15/09/2023
15 sep...
হ্যাঁ আমরা ইঞ্জিনিয়ার ।
সমাজের তথাকথিত নেশাখোর,গাঁজাখোর, মাতাল, চরিত্রহীন, বেকার ।
আমরা ইঞ্জিনিয়ার ।
আমি কোন প্রফেশনকে ছোট করবো না । But আমি কিছু কথা বলতে চাই , যারা এই ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দ টা নিয়ে এরম মন্তব্য করে তাদের জন্য , আর আমার ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুদের জন্য ।
যারা আমাদের এই ইঞ্জিনিয়ারদের নামে এরকম কথা গুলো বলে , তারা কিন্তু আমাদের লাইফ এর স্ট্রাগল গুলো জানে না । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসছে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা , যাদের চোখে থাকে অনেক স্বপ্ন ,মাথার উপর থাকে অনেক দায়িত্ব । যাদেরকে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় তুমি ভালো চাকরি যদি না করো তাহলে তোমার লাইফ বৃথা
তারা আছে একমাত্র একটা সোর্স অফ ইনকাম এর জন্য । যে চার বছর পড়াটা কমপ্লিট হলে আমি একটা জায়গায় চাকরি করব । সেই কারণে তারা আসে ।
তাদের স্বপ্ন এরকম ভাবে ভেঙে দেবেন না। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ঢোকার আগে তাদের কে এটা বলে ভয় দেখানো হয় , তাদের আশাটা শেষ করে দেওয়া হয় যে কি করবি বেকার বসে থাকবি , কত ইঞ্জিনিয়ার বেকার বসে রয়েছে । মেডিকেলের ক্ষেত্রে বসে নেই কেউ ? আমি দেখাব একটা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আমাদের ইন্ডিয়াতে 20 -33% doctors are unemployed . কই তাদের ক্ষেত্রে তো বলা হয় না । খালি আমাদের ক্ষেত্রে কেন বলা হবে , আর এই যে আনএম্প্লয়মেন্ট এটার জন্য দায়ী আমরা নয়।
একটু বিদেশে যান অন্যান্য দেশে গিয়ে দেখুন যে ইঞ্জিনিয়ারদের কোন জায়গায় রাখা হয়। বাইরের কত দেশ আমাদের এখান থেকে ইঞ্জিনিয়ার হায়ার করে নিয়ে যায় ।
এই যে এত এত টেকনোলজি ইউজ করছেন না , মোবাইল ফোন ,Ac , ইন্টারনেটের বিভিন্ন রকম জিনিস সার্চ করছেন , এগুলো না আমাদের এই ইঞ্জিনিয়ারদের ই অবদান ।
মেডিকেল ফিল্ডে ইসিজি মেশিন ইউজ করেন, সুন্দর সুন্দর এক্সরে মেশিন ইউজ হয় , আইটি সেক্টরে কম্পিউটার , ল্যাপটপ , তাছাড়া আপনার হাতে থাকা মোবাইল কারা তৈরি করেছে , এই ইঞ্জিনিয়ার গুলোই। আপনাদের সমাজের তথাকথিত নেশাখোর , টুকে পাস করা, বেকার এই সমস্ত মানুষ তৈরি করেছে । সুতরাং তাদেরকে তাদের ক্রেডিট গুলো দিতে শিখুন । তারা হয়তো জানেনা যে আমাদের দেশের রেভিনিউ কত পারসেন্ট IT ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসে । সফটওয়্যার রপ্তানি করে আমাদের দেশের কতটা রেভিনিউ জেনারেট হয় ।
একটা দেশের স্বাস্থ্য ,প্রযুক্তি ,সামরিক, শিক্ষা পরিবহন এই সমস্ত ক্ষেত্রেই না একটা ইঞ্জিনিয়ার এর অবদান অনেক -অনেক -অনেক ।
সেটা একবার ভেবে দেখবেন ।
এই সমস্ত ফালতু ট্যাগ গুলো আমাদের গায়ে লাগানোর আগে ।
