11/11/2024
-- " সরি মিসেস রাই!আপনার স্বামী মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে বিয়ের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও,আপনার কোল আলো করে এখনো কোনো সন্তান আসেনি।সমস্যাটা আপনার নয়, সমস্যাটা হলো, আপনার স্বামীর।কারণ উনি যৌবন কালে পা দেওয়ার পরপরই মিছে দুনিয়ার মিছে মায়ায় আসক্ত হয়ে পিতা হওয়ার স্বাদ চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন।কিছু করার নেই।অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। "
ডাক্তারের বলা কথাগুলো শুনে আমার স্ত্রীর মুখটা নিমিষেই কালো হয়ে যায়।পাশেই বসে ছিলাম আমি। এই নিয়ে (৭-৮) বার ডাক্তারের কাছে আসলেও সবার মুখে এই একটাই কথা!লজ্জায় আমার মাথা কাঁটা যাওয়ার উপক্রম।
নিজেকে সামলে নিয়ে হাজারো দুঃখ, বেদনা, যন্ত্রণাকে নিজের ভেতরেই ধাবিত করে কিছুটা আশ্বাস নিয়ে আমার স্ত্রী রাই ডাক্তারকে বললো,
- "এখন কী কিছু'ই আর সম্ভব নয়?"
- "নাহ মিসেস রাই আর কিছু'ই সম্ভব না। আপনার স্বামীর একটা ভুলের কারণে আজ আপনি সন্তানহীন।মা হওয়ার স্বাদ'টা ঠিক অনুভব করতে পারছেন না!"
অতএব ডাক্তারের সাথে আর কোনো কথায় জড়ালো না রাই।নিরবে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেল।রাইয়ের পিছুপিছু আমিও চলে এসেছিলাম।একটা রিক্সা ডাক দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে দুজনে যাত্রা শুরু করলাম।রাই কোনো কথা বলছে না।চুপচাপ বসে আছে।নিজে থেকে কথা বলার ইচ্ছেও এই মুহূর্তে আমার নেই।কোন মুখেই'বা আমি এখন রাইয়ের সাথে কথা বলবো? দীর্ঘ দিন রিলেশনের পর বিয়ে করেছি আমরা।জাত-পাত বংশের নাম ডুবিয়ে ভালোবাসার টানে আমার কাছে ছুটে এসেছিল রাই। কিন্তু কি পেলো? সন্তান না হওয়াটা একটা মেয়ের কাছে কতটা না কষ্টদায়ক ব্যাপার, সেটা আর যাইহোক সবাই উপলব্ধি করতে পারবে না।
আহ্!ভুলটা আমারই ছিল। কেনোই বা খারাপ বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করলাম।নিজের ভবিষ্যৎকে অন্ধের দিকে ঠেলে দিলাম।আজ ঠিকই টের পাচ্ছি, আমাদের ওই সব বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করা উচিত নয়, যেসব বন্ধুদের কাছ থেকে অন্যায় বা পাপ কাজ ছাড়া আর কিছুই শেখা যায় না।যৌবনে পা দিতেনা দিতেই বিভিন্ন অপকর্ম কান্ডে লিপ্ত হয়ে পরেছিলাম আমি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাইয়ের বিশুদ্ধ ভালোবাসা আমাকে সম্পূর্ণই বদলে দিয়েছিলো।
রিক্সা সেই কবেই বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।সেদিকে যেন আমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। রাইও পাশে নেই হয়তো বাসার ভেতরে চলে গেছে।বেশ কিছুটা বিরক্তিকর মুখ নিয়ে রিক্সাওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর রিক্সাওয়ালাকে তার পারিশ্রমিকটা বুঝিয়ে দিয়ে নিজের ফ্লাটে চলে আসলাম।স্পষ্টই শুনতে পাচ্ছি রাইয়ের কান্নার স্বর।