Tourist Couple

Tourist Couple Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tourist Couple, Video Creator, Zinzira.

-- " সরি মিসেস রাই!আপনার স্বামী মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে বিয়ের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও,আপনার কোল আলো করে এ...
11/11/2024

-- " সরি মিসেস রাই!আপনার স্বামী মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে বিয়ের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও,আপনার কোল আলো করে এখনো কোনো সন্তান আসেনি।সমস্যাটা আপনার নয়, সমস্যাটা হলো, আপনার স্বামীর।কারণ উনি যৌবন কালে পা দেওয়ার পরপরই মিছে দুনিয়ার মিছে মায়ায় আসক্ত হয়ে পিতা হওয়ার স্বাদ চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন।কিছু করার নেই।অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। "

ডাক্তারের বলা কথাগুলো শুনে আমার স্ত্রীর মুখটা নিমিষেই কালো হয়ে যায়।পাশেই বসে ছিলাম আমি। এই নিয়ে (৭-৮) বার ডাক্তারের কাছে আসলেও সবার মুখে এই একটাই কথা!লজ্জায় আমার মাথা কাঁটা যাওয়ার উপক্রম।

নিজেকে সামলে নিয়ে হাজারো দুঃখ, বেদনা, যন্ত্রণাকে নিজের ভেতরেই ধাবিত করে কিছুটা আশ্বাস নিয়ে আমার স্ত্রী রাই ডাক্তারকে বললো,

- "এখন কী কিছু'ই আর সম্ভব নয়?"

- "নাহ মিসেস রাই আর কিছু'ই সম্ভব না। আপনার স্বামীর একটা ভুলের কারণে আজ আপনি সন্তানহীন।মা হওয়ার স্বাদ'টা ঠিক অনুভব করতে পারছেন না!"

অতএব ডাক্তারের সাথে আর কোনো কথায় জড়ালো না রাই।নিরবে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেল।রাইয়ের পিছুপিছু আমিও চলে এসেছিলাম।একটা রিক্সা ডাক দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে দুজনে যাত্রা শুরু করলাম।রাই কোনো কথা বলছে না।চুপচাপ বসে আছে।নিজে থেকে কথা বলার ইচ্ছেও এই মুহূর্তে আমার নেই।কোন মুখেই'বা আমি এখন রাইয়ের সাথে কথা বলবো? দীর্ঘ দিন রিলেশনের পর বিয়ে করেছি আমরা।জাত-পাত বংশের নাম ডুবিয়ে ভালোবাসার টানে আমার কাছে ছুটে এসেছিল রাই। কিন্তু কি পেলো? সন্তান না হওয়াটা একটা মেয়ের কাছে কতটা না কষ্টদায়ক ব্যাপার, সেটা আর যাইহোক সবাই উপলব্ধি করতে পারবে না।

আহ্!ভুলটা আমারই ছিল। কেনোই বা খারাপ বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করলাম।নিজের ভবিষ্যৎকে অন্ধের দিকে ঠেলে দিলাম।আজ ঠিকই টের পাচ্ছি, আমাদের ওই সব বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করা উচিত নয়, যেসব বন্ধুদের কাছ থেকে অন্যায় বা পাপ কাজ ছাড়া আর কিছুই শেখা যায় না।যৌবনে পা দিতেনা দিতেই বিভিন্ন অপকর্ম কান্ডে লিপ্ত হয়ে পরেছিলাম আমি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাইয়ের বিশুদ্ধ ভালোবাসা আমাকে সম্পূর্ণই বদলে দিয়েছিলো।

