতি বসু, পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ অভিযোগ ওঠে, কিছু নেতা পার্টির টাকা নয়ছয় করায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অকুতোভয় সুশীলবাবু৷ তাই রাতারাতি ‘পথের কাঁটা’ উপড়ে ফেলা হয়৷

সুশীলবাবুর ভাইপো মৃণালকান্তি চৌধুরীর আক্ষেপ, ‘কাকাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হল৷ অথচ তার পর কেউ দোষীদের ধরার জন্য আমাদের সাহায্য করেনি৷

বেলেঘাটার চিংড়িঘাটায় বাইপাসের ধারে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি আবাসনে থাকতেন আলিমুদ্দিনের কোষাধ্যক্ষ সুশীল চৌধুরী৷ ওই আবাসনের ৫ নম্বর ব্লকের তিনতলায় তাঁর সেই ঘর এখন অবশ্য তালাবন্ধ৷ রোজ দপ্তর থেকে ফিরে তিনি কয়েকশো মিটার দূরে ভাইপো মৃণাল চৌধুরীর বাড়িতে রাতে খেতে যেতেন৷ সুকান্তনগরের সেই বাড়িতে বসে রবিবার মৃণালবাবু বলছিলেন সে দিনের কথা৷ ১৯৯৬ সালের ১০ মে৷ ‘রোজকার মতো সেই রাতেও ছোটকাকা আমাদের বাড়ি এলেন৷ সুগার বেশি বলে সব কিছু খেতেন না৷ সে দিন কিন্ত্ত বললেন, সুগার কমেছে,’ বললেন সত্তর বছরের মৃণালবাবু৷ পাশ থেকে তাঁর স্ত্রী নমিতাদেবী জুড়ে দিলেন, ‘রাতে ভাত, পারশে মাছ খেলেন৷ অনুরোধ করায় একটু পিঠেও খেলেন৷ আমি টিফিনবক্সে মালপোয়া দিলাম৷ তার পর বাড়ি চলে যান৷’ পর দিন সকালে জানা যায় রাতে বাড়ি ফেরেননি সুশীলবাবু৷ তিন দিন পর চিংড়িঘাটার কাছে বাইপাসের ধারে মজা খালে গলার নলি কাটা অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়৷ দেহের পাশে একটি পেট্রোল লাইটার পাওয়া যায়৷ যার গায়ে ‘এস’ লেখা ছিল৷ সুশীলবাবু কিন্ত্ত ধূমপান করতেন না৷ সেই বিবরণ দিয়ে মৃণালবাবু বললেন, ‘সিপিএম কেন তদন্ত করেনি জানি না৷

মৃণালবাবুর প্রতিবেশী দে পরিবারের সঙ্গেও সুশীলবাবুর প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিল৷ ওই বাড়ির ছেলে গোপালবাবুর কথায়, ‘দাদু সকালে যাওয়ার সময় মাঝে মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করতেন৷ খুব সাদামাটা মানুষ ছিলেন৷ তদন্ত করে দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে৷’ আপনারা এখন কোনও অভিযোগ দায়ের করবেন? বছর সত্তরের মৃণালবাবুর সতর্ক মন্তব্য, ‘ও সব পার্টির ব্যাপারে ভয় করে৷’ গোপালবাবুও ‘দলের’ বিষয়ে জড়াতে রাজি নন৷ "

কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে তাঁকে খুন করল, সে রহস্য এখনও ভেদ হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী তখন জ্যোতি বসু, পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ অভিযোগ ওঠে, কিছু নেতা পার্টির টাকা নয়ছয় করায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অকুতোভয় সুশীলবাবু৷ তাই রাতারাতি 'পথের কাঁটা' উপড়ে ফেলা হয়৷
বুদ্ধদেববাবু বিধানসভায় দাঁড়িয়েই দু'-দু'বার ঘোষণা করেছিলেন, সুশীলবাবুর খুনিরা ধরা পড়বেই৷ কিন্ত্ত খুনিরা ধরা পড়েনি৷ ওই খুনের নেপথ্যে বিরোধীদের হাত আছে, এমন অভিযোগও সিপিএম তখন তোলেনি৷ দলের নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় অনেক সময়েই পার্টি কমিশন বসায়৷ সুশীলবাবুর ক্ষেত্রে তা-ও হয়নি৷ বস্ত্তত, অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তি খুনের মতোই রাজ্য সিপিএমের এই কোষাধ্যক্ষের হত্যারহস্য ধামাচাপা দেওয়া হয়৷ সিপিএমের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অর্থ দপ্তরের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা৷ সেই সূত্রেই বিমানবাবু, নিরুপমবাবুর যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি টাকার হদিশ মেলে৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, সর্বহারার পার্টির সর্বক্ষণের নেতাদের ব্যাঙ্কে এত টাকা জমল কী করে?