ওর চোখের অশ্রু কেনো যেন আমাকে তীব্র কষ্টের অতল সাগরে ডুবিয়ে দিচ্ছে।সত্যি, সব কিছুর জন্য একমাত্র আমিই দায়ী।রুমের কিছুটা কাছে আসতেই আরও একজনের উপস্থিতি টের পেলাম।আর সে হলো, রোহিকা ভাবী। রোহিকা ভাবী হলেন, বাড়ির মালকিন।অর্থাৎ আমরা ভাড়াটিয়া।নিস্তব্ধ হয়ে দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছি। ভেতরে রোহিকা ভাবী আমার স্ত্রীর মাথায় হাত ভুলিয়ে দিতে দিতে সহানুভূতির কন্ঠ স্বরে বললেন,
--- "যা তোমার কপালে ছিল তাই হয়েছে গো.! তুমি খুব বড় ভুল করেছো, ওর মতো একটা থার্ডক্লাস, লোফার চরিত্রহীন ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করে।এখন দেখছো তো, কতটা কষ্ট পেতে হচ্ছে তোমাকে? আহারে...কাদঁতে, কাঁদতে নিজের কী অবস্থাতাইনা করে ফেলছো। এবার একটু কান্না থামিয়ে গুরুজনের কথা শোনো, ভালো সেটাই হবে তুমি যদি শাহরিয়ারকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। যে তোমাকে মাতৃত্বের সুখ দিতে পারে না, তার সাথে সারা'টা জীবন থাকার কী মানে? ওর সাথে থেকে নিজের জীবন'টাকে নষ্ট করার চেয়ে তোমার বাবা-মায়ের কাছে চলে যাওয়াটাই শ্রেয়।একটা গেলে আরেকটা আসবে।মেয়েদের জীবনে ছেলেদের কোনো অভাব হয় না বা পড়ে না।"
বাহ বাহ ভালোই উস্কানি দিচ্ছে আমার স্ত্রীকে।অন্তত রোহিকা ভাবীর থেকে এমনটা আশা করিনি। এতোদিন ওনাকে গুরুজন ভেবে যথেষ্ট সম্মান দেওয়াটা আমার ভুল ছাড়া আর কিছুই ছিলোনা।তাছাড়া এমনিতেই আমার আর রাইয়ের সম্পর্ক টানা-হেঁচড়ার মধ্যে পরে আছে। তার মধ্যে যদি কেউ এরূপ উস্কানিমূলক কথাবার্তা শোনায়, তাহলে আমাদের সম্পর্কটা ভাঙতেই বা আর কতক্ষণ!
রোহিকা ভাবীকে তার হাসবেন্ড ডিভোর্স দিয়ে ছেড়ে চলে গেছেন।নিজের সংসার তো আগুনে পুড়ে সেই কবেই ছাই হয়েছে।এখন আমার যা মনে হচ্ছে, উনি মূলত পরের সংসার ভাঙার জন্য উঠে পরে লেগেছেন।
এতোক্ষণ দারজার সাম্মুখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোহিকা ভাবীর কথোপকথন গুলো শুনছিলাম।আমি যে এখানে দাঁড়িয়ে আছি তা হয়তো কেউ এখনো টের পায়নি। পরিশেষে হাল্কা একটা শুকনো কাশি দিয়ে রুমের ভেতরে প্রবেশ করলাম। আমাকে দেখে রোহিকা ভাবী রাইয়ের পাশ থেকে উঠে দ্রুতই চলে গেলেন। অতঃপর আমি রাইয়ের কাছে যেতে'ই রাই আমার থেকে কিছু'টা দূরত্ব বজায় রেখে বললো,
--- '" খবরদার! তুমি আমার কাছে আসার বৃথাই চেষ্টা করবে না শাহরিয়ার?তোমার ওই পাপী হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবে না! "
--- "রাই প্লিজ আমার কথাটা একটু শোনো.....?"
--- " না, আমি আর 'তোর' কোনো কথাই শুনতে চাইনা। আজ আমি বলবো। তুই শুধু কান দিয়ে শুনবি, সব কিছু ছেড়ে তোর মতো একটা দু'টাকার অনাথ ছেলের সাথে পালিয়ে এসেছিলাম, আমি। কিন্তু সেটাই আমার জীবনের বড় ভুল ছিল।ফরমালিন যুক্ত ফলমূল যেমন উপরে ভালো ও ভেতরে পঁচা থাকে, ঠিক তেমনই তুইও উপর থেকে সবার সামনে ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকিস। কিন্তু তোর ভেতরটা দুর্গন্ধময়, পঁচা!
