Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা

Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা দৈনিক দেশবাংলা
(একাত্তরের রণাঙ্গনের মুখপত্র)
(1)

শুভ জন্মদিন, শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়...
31/12/2024

শুভ জন্মদিন, শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়...

সাংবাদিকদের জন্য অনিরাপদ বাংলাদেশ?=======সারাদেশে এসব কী ঘটছে? সর্বত্রই সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন এমনকি হত্যা করার...
22/10/2024

সাংবাদিকদের জন্য অনিরাপদ বাংলাদেশ?
=======
সারাদেশে এসব কী ঘটছে? সর্বত্রই সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন এমনকি হত্যা করার মচ্ছব চলছে যেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ উপদেষ্টা মহোদয়দের সরকার রয়েছে দেশের দায়িত্বে, মাঠে আছে যৌথ বাহিনীর সদা নজরদারি। অথচ সবার চোখের সামনে একের পর এক নৈরাজ্য ঘটেই চলছে। বিপ্লবের মাধ্যমে সাবেক সরকারকে বিতাড়িত করার পর থেকেই দেশে হামলা, মামলা, দখল, বেদখল, লুটতরাজের তান্ডব চলছিল বাধাহীন ভাবে। একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বেশুমার দাপটে সর্বত্রই মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নানাবিধ প্রশ্নের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। কিন্তু একইসাথে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে সাংবাদিক নির্যাতনের ভয়াবহতা। চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল নিয়ে দুই লাইন লিখলেই সাংবাদিকের আর রেহাই নেই। প্রকাশ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সামনেও সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলছে। গোটা দেশই যেন সাংবাদিকদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।

এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)। সংগঠনটির আহবায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগম সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচারে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ঘটনা চলছে, যা অতীতের অনেক নির্মমতাকে ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। এটা অত্রন্ত দুঃখজনক এবং দায়িত্বশীলদের আস্কারা হিসেবেই অনুমেয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

আবারো হামলার শিকার শহিদুল
নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জেরে হামলার ঘটনায় মামলা করায় আবারও হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম। সে এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটফট করছে। শিক্ষার্থী জনতার ওপর গুলি রামদা নিয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগ, যুবলীগের কুখ্যাত গুন্ডা ও পিস্তল রকি ওরুফে রামদা রকি বাহিনী গং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুক ফুলিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নওগাঁয়। সে এবং তারই পালিত সন্ত্রাসীরা পর পর দুই দফা শহিদুলের উপর হামলা চালালেও প্রশাসন আছে নিরব নিস্ক্রীয়।

দূর্গাপুরে রাজু আহমেদ
গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজশাহীর দূর্গাপুরে বিএনপি’র কার্যালয় উদ্বোধনে সংগঠনটির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক কালবেলা’র দূর্গাপুর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এঘটনায় আহত সাংবাদিককে স্থানীরা উদ্ধার করে দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সাংবাদিক রাজু আহমেদ বর্তমানে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

খুলনার কয়রায় সাংবাদিক ফোরামের অফিস দখল
খুলনার কয়রায় "সাংবাদিক ফোরাম" এর অফিস দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েও ক্ষ্যান্ত থাকেনি কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম.এ হাসান। তিনি ও তার সাঙ্গাতরা গত বৃহস্পতিবার কয়রামদিনাবাদ লঞ্চঘাটে সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুকে বেদম মারপিট করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখেন। পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিৎসাধীন লিটুর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। হামলাকারী যথারীতি এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার দখলেই রয়েছে সাংবাদিক ফোরামের অফিসটিও।

যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা
যমুনা টিভির ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ হোসাইন শাহীদ ও চিত্র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে। এসময় পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয় চিত্র সাংবাদিকের ডান হাত। গত বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ দিকে পাটগুদামের নিউ কলোনি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১ দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে যমুনা টিভির ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ হোসাইন শাহীদ ও চিত্র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলে করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পাটগুদামে রেল ক্রসিংয়ে রেলওয়ে নিউ কলোনি এলাকায় পৌঁছালে এক যুবক তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে রেল লাইনের পাথর দিয়ে হোসাইন শাহীদের মাথায় আঘাত করে। পরে চিত্র দেলোয়ার হোসেনের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেনের কানে ও হাতে কামড় দেয় এবং পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠায়।

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা
রাজধানীর ধানমন্ডির-২ নাম্বার রোডে সিটি কলেজের পাশে 'ধানমন্ডি ফার্মেসিতে' দূর্বৃত্ত কর্তৃক চাঁদাবাজি ও দোকান ভাংচুরের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ঢাকা কলেজের এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিকের নাম আল জুবায়ের। তিনি ঢাকা কলেজের দৈনিক জনবানীর ক্যাম্পাস রিপোর্টার।

দোয়ারাবাজারে আহত মুন্না
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এনামুল কবির মুন্না। এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন ও টিলাগাও গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ রাজিব মিয়া।

সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা
গত ১৯ অক্টোবর, শনিবার আনুমানিক রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গুলশান থানাধীন গুলশান-১ ও গুলশান-২ এর মাঝামাঝি এলাকায় আগুরা বিল্ডিংয়ের সামনে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার রিপোর্টার সাজেদুল হক প্রান্তের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত। এই নৃশংস হামলার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।

নোয়াখালীতে দুই সাংবাদিক আহত
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত রোববার(২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মামলাটি করেছেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জে দেশ টিভির সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত
নারায়ণগঞ্জে দেশ টিভির এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের নবাব সলিমউল্লাহ সড়কের মিশনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুরে বিটিভি সাংবাদিকের উপর হামলা
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি মফিজুর রহমান রিপনের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার ছোট ভাই সাইদুর রহমান সুইট এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভোলায় মামলা হয়রানি
এদিকে ভোলায় চলছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়রানির খড়গ। সেখানে এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে সীমাহীন হয়রানি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ভোলা প্রেসক্লাবের ভিতরে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক কাম কৃষকলীগের এক নেতা আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সেখানে নানা অরাজকতার সূত্রপাত ঘটছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘরে ঢুকে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামে এক যুবককে মারধর ও গলা টিপে হত্যার ঘ...
10/10/2024

রাজধানীর রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘরে ঢুকে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামে এক যুবককে মারধর ও গলা টিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করেছে। জানা গেছে, নিহত যুবক বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই টিভি চ্যানেল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না....=======এই যে আমাদের সাংবাদিক অলক নির্মমতার শিকার হলেন, তার দেহখানা রক্তাক্ত হলো...
06/10/2024

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না....
=======
এই যে আমাদের সাংবাদিক অলক নির্মমতার শিকার হলেন, তার দেহখানা রক্তাক্ত হলো। এর বিপরীতে আমরা কিছু সহকর্মি ফেসবুকে বাদ প্রতিবাদের ঝড় তুললাম। কেউবা আরেক ধাপ এগিয়ে হম্বিতম্বি করলেন-ব্যস, সব শেষ। কারণ, আমরা তো প্রদর্শনযোগ্য প্রমাণ রাখার মধ্যেই দায়িত্ব কর্তব্য পালিত হয়েছে বলে ভাবতে থাকবো।

নিজে সহমর্মিতার দরদ দিয়ে সেই রক্তাক্ত হামলার খবরটি পর্যন্ত লেখার প্রয়োজনবোধ করবো না। জুনিয়র কোনো সহকর্মিকে হয়তো কয়েক লাইন লিখে জমা দেওয়ার কথা বলে চা-সিগারেটের আড্ডায় চলে যাবো। সহকর্মি যাকে লেখার দায়িত্ব দিলাম সে হয়তো সালেহ মোহাম্মদ রশিদ অলক নামের কোনো মিডিয়া কর্মি থাকার কথা আজই প্রথম জানতে পারলো। তার ফরমায়েশি লেখায় পথচারী, খদ্দের মৃদু নির্যাতনের শিকার হওয়ার মতোই হয়তো প্রিয় অলক একটু কাভারেজ পাবেন-দুই অথবা এগারো নম্বর পাতায়।

রাত পোহালেই আবার কোনো সাংবাদিক নির্যাতনের খবর জেনে একইভাবে বাদ প্রতিবাদে মেতে উঠবো। কিন্তু অলক কি করবেন? তার রক্তের দাগ হয়তো রাতের মধ্যেই ধুয়ে মুছে ফেলা হবে। জখমের চিহ্ন মুছতে না হয় দুই- তিন সপ্তাহ লাগবে। কিন্তু তার অন্তর জুড়ে নির্মমতার যে ক্ষতচিহ্ন আঁকা থাকলো, মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়ার যে ভীতি- তা কি বাকি জীবনেও তিনি ভুলতে পারবেন? মুছে ফেলতে পারবেন?

এভাবেই প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা নানা নির্মমতার শিকার হন এবং হচ্ছেন। নিয়তির অমোঘ বিধানের মতো সাংবাদিক নির্যাতনও চলতে থাকে ধারাবাহিক ভাবেই। পৈশাচিক এ ললাট লিখন থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, সাংবাদিক নেতা বনে যাওয়া অভিভাবকদের কোনো ভূমিকা নেই, নেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টির মতো কোনো কার্যক্রমও।

বরং সাংবাদিক নীপিড়ন-নির্যাতন, হয়রানি চলমান থাকলে একশ্রেণীর নেতাদের কদর বাড়ে, নির্যাতিত সাংবাদিক প্রতিকার পাওয়ার আশায় তাদের পেছনে ঘুরঘুর করে। এতে কথিত মুরুব্বি নেতা হয়তো বিকৃত তৃপ্তি বোধও করেন। সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে এতো এতো সংগঠন, সংস্থা, ক্লাব, সমিতি নামক দোকান খোলা হয়েছে। সবারই মূলমন্ত্র হচ্ছে, পেশাদার সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান এবং সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।

