Surma News Group

Surma News Group Surma News Group, publishers of Britain's Highest circulated Bengali Newspaper. Part of the family t Part of the family that publishes Asiana Wedding Magazine.

মমিনুর রহমানের দাপটে অস্থির প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় আবদুল ওয়াহিদ তালিম, লণ্ডন:: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে অস্থির করে...
30/01/2025

মমিনুর রহমানের দাপটে অস্থির প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

আবদুল ওয়াহিদ তালিম, লণ্ডন:: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে অস্থির করে রেখেছেন নন ক্যাডার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার মমিনুর রহমান। বগুড়ায় বাড়ি ও তারেক রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতার পরিচয় দিয়ে তিনি কাউকে কোন কাজই করতে দিচ্ছেন না। ফলে কার্যালয়ে কর্মরত সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'র মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। এতে করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে, ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।

বিএনপি ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সরকারের সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) খন্দকার মমিনুর রহমানকে অতীতে দলীয় কোন কর্মকান্ডে কখনও দেখিনি। গত ১৬ বছর দলের সাথে তাঁর কোন সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সুরমা'র মাধ্যমে তাঁরা বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

হাইকমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন আবিদা ইসলাম- সাক্ষাতে করলেন সুরমা’র প্রশংসা।মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামান, লণ্ডন:: যুক্তরাজ্...
30/01/2025

হাইকমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন আবিদা ইসলাম

- সাক্ষাতে করলেন সুরমা’র প্রশংসা।

মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামান, লণ্ডন:: যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্যে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ও পূর্ণক্ষমতাপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজে যোগ দিয়েছেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারি তিনি তাঁর নতুন কর্মস্থলে যোগ দিলে হাইকমিশনে কর্মরত অফিসাররা তাঁকে স্বাগত জানান। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তারও আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সরকারের রদবদলের অংশ হিসেবে তিনি সাইদা মুনা তাসনিমের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মত যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যুক্ত হলেন। প্রায় ২১ বছর আগে তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবিদা ইসলাম কর্মজীবনে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগে কাজ করেছেন। কলকাতা, ব্রাসেলস ও কলম্বোসহ বিভিন্ন বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আবিদা ইসলাম বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার এবং শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

আবিদা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিবাহিত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জননী। তার পুত্র আরশাদ আহমেদ এবং কন্যা আয়শা আহমেদ।

রাজনৈতিক পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবিদা ইসলামের সম্পর্ক জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা লেখালেখি হয়েছে। এতে যুক্তরাজ্যে আবিদা ইসলামের হাইকমিশনার হওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ অবদি সব অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে।

হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর আহবায়ক হাসনাত আরিয়ান খান বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যেস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কৌশলগত গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন। আশাকরি তিনি এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন। যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাথে ইতিবাচক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি দ্বি-পক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বাস্তবায়নে সদা তৎপর থাকবেন। নিজ দেশের স্বার্থ-রক্ষার জন্য কাজ করবেন। হাইকমিশনের সকল সেবার মান বাড়াবেন। পূর্বসূরী সাইদা মুনা তাসনিমের মত হাইকমিশন থেকে কোন অসত্য তথ্য দিবেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবেন না। সিন্ডিকেট করে চলবেন না। তিনি কোন বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ সরকার বা প্রতিবেশি দেশের হাইকমিশনার না; তিনি বাংলাদেশের হাইকমিশনার, কথাটা ভুলে যাবেন না। বিদায়ী হাইকমিশনার নিয়মিত অফিস করতেন না। যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যায় সহায়তার অনুরোধ জানালে রেসপন্স করতেন না। উপরন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী করিডোর চুক্তি বাতিল, গুম-খুন বন্ধ, জনগণের ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ইন্ডিয়ান প্রক্সি শাসনের বিরুদ্ধে হাইকমিশনের সামনে বিভিন্ন প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আমাদের ছবি তুলে এবং ভিডিও ধারণ করে তিনি ঢাকা ও দিল্লিতে পাঠাতেন। ফ্যাসিবাদী সরকারকে তুষ্ট করে তিনি পররাষ্ট্র সচিব হতে চাইতেন। আশাকরি নবনিযুক্ত হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম পূর্বসূরীর এসব বিচ্যুতি থেকে মুক্ত থাকবেন। তিনি এসব পরিহার করে একজন পেশাদার কুটনীতিক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে স্বাগত জানাই, শুভকামনা জানাই।’

গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার সুরমা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ‘তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না। একজন পেশাদার কূটনৈতিক হিসেবে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্যেও একজন পেশাদার কূটনৈতিক হিসেবেই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।’

