Johir Uddin

Johir Uddin "Hi there! I am Johir, a passionate digital creator specialised visual storyteller.

01/11/2024

08/10/2024
27/02/2024

এদেশের ঠান্ডার অদ্ভুত একটা বৈশিষ্ট্য আছে। কোনো কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে দলবলসমেত জাঁকিয়ে বসে। আজ প্রকৃতির বিষাদ ভাব অনেকটাই কমে গেছে,- হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নাই বললেই চলে। ঝিরঝির হাওয়ায় অন্য রকম একটা সুখ ভাব ছড়িয়ে আছে। আকাশটাও আজকে অন্যদিনের চেয়ে ফকফকা। আমি গার্ডেন টেবিলের সারির সামনে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছি এমন সময় আলেইশা'র মা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

জো ডার্লিং তুমি কেমন আছো?

আমি হালকা করে হাসলাম।

ভদ্রমহিলা পর পর তিন গ্লাস ব্লাডি মেরি খেলেন, - সাথে তিন শর্ট এলটস টাকিলা। এরপর পাশের টেবিলে বসে থাকা টাকলা মাথার ভদ্রলোককে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলেন। এদের এই অদ্ভুত ব্যাপার, - মদের আসরে খুব অল্প পরিচয়ে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়।

আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি এমন সময় আলেইশা এসে আগুন চোখে তাকালে।

আমার মা'কে ড্রিংকস তুমি বানিয়ে দিয়েছো তাই না? আমি শুধুমাত্র এক গ্লাস ভোদকা বানিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম। এই এক ঘন্টায় উনি মনে হয় অনেকবার ড্রিংকস নিয়েছে, সব তুমি বানিয়ে দিয়েছো তাই না?

আমি হালকা করে হাসলাম।

জো, আমি তোমাকে বলে গিয়েছিলাম যে আমার মা'কে ড্রিংকস দিবে না। জানো সে কন্ট্রোলে থাকে না,- বলেই আলেইশা নিজেও হাসতে লাগলো।

আমি ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। তার ব্লেড করা টাক মাথা লিপস্টিক ছোঁয়ায় অনেকখানি রঙিন হয়ে আছে। আমার মনে হলো ভদ্রলোকও বেশ আনন্দ পাচ্ছেন। তিনি শক্ত হাতে আলেইশার মা নাতাশাকে জড়িয়ে ধরে আছেন। শুধু আলেইশা মুখ শক্ত করে তাকিয়ে রইলো।

ফ্রান্স থেকে বত্রিশ জনের একদল তরুন তরুনী এসেছে। সবাই ল' এর শেষ বছরের স্টুডেন্ট। এদের মধ্যে এক মেয়ের জন্মদিন। সবাই মিলে জন্মদিনের কেক কেটে হই হুল্লোড় করছে। বারের সামনেই তারা গানের তালে তালে নাচছে। আমি আর ফ্রান্সি ড্রিংকস বানিয়ে দিচ্ছি। মেয়েগুলো ড্রিংকস হাতে নিয়ে বলছে ম্যাক্সি, ম্যাক্সি। ম্যাক্সি কথার মানে কি কে জানে। দু'জন মেয়েকে দেখলাম অনেকখানি কাপড় খুলে ফেলেছে। বুকের নাজুক অংশ বেরিয়ে আছে। আমার থেকে মাত্র হাত খানিক দূরে। আমি চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললাম। ফ্রান্সি হাসতে হাসতে বললো, জো, খালি চোখে না দেখলে তৃপ্তি পায় না। সাদা গ্লাসের ফ্রেম তার চোখের সামনে অনেকখানি পর্দা টেনে রাখে।

আলেইশা মুখ শক্ত করে আইরিশ একসেন্টে কইলো, F**king এইল,- আরো কিছু আইরিশ শব্দ।সহজ বাংলায়, লুইচ্চা, বদমাইশ, হারামি কোথাকার।

