B.N.P Rajshahi

B.N.P Rajshahi Hi, I am Megan Robinson, and I am the one who started GetRichSurvey.com. And I quickly found out that it is possible to make some extra money this way.

Before starting it, I had for several years looked into different ways of making extra money online. In my search, I found out that there are many companies that offer payment for your opinion online and for doing other small micro-tasks. I decided to look further into this for myself, to find out if it was true that you really could make some extra money without investment like this. At the begin

ning of 2017, I, therefore, started testing a lot of different sites that offer money for your opinion and then also started testing more and more other free ways to earn some extra money online. However, if you want to get rich quick or make a full-time income online, this is not the way and that is important to know. But it can make you enough to pay for an extra holiday, a bit of extra luxury, pay off some debt, etc. So in my search for making money online, the free earning methods I came across are not a way to make a living. But they will with a guarantee make you a profit, as it is 100% risk-free as there is no investment, no fees for participating, and it does not require any special training, so anyone can do this. And you can use many of these free and easy methods to start earning right away which is what I really love about them. Why I made GetRichSurvey.com
After testing sites and having done hundreds of surveys and tested many other free ways to earn online also, I decided to make a website about my experiences, so I can help others find out if this is for them. And that is why I made GetRichSurvey.com. There is a huge amount of pages that offer you to get paid from surveys and doing other small online micro-tasks, and I have spent A LOT of time testing sites and finding out which ones are giving the best opportunities to make money, which ones are the easiest to use, which ones are scams, etc. When I started looking into the option of getting paid from surveys and doing other small online micro-tasks, I also looked for websites with reviews. It was difficult for me to find any with quality info that was not mostly superficial or full of fake promises because they were meant for selling. After having spent all this time testing for myself, I, therefore, decided to make a page that gives good, useful, and honest information and advice about the opportunities how to make money on paid surveys and other online micro-tasks. I know this would have been a great help to me and would have saved me a lot of time. I will therefore on this website share all these experiences, so it will be easier for you to find out if this is something you want to try, to find the right sites for you, and to get started. I will continuously keep testing new sites and update this website with new reviews, advice, scam warnings, links to new sites, and more. So make sure to visit this website regularly.

14/11/2024

A new dawn for Bangladesh's agriculture

Agriculture, the bedrock of Bangladesh's economy, has historically supported millions of households, shaped rural communities, and nourished the population. Yet, despite its foundational role, the agricultural sector has long been plagued by neglect, climate vulnerability, and economic challenges. Against this backdrop, Tarique Rahman and the Bangladesh Nationalist Party (BNP) have introduced a bold vision to reinvigorate Bangladesh's agricultural landscape. ..One of the foundations of Tarique Rahman's vision is a nationwide agricultural insurance program. Crop insurance is a timely intervention given the growing impact of climate change on Bangladesh's predominantly rural communities.

Writer: HM Nazmul Alam, Lecturer, Department of English and Modern Languages, International University of Business, Agriculture and Technology
Details: https://www.observerbd.com/news/498963

14/11/2024
14/11/2024
24/10/2024

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় জনগণের পাশে থেকে বিএনপি নেতকর্মীদের সব রকম সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।

24/10/2024

জাতীয়তাবাদী নামে সংগঠন সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা বা বিভিন্ন নাম যোগ করে সংগঠন করলে এরসঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামে কোন সংগঠন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির কেউ যদি ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির স্বীকৃত অঙ্গ সংগঠনের বাইরে শিক্ষকদের সংগঠন, ডাক্তারদের সংগঠন-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের সংগঠন-এ্যাব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে।

আজ ২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন দেখুন- https://youtu.be/qmnYZUuQyyo