প্রতিবেদকের কাছে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও সহকারী হাইকমিশনার হযরত আলী সুরমা’র ভূমিকার প্রশংসা করেন। এসময় গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনে রদবদলের অংশ হিসেবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক দাপ্তরিক আদেশে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে অবিলম্বে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। সরকারের আদেশের দুই মাসের মাথায় যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনের দায়িত্ব ছাড়েন সাইদা মুনা তাসনিম। তার চাকরির মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

20/01/2025

সুরমা’র কাছে আসা হযরত আলীর চাঁদাবাজির আরও একটি ভিডিও। শেরপুর জেলা বিএনপি’র স্থগিত কমিটি’র আহ্বায়ক হযরত আলী গারো সম্প্রদায়ের এই ভদ্র মহিলার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, টাকা না দেওয়ায় ৭দিন একটি ঘরে আটকে রাখেন। চাঁদার ৩ লাখ টাকা না পেয়ে পরবর্তীতে হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক তাঁর বসতবাড়িটি বায়নাপত্র রেজিস্ট্রি করে নেন।

মুসলমানদের জ্ঞানের ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে —ফরীদ আহমদ রেজালণ্ডন, ১৮ জানুয়ারী : বর্তমান সময়ে বিশ্বায়নের প্রবল স্রোতে টিকে থা...
18/01/2025

মুসলমানদের জ্ঞানের ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে —ফরীদ আহমদ রেজা

লণ্ডন, ১৮ জানুয়ারী : বর্তমান সময়ে বিশ্বায়নের প্রবল স্রোতে টিকে থাকতে হলে জ্ঞানের বিকল্প নেই। আর আমরা যদি বিভিন্ন শাস্ত্রীয় জ্ঞানের ভিত্তির দিকে দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব শিক্ষা-সংস্কৃতি সভ্যতার পূর্বাধিকার মূলত মুসলমানদেরই। দুনিয়া-আখিরাতের সমস্ত কল্যানই মূলত ইসলামের দান।
সেই চিন্তা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মাথায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী দ্বীনি-জাগতিক উভয় শিক্ষায় সমান পারদর্শিতা অর্জন করে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বালুচরস্থ জামিআ সিদ্দিকিয়া আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক কবি ফরীদ আহমদ রেজা উপরোক্ত কথা বলেন। বক্তব্যে রেজা আরও বলেন—হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী কুরআনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সর্বশ্রেষ্ঠ। সে হিসাবে দুনিয়াবী উপকরণের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের মর্যাদা সর্বোচ্চে। আল্লাহ তাআলা আপনাদের খেদমত কবুল করুন এবং জামিআ সিদ্দিকিয়ার চিন্তা ও শিক্ষাব্যবস্থা অন্য সবাইকেও ধারন করার তাওফিক দান করুন।

জামিআর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি, গবেষক সৈয়দ মবনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামিআর পরিচালক মুফতি মনসুর আহমদ, উপপরিচালক হেলাল হামাম ও সুধী অধ্যাপক বজলুর রহমান।

জামিআর উপপরিচালক রেজাউল হকের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থী কামরান মাহফুজের তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মবনু বলেন—শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের এই পথচলা মূলত আমাদের পূর্বসূরীদের চিন্তারই ফসল। এবং তাদের শুরু করা কাজ পরিপূর্ণ করারই চেষ্টা। আমাদের পূর্বসূরীরা সবসময়ই আমাদেরকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কারের কথা বলে গেছেন। কিন্তু সবাই এ পথে এগিয়ে আসছেন না। আলহামদুলিল্লাহ, জামিআ শুরু থেকেই বাংলাদেশের সবকয়টি সিলেবাসের সমন্বয়ের মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষা কারিকুলামকে সাজিয়েছে। আমাদের এই পথ চলায় আমরা সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সবশেষে প্রধান অতিথির দুআর মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।

ছ‌বি‌তে বালুচরস্থ জামিআ সিদ্দিকিয়ায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক কবি ফরীদ আহমদ রেজা

সৈয়দপুর বালিকা মাদরাসায় খতমে বোখারী ও দুআা মাহফিল অনুষ্ঠিত লণ্ডন, ১৬ জানুয়ারী : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ফরীদ আহ...
16/01/2025