রাত এগারোটার দিকে ঘটলো বিপত্তি। বিনা নোটিশে আমাদের সাপ্লাইয়ের ঠান্ডা পানি সরবরাহ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলো। আলেইশা উপরে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে সব কিছু উল্টেপাল্টে দেখলো। তারপর আমাকে ফোন করে বললো, Joe, we gonna f***ing sut down, f**k them ass. সহজ বাংলায় তরজমা করলে অর্থ দাঁড়ায়, জো, আমরা দ্রুত বন্ধ করতে যাচ্ছি, সবাইকে বের করার ব্যবস্থা করো।

এদের ইংরেজি নিয়েও বেশ সমস্যায় আছি। প্রায় প্রতিদিন সকালবেলা মি. ডুগান সাহেবের দেখা হয়। একটা ল্যাপটপের কালো ব্যাগ কাধে নিয়ে ছুটতে থাকেন। আমাকে দেখলেই বলেন, Ey up mate, morning. How's going on. Si thi!

যার বাংলা অর্থ দাঁড় করালে হয়, শুভ সকাল বন্ধু, কি অবস্থা তোমার। যাই, - আবার দেখা হবে!

আমি হু হ্যাঁ কিছুই বলি না। ডুগান সাহেব কিছু বলার সময়ও দেন না। তিনি কফির কাপ হাতে ছুটতে থাকেন। এদেশে মানুষের এই আরেক সমস্যা,- এরা শুধু ছুটতে থাকে। আপনি যত দ্রুতই হাঁটেন না কেনো দেখবেন পাশের জন আপনার চেয়ে অনেক দ্রুত হেঁটে চলছে। এরা আর যাই হোক কোথাও গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে জটলা পাকায় না,- এরা শুধু ছুটে!

মি. জ্যাক এসেছিলেন সন্ধ্যেবেলা। বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই আসেন। দুই পাইন্ট মাদ্রি খান, ঘন্টা তিনেক ঝিম ধরে বসে থাকেন। আশির কাছাকাছি বয়স। ফরাসি মেয়েদের সাথে একজন বয়স্ক মহিলাও এসেছিলেন। জ্যাক উনার সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিলেন, ভদ্রমহিলার ওয়াইনের বিল দিলেন। এক সাথে পাশাপাশি বসে আর্সেনাল আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলা দেখলেন। ভদ্রমহিলা যাবার সময় জ্যাকের গালে আলতো করে কিস খেলেন। আমি এই দৃশ্য দেখে হেসে ফেললাম। বললাম, জ্যাক, ইউ গনা লাভ? জ্যাক লজ্জা পেয়ে বললো আই ডোন্ট মাইন্ড! আই ডোন্ট!

আই ডোন্ট মাইন্ড বললেও জ্যাক খুশির ঠেলায় তিন পেগ হেনেসি ব্রান্ডি খেয়ে ফেললো এবং বের হবার সময় পাবের দরজার সামনে ধপাশ করে পড়ে গেলেন।

আমি জ্যাকের হাত ধরে টেনে তুললাম। মৃদু হেসে বললাম, জ্যাক, চুমুর ভার মনে হয় বেশি ছিলো, সহ্য করতে পারোনি। জ্যাক শব্দ করে হেসে বললো, ইটস ও'কে! আই ডোন্ট মাইন্ড! আই ডোন্ট মাইন্ড!

মি. মার্কোস চুপচাপ বসে আকাশ দেখছেন। আমি পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ গুছাচ্ছি। হাতে তেমন কোনো কাজও নাই। মেইন্টানেন্সের লোক আসছে, তারা খুটখাট করছে উপরে।

মি. মার্কোস নিরবতা ভাঙলেন।
জো, তোমার বউ বাচ্চা কেমন আছে?
জ্বি স্যার, ভালো।

জানো মেরীর সাথে আমার পরিচয় হয় কলেজে। আমার কলেজ, পড়াশোনা কিছুই ভালো লাগতো না। আমার পছন্দ ছিলো রাগবি খেলা। শুধুমাত্র মেরীকে দেখার জন্য কলেজে যেতাম।

মি. মার্কোস নি:শ্বাস নিলেন।

মেরী কলেজ পাশ করে ইউনিভার্সিটি গেলো আর আমি ড্রপ আউট হয়ে বাবার গ্যারেজ সামলানোতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। প্রায়ই পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে হ্যাং আউটে যাই। রাগবি খেলি। মেরীর সাথে যোগাযোগ বাড়ে। একসময় আমরা এক সঙ্গে থাকা শুরু করে দিলাম। আমাদের দুই সন্তান হলো। আমরা বিয়েও করলাম।