সুশীলবাবু খুনের সময় প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন রচপাল সিং৷ তিনি বলেন, 'সুশীলবাবুর খুনের তদন্ত করতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম৷ পর দিনই আমাকে রেলে বদলি করে দেওয়া হয়৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন পুলিশমন্ত্রী৷ উনি আমায় ডেকে ধমকেছিলেন৷'

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে এক ফোঁটাও অগ্রগতি হয়নি তদন্তের। মাঝপথে এসে হারিয়ে গেছে তদন্তের পথ। হারিয়ে গেছে অনেক প্রশ্নের উত্তর। আজকেও উন্নততর মার্ক্সবাদী সাম্যের নামে ভোটভিক্ষা করেন ও ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে গলা ফাটান প্রচুর আগুনখোর , কাঁচাখেগো বিপ্লবী । বিচারের বাণী হুল্লাট হুইস্কি খেয়ে ইএম বাইপাসের ধারে হেঁচকি তুলে বেড়ায়।

লাল সেলাম। মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহাই সত্য।

(Collected)

https://eisamay.com/west-bengal-news/kolkata-news/assurence-of-mamata-banerjee/articleshow/21446162.cms

https://eisamay.com/west-bengal-news/kolkata-news/cm-says-again-reopened-case-of-murder-of-sishil-and-biman-manisha/articleshow/21405410.cms

বহিরাগত তুর্কী বংশোদ্ভূত সিরাজ ছিলেন দুশ্চরিত্র, বেহিসাবী এবং লম্পট চরিত্রের অধিকারী। নবাব আলীবর্দী খাঁ তাঁর এই আদুরে না...
29/03/2024

বহিরাগত তুর্কী বংশোদ্ভূত সিরাজ ছিলেন দুশ্চরিত্র, বেহিসাবী এবং লম্পট চরিত্রের অধিকারী। নবাব আলীবর্দী খাঁ তাঁর এই আদুরে নাতিটিকে নবাবীর আসনে অভিষিক্ত করবার অভিপ্রায়ে একবার বাংলার খাজনালব্ধ এক লক্ষাধিক স্বর্ণমুদ্রা সমেত মুঘল দরবারে প্রেরণ করেন। আদুরে নাতি সিরাজ লক্ষ্ণৌ গিয়ে তথায় সমুদয় অর্থ জুয়া, মদ আর বাঈজী নৃত্যের পেছনে উড়িয়ে তৎকালের সেরা বাঈজী ফৈজীকে ক্রয় করে মুর্শিদাবাদে প্রত্যাগমন করেন এবং মুর্শিদাবাদের সন্নিকটে প্রমোদ প্রাসাদ হীরাঝিলে তার থাকার বন্দোবস্ত করেন। এদিকে বাংলার কৃষকের খাজনার টাকা এভাবে উড়িয়ে দেওয়ায় আলীবর্দী মনোক্ষুণ্ন হলেও তা চেপে যান এবং জগৎশেঠের নিকট থেকে ঋণ নিয়ে তা পুনরায় দিল্লী পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন। আলীবর্দীর মৃত্যুর পর সিরাজ নবাবীর মসনদে আরোহণ পূর্বক যথেচ্ছাচার শুরু করেন। কথিত আছে, নারী লোলুপ সিরাজের অত্যাচারে মুশির্দাবাদের পুকুরঘাটে কোন রমণী স্নান করতে পারতেন না। ‘‘অসামান্যা’’ নামে জগৎশেঠের পরমাসুন্দরী কন্যার প্রতি সিরাজের নেক নজর পড়ে। সিরাজ বাহক মারফৎ জগৎশেঠের কাছে সংবাদ প্রেরণ করে দাবী করে যে, অসামান্যাকে একরাতের জন্য তার প্রাসাদে পাঠাতে হবে। জগৎশেঠ সম্মত না হওয়ায় সিরাজ তাঁকে প্রসাদে তলব করেন এবং দরবার হলে সর্বসম্মুখে জুতাপেটা করেন। এরপর একদিন গণকের ছদ্মবেশে সিরাজ জগৎশেঠের অন্তপুরে প্রবেশ করে অসামান্যার হাত দেখে ভাগ্য গণনা করার অজুহাতে শেঠ তনয়ার শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। অসামান্যার চিৎকারে শেঠ জামাতা ছুটে এসে ছদ্মবেশধারী সিরাজকে উত্তম-মধ্যম দেন। সিরাজ সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর একদিন নবাবের দরবার থেকে শেঠজীর নিকট লাল গিলাফে ঢাকা উপহার আসে। গিলাফ সরাতেই দেখা যায় সেখানে রাখা আছে শেঠ জামাতার কর্তিত মস্তক। এবংবিধ জঘন্য মানসিকতা সম্পন্ন সামন্ততান্ত্রিক ক্ষমতাকাঠামোর সাথে আপোষ করে কোন বণিক-ই তার অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে জগৎশেঠের পক্ষেও তা সম্ভব হয় নি। ফলে, বাংলা তথা ভারতবর্ষের বণিকদের প্রতিনিধি হিসেবেই জগৎশেঠ শ্রেণীগত উপলব্ধি থেকে ইংরেজ বণিকের সাথে মৈত্রীর ভিত্তিতে সিরাজকে উৎখাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘকাল ধরে একটি বিপুল জনগোষ্ঠীর মাথার’পর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে থাকা কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অবসানে জগৎশেঠের এই বৈপ্লবিক ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইতিহাস বিস্মৃত ও বিকৃতকারী জাতি হিসেবে অদ্যাবধি আমরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক আর নায়ককে বিপরীত রূপে চিত্রায়িত করে আসছি। এটা নিঃসন্দেহে দূর্ভাগ্যজনক!

