13/12/2023
শরয়ী পর্দা করলে যা করা যায় না-
১. হাত মোজাওয়ালা হাতের সাথে বই, ফুল, আংটি, ব্রেজলেট, চিরকুট ইত্যাদির পিক উঠায়ে গাইরে মাহরামদের দেখানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায় না ।
২. বরের পাঞ্জাবিওয়ালা বুকে হাত রেখে পিক উঠিয়ে অন্যদের দেখানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায় না।
৩. সবুজ ঘাসের উপর জুতোওয়ালা পা রেখে সুন্দর সুন্দর ছবি দেওয়া যায় না।
৪. ঈদের সময় হাত ভর্তি মেহেদি দিয়ে সেই হাতের পিক সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায় না ।
৫. বোরকা, নিকাব, হাত-পা মোজা পরেও ফটো আপলোড করা যায় না।
৬. অন্যদের বেপর্দা ফটো আপলোড করা যায় না।
৭. কোর্সের নামে সেলাই, ক্যালিগ্রাফি, আর্ট, শাড়ি পাঞ্জাবিতে আঁকিবুঁকির সময় পাবলিক প্রোফাইল, পাবলিক পেইজে নিজের হাত দেখানো যায় না।
৮. ইনশটে নিজের এডাল্ট ভয়েসকে বাচ্চা রূপ দিয়ে ভিডিও বানিয়ে মজা নেওয়া যায় না।
৯. সাগর পাড়ে, পথের ধারে, জানালা ধরে উড়তে থাকা নিকাব কিংবা হিজাবের আঁচল উড়িয়ে এর ভিডিওর সাথে নাশিদ লাগিয়ে আপলোড করা যায় না।
১০. চোখের মায়ার কাল কুঠরি তো দূর, চোখের একটি পাপড়িও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যায় না।
১১. যেই পোশাকটি পরিধান করি, যেটি একান্তই আমার পোশাক, সেই পোশাকের উপর এটা ওটা রেখে ফটো স্যুট করা যায় না। সেই পোশাকের কোনো অংশও আপলোড করা যায় না।
১২. দুইদিন পর পর স্টোরিতে বোরকা পরে ভেলকিবাজি তো দূরের কথা; নিজের একটা শরীরের ছায়া পর্যন্ত আপলোড করার সাহস আসে না।
এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন !
শরয়ী পর্দা করতে আমি কত শতাংশ সফল হয়েছি?
এসব করতে আত্মসম্মান এ লাগে। আপনি পর্দা করছেন কাকে দেখানোর জন্য?
কাকে খুশি করার জন্য?
40°/41° তাপমাত্রা তে অন্যরা যখন প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে যায় তখন আপনি আপাদমস্তক ঢেকেই বাইরে বের হন।
এসব করেন শুধু মাত্র আপনার রব কে খুশি করার জন্য। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এতো লৌকিকতা কেনো?
বোরকা পরা আর পর্দা করা কি একই টার্ম?
বোরকা পরে সব করতে পারলেও পর্দা করে সব করা যায় না।
লেখা: সংগৃহীত🌻