প্রকৃতির একটা অদ্ভুত বিধান কি জানো? স্মুথলি চলা সুসময়ের মাঝে হঠাৎ করে একটা বিশৃঙ্খলা আনা। আমার আর মেরীর জীবনেও হঠাৎ করে সেই বিশৃঙ্খলা হানা দিলো, - মেরীর ক্যান্সার ধরা পড়লো।

তারপর কেমো, হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটোছুটি, সকাল বিকাল ডাক্তারের পরামর্শ মতে চলা,- সবই করলাম তবু কোনো লাভ হলো না। মেরী আমাকে ছেড়ে, তার প্রানপ্রিয় দুই সন্তানকে ছেড়ে, - অদ্ভুত শূন্যালোকে যাত্রা করলো। আমি শুধু তার হাত ধরে চুপটি করে বসে রইলাম,- একবার বলতে পারলাম না, হানি, আমাকে একা ফেলে এভাবে চলে যেও না! আমি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে একা চলতে পারবো না!

মি. মার্কোস চোখ থেকে চশমা খুলে পরিস্কার করতে লাগলেন।

কবিতার ভাষায়, এ-পৃথিবী পায় তারে একবার,- পায় নাকো আর! আমি জানি মেরীকে আমি আর কখনো ফিরে পাবো না। তবু আমি মাঝে মাঝে তার কবরের সামনে গিয়ে আকুতি করি। আমি নাস্তিক মানুষ। তবু চার্চে যাই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। শুধু আর একটি বারের জন্য আমি মেরীকে চাই! শুধুমাত্র একটি বার!

জো, আমি জানি সব কিছু মিথ্যে, সব কিছু ভ্রান্তি, সবই মায়া! তবু আমি আরেকটি বার মিথ্যে দিবানিশির প্রেম খেলায় জড়াতে চাই! এ-জীবন ভালোবেসে আরেকটি বার আমি স্বপ্ন দেখতে চাই!

অনেকখানি রাত নেমে এসেছে। চারিদিকে তেমন মানুষের আনাগোনা নাই। আমি ট্রেনে চড়ে বসলাম। ট্রেন মাটির নিচ দিয়ে চলছে। চারদিকে প্রগাঢ় বিষণ্ণতা, তীব্র অন্ধকার! সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে আছে। একসময় ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুমের মধ্যে শুনলাম মি. মার্কোস বলছে, জো, আমরা সবাই জীবনে পূর্ণ হতে চাই কিন্তু বাস্তবতা হলো মানুষের জীবনে কখনো পূর্ণতা আসে না। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি, ভালোবেসে বুক বাঁধি এবং দিবানিশির মিথ্যে প্রেম খেলায় নিজেকে সপে দেই!

ক্রিস এর সাথে আমার পরিচয় মাস দুই আগে, - স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। হঠাৎ হঠাৎ এসে উদয় হয়, চার-পাঁচ গ্লাস লেইবল হেড খায়, সাথে...
14/02/2024

ক্রিস এর সাথে আমার পরিচয় মাস দুই আগে, - স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। হঠাৎ হঠাৎ এসে উদয় হয়, চার-পাঁচ গ্লাস লেইবল হেড খায়, সাথে তিন-চার বার সাঙ্কি শর্ট। তারপর মাঝরাত অব্দি শুরু করে গল্প। তার গল্পের বিষয়বস্তু জুড়ে থাকে মদ, মেয়ে মানুষ আর সেক্স। এই দুনিয়াতে এই তিন জিনিস ছাড়াও যে আরো কিছু আছে সেটা তার সাথে কথা বললে বোঝার উপায় নাই।

সত্যি বলছি এই হ্লা'র কথা আমি কিছুই বুঝি না। ইংলিশই বুঝি না, আবার স্কটিশ একসেন্ট! যারা সাধারণত IELTS করে তারা কিছুটা জানে যে এই বৃটিশদের মামতো ভাইরা কেমতে কইরা ইংলিশ কথা বলে। তারপরেও ক্রিসের বেশিরভাগ কথায়ই আমি মাথা নাড়াই, আলতো করে হাসি আর একটু পর পর বলি, Chris, You're great! What a nice man!