হরহামেশা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও যাদের টিকিটি ছু‘তে পারা যায় না তারা নাকি নির্যাতন প্রতিরোধ করবে। বাটপারের দল শুধু বড় বড় বুলি আউড়িয়ে নেতা সাজে আর ধান্দাবাজির ইজারা নেয়। তাদের কাছে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ-হ্রাস করার ন্যূনতম পরিকল্পনা পর্যন্ত নেই। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে কি ধরনের সহায়তা করতে হয় সেটিও তাদের জানা নেই। সুতরাং যা হবার তাই হয়, সাংবাদিক নির্যাতন আর হয়রানি চলতে থাকে বল্গাহীন ভাবেই।

আগে নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে দরাজ কন্ঠে বক্তৃতা করার, কলিজা কাঁপানো হুংকার দেওয়ার মতো মিনিমাম যোগ্যতাকে প্রাথমিক ক্রাইটেরিয়া হিসেবে বাছাই করা হতো। এখন নেতারা মিন মিন করে, গাড়ির চাকা পাটার শব্দ শুনলে নিজেরাই ভয়ে অজ্ঞ্যান হয়ে যায়। তারা সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিবে, নির্যাতন প্রতিরোধে ভ’মিকা রাখবে- এটা বিশ্বাসকারীরাও অন্ধের স্বর্গে বাস করে বৈকি।

নানী স্টার কাবাবে পচা কাবাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক Saleh Mohammad Rashid Alok ভাইয়ের উপর নির্মম নির্যাতন ও হামলার...
06/10/2024

নানী স্টার কাবাবে পচা কাবাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক Saleh Mohammad Rashid Alok ভাইয়ের উপর নির্মম নির্যাতন ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানাই।
সেনা ক্যাম্পে ফোন দিলাম, ডিউটিরত কর্মকর্তা জানালেন ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি

04/10/2024
আল-জাজিরার অনুসন্ধান : যুক্তরাজ্যে ৩০০০ কোটি টাকায় ৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন হাসিনার মন্ত্রী সাইফুজ্জামান=====সাবেক ভূমিমন্ত্রী...
19/09/2024

আল-জাজিরার অনুসন্ধান : যুক্তরাজ্যে ৩০০০ কোটি টাকায়
৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন হাসিনার মন্ত্রী সাইফুজ্জামান
=====
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা) খরচ করে ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। নিজের রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করেছেন ব্রিটেন ছাড়াও দুবাই, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামানের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে, যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সাবেক এই ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার বাবা শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন। আমিও তার কাছের লোক, হাসিনা আমার বস। তিনি জানেন যুক্তরাজ্যে আমার ব্যবসা আছে।’

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০১৭ সালের দিকে সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্পদ কেনা বাড়িয়ে দেন। ২০১৯ সালে যখন তিনি মন্ত্রী হন, তখন এটি আরও বেড়ে যায়।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত বছর বিনিয়োগকারীর ছদ্মবেশে আল-জাজিরার সাংবাদিক সাইফুজ্জামানের ১৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়িতে যায়। ওই সময় ‘ছদ্মবেশী’ সাংবাদিকদের সাইফুজ্জামান বড়াই করে জানান, তিনি কুমিরের চামড়ার হাতে তৈরি জুতার ওপর হাজার হাজার ডলার খরচ করেন এবং লন্ডনের সবচেয়ে দামি দোকান থেকে ইতালিয়ান স্যুট তৈরি করে পরেন।

এ সময় সাইফুজ্জান লন্ডনের নিজের বাড়িও ঘুরিয়ে দেখান তাকে। যেটিতে রয়েছে সিনেমা হল, জিম, ব্যক্তিগত এলিভেটর এবং নতুন রোলস রয়েলস গাড়ি রাখার নিরাপদ আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং এরিয়া।

সাইফুজ্জামান আল-জাজিরার কাছে দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতে নিজের বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই সম্পদ কিনেছেন তিনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে এখন অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন ইউসিবিএল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আল-জাজিরার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটে সাইফুজ্জামানকে নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

৫০০ কোটি টাকা খরচেপিসিজিবির এমডি থাকতে গাউসের দৌড়ঝাঁপ!=====বিশেষ প্রতিনিধিবাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিসিজিবি) এর...
18/09/2024

৫০০ কোটি টাকা খরচে
পিসিজিবির এমডি থাকতে
গাউসের দৌড়ঝাঁপ!
=====

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিসিজিবি) এর বহুল বিতর্কিত এমডি একেএম গাউস মহিউদ্দিন আহমেদ স্বপদে বহাল থাকতে ৫০০ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী এই সভাপতি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত দুই জন উপদেষ্টা তার আত্মীয়, আরেকজন ঘনিষ্ট বন্ধু। তবে কোন খুটির জোরে গাউস এখনও এমডি পদে বহাল রয়েছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামীলীগ আমলে এমডি পদে পুনঃনিয়োগ পেতে তার প্রায় তিন'শ কোটি খরচ করতে হয় বলে চাউর আছে। এবার বৈরী পরিবেশে টিকে থাকতে ৫০০ কোটি টাকা খরচেও রাজি আছেন তিনি।