সৈয়দপুর বালিকা মাদরাসায়
খতমে বোখারী ও দুআা মাহফিল অনুষ্ঠিত

লণ্ডন, ১৬ জানুয়ারী : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ফরীদ আহমদ রেজা বলেন; হযরত রাসুলে পাকের হাদিসে স্পষ্ট রয়েছে, এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল; কিয়ামত কবে হয়ে? হযরত রাসুল (স.) জিজ্ঞেস করলেন; কিয়ামতের জন্য কি উপার্জন করেছো? সাহাবী উত্তর দিলেন; আপনার মহববত ছাড়া কিছু নেই। হযরত রাসুল (স.) বললেন; যে যার সাথে ভালোবাসা রাখে তার হাশর হবে তার সাথে।
আমরা যারা চৌদ্দ শত বছর পরের মুসলমান এবং আমরা যারা মক্কা-মদিনা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করি তাদের কথা হযরত রাসুল (স.) তাঁর সময়ে 'আমার ভাইদের কথা আমি চিন্তা করছি' বলে স্মরণ করেছেন। সাহাবীরা বলেছেন, 'আমরা তো আপনার সামনে আছি।' রাসুল (স.) বলেন, 'তোমরা আমার সাহাবী, আমি তাদের কথা ভাবছি যারা আমায় দেখেনি, শুধু আমার কথা শোনে ঈমান নিয়ে আসবে।'
আজকে যারা আল্লাহ ও রাসুল (স.) এর মুহাব্বাতে উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক রাখছেন, নিজের সন্তানকে মাদরাসায় পড়াচ্ছেন দ্বীন শিখার জন্য, নিজেরা মাদরাসায় পড়ছেন বা পড়াচ্ছেন, মাদরাসাগুলোতে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন তাদের হাশর-কিয়ামত হবে আল্লাহর রাসুল (স.) ও তাঁর সাহাবীদের সাথে।
গতকাল (১৬ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে) সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (র.) জামিয়া হাফিজিয়া দারুল হাদিস বালিকা মাদরাসার তাকমিল ফিল হাদিসের ছাত্রীদের বোখারী শরিফ পাঠের সমাপনী অনুষ্ঠান 'খতমে বোখারী ও দুআ মাহফিল'-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডনের জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহি পত্রিকা সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, কবি ও কলামিস্ট অধ্যাপক ফরীদ আহমদ রেজা একথাগুলো বলেন।
শুরুতে বোখারী শরিফের সমাপনী দারস প্রদান করেন মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক।
সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (র.) জামিয়া হাফিজিয়া দারুল হাদিস বালিকা মাদরাসার মুহতামীম
সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু'র সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী মুহতামীম মাওলানা মুহিবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর হাড়িকোনা বালিকা মাদরাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা শেখ হাম্মাদ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মাওলানা জালাল আহমদ ইমদাদ, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল মুরসালিন, মাওলানা আজিজুর রহমান।

সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতির ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি'সংগঠনকে আরো গতিশীল ও মানুষের দ্বারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দেয়ার প্...
11/01/2025

সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতির ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি
'সংগঠনকে আরো গতিশীল ও মানুষের দ্বারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা'

