Bengali lifestyle and culture

Bengali lifestyle and culture আমি বাঙালী এটাই আমার গর্ব।এটাই আমার অহংকার।

এটা দেখে এত কান্না পাচ্ছে কেন?বাবাদের কান্না পায় বলে?
18/08/2024

এটা দেখে এত কান্না পাচ্ছে কেন?
বাবাদের কান্না পায় বলে?

সবার সত্যি কথা বলার সৎ সাহস থাকে না, এনাদের সেটা আছে।Sw****ka Mukherjee &  Mitra ❤️
18/08/2024

সবার সত্যি কথা বলার সৎ সাহস থাকে না, এনাদের সেটা আছে।

Sw****ka Mukherjee & Mitra ❤️

এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই 🙂
16/08/2024

এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই 🙂

একটি ছোট্ট ভয়ের গল্প!!😭😭
14/08/2024

একটি ছোট্ট ভয়ের গল্প!!😭😭

দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা?? অধিকাংশ ঘটিদের জন্য এটি স্বর্গ ❤️ এক বাটি ভালোবাসা ❤️
09/08/2024

দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা??
অধিকাংশ ঘটিদের জন্য এটি স্বর্গ ❤️
এক বাটি ভালোবাসা ❤️

প্রশ্নটা সবার কাছে রইলো ....
02/08/2024

প্রশ্নটা সবার কাছে রইলো ....

01/08/2024
মৃত্যুর পরেও যিনি করেছেন মানুষের উপকার..বিদ্যাসাগর তাঁর সারা জীবনে প্রচুর মানুষের উপকার করেছিলেন কিন্তু প্রতিদানে উপকৃতর...
31/07/2024

মৃত্যুর পরেও যিনি করেছেন মানুষের উপকার..

বিদ্যাসাগর তাঁর সারা জীবনে প্রচুর মানুষের উপকার করেছিলেন কিন্তু প্রতিদানে উপকৃতরা তাঁর শুধু সমালোচনাই করেছিলেন।

নীচের ছবিটি নিমতলা মহাশ্মশানে তার মরদেহের ছবি, যে ফটোগ্রাফার ছবিটি তুলেছিলেন তিনি তার ফটোগ্রাফী ব্যবসার সূচনায় দিল্লিতে একটি দোকান করেন। কিন্তু ব্যবসায় প্রভূত লোকসান হওয়ায় নিতান্ত বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফিরে এসে যখন আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছেন..

সেসময় ওনার ডাক পড়ে নীচের ফটোটি তোলবার জন্য। ফটোটি তোলবার সময় তাঁর মুখটা দেখা যাচ্ছিল না, তাই শবযাত্রীবৃন্দ মৃতদেহকে ঠেলে কিছুটা উপরের দিকে তুলে দেন। ফটোটি কার জানেন আমার আপনার প্রানের প্রিয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের..

সেই ফটোগ্রাফারই বোধহয় একমাত্র যিনি বিদ্যাসাগর সমন্ধে বলেছিলেন --

“ তৎকালে ধনাঢ্য লোকের তো কথাই নাই, মধ্যবিত্ত গৃহস্থ পর্যন্ত এই ছবি কিনিয়া গৃহে রাখিয়া দিয়াছিলেন.. দিল্লিতে থাকিয়া যে লোকসান দিয়াছিলাম, কলিকাতায় আসিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কৃপায় তাঁর চতুর্গুণ লাভ করিয়াছি। একটি কথা আপনাদিগকে প্রাণ ভরিয়া বলিতেছি, বিদ্যাসাগর মহাশয় জীবিত থাকিয়া অনেকের অনেক উপকার করিয়াছিলেন, কিন্তু মৃত্যুর পরেও তিনি আমার এই পরম উপকার করিলেন...!

তিনি কি শুধুই সমাজ সংস্কারক? বিদ্দ্বান? শিক্ষাবিদ? মাতৃভক্ত? বর্ণপরিচয়ের জনক? না, তিনি এসবের উর্ধে আরও বিরাট মাপের এক মানুষ যাকে স্বয়ং রামকৃষ্ণ দয়ার সাগর রূপে বর্ণনা করেছিলেন।

আসুন, আধুনিক ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যিনি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করেছিলেন সেই বিদ্যাসাগরকে অন্তত কিছুটা সম্মান জানিয়ে তাঁর প্রতি আমাদের ঋণ কিছু মাত্র হলেও শোধ করি।

বাস্তুহারা ...১৯৭১ ছবিতে আছেন ৯৯ বছরের একজন বৃদ্ধা এবং তার ৬৩  বছর বয়সী সন্তান। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন (অক্টোবর ৭১) ...
27/07/2024

বাস্তুহারা ...১৯৭১ ছবিতে আছেন ৯৯ বছরের একজন বৃদ্ধা এবং তার ৬৩ বছর বয়সী সন্তান। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন (অক্টোবর ৭১) সীমান্ত সংলগ্ন বনগাঁও এলাকা দিয়ে ভারতের বাগদা (Bagda) 'য় প্রবেশের মুহূর্তে photographer সন্তোষ বাসাক এই দুর্লভ ছবিটি তুলেন। বাসাক সেই লোকটিকে জিজ্ঞেস করেছিলো, 'কে এই বৃদ্ধা মহিলা? ' উত্তরে লোকটি জানায়, 'তিনি আমার মাতা। আমার মা এখন একটি শিশুর মতো। তিনি ঠিকমতো হাটতেও পারেন না। এই অবস্থায় আমি তাকে ছেড়ে কিভাবে যাই!!' ★ *উল্লেখ্য, এই ছবিটি পরবর্তীতে World Press Photo 1972 পুরস্কার লাভ করে।

কার্টেসি --Bangladesh Old Photo Archive Photographer- Sontosh Basak

টাকা ইনকামের জন্য ফেসবুক একটা নতুন ফন্দি বের করেছে যার নাম ⭐️monetization. শুরুর দিকে শর্ত ছিলো যে, যেসব পেজে একহাজার ফল...
18/07/2024

টাকা ইনকামের জন্য ফেসবুক একটা নতুন ফন্দি বের করেছে যার নাম ⭐️monetization. শুরুর দিকে শর্ত ছিলো যে, যেসব পেজে একহাজার ফলোয়ার থাকবে তারা এই ⭐️মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। তারপর ব্যাঙ্ক একাউন্ট যুক্ত করে ⭐️ সেট আপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্যাস তারপর থেকেই ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে গেলো। অনেকেই ফেসবুক থেকে টাকা পাওয়ার আশায় দিন রাত এক করে কাজ করতে শুরু করে দিল। কয়েকমাস পরে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা জানতে পারলো ⭐️একটা আকাম বস্তু। স্টার পাওয়া অত সহজ নয়।

⭐️ কি জিনিস?? : ফেসবুকে আমরা কিছু পোস্ট করলে অনেকেই তাতে কমেন্ট করে, রিয়েক্ট করে। এবার থেকে শুধুমাত্র লাইক কমেন্ট ছাড়াও কেউ কেউ পোস্ট দেখে আপনাকে ⭐️ পাঠাতে পারবে। সেগুলো মনিটাইজেশন টুলে জমতে থাকবে।এরকম ১০০ টি ⭐️পেলে তারপর এক ডলার হবে। এবং যেদিন আপনার ১০০ ডলার পুর্ন হবে সেদিন ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকবে।

