আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ‘নতুন সময়’।এমন একটি সময়ে ‘নতুন সময়’এর যাত্রা শুরু, যখন ফিলিস্তিনের রাস্তায় অগণিত মানুষের লাশ। টেলিভিশন চ্যানেল আর সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শুধুই ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্তাক্ত ছবি। বর্বর ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত নিরীহ মানুষ। হয়তো নতুন সময়ের এই লেখায় পরিস্থিতির এতোটুকু পরিবর্তন হবে না। তবুও দৃপ্ত কণ্ঠে বলতে চাই নতুন সময় মানবতার পক্ষে, মানুষের পক্
ষে, শান্তির পক্ষে।
৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম। সেই স্বপ্নের ভিত ছিল গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং অসাম্প্রদায়িকতা। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশই ‘নতুন সময়’এর একমাত্র স্বপ্ন।
বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই হবে আমাদের পেশাগত ও নৈতিক অঙ্গীকার। সরকার, রাজনৈতিক দল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্র ও সমাজের সব ক্ষেত্র সম্পর্কে জনসাধারণকে নিয়মিতভাবে জানাতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সরবরাহই হবে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী সহিংসতাসহ যা কিছু রাষ্ট্র, সমাজ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তথ্যনির্ভর সমালোচনার মাধ্যমে সেসবের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের দায়িত্ব পালনেও আমরা হবো সচেষ্ট।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দলীয় সংকীর্ণতা, বৈরিতা, অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহারসহ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে; বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু ও সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা। তথ্য-প্রযুক্তি খাতেও এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও শাসনব্যবস্থার অনেক নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের আরও অগ্রগতির পথে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।
তবুও আমরা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করি, নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এ অগ্রযাত্রা রুখবার শক্তি নেই কারো।