লণ্ডন, ৯ জানুয়ারী : বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির পুরানো একটি সংগঠন সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতি। এ সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ৭ জানুয়ারী পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। নতুন সভাপতি সৈয়দ জিল্লুল হকের সভাপিত্বে ও নতুন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সফর আলীর পরিচালনায় এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। পূর্ব লণ্ডনের মক্কা গ্রীলে অনুষ্ঠিত এই সভায় শুরুতে তরজমাসহ কুরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভাপিত সৈয়দ জিল্লুল হক।
সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনকে আরো গতিশীল ও মানুষের দ্বারপ্রান্তে এর সেবা পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি বিদায়ী সভাপতি আহমদ কুতুবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কুতুব ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা দীর্ঘদিন সংগঠনের ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। তাঁর সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব আমাদের আগামীতে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল হক ধলা ও সাবেক কমিটির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সৈয়দ জিল্লুল হক একই সঙ্গে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করেন নতুন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সফর আলী।
অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে বিদায়ী কমিটিকে বিদায় সম্ভাষণ জানানো হয়। বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে সাদরে বরণ করে নেন। বিদায়ী ভাষণে সভাপতি আহমদ কুতুব বলেন, সৈয়দপুর শামছিয়া সমিতি আমাদের অগ্রজদের রেখে যাওয়া একটা পবিত্র আমানত। ১৯৫৮ সাল থেকে সাদাক্কায়ে জারিয়ার মান্যতা দিয়ে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরাও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা প্রত্যাশা রাখবো আজকের নবগঠিত কমিটি সেই ধারাবাহিকতার মান্যতা দিয়ে এবং সংগঠনের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সুশৃঙ্খলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, ইনশাআল্লাহ। নতুনের অগ্রাযাত্রা অব্যাহত থাকুক এবং এই কমিটি নতুন প্রজন্মের প্রতি আরো অধিক গুরুত্ব দেবে বলে আমার বিশ্বাস রাখি।
নবনিযুক্ত সৈয়দপুর শামছিয়া সমিতির কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সুহেল আহমদ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও সহযোগিতা কামনা করেন। সাবেক সহ-সভাপতি মাষ্টার সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সাবেক উপদেষ্টা মওলানা সৈয়দ সালেহ আহমদ ঐক্য ও পরামর্শ ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নতুন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতি যেন এক বছরের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করে। সুরমার সাবেক সম্পাদক ও কবি আহমদ ময়েজ তাঁর বক্তব্যে নতুন কমিটিকে অভিনন্দিত করেন।
নতুন কমিটিকে স্বাগত জনিয়ে আরো ব্যক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম অভিভাবক মুহাম্মদ রফিকুল বারী, সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আবু জাফর মিসবাহ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শেখ আব্দুল গফুর, সাবেক সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম আনা, কাউন্সিলার সৈয়দ শেখুল ইসলাম, সৈয়দপুর শামছিয়া সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আশরাফ হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও গ্রামের মুরুব্বি সাদেক কোরেশি, সৈয়দ ফরীদ প্রমূখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আরশাদ মিয়া, সৈয়দ মুফতি আহমদ, সৈয়দ মিজান আহমদ, সৈয়দ হামজা মিয়া, মো. আলী আহমদ, সৈয়দ আলী হাসান, সৈয়দ রাইনুর আহমদ, সৈয়দ জাহিদ আহমদ, আহমদ জিয়ান, আইমান আহমদ, সৈয়দ ইশহাক আলী, সৈয়দ ইমদাদ হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ইস্টসাইট কমিউনিটি সেন্টার হলে এডহক কমিটির আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত এক সভায় সাবেক সভাপতি আহমদ কুতুবকে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী সাবেক সভাপতি সৈয়দপুর শামছিয়া সমিতির আগামী তিন বৎসরের জন্য (২০২৪—২৭) নির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষে ৫ সদস্যের শোরা বা পরামর্শ কমিটি গঠন করেন।
শোরা সদস্যরা যথাক্রমে, সাবেক সভাপতি আহমদ কুতুব, সাবেক সহ-সভাপতি মাষ্টার সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, মাষ্টার মোহাম্মদ রফিকুল বারী, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মারুফ আহমদ খোকন, সিনিয়র সদস্য সৈয়দ আমিরুল ইসলাম আনা। দীর্ঘ আলোচনার পর উক্ত পাঁচ সদস্যের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি কমিটি উপস্থিত সকলের কাছে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই নতুন কমিটিকে স্বাগত ও অভিনন্দিত করে বক্তব্য রাখেন।
পরিশেষে মাষ্টার সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবু জাফর মিসবাহ ও সৈয়দ জিল্লুল হক এডহক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন যথাক্রমে সৈয়দ জিল্লুল হক, সেক্রেটারী সৈয়দ সফর আলী ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সোহেল আহমদ। বাকী দায়িত্বশীলদের মনোনীত করার দায়িত্বভার এই ৩ জনের উপর ন্যাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে নতুন তিন দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে ১২১ সদস্যবিশিষ্ট এক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন:
সৈয়দ রফিকুল হক, সৈয়দ তাজুদ মিয়া, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, আহমদ কুতুব, সৈয়দ ইউনুছ আলী, শেখ শফিক মিয়া, সৈয়দ ফয়জুল হক, মোহাম্মাদ শেখ আব্দুল মুকিত, মাস্টার মোহাম্মদ রফিকুল বারী, সৈয়দ খসরুল ইসলাম, সৈয়দ আবু জাফর মিছবাহ, মাওলানা সৈয়দ সালেহ আহমদ, সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, প্রফেসর সোজা উল্লাহ তালহা, সাদিক কোরেশী, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, সৈয়দ আবুল মনসুর লিলু, শোভা মিয়া, সৈয়দ হাসান আহমদ, সৈয়দ জামান আক্তার রানু, সৈয়দ মারুফ আহমদ খোকন, সৈয়দ আমীরুল ইসলাম আনা, সৈয়দ হোসেন আহমদ।

সৈয়দপুর শামছিয়া সমিতি লণ্ডনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির মধ্যে আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন সহ-সভাপতি যথাক্রমে সৈয়দ শামীম আহমদ, সৈয়দ আজিজুর রহমান, সৈয়দ আসাদ হক, মাওলানা সৈয়দ বদরুল ইসলাম, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ আরশাদ মিয়া, মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল গফুর। জয়েন সেক্রেটারী যথাক্রমে সৈয়দ বিলাল আহমদ, সৈয়দ হাবীবুর রহমান শিশু।
কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সোহেল আহমদ। সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মুফতি আহমদ।
অফিস সেক্রেটারি সৈয়দ হামজা মিয়া। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মুস্তাক আহমদ, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাজুর আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আলী আসরাফ আহমদ রুমী, সহকারী সৈয়দ ইমরান হক। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আজাদ মিয়া, সহ-ধর্মসম্পাদক সৈয়দ নুরুল আমীন। প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আলী আকবর, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মিজান আহমদ। ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ বোরহান আহমদ। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ শানুর আলী, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ ইসহাক আলী। আইটি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইমদাদ হক, সহ-আইটি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী ইসলাম। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইউসুফ ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নাহিদ সৈয়দ আমীন। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লীমা কোরেশী, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শেখ হাসিনা।