⭐️ কোথায় পাওয়া যায়?? : যে ব্যাক্তি আপনাকে স্টার দেবেন তাকে আবার এই ⭐️ টাকা দিয়ে ফেসবুকের কাছ থেকে কিনতে হবে। মোটামুটি ভারতীয় ১০০ টাকায় ৫৫ টি ⭐️ কেনা যায়। এগুলোর জন্য ফেসবুকে একটা ওয়ালেট বানাতে হয়। দেশ ভিন্নে ⭐️ দাম হেরফের হয়। তবে এই বিশেষ ⭐️ ফেসবুক ছাড়া অন্য কোথায় কিনতে পাবেন না। ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড দিয়ে ⭐️কিনতে হয়।

⭐️ কারা দেয়?? : সাধারণত যাদের টাকায় চুলকায় তারা প্রথমে ফেসবুক থেকে ⭐️ কিনে ওয়ালেটে রাখে। তারপর সেগুলো বিলিয়ে দেয়। লাইক, কমেন্ট, রিয়াক্ট তো সবাই দেয় কিন্তু ⭐️দেয় শুধুমাত্র বড়লোক। ⭐️ বিলিয়ে বড়লোক প্রমান করা ব্যাক্তিরা বেশিরভাগ সময় মহিলা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ⭐️ দিয়ে থাকেন। মহিলারা কেউ কেউ ⭐️পেয়ে ⭐️ দাতাকে বিভিন্ন ভাবে খুশি করতে চেষ্টা করেন। এ এক সাসপিশাস সিক্রেট গেম😜

⭐️ কারা বেশি পায়??? খুব ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর না হলে পুরুষ মানুষের কপালে ⭐️জোটে না। আমি গত ২ বছরে আমার পেজে একটাও ⭐️পাইনি। কিন্তু পাশের বাড়ির টেপির মা ড্যান্স ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার ⭐️ পাচ্ছেন। বিশেষ করে ড্যান্সার লেডিদের নৃত্য প্রদর্শনী দেখে দেশি বিদেশি দর্শকরা ⭐️দিয়ে থাকে। অনেকটা গভীর রাতে পাড়ার মোড়ের ফাংশনে ড্যান্সারদেরকে যেসব মানুষ টাকা দেয়, সেরকম ফেসবুকে কিছু মানুষ পোস্টে ⭐️ দেয়।

তবে আগেই বলেছি পুরুষ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খুব ভালো কাজে কেউ কেউ ⭐️ দিয়ে থাকে। তবে তাদের সংখ্যা অনেক কম।🙏🙏

পোস্ট টি থেকে কিছু শিখে থাকলে কোনো ⭐️ দিতে হবে না। শুধুমাত্র একটা লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দেবেন 🙏🙏🥀🥀
ধন্যবাদ 🙏🙏

কাউকে ইচ্ছাকৃত ভাবে দুঃখ দিতে বা কাউকে উদ্দেশ্য করে পোষ্টটি করিনি,তবুও কেউ মনে দুঃখ পেলে ক্ষমা চাইছি আন্তরিক ভাবে 🙏🙏

আপনারা আমার আইডি ফলো করতে পারেন এমনি তথ্যবহুল পোস্ট পেতে।

এক ভদ্রলোক নিজের ছেলের বিয়ে দিচ্ছে। তার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী খরচ করছে। নাচিয়ে, গাইয়ে ডেকেছে। কারো কাছে ধার, বাকি করেছে ...
17/07/2024

এক ভদ্রলোক নিজের ছেলের বিয়ে দিচ্ছে। তার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী খরচ করছে। নাচিয়ে, গাইয়ে ডেকেছে। কারো কাছে ধার, বাকি করেছে বলে জানিনা। কিছুতেই বুঝতে পারছি না এতে এত লোকের জ্বলে যাচ্ছে কেন। কিছুদিন দেখলাম বিয়ের খরচা তোলার জন্য নাকি রিচার্জের খরচ বেড়েছে। এইসব শুনে ঘোড়াও হাসবে।
আচ্ছা বলুন তো জিও এর পর ভোডাফোন ও এয়ারটেল কেন রিচার্জ এর দাম বাড়াল? তারা তো না বাড়াতেই পারত, এতে তো অনেক জিও ইউজার এয়ারটেল বা ভোডায় পোর্ট করত, যদিও এ নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে না, বাদ দিন

আচ্ছা, ধরুন আপনার ছেলের বিয়েতে আপনার 5 লক্ষ টাকা খরচ করার সামর্থ আছে। আপনাকে বলা হল 1 লক্ষ টাকা গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে। দেবেন? ব্যস, ওমনি আঁতকে উঠেছেন নিশ্চয়ই। একটা সহজ হিসেব বোঝার চেষ্টা করুন। একজন শিল্পপতি ব্যবসা করতে নেমেছে। দান খয়রাতি করতে নামে নি। তাই বিয়ের খরচের টাকা বিলি করলে দেশের মানুষের কি উপকার হত - এইসব বালখিল্য কথা বলা বন্ধ করুন।

একটা দেশের আইন মেনে, ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা শিল্পপতিকে এমন পাবলিকলি গালাগালি এক মাত্র ভারতেই সম্ভব। বরং আমি বলব আম্বানিদের বিয়ে নিয়ে এই বিপুল খরচ দেশের জন্যই ভাল হয়েছে। যদি 5000 কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে তাহলে তার সিংহভাগই দেশেরই কোন না কোন মানুষের হাতে গেছে। বিদেশের So called Dream Destination এ গিয়ে বিয়ে না করে, নিজের দেশেই এই আয়োজনের জন্য আম্বানিদের সাধুবাদ দেব।

মহাপ্রয়াণ দিবসে স্বামীজীকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।🙏🙏🙏
04/07/2024

মহাপ্রয়াণ দিবসে স্বামীজীকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
🙏🙏🙏

❣️হতাশ হবেন না..😊বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেন তখন তার বয়স ৫৫ বছর।অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্...
21/06/2024

❣️হতাশ হবেন না..😊বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেন তখন তার বয়স ৫৫ বছর।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তখন তার বয়স ৬৯ বছর।

ঢাকায় যখন সকাল ৫ টা বাজে, লন্ডনে তখন রাত ১১ টা।
সময়ের হিসেবে লন্ডন, ঢাকার থেকে ছয় ঘণ্টা পিছিয়ে..
এতে কিন্তু প্রমাণ হয় না যে, লন্ডন ঢাকার থেকে স্লো (slow)!

পৃথিবীর সবকিছু আপন গতিতে এবং নিজ সময় অনুযায়ী চলে।
কেউ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২২ বছর বয়সে..
কিন্তু চাকরি পেতে আরো ৫ বছর লেগে যায়।
আবার কেউ ২৭ বছরে গ্রাজুয়েশন শেষ করে পরের দিনই চাকরি পেয়ে যান!

অনেকে ২৫ বছর বয়সে কোম্পানির CEO হয়ে, মারা যান ৫০ বছর বয়সে।
আবার অনেকে ৫০ বছর বয়সে CEO হয়ে, মারা যান ৯০ বছরে।
কেউ ৩৩ বয়সে এখনও সিঙ্গেল,
আবার কেউ ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন!

মনে হতেই পারে, পরিচিতদের মধ্যে আপনার থেকে কেউ অনেক এগিয়ে আছেন,
আবার কেউ আছেন অনেক পিছিয়ে।
কিন্তু আপনার ধারনা ভুল..
প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ সময়, অবস্থান এবং গতিতে আছেন।
আগে থাকাদের প্রতি অভিযোগ না করে, পিছিয়ে থাকাদের অবহেলা না করে,
সব সময় শান্ত থাকুন।

আপনি এগিয়েও নেই, পিছিয়েও নেই!
আপনার পথ আপনার, অন্যের পথ অন্যের।
শুধু সময়কে গুরুত্ব দিয়ে পরিশ্রম করে যান..