17/10/2024

দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে ৩১ দফায় নতুন বিষয় সম্পৃক্ত করা যাবে
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফাটা এমন বিষয় নয় যে আমরা কখনো পরির্বতন করতে পারবো না। সময় কাল দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে আমরা যেকোন বিষয় পরিবর্তন করবো। নতুন বিষয় এটাতে আমরা সম্পৃক্ত করবো। বিএনপি এমন একটি দল, যার কাছে মানুষ প্রত্যাশা করে। এ দলটি দেশের জন্য। দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করবে এবং অবদান রাখবে।
বুধবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, রাতে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়াপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ বিষয় নিয়ে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, তোমরা যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছে যাচ্ছো দলের প্রতিনিধি হিসেবে। যাদের কাছে যাচ্ছো, তারা ভবিষ্যতে এ দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের কথা শুনবে। তাদের মতামত গ্রহণ করবে। তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যত সম্ভাবনাময়ী মানুষ বেরিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের সেই মানুষগুলোর কাছে যাচ্ছো। তাদেরকে আমাদের যে লক্ষ্য, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমরা সে কাজগুলো করবো এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সেটি আমরা তোমাদের কাঁধে দিয়েছি। তোমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাবে। মানুষের কাছে তুলে ধরবে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি এবং আমার দলের কোনো নেতৃবৃন্দ মাঠে থাকবো না। মাঠে থাকবে তোমরা। তাই তোমরা কিভাবে দলকে উস্থাপন করছো। কিভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরবে তার বাস্তবতা আমাদের কাছে উঠে আসবে।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্টের আগের প্রেক্ষাপট ছিল একরকম। এখন প্রেক্ষাপট হচ্ছে অন্যরকম। আমরা করবো আমরা বলবো। আমরা কিভাবে কি কি করবো। কিভাবে কি কি করবো, সেটি আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। তোমরা কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা লড়েছি আমরা গড়বো।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবি উল্লাহ , বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা ডক্টর মাহদী আমিন।
প্রশিক্ষণবিষয়ক এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ জাতির সামনে উপস্থাপন করেন।

এদিকে, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের হাতে রাষ্ট্রের অধিকার আর মালিকানা ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শক্তির জয়লাভ। আর এই জয়লাভের পর ঐক্যমত্যের জাতীয় সরকার (National Government of Unity) ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্রে রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র রূপরেখা মধ্যে রয়েছে— (০১) সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, (০২) সম্প্রীতিমূলক ‘Rainbow-Nation’ (সমন্বিত রাষ্ট্রসত্ত্বা) প্রতিষ্ঠা ও National Reconciliation Commission (জাতীয় সমন্বয় কমিশন) গঠন, (০৩) নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, (০৪) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, (০৫) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, (০৬) আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, (০৭) সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, (০৮) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন, (০৯) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পূর্ণগঠন, (১০) জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন, (১১) প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১২) মিডিয়া কমিশন গঠন, (১৩) দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ, (১৪) সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, (১৫) অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১৬) ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান, (১৭) মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা শ্রমের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা, (১৮) শিল্প, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানী খাত আধুনিকায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, (১৯) জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন, (২০) প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রাখা, (২১) বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা, (২২) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান, (২৩) আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, (২৪) নারীর ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, (২৫) চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, (২৬) “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই নীতির বাস্তবায়ন করা হবে, (২৭) কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, (২৮) সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, (২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা, (৩০) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং (৩১) যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র রূপরেখা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘১৯ দফা’, বিএনপি চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘২৭ দফা’ কর্মসূচির আলোকে যুগপৎ আন্দোলনে শরীক সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংশোধিত ও সম্প্রসারিতরূপে প্রণয়ন করা হয়েছে।

16/09/2024

দেশে প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে চান, এমন অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মী রয়েছেন; কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তাঁদের পক্ষে সংসদে সদস্য হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তাঁদের সেবা আর অবদান দেশের কাজে লাগাতে বিএনপি উচ্চ কক্ষসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়।
তারেক রহমান
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিএনপি।

06/09/2024

ট্র্যাজিক হিরোর টেকব্যাক দেশনায়ক তারেক রহমান
-প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম

একজন ট্র্যাজিক হিরো যেমন সীমাহীন দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে করতে তার সত্যকথন ও সৎসাহসের জন্য সহানুভূতি অর্জন করেন, তার বীরত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি মূর্ত হয়ে উঠে সাধারণ মানুষের কাছে, তেমনি দেশনায়ক তারেক রহমান নিরন্তর নিপীড়নের ভেতর থেকে ফিনিক্স পাখির মতো রূপান্তরিত হয়ে জেগে উঠেছেন। কেবল জেগে উঠেননি, জাগ্রত করেছেন তৃণমূল জনতাকে। ইডিপাস, অ্যান্টিগোনে এবং অ্যাকিলিসের মতো চরিত্রগুলো সাহিত্যের পাতায় ট্র্যাজিক নায়ক-নায়িকা হিসেবে স্বীকৃত। মিথের জগতের এই চরিত্রগুলো প্রশংসনীয় গুণাবলীর পাশাপাশি বাস্তবসম্মত ত্রুটিগুলো প্রদর্শনের মাধ্যমে, বিশেষ করে মানুষের ভুলের পরিণাম দেখিয়ে দর্শকদের সহানুভূতি জাগিয়েছে। নায়কের পতনের জন্য মানুষের মায়া জাগ্রত হয়। অন্যদিকে, মানুষ মন্দ চরিত্রের করুণ পরিণতিতে বিলাপ করে না, কিন্তু যে অজ্ঞাত কারণে নায়কের পতন ঘটে, নিয়তির মতো বাইরের জগতের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নায়কের অনিবার্য শাস্তি উপস্থিত হয়, তখন মানুষ পরিতাপ-যাতনা অনুভব করে। অ্যারিস্টটলীয় ট্র্যাজিক নায়কের মতোই তারেক রহমান অভিজাত, যোগ্য, সাহসী এবং গুণ ও সম্মানের শাস্ত্রীয় আদর্শের মূর্ত প্রতীক। তিনি অ্যান্টি-হিরোর মতো অসম্মানিত, কাপুরুষ ও স্বার্থপর নন। মূলত তারেক রহমান আধুনিক কালের ট্র্যাজিক নায়ক। ট্র্যাজিক হিরোরা নৈতিকতা এবং জন্মগত দিক দিয়ে উচ্চ মর্যাদার চরিত্র। তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশনায়ক হিসেবে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর ইতিবাচক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টার মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তিনি সহানুভূতিশীল চরিত্র। দুঃখ ও কষ্টকে সঙ্গী করে তাঁর দীর্ঘদিন কেটেছে। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালে ১৮ মাস কারাগারে কাটিয়েছেন। ২০০৮ সালে দুঃখজনকভাবে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে তিনি একজন আইকনিক আধুনিক ট্র্যাজিক নায়ক। তিনি এক সৈনিক পরিবার থেকে এসেছেন, জনগণের সহানুভূতি অর্জন করেছেন এবং দেশকে ভালোবাসার কারণে ট্র্যাজিকতার শিকার হয়ে নির্বাসিত হয়েছেন।