পিসিজিবিতে এমন মধুর খনি পেয়েছেন গাউস মহিউদ্দিন- এখানটা তিনি ছাড়তেই চাইছেন না। এ জন্য মিনিস্ট্রি থেকে শুরু করে উপদেষ্টাদের স্বজন, ছাত্র সমন্বয়ক আর ডাকসাইটে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘরেও ছুটে যাচ্ছেন গাউস মহিউদ্দিন।

এসব কারণে একের পর এক অভিযোগের স্তূপ জমে উঠলেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সেসব ভ্রুক্ষেপ করছে না। এদিকে এমডি পদ থেকে একেএম গাউস মহিউদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে কয়েকদিন যাবত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আন্দোলন, অবস্থান, মিছিলে মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পিসিজিবি দপ্তর। যে কোনো মুহূর্তে সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

মেধাবীরা কেন সাংবাদিকতা ছাড়ছেন? =======আমার অনেক অনেক প্রিয় শান্তনু চৌধুরীর লেখাটি আজ কেন যেন বারবার সামনে এসে পড়ছে। সংব...
17/09/2024

মেধাবীরা কেন সাংবাদিকতা ছাড়ছেন?
=======
আমার অনেক অনেক প্রিয় শান্তনু চৌধুরীর লেখাটি আজ কেন যেন বারবার সামনে এসে পড়ছে। সংবাদকর্মি হিসেবে এরইমধ্যে স্বকীয় অস্থান গড়ে তোলা শান্তনু লেখালেখির ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকেন এবং পারত:পক্ষে সব রকম বিতর্ক এড়িয়ে চলার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। তাকে নিয়ে অনেক উচ্চাশা আমার, তার সফলতা আমাকে সব সময় আবেগী করে তোলে। ভালোবাসি তাকে খুব ভালোবাসি। তার অন্যান্য লেখার মতো এ লেখাটিও বেশ গবেষণামূলক এবং বিশেষ অনুসন্ধান বলেই মনে করি আমি।
--------------
একটা সময় তরুণ-তরুণীদের স্বপ্নের পেশা ছিল সাংবাদিকতা। সাহসী ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকেই বেছে নিতেন তারা। এখন বোধহয় সময় এসেছে কথাটি বদলানোর। দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনার হার বাড়ছে। কিন্তু পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় আসার হার বাড়ছে না। আবার যারা এসেছেন, তাদের অনেকেই এই পেশা ছেড়েছেন, আর যারা আছেন, তাদের কেউ কেউ ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন। সুযোগ পেলেই অন্য কোনও চাকরিতে চলে যাচ্ছেন তারা। গেলো এক বছরে আমার পরিচিত অনেকেই সাংবাদিক পেশা ছেড়েছেন। বিশেষ করে মেধাবী সাংবাদিকরা, যাদের রিপোর্ট আলোচনায় ছিল, যারা নজরকাড়া প্রতিবেদন করেছিলেন, তেমন কেউ যখন সাংবাদিকতা ছেড়ে দেন, তখন বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে।
গেলো ১৪ জুলাই পেশা ছেড়ে দেওয়ার কারণে ১১০ দশ জনের সদস্যপদ স্থগিত করে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি। এরমধ্যে প্রবাসে চলে গেছেন ৬০ জন। আর ৫০ জন পেশা বদল করেছেন। ডিআরইউ সদস্য নন, এমন সাংবাদিকরাও পেশা ছেড়েছেন। বিশেষ করে গেলো এক মাসে পাঁচজন সাংবাদিক তাদের পেশা বদল করে কেউ করপোরেট কোম্পানিতে, কেউবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। এই পেশার জন্য এটি মেধার একটি বড় অপচয়! অথচ সংবাদমাধ্যমের ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ কখনও বসেছে বা ভেবেছে বলে মনে হয় না—কেন একজন মেধাবী সাংবাদিক তার পেশা বদল করছেন, কেন তরুণরা এই পেশায় আর আসতে চাইছেন না।
যারা এখনও পেশায় আছেন, তারাই বা কেন হতাশ, অনুশোচনায় ভুগছেন? আমরা বলে থাকি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম তথা সাংবাদিকদের পেশা ছেড়ে দেওয়ার এই প্রবণতা এটাই ইঙ্গিত বহন করে যে, দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না বা করছে না। পুরো গণমাধ্যমই এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আমার মনে হয়। এর কারণ, সংবাদমাধ্যমের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়। কিন্তু যেকোনও সাধারণ পাঠক, দর্শক বা শ্রোতার কাছে জানতে চান, তারা অনায়াসে বলবেন, গণমাধ্যমের কাছে যা চান, সেটি তারা পাচ্ছেন না। অনেক সময় এমনও হয়ে থাকে, কোনও একটি সংবাদ প্রচার হচ্ছে, কিন্তু মাঝপথে সেটি বন্ধ হয়ে গেলো। মানে এর কোনও ফলোআপ নেই। ‘ওই সংবাদ নেই কেন’–এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেন না সংবাদকর্মীরা।