🔥যার কেউ নেই,
তার ইশ্বর আছে।
যার আছে,
তার সবই আছে।
একদিন ঠিকই সফল হবেন। ❤️

ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটাকে জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় খাবার নষ্টের অপরাধে ৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়। এই সামান্য অর্থ তাঁর জন্য ...
09/06/2024

ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটাকে জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় খাবার নষ্টের অপরাধে ৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়। এই সামান্য অর্থ তাঁর জন্য বড় কোনো বিষয় ছিল না। তবে সেদিন রেস্তোরাঁয় গিয়ে তিনি যা শিখেছেন, তিনি তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

তিনি লেখেন— “বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জার্মানি। একবার সহকর্মীকে নিয়ে হামবুর্গে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম আমি। যেহেতু আমরা খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম, সেজন্য বেশ অনেকটা খাবার অর্ডার করেছিলেন আমার সহকর্মী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাবারই ছুঁয়ে দেখা হলো না আমাদের।"

এরপর আমি ও আমার সহকর্মী যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ওই সময় এক বয়স্ক মহিলা বিরক্ত হয়ে বললেন, “তোমাদের খাবার নষ্ট করা উচিত হয়নি।”

সহকর্মী ওই মহিলাকে উত্তর দিল, “আমরা টাকা দিয়ে খাবার কিনেছি। খাবার খাব না ফেলে দেব এটাতে তোমার মাথা ঘামানোর কী আছে?”

এই উত্তরে বেশ ক্ষেপে গেলেন ওই মহিলা। সঙ্গে থাকা আরেকজন তৎক্ষণাৎ ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার পোশাক পরা এক ব্যক্তি এসে হাজির হলেন।

ওই ব্যক্তি সবকিছু শুনে আমাকে এবং সহকর্মীকে ৫০ ইউরো জরিমানা করে বসলেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যাই আমি।

তারপর সেই কর্মকর্তা রাগান্বিত সুরে বললেন: "তুমি যা খেতে পারবে, শুধুমাত্র তাই অর্ডার কর। ❝টাকা তোমার ঠিকই, কিন্তু সম্পদ সমাজের❞

এই পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা খাবারের অভাবে ভুগছে। সম্পদ নষ্ট করার কোনো অধিকার তোমার নেই।"

-(সংগৃহীত)

বেহালার ইতিকথার কথা কতটা জানেন?বেহালা জায়গাটার অস্তিত্ব কলকাতা শহরের অনেক আগে থেকে রয়েছে| কতদিন আগে? তা ধরুন আজ থেকে আটশ...
31/05/2024

বেহালার ইতিকথার কথা কতটা জানেন?
বেহালা জায়গাটার অস্তিত্ব কলকাতা শহরের অনেক আগে থেকে রয়েছে| কতদিন আগে? তা ধরুন আজ থেকে আটশ’ বছর আগের কথা| লখিন্দরের শবদেহ নিয়ে বেহুলার ভেলা গাঙুড় নদী দিয়ে ভেসে গিয়েছিল সাগরের পথে| সে যুগে নদীগুলোর গতিপথ ছিল অন্যরকম| এখনকার হুগলি নদীর গতিপথ তখন এইরকম ছিল না| আদিগঙ্গা বলে আমরা এখন যাকে চিনি, সেই খাতটি দিয়ে বয়ে যেত পতিতোদ্ধারিনী বিশাল গঙ্গা নদী| আদিগঙ্গা কলকাতার কাছে একটা বাঁক নিয়ে চিত্পুর, বেতড়, কালিঘাট, বারুইপুর হয়ে গঙ্গাসাগরে গিয়ে মিশতো| শোনা যায় বেহুলার ভেলা আদিগঙ্গা দিয়ে ভাসতে ভাসতে এসে থেমেছিল এক ঘাটে| সে ঘাটের নাম হয়ে যায় “বেহুলার ঘাট”| কালক্রমে বেহুলার ঘাট লোকমুখে হয়ে যায় “বেহালা”| এটা মোটামুটিভাবে বারশ’ শতকের কথা| পালরাজাদের রাজত্ব চলছে বাংলায়| এসময়েই লেখা হয় মনসামঙ্গল কাব্য| তারও আগে থেকে আরো অন্তত বহু বছর ধরে মুখে মুখে ফেরা মানুষের গান হয়ে বেঁচে ছিল মঙ্গলকাব্যগুলি|

এই সময়, অর্থাত বারো’শ শতকে বেহালা ছিল সুন্দরবনের অংশ| তখন এই অঞ্চলে বাস করত প্রচুর জেলে এবং মধুকর| এদের জমিদার ছিলেন এক কুলীন কায়স্থ, নাম ধনঞ্জয় মিত্র| বেহালার প্রথম শাসক বা নেতা হিসেবে তাঁর নামই পাওয়া যায়| তিনি ছিলেন চন্ডীর উপাসক| দেবী চন্ডীর আর একনাম বহুলা| অনেক গবেষকের মতে বহুলা দেবীর নাম থেকে জায়গার নাম হয় বেহালা| কালিঘাট (তখন নাম ছিল কালীক্ষেত্র বা কালিপীঠ) আর গঙ্গাসাগরের পথে পুন্যলোভাতুরা তীর্থযাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকতো| নদীপথে বানিজ্যের একটা বড় সুবিধা ছিল| ফলে স্বাভাবিক কারণেই এই অঞ্চলটি ধীরে ধীরে বর্ধিষ্ণু হতে থাকে| ক্রমে ক্রমে হয়ে ওঠে একটা জমজমাট অঞ্চল| কলকাতা শহর তো দুরের কথা, জব চার্নকের দাদু-ঠাকুর্দাও তখনো সূর্যের আলো দেখেন নি| এসময়ে বেহালা ছিল অনেকগুলো ছোটো ছোটো গ্রাম নিয়ে তৈরী একটা জনপদ| প্রতিটি গ্রামের নামের শেষে -বেহালা কথাটা জোড়া থাকতো| যেমন বাজারবেহালা, বোঁড়শেবেহালা (বড়িশা), সরশুনোবেহালা (সরশুনা) ইত্যাদি। এমনকি পুরসভার নথিপত্রেও রাজারবাগানবেহালা, সাহাপুরবেহালা, নস্করপুরবেহালা, সন্তোষবাটিবেহালা এইসব নামের উল্লেখ পাওয়া যায়|

পঞ্চদশ শতকে বারো ভূইয়াঁর একজন ছিলেন বসন্ত রায়| তাঁর রাজধানী ছিল সরশুনোবেহালা| সরশুনোর ইতিহাস সম্ভবত আরো বেশ কয়েকশো বছর আগেকার| গ্রীক পন্ডিত টলেমির (১০০-১৭০ সাল) আঁকা ইন্ডিয়ার ম্যাপে “বেসিন সালসুনো” খুঁজে পাওয়া যায়| বহু পুরোনো পুঁথিপত্রে সরশুনো, রায়গড় এইসব জায়গার উল্লেখ আছে| বসন্ত রায়কে হত্যা করে বেহালা সহ চব্বিশ পরগনা দখল করেন যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য| দিল্লির মসনদে তখন সম্রাট আকবর| আকবরের সেনাপতি রাজা মানসিংহ যশোররাজ প্রতাপাদিত্যকে পরাজিত করেন| সেই যুদ্ধে মুঘল সেনাপতিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এক বঙ্গসন্তান| তাঁর নাম লক্ষীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়| ইতিমধ্যে আকবরের মৃত্যুর পর জাহাঙ্গীরের আদেশে রাজা মানসিংহ ১৬০৮ সালে চব্বিশ পরগনা, বাংলাদেশ এবং মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জায়গীরদারি দেন লক্ষীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়কে| লক্ষীকান্ত এসময় রায়চৌধুরী উপাধি পেয়েছিলেন| তাঁর রাজধানী ছিল বড়িশা বা বোঁড়শেবেহালা| তিনিই সম্ভবত বাংলাদেশে প্রথম দুর্গাপূজা শুরু করেন| এই লক্ষীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়েরই উত্তরপুরুষ হলেন বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার| আর এইসব ঘটনার প্রায় একশো বছর পর তৈরী হওয়া কলকাতা শহরের ইতিহাসে বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের কথা কে না জানে?