আসুন ইংরেজি শিখি....

আমি কিছুটা অসুস্থ - I'm ailing
অথবা I'm under the weather.

আসো সবাই মিলে চিন্তা করে সমস্যাটার সমাধান বের করি- Put our heads together.

সাধারণত মেয়েরা কিছুটা অসুস্থ হলে বলবে- Sorry, I'm feeling lousy

ক্রিসের কাছ থেকে আমি একটা ইংরেজি শিখেছি - I'm country boy মানে আমি গ্রামের ছেলে।

আমার বউ নতুন যে জায়গায় জব নিছে সেই ম্যানেজারের নাম ডায়ানা। রূপবতীকে দেখেই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বুকের বাটন খোলা, শর্ট জাম...
09/02/2024

আমার বউ নতুন যে জায়গায় জব নিছে সেই ম্যানেজারের নাম ডায়ানা। রূপবতীকে দেখেই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বুকের বাটন খোলা, শর্ট জামা কাপড়। আমি আমার বউকে কাকুতি মিনতি করে কইলাম, প্লিজ, একটু ডায়ানাকে বলে দাও। আমি এখানে জব করতে চাই। বউ সরু চোখে কইলো, Why? আমি চিমসে গেলাম।

একদল ফ্রেন্স মেয়ে আসছে। এদের মধ্যে তিনজন বেশ উতলা, মাইডিয়ার টাইপের। তিন পাতি টাকিলা শর্ট খাওয়ার পর গায়ের জামাকাপড় খুলে স্বল্পবসনা হয়ে নাচতে লাগলো। বারের ওপাশে নাচছে, আমার থেকে মাত্র এক হাত দূরে। শরীরের নাজুক অংশ দেখা যাচ্ছে। আমি মুগ্ধ! চোখ থেকে চশমা খুলে পকেটে রাখলাম। আলেইশা বললো, এই তুমি চশমা খুললে কেনো? তুমি তো ঠিকমতো চোখে দেখো না?

আমি মুগ্ধ গলায় বললাম, I wanna see naturally, গ্লাস চোখে আরাম পাচ্ছি না।

আইরিশ ভাষায় আলেইশা যা বললো ভদ্রভাবে বললে মানে, হারামি, লুইচ্চা বদমাইশ। দাঁড়া সুলতানাকে (আমার বউ) ডাকছি। তোর চোখ গালার ব্যবস্থা করতেছি।

পিক দেইখা কি মনে হইতেছে। আমার বউ আমারে অনেক ভালো পায়?তয় কাহিনি শুনেন। বউ আমারে অনেক আদর করতেছে। দুইবার চা বানাইয়া খাওয়াই...
05/02/2024

পিক দেইখা কি মনে হইতেছে। আমার বউ আমারে অনেক ভালো পায়?

তয় কাহিনি শুনেন। বউ আমারে অনেক আদর করতেছে। দুইবার চা বানাইয়া খাওয়াইছে,- সাথে চিলি চিকেন আর রুটি। কেনো জানেন?

আজকে আমার ছুটি। একটু পরেই তার সমস্ত ভালোবাসা........... জায়গা দিয়ে বের হয়ে যাবে...

আরে অনেকগুলো থালাবাসন জমছে সেইগুলি ধুমু, ঘর পরিস্কার করমু, বাথরুমের কমোড বেসিন ধুমু, আর বাথটাবের গায়ে যে কালা কালা দাগ হইছে,- মেডিসিন ছিটাইয়া সেই দাগ স্কাবার দিয়ে ঘষে ঘষে উঠামু... সমস্ত বিনবক্স পানি ছিটাইয়া ধুমু.....থাক বাকি ইতিহাস আর বলতে চাই না। ক'দিন পরে আমার দুই ভাইয়ের (বউয়ের বন্ধু) বিয়ে। দেখা যাইবো বেচারারা বিয়ার আসর থেইক্যা বেড়া ভাইঙ্গা পলাইবো....😪😪😪😪😪