সংসদে দেওয়া তথ্যমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন দৈনিক পত্রিকা রয়েছে এক হাজার ২৪৮টি, এরমধ্যে ঢাকায় ৫০২টি এবং সারাদেশে ৭৪৬টি। টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে ৩২টি। এছাড়া সারাদেশে সাপ্তাহিক পত্রিকা রয়েছে এক হাজার ১৯২টি, মাসিক ৪১৪টি। এর বাইরে ২ হাজার ২১৭টি অনলাইন মিডিয়া রয়েছে। আরও আছে, অনলাইন পত্রিকা, অনলাইন টেলিভিশন ও রেডিও। অথচ হিসাব নিলে দেখা যাবে, হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ করছে। চাকরির অনিশ্চয়তা, পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে অনেক মেধাবী সাংবাদিক এখন আর এই পেশায় থাকছেন না। মুখে যতই বলি না কেন দেশে সাংবাদিকতা এখনও পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই পেশা অনিশ্চয়তায় ভরা। কাজের স্থায়িত্ব বা নিশ্চয়তা নেই। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে তরুণরা সাংবাদিকতাকে আর বেছে নিতে পারছেন না। অনেকেই হয়তো আপদকালীন হিসেবে সাংবাদিকতায় আসছেন কিন্তু পরে সুযোগ বুঝে ছেড়ে দিচ্ছেন এই পেশা। কেউবা পার্টটাইম করছেন, তাও শখের বশে। মিডিয়া সেক্টরে পেশাদারিত্ব নেই বলেই পেশার প্রতি আগ্রহ বা ঝোঁকও নেই।
যারা মিডিয়ার মালিক, যারা মিডিয়া চালান তারা অনেকেই আবার মিডিয়াকে দেখেন তাদের অন্য ব্যবসা রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে। এতে নিজেরা বা তাদের প্রতি ভক্তিতে গদগদ থাকা কিছু সাংবাদিক লাভবান হলেও ক্ষতিতে থাকে বিশাল একটি অংশ।
অবাক করার বিষয় হলো, এখনও নাকি তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদপত্র বা টিভির আবেদন জমা পড়ে আছে শত শত। প্রধানমন্ত্রীর ব্রুনাই সফর শেষে গণভবনে যে সংবাদ সম্মেলনে হয়েছিল, সেখানে স্বয়ং তিনি জানালেন এ তথ্য। সেই অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিকরা সংবাদমাধ্যমের দুর্দিনের কথা তুলে ধরলে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স চাওয়ার বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে দেখতে চাইলেও বাস্তবতা হচ্ছে, মালিকরা হয়তো ভালো আছেন। নানা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতনহীনই থাকছেন। গার্মেন্টসেও কর্মী ছাঁটাই নীতিমালা আছে। শ্রম আইন আছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনও নীতিমালার তোয়াক্কা নেই।
যারা নিয়মনীতি কিছুটা মানেন, তাদেরও ভাবটা এমন, ‘অন্যরা তো দিচ্ছে না, আমরা তাও দিচ্ছি’। এসব কারণে হলফ করে বলা যাবে, সংবাদকর্মীদের বেশিরভাগই আজ অসুখী। প্রতিনিয়ত তাদের মাঝে টেনশন কাজ করে। এই বুঝি চাকরি হারাতে হলো। এছাড়া হরহামেশাই কর্মী ছাঁটাই তো চলছেই। যারা পারছেন পেশা বদল করছেন, বিদেশ যাচ্ছেন আর যারা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, তারা অনেকে ঢাকা শহর থেকে পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সন্তান নিয়ে কষ্ট আর কতটা সহ্য করা যায়। এছাড়া বাসাভাড়া সময়মতো দিতে না পারলে কে থাকতে দেবে? অন্য পেশায় যেখানে দেখা যায়, অভিজ্ঞ ও মেধাবীদের মূল্যায়ন বেশি, এই পেশায় তার উল্টো। বয়স হলেই চাকরি হারানোর আতঙ্ক। বেশি মেধাবী হওয়ার দরকার নেই। টিভি হলে হাতে ‘বুম’ আর কিছুটা লিখতে জানলেই হলো। এসব কারণে কমে যাচ্ছে মেধাবী সাংবাদিকের সংখ্যা। এত এত সাংবাদিক সংগঠন হচ্ছে, বড় বড় নেতা সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু সংবাদকর্মীদের রুটি রুজির প্রশ্নে কোনও অগ্রগতি নেই। বরং তাদের অনেকের লেখা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মন্তব্যে হতাশার চিত্রই ফুটে উঠছে। একজন মানুষের চাকরি হারানো মানে শুধু তার চাকরি হারানো নয়, তার সামাজিক মর্যাদা, দৈনন্দিন চলাফেরা—সর্বোপরি একটি পরিবার যেন পতনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