দেখি কারা কারা বলতে পারেন এগুলো কোন মাছ ভাজা?
27/05/2024

দেখি কারা কারা বলতে পারেন এগুলো কোন মাছ ভাজা?

দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন যে ভদ্রলোক, সাধারণ পোশাকে খালি পায়ে, হাতে কমদামী ঘড়ি ও তিন টাকা দামের পেন নিয়ে, কী যেন ...
25/05/2024

দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন যে ভদ্রলোক, সাধারণ পোশাকে খালি পায়ে, হাতে কমদামী ঘড়ি ও তিন টাকা দামের পেন নিয়ে, কী যেন সব লিখে চলেছেন !!

আসুন, পরিচয় পর্বটা সেরে ফেলা যাক...

ইনি কর্ণাটক রাজ্যের মন্ডয়া-র একজন কৃতী সন্তান, নাম :-- শংকর গৌড়া। ডিগ্রী :-- এম.বি.বি.এস,,,, এম.ডি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডিগ্রী প্রাপ্ত।

নিজস্ব কোনো চেম্বার নেই। একটা অত্যাধুনিক চেম্বার বানাতে, কয়েক লাখ টাকা খরচ, এতো টাকা পাবেন কোথায়??

তাছাড়া, নিজের পৈত্রিক ২ কামরার ঘর থেকে বহু দূরে। পেশেন্ট আসবেন কী করে?? যাতায়াতের খরচই বা পাবেন কোথা থেকে??

প্রতিদিন সকাল ৮ টায় পৌঁছে যান, একটা ফাস্ট-ফুডের দোকানের রকে। সেখানে বসেই রোগী দেখা,, যতক্ষণ না রোগীর লাইন শেষ হয়। ওষুধও লেখেন সস্তা দামের সহজলভ্য !!
ওষুধে কাজ হয় কিনা,, সেটা লাইন দেখেই প্রমাণ পাওয়া যায় !!

ডাক্তার বাবুর ভিজিট কত জানেন??
হাসবেন না, প্লিজ...
৫ টাকা মাত্র। হ্যাঁ,, ঠিকই শুনেছেন,, ৫ টাকা !!

আজকের যুগে, যেখানে চিকিৎসার নামে, গরীবের পকেট লুটপাট করা হচ্ছে... যেখানে অসহায় রোগীর পরিবারকে পথের ভিখারী করে দেওয়া হচ্ছে,,
এই যুগে ডক্টর শংকর গৌড়া,, গরীবের কাছে ফেরেশতা স্বরূপ !!

এমন একজন মানুষের জন্যে মানবতা গর্বিত। আপনি দীর্ঘজীবি হন স্যার.....✊❤️

ছেলেরা আকার ইঙ্গিতে আমায় বৃদ্ধাশ্রমের কথা বলে। বিষয়টা এতদিন না বুঝলেও এখন ঠিকই বুঝি। গতরাতে বড় ছেলে এসে বলল:-  বাবা তোমা...
19/05/2024

ছেলেরা আকার ইঙ্গিতে আমায় বৃদ্ধাশ্রমের কথা বলে। বিষয়টা এতদিন না বুঝলেও এখন ঠিকই বুঝি। গতরাতে বড় ছেলে এসে বলল:- বাবা তোমার একা একা এভাবে সারাদিন ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে?

" ভালো তো লাগেনা। কিন্তু কিছু করার নেই "

" তুমি চাইলে তোমার বয়সী যারা আছেন, তাদের সাথে আড্ডা গল্পগুজব করতে পারো "

" মানে? "

" ধানসিঁড়ি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে ওনাদের সাথে সময় কাটাতে পারো। আমি বলছি না তোমায় ওখানে থাকতে হবে। ওনাদের সাথে মিশলে দেখবে তুমি নিজেই বলবে যে আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসো "

ছেলের কথায় হকচকিয়ে গেলাম। নিজের ছেলে হয়ে আমায় এইভাবে বলছে! ও সরাসরি না বললেও আমি ঠিকই বুঝতে পারলাম ছেলেরা আমায় বৃদ্ধাশ্রমে রাখার তোঢ়জোড় শুরু করে দিয়েছে।

আজ সকালে ছোট বউমা এসে বলল " বাবা একটা আবদার রাখবো, কিছু মনে করবেন না তো? "

" বলো "

" আপনার বাকি দুই ছেলের চাকরি আছে। ছোট ছেলের কোনো চাকরি নেই। এই বাড়িটা ওর নামে লিখে দিবেন? "

" এখন এসব কথা কেন আসছে? সেসব পরে দেখা যাবে "

এরপর থেকেই পরিবারের সবাই আমার সাথে এমন আচরণ শুরু করল, এতেই বুঝে গেলাম এই বাড়িতে আমাকে আর কেউ সহ্য করতে পারছে না। উপায় না পেয়ে রাতে সবাইকে ডাকলাম। সবার মনে দেখলাম খুব ফুর্তি। হয়তো তারা মনে মনে ভাবছে আজকেই সব সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দিয়ে আমি বৃদ্ধাশ্রমে যাব।

তিন ছেলে, ছেলের বউ ঘরে এসেছে। বড় ছেলে বলল " বাবা তুমি ডেকেছো, কিছু বলবে? "

" হ্যাঁ "

সবাই খুব উৎসুক হয়ে আছে আমি কি বলব, শোনার জন্য।

বললাম:- তোমরা সামনের মাসেই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। যেখানে তোমাদের মন চায়! আমি এই বাড়িটাকেই বৃদ্ধাশ্রম বানাবো"

জয়ন্ত কুমার জয়

পোষ্ট ভালো লাগলে পেজটি Follow করে রাখুন।

মা এখনও অংক বোঝেনা!১ টা রুটি চাইলে ২ টা নিয়ে আসে।কোথাও  যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মা ইংরেজিও বো...
22/04/2024

মা এখনও অংক বোঝেনা!
১ টা রুটি চাইলে ২ টা নিয়ে আসে।
কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।

মা ইংরেজিও বোঝে না!
I hate u বললে উল্টে না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়।

মা মিথ্যেবাদী!
না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।

মা বোকা!
সারাজীবন কলুর বলদের মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়।

মা চোর!
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাব বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে আমাকে দেয়।

মা নির্লজ্জ!
মাকে যতই বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নির্লজ্জের মতো আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে।

মা বেহায়া!
আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বেহায়ার মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়।

মায়ের কোন কমনসেন্স নেই!
আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে।

মা কেয়ারলেস!
নিজের কোমরের ব্যথা, পিঠের ব্যথায় ধুঁকে ধুঁকে মারা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায় ডাক্তার, হাকিম, বৈদ্য সব এক করে বসে।

মা আনস্মার্ট!
অনেকের মায়ের মতো করে মা দামী দামী শাড়ি পরে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়।

মা স্বার্থপর!
নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যাগ করতে পারে।

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা তাঁদের এত কষ্ট দিই, তবুও তাদের পরিবর্তন হয়না। প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তারা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃদ্ধাশ্রমে বা আমাদের থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বোকার মতো ভগবানের কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে।
সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়েই যায় বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে 'মা' ডাক শুনতে চান।
#পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক।❤️
যাদের মা নেই তারাই বোঝে আসল মাতৃহারা হওয়ার কস্ট কতটা 🙏🙏🙏

বুড়ি মরে গেল।বুড়োটা ভাঁজ হয়ে থাকা চামড়ার মাঝে ছোট্ট বসে যাওয়া চোখখানা দিয়ে দেখলো...কিছু জল চোখের কোণ থেকে ঝরে পড়লো...'লো...
22/04/2024

বুড়ি মরে গেল।
বুড়োটা ভাঁজ হয়ে থাকা চামড়ার মাঝে ছোট্ট বসে যাওয়া চোখখানা দিয়ে দেখলো...
কিছু জল চোখের কোণ থেকে ঝরে পড়লো...

