26/10/2023
ঢাকা শহরে ডিভোর্সের সংখ্যা প্রতিদিন হুহু করে বাড়ছে। স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স দিচ্ছে, স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে স্বামীকে। সংসারটা যেনো আজকাল পুতুল খেলার আসর—খেলতে ভালো না লাগলেই ভেঙে দিয়ে উঠে যাওয়া যায়। স্বামী সহ্য করে না স্ত্রীর সামান্য ভুল অথবা চিন্তার অমিল। স্ত্রী সহ্য করে না স্বামীর সামান্য ত্রুটিও।
বিয়ে জিনিসটা আগে ছিলো আত্মার মেলবন্ধন। সেটা এখন কাগজে মোড়ানো মোয়ার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাগজে মোড়ালে জোড়া, কাগজ খুলে ফেললেই উদোম। বিয়ে ভাঙার চিন্তাগুলো আমাদের সমাজে এতো তড়িৎ, এতো হঠকারিভাবে নেওয়া হয় যে—ভাঙনের পরের যে জীবন, সেই জীবনে এর সমূহ প্রভাব নিয়ে কেউ তেমন ভাবতে চায় না।
আমার সব সময় মনে হয়—আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ‘হও’ বললেই সবকিছু হয়ে যায়, তথাপি কেনো তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে ছয় ছয়টা দিন সময় নিলেন? তিনি ‘কুন ফায়াকুন’ বললেই তো আসমান-যমিন মুহূর্তে ধূলিস্যাৎ হয়ে যেতে বাধ্য, কিন্তু তবুও—কেনো তিনি কিয়ামত সংঘটিত করার ঘোষণা দিয়েছেন ধীরে ধীরে, একটার পর একটা ঘটনার মাধ্যমে? এই ভাবনা থেকে যে জিনিসটা আমি শিখেছি তা হলো—সৃষ্টি কিংবা ভাঙন—যেকোনো বিষয়ে ‘সময়’ নেওয়াটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার অনুসৃত কর্মপদ্ধতি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা হলেন আলিমুল গায়িব। কোনোকিছু সৃষ্টি করবার আগেই তিনি জানেন সৃষ্টি-পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে। কোনোকিছু ভাঙনের আগেই ভাঙন-পরবর্তী অবস্থাও তাঁর জানা।ভূত-ভবিষ্যৎ সবকিছুই যার সামনে উন্মুক্ত, সেই সত্ত্বা যদি কোনোকিছু সৃষ্টি করার বেলায় এবং ভাঙার বেলায় এতোখানি সময় নিতে পারেন, তাহলে বিয়ের মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে জড়ানো কিংবা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমাদের কতোখানি সময় নেওয়া উচিত?