দুই.
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বকনিষ্ঠ যুদ্ধবন্দীদের একজন, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর জন্য ৯ মাসের প্রতিটা প্রহর গণনা করেছেন, যিনি শিশুকাল থেকে শিখেছেন দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের মহান ঐশ্বর্য, যিনি অসীম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মূর্ত প্রতীক, তিনি হলেন গণতন্ত্রের অগ্রসৈনিক তারেক রহমান (জন্ম ২০ নভেম্বর, ১৯৬৭)। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র যুগ্ম স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছোটবেলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের রূঢ় বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। যুদ্ধের সময়, যখন তাঁর পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে দেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন, তখন তাঁকে, তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর ছোট ভাই আরাফাত রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তাঁরা মুক্তি পান, যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। তারেক রহমান ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে ’৮০ দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক স¤পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো, ভলতেয়ার, কার্ল মার্কস এবং অন্যান্য ব্যতিক্রমী চিন্তাবিদদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা পড়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে, এরশাদ সরকারের পাতানো নির্বাচনের প্রাক্কালে, তিনি গৃহবন্দিত্ব এড়িয়ে প্রেসক্লাবে একটি প্রেস কনফারেন্সে বক্তৃতা করতে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি বর্ণনা করেছিলেন, কীভাবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাঁর কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার জন্য, জেনারেল এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী সরকার তাঁকে তাঁর মা আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে প্রায়ই গৃহবন্দী করে রাখত। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি মায়ের সাথে রাজপথে নেমেছিলেন এবং ১৯৮৮ সালে দলের উপজেলা ইউনিট গাবতলী উপজেলায় সাধারণ সদস্য হিসেবে বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি তৃণমূল থেকে জনগণকে সংগঠিত করেন এবং এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনে অবদান রেখেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে তিনি তাঁর মা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন। তারেক রহমান বগুড়ায় তৃণমূল থেকে নেতা নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সূচনা করেছিলেন, যেখানে তিনি বিএনপি শাখার একজন নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩ সালে বগুড়া জেলা ইউনিটে তিনি একটি কনভেনশনের আয়োজন করেন, যেখানে দলের অন্যান্য জেলা ইউনিটের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করার জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। বগুড়ায় সফল সম্মেলনের পর তিনি অন্যান্য জেলা ইউনিটকে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন করতে উৎসাহিত করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে, তারেক রহমান স্থানীয় পর্যায়ের সমস্যা এবং সুশাসনের উপর গবেষণা করার জন্য ঢাকায় একটি অফিস প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে হয়েও এবং তৃণমূল থেকে ব্যাপক সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও স্বজনপ্রীতি না করে, মন্ত্রীত্ব গ্রহণ না করে তিনি তৃণমূলের ক্ষমতায়নে মনোনিবেশ করেছিলেন। দল গঠনে তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০২ সালে স্থায়ী কমিটি তাঁকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম স¤পাদক পদে নিয়োগ দেয়। ২০০৫ সালে তারেক রহমান দেশব্যাপী তৃণমূল ফোরাম আহবান করেন, যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা বা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি প্রতিটি উপজেলা পরিদর্শন করেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন, সাধারণ মানুষের সাথে একের পর এক কথোপকথন করে, তাঁর মতামত দিয়েছেন এবং সমর্থকদের মতামত শুনেছেন এবং জনগণের কাছে বিএনপির ভিশন প্রচার করেছেন। তিনি কৃষকদের জন্য সরকারী ভর্তুকি, বয়স্কদের জন্য ভাতা, পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্লাস্টিক ব্যাগবিরোধী আন্দোলন এবং মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি বিতরণ স¤পর্কে জনগণকে অবহিত করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সম্মেলনে নিবন্ধনকারীদের অন্তত ১৮ হাজার চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চিঠিগুলো আঞ্চলিক সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাব করেছিল। তারেক রহমান জানেন, গ্লোবালাইজেশন বা আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো দিক থেকে বিশ্বনাগরিক। বিশ্বদরবারে একজন নাগরিকের মর্যাদা নির্ভর করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিভিন্ন সূচকে তার নিজ দেশের সামাজিক নিরাপত্তাজনিত অবস্থানের ওপর, ব্যক্তিগত আর্থিক সচ্ছলতার মাপকাঠিতে নয়। তারেক রহমান এই বিশ্বব্যবস্থা ভালো করেই জানেন। ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আর্মিব্যাকড তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন তারেক রহমান। সেই সরকারের একজন আমার কাছে স্বীকার করেছিলেন, সে সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের বাধ্য করেছিল অভিযোগ দায়ের করতে।