'লোক দেখানো শোক'
চললো কিছুদিন, তারপর যেন এক নাটকের সমাপ্তি ঘটলো...

তার ব্যবহৃত শাড়ি নিয়ে মেয়েদের ভাগাভাগি চললো। কেউ বালিশের কভার বানাবে, কেউ বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করবে, কেউ কানের দুল নেবে, কেউ বালাজোড়া......

যার যার নিজের সংসারে যেন একটা বোঝা নেমে গেল...

বুড়ো একা বসে বসে দেখে তাদের কান্ডকারখানা...

মনের বাজারে স্মৃতির দর'কষাকষি করতে করতে সেটাও একসময় বিক্রি হয়ে যায় মস্তিকের কোন এক ফাঁক ফোকরে...

যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়, বুড়ো একা হয়ে পড়ে, হাতের লাঠিখানায় ভর করে এদিক সেদিক পায়চারী করে...

সেদিন ছোট নাতনী এসে বলে গেল "দাদু দাদু, তুমি মরে গেলে কিন্ত এই লাঠিখানা আমার, আমি খেলবো.!"

এদিক থেকে বৌমা দৌড়ে আসে "দাঁড়া, তোকে আজ মেরে ফেলবো। এসব কথা বলতে নেই, বলেছি না.?

বুড়ো হাসে...
যে বৌমার এমন শাসন সেও গোপনে প্রতিবেশির কাছে গল্প করে বুড়োটার খালি কষ্ট, মরে গেলেই বাঁচে...

সেদিন নাতি তার বন্ধুদের নিয়ে তার ছোট ঘরে আড্ডা দিচ্ছে আর বলছে "দাদুর অবস্থাও বেশি ভাল না। কিছুদিনের মধ্যে উইকেট পড়ে যেতে পারে। তখন ওই ঘর আমার, তখন জমিয়ে আড্ডা হবে.!"

বুড়ো শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে...

দুই ছেলের মাঝে তো প্রায়দিন ঝগড়া লেগেই থাকে,
বুড়ো কার কাছে ক'দিন খাবে এই নিয়ে...

বুড়োটা আজ কারো বাবা নয়, আজ কারো শ্বশুর নয়, কারো দাদুও নয়,
সে আজ শুধুই এক বোঝা...

আজ বুড়োর জন্মদিন। গত বছর বুড়িটা বেঁচে ছিল, তাও একটু পায়েশ রেঁধে খাইয়েছিলো...
আজ সারাটা দিন গেল, কেউ কিছুই বললো না...

কিই বা বলবে.! যার মৃত্যুর জন্য সকলে মুখিয়ে আছে, কি বা দরকার তাকে সেই জন্মের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার.!

অথচ কিছুদিন আগে কত লোক খাইয়ে নাতনীর জন্মদিন পালন করা হলো...

বুড়োর হিসেব টা জমা পড়ে আছে, কারণ তার মৃত্যুর পরেও তো অনেক মানুষকে খাওয়াতে হবে...

সেখানেও দুই ভাইয়ের ঝগড়া হবে খরচ করা নিয়ে...

বুড়িটার বেলা তে তো তাই হয়েছিল...

বুড়ো ভাবে, কিসের এ জীবন.? কাদের জন্য এতকিছু.!

বুড়ো চশমাটা চোখ থেকে নামিয়ে একটু মুছে নেয়। কেমন যেন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে...

আকাশের দিকে তাকিয়ে বুড়ো একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো,
মনে মনে এটাই বললো "পৃথিবীর সমগ্র বাবা যেন বাবা হয়েই বাঁচে, বোঝা হয়ে নয়...!"

নিজেকে শক্ত করে গড়ে নিন,, এই স্বার্থপর দুনিয়াতে খারাপ পরিস্থিতিতে তোমার পাশে কেউ থাকবে না.....!!

একদিনে পাঁচ কোটি গাছ লাগিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিল আমাদের দেশ ভারত। তারপর খুব সম্ভবত দুই হাজার উনিশ সালে এই রেকর্ড ভেঙে একদি...
21/04/2024

একদিনে পাঁচ কোটি গাছ লাগিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিল আমাদের দেশ ভারত। তারপর খুব সম্ভবত দুই হাজার উনিশ সালে এই রেকর্ড ভেঙে একদিনে ২০ কোটি গাছ লাগায় ইথিওপিয়া। এখন ভারতের মোট জনসংখ্যা আনুমানিক ১৪০ কোটি। গাছ লাগাতে ধর্ম, বর্ণ, জাত, শিক্ষা, ডিগ্রি, পদ কিচ্ছু লাগে না। সবার জন্য সহজ।

একটা দিন ঠিক করুন। গিনেজ রেকর্ড কর্তৃপক্ষকে ডাক দিন । তারপর একজনে পাঁচটা করে গাছ লাগান। একজন অন্যজনের পেছনে অন্য কোনোদিন লাগব, একটা দিন অন্তত শুধু আমরা আবার গাছ লাগাব।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইভেন্ট খুলুন। আয়োজন করুন। শুভকাজে দেরি করতে নেই।

বছর কুড়ি আগেও পাড়াগুলোতে পাড়া কালচার ছিল। আর ছিল রোয়াক। পাড়ার উঠতি থেকে পড়ন্ত যুবকরা সেখানে আড্ডা মারত। সাথী ছিল চা, কাউ...
20/04/2024

বছর কুড়ি আগেও পাড়াগুলোতে পাড়া কালচার ছিল। আর ছিল রোয়াক। পাড়ার উঠতি থেকে পড়ন্ত যুবকরা সেখানে আড্ডা মারত। সাথী ছিল চা, কাউন্টার করে খাওয়া সিগারেট আর মাঝে মধ্যে টুকটাক তেলেভাজা কি ঝালমুড়ি। ওয়াও মোমো বা মনজিনিস তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। রেস্তোরাঁ কালচার তখনও বাঙালীর জীবনযাত্রায় প্রবেশ করে নি।

পাড়ার যুবকদের একটা করে ভালো নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু সেগুলো কেবল স্কুল কলেজে ব্যবহার হওয়ার জন্য। পাড়ার মধ্যে তারা হাবুল, পটলা, বাপি নামেই পরিচিত ছিল। কখনও কখনও চেহারার বৈশিষ্ট্য অনুসারের নাম দেওয়া হত। ঢ্যাঙা, ন্যাড়া, কালু ইত্যাদি নামগুলি ছিল তারই প্রতিফলন। বডি শেমিং নিয়ে আমজনতা তখনও সচেতন হয় নি৷ তাই এমন সব নাম নিয়ে আপত্তির কিছু ছিল না কারো কাছে। ঢ্যাঙা বা কালুরাও তাদের নাম শুনে স্বাভাবিক ভাবেই সাড়া দিত।