—নবাবী আমলের অবসানে জগৎশেঠের ভূমিকা-আবুল খায়ের (বাংলাদেশী কমিউনিস্ট তাত্ত্বিক) ডিসেম্বর ৯, ২০১১

✍️ রামশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়

 #সিরাজউদ্দৌলা,ইতিহাসের ট্র্যাজিক নায়ক, না খলনায়ক?"স্বদেশী আন্দোলনের সময় হিন্দু নেতারা মুসলমানদের মধ্যে থেকে নায়ক খো...
28/03/2024

#সিরাজউদ্দৌলা,ইতিহাসের ট্র্যাজিক নায়ক, না খলনায়ক?

"স্বদেশী আন্দোলনের সময় হিন্দু নেতারা মুসলমানদের মধ্যে থেকে নায়ক খোঁজার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে তাঁরা তরুণ সিরাজের মতন একজন দুর্বল, অপরিণামদর্শী, দুশ্চরিত্র, নিষ্ঠুর যুবককে প্রতীক নায়ক হিসেবে বেছে নেন, তাঁদের ইচ্ছে অনুসারেই নাট্যকারের সিরাজকে গড়ে তোলেন এক রোমান্টিক, আদর্শবাদী, হিন্দু মুসলমানের সমন্বয়সাধক হিসেবে.. " অর্ধেক জীবন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

স্কুল ইতিহাসে সিরাজ একজন "স্বাধীনতা সংগ্রামী", "আমি সিরাজের বেগম" উপন্যাস বা "সিরাজউদ্দৌলা" নাটকের সিরাজ একজন ট্র্যাজিক হিরো, কিন্তু বাস্তবে সিরাজকে কি নায়ক বলা যায়?
সমকালীন কোন তথ্যে, ফার্সি, বাংলা,ফরাসী,ওলন্দাজ, বা ইংরেজি, সিরাজ সম্পর্কে একটিও প্রশংসাবাক্য উচ্চারিত হয় না কেন?

ব্রিটিশদের সঙ্গে সিরাজের শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু ফরাসীরা? ওরা তো সিরাজের বন্ধু ছিল।