তিন.
পলিটিক্যাল টার্মস অনুসারে, কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সংবিধান, নাগরিক অধিকার এবং সার্বজনীন ভোটাধিকার, যা ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশে অতীতে অর্জিত হয়েছে। (সাধারণত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে)। আবার সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার নীতি আদর্শের ভিত্তিতে গণতন্ত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে রয়েছে, রাজনৈতিক সমতার ধারণা। কেবল সেনা পরিবারের সন্তান হিসেবে নয়, রাজনৈতিক পরিবারের কৃতি সন্তান তারেক রহমান এসব ভালো করেই জানতেন। ২০২৪ সাল তাঁর জীবনের মাহেন্দ্রক্ষণ। ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা কলঙ্কিতভাবে ক্ষমতাসীন হলেও দেশের বৃহত্তম বিরোধীদল বিএনপি সেই নির্বাচন বর্জন করেছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দলটি। নির্বাচন বর্জন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যাখ্যা করেছিলেন, কেন তাঁর দল নির্বাচন বয়কট করেছিল। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার নির্বাচনে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোই অংশগ্রহণ করেনি, সাধারণ ভোটাররাও অংশগ্রহণ করেনি। সেসময় তিনি যুক্তি দেন যে, জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির স¤পর্কের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ ভুল, কারণ আওয়ামী লীগ অতীতে বেশ কয়েকবার ইসলামী দলের সাথে জোট করেছে। অন্যদিকে, নির্বাচন বয়কট ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইকে জয়ী করার প্রাথমিক ধাপ। কারণ, সেসময় একা বিএনপি নয়, আরও ৬২টি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল ৭ জানুয়ারি তথাকথিত নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করার মতো একটি অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির অঙ্গীকার থেকে এই সিদ্ধান্তের উদ্ভব হয়েছে। তারা যাতে অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে এবং সেই ভোটগুলো সত্যিকার অর্থে গণনা করা হবে, এই প্রত্যাশা ছিল তারেক রহমানের। গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৫৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। ২০১৮ সালে রাতের ভোট করে। দমন-পীড়নের শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালে আরেকটি জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন বলা হয়। শেখ হাসিনা নিজ দলের প্রার্থীদের ডামি প্রার্থী হওয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্যেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। হাজার হাজার প্রার্থীর সাথে অন্তর্ভুক্তির মিথ্যা ধারণা তৈরি করতে তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন। এতকিছু করেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে হাসিনাকে। হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী শাসনবিরোধী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী দমন-পীড়ন জোরদার করেছিল, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন না হয়। অথচ এটা ¯পষ্ট যে, শুধুমাত্র একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়াই বাংলাদেশে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং একটি পাবলিক ম্যান্ডেট পেতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা ২৬৮৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, যার সাথে অন্তত ৬৭৫টি নথিভুক্ত গুমের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসমাবেশকে পণ্ড করে দেয়া হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তারেক রহমান বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশার কথা। তারেক রহমান বৈশ্বিক রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিত্ব। তাঁর মতে, আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থা মোকাবেলায় একটি শক্তিশালী পদ্ধতির উপর জোর দেয়। আমরা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা হবে না। ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই তিনি এরকম দূরদৃষ্টিস¤পন্ন। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্লান্তিহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন, শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তাঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা দেয়, যার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তারেক রহমানের স¤পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সেনানিবাসের পারিবারিক বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি। তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবার গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের লাখ লাখ পরিবারের কষ্ট থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে তিনি ট্র্যাজিক হিরোর মতো অমৃতের সন্তানে পরিণত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমানের অনন্য বক্তব্য হচ্ছে, প্রবাসে থাকাকালীন, আমি বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং জনগণের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত, আমার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দেশব্যাপী ফোন কল এবং অনলাইন মিটিংয়ে উৎসর্গ করেছি। আমি প্রতিদিন দেখি, আমাদের নেতাকর্মীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নির্ভীক ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠছেন। গণতান্ত্রিক আদর্শের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পরের দিন পথসভা বা জনসভায় যোগ দেন। আমি এই সাহস এবং উদ্দীপনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং গণতন্ত্রপন্থী জনগণের আপসহীন অবস্থানের প্রশংসা করি। আমার দিক থেকে অবদান রাখার জন্য, আমি স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করতে, তৃণমূলকে একত্রিত করতে এবং তাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করি। আবারও একটি নিপীড়নমুক্ত জাতির মতো বেঁচে থাকার জন্য আমাদের ভাগ করা আবেগ এই বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত যে গণতন্ত্রের সাধনা, তা অমূল্য। এমনকি দুর্ভোগ এবং প্রতিকূলতা থাকলেও এটি একটি চ্যালেঞ্জিং রাজনৈতিক যাত্রা। প্রকৃতপক্ষে, শহীদ জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারেক রহমান মানুষের কল্যাণে নিবেদিত দেশনায়ক। ইতোমধ্যে তিনি দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। কেউ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হলে দল থেকে বহিস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। নেতৃত্ব কতটা গণতান্ত্রিক হতে পারে তার দৃষ্টান্ত রয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁর মতামতের মধ্যে। তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্র ও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সহায়তা করতে প্রস্তুত। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, অতীতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণে দলের কেউ যাদে প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়। কেউ যাতে নিজের হাতে আইন তুলে না নেয়। অন্যায়-অবিচারের শিকার হলে দলীয় শাস্তি ও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। কেউ যাতে হয়রানিমূলক হামলা-মামলার শিকার না হয়। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের দল বিএনপি মনে করে, জনগণের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কার্যক্রমগুলো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হলে সেটি বেশি কার্যকর বলে জনগণ বিশ্বাস করে। গণতান্ত্রিক বিশ্বেও এটি স্বীকৃত।