রিক্সা সেই কবেই বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।সেদিকে যেন আমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। রাইও পাশে নেই হয়তো বাসার ভেতরে চলে গেছে।বেশ কিছুটা বিরক্তিকর মুখ নিয়ে রিক্সাওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর রিক্সাওয়ালাকে তার পারিশ্রমিকটা বুঝিয়ে দিয়ে নিজের ফ্লাটে চলে আসলাম।স্পষ্টই শুনতে পাচ্ছি রাইয়ের কান্নার স্বর।ওর চোখের অশ্রু কেনো যেন আমাকে তীব্র কষ্টের অতল সাগরে ডুবিয়ে দিচ্ছে।সত্যি, সব কিছুর জন্য একমাত্র আমিই দায়ী।রুমের কিছুটা কাছে আসতেই আরও একজনের উপস্থিতি টের পেলাম।আর সে হলো, রোহিকা ভাবী। রোহিকা ভাবী হলেন, বাড়ির মালকিন।অর্থাৎ আমরা ভাড়াটিয়া।নিস্তব্ধ হয়ে দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছি। ভেতরে রোহিকা ভাবী আমার স্ত্রীর মাথায় হাত ভুলিয়ে দিতে দিতে সহানুভূতির কন্ঠ স্বরে বললেন,

--- "যা তোমার কপালে ছিল তাই হয়েছে গো.! তুমি খুব বড় ভুল করেছো, ওর মতো একটা থার্ডক্লাস, লোফার চরিত্রহীন ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করে।এখন দেখছো তো, কতটা কষ্ট পেতে হচ্ছে তোমাকে? আহারে...কাদঁতে, কাঁদতে নিজের কী অবস্থাতাইনা করে ফেলছো। এবার একটু কান্না থামিয়ে গুরুজনের কথা শোনো, ভালো সেটাই হবে তুমি যদি শাহরিয়ারকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। যে তোমাকে মাতৃত্বের সুখ দিতে পারে না, তার সাথে সারা'টা জীবন থাকার কী মানে? ওর সাথে থেকে নিজের জীবন'টাকে নষ্ট করার চেয়ে তোমার বাবা-মায়ের কাছে চলে যাওয়াটাই শ্রেয়।একটা গেলে আরেকটা আসবে।মেয়েদের জীবনে ছেলেদের কোনো অভাব হয় না বা পড়ে না।"

বাহ বাহ ভালোই উস্কানি দিচ্ছে আমার স্ত্রীকে।অন্তত রোহিকা ভাবীর থেকে এমনটা আশা করিনি। এতোদিন ওনাকে গুরুজন ভেবে যথেষ্ট সম্মান দেওয়াটা আমার ভুল ছাড়া আর কিছুই ছিলোনা।তাছাড়া এমনিতেই আমার আর রাইয়ের সম্পর্ক টানা-হেঁচড়ার মধ্যে পরে আছে। তার মধ্যে যদি কেউ এরূপ উস্কানিমূলক কথাবার্তা শোনায়, তাহলে আমাদের সম্পর্কটা ভাঙতেই বা আর কতক্ষণ!

রোহিকা ভাবীকে তার হাসবেন্ড ডিভোর্স দিয়ে ছেড়ে চলে গেছেন।নিজের সংসার তো আগুনে পুড়ে সেই কবেই ছাই হয়েছে।এখন আমার যা মনে হচ্ছে, উনি মূলত পরের সংসার ভাঙার জন্য উঠে পরে লেগেছেন।

এতোক্ষণ দারজার সাম্মুখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোহিকা ভাবীর কথোপকথন গুলো শুনছিলাম।আমি যে এখানে দাঁড়িয়ে আছি তা হয়তো কেউ এখনো টের পায়নি। পরিশেষে হাল্কা একটা শুকনো কাশি দিয়ে রুমের ভেতরে প্রবেশ করলাম। আমাকে দেখে রোহিকা ভাবী রাইয়ের পাশ থেকে উঠে দ্রুতই চলে গেলেন। অতঃপর আমি রাইয়ের কাছে যেতে'ই রাই আমার থেকে কিছু'টা দূরত্ব বজায় রেখে বললো,

--- '" খবরদার! তুমি আমার কাছে আসার বৃথাই চেষ্টা করবে না শাহরিয়ার?তোমার ওই পাপী হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবে না! "

--- "রাই প্লিজ আমার কথাটা একটু শোনো.....?"