সদস্যরা হলেন:
আহমদ ময়েজ, সৈয়দ রফিকুল হক ধলা, আফজল কোরেশী, সৈয়দ হাসান নূর, সৈয়দ মুরাদ আহমদ, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম খান, সৈয়দ শাকিল আহমদ, মাওলানা আলা উদ্দীন, শেখ ফখরুল ইসলাম, সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, সৈয়দ হিলাল সাইফ, সৈয়দ কবীর আহমদ, সৈয়দ শাহনূর আলী, সৈয়দ আমীর হামজা, সৈয়দ শাব্বির আহমদ, মোহাম্মদ মুরসালিন আহমদ, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মাওলানা শেখ জাকারিয়া আহমদ, মুহাম্মদ ওয়া‌হিদ নোমান, শেখ আব্দুল কুদ্দুস, সৈয়দ রাজু মিয়া, মুহাম্মদ আব্দুল মুমিত নিজাম, সৈয়দ সাজ মিয়া, সৈয়দ তোফায়েল আহমদ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ রাজু মিয়া, সৈয়দ কামরুল হাসান, মোহাম্মদ রেজওয়ান আহমদ, সৈয়দ শায়েজ আহমদ, সৈয়দ ফয়েজ আহমদ, সৈয়দ আবেজ রায়হান, তানবির হোসেন কোরেশী, ফয়সল হোসেন কোরেশী, সৈয়দ জাহিদ হক, সৈয়দ আমিনুর রহমান, সৈয়দ তালহা মিয়া, সৈয়দ আফিফ আহমদ, শেখ জয়নুল ইসলাম, সৈয়দ শাকির আহমদ, শেখ আইনুল ইসলাম, সৈয়দ মোমিন আহমদ, শেখ আব্দুল মতিন, সৈয়দ আবিদ আহমদ, সৈয়দ এমরান, সৈয়দ ইমরান, শেখ জুলকারনাইন, আইমান আহমদ, আহমদ জিয়ান, সৈয়দ ইউসুফ ইসলাম মোবিন, সৈয়দ আলী হাসান, সৈয়দ কাউসারুল হাসান, সৈয়দ রাহিনুর রহমান, সৈয়দ নাঈম আহমদ, সৈয়দ ইব্রহিম ইসলাম, নাসিম শহীদ, মেহদী মুহাম্মদ বারী, শেখ নাসির আহমদ, শেখ আবু হুরায়রা, সৈয়দ নাজমুস সাকিব, তানজিম হাসান কোরেশী, তামীম হোসেন কোরেশী।

অবৈধ সম্পদ ও অনৈতিকতার গ্যাড়াকলে  টিউলিপ পরিবার- অঢেল সম্পদের হিসাব মিলছে না।- মায়ের ডিভোর্সের কথা বলেও পার পাচ্ছেন না।-...
09/01/2025

অবৈধ সম্পদ ও অনৈতিকতার গ্যাড়াকলে টিউলিপ পরিবার

- অঢেল সম্পদের হিসাব মিলছে না।
- মায়ের ডিভোর্সের কথা বলেও পার পাচ্ছেন না।
- ছোট বোন রুপন্তিুও বাগিয়ে নিয়েছেন বিনামূল্যে ফ্ল্যাট।
- শেখ পরিবারের দুর্নীতির কারণে প্রবাসীদের মাথা হেট।
- আরমানের স্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ।
- নির্ধারিত চীন সফর বাতিল করা হয়েছে।
- টিউলিপকে মন্ত্রী বানানো ভুল সিদ্ধান্ত: দ্যা টাইমস।

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।

লণ্ডন, ৮ জানুয়ারি- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের রাজনৈতিক আদর্শ কে? প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, তার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক আদর্শ। টিউলিপের উত্তর শুনে বিদগ্ধ মানুষেরা তখন চোখ কপালে তুলেছিলেন। পৃথিবীতে এত বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে লণ্ডনে জন্ম নেয়া টিউলিপের খালা হাসিনা কেনো তার রাজনৈতিক আদর্শ, এই হিসাব অনেকেই মেলাতে পারছিলেন না। অবশেষে সব হিসাব মিলেছে। বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আগেই জড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, টিউলিপের মা শেখ রেহানাসহ তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালাসংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে সে গ্যাড়াকলে ফেসেছে। যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এবার তদন্তের মুখে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে লন্ডনে একাধিক ফ্ল্যাট বিনামূল্যে গ্রহণ করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব ফ্ল্যাট তাকে দিয়েছেন তার খালার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি ব্যক্তিরা।