পাড়ায় বিয়ে বাড়ি হোক বা শ্রাদ্ধ বাড়ি, আগুন লাগা হোক বা মাঝ রাতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, সব ব্যাপারে রোয়াকের যুবকরাই ছিলেন অগ্রণী। পাড়ায় কারো বিয়ে লাগলে যেমন কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করতে লাগত আবার তেমনই কেউ মারা গেলে শবদেহে কাঁধ দেবার লোকেরও অভাব হত না। মাঝরাতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলেও কোনো সমস্যা ছিল না৷ রোগীর বাড়ির লোকের এক ডাকেই পটলা হাবুলরা সাইকেল ভ্যানে রোগীকে চাপিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেত। সারারাত জেগেও থাকত হাসপাতালে। দরকারে নিজেদের মধ্যে টাকা তুলে ওষুধও কিনতো রোগীর।

উপদ্রবও যে একেবারে ছিল না তা নয়। পুজোয় চাঁদার জন্য হুজ্জোতি করা, সরস্বতী পুজোর আগের দিন এর ওর বাড়ির পাঁচিল ডিঙিয়ে বাগান থেকে ফল ফুল পেড়ে আনা, কারো পোষা মুরগী চুরি করে পয়লা জানুয়ারী বা মহালয়ার রাতে 'ফিস্টি' এসব লেগেই থাকত৷ পাড়ার খিটকেলে বুড়ো বুড়িদের নানা আপত্তিকর সৃজনশীল নামে ডেকে তাদের রাগিয়ে দিয়ে গালাগাল খেয়ে মজা পাবার বদভ্যাসও অনেকেরই ছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে পটলা হাবুল বাপিরা ছিল পাড়ার এক একটা স্তম্ভ। পাড়াগুলো তাদের ছাড়া অচল ছিল।

তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অনেক বদল ঘটেছে মফঃস্বল থেকে বড় শহর সর্বত্র। পাড়া কালচার আজ বিলুপ্তপ্রায়। পাড়ায় রোয়াকের দেখা পাওয়া এখন ডোডো পাখির দেখা পাওয়ার চেয়েও বেশী কঠিন৷ আর হাবুল পটলা বাপিরা? তারাও হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। সর্বনাশা কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়ের যুগে এ যুগের হাবুল পটলারা কেউ এখন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির সুট বুট পরা চাকুরে, কেউ সরকারী কেরানি, কেউ বা আবার জোম্যাটো বা সুইগির ডেলিভারি বয়। কাজের চাপে আড্ডা তো পরের কথা, মুখ দেখাদেখিই হয় না মাসের পর মাস। কেউ কেউ আবার কাজের সন্ধানে চলে গেছে দূর দেশে। ন'মাসে ছ'মাসে দেশে ফেরে। আড্ডা মারা দূরে থাক, পাড়ার সবার নামই জানে না ভালো করে কেউ। বাড়িই বা আর কোথায় পাড়ায়৷ সব ভেঙে গড়ে উঠছে একের পর এক ফ্ল্যাট। সুসজ্জিত সেসব ফ্ল্যাটে আস্তানা গাড়ছে বহিরাগত বিভিন্ন মানুষরা। তাদের টান নেই পাড়ার প্রতি। অনেকের ভাষা সংস্কৃতিও ভিন্ন।

পটলা হাবুল বাপিরা আর ফিরবে না কোনোদিন। রাতের আকাশের তারার মতই তারা মিলিয়ে গেছে কালের গহীন গর্ভে।

লিখেছেন চিত্রদীপ সোম

মাঝে মাঝে মনে হয় সেই দিনগুলো ভালো ছিল.. যখন বাবা অফিস যাবে বলে মা ভোরে উঠে উনুন ধরিয়ে রান্না করত।আমরা স্কুলে যাবো, তাই ক...
12/04/2024

মাঝে মাঝে মনে হয় সেই দিনগুলো ভালো ছিল..
যখন বাবা অফিস যাবে বলে মা ভোরে উঠে উনুন ধরিয়ে রান্না করত।
আমরা স্কুলে যাবো, তাই কত আদর করে ঘুম থেকে তুলে হাতে ব্রাশ দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিত, মা। চোখে তখনো ঘুম, স্কুলে কিন্তু আমরা হেঁটেই যেতাম। বেশ খানিকটা দূর হলেও। স্কুল বাস বলে আমাদের কিছু ছিল না।

স্কুল থেকে ফিরে মাঠে খেলতে যাওয়া ছিল। কোচিং ছিল না।
খেলা থেকে ফিরে কিছু খেয়ে পড়তে বসা। ঘুমে চোখ বুজে আসছে। ইতিহাস না ভূগোল পড়ছি বুঝতাম না। এত ঘুম। ভাইবোনরা একসাথে পড়তে বসা। সবাই জোরে পড়ছে।
সেই সময় সব বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় বেশ একটা পড়ার আওয়াজ আসত। মাঝে মাঝে মা রান্নাঘর থেকে, কি হলো, আওয়াজ আসছে না কেন !
আজকাল কেউ জোরে পড়ে না । সবাই মনে মনে ।
পড়ছে কি পড়ছে না বোঝার উপায় নেই।
রবিবার বাবার ছুটি ।
সেদিন অঙ্ক করার দিন। সেদিন অবশ্যই কান্নাকাটি। তোর দ্বারা কিছু হবে না, এরকমও শুনেছি। কারণ বকা মার খাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। এখন তো শুনি, পরীক্ষার আগে পড়াশোনা না করলে , মা বাবা বকলে, আত্মহত্যা করে বাচ্চারা। এছাড়া ছিল রেডিও তে বোরোলিনের আসর শোনা।

রবিবার বিকেলটা পড়াশোনা করতে হতো না । হয় সিনেমা , বা শীত কালে সার্কাস, বা মামার বাড়ি, মাসির বাড়ি, ঘুরতে যাওয়া।
টিভি ছিল না । কিন্তু সেই নিয়ে কোনো দুঃখ ও ছিল না। আজকাল মোবাইল চেয়ে না পেলে আত্মহত্যা করে।
আমার কাকু একটা টিভি কেনেন। পাড়া শুদ্ধ লোক খেলা থাকলে সেই টিভি দেখতে আসত। কাউকে তো দেখে মনে হয়নি, অখুশি। সবাই মিলে হৈচৈ করে খেলা দেখা হত।
শনি রবিবার সিনেমা।
' রুকাবট কে লিয়ে খেদ হ্যায়'
এই কথাটা তখন শিখি।
না, তার জন্যে কেউ টিভির কেন্দ্র ভাঙচুর করতে যায়নি। আর একটা জিনিস , লোডশেডিং।
বিকেলে ল্যাম্প মুছে তেল ভরে রাখতে হত। মা সব করে ফেলত।
লোডশেডিং হলে আমরা ছাতে চলে যেতাম ।
2-3 ঘন্টা অন্ধকার। ছাতে শুয়ে বাবা তারা চেনাত। আর কত গল্প শোনাত। যখন আলো আসত, লাইট এসেছে লাইট এসেছে বলে একটা আওয়াজ উঠত। বেশ মজা লাগত।
এখন power failure হয়। সাথে সাথে হাজার হাজার ফোন । বিদ্যুৎ অফিসের গাড়ি। ঠিক না হলে অফিস ভাঙচুর। বা বিদ্যুৎ কর্মীদের ধরে মার।
কবে থেকে আমরা এত অস্থির হয়ে গেলাম ।
মজা লাগত মাঝে মধ্যে জ্বর টর হলে, ডাক্তার জেঠু বাড়িতে আসতেন । না, বিরাট কোনো টেস্টের লিস্ট ছিল না। জিভ দেখে, বড়ো করে হাঁ করো , আর স্টেথো দিয়ে বুক পিঠ, ব্যাস ওতেই পরীক্ষা শেষ। ওষুধ লিখে দিতেন । খুব তেতো তেতো দুটো বা একটা ট্যাবলেট। সাথে হয়তো বা একটা মিষ্টি সিরাপ। তাতেই অসুখ উধাও।
আজকাল আর ডাক্তার বাবুরা বাড়িতে আসেন না। সামান্য জ্বর হলেও গুচ্ছের টেস্ট। আর কত কঠিন কঠিন নাম। এই সব অসুখ কবে এলো। প্রায় সব বাচ্চার ইনহেলার লাগে। কেন ?
খুব কঠিন অসুখ বোধহয় কম লোকেরই হতো। হাসপাতালে যাওয়া মানে বাচ্চা হওয়া বা খুব বয়স। এত ভিড় ছিল কি ?
জীবন বড়ো জটিল হয়ে গেছে। সাথে মানুষের মন।
বড়ো অশান্তি চারদিকে।
সেই কিছুই না থাকা শান্তির দিনগুলো কি আর আসবে না...