সংবাদমাধ্যমের দুর্দিনের আরও একটি কারণ হলো বিজ্ঞাপন কমে যাওয়া। যে হারে গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সে হারে কিন্তু বিজ্ঞাপনের বাজার বাড়েনি। আগে বিজ্ঞাপন অফিসে আসতো আর এখন বিজ্ঞাপনের জন্য নানা তদবির লাগে। সাংবাদিকদের একট অংশ এখন নির্ভর হয়ে পড়েছেন দৈনন্দিন সংবাদ মানে ডেজ ইভেন্ট বা প্রেস রিলিজের ওপর। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই বললেই চলে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সাংবাদিক ‘ম্যানেজ’ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে অসি এখন মসির চেয়ে শক্তিশালী। সংবাদপত্র শিল্পের এমন দুর্দিন আমরা দেখেছি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও। তখন সেনাপ্রধান মইন উ আহমদ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছিলেন, ‘বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং অতীতের মতো গণমাধ্যমের ব্যাপারে স্পর্শকাতর নয়।’ কিন্তু ওই সময় দুর্নীতির অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনেক সংবাদমাধ্যমের মালিক ও সম্পাদককে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও মালিকদের সম্পদ ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলেছেন সংবাদকর্মীদের। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম যে খারাপ সময় পার করছে তা সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে চার ধাপ অবনমনের মধ্য দিয়ে সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্সের করা এই বার্ষিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫০তম। ২০১৯ সালের ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’ বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারের প্রশ্নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে পিছিয়ে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে কঠোর পথ বেছে নিয়েছে, তার শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদেরও।’ অবশ্য আমাদের তথ্যমন্ত্রী এই প্রতিবেদন মানতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, লন্ডনের চেয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছেন। চলমান অস্থিরতা ও হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয় প্রশাসনের উচ্চপদে থাকা কর্মকর্তারা যখন সাংবাদিকদের সবক দেন, কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হবে তা শেখান এবং আত্মহত্যা করার প্ররোচনাও দেন। প্রশাসনের এমন বক্তব্য সাংবাদিকদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। এমনিতে তথ্যপ্রবাহ আইন, ৫৭ ধারার মতো আইন নিয়ে ভয়ে থাকেন সংবাদকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সময় গর্ব করে বলেন, তিনি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে অনেক টিভির লাইসেন্স দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম বাড়িয়েছেন। অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ কথা সত্য বটে। কিন্তু এই শিল্প যে ধুঁকে ধুঁকে চলছে, সেটি দেখার দায়িত্বও কিন্তু সরকারের রয়েছে। সেটি দিকনির্দেশনা হতে পারে বা বিনিয়োগ বাড়াতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেও হতে পারে। তবে এই উদ্যোগটা নিতে হবে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিদের। ভুলতে হবে নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও ভেদাভেদ। ভাবতে হবে কেন একজন মেধাবী তরুণ এই পেশায় এসে হতাশায় থাকবেন, কেন পেশা ছাড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়বেন।
একসময় একতা ছিল বলেই সরকার অন্যায় করতে ভয় পেতো। আর এখন থোড়াই কেয়ার করে। সেই একতাটা জরুরি। এই পেশায় যে অঢেল অর্থ নেই সেটি সংবাদকর্মী মাত্রই জানেন। সেটিকে কেয়ার না করাই একজন সাংবাদিকের শক্তি। এরপরও পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু মালিকদের অতি লোভ, চাটুকার প্রবৃত্তি সেই প্রচেষ্টাকে আবারও নষ্ট করে ফেললো। অনেকেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়তো নিজেকে বদলে নিয়েছেন। কিন্তু যারা নীতি আর বেঁচে থাকার সঙ্গে আপস করতে পারেননি, তারা পেশা বদল করেছেন বা পেশা ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলুন আর আর্শক লড়াই বলুন, ভাত-কাপড়ের নিশ্চয়তাটা আগে চাই।