প্রত্যেকটা ডাক্তারের কথা আমার হৃদয়কে তিলে তিলে ভেঙ্গে দিয়েছে, শাহরিয়ার। সন্তান 'না' হওয়ার অন্য যেকোনো কারণ থাকলে আমি মুখ বুঝে নিজের ভাগ্যকে সদরে বরণ করে নিতাম।কিন্তু এমন সমস্যা আমি কী করেইবা মেনে নিবো, যে সমস্যার জন্য আজ তুমি নিজেই সবচেয়ে বড় দায়ী? আজ খুব একটা ভালো করেই বুঝতে পারছি, রিলেশনে থাকাকালীন 'তুই' কেনো বারবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য উতলা হয়ে পড়তি।তুই শুধুই আমার দেহ চেয়েছিলি আমাকে নয়। তখন যদি তুই আমার দেহটাকে পেতে সক্ষম হতি তাহলে হয়তো সেই কবেই আমায় ছেড়ে চলে যেতিস!তুই একটা চরিত্রহীন শাহরিয়ার!তোর মতো মুখোশধারী মানুষকে ভালোবাসাটা আমার বৃথা ছিল। "
--- " হ্যাঁ, মানছি বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে আমি একটু বিপথে চলে গিয়েছিলাম। এমনকি তোমাকে অনেকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করো রাই। তোমার নিখুঁত ভালোবাসা আমাকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়।সব কিছু মিথ্যা হলেও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাটা মিথ্যে নয়। আমি তোমাকে সত্যিই ভিষণ ভালোবাসি রাই। তুমি হীনা যে আমার জীবনটা একদমই অচল!"
--- " চুপ কর, দোহাই লাগে! তোর মুখ থেকে আমি আর কোনো মিথ্যে কথা শুনতে চাইনা? তুই রুম থেকে বের হয়ে যা., এক্ষুনি! আমি একা থাকতে চাই।
- ' রাই...…. '
অতএব রাই আমাকে জোর করে রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো। দরজায় কান পাতলেই আমার বুকের ভেতরটা যেন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে। রাইয়ের কান্নার কন্ঠ আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। মেয়েটা হয়তো ভিষণ কষ্ট পেয়েছে। দরজার একটু পাশেই দেয়ালে নিজের পিঠ ঠেকিয়ে বসে পরলাম। কান্নায় চোখ ভিজিয়ে কখন যে নিদ্রার কূলে ঢলে পরলাম, জানি না সঠিক।তবে কারো কোমল স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাত ঠিক ১টা হবে।সামনে তাকিয়ে দেখি রাই।ওকে দেখে মাত্র আমি নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মিনতির সুরে বলি,
--- " প্লিজ রাই আমায় ভুল বুঝো না।আমাকে ছেড়ে যেওনা কোথাও।আমাকে তুমি ক্ষমা করো। আমি তোমাকে মা হওয়ার সুখ না দিতে পারলেও, বুক ভরা ভালোবাসা অন্ততঃ তীব্র আকারেই দিতে পারবো।নিজের সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে আমি সব সময় আগলে রাখবো। "
শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার চোখের জল গুলো মুছে দিয়ে, রাই প্রত্যুত্তরে বললো,
- " দূর বোকা! তোমাকে ছেড়ে কোথায়ই বা যাবো আমি? ছেড়ে যদি যাওয়ারই হতো, তাহলে সেই কবেই চলে যেতাম। এতোকিছুর পরেও কী তোমার সাথে একই ছাঁদনা তলায় থাকতাম? জানিনা কেনো? তোমাকে ছেড়ে যেতে মন চায়না আমার। তুমি এতো ভুল করার পরেও আমি শেষ-মেশ সব কিছুই মেনে নিই। কিন্তু আর ভুলেও কোনো করিয়ো না ভুল! তাহলে আমাকে আর পেয়েও পাবে না। চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলবে।এখন চলো খাবার খাবে। "
- " না আমার এখন আর খিদে নেই। "
- " চুপ! চলো বলছি? আমিও কিন্তু খাইনি। "
- " হুম। তাহলে আর কী চলো। "
অতঃপর রাই আমাকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিলো। পরের দিন সকালেও রাই আবারও নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিয়েছিল।অফিসের জন্য বেরোনোর আগে রাইয়ের কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়েছিলাম। শুনেছি বউয়ের কপালে চুমু দিলে নাকি দিন কাল বেশ ভালোই কাটে। যাইহোক!