বিয়ের রাত । মাস্টারদা এসেছেন বিয়ে করতে। বিয়ের মন্ত্র পড়া হবে  এবার। হঠাৎ পাশ থেকে একজন মাস্টারদার হাতে গুঁজে দিল একটা চি...
02/04/2024

বিয়ের রাত । মাস্টারদা এসেছেন বিয়ে করতে। বিয়ের মন্ত্র পড়া হবে এবার। হঠাৎ পাশ থেকে একজন মাস্টারদার হাতে গুঁজে দিল একটা চিরকুট। সেই চিরকুটটা পড়ে চিন্তিত ও গম্ভীর হয়ে গেলেন মাস্টারদা। গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এসেছে কলকাতার দলের উচ্চ মহল থেকে । পরে ফুলশয্যার রাতে নির্জন কক্ষে সহধর্মিণী পুষ্পকে বললেন, "তোমার কাছে আমার অপরাধের সীমা নেই। তুমি আমার অগ্নিসক্ষী করা স্ত্রী ।জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তুমিই আমার স্ত্রী থাকবে।কিন্তু দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমার ডাক এসেছে, আজই তোমার কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে।" অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় দিয়েছিলেন নববিবাহিতা স্ত্রী পুষ্প । শুধু বলেছিলেন, "মাঝে মাঝে তোমার চিঠি পাবো তো?"
কথা রেখেছিলেন মাস্টারদা । চিঠি আসতো পুষ্পর কাছে খুব গোপনে। সে চিঠি শুরু হত 'স্নেহের পুষ্প ' দিয়ে, আর শেষ হত 'তোমারই সূর্য ' দিয়ে ।
আর দেখা হয়নি স্বামী স্ত্রীর ? হয়েছিল সেদিন , যেদিন পুষ্প তখন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুপথ যাত্রী। আর সূর্য সেন জেলে বন্দী । প্যারোলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ছাড়া পেয়ে স্নেহের পুষ্পকে দেখতে এলেন । কিন্তু তার আগেই জীবনদীপ নিভে গেছে পুষ্পর।

মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
সূত্র : জেলখানার চিঠি।। সম্পাদনা :অসিতাভ দাশ।। প্রকাশক: পত্রলেখা ।।

এক নম্বরের ডায়লগ বাজ ,অন্যের নামে বদনাম ,বাজে কথা, বাজে ব্যবহার কোন কিছুই করেই ভাইরাল হয়নি মানুষটা।সম্পূর্ণ নিজের ভালো...
28/03/2024

এক নম্বরের ডায়লগ বাজ ,অন্যের নামে বদনাম ,বাজে কথা, বাজে ব্যবহার কোন কিছুই করেই ভাইরাল হয়নি মানুষটা।

সম্পূর্ণ নিজের ভালো ব্যবহার এবং নিজের হাতের তৈরি নতুন ধরনের খাবারের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন এই মানুষটি।

কলকাতার ডেকার্স লেন বা খাবারের গলির ওই গলিতে কিন্তু প্রচুর দোকান আছে তবে এই মানুষটি কেন এত ভাইরাল বলতে পারেন??

আসলে এই মানুষটি একজন তারা মায়ের অন্ধভক্ত আর পাঁচটি দোকানের মত তার দোকানের খাবারের দামগুলি সম্পূর্ণ আলাদা ।তার খাবারের দাম শুরু হয় হাজার হাজার টাকা থেকে।

এছাড়াও তার খাবারের নাম গুলো সম্পন্ন আলাদা যেমন বেগুন সুন্দরী ,ফুলকপি গন্ধরাজ ইত্যাদি হয়তো এই কারণেই এই মানুষটি এত ভাইরাল তাই সেদিন আমরাও চলে গিয়েছিলাম অরুণদার দোকানে বা জয় মা তারার দোকানে। সেখানে গিয়ে দেখি অরুণদা সবেমাত্র রান্নাবান্না শুরু করেছেন প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার মধ্যেও মানুষটা অনেক সময় যেটুকু আমাদেরকে সময় দিয়েছে তাতেই আমরা ধন্য হয়ে গিয়েছিলাম।
তার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না মানুষটি সম্পর্কে যতই বলি না কেন ততই কম হয়ে যাবে, বর্তমানে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিন্তু প্রচুর মানুষ ,তবে তাদের মধ্যে কয়েকটি মানুষ হয়তো এরকম এবং তার মধ্যে অরুণদা একজন ব্যক্তি।

আমি তার দোকানে খিচুড়ি আর বেগুন সুন্দরী ট্রাই করেছিলাম সত্যি কথা বলতে দারুন লেগেছিল ।ভাবছিলাম আর একবার নিয়ে ট্রাই করা যাক কিন্তু না বাঙ্গালীদের মন্ যতই খাই ততই আবার নিতে ইচ্ছা করে কিন্তু না।
তার খিচুড়ি এবং বেগুন সুন্দরী খেতেছিল দারুণ এবং এই প্লেটটির দাম ছিল মাত্র ৭০ হাজার ।
হয়তো ভাবছেন এই খাবারের এত দাম কিভাবে ?আসলে এটাই তো তার ভাইরাল হওয়ার রহস্য তার দোকানে এক টাকাকে এক হাজার টাকা বলা হয় ,৭০ হাজার মানে হলো ৭০ টাকা মাত্র ৭০ টাকায় এই ভর পেট খাবারটা একবার হলেও আপনাদেরকে খেতে অনুরোধ করবো🙏🏼🙏🏼
আর কে কে অরুণ দার দোকানে খেয়েছো বা খেয়েছেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ,আর এই মানুষটার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মাইকেল মধুসূদনের বংশধর লিয়েন্ডার পেজ l লিয়েন্ডার তার মায়ের মাধ্যমে বাংলা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সরাসরি বংশধর।মাইকেল...
26/03/2024