15/09/2024

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিন, বাজারদর নাগালের মধ্যে আনুন- আর কোনো অভিযোগের ধকল থাকবে না। কিন্তু বাস্তবতা কোন পথে?

বিপুর লুটেরা সহযোগী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতিগাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে!নিজস্ব প্রতিবেদকআওয়ামীলীগ সর...
14/09/2024

বিপুর লুটেরা সহযোগী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি
গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ খ্যাত বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দোসর, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর এমডি একেএম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এখনও স্বদাপটে বহাল রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি, দলবাজ এই কর্মকর্তা বহু অপকর্মের মূলহোতা।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করে পিজিসিবির এমডি পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। ওই প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ ফাইল নোটের পরিপ্রেক্ষিতেই এমডি পদে আসীন হওয়ার প্রমাণপত্রও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অপকর্ম করে নিয়োগ পাওয়াসহ কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে স্বপদে বহাল থাকা এমডি গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী বিপুর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিগত সময়ে কোনো অভিযোগই পাত্তা পায়নি। সবশেষে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ভুক্তভোগিরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহীউদ্দিন রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি সমর্থক বনে গেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে চলছেন। এ নিয়ে পিজিসিবিতে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে গাউছ মহীউদ্দিনকে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শেষে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুত উপদেষ্টাসহ সচিবের কাছেও।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের আরো অভিযোগ আছে, আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এরপরও অভিযুক্ত এমডি কাকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল রয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পাওয়ার গ্রিড পরিচালনা পর্ষদ কতৃক গৃহীত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী হন আবদুর রশিদ খান। তাকেই সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও দলীয় বিবেচনায় গাউছ মহীউদ্দিনকে নিয়োগদানে বাধ্য করেন প্রতিমন্ত্রী বিপু। যা ছিল সম্পর্ণ বেআইনী এবং কোম্পানীর এমওইউর পরিপন্থী।

জানা গেছে, ফাইলনোটে (৫০ নম্বর) লেখা ছিল, এমতাবস্থায় পিজিসিবি নিয়োগ কমিটির ১৫/০৪/২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী জনাব আবদুর রশিদ খানকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের তারিখ থেকে ০১ (এক) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। পরবর্তীতে তার কর্মমূল্যায়ন ও বোর্ডের সুপারিশের আলোকে চুক্তিভিত্তিক চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অথচ পরবর্তীতে ২৮ মে ২০২৩ তারিখের ৫২ নম্বর ফাইলনোটে প্রতিমন্ত্রী সবুজ কালিতে লিখেন, ‘২ নং ক্রমিকের জনাব এ, কে, এম, গাউছ মহীউদ্দিন আহম্মেদকে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে (পরিপত্র জারি নং ৩৮৭)।‘

নিয়ম ভঙ্গ করে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন ছাড়াও বিশেষ উপহার পেয়েছিলেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তার মালিকানায় কেরানীগঞ্জে গড়ে ওঠা হাউজিংয়ের উপর থেকে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন অপসারণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেন নতুন নিয়োগ পাওয়া এমডি গাউছ মহীউদ্দিন। প্রধান সঞ্চালন লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার লক্ষ্যে পাওয়ার গ্রিডের সংশ্লিষ্ট কারিগরী টিমের যৌক্তিক বাধাকে উপেক্ষা করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন হতে পিডিপিপি অনুমোদনও করিয়ে নেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা অবিলম্বে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয়ের প্রকল্পটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।

এদিকে এমডি গাউছ মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বেশুমার লুটপাটের অসংখ্য অভিযোগ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। পাওয়ার গ্রিডের সব সঞ্চালন লাইনে কনভেনশনাল কন্ডাক্টর ব্যবহারের পরিবর্তে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাক্টর কম্পোজিট কোর ব্যবহার করার মাধ্যমে গত আট বছরে দেশের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করিয়েছেন তিনি। কোনো রকম কারিগরি গবেষণা ব্যতিরেকে বোর্ডসভায় বিবিধ আলোচনায় উত্থাপন করে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিনিময়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন গাউছ মহীউদ্দিন।

এই দলবাজ এমডি‘র নির্দেশেই সার্ভিস রুলকে চরমভাবে অমান্য করে ছাত্রলীগের কর্মীদের ভুয়া অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের চাটুকার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং দলীয় কর্মী বিবেচনায় একের পর এক পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এমডির অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূতভাবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করে দিয়েছেন, হয়রানির মুখে ফেলেছেন কয়েকশ‘ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

পিজিসিবির প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, একজন দুর্নীতিবাজ লুটেরা কর্মকর্তা পিজিসিবির এমডি পদে এখনো কিভাবে বহাল থাকছেন? তার খুটির জোর কোথায়? আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্নীতি লুটপাটের দোসর, দলবাজ এমডি গাউছ মহীউদ্দিনকে ঘিরে পিজিসিবিতে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পিজিসিবিতে বিশৃঙ্খলাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবিলম্বে দলবাজ লুটেরা গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ মুক্ত পিজিসিবি পূণর্গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

বিপুর লুটেরা সহযোগী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি----------------গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে!নিজস্ব প্রতি...
14/09/2024