ঘরের আলো লাল-নীল-হলুদ হচ্ছে, স্পীকারে ভলিউম বাড়িয়ে গান বাজছে। ছেলে বুড়া তরুন তরুণী সবাই শরীর দুলিয়ে নাচছে। আমি অভিভূত হয়...
31/01/2024

ঘরের আলো লাল-নীল-হলুদ হচ্ছে, স্পীকারে ভলিউম বাড়িয়ে গান বাজছে। ছেলে বুড়া তরুন তরুণী সবাই শরীর দুলিয়ে নাচছে। আমি অভিভূত হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। এক সময় অভিভূত ভাব কিছুটা কমে এলো। বউরে কইলাম, হানি, চলো খেলি।

বউ আগুন চোখে তাকালো, খেলি মানে কী? এটা কি ধরনের অসভ্যতা?

আমি আমতা আমতা করে কইলাম, না মানে চলো আমরা নাচি!

বউ মুখ ঝামটা মাইরা কইলো, আয়নার নিজের চেহারা দেখছোস! তরে তো গরুর বেপারী গো মতো লাগতেছে। মনে হইতেছে এখনি গাবতলীর হাটে গিয়া ট্রাক থেকে গরু নামাবি। শার্ট ঠিক কর, কোটের পেছন দিকে শার্ট বেরিয়ে আছে! কিভাবে শার্ট প্যান্ট পরতে হয় তা-ও জানে না, অহেতুক মানুষ একটা।

আমি আর কি করমু,- মিয়ানো মুড়ির মতো চুপসে রইলাম।

আচ্ছা আমার কথা থাক। আসুন ইংরেজি শিখি...

I'm with you on that one- এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আমি তোমার সাথে আছি।

Don't cut corners in life - জীবন গঠনে শর্টকাট পদ্ধতি গ্রহন করতে যেও না।

Yeah s**t! You honk- আরে দূরে সর! তোর গা থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরুচ্ছে।

রাতে কাজ শেষ করে পাগলা পানীয়ের আসরে বসলাম। সালভো দুই পেগ হুইস্কি খেয়ে আমাকে প্রশ্ন করলো আমার  দেশের সস্তা আর সহজলভ্য পান...
29/01/2024

রাতে কাজ শেষ করে পাগলা পানীয়ের আসরে বসলাম। সালভো দুই পেগ হুইস্কি খেয়ে আমাকে প্রশ্ন করলো আমার দেশের সস্তা আর সহজলভ্য পানীয় কোনটা। আমি বললাম Fire's of Bangla. ফ্রান্সি জিজ্ঞেস করলো এই পানীয়ের বিশেষত্ব কি? বললামম একটু কড়া গন্ধ তয় পুরা পিনিক। সবচেয়ে ইজি পাওয়া যায় আমাদের গোপীবাগ রেললাইনের পাশে।

আমাদের এলাকার মিনহাজ চাচা ছিলো সিটি কর্পোরেশনের সুইপারদের সুপারভাইজার। প্রায় রাতেই তিনি Fire's of Bangla খেয়ে এসে গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকতেন। তার গায়ে থাকতো উৎকট গন্ধ। এই সময় তিনি ইংরেজিতে কথা বলতেন। তার একটা ইংরেজি হইলো, Your wife you sleep, my wife me sleep.

সত্যি বলছি এই ইংরেজির মানে আমি জানি না।

বি:দ্র: ছবি দেখে ভড়কে যাবার কিছু নাই। কাজ শেষে বাসায় ফিরছি। আমার গায়ে উৎকট গন্ধ নাই।

লন্ডনের রাস্তায় আপনি হাঁটবেন কখনো দেখবেন না কোনো বৃটিশ রাস্তায় নাক ঝাড়ছে কিংবা থুথু কফ ফেলছে। এই জিনিস দেখার জন্য আপনাকে...
28/01/2024