মাইকেল মধুসূদনের বংশধর লিয়েন্ডার পেজ l
লিয়েন্ডার তার মায়ের মাধ্যমে বাংলা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সরাসরি বংশধর।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত - অবিভক্ত বাংলার যশোহর জেলায় কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত
সাগরদাঁরি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন | মা জাহ্নবী ও বাবা রাজনারায়ণ দত্ত | সেকালের রীতি অনুযায়ী ফার্সি ভাষায় দক্ষ ছিলেন বাবা| কলকাতা সদর দেওয়ানী আদালতে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন l প্রচুর অর্থও উপার্জন করেছিলেন | মধুসূদন ছোটবেলায় গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা আরম্ভ করে কলকাতায় ১৮৩৩ সালে এসে হিন্দু কলেজের সর্বনিম্ন শ্রেণীতে ভর্তি হন |

পাশ্চাত্য জীবনের প্রতি প্রবল আকর্ষণের ফলেই হিন্দুধর্ম ছেড়ে করে খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেন | কাজের জন্য ১৮৪৮ সালে মাদ্রাজ যান | সেখানকার সাত বছর প্রবাসকালে শিক্ষক, সাংবাদিক ও কবি হিসেবে সামাজিক প্রতিষ্ঠা লাভ করেন | মাদ্রাজ যাবার পরেই তিনি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, রেবেকা ম্যাক্টাভিসকে বিয়ে করেন | তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। ১৮৫৬ সালে তিনি রেবেকাকে ছেড়ে এক ফরাসী মহিলা হেনরিয়েটার সাথে প্রেম করেন l পরে তাকে বিয়ে করে কলকাতায় বাস করা শুরু করেন l এই নতুন সম্পর্কের জন্যই তিনি ১৮৫৬ সালে রেবেকা এবং তাঁর চার সন্তানকে মাদ্রাজে রেখেই ফিরে আসেন কলকাতায়। তাই আর কোনো সম্পর্ক থাকেনি তাঁদের সঙ্গে।

জীবনে নতুন প্রেম l এই প্রেমিকা বনাম স্ত্রী এমিলিয়া হেনরিয়েটা তার জীবনে মুখ্য তখন। তাঁর সঙ্গেই আমৃত্যু ঘর করেছেন মধু কবি। এমনকি মৃত্যুর পরও, একসঙ্গে শায়িত রয়েছেন তাঁরা।

এখন আসি গল্পের দ্বিতীয় অংশে l ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার l টেনিস কোর্টে নিজের মতো করে ‘কবিতা’ বানান তিনি। অবশ্য কবিতা যে তাঁর রক্তে! তাঁর পূর্বপুরুষের নাম যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত! কি ভাবে? এইসম্পর্কটা খুঁজতে গেলে একটু ইতিহাসের দিকে ফিরে দেখতে হবে l মাইকেল মধুসূদন-হেনরিয়েটারই তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন অ্যালবার্ট নেপোলিয়ন দত্ত। খুব বেশিদিন মা-বাবার সংস্পর্শ পাননি তিনি। দুর্ঘটনায় যখন অ্যালবার্ট মারা যান, তখন তাঁর দুই ছেলে, তিন মেয়ে। সেই ছেলেদেরই একজন মাইকেল ডটন। তাঁর মেয়ে জেনিফার ডটন। পরবর্তীকালে বিয়ের মাধ্যমে যিনি হয়েছিলেন জেনিফার পেজ। এঁরই সুযোগ্য পুত্র লিয়েন্ডার পেজ। বুঝলেন তো, মাইকেল কি ভাবে লিয়েন্ডার পেজের পূর্বপুরুষ ? মধুসূদন দত্তের সঙ্গে একদম সরাসরি রক্তের সম্পর্কে আবদ্ধ ভারতীয় টেনিস জগতের মহাতারকা লিয়েন্ডার পেজ। আর মাইকেল মধুসূদন দত্ত - তিনিতো যশোহর জেলায় কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত সাগরদাঁরি গ্রামের সন্তান | আমাদের বাংলার সন্তান l অতীত ঐতিহ্য খুঁজে তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যে!

সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন!হলধর নাগ , যার নামের আগে  কখনও শ্রী লাগেনি, ...
22/03/2024

সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন!
হলধর নাগ , যার নামের আগে কখনও শ্রী লাগেনি, খান তিনেক জামা, একটি ছেঁড়া রাবার চপ্পল, একটা অ-খিলানযুক্ত চশমা এবং ৭৩২ টাকার জমা মূলধনের মালিক.....আজ পদ্মশ্রী ঘোষিত
ইনি হলেন পশ্চিম ওড়িশার বাসিন্দা হলধর নাগ।
যিনি কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি। বিশেষ কথা হল, তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো কবিতা ও ২০টি মহাকাব্য রচনা করেছেন, তার সবগুলোই তার জিহ্বার ডগায় । এবার তাঁর লেখা 'হলধর গ্রন্থাবলী-২'-এর একটি সংকলন সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসের অংশ করা হবে।
সাদা পোশাক, সাদা ধুতি, গামছা ও গেঞ্জি পরিহিত হলধর নাগ খালি পায়েই থাকে্ন। উড়িশ্যার লোক-কবি হলধর নাগ একটি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ বছর বয়সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তৃতীয় শ্রেণিতেই পড়া ছেড়ে দেন তিনি।
অনাথ জীবনে, তিনি বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন।
পরে একটি স্কুলে রান্নাঘর দেখাশোনার কাজ পান তিনি। কয়েক বছর পরে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে পেন-পেনসিল ইত্যাদির একটি ছোট দোকান খোলেন সেই স্কুলের সামনেই ।
এটাই ছিল তার আর্থিক অবস্থা। এবার আসা যাক তাঁর সাহিত্যের বিশেষত্বে। ১৯৯৫ সালের দিকে হলধর স্থানীয় ওড়িয়া ভাষায় "রাম-শবরী" র মতো কিছু ধর্মীয় পর্বের উপর লেখালেখি শুরু করেন এবং মানুষকে সেগুলো আবৃত্তি করে শোনাতে শুরু করেন।
আবেগে ভরপুর কবিতা লিখে মানুষের মধ্যে জোর করে উপস্থাপন করে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২ বছর আগে রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী দেন।
শুধু তাই নয়, ৫ জন গবেষক এখন তার সাহিত্যে পিএইচডি করছেন যেখানে হলধর নিজেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

কী বন্ধুরা এই ভাইটার নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। নাম সাগর ,মাত্র 19 বছর বয়সে বাবা মা হারা হয়ে ,নিজেকে এই বর্তমান মার্কেট...
14/02/2024

কী বন্ধুরা এই ভাইটার নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। নাম সাগর ,মাত্র 19 বছর বয়সে বাবা মা হারা হয়ে ,নিজেকে এই বর্তমান মার্কেটে এমনকি নিজের স্বপ্নপূরণ করার জন্য এই কলকাতা শহরের রাস্তার পাশে একটা হোটেল করে নিজের হাতে রান্না করে সবাইকে খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এমনকি এই সাগর শুধু বাবা মাকে হারিয়ে একটা হোটেলও চালায় না তার পাশাপাশি সমাজে বেঁচে থাকার জন্য iti পাশ করে নিজে computer প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ।আর তার সাথে নিজের বোনকে অনেক বড় করে তোলার স্বপ্নও সে দেখছে।দেখুন আমরা তো অনেককে ভাইরাল করেছি চলুন না আজ সবাইমিলে এই ভাইটার পাশে দাড়ায়। ফুল লোকেশন নিচে দেওয়া আছে!

Location -160a,rash behari Avenue, opposite of Fortis hospital Ballygunge, neatest shop is handloom treders, Kolkata 700029

Address

Bangaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bengali lifestyle and culture posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bengali lifestyle and culture:

Videos

Share