লেবার পার্টির প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে এক ধরনের তোলপাড় চলছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে মিথ্যা বলেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এ নিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) টিউলিপকে তার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের দাবি করেছেন টোরি এমপিরা। রোববার টিউলিপ সিদ্দিককে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে ডেইলি মেইল। টিউলিপকে প্রশ্ন করা হয় যে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের ফ্ল্যাটটি তিনি তার স্বৈরশাসক খালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছিলেন কি না। এর আগে টিউলিপ জানান, উপহার হিসেবে তিনি এই ফ্ল্যাট পাননি। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, তার বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তবে লেবার পার্টির সূত্র নিশ্চিত করেছে যে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে টিউলিপকে ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন আবাসন খাতের তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপার। টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তিনি তা ব্যাখ্যা না করলে মন্ত্রী হিসেবে তার এই অবস্থান অযোগ্য। টোরি দলের আরেক এমপি বেন ওবিস-জেক্টিন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে নতুন এই তথ্য উদ্বেগজনক।

লেবার পার্টির সূত্র জানায়, ২০২২ সালে যখন প্রথম অনুসন্ধান করা হয় তখন টিউলিপ সিদ্দিককে তার পরিবার জানায় যে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে তার পরিবারের 'দাবি' পরিবর্তন হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন এক ব্যক্তি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, মোতালিফ (আবাসন ব্যবসায়ী) ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে উপহার দিয়েছেন ‘কৃতজ্ঞতার নিদর্শন’ হিসেবে, কারণ তিনি নিজে যখন দুর্দশার মধ্যে ছিলেন, টিউলিপের বাবা-মা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়েছিলেন। শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে প্রকাশের টিউলিপ এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, কীভাবে তিনি এই সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছেন সেই সম্পর্কে টিউলিপের আগের বোঝার অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। এই ভুল বুঝতে পারার পর দ্রুত টিউলিপ সিদ্দিক সাংবাদিকদের এই বিষয়ে অবহিত করেন- যারা এই বিষয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে তৃতীয় তলার এই ফ্ল্যাটের মালিক হন টিউলিপ। তখন তিনি সবেমাত্র লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেন। সেই সময় তার জ্ঞাত আয় ছিল না। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তারা প্রমাণ করেছে যে পূর্বে এই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন আব্দুল মোতালিফ। ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। তিনি ২০০১ সালে এই ফ্ল্যাট ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে টিউলিপকে ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তার এই ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পাওয়া কিনা। এর জবাবে লেবার পার্টির মেইল থেকে বলা হয়, ২০ বছর আগে টিউলিপের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে, তারা তাদের পরিবারের বাড়ি বিক্রি করে এবং সেই অর্থ দিয়ে কিংস ক্রস এলাকায় ফ্ল্যাটটি কিনেছিল। এরপর গত বছরের জুলাইতে টিউলিপ সিদ্দিক এবং লেবার পার্টির কাছে ডেইলি মেইল আবার প্রশ্ন করে। তবে এর জবাবে টিউলিপ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন টিউলিপ বলে ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে।

এদিকে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। এবার দ্য টেলিগ্রাফ দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটির খবর প্রকাশ করেছে। এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রথমটির তথ্য প্রকাশ্যে আনে। দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস করতেন। এটিও তার খালা বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া। তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। সানডে টাইমসের মতে, মঈন গনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। যিনি হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। ২০০৯ সালে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন তিনি। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, টাকা বা আর্থিক মূল্য ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন আজমিনার বয়স ছিল ১৮ বছর। টিউলিপ সিদ্দিক বেশকিছু অফিসিয়াল নথিতে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটিকে তার বাসভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এমনকি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি কোম্পানির নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন।

নেটিজেনরা বলছেন, টিউলিপ ২০০৪ সালে যখন বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট পান তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। আর ছোট বোন আজমিনা রুপন্তি ২০০৯ সালে ১৮ বছর বয়সেই পেয়ে যায় বিনা মূল্যের ফ্ল্যাট। আলাদীনের চেরাগের দৈত্যও হয়তো এখন লন্ডনে বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট দিতে পারবে না! কিন্তু ''শেখের বেটি'' রা পারে।