লন্ডনের রাস্তায় আপনি হাঁটবেন কখনো দেখবেন না কোনো বৃটিশ রাস্তায় নাক ঝাড়ছে কিংবা থুথু কফ ফেলছে। এই জিনিস দেখার জন্য আপনাকে ইষ্ট লন্ডনে যেতে হবে। আমার কিছু ভাই ব্রাদার আছেন যারা দেখা হলেই থু করে এক দলা পানের পিক ফেলে বলবে, আরে ভাইজান, কিতা খবর, - ভালানি? এদের দোকানেও বাংলায় সুন্দর করে কাগজ সাটানো "এখানে পান-সুপারি" পাওয়া যায়। এরা অবশ্য সুপারি বলে না,- বলে "গোয়া"। আপনার প্লেটে মিষ্টি দেবার সময় হাসিমুখে বলবে, কালা'গু খাইবা নাকি লাল'গু? মানে কালো মিষ্টি খাবেন না লাল মিষ্টি!

এই রকম একজন গোয়াওয়ালার দোকান থেকে আমি ধুন্দুল আর চিংড়ি মাছ কিনলাম। ধুন্দুল দিয়ে চিংড়ি মাছ আমার অসম্ভব প্রিয় খাবার। খুশির ঠেলায় বউরে কল দিলাম, হানি, জিনিস জোগাড় করে ফেলছি, - ধুন্দুল আর চিংড়ি!

ও-প্রান্ত থেকে বউ খুকি খুকি গলায় কইলো, ওয়াও! নাইস! হানি, ইউ আর গ্রেট! এক কাজ করো,- বাসায় গিয়ে ধুন্দুল আর চিংড়ি রান্না করে ফেলো। আমার ফিরতে রাত হবে। হানি প্লিজ, অনেক ক্ষুধা লাগছে! আমি এলে দু'জন মজা করে খাবো!

আজকে আর কোনো ইংরেজি হবে না। আমি এখন রান্না করতেছি, মোবাইলে গান বাজছে- সখি ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবল-ই যাতনাময়!

আজকে দাওয়াত না খাইয়া যামু না...
28/01/2024

আজকে দাওয়াত না খাইয়া যামু না...

বউ সুন্দর করে সাজাইয়া দিছে। আজকে এক ব্রিটিশ মেয়ের লগে আমার মোলাকাত আছে। নিজেকে টম ক্রুজ লাগতেছে মামা..
26/01/2024

বউ সুন্দর করে সাজাইয়া দিছে। আজকে এক ব্রিটিশ মেয়ের লগে আমার মোলাকাত আছে। নিজেকে টম ক্রুজ লাগতেছে মামা..

সকালবেলা সালভোর ফ্লাইট আমস্টারডামে। পাব বন্ধ করার সময় সে সবকাজ জলদি জলদি করে করছে। আমি বললাম, সালভো ওখানে গিয়ে তুমি আমাক...
16/01/2024

সকালবেলা সালভোর ফ্লাইট আমস্টারডামে। পাব বন্ধ করার সময় সে সবকাজ জলদি জলদি করে করছে। আমি বললাম, সালভো ওখানে গিয়ে তুমি আমাকে ভিডিও কল দিবে। আমি কখনো আমস্টারডাম দেখিনি। যেখানে যেখানে ঘুরবা আমাকে ভিডিও কল করে দেখাবা।

সালভো ফিসফিস করে বললো, আরে আমি কি ঘুরতে যাচ্ছি নাকি? আমি যাচ্ছি "পীপশো" দেখতে।

আমি অবাক হয়ে বললাম, "পীপশো" আবার কী?

সালভো আবার ফিসফিস করে বললো, মোবাইলে আমরা পর্ণ মুভি দেখি না। সেই জিনিসই তুমি সরাসরি দেখবা। একটা রুমের ভেতর ছেলেমেয়ে সেক্স করবে। তুমি পাশে সোফায় বসে সেটা দেখবা। তোমার হাতে থাকবো ভোদকা কিংবা হুইস্কির গ্লাস। গ্লাসে চুমুক দিবা আর এনজয় করবা। মুখ দিয়ে শুধু বলবা, Come on man, cheer up.

আমি অনলাইনে দুইটা শো'র টিকিট কিনছি। অফারে দিছে, ১৭ ইউরো আর ২৫ ইউরো। জো, আমি খুব এক্সাইটেড।

প্রায় ঘন্টা তিনেক যাবত আমি থ' হয়ে আছি। বাকী কি লিখমু আমার মাথায় খেলতেছে না, কই আইলাম!!!!!

