31/10/2024
The Bangladesh Caterers Association (BCA) Awards Ceremony at the Intercontinental Hotel O2 in South West London is an event that celebrates the achievements and contributions of Bangladeshi caterers and restaurateurs in the UK.
Event Highlights:
Venue: Intercontinental Hotel O2, South West London
Purpose: To honour outstanding catering professionals and restaurants within the Bangladeshi community.
Awards: Various categories recognizing excellence in service, culinary skills, innovation, and community involvement.
Networking: An opportunity for industry professionals to connect, share experiences, and collaborate.
Entertainment: Often includes cultural performances, speeches from notable guests, and possibly a dinner featuring traditional Bangladeshi cuisine.
Importance:
The event not only recognizes the hard work of individuals in the catering industry but also promotes the rich culinary heritage of Bangladesh, fostering pride within the community and highlighting their contributions to the UK's diverse food landscape.
বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য ৪টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হলো ২৫টি সম্মানা পুরস্কার
লন্ডন থেকে সিনিয়র সাংবাদিক
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন:
ব্রিটেনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সেরা শেফ, রেষ্টুরেন্ট, টেকওয়ে মালিকদের সফলতার স্বাক্ষর হিসেবে সম্মাননা স্বারক প্রদান করেছে বাংলাদেশী কারি ইন্ড্রাস্ট্রির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন ( বিসিএ)।
বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ইংরেজি রোজ সোমবার দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনের টেমস নদীর অববাহিকায় বিখ্যাত ওটু ইন্টারকন্টিনাল হোটেলে-এ ব্রিটেনের মূলধারার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ,কারি ইন্ড্রাস্ট্রির নানা শাখার বিশিষ্টজন ও সেলিব্রেটি পারসোনালিটিদের উপস্থিতিতে ১৭তম বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুলত সমগ্র ব্রিটেনের মধ্যে থেকে যাচাই বাঁচাই করে
এবছর ১০টি রেষ্টুরেন্ট অব দ্যা ইয়ার, ৩টি ওনার অফ দ্যা ইয়ার , ১০টি শেফ অফ দ্যা ইয়ার ও ২টি টেকওয়ে অব দ্যা ইয়ার-এই চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫টি বিসিএ সম্মানা পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।
এবারের বিসিএ এওয়ার্ড এর শ্লোগাণ হচ্ছে-“Uniting Heritage with Fresh Perspective”।
সিবিবিসি জনপ্রিয় উপস্থাপক অ্যাঞ্জেলিকা বেল এবং টক রেডিও এর ইয়ান কলিন্স এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার এমপি, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্টিফেন মরগান ও কর্মসংস্থান ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্টিফেন টিমস এমপি, লর্ড করোন বিলিমরিয়া সিবিএ,ডিএল সহ ৩০ জন এমপি, লর্ডস ও মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
এর সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
বিসিএর ‘কিংস অব স্পাইস’ শিরোনামের বাংলাদেশী কারির অর্জন উদযাপন কালে নেতৃবৃন্দ আগামী মার্চে সরকারের স্মল বিজনেস রিলিফ বাতিলের পরিকল্পনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বৃটেনের জাতীয় প্রবৃত্তি ও খাবার সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশী কারি শিল্প। দক্ষ ও অদক্ষ স্টাফ সংকটে থাকা এই ইন্ড্রাস্ট্রি বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমস্যায় নানাভাবে জর্জরিত।
বিসিএ ধারাবাহিকভাবে কারি শিল্পের সমস্যা ও উত্তরণের সুনিদৃষ্ট দাবী তুলে আসছে। এগুলো বাস্তবায়নে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জরুরী।
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিএ এর ধারাবাহিক কাজের ভূয়সি প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, বৃটেনে জাতীয় দুর্যোগ সহ লোকাল কমিউনিটির সামাজিক ও মানবিক কাজে বিসিএ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রাখছে। সরকারের অসহযোগিতায় বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট দিন দিন বন্ধ হচ্ছে। বৃটেনের কারী লাভার্স বাংলাদেশী কারির অমৃত স্বাদ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হতে চায় না। বিসিএ‘র সভাপতি ওলী খান এমবিই বলেন, সরকার প্রবর্তিত ব্যবস্থা অনুযায়ী রিটেইল, হসপিটালিটি ও লেজার প্রোপার্টিজ ৭৫শতাংশ কর রেহাই পাবে, যার সর্বোচ্চ সীমা প্রতি ব্যবসায় এক লক্ষ দশ হাজার পাউন্ড । এটি আগামী ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
আমাদের নায্য দাবীকে যদি সরকার উপেক্ষা করে তাহলে বিশেষ করে হসপিটালিটি খাতের শত শত ব্যবসার মৃত্যু ঘটবে। এই সেক্টরটি অতীতে বহুবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে । ক্যাটারার্সরা সব্বোচ্চ ত্যাগ ও সংগ্রাম করে আসলেও এবারের বিপর্যকে আমাদের পক্ষে সামাল দেয়া অসম্ভব।
আমাদের দরকার সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা। আমরা দ্রুত আশ্বাস চাই যে, বিজনেস রেইটস রিলিফ আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ানো হবে। অন্যথায় মন্ত্রীদের হাত ধরেই বৃটেনের প্রিয় খাবারটির বিদায় ঘন্টা বাজবে।
