06/10/2024
চলুন ঘুরে আসি রঙিন সংস্কৃতির দেশ ব্রাজিলে
------------------------------------------
বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল ভ্রমণ করার জন্য বেশ কিছু ধাপ রয়েছে, যা সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি প্রয়োজন। এখানে বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল ভ্রমণের প্রধান ধাপগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. ভিসা
ব্রাজিলে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রয়োজন। ব্রাজিলের পর্যটন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ব্রাজিল দূতাবাস বা কনস্যুলেটে। সাধারণত নিচের নথিগুলো প্রয়োজন হয়:
পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদনপত্র
পাসপোর্ট (মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ)
ভ্রমণের টিকিট এবং হোটেল বুকিং
স্বাস্থ্য বিমা (ভ্রমণ সময়কালের জন্য)
অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (প্রয়োজন অনুযায়ী)
২. বিমান টিকিট
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ব্রাজিল যাওয়ার কোনো ফ্লাইট নেই। তাই আপনি সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের কোনো দেশে ট্রানজিট নিয়ে ব্রাজিলে যেতে পারবেন। বিমান সংস্থা যেমন কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, তুর্কিশ এয়ারলাইন্স ইত্যাদি সংস্থা ব্রাজিলে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্রাজিলের সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরো বিমানবন্দরে পৌঁছানো সম্ভব।
৩. ফ্লাইটের সময় ও খরচ
ঢাকা থেকে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে যেতে সাধারণত ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা সময় লাগে, যার মধ্যে এক বা একাধিক ট্রানজিট থাকে। বিমানের টিকিটের দাম নির্ভর করে যাত্রার সময়, ফ্লাইটের ক্লাস, এবং বুকিংয়ের তারিখের ওপর। সাধারণত, একমুখী টিকিটের দাম ১,০০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৪. কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্দেশনা
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে প্রবেশের জন্য টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র বা নেগেটিভ কোভিড পরীক্ষার ফলাফল লাগতে পারে। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী এই শর্তগুলো পরিবর্তনশীল হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে ভালো করে জেনে নেয়া উচিত।
৫. মুদ্রা বিনিময়
ব্রাজিলের মুদ্রা ব্রাজিলিয়ান রিয়াল (BRL)। সেখানে ভ্রমণের সময় ডলার বা ইউরো সহজেই রিয়ালে পরিবর্তন করা যায়। বাংলাদেশ থেকে কিছু ডলার নিয়ে গেলে সুবিধা হবে।
৬. আবহাওয়া ও পোশাক
ব্রাজিলে বিভিন্ন শহরের আবহাওয়া ভিন্ন হয়। দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ হিসেবে ব্রাজিলের আবহাওয়া উষ্ণ থেকে আর্দ্র হয়ে থাকে। তাই হালকা কাপড় সঙ্গে রাখা উচিত, তবে বিশেষ করে শীতকালে কিছু গরম পোশাকও নিয়ে যেতে হবে যদি আপনি দক্ষিণের এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করেন।
৭. ভাষা
ব্রাজিলে মূল ভাষা হলো পর্তুগিজ। যদিও কিছু বড় শহরে ইংরেজি বোঝে, তবে পর্যটকদের পর্তুগিজ কিছু সাধারণ বাক্যাংশ জানা উপকারী হতে পারে।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা মসৃণ করতে পরিকল্পনাগুলো সময়মতো করে নিন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঠিকঠাক গুছিয়ে নিন।