গুগলে দেখাচ্ছে টেম্পারেচার ফিল লাইক মাইনাস ২ ডিগ্রী।তাড়াতাড়ি পাব ছুটি হয়ে গেলো। রাস্তায় নেমে দেখি পুরাই ফাঁকা, জনশূন্য। ...
10/01/2024

গুগলে দেখাচ্ছে টেম্পারেচার ফিল লাইক মাইনাস ২ ডিগ্রী।
তাড়াতাড়ি পাব ছুটি হয়ে গেলো। রাস্তায় নেমে দেখি পুরাই ফাঁকা, জনশূন্য। বাসায় ফিরলাম বরফ হয়ে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি হালকা করে স্নো পড়ছে। আমার মন দ্রবীভূত হয়ে গেলো। বউ পিঠে হাত দিয়ে কইলো, মুখ শুকনা করে আছো কেনো? কিসের এতো দু:খ?

কইলাম, চীনের দু:খ হোহাংহো নদী আর আমার দু:খ হইলো..........আমি ঢোক গিললাম।

বউ রাগী রাগী চোখে কইলো, থামলি কেনো? ক তোর দু:খ আমি? চুপ করে আছোস কেরে? কথা ক?

আমি কথা বাড়ালাম না। বউ গ্যাস ওভেনে চিকেন বারবিকিউ করতেছে। দেখা যাইবো আমারে ওভেনে দিয়ে মিটার চালু করে দিবো।

বাদ দেন। আসুন ইংরেজি শিখি....

I just nip to the loo - আমি টয়লেটে যামু

I'm bursting - আমার ফাইট্যা যায়। ইমার্জেন্সি টয়লেটে যাইতে হইবো। আর কিছুক্ষণ থাকলে কেলেংকারি হয়ে যাবে!

I’m broke - আমার হাত খালি/ মানিব্যাগ শূন্য

Can I place my point - আমি আমার মতামত দিতে পারি/ আমি কি কিছু বলতে পারি

কেকের বাক্স হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। গন্তব্য Old Street, পাকিস্তানি মেয়ে,- আকসা বুখারী। এই মেয়ের কথা আমি কিছুই বুঝিনা, সিন...
31/12/2023

কেকের বাক্স হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। গন্তব্য Old Street, পাকিস্তানি মেয়ে,- আকসা বুখারী। এই মেয়ের কথা আমি কিছুই বুঝিনা, সিন্ধী মেয়ে। তয় রূপবতীদের বেলায় আমি অন্ধ, আমি এদের রূপটাই দেখি, দোষ ত্রুটি আমার চোখে পড়ে না। আমি আমার স্ত্রীকে মুখ কাঁচুমাচু করে বললাম, আমি আকসার কোমর ধরে নাচতে চাই, - ও হাসিনা ছাম্মাক চলো ও ও.....

বউ আগুন চোখে তাকিয়ে রইলো।

বিরাট খানাপিনার আয়োজন চলছে,- চিকেন পাস্তা, বিফ কাচ্চি, কেক আর আইরিশ ধাক ধাক জিনিস জেমিসন, ম্যালবেক। আধা গ্লাস ধাক ধাক জিনিস খাওয়ার পর আমার অস্থির লাগা শুরু হলো। স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বললাম, হানি, আমি এখন করমু।
স্ত্রী রাগী রাগী চোখে কইলো, অসভ্য, চুপ থাকো। কোনো হারামি পানা করবা না।
আমি মুখ শুকনা করে কইলাম, হানি, আই সয়ার গড। আমার পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব না, প্লিজ বাথরুমে চলো। আমি করমু...
আকসা এসে বললো, এই তোমার কি হয়েছে?

আমি হাসি হাসি মুখে বললাম, বিউটিফুল, এভরিথিং আন্ডার কন্ট্রোল। আমি করমু....

বউ আমাকে টানতে টানতে বাথরুমে নিয়ে গেলো। আমি বেসিন ভাসিয়ে বমি করলাম।

Happy new.........2024...

Address

66 Windmill Lane
London
E151PH

Telephone

+447983702684

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Johir Uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Johir Uddin:

Videos

Share