--- " না, আমি আর 'তোর' কোনো কথাই শুনতে চাইনা। আজ আমি বলবো। তুই শুধু কান দিয়ে শুনবি, সব কিছু ছেড়ে তোর মতো একটা দু'টাকার অনাথ ছেলের সাথে পালিয়ে এসেছিলাম, আমি। কিন্তু সেটাই আমার জীবনের বড় ভুল ছিল।ফরমালিন যুক্ত ফলমূল যেমন উপরে ভালো ও ভেতরে পঁচা থাকে, ঠিক তেমনই তুইও উপর থেকে সবার সামনে ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকিস। কিন্তু তোর ভেতরটা দুর্গন্ধময়, পঁচা!

প্রত্যেকটা ডাক্তারের কথা আমার হৃদয়কে তিলে তিলে ভেঙ্গে দিয়েছে, শাহরিয়ার। সন্তান 'না' হওয়ার অন্য যেকোনো কারণ থাকলে আমি মুখ বুঝে নিজের ভাগ্যকে সদরে বরণ করে নিতাম।কিন্তু এমন সমস্যা আমি কী করেইবা মেনে নিবো, যে সমস্যার জন্য আজ তুমি নিজেই সবচেয়ে বড় দায়ী? আজ খুব একটা ভালো করেই বুঝতে পারছি, রিলেশনে থাকাকালীন 'তুই' কেনো বারবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য উতলা হয়ে পড়তি।তুই শুধুই আমার দেহ চেয়েছিলি আমাকে নয়। তখন যদি তুই আমার দেহটাকে পেতে সক্ষম হতি তাহলে হয়তো সেই কবেই আমায় ছেড়ে চলে যেতিস!তুই একটা চরিত্রহীন শাহরিয়ার!তোর মতো মুখোশধারী মানুষকে ভালোবাসাটা আমার বৃথা ছিল। "

--- " হ্যাঁ, মানছি বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে আমি একটু বিপথে চলে গিয়েছিলাম। এমনকি তোমাকে অনেকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করো রাই। তোমার নিখুঁত ভালোবাসা আমাকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়।সব কিছু মিথ্যা হলেও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাটা মিথ্যে নয়। আমি তোমাকে সত্যিই ভিষণ ভালোবাসি রাই। তুমি হীনা যে আমার জীবনটা একদমই অচল!"

--- " চুপ কর, দোহাই লাগে! তোর মুখ থেকে আমি আর কোনো মিথ্যে কথা শুনতে চাইনা? তুই রুম থেকে বের হয়ে যা., এক্ষুনি! আমি একা থাকতে চাই।

- ' রাই...…. '

অতএব রাই আমাকে জোর করে রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো। দরজায় কান পাতলেই আমার বুকের ভেতরটা যেন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে। রাইয়ের কান্নার কন্ঠ আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। মেয়েটা হয়তো ভিষণ কষ্ট পেয়েছে। দরজার একটু পাশেই দেয়ালে নিজের পিঠ ঠেকিয়ে বসে পরলাম। কান্নায় চোখ ভিজিয়ে কখন যে নিদ্রার কূলে ঢলে পরলাম, জানি না সঠিক।তবে কারো কোমল স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাত ঠিক ১টা হবে।সামনে তাকিয়ে দেখি রাই।ওকে দেখে মাত্র আমি নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মিনতির সুরে বলি,

--- " প্লিজ রাই আমায় ভুল বুঝো না।আমাকে ছেড়ে যেওনা কোথাও।আমাকে তুমি ক্ষমা করো। আমি তোমাকে মা হওয়ার সুখ না দিতে পারলেও, বুক ভরা ভালোবাসা অন্ততঃ তীব্র আকারেই দিতে পারবো।নিজের সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে আমি সব সময় আগলে রাখবো। "

শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার চোখের জল গুলো মুছে দিয়ে, রাই প্রত্যুত্তরে বললো,
- " দূর বোকা! তোমাকে ছেড়ে কোথায়ই বা যাবো আমি? ছেড়ে যদি যাওয়ারই হতো, তাহলে সেই কবেই চলে যেতাম। এতোকিছুর পরেও কী তোমার সাথে একই ছাঁদনা তলায় থাকতাম? জানিনা কেনো? তোমাকে ছেড়ে যেতে মন চায়না আমার। তুমি এতো ভুল করার পরেও আমি শেষ-মেশ সব কিছুই মেনে নিই। কিন্তু আর ভুলেও কোনো করিয়ো না ভুল! তাহলে আমাকে আর পেয়েও পাবে না। চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলবে।এখন চলো খাবার খাবে। "