জ্যঁ ল দ্য লরিস্তঁ, যিনি ১৭৬৫ সালে পন্ডিচেরীর গভর্নর নির্বাচিত হন, ১৭৫৬-৫৭ সালে ছিলেন চন্দননগরে। তিনি লিখেছেন "কোন ব্যক্তির কুখ্যাতি সিরাজের থেকে বেশী হতে পারে এটা অকল্পনীয়। এই যুবক ইন্দ্রিয়পরায়ণতা আর নিষ্ঠুরতার জন্য কুখ্যাত। এর চ্যালারা স্নানরত অবস্থায় সুন্দরী হিন্দু রমণীদের তুলে নিয়ে যায় মালিকের মনোরঞ্জনের জন্য। এই যুবকের আর একটি কৌতুক বজরার আঘাতে নৌকাডুবি ঘটানো। অনেকবার মাঝনদীতে সিরাজের বজরার আঘাতে যাত্রীবাহী নৌকা জলে ডুবে বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নবাব আলীবর্দীর কাছে কোন মন্ত্রী কিংবা উচ্চবংশীয় ব্যক্তির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করার জন্য সিরাজ এগিয়ে আসত। এমন নৃশংসভাবে হতভাগ্যদের হত্যা করা হত যে স্বয়ং নবাব শহরের বাইরের কোন প্রাসাদে আশ্রয় নিতেন যাতে তাদের আর্তনাদ না শুনতে হয়। সিরাজের নাম শোনামাত্র জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হত। এই নির্বোধ যুবকের সরকার চালানোর মত কোন সামর্থ্য নেই, এ শুধু জানে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে, কিন্তু আসলে এ একজন ভীতু।
এই যুবকের প্রকৃতি রুক্ষ, এ কাপুরুষ এবং গোঁয়াড় । এ সামান্য ব্যাপারে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং বদমেজাজী। এ কাউকে বিশ্বাস করে না, এবং কারও বিশ্বাসের দাম দেয় না। শৈশব থেকে রাজকীয় পরিবেশে বড় হলেও এর ব্যবহারের মধ্যে শিক্ষা বা সৌজন্যবোধের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। "

আরও বিশদভাবে লিখেছেন সিরাজের আত্মীয়, গোলাম হোসেন খান। " যুবরাজ যাকে পছন্দ হত যৌনতৃপ্তির জন্য তাকেই বেছে নিতেন, এমনকি পুরুষ মহিলা ভেদাভেদ করতেন না। নবাব আলিবর্দী খানের সেনাপতিদের নিয়মিত অপমানিত হতে হত সিরাজের কাছে। তাঁরা মুখ খুলতে ভয় পেতেন কেননা অশ্লীল গালাগালি শোনার সম্ভাবনা থাকত। যুবরাজ আলীবর্দীর অমাত্যবর্গের উপদেশ গ্রহণ করতেন না, এবং অমাত্যগণ উপদেশদানে বিরত থাকতেন, আসলে তাঁরা সিরাজের পতনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
পৃথিবী সম্পর্কে সিরাজ ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞ, নিজের কৃতকর্মের কি পরিণাম হতে পারে কখনও চিন্তা করতেন না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে পাপ পূণ্য, ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতেন না। এমনকি কোনও সেনা অভিযানের সময় সবচেয়ে সাহসী এবং দক্ষ সেনাপতিদের কটুবাক্যের ছুরিতে বিদ্ধ করতেও বাধত না সিরাজের। রাজ্যের সবাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করত সিরাজের থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য। "

তবে সিরাজের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছিল তৎকালীন বাংলার ব্যাঙ্কার জগৎশেঠের সঙ্গে শত্রুতা করে। মনে রাখতে হবে এই জগৎ শেঠ ভ্রাতৃদ্বয়ই( মহাতাব রাই আর স্বরূপচাঁদ)কিন্তু আলীবর্দীকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। রাজত্বকালের প্রথম দিকে পুর্ণিয়া আক্রমণের সময় সিরাজ জগৎশেঠেদের থেকে তিন কোটি টাকা চেয়ে বসেন। যখন মহাতাব রাই অর্থপ্রদানে অস্বীকার করেন, সিরাজ তাকে প্রকাশ্যে অপমান করেন। গোলাম হোসেন খান লিখেছেন " জগৎ শেঠের মত বিশিষ্ট নাগরিককে সিরাজ সবার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং বিদ্রুপ করতে শুরু করেন, এমনকি প্রায়ই খৎনা করে দেওয়ার হুমকি দিতেন"।

পলাশীর যুদ্ধের সময় আলীবর্দী খানের বিশ্বস্ত অমাত্য, সেনাপতিগণ এবং জগৎ শেঠ ভ্রাতৃদ্বয় কেন সিরাজের বিপক্ষে চলে গিয়েছিলেন গোলাম হোসেনের বিবরণ সেটা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। সিরাজউদ্দৌলা প্রকৃতপক্ষে ছিলেন বাংলায় নবাবী শাসন ধ্বংস করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকাল প্রতিষ্ঠিত করার অনুঘটক।

তথ্যসূত্র: দ্য অ্যানার্কি। উইলিয়াম ডালরিম্পল।

Address

Calcutta

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Bengal Owl posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Bengal Owl:

Videos

Share



You may also like