জানা গেছে, সম্পত্তি নিয়ে জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে আসার পর মন্ত্রীত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে আর্থিক দপ্তর। সোমবার দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের নির্ধারিত চীন সফর বাতিল করা হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর নীতি উপদেষ্টার কাছে নিজেকে পেশ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন টিউলিপ। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে চীনে যাওয়া ট্রেজারি প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। তবে এখন তিনি যুক্তরাজ্যেই থাকবেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতি উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবেন। লন্ডনে যে দুটি ফ্ল্যাট টিউলিপ বিনামূল্যে পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সে ফ্ল্যাটগুলো কে কখন ব্যবহার করেছে তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। তদন্তে টিউলিপের কাছে এসব সম্পত্তি কিভাবে পেয়েছেন তা জানতে চাওয়া হবে। তিনি যদি সঠিক ব্যখ্যা দিতে না পারেন তবে তার মন্ত্রীত্ব চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টিউলিপ বলছেন, এসব সম্পত্তি অবৈধ নয়। তবে কীভাবে এই সম্পত্তি পেয়েছেন সে প্রশ্নে তিনি একেকবার একেক রকম দাবি করেছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে মন্ত্রী পর্যায়ের মান পর্যবেক্ষণ সংস্থার কাছে সঁপে দিয়েছেন। ৬ জানুয়ারি সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নগর ও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ণয়বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে, মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা বা আচরণবিধি তিনি ভঙ্গ করেছেন কি না, তা দেখার অনুরোধ করেছেন।

টিউলিপ বর্তমানে পূর্ব ফিঞ্চলে এলাকায় আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তির ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য। শেখ হাসিনার পার্টি সঙ্গে টিউলিপের সংযোগ অতীতেও তার জন্য রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হয়েছে। ৮ জানুয়ারি বুধবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, নিখোঁজ আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক ও এমপি ছিলেন। তাই ওই সাংবাদিক মনে করেছিলেন, হাসিনার কাছে একটি ফোন করলে আরমান হয়ত মুক্তি পেতে পারেন। চ্যানেল-৪ এর ওই সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন টিউলিপ। তিনি পরবর্তীতে তার ক্ষমতা ও প্রশাসনকে দিয়ে আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান বলে অভিযোগ রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার আরমান জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তাকে নিয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক। এর জেরে আরমানের বাসায় অভিযান চালান বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা তার স্ত্রীকে ‘মুখ বন্ধ’ রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, চ্যানেল-৪ প্রতিবেদনটি প্রচার করার কয়েক ঘণ্টা আগে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আমার বাড়িতে যায়। আমার স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলে। বাইরের দেশের কার কার সঙ্গে আমার স্ত্রীর যোগাযোগ আছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে। তাকে এমনভাবে হেনস্তা করে যেন কোনো সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা বলেছেন, গণমাধ্যমে যেন এ বিষয়ে কোনো আলাপ না ওঠে। টিউলিপকে এভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি করার বিষয়কে ভালোভাবে নেয়নি শেখ পরিবার। আরমান বলেন, এই কারণেই তারা প্রশাসন দিয়ে আমার পরিবারকে নতজানু করার চেষ্টা করেছে।

এদিকে এলিটদের কাগজখ্যাত 'দ্যা টাইমস' টিউলিপকে নিয়ে এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়ানা উচিত। সম্পাদকীয় আরো বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মন্ত্রী বানানো ছিলো প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের একটা ভুল সিদ্ধান্ত।

সাত বছর পর লণ্ডনে মা-ছেলের পুনর্মিলন- মাকে দেখে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান।- হাসিনা পালিয়েছেন কার্গো বিমানে, খালেদা এলেন রাজ...
09/01/2025

সাত বছর পর লণ্ডনে মা-ছেলের পুনর্মিলন

- মাকে দেখে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান।
- হাসিনা পালিয়েছেন কার্গো বিমানে, খালেদা এলেন রাজকীয় বিমানে।

শামসুল ইসলাম, লণ্ডন, ৮ জানুয়ারি- উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে কাতারের দোহায় বিরতির পর লন্ডনে পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্স লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। হিথ্রো বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে ভিআইপি প্রটোকল দেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাপমাত্রা মাইনাস ১ ডিগ্রি, সাথে কিছুটা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন। মা বেগম জিয়াকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন আবেগাপ্লুত ছেলে তারেক রহমান। অসুস্থতা ভুলে বেগম জিয়া হয়ে ওঠেন মমতাময়ী মা। মা-ছেলের উষ্ণ আলিঙ্গন শেষে যুক্তরাজ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বেগম খালেদা জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। দেশ ছাড়ার আগে লাখো নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে গুলশানের বাসা থেকে এস্কর্ট দিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে বিদায় জানান।

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর পরই আবেগের ঢেউ আছড়ে পড়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে। খালেদা জিয়াকে ঘিরে এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত লোকজন বলতে শুরু করেন, ‘এ মিলন কত আকাঙ্ক্ষার, কত প্রত্যাশার তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মায়ের দেখা পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান। বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর মা বেগম খালেদা জিয়াকে গাড়ি ড্রাইভ করে নিজেই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তারেক রহমান। আগে থেকেই হাসপাতালে সব কিছু প্রস্তুত করা ছিল। লন্ডনের স্থানীয় বুধবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটে তারেক রহমান মাকে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছান তাঁরা। জানা গেছে, এখন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা চলছে।

