07/08/2021
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের গবেষকরা সম্প্রতি ভিটামিন সি-র বহুমুখী উপকারিতা নিয়ে অনুসন্ধান করে সিদ্ধান্ত করেছেন, যে এটি –
সর্দি বা ঠাণ্ডা থেকে নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের অন্যান্য সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
দুর্ভাবনা বা মানসিক চাপের জন্য অনেকের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার মানসিক চাপ বা স্ট্রেস প্রভাবে দেহের ভিটামিন সি-র পরিমাণ কমে যায়। যেমন কমে যায় মদ্যপান, ধূমপান, ইত্যাদির জন্য। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি দেহে থাকা সুস্থ দেহের লক্ষণ।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশান-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে দেহে ভিটামিন সি-র মাত্রা বেশি থাকলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা শুকনো হয়ে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে।
রক্তে ভিটামিন সি-র পরিমান বেশি থাকলে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনাও কিছুটা কমে বলে দেখা গেছে।
এছাড়া শরীরের নানান কাজে ভিটামিন সি-র অবদান আছে। দেহের টিস্যু-র বৃদ্ধি বা সংরক্ষণে, ক্ষতের নিরাময়ে, দেহের নিত্য-প্রয়োজনীয় আয়রণ সংগ্রহে, দাঁত, হাড় এবং মজ্জা সংরক্ষণে ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কতটা ভিটামিন সি শরীরের জন্য প্রয়োজন সেটা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে। প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত বলে (RDA বা recommended daily allowance) ডাক্তাররা অনুমোদন করেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের কয়েকজন গবেষক ভিটামিন সি-র উপকারিতা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে উপদেশ দিয়েছেন। এঁদের বক্তব্য যে ভিটামিন সি বেশি পরিমানে গ্রহণ করা দেহের পক্ষে ভালো। তবে সেই সর্বোচ্চ মাত্রা হল দৈনিক ২০০০ মিলিগ্রাম।