চার.
ট্র্যাজিক হিরো দেশনায়ক তারেক রহমান জনগণের মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছেন। জনগণ তাঁর কাজ ও কথায় আস্থাশীল। অন্যদিকে, নেতাকর্মীদের তিনি যে বার্তা দিচ্ছেন, নিঃসন্দেহে তা অনুসরণীয়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারাই বিএনপির প্রাণ। শত নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হয়েও আপনারা জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আমি জানি, অতীতে বছরের পর বছর ধরে আপনাদের অনেকে মাফিয়া সরকার এবং তাদের দোসরদের দ্বারা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তাঁর কথা মেনে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাকর্মীরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছে। আর এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। সেই বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য আজকে বিএনপির সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্ত বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ের মধ্যেই দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাহাত্ম্য রয়েছে। তিনি ট্র্যাজিক হিরো কিন্তু তিনি অজেয়। তিনি দুঃখবিনাশী, তিমিরনাশক অর্কেস্ট্রা।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

দৈনিক ইনকিলাব,
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

21/08/2024

ব্যতিক্রম-
বগুড়ায় যেভাবে তারেক রহমান চত্বর হয়ে গেল মুগ্ধ স্কয়ার!

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথেই এদেশে নাম বদলের হিড়িক পড়ে যায় । এটাই যেন স্বাভাবিক । তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর এলাাকায়।
কিন্তু কি সেই ব্যতিক্রম ?
সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৫ আগষ্ট দুপুরে শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে সরকারের পতনের খবরে সারাদেশের মত শিবগঞ্জ পৌরসভার জিরো পয়েন্টে সমবেত হয় হাজারো মানুষ। কিছু সময়ের মধ্যেই জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরের নাম ফলক উচ্ছেদ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর স্থলে সেখানে বসে যায় ‘তারেক রহমান চত্বর’ নামের নতুন নাম ফলক।
এই পরিবর্তনকে সহাস্যে মেনে নেয় সাধারণ মানুষ। মানুষ শুধু যে তারেক রহমানকে পছন্দ করে সেকারনেই খুশি হয়েছে তা’ কিন্তু না। এটা আগে থেকেই তারেক রহমান চত্বর হিসেবেই পরিচিত ছিল। মানুষের সমর্থন ও খুশি হওয়ার এটাই ছিল আসল কারন।
তবে ৬ অথবা ৭ তারিখে খবরটি তারেক রহমানের গোচরিভুক্ত হয়। প্রায় সংগে সংগেই তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমকে নির্দেশ দেন দ্রুত যেন জায়গাটাকে শহীদ মুগ্ধের নামে নামকরন করা হয়। নেতার নির্দেশে মীর শাহে আলম এর পরদিনই স্থানটিকে প্রশাসনের নলেজে দিয়ে মুগ্ধ স্কয়ার হিসেবে নতুন নাম ফলক লাগিয়ে দেন।
ফলে স্থানীয়ভাবে দলমত নির্বিশেষে সবাই তারেক রহমানের এই উদারতাকে একটি ব্যতিক্রমি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইনকিলাব / ১৮ আগস্ট ২০২৪

21/08/2024

২০ আগস্ট ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি’র যৌথসভা

আগামীকাল ২১ আগস্ট ২০২৪, বুধবার বিকেল ৪ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সভাপতিত্বে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
যৌথসভায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি/আহবায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিববৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে যৌথসভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রতি,
বার্তা সম্পাদক/চীফ রিপোর্টার/
দৈনিক পত্রিকা/ইলেকট্রনিক মিডিয়া/বার্তা সংস্থা
ঢাকা।
বিষয় ঃ সংবাদ সংগ্রহ প্রসঙ্গে।
জনাব,
শুভেচ্ছা নিবেন।
আগামীকাল ২১ আগস্ট ২০২৪, বুধবার বিকেল ৪ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সভাপতিত্বে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
যৌথসভায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি/আহবায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিববৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

যৌথসভার সংবাদ সংগ্রহের জন্য আপনার বহুল প্রচারিত প্রিন্ট মিডিয়া/ইলেকট্রনিক মিডিয়া/বার্তা সংস্থার একজন রিপোর্টার/প্রতিনিধি/ক্যামেরা ইউনিটকে পাঠানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

বার্তা প্রেরক

(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি

17/08/2024

১৬ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার
রাজধানী এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র সাথে সাক্ষাৎ করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান।

14/08/2024

খুনি হাসিনার বিচারের দাবিতে-

১৪ ও ১৫ আগস্ট ২০২৪ বুধ ও বৃহস্পতিবার সকল জেলা, মহানগর, থানা-উপজেলা ও পৌর ইউনিটে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী।

Wow
13/08/2024

Wow

Adresse

Democratic Republic Of The

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque B.N.P Rajshahi publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à B.N.P Rajshahi:

Partager