অফিসে পৌঁছে প্রচুর কাজের মোকাবেলা করতে ব্যস্ত হয়ে পরি। রাত ৮ঃ৩০ মিনিটে অফিস ছুটির পর বাসায় এসে এদিক-ওদিক সব জায়গায় রাইকে খুঁজেও পেলাম না কোথাও। ফোন দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। করণ রাইয়ের ফোন সুইচ স্টপ বলছিল। পরিশেষে হতাশ হয়েই সোফায় বসলাম আমি। কিন্তু আচমকাই আমার চোখের নজর কেঁড়ে নেয়, সামনের টেবিলে পরে থাকা নীল রঙের একটা কাগজ। গভীর আগ্রহ নিয়ে কাগজটা হাতে তুলে নিয়েছিলাম এবং কাগজটার প্রতিটা বাজ খুলে পড়তে শুরু করলাম,
" প্রিয় শাহরিয়ার "
জানিনা কি ভাবে বলবো বা বলা উচিত।তাই চিঠিতে লিখে গেলাম।কথা কিন্তু একটাই,আমি তোমার সাথে এভাবে দিনের পর দিন সন্তানহীন ভাবে প্রতিনিয়তো কষ্টগুলো নিজের বুকে ধাবিত করে ধুকে ধুকে মরতে পারবো না। তাই না বলে নিরবে তোমায় ছেড়ে চলে গেলাম, নিজের আপন ঠিকানায়। যদি আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সেই ভালোবাসার কসম করেই বলছি, দয়াকরে আমায় আর খুঁজো না তুমি। ভুলে যাও আমাকে। মনে মনে ভেবে নাও, আমি বলে কেউ তোমার জীবনে কখনো ছিলই না!
~ভালো থেকো....
চিঠিটা পড়ে কান্নায় জর্জরিত হয়ে ধপাস করে ফ্লোরে বসে পরি।কালকে রাতেও তো আবার সব ঠিক হয়েই গেছিল। কিন্তু আজ কি হলো? কষ্টে কেনো বুক ফেটে যাচ্ছে আমার? নয়নের জলগুলোও তীব্র বেগে গড়াতে গড়াতে আজ জল শূন্য হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
অতঃপর আজ চার দিন ধরে রুমের এক কোণে পরে আছি। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই আমি হারিয়ে ফেলেছি। এ চার দিনে রোহিকা ভাবী অনেকবার দড়জা নক করেছিলেন। কিন্তু ওনাকে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই আমার ফ্লাটের সামনে থেকে ফিরে যেতে হয়।রাত এখন বেশ গভীর। চুপিচুপি ফ্লাট থেকে বের হয়ে ছাঁদের শেষ সীমানার প্রায়ই ধার প্রান্তে চলে এলাম। আর এক পা এগোলেই, নির্ঘাৎ মৃত্যু আমাকে চিরদিনের জন্য সঙ্গ করে নিয়ে যাবে। তাছাড়া বাঁচার তেমন কোনো ইচ্ছেও নেই আমার। রাইয়ের সাথে কাঁটানো মুহুর্ত গুলো মনে পরলেই কষ্ট আমাকে চির চির করে খায়।আজ আমার ভুলের জন্যই রাই মা হতে পারেনি। তাই বোধ হয় চলে গেছে, আমায় ছেড়ে আজীবনের জন্য। আমি পাপী! আমার জন্যই রাইয়ের জীবনটা নষ্ট হয়েছে। তাই আমি চলে যাচ্ছি এ মায়ার বাদন ছিঁড়ে। আমি চাইনা আমার জন্য পরবর্তীতে রাইয়ের কোনো প্রকার সমস্যার সুত্রপাত হোক। রাই খুশি থাকুক, নুতুন মায়ায়, নতুন মানুষের, নতুন খাচায় বন্ধি হয়ে।
আমি হেরে গেছি, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছি। আমি আর বাঁচতে চাইনা।বাচার ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে আর নেই। আমি বাঁচবো না, বাঁচতে চাইনা! আমি জাহান্নামি। চিরটাকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরবো। অতএব আর কিছু না ভেবে আমি ছাঁদ থেকে লাফ.......
চলবে...5. পর্বের গল্প,, রাতেই নেক্সট আসবে যদি আপনারা চান,,, যারা ফলো না দিয়ে গল্প পড়েন তারা ফলো দিন না হলে মিস হয়ে যাবে
গল্পঃ ভুল_করিনি_ভালোবেসে
সূচনা পর্ব [ ০১ ]