বিপুর লুটেরা সহযোগী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি
----------------
গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ খ্যাত বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দোসর, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর এমডি একেএম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এখনও স্বদাপটে বহাল রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি, দলবাজ এই কর্মকর্তা বহু অপকর্মের মূলহোতা।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করে পিজিসিবির এমডি পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। ওই প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ ফাইল নোটের পরিপ্রেক্ষিতেই এমডি পদে আসীন হওয়ার প্রমাণপত্রও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অপকর্ম করে নিয়োগ পাওয়াসহ কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে স্বপদে বহাল থাকা এমডি গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী বিপুর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিগত সময়ে কোনো অভিযোগই পাত্তা পায়নি। সবশেষে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ভুক্তভোগিরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহীউদ্দিন রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি সমর্থক বনে গেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে চলছেন। এ নিয়ে পিজিসিবিতে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে গাউছ মহীউদ্দিনকে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শেষে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুত উপদেষ্টাসহ সচিবের কাছেও।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের আরো অভিযোগ আছে, আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এরপরও অভিযুক্ত এমডি কাকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল রয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পাওয়ার গ্রিড পরিচালনা পর্ষদ কতৃক গৃহীত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী হন আবদুর রশিদ খান। তাকেই সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও দলীয় বিবেচনায় গাউছ মহীউদ্দিনকে নিয়োগদানে বাধ্য করেন প্রতিমন্ত্রী বিপু। যা ছিল সম্পর্ণ বেআইনী এবং কোম্পানীর এমওইউর পরিপন্থী।

জানা গেছে, ফাইলনোটে (৫০ নম্বর) লেখা ছিল, এমতাবস্থায় পিজিসিবি নিয়োগ কমিটির ১৫/০৪/২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী জনাব আবদুর রশিদ খানকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের তারিখ থেকে ০১ (এক) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। পরবর্তীতে তার কর্মমূল্যায়ন ও বোর্ডের সুপারিশের আলোকে চুক্তিভিত্তিক চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অথচ পরবর্তীতে ২৮ মে ২০২৩ তারিখের ৫২ নম্বর ফাইলনোটে প্রতিমন্ত্রী সবুজ কালিতে লিখেন, ‘২ নং ক্রমিকের জনাব এ, কে, এম, গাউছ মহীউদ্দিন আহম্মেদকে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে (পরিপত্র জারি নং ৩৮৭)।‘

নিয়ম ভঙ্গ করে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন ছাড়াও বিশেষ উপহার পেয়েছিলেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তার মালিকানায় কেরানীগঞ্জে গড়ে ওঠা হাউজিংয়ের উপর থেকে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন অপসারণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেন নতুন নিয়োগ পাওয়া এমডি গাউছ মহীউদ্দিন। প্রধান সঞ্চালন লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার লক্ষ্যে পাওয়ার গ্রিডের সংশ্লিষ্ট কারিগরী টিমের যৌক্তিক বাধাকে উপেক্ষা করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন হতে পিডিপিপি অনুমোদনও করিয়ে নেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা অবিলম্বে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয়ের প্রকল্পটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।

এদিকে এমডি গাউছ মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বেশুমার লুটপাটের অসংখ্য অভিযোগ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। পাওয়ার গ্রিডের সব সঞ্চালন লাইনে কনভেনশনাল কন্ডাক্টর ব্যবহারের পরিবর্তে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাক্টর কম্পোজিট কোর ব্যবহার করার মাধ্যমে গত আট বছরে দেশের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করিয়েছেন তিনি। কোনো রকম কারিগরি গবেষণা ব্যতিরেকে বোর্ডসভায় বিবিধ আলোচনায় উত্থাপন করে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিনিময়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন গাউছ মহীউদ্দিন।

এই দলবাজ এমডি‘র নির্দেশেই সার্ভিস রুলকে চরমভাবে অমান্য করে ছাত্রলীগের কর্মীদের ভুয়া অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের চাটুকার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং দলীয় কর্মী বিবেচনায় একের পর এক পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এমডির অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূতভাবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করে দিয়েছেন, হয়রানির মুখে ফেলেছেন কয়েকশ‘ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

পিজিসিবির প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, একজন দুর্নীতিবাজ লুটেরা কর্মকর্তা পিজিসিবির এমডি পদে এখনো কিভাবে বহাল থাকছেন? তার খুটির জোর কোথায়? আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্নীতি লুটপাটের দোসর, দলবাজ এমডি গাউছ মহীউদ্দিনকে ঘিরে পিজিসিবিতে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পিজিসিবিতে বিশৃঙ্খলাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবিলম্বে দলবাজ লুটেরা গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ মুক্ত পিজিসিবি পূণর্গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

Adresse

Chemnitz
09126

Benachrichtigungen

Lassen Sie sich von uns eine E-Mail senden und seien Sie der erste der Neuigkeiten und Aktionen von Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা erfährt. Ihre E-Mail-Adresse wird nicht für andere Zwecke verwendet und Sie können sich jederzeit abmelden.

Service Kontaktieren

Nachricht an Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা senden:

Videos

Teilen