এরপর আসছে ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের স্ট্রাগলের কথা ই । আপনারা কীভাবে বুঝবেন যে হঠাৎ করে বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে সারা জীবন পড়ে , হট করে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে গিয়ে ইংলিশে সবকিছু পড়তে হয় আমাদেরকে, সব কিছু লিখতে হয় সেই স্টাইলটাও আমরা করি । কলেজে ফ্রেশার্স এ গিয়ে আমাদেরকে অনেকের চাটন খেতে হয় , আমরা সেখানে আমাদের নিজেদের লজ্জা পর্যন্ত বিক্রি করে দিই । আর হ্যা সেইদিনকে আমরা আমাদের লজ্জাটা বিক্রি করতে পারি বলেই আমরা প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠি । আমরা সমস্ত জিনিস কে ডিফারেন্ট এঙ্গেল থেকে ভাবতে পারি, বুঝতে পারি।
আমরা ইঞ্জিনিয়ার রায় পারি ছয় মাসের পড়া একরাতে পড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে । ওটাকে টুকে কাজ করা বলে না ।
আসলে ইঞ্জিনিয়াররা খোলামেলা ভাবে বাঁচতে জানে , খোলামেলাভাবে উড়তে জানে , ওরা স্বপ্ন দেখতে জানে, আর সেটা পুরন ও করতে জানে ।
তাই plzzz ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এরকম খারাপ খারাপ মন্তব্য করবেন না । আমরা ইঞ্জিনিয়ার..রায় পারি কোন একটা বন্ধ হয়ে যায় ইঞ্জিনকে আবার চালু করতে। আমরা ইঞ্জিনিয়ররা পারি ।
আচ্ছা এবার আসি নেশার কথাই। যারা বলে যে ইঞ্জিনিয়াররা নেশাখোর , সমাজে অনেকেই বলে ।
তা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কি সমাজের আর কেউ নেশা করে না ?
মানে সমাজের যত নেশা দ্রব্য বিক্রি হয় সেটার পুরোটাই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্টরায় , আর ইঞ্জিনিয়ার রায় কেনে ,বাকি আর কেউ কেনে না ।
বাঃ !!
আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান টা কি সেটা একটু ভেবে দেখবেন । এই যে গাড়িতে চড়ছেন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং , এই যে সুন্দর সুন্দর বাড়ি ঘর তৈরি হচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং , মোবাইল ইউজ করছেন চিপ ডিজাইনিং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং । সমস্ত ইউনিয়ের যদি নিজেদের কাজ বন্ধ করে দেয় না গোটা দুনিয়া অন্ধ হয়ে যাবে । অনেক পিছিয়ে যাবে So plzzz ইঞ্জিনিয়ার মানেই বেকার ,নেশাখোর এই কথাগুলো বলবেন না ।
ইঞ্জিনিয়ার মানেই তাকে চাকরি করতে হবে তার কোনো মানে নেই| অনেক অনেক ইঞ্জিনিয়াররা সাকসেসফুল বিজনেস ম্যান
হুমম 😅
আপনারা আর কি বুঝবেন । আপনারা তো ওই একটা সরকারী চাকরী হলেই সে ভালো নয়তো খারাপ এভাবে করে জার্জ করেন।
তবু এটা বলাটা দরকারি , কারণ আজ ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর মানুষ একটা ডিফারেন্ট অ্যাঙ্গেল থেকে কথা থ্রো করে ।
আমরা ইঞ্জিনিয়াররাই জানি একটা থ্রি সিটের বেডে কি করে একজন একসাথে ঘুমাতে হয়, আমরা ইঞ্জিনিয়ার রাই জানি যে রাত দুটোর সময় কিভাবে ম্যাগি বানিয়ে খেতে হয়, কি করে সারারাত না ঘুমিয়ে কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ করতে হয় ,
আমাদের রাতের ঘুম শুরু হয় ভোর চারটে থেকে , কিন্তু আমরা যে টুকুন পড়িনা সেটাকে আমরা প্র্যাকটিক্যালি ইমপ্লিমেন্ট করতে জানি ।
That's where we are engineer.
একটা বন্ধ হওয়া ইঞ্জিন কে আমরা চালু করতে জানি , so plzzz এরকম ফালতু কথা গুলো আর বলবেন না ,
শেষ পর্যন্ত একটাই কথা বলি ,হ্যা আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার ।
I Proud to be an engineer.