বিসিএ এওয়ার্ডের আহ্বায়ক সেলিব্রেটি শেফ আতিক রহমান বিইএম বলেন, এবারের বিসিএ সম্মানায় মূলত কারি শিল্পের সাথে জড়িত সেরাদের সাফল্য ও অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মিলিতভাবে উদযাপন করা হলো। কারি ইন্ড্রাস্ট্রিকে সমর্থন ও বিবদমান সমস্যা উত্তোরণে সরকারের কাছে জোরালো দাবী জানাতে বৃটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই শিল্পের সাথে জড়িত বিশিষ্টজনরা এসেছেন। আমরা চাই বাংলাদেশী কারি শিল্পের প্রভূত সম্ভাবনার দিকগুলোকে সামনে রেখেই আমাদের দাবীগুলো বাস্তবায়ন করা হোক।
বিসিএর সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী বলেন, আমরা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কঠোর অভিবাসন আইন ইত্যাদি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি।
আমাদের সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই- বৃটেনের প্রতিটি রেস্টুরেন্টের কণ্ঠস্বর যেন ক্ষমতাসীনদের কাছে পৌঁছে।
লেবার পার্টির প্রতি আমাদের আহ্বান , কারি ইন্ড্রাস্ট্রির এই দু:সময়ে আমাদের দাবিগুলোকে সমর্থন করে আমাদের পাশে দাঁড়ান।
চীফ ট্রেজারার টিপু রহমান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রেস্টুরেন্ট পরিচালনায় আমরা যেভাবে নানাবিদ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি এর আগে আমরা কখনও এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি। বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ সমর্থন ও সহযোগিতা।
আমরা দেখছি, বৃটেনের বিভিন্ন স্থানে প্রতি সপ্তাহেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ হচ্ছে। আমরা এভাবে গ্রেট ব্রিটিশ কারি হারানোর মতো পরিস্থিতি মেনে নিতে পারি না। সংশ্লিষ্টদের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া আশু প্রয়োজন।
প্রেস ও পাবলিকেশনস সেক্রেটারি নাজ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি কারি আধুনিক ব্রিটিশ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই সম্মাননা পুরস্কারগুলো আমাদের কারি শিল্পের মধ্যে থাকা আলোকিত ও অনন্য প্রতিভার একটি সম্মিলিত উদযাপন। আমাদের শেফ ও রেস্টুরেন্টগুলো সবসময়ই নতুন কিছু উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। যাতে ভোজনরসিকরা সর্বোত্তম স্বাদ ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।
অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু বোর্ড অব থ্যাংকস বক্তব্যে বিলেতের বাংলাভাষি সাংবাদিক, স্পন্সর ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করে বলেন বিসিএ বিশ্বাস করে সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় একটি সফল অনুষ্ঠান সস্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বিসিএর সকল সদস্য বৃন্দের সহযোগিতার জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
জমকালো আয়োজনে ছিল নানা বৈচিত্র ও সৃজনশীলতার ছাপ। ১২শ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে সন্ধ্যা ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ছিল ব্রিটেনের সেলিব্রেটিদের অংশগ্রহণে মুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাথে অতিথিরা আথিয়েতায় উপভোগ করেছেন ব্রিটিশ- বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির নানা স্বাদ ও পদের মজাদার রকমারি মৌলিক খাবার।
বিসিএ এওয়ার্ড-২০২৪ অনুষ্ঠানের স্পন্সর করেছে:
-কোবরা বিয়ার,কিংফিশার বিয়ার, সুপার পলো,মাইগোয়াভা বিজনেস, ইকবো, পজিটিভ এনার্জি, ডাবলিউপিসি,দুবাইথ,ইউরো ফুডস, স্কয়ার মাইল ইন্সুরেন্স, রাধুঁনী, ন্যানো সফট, এমআর প্রিন্টার্স, স্পাইস ভিলেজ, গ্যোফ, পেটাপ, এনসিএল ট্যাভেলস,বিসিএ ফাউন্ডেশন।
বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইবকো ফুডস ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার ইকবাল আহমদ এমবিই, ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোহিবুর রহমান, এমপি আফছানা বেগম, নর্থ সাউথ লন্ডনের বেডফোর্ড শেয়ার লোটন এর
আসুক আহমদ এমবিই, ডক্টর নাজিয়া খানম ওবিই, বিসিএ সহ সভাপতি এম এ মালিক, বিশিষ্ট সমাজসেবক খলিলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুরুক মিয়া, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেইন, বিশিষ্ট সমাজসেবক কামরুজ্জামান খাঁন এবং মোহাম্মদ আলী এবং লেবার পার্টির সিএলপি সম্পাদক মাষ্টার মোহাম্মদ এ হোসেইন সহ অনেক গণ্য মান্য গুনীজন।
উপস্থিত অতিথি বৃন্দ উপস্থিত জ্ঞানী গুনি জনের অভিমত হলো, এ কারী শিল্পের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাইলে এবং এ শিল্পকে বিকশিত করতে হলে উভয় দেশের সরকার কারি ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনার জন্য দক্ষ অভিজ্ঞ শ্রমিক তৈরী করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি ভাবে উভয় দেশে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং সার্ভিসের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে কারী শিল্পএকাডেমি গড়ে তুলে উন্নত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ-র ফলে এই শিল্পের জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরী হবে এবং তার পাশাপাশি শ্রমিক সংন্কট নিরসন হবে ইনশাআল্লাহ।