12/05/2024
এই দেশে সব চেয়ে বেশি যেটার অভাব তা হল,ন্যায়পরায়ণতা। এদেশে নামাজী লোক আছে, হজ্ব করা লোক আছে, যাকাত দেয়া লোক আছে, ওয়াজ করার লোক আছে,ক্ষেত্র বিশেষে সবাই ওয়াজ করে, কিন্তু ন্যায়পরায়ন লোক হাতে গোনা।
বলতে তো বলা হয় ৯০% মুসলমানের দেশ, এর মধ্যে কয় % কাজের মুসলমান? (ন্যায়পরায়ণ )
ইসলাম প্রসার হয়েছে উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী , সততা দেখে দলে দলে মানুষ ইসলামে এসেছে স্বেচ্ছায়।
কিছু মানুষ নামাজ পড়ে নিয়মিত, কিন্তু লোক ঠকায় / ঘুষ খায় / সুদ খায় / আরেকজনকে ফাঁদে ফেলার চেস্টা করে / সমাজে বিশৃঙ্খলার বীজ বুনে। এই লোক ইসলামের উপর নাই, তার দ্বারা ইসলামের উপকার ও হয়না।
.
মানুষের বেসিকই ঠিক নাই, দোকানদার ওজনে ঠকায়, দাম বেশি রাখে, চাকরিজীবী তার কাজ ঠিক মত করেনা, কেউ আবার নিজের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজের জন্যে ঘুষ নিচ্ছে, (ভাই টাকা দিলে দেন, আমার আবার নামাজের জামাত ধরতে হবে) , কার কি হক / পাওনা সে ব্যপারে উদাসীন, বোনের হক, ভাইয়ের হক মেরে খেয়ে আপনার নামাজ,হজ্ব, যাকাত দিয়ে কি হবে?
.
আমাদের সমাজের সমস্যার মূলে আছে বে-ইনসাফি, ন্যায়পরায়ণ লোক এখানে হারিকেন দিয়ে খুজেও পাওয়া যায়না।
সরকার থেকে সাধারণ জনগণ , ন্যায়পরায়ণ লোক নাই বললেই চলে।
দেশের প্রশাসন যদি ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তবে জাতীয় জীবনে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়।
.
আপনার নামাজ,হজ্ব, যাকাত এগুলো আল্লাহর হক, আর সব কাজে ন্যায়পরায়ণ হওয়া মানুষের হক,
.
আপনাকে ২টাই নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের হক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কখনো মাফ করবেন না, যদি না সে ভুক্তভুগি মাফ না করে।
.
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয় স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমা লঙ্ঘন করতে, তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর " (সুরা নাহল,১৬:৯০)
ন্যায়পরায়ণতা থেকে বিচ্যুতি একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। ন্যায়বিচার ছাড়া কখনোই সভ্য সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ার কল্পনাও করা যায় না। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে আমাদের ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার কায়েম করতে হবে।