যুক্তরাজ্যের 'দ্য লন্ডন ক্লিনিক' এ বেগম জিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি একজন স্বনামধন্য লিভার বিশেষজ্ঞ। লিভারের ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে কাজের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর, তিনি লন্ডনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে বার্টস অ্যান্ড দ্য লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রিতে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ক্রনিক হেপাটাইটিস বি (সিএইচবি) রোগ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর এই গবেষণার প্রধান লক্ষ্য ছিল লিভারের ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতির বিকাশ ঘটানো। এ বিষয়ে ২০০টির বেশি গবেষণাপত্র, ৯০টির বেশি পিয়ার রিভিউড আর্টিকেলসহ একাধিক বই লিখেছেন প্যাট্রিক কেনেডি। তিনি হেপাটোগ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি নিয়েও একটি বই সম্পাদনা করেছেন। প্রফেসর কেনেডি একজন ফিজিশিয়ান কনসালট্যান্ট এবং হেপাটোলজিস্ট হিসেবে আছেন। তিনি তরুণদের লিভার রোগ নিয়ে কাজ করছেন। পেশাদার ক্রীড়াবিদ ও প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ক্লাবগুলোতেও তিনি লিভার রোগ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানে খেলোয়াড়দের লিভার রোগ নিয়ে পরামর্শ ও চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

প্রফেসর কেনেডি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা এবং এইচবিভি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া ইউরোপীয় লিভার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের এইচবিভি ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস গাইডলাইন কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। ইউনাইটেড কিংডম অ্যাডভাইজরি প্যানেলের (ইউকেএপি) হয়ে রক্তের ভাইরাস রোগ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকেন প্রফেসর কেনেডি। তিনি ব্রিটিশ ভাইরাল হেপাটাইটিস গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান।

তবে প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পথে ওমরাহ পালনও করার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রতিহিংসাপরায়নতা আর অকল্পনীয় জুলুমের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং প্রতিবেশী দেশের প্রতিহিংসার মূল কারণ তার আপোষহীন দেশপ্রেম, তুমুল জনপ্রিয়তা, দেশের সর্বমানুষের প্রানোত্সাতির ভালোবাসা। যা এই দেশবিরোধী-গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের কাছে ছিল অসহনীয়। যে কারণে সর্বজন বিদিত মিথ্যা সাজানো মামলায় তিন বারের সর্ব্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাস্যকরভাবে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে বছরের পর বছর বিনা চিকিৎসায় চরম অসুস্থ করে তোলা হয়। করোনাকালীন সময়ে তাকে স্যাতস্যেতে কারা প্রকোস্টের বাইরে বাসায় এনে গৃহবন্দী করে রাখা হলেও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে আসতে দেয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবে সুস্থ খালেদা জিয়া হেটে কারাগারে গেলেও নির্যাতন করে তাকে গুরুতর অসুস্থ করে ফেলে হাসিনার দোসররা। বিনা চিকিৎসায় তার শরীরে বাসা বাধে হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায়। কারাগার থেকে যখন তাকে বের করা হয় তখন তিনি হুইল চেয়ারে।

জানা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন চিকিৎসকরা। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবারই তা উপেক্ষা করেছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল। এমন অবস্থায় ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া স্থায়ী মুক্তি পান। এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে ওই সুসংবাদ পান তিনি। তখন এক মাস ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতবছরের ২১ আগস্ট বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার চিকিৎসা বাসায় চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতেও বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মূলত উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে আসা ও এর দিন-তারিখ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। একাধিকবার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। খালেদা জিয়াসহ সফরসঙ্গীদের কারও কারও ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতাও ছিল। শেষে ৭ জানুয়ারি লণ্ডনে আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয় এবং সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা গেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের ভিসা নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর ৭ বছরের মধ্যে তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। বাংলাদেশের অবৈধ ও অনৈতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরম জিঘাংসার শিকার মজলুম মা ও ছেলে বহু বাধার বিন্দাচল, চড়াই-উত্রাই, অনিশ্চয়তা, শোকগাঁথা-বেদনা-বিষাদ-আনন্দের বহু দগদগে দিনলিপি পেরিয়ে সাত বছর পর পুনর্মিলন হলো। পুনর্মিলন হলো বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও আদরের নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কন্যা জাফিয়া রহমানও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে। যে অকৃত্রিম মধুরতম সাক্ষাতের জন্য প্রতিটি অনুক্ষন তারা প্রহর গুনছিলেন।

Address

S6, The Whitechapel Centre, 85 Myrdle Street
London
E11HL

Opening Hours

Monday 10am - 7pm
Tuesday 10am - 7pm
Wednesday 10am - 11pm
Thursday 10am - 7pm
Friday 10am - 7pm

Telephone

+442073779787

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Surma News Group posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Surma News Group:

Videos

Share