- " না আমার এখন আর খিদে নেই। "

- " চুপ! চলো বলছি? আমিও কিন্তু খাইনি। "

- " হুম। তাহলে আর কী চলো। "

অতঃপর রাই আমাকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিলো। পরের দিন সকালেও রাই আবারও নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিয়েছিল।অফিসের জন্য বেরোনোর আগে রাইয়ের কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়েছিলাম। শুনেছি বউয়ের কপালে চুমু দিলে নাকি দিন কাল বেশ ভালোই কাটে। যাইহোক!

অফিসে পৌঁছে প্রচুর কাজের মোকাবেলা করতে ব্যস্ত হয়ে পরি। রাত ৮ঃ৩০ মিনিটে অফিস ছুটির পর বাসায় এসে এদিক-ওদিক সব জায়গায় রাইকে খুঁজেও পেলাম না কোথাও। ফোন দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। করণ রাইয়ের ফোন সুইচ স্টপ বলছিল। পরিশেষে হতাশ হয়েই সোফায় বসলাম আমি। কিন্তু আচমকাই আমার চোখের নজর কেঁড়ে নেয়, সামনের টেবিলে পরে থাকা নীল রঙের একটা কাগজ। গভীর আগ্রহ নিয়ে কাগজটা হাতে তুলে নিয়েছিলাম এবং কাগজটার প্রতিটা বাজ খুলে পড়তে শুরু করলাম,

" প্রিয় শাহরিয়ার "
জানিনা কি ভাবে বলবো বা বলা উচিত।তাই চিঠিতে লিখে গেলাম।কথা কিন্তু একটাই,আমি তোমার সাথে এভাবে দিনের পর দিন সন্তানহীন ভাবে প্রতিনিয়তো কষ্টগুলো নিজের বুকে ধাবিত করে ধুকে ধুকে মরতে পারবো না। তাই না বলে নিরবে তোমায় ছেড়ে চলে গেলাম, নিজের আপন ঠিকানায়। যদি আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সেই ভালোবাসার কসম করেই বলছি, দয়াকরে আমায় আর খুঁজো না তুমি। ভুলে যাও আমাকে। মনে মনে ভেবে নাও, আমি বলে কেউ তোমার জীবনে কখনো ছিলই না!
~ভালো থেকো....

চিঠিটা পড়ে কান্নায় জর্জরিত হয়ে ধপাস করে ফ্লোরে বসে পরি।কালকে রাতেও তো আবার সব ঠিক হয়েই গেছিল। কিন্তু আজ কি হলো? কষ্টে কেনো বুক ফেটে যাচ্ছে আমার? নয়নের জলগুলোও তীব্র বেগে গড়াতে গড়াতে আজ জল শূন্য হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

অতঃপর আজ চার দিন ধরে রুমের এক কোণে পরে আছি। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই আমি হারিয়ে ফেলেছি। এ চার দিনে রোহিকা ভাবী অনেকবার দড়জা নক করেছিলেন। কিন্তু ওনাকে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই আমার ফ্লাটের সামনে থেকে ফিরে যেতে হয়।রাত এখন বেশ গভীর। চুপিচুপি ফ্লাট থেকে বের হয়ে ছাঁদের শেষ সীমানার প্রায়ই ধার প্রান্তে চলে এলাম। আর এক পা এগোলেই, নির্ঘাৎ মৃত্যু আমাকে চিরদিনের জন্য সঙ্গ করে নিয়ে যাবে। তাছাড়া বাঁচার তেমন কোনো ইচ্ছেও নেই আমার। রাইয়ের সাথে কাঁটানো মুহুর্ত গুলো মনে পরলেই কষ্ট আমাকে চির চির করে খায়।আজ আমার ভুলের জন্যই রাই মা হতে পারেনি। তাই বোধ হয় চলে গেছে, আমায় ছেড়ে আজীবনের জন্য। আমি পাপী! আমার জন্যই রাইয়ের জীবনটা নষ্ট হয়েছে। তাই আমি চলে যাচ্ছি এ মায়ার বাদন ছিঁড়ে। আমি চাইনা আমার জন্য পরবর্তীতে রাইয়ের কোনো প্রকার সমস্যার সুত্রপাত হোক। রাই খুশি থাকুক, নুতুন মায়ায়, নতুন মানুষের, নতুন খাচায় বন্ধি হয়ে।

আমি হেরে গেছি, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছি। আমি আর বাঁচতে চাইনা।বাচার ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে আর নেই। আমি বাঁচবো না, বাঁচতে চাইনা! আমি জাহান্নামি। চিরটাকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরবো। অতএব আর কিছু না ভেবে আমি ছাঁদ থেকে লাফ.......

চলবে...5. পর্বের গল্প,, রাতেই নেক্সট আসবে যদি আপনারা চান,,, যারা ফলো না দিয়ে গল্প পড়েন তারা ফলো দিন না হলে মিস হয়ে যাবে

গল্পঃ ভুল_করিনি_ভালোবেসে
সূচনা পর্ব [ ০১ ]

"আম্মা, শুধু শাক দিয়ে ভাত খাবো?  সকালে না ডিম ভাজি করলে তুমি, আমার জন্য রাখোনি?""তোর জন্য রাখছিলাম আব্বা। কিন্তু, তোর ছো...
09/11/2024

"আম্মা, শুধু শাক দিয়ে ভাত খাবো? সকালে না ডিম ভাজি করলে তুমি, আমার জন্য রাখোনি?"

"তোর জন্য রাখছিলাম আব্বা। কিন্তু, তোর ছোট ভাই কখন জানি খেয়ে ফেলছে। ও ছোট মানুষ বুঝেনি। ছোট ভাই-বোন থাকলে বড়দের একটু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। বাসায় আর ডিম নেই, তুই শাক দিয়ে খেয়ে নে আব্বা।"

আম্মার কথা শুনে আর কথা বাড়ালাম না। চুপচাপ শাক দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। আমরা দুই ভাই, দুই বোন। আমি সবার বড়। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি আমি বড় ছেলে, এরপর থেকে সবকিছুতেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। অনেক সময় নিজ না খেয়ে, ভালো না পড়ে, ছোটদের দিয়ে দিতাম। আব্বা-আম্মা'কে নিয়ে ভালোই যাচ্ছিলো দিন। আমি এবার কলেজে ভর্তি হয়েছি। হঠাৎ ক্লাসে থাকাকালীন খবর এলো, আব্বা অসুস্থ।

আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। আব্বা'র হাত ধরে ভরসা দিয়ে বললাম,

"আব্বা আপনার কিছু হবে না, কিছু হবে না।"

আব্বা মৃ'ত্যু স'জ্জা'য় বসে আমার হাত ধরে বললো,

"আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে, মাহমুদ। তুই আমার বড় ছেলে, মাহমুদ। তুই কথা দে আব্বা, আমার অবর্তমানে তুই সবাই'কে দেখে রাখবি। তুই বটবৃক্ষের ছায়া হয়ে আমার যত্নে গড়া সংসার আগলে রাখিস, আব্বা। তোর আম্মা, ছোট ভাই-বোনদের দেখে রাখিস।"

"ওমন কইরা বলবেন না, আব্বা। আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। আমি আজই আপনাকে বড় ডক্টরের কাছে নিয়া যাবো। আর আমি কথা দিলাম আব্বা, আমি সবাই'কে দেইখা রাখবো। আপনিও আমাদের সাথেই থাকবেন, আব্বা। আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।"

কিন্তু, আব্বা আর কথা কইলো না। ম'ই'রা গেছে আমার আব্বা। আমরা আজ থেকে এতিম। লা'শে'র পাশে বসে আমার আম্মা, ছোট ভাই-বোনেরা কাঁদছে। আমি কাঁদতে গিয়েও কাঁদতে পারলাম না । আমি যে বড় ছেলে,সবাই ভেঙে পড়লে ওদের কে সামলাবে? আমি সবাইকে আগলে নিয়ে আশ্বাস দিয়ে বললাম, " আমি আছি।"

এরপর থেকে সবার দায়িত্ব এসে পড়লো আমার কাঁধে। বড় সংসার সামলাতে গিয়ে আমার আর লেখাপড়া হইলো না। আমি দিনরাত পরিশ্রম করে যখন ছোট ভাই-বোনের মুখে হাসি দেখি, আমি সব কষ্ট ভুইলা যাই। আমার একটা ভালোবাসা'র মানুষ ছিলো, বেলা। এতো দায়িত্বের ভিরে তারে আর সময় দেওয়া হয় না। কিছুদিন পর বেলা আইসা বললো,

"মাহমুদ, আব্বা বিয়া ঠিক করছে আমার। চলো আমরা অনেক দূর পালাইয়া যাই।"

মুহূর্তেই আম্মার অসহায় মুখটা, ভাই-বোনের দায়িত্বের কথা মনে পড়ে গেলো আমার। আমি নিজের ভালোবাসা নিয়া পালিয়ে গেলে, এদের কি হবে? আমি যে আব্বারে কথা দিছি, সবাইকে ভালো রাখবো। ওদের কথা চিন্তা কইরা আমি নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়া কইলাম,

"তুমি বাপের পছন্দের ছেলেকে বিয়া কইরা নেও, বেলা। নিজের সুখের জন্য আমি এতো বড় স্বার্থপর হতে পারবো না, আমার কাঁধে অনেক দায়িত্ব।"

সেদিন বেলা অনেক কেঁদেছে। আমি তবুও পারিনি তাকে আমার করে রাখতে। আমি অশ্রু টলমল চোখে পাশ কাটিয়ে চলে এসেছি। বেলা নিরুপায় হয়ে বিয়ে করে নিলো। দুই বছর পর আমার আম্মাজান ও আমাদের একেবারে এতিম কইরা চইলা গেলো। এবার রান্না থেকে শুরু করে সবার দেখাশোনা একা হাতে সামলাতে হলো। যত কষ্ট করার আমি করেছি, নিজে এক জোড়া জুতো কিনতে গেলেও হিসাব করেছি। শখ করার বয়সে সংসারর দায়িত্ব পড়েছে কাঁধে।

বহু কষ্টে ভাই-বোনদের লেখাপড়া করাচ্ছি। আব্বার বড় ইচ্ছে ছিলো, ছোট ভাইকে ডক্টর বানানোর। আব্বার সব স্বপ্ন আমি পূরণ করবো।

ছোট বোন দু'টো কলেজ অবধি পড়িয়ে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছি। ছোট ভাই এখন ডক্টর। সবার সংসার হয়েছে। বউ নিয়ে শহরে থাকছে ছোট ভাই। আমি আবারো একা হয়ে গেলাম। আব্বার ঘরখানায় একা পড়ে আছি।
আমার বয়স হয়েছে, বিয়ে করার বয়সে ভাই-বোনের দায়িত্ব ছিলো। নিজের কথা ভাবার সময় হলো না। অথচ, এখন আর কেউ আমাকে চিনে না।

আমি নিজের সাধ্য মতো ওদের ভালো রাখার চেষ্টা করে আসছি। তবুও ভাই-বোনে'র কত আক্ষেপ! বলে,

"আমাদের এটা দেওনি, ওটা দেওনি। তুমি কি এমন করছো আমাদের জন্য?"

হাহা..! আমি এসবে কিছু মনে করি না। আমি মুচকি হাসি। আমি আব্বার বড় ছেলে, ওরা ছোট! ওদের কথা গায়ে মাখতে নেই।

আজকাল বুকে'র ব্যথাটা বেড়েছে। কাজ করতে আর আগের মতো পারি না। পাড়া-পড়শীরা বলে, ডক্টরের কাছে যাও। ডক্টর ভাইয়ের কাছে টাকা চাও। আমি হেসে বলি,

"এসব ঠুনকো ব্যথায় বড় ছেলেদের কিছু হয় না। আমার এখনো অনেক দায়িত্ব রয়ে গেছে!"

কিন্তু, শরীর! আজকাল কথা শুনে না। সেদিন পড়শীরা বেহুঁশ অবস্থায় ঘরে পেয়েছে আমাকে। কয়েকজন মিলে হসপিটালে নিয়ে গেলো। উনারা ছোট ভাইকে খবর দিয়ে বললো,

"তোমার বড় ভাই অসুস্থ, হসপিটালে ভর্তি করেছি আমরা। একবার এসে দেখে যাও।"

ভাই ব্যস্ত কণ্ঠে বললো, "আমার হাতে সময় নেই। হসপিটালে ডিউটি আছে আমার।আজ কিছু টাকা পাঠিয়ে দিবো, আপনারা সামলে নিন।"

উনার কঠিন কিছু বলতে গেলো, থামিয়ে দিলাম আমি। ওরা ছোট, বুঝেনি। উনারাও চলে গেলো। হসপিটালের বেডে সুয়ে, একা আমি। ডক্টর এসে বললো,

"আপনার কেউ নেই? স্ত্রী-সন্তান কেউ আসেনি সাথে?"

আমি মুচকি হেসে বললাম, "বিয়ে করিনি তো। আমার অনেকেই আছে। ডক্টর ভাই আছে, দুই বোন। তারা আগে দাদা'র জন্য পাগল থাকলেও এখন নিজেদের সংসার হয়েছে। আজকাল বড় ব্যস্ত থাকে সবাই। আজ আসছি ডক্টর..."

"সে-কি আপনি তো এখনো অসুস্থ..! আপনার রেস্ট প্রয়োজন। "

"হাহা! এতটুকু ব্যথায় কি আসে যায় ডক্টর? আমি ঘরের বড় সন্তান, অনেক দায়িত্ব আমার। "

হসপিটাল থেকে বের হয়ে, আমি হিসাব কষি .! সামনে ঈদ। বোনদের শ্বশুর বাড়িতে উপহার পাঠাতে হবে। অনেক টাকার দরকার..... আজ থেকে আবারও কাজে যেতে হবে।

(সমাপ্ত)

ছোটগল্পঃ #আমি_বড়_ছেলে
সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

[কেমন লাগছে গল্পটি? সবাই রেসপন্স করবেন পেজে। ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিজদের মতামত জানাবেন।]

আল্লাহ হেফাজত করো সবাইকে 😢
21/08/2024

আল্লাহ হেফাজত করো সবাইকে 😢

05/08/2024

দেশ স্বাধীন

05/08/2024

🥰বাংলাদেশ স্বাধীন🥰

09/12/2023

‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর ছোট্ট মেয়েটি এখন কী করছেন

22/10/2023

ভারতের সর্বাধিক আয় করা সেরা ৭ সিনেমা 7 All Time Top Earning Indian Movies

হ্যান্ড পেইন্ট পাঞ্জাবী সেল হবে। আপনাদের পছন্দমত ডিজাইন করে দেয়া যাবে। অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।
05/09/2023

হ্যান্ড পেইন্ট পাঞ্জাবী সেল হবে। আপনাদের পছন্দমত ডিজাইন করে দেয়া যাবে। অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।

হ্যান্ড পেইন্ট এর নতুন কালেকশন🥰
10/07/2023

হ্যান্ড পেইন্ট এর নতুন কালেকশন🥰

09/07/2023

চাইলেই অর্ডার করতে পারেন।

Send a message to learn more

শাড়ির হ্যান্ড পেইন্ট ডিজাইন
27/06/2023

শাড়ির হ্যান্ড পেইন্ট ডিজাইন

18/06/2023

হাফ সিল্ক শাড়ির হ্যান্ড পেইন্ট টিউটোরিয়াল ভিডিও

11/06/2023

🥰🥰

Address

Zinzira

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tourist Couple posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tourist